নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
(আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দুই বন্ধু বাবু আশা করছে আর দুই তিন মাসের মধ্যে। তাদের জন্য লেখাটা সহব্লগারদের কাজে লাগতে পারে ভেবে...)
দোস্ত, আমি মিনিমাম লিঙ্ক দিলাম।
দুইজনেই এই মেইলটা পড়িস।
এখন প্রতিদিন তিনবার মেডিটেশন করলে খুবই উপকার। এই তিন মেডিটেশনের অন্তত দুইটাতে তুই সাথে থাকলে আরো বেশি উপকার। এটা গাণিতিকভাবে বাড়ে।
বিশ্বাস কর, এখন তোরা দুইজন মেডিটেশন করবি না, বরং তিনজনের করা হবে।
এই দুইমাস মেডিটেশন করলে এবং মেডিটেশনের অন্যান্য অডিও শুনলে যে উপকারগুলো হবে-
বাবু আজীবন ধীর স্থির শান্ত চিন্তাশীল বিবেকবান মমতাময় এবং অধিকতর বুদ্ধিমান হবে। তার ব্রেন গঠন হচ্ছে মাত্র এক দুই মাস যাবত। আগামী দুই মাস তার ব্রেনের গঠন চলবে। এই সময়টায় তার গঠনশীল ব্রেেনে যে সিগন্যাল যাবে, সেটাই হবে তার আজীবনের বেইসমেন্ট। বিষয়টা এমন, এই ভিত্তিভূমি বাবা-মা চাইলে পাথর করতে পারে, উর্বর পলিমাটি করতে পারে এবং চাইলে লবণাক্ত করতে পারে।
ভবিষ্যতে এই বাবুটা পৃথিবীতে কী করবে তা কিন্তু বাবা মা ঠিক করে দিতে পারবে না। তা ঠিক করবে এই বাবু। কিন্তু বাবা-মা যদি এখন তার ভিত্তিভূমিকে পলিমাটি করে দেয়, তাহলে তার ভিতরে সবই জন্মাবে এবং তরতর করে বাড়বে। সে যা করবে, তাতেই সফল হবে।
আবার বাবামা যদি লবণাক্ত করে দেয়, তাহলে যে কোন ফসল কঠিন হবে।
আর বাবা মা যদি এখন পাথর করে দেয়, তাহলে বাবু বহু চেষ্টা করলেও খেজুর গাছের চেয়ে বেশি কিছু উৎপাদন করতে পারবে না।
অর্থাৎ, নিজের ভবিষ্যত সে নিজে গড়বে, কিন্তু সেই ভবিষ্যতটা কীভাবে কোন পথে গড়বে তার অনেকটাই নির্ভর করে এখন বাবা-মায়ের অ্যাক্টিভিটির উপর।
এই 'অনেকটা' যে কতখানি 'অনেকটা', সেটা স্পষ্ট করি-
এক জার্মান বাবা-মায়ের সন্তান জন্মানোর পরই বাবা-মা থেকে সন্তান বিচ্ছিন্ন হয় এবং পরে সে রাশিয়ায় বড় হয়। উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত সে রাশিয়ান ছাড়া আর কোন ভাষাভাষী মানুষের সাথে মেশেনি। অথচ তার কন্ঠে স্পষ্ট জার্মান টান।
পরে গবেষকরা বিষয়টা আমলে নেয়। তারা প্রথমেই পরীক্ষা করে কন্ঠনালী। না। আর সব মানুষের মতই। এর পিছনে জেনেটিক কোন পার্থক্য নেই। এরপর তারা প্রমাণ পায়, এই শিশু শুধু মায়ের গর্ভেই মায়ের কাছে ছিল এবং মায়ের গর্ভে থাকার সময়কালেই তার ব্রেনে যে শব্দ-উচ্চারণ-প্রক্রিয়া গেছিল, এই উনিশ বছরেও সেটাকে পরাজিত করে রাশিয়ান ভাষা বিজয়ী হতে পারেনি।
সন্তানের আসার শেষ ধাপে মায়ের সাথে তার যোগাযোগ বহুমাত্রিক।
বাইরের পৃথিবীকে সে চেনে শুধুমাত্র মায়ের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে। বিষয়টা এরকম-
মা কারো সাথে কথা বলছে। মা মনে করছে এটা শুধুই কথা।
শিশুর কাছে বিষয়টা এরকম, মা কথা বলছে,
ক. ওই কথার উচ্চারণ পদ্ধতি সে গ্রহণ করছে
খ. কথার অর্থ সে গ্রহণ করছে এবং ভবিষ্যতে অর্থ জানার জন্য জমা করছে
গ. এই কথার সময় মায়ের মস্তিষ্কর নির্দেশে হরমোন গ্ল্যান্ড 'খুশির'/'আনন্দের'/উচ্ছ্বাসের/তৃপ্তির/প্রশান্ত ভাবের/ উত্তেজিত ভাবের/ ক্ষিপ্ত ভাবের/ কান্নার/ কষ্টের/ দুশ্চিন্তার নির্দেশক হরমোন পাঠাচ্ছে।
এই প্রতিটা হরমোন শিশু গ্রহণ করছে। প্রতিটা হরমোন মনে রাখছে। এই হরমোনগুলোই সে সারা জীবন সবচে বেশি উৎপাদন করবে এবং ব্যবহার করবে। এবং এই কথার ক্ষেত্রে এই রিঅ্যাক্ট করবে।
ঘ. কথার সাথে সাথে মায়ের তাপমাত্রা, পেশীর সঞ্চালন, নড়াচড়ায় পরিবর্তন আসছে। এটা সে গ্রহণ করছে।
ঙ. মা যাকে পছন্দ করছে, যে জিনিস পছন্দ করছে, যে জাতিকে পছন্দ করছে, যে ভাষাকে পছন্দ করছে, যে ঘটনাকে এবং পরিস্থিতিকে পছন্দ করছে তার প্রতিটাই সে রেকর্ড করছে এবং ছড়াতে থাকা মস্তিষ্কে মাল্টিপ্লাই করছে। অপছন্দও।
চ. এই সবকিছুর যোগফল আকারে মা যে অবস্থাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে সেই অবস্থা সে ধারণ করছে এবং সেই অবস্থার এক সমন্বিত রূপ আকারে ভবিষতে আবির্ভূত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এবং এই গ্রহণ করা প্রতিটা বিষয় সে বর্ধনশীল মস্তিষ্কের নতুনভাবে গড়ে ওঠা অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এখন, মেডিটেশন এবং মেডিটেশনের যে চেতনা, সেটা তো এক হাজার বছরের শিক্ষা নয়, দশ হাজারও নয়, স্বয়ং আদম আ. থেকেই মেডিটেশন চলে আসছে। আমাদের রাসূল দ. একাধারে এত বেশি সময় আর কিছুই করেননি। তার সারা জীবনের নামাজ একত্র করলেও মেডিটেশনের অর্ধেক হবে না। তিনি একাধারে পনের বছর চার মাস মেডিটেশন করেছেন।
পৃথিবীর বুকে কোন বিজ্ঞান যদি সবচে বেশি পুরনো হয়, তবে তা হল, ১. ক্ষুধার বিজ্ঞান, ২. ধ্যানের বিজ্ঞান।
তাই লক্ষ বছরের ফসল মেডিটেশন যখন কোন সত্যিকার ধ্যান-শিক্ষকের হাত দিয়ে আসে, সেটার ফলাফল যে কোন বিজ্ঞানের চেয়ে সফল।
আমি যে মেডিটেশনটা তোদের দিচ্ছি, অনেক ভেবে চিন্তে দিচ্ছি। আমি তোদের নিয়ে অনেক ভাবি। এবং সবচে সেরাটাই ভাবি, তোরা তা জানিস।
এখন বাচ্চা-মায়ের সাথে তোর মেডিটেশন করা জরুরি তিনটা কারণে।
১. শুধু আস্থা রাখ, তোর মুখ যত কথা বলতে পারে, মন বলে তারচে বেশি কথা। এ প্রমাণ দিয়ে বোঝানোর বিষয় না। এটাও বোঝানো যায়, কিন্তু সময় নষ্ট। শুধু বিশ্বাস রাখ যে, মুখের কথা যেমন কান হয়ে মস্তিষ্কতে যায়, মনের কথা কান ছাড়াই মন হয়ে মস্তিষ্কে যায় এবং বেশি পরিমাণে যায়। তাই বেবির পাশে থেকে যদি তুই অন্তত দুইটা মেডিটেশন কাভার করিস, তোর সাথে বেবির বন্ধন হবে আরো উচ্চতর।
২. বাচ্চা-মা মেডিটেশন করল এবং তাদের ভিতরে সেই চেতনা এল, কিন্তু তোর এইসবের বালাই নেই দেখে তোর প্রতিবারের কাজকর্ম 'অপ্রাজ্ঞ' বা অধ্যানীসুুলভ হল, তাতে তোর মূল্যায়ন কমবে এবং তাদের মেডিটেশন করার সাফল্যও কমবে।
৩. তোর দৃষ্টিভঙ্গিও আমূল পরিবর্তন হবে যার ফলাফল তোরা তিনজনেই ভোগ করবি।
এখন, শুধু মেডিটেশন নয়।
আমি ছোট্ট ছোট্ট বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি, সেগুলো নামিয়ে দুজনেই পড় (আসলে তিনজনে)। তাতে যে উপকারের জন্য মেডিটেশন করছিস, তা বহুগুণে বাড়বে।
এবং কিছু অডিও দিচ্ছি। অটোসাজেশন এবং কুরআনের। এগুলো খুবই উপকারী। এগুলোর সাথে একাত্ম্য না হয়ে মেডিটেশন করা হল মরুভূমিতে সাতড়ানোর চেষ্টার জন্য মরীচিকাকে পানি মনে করে দৌড়ানোর মত।
অর্থাৎ, মূল বিষয় হল মেডি, কিন্তু মেডিটা পুরোপুরি কাজে লাগবে এবং বহুবহু গুণে কাজে লাগবে এই অটো সাজেশন এবং বইগুলো দিয়ে।
এরপররের টাতে আয়,
মা যেন নামাজ পড়ে। ওভাবে না, যেভাবে বাবুর কষ্ট হবে। আল্লাহ কিন্তু শুয়ে নামাজও মেনে নেন। বাবু সময়ানুবর্তী, নিয়মানুবর্তী এবং ধার্মিক হবে।
অর্থ সহ যেন কুরআন শরীফ পড়ে। কুরআন শরীফের সঠিক বাংলা মাত্র একটা আছে, কানযুল ঈমান। তাও আবার অডিও নাই। আমরা কুরআনের সঠিক অডিও বানাচ্ছি, আরো এক বছর লাগবে। যাই হোক, অন্যগুলো পড়লে ইমান চলে যাবে, সংক্ষেপে শুধু এ বিশ্বাস রাখ। সত্যি যাবে। কারণ কিছুই বুঝবে না কুরআনের। কানযুল ঈমান পেলে তো ভাল। না পেলে কী আর করা, ড. তাহির উল ক্বাদরীর আল কুরআন অথবা ইরফান উল কুরআন অডিও এমপিথ্রি ডাউনলোড করে নে।
লিঙ্ক দিব।
উর্দু-হিন্দি তো আমরা সবাই বুঝি। ঠেলার কাজ চলে যাবে।
অর্থ সহ কুরআন শুনলে বা পড়লে মায়ের চেতনার সাথে সাথে বাবুর চেতনা শাণিত হবে। মা অর্থ বুঝবে এবং সন্তানও সেই অর্থ ধারণ করবে। এবং অনেক অনেক এগিয়ে থাকবে ধর্মের পথে। গাউসে পাক রা. সম্পর্কে প্রচলিত কথা, মায়ের গর্ভেই আঠারো পারা কুরআন হিফজ করেছেন, একেবারে অমূলক নয়।
মিউজিক শুনলে স্থিরকারক মিউজিক শুনতে হবে, অস্থিরকারক নয়।
স্টেডিয়ামে ম্যাচ হচ্ছে টাইপের পরিস্থিতিতে টিভি দেখা যাবে না। সাইলেন্ট করেও না। ভায়োলেন্ট মুভি/ক্লিপ দেখা যাবে না। অকারণে অস্থির করে, এমন মানুষকে কৌশলে আগামী দুই তিন মাস পুরোপুরি এড়াতে হবে।
কাজকর্ম, ঘুম, মুভ করা, খাওয়াদাওয়া- এইসবই ডক্টর যেভাবে বলে সেভাবে।
আর বিশ্বাস কর তোরা, কী যে সুন্দর বেবি আসছে, তোরা সিম্পলি কল্পনাও করতে পারছিস না। বিশ্বাস রাখ।
ফিডব্যাক জানাস।
আল্লাহ হাফেজ।
অডিও/অটোসাজেশন-
হাজারো ৪-
Click This Link
হাজারো ৩-
Click This Link
হাজারো ২-
Click This Link
হাজারো ১-
Click This Link
আত্মজাগরণ-
Click This Link
জীবন কণিকা-
Click This Link
আসুন প্রার্থণা করি-
Click This Link
হে মানুষ, শোনো-
Click This Link
কুরআনের মর্মবাণী-
(এইটা সরল বিষয়, এটা শোনাতে পারিস)
Click This Link
কণিকা/অতি ক্ষুদ্র কার্ড-বই (বেছে কিছু দিচ্ছি)-
১. Click This Link ২. Click This Link ৩. Click This Link ৪. Click This Link ৫. Click This Link ৬. Click This Link ৭. Click This Link ৮. Click This Link ৯. Click This Link ১০. Click This Link ১১. Click This Link ১২. Click This Link
মেডিটেশন-
শিথিলায়ন লং টা পরপর চল্লিশ দিন করতে পারলে তারপর শর্টটা করার নিয়ম। এ মেডিটেশনটা প্রতিদিনই চলবে। এটা সকল মেডিটেশনের মা। দেহমন শিথিল তো যুদ্ধ জয় হয়ে গেল।
Click This Link
এবার দ্বিতীয় লেভেলের মেডিগুলো। এগুলো নিজের ইচ্ছামত বাই টার্ন করিস তোরা। যেভাবে ভাল হয়। কিন্তু একই দিনে একই মেডিটেশন দুবার নয়। এগুলোতেও লং এবং শর্ট আছে। চেষ্টা করবি লংটাই করতে। উভয়ের সময় কিন্তু একই, আধঘন্টা। শুধু লংটা হল নতুন মেডিওয়ালাদের জন্য।
সুখী জীবন
Click This Link
সুখী পরিবার
Click This Link
সুসম্পর্ক
Click This Link
আনন্দ
Click This Link
মনছবি
Click This Link
শত অটোসাজেশনের মেডিটেশন
Click This Link
ইরফান উল কুরআন-
(এই লিঙ্কে ইংরেজি হিন্দি উর্দু এমপিথ্রি এএমআর পিডিএফ এক্সেল সব ফর্মেটেই আছে)
Click This Link
এর মধ্যে যেটা যেভাবে ভাল লাগে করবি, কোনটা ভারি বোধ হলে ছেঁটে দিবি। আর মেডিটেশন একই সময়ে বসা ভাল। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে। ব্রেন-বডি-মাইন্ড সুপার কন্ডিশনিং হয় তাহলে। আর কন্ডিশনিং ই সব।
মেডিটেশনের উপযুক্ত সময় হল ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমানোর আগে। এম্নিতে দুটার বেশি মেডিটেশন করা লাগে না, কিন্তু এটা স্পেশাল অবস্থা, এখন তিনটা হলে আরো ভাল। স্পেশাল অবস্থা শেষে আবার দুটা করেই চলবে। মেডির সময় পোশাক ঢিলাঢালা এবং পরিস্থিতি শান্ত।খাবার আধঘন্টার মধ্যে নয় এবং কোন কাজ পেন্ডিং রেখে নয়।
জানাস। মেথডটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল, সুস্থ এবং সুষ্ঠু কোন মেডিটেশনের পদ্ধতি কিনা। লিংক কাজ না করলে কোয়ান্টামের সাইটে গিয়ে ডাউনলোড সেকশনেই খুব গোছানোভাবে পাবি। প্রতিটা লিঙ্কের উপরের নাম দেখে নামিয়ে নিস- quantummethod.org.bd
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই অনেক ভাল আছি।
একটু বড় হয়ে গেল। আপনি ভাল আছেন আশা করি।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মেডিটেশনের ব্যাপারটা আগেও সাজেস্ট করতে শুনেছি। শুভেচ্ছা রইল হবু বাবা-মাকে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ। ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল তাদের জন্য।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৩
মুদ্দাকির বলেছেন:
আমি খুবই চঞ্চল প্রকৃতির, মেডিটেশনের প্রতি আকর্ষন ছিল, কারন আমার কন্সেন্ত্রেটিং পাওয়ার খুবই কম!! অনেকেই বলেন ব্যাপারটা নাকি অনোইস্লামিক, তাই চেখে দেখা হয় নাই এখনও, মেডিটেশনের সময়টা নামাজে বা কুরয়ানে দেয়াটাই গ্রহন যোগ্য মনে হয় । কুরয়ান আমাকে স্থির রাখে। রাতের নামাজ আমাকে ধির করে। হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর মেডিটেশন বলতে কি হেরা পর্বতে থাকা কালিন সময়কে বুঝিয়েছেন ?? নাকি নবুয়ত পাবার পরেও উনি ধ্যান করতেন ? মেডিটেশন নিয়ে আপনার আরো কোন লেখা থাকলে লিঙ্কটা দিবেন, সার্চ দিলেতো সব পজিটিভ কথাই পাওয়া যায়, ভালো খারাপ মিলিয়ে নিজে জাজ করার কিছু পাই না !!!!!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, আপনার সাথে কথা বলা অন্যরকম। কারণ, আন্তরিকতা স্পর্শ করে। তাই সব সময় একেবারে খোলামনে কথা বলব, ঠিক করেছি।
আপনার কনসেন্ট্রেটিং পাওয়ার কম না। আমাদের সবার ব্রেন সমান, মেধা সমান এবং মানসিক সকল শক্তি সমান। মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হল অতি ক্ষুদ্র অংশ-মানসিক শক্তির।
মেডিটেশন অনৈসলামিক- এই কথাটার দুটা কারণ আছে। এক. ভীতিগত কারণ, দুই. নীতিগত কারণ।
দ্বিতীয় কারণটা নিয়ে কথা বলি, কিছু মেডিটেশন সম্পর্কিত মানুষ, যারা ধর্মনীতিতে শক্তিমান নন, তারা মেডিটেশনে কুফরি বাক্য বলেন। এটা বাস্তব। কিন্তু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে। অতি ক্ষুদ্র। এবং সেই মানুষগুলোর সেই মেডিটেশনেও সমস্যা নেই, যদি আপনি অর্থটাকে ডাইভার্ট করে দেন।
আর ভীতিগত কারণ হল, বিষয়টা সম্পর্কে যারা ভয়ের কথা বলছেন, তারা বিষয়টাকে চেনেন না। একটা সম্পূর্ণ অপরিচিত বিষয়কে মানুষ সব সময় ভয়ের হিসাবে উপস্থাপন করে। যেমন, মুসলিমদের বিজ্ঞানে অগ্রগতিকে ক্রুসেডকালের ইউরোপে প্রচার করা হতো কালো জাদু হিসাবে। এবং মুসলিম বিজ্ঞানীদের উপস্থাপন করা হতো কালো জাদু হিসাবে। ইউরোপে বিধবা নারীরা একটু প্রাইভেসিতে থাকতে চাইতেন, মানসিক এবং শারীরিকভাবে। এই দূরত্বটাকে অনেকে পরিণত করেছে ডাইনি হিসাবে। কিন্তু ওই নারীরা ডাইনি ছিলেন না। মানুষ যা সম্পর্কে ভালভাবে জানে না, সেটাকেই ভয়ানক হিসাবে উপস্থাপন করে এসেছে, করে আসবে।
মেডিটেশন আমাদের করতেই হবে, এমন কোন কথা নেই। কিন্তু ধ্যান না করলে জীবনের একটা পর্যায় গোপন থেকে যাবে, আমৃততু, এটা শতভাগ সত্যি কথা।
নামাজ স্বয়ং উচ্চতম স্তরের মেডিটেশন। তাই, নামাজকে উপলব্ধি আরো ভালভাবে করতে হলে মেডিটেশন করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নামাজের যে গভীর রহস্য টের পেয়েছি এবং নামাজের ভিতরে যে অকল্পনীয় উচ্চতায় পৌছানোর অনুভূতি পেয়েছি এবং প্রতিটা সিজদাতে যে গভীর সমর্পণ পেয়েছি, সেটার প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড ছিল মেডিটেশন।
মেডিটেশন করে আমি বহুদিন বলেছি, মানুষ এইসব কী নামাজ পড়ে।
মেডিটেশন করতে থাকা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করে যে মজা পেয়েছি এবং যে গভীরতা পেয়েছি এবং আল্লাহর সাথে যে স্তরের যোগাযোগ হয়েছে, সেটা কোনদিন কল্পনাতেও ছিল না। যা মানুষ কল্পনা করার সাহস পায় না, তা চলে আসা কতবড় প্রাপ্তি হতে পারে।
রাতের নামাজের মজা যে আপনি পান, সেটার ফয়েজ ও বরকত যে আপনি পান, আপনার কথাতেই তার প্রমাণ।
হ্যা। হেরাতে থাকাকালীন সময়। নবুয়্যত পাবার পরও উনি ধ্যান করতেন, এই কথার একটা চমৎকার প্রমাণ রয়েছে এভাবে, মহান মাতা সিদ্দিকা রাদ্বিআল্লাহু আনহাকে বলছেন, 'রাতের একটা বিশেষ সময়ে আল্লাহর সাথে আমার একটা সান্নিধ্য রয়েছে যে সময়ে তোমাদের কারো প্রবেশাধিকার নেই।'
সেটা এই সালাত এবং এরও বেশি কিছু।
আর ভাই ভাল খারাপ মিলিয়ে জাজ করার বিষয়টা, বিশ্বাস রাখতে পারেন। ক্ষতি হবে, তা ধর্ম দিক দিয়ে হোক বা নৈতিক, তা তো চাওয়ার সুযোগই নেই। নিশ্চিন্তে ধ্যান করতে পারেন।
ভাই এটা আমার ফেসবুক- https://www.facebook.com/golamdastagir.lisani
ভাই এই পোস্টগুলোর সবই ধ্যান বিষয়ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত,
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩২
দি সুফি বলেছেন: যথারীতি অসাধরন লেখনী। একটু বড়, তবে অবশ্য দরকারি। ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। প্রিয়তে রেখে দিলাম
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পাশে পেলে অনেক ভাললাগে। আশা করি সামনের এগুনোটা অনেক অনেক বেশি সুন্দর হবে।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মেডিটেশন ব্যাপারটা মনে হয় ভালোই । আর মা-বাবার চিন্তাধারা সন্তানের মাঝে প্রবাহিত হবার ব্যাপারটা বিজ্ঞান সম্মত ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরো ভাললাগবে ভাই। সময় করে যদি একটু বসেন। ভাবনা প্রবাহিত হওয়া তো অবশ্যই বিজ্ঞান সম্মত। আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৭
অন্তরন্তর বলেছেন:
নাইস পোস্ট শ্রদ্ধেয় লিসানি ভাই। অনেকদিন পর দেখলাম
আপনাকে। আমারও খুব কম আসা হচ্ছে ব্লগে। আপনাকে দেখে
অনেক ভাল লাগল। পোস্ট প্রিয়তে।
শুভ কামনা।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনি কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভাল। আপনার জন্যও অজস্র শুভকামনা। ব্লগে আমিও একেবারে কমিয়ে দিয়েছি। পোস্ট তো দিচ্ছি না, কিছুদিনের জন্য। একেবারে ছেড়ে যাবেন না কিন্তু ভাই, এখানেই সবচে বেশি তৃ্প্তি। ফেসবুকে পাই না। আড্ডাতেও না।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৫
নিয়েল হিমু বলেছেন: উর্দু (!) হিন্দি কোরান ব্যপারটা.....
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমরা আসলে আটকা। উর্দু শুনতে গেলে খারাপ লাগে। আবার উপায়ও থাকে না। বাংলায় বই বেরিয়ে গেছে, অডিও বেরোয়নি। কারণ এই ক্ষেত্রের সবচে দক্ষ আলিমরা ভারতীয়। তাদের ভাষা মাধ্যমও ফার্সি-উর্দু-হিন্দি। এেদেশের প্রকৃত আলিমদের তো আরবি-ফার্সি-উর্দু জানা থাকে। তারা ওয়াজ করে সময় পান না, আর বাংলা ভাষা জানা থাকলেও শিক্ষার মাধ্যম হলেও সেটা ঠিক সাহিত্যমান আকারে লিখতে জানেন না।
এখন পর্যন্ত আটকা।
ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। সারা বাংলাদেশেই চলছে উর্দু-ফার্সি মুক্তির বিষয়টা ধর্মীয় বইয়ের ক্ষেত্রে।
এইতো, আর বছরখানেকের মধ্যে আমাদের হাত দিয়ে কুরআনের অডিও চলে আসবে। তার দুই বছরের মধ্যে আসবে হাদিসেরও অডিও। কষ্ট করছি ভাই। আমাদের করতে হবে, কে এগিয়ে আসবে বলেন!
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
মুদ্দাকির বলেছেন: আমি ফেস বুকে(এখন মৃত) নাই, তা না হলে অনেক আগেই আপনাকে খুজে বের করতাম। লিঙ্ক গুলো দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। সময় নিয়ে পড়ব ইনশাল্লাহ।
" আমাদের সবার ব্রেন সমান, মেধা সমান এবং মানসিক সকল শক্তি সমান। " এই টুকুতে আমার দ্বিমত আছে।
মন্তব্যের উত্তর পড়ে অলরেডি আমি মেডিটেশনের প্রতি আরো আকর্ষন বোধ করছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সবার মেধা ও মানসিক শক্তি:
হ্যা, সমান না তখনি, যখন ড্যামেজড থাকবে। সেটা ব্যতিক্রমী।
ভুল হলে একটু শুধরে দেবেন, আপনি শুধরে দিলে আমার জ্ঞান বাড়বে, সেটা অনেক বড় উপকার।
আমাদের মস্তিষ্ক, মেধা ও মানসিক শক্তি নির্ভর করে তিনটা/চারটা ফ্যাক্টরের উপর। ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও উপলব্ধি থেকে বলছি-
১. জিন। পিতা-মাতা ও তাদের পূর্বপুরুষের উপর ভিত্তি করে কিছুটা হেরফের হয়ই।
২. ডেভলপিং স্টেজের খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও চর্চা। গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহ থেকে একেবারে জন্মের পর ৫ বছর।
৩. নিউরাল কন্ডিশনিং। ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল। খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও মানসিক চাপ এর কন্ডিশনিং। তৃতীয়টার উদাহরণ এমন, হাড়ে মৃদু মৃদু ব্যথা পেলে হাড় প্রণোদনা পায় এবং শক্ত হতে থাকে। তেমনি মানসিক শক্তিগুলো। মেধা ও মনোযোগ।
আর চতুর্থ এবং সবচে বড় ফ্যাক্টরটা হল, দেহ-তরল।
নিউরোট্রান্সমিটার সেরেটোনিনের মাত্রার উপর আনন্দ নির্ভর করছে, হরমোন টেস্টাস্টেরনের সাহস ও শারীরিক শক্তি নির্ভর করছে।
ধ্যান যেটা করে, দেহ তরলের উৎপাদন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের পেশী একটা অ্যাসিডিক তরলের সিক্রেশনের কারণে অসাড় হয় না? নামটা মনে নেই। সেটা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হয় ধ্যানে। বা আমার কাজিন এবং ক্লোজেস্ট এক ফ্রেন্ডকে দেখেছি ধ্যান শেখার দ্বিতীয়দিনে এন্টাসিড ছেড়েছে। আজ চার বছর, সে এন্টাসিড খায়নি। কারণ, তার পেপটিক জুস নির্গমণ হয় না পেটে খাদ্য না পড়লে। এটা তার আদেশের অধীনতায় চলে এসেছে সেই ধ্যান শেখার দ্বিতীয়দিনেই। আগে সারা সপ্তাহ খেতে হত কমবেশি, পাঁচ বছর ধরে।
সবার মেধা এবং মানসিক শক্তি সমান যখন আমরা প্রণোদনা দিয়ে ব্যারিয়ারটা ভাঙতে পারব। আমিতো এক সময় নিজেকে খুব মেধাবী মনে করতাম এবং অমনোযোগী। এখন মনে করি, আমি আর সবার মত মেধাবী এবং যথেষ্ট মনোযোগী। এবং এই বিশ্বাসটা বাস্তবে প্রয়োগ হতে দেখেছি।
আপনি সব সময় কাইন্ডলি জানাবেন, কারণ অনেক কথাই উপলব্ধি থেকে বলি। সেটার মেডিক্যাল সম্ভাব্যতায় এদিক সেদিক হয়ে যেতে পারে।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্টারেস্টিং কিছু তথ্য জানলাম। বিশেষ করে জার্মান রাশিয়ার ব্যাপারটা দারুণ লাগলো। চমৎকার পোস্ট।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি অনেক ভাল আছেন হামাভাই। লিটল হামা আর ভাবীও।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সেই শুরু থেকে আপনার সঙ্গ পেয়েছি, অন্যরকম একটা মানুষ।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
মুদ্দাকির বলেছেন: বিশ্বাস করি যে মানুষের উইল পাওয়ার অসাধারন অনেক কিছু করতে এবং করাতে পারে!! কিন্তু সত্যি যদি ধ্যান দ্বারা বডি ফ্লুইডের কম্পজিসন কনট্রোল করা যায় তবে তা এক অসাধারন ব্যাপার!! জানি আপনি হয়ত খুব সাধারন ভাবে বুঝবার জন্য একটা উদাহরন দিয়েছেন গ্যাস্ট্রিক জুস সিক্রেশনের কথা বলে, তবুয় বলি হ্যা এটা খুবই কন্ট্রলেবল একটা ব্যাপার, এই ব্যাপারে মেডিটেশনের সফলতা আমাকে অবাক করে না!!
আর আপনি যে ফ্যাক্টর গুলোর কথা বললেন সেগুলো কোনটাই কন্ট্রোলেবল না বা বলতে পারেন প্রায় অসম্ভব।
আর মেধা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা শুধুই আল্লাহের দান। কোন কিছুর উপরেই তা নির্ভর করে বলে আমার মনে হয় না!!!!
তবে হ্যাঁ মনোযোগ আপনার জ্ঞানের ব্যাবহার আর শরীরের ব্যাবহার কে এমপ্লিফাই করতে পারে অনেক অনেক গুন।
আমি আসলে ধ্যান জিনিশটা কি সে সাথে একেবারেই পরিচিত নই। আমার কাছে মনযোগের উদাহরন হচ্ছে যখন খেলাধুলার সময় আর দুনিয়ার কোন কিছুই খেয়াল থাকত না, পরীক্ষার ৩ ঘন্টা সময় আমি যখন আস্তে আস্তে প্রায় বধির হয়ে যাই চার পাশে কে কি কোথায় কোন খেয়ালই যখন আমার থাকে না, বিজ্ঞান পড়ার সময় যখন হিতাহিত জ্ঞান আমার আর থাকে না........................ এগুলই আমার হাইয়েষ্ট মনযোগ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খেলাধুলার সময় কোনদিকে খেয়াল না থাকা অথবা বিজ্ঞান পড়ার সময় বিভোর হওয়া- এইটাইতো চূড়ান্ত মনোযোগ, যা চর্চার মাধ্যমে অভ্যাসে এবং নিয়ন্ত্রণে পরিণত করা যায়।
মেধা তো আগে থেকে তাঁর পক্ষ থেকে দান করা আছেই। প্রজ্ঞা ও জ্ঞান আল্লাহর দান। আর সেইক্ষেত্রে বান্দার বিজ্ঞানসম্মত প্রচেষ্টার বিষয়ও জড়িত।
গ্যাস্ট্রিকের সহজ-নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা শুনে ভাল লাগল ভাই।
আর অন্য বিষয়গুলো প্রায়-অসম্ভব, এটাও বাস্তব।
এই প্রায়-অসম্ভব বিষয়টাই পুরনো নিয়মিত ধ্যানীরা ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে সম্ভাবত্যতার দরজায় নিয়ে যাচ্ছেন।
এরকম অনেকগুলো বিষয় চোখে এসেছে, আমি কিছু একত্রিত করে আবার পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
বলাকাবিহঙ্গ বলেছেন: .....Salam , you have allways very good post, as like Long discus- Meditation is very good- it is Special kinds of "Therapy" for Special peoples!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সালাম ভাই। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মেডিটেশন কখনো থেরাপি তো কখনো দৈনিক পথ্য।
ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর।
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট , অতি দরকারি একটা বিষয় কে খুব সুন্দর সহজ ভাবে উপস্থাপন করেছেন । যা আমাকে ১১/১২ বছর আগে ফিরিয়ে নিয়ে গেল । কিছুটা ব্যথিত হলাম আমরা না বুঝে জীবনে অনেক ভুল করে ফেলি । আমার প্রথম বেবি হউয়ার সময় একটা জুইশ হসপিটালে ছিলাম , সেখানে থেকে আমাকে বেবি কেয়ারিং এর জন্য কিছু টিপস আর একটা ক্লাসিকাল মিউজিকের সিডি দেয়া হয় । বেবি কে ঘুমানোর সময় চালিয়ে দিতে brain stimulation এর জন্য । নতুন মা হউয়ায় আগ্রহ নিয়ে সবকিছুই করেছি কিন্তু মেথড ঠিক থাকলেও প্রোডাক্ট টা ভুল ছিলো । যেটা খুব সহজে বাচ্চার মধ্যে স্তাব্লিশ করতে পারতাম তা সময় সাপেক্ষে কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে । যদিও দ্বিতীয় বার আর এই ভুল করি নি ।
Al-Quran =The Book of Timeless Guidance
এই কথাটা আমরা সবাই জানি কিন্তু মানার ব্যাপারে অনেক পিছিয়ে এখনও , আশা করি আমাদের সব অন্ধকার দূর হবে
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপু, তিনবার পড়ার পর মন্তব্যটা স্পষ্ট হল।
আপনি খোলামনে আলাপ করবেন প্লিজ। অস্বস্তি নয়।
পৃথিবীতে সবাই ধ্যান ও ধ্যানানুষঙ্গ অবলম্বন করে। জুইশদেরও নিজস্ব ধ্যান পদ্ধতি আছে। মনের উপর প্রভাব ফেলার পদ্ধতি আছে। মনোবিকাশের।
সেগুলো অবলম্বন করা খুবই ঝুকিপূর্ণ। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। কারণ তারা মূলত সাবলিমিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করে।
অবশ্য সেই হিসাবে হলিউডি সিনেমা এবং বাচ্চাদের কার্টুন দেখাও ভয়ানক ঝুকিপূর্ণ, কিন্তু আমরা নিজেদের বিরত করতে পারছি কৈ!
একটা বিষয় কিন্তু খেয়াল করতে হবে, কুরআন চূড়ান্ত, তাই বলে আমরা একটা সাহিত্যের বইকে কি ছুড়ে ফেলব? সেটা হবে বোকামি। বা সাহিত্যের বইকে কুরআনের সাথে তুলনা করব? সেটা হবে চরম পরম বোকামি।
আল্লাহ আমার রব, তাই বলে আমি কি আমার জন্মদাতা পিতার কাছে বাল্যকালে চকলেট চাইতে পারি না?
তেমনি, কুরআন চূড়ান্ত কল্যাণ, তাই বলে আমরা কি মেডিক্যাল সায়েন্স পড়া অথবা মনোবিজ্ঞান পড়া অথবা বিবিএ পড়া বা কম্পিউটার সায়েণ্স পড়া বন্ধ রেখে বলব, যে কুরআনেই এটা আছে, সুতরাং সেইসব বই পড়ার দরকার নেই?
অবশ্যই কুরআনে আছে, কিন্তু রূপকার্থে।
কুরআনকে ঠিকমত বুঝতে হলে কিন্তু আমাকে ইতিহাসের জ্ঞান রাখতে হবে, অঙ্গসংস্থাপনবিদ্যার জ্ঞান রাখতে হবে, আরবি ভাষার জ্ঞান রাখতে হবে, নিজ ভাষায় সেটা বোঝার জন্য নিজ ভাষার জ্ঞানও রাখতে হবে, মহাকাশবিদ্যার জ্ঞান, সাহিত্যের জ্ঞান, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের জ্ঞান, মনোবিজ্ঞানের জ্ঞান রাখতে হবে।
তেমনি, কুরআনকে ঠিকমত বুঝতে হবে আমাকে ধ্যানবিদ্যার জ্ঞান, চর্চা ও প্রয়োগ অবশ্যই রাখতে হবে।
তা নাহলে 'ওয়াল ক্বুরআনুল হাকীম'- প্রজ্ঞাময় কুরআন এর প্রজ্ঞার ফল্গুধারা আমার উপর অপ্রকাশিত থেকে যাবে।
১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রিয় তে নেয়া যাচ্ছে না কেন !!??
কোয়ানটম ম্যাথড নিয়ে আমার কিছু কথা বলার ছিলো , কিন্তু সঠিক যুক্তি স্থাপন না করলে কথার কোন ভ্যালু থাকবেনা তাই এরিয়ে গিয়েছিলাম , যাইহোক সুরা ফাতিহা আর ইখলাস ভালো বুঝতে পারলে ই আমার মনে হয় এই জাতিয় চকচকে র্যপিং এর ভ্রান্ত পথ গুলো আমাদের কাছে চেনা সহজ হয়ে যাবে ।
শুভকামনা
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: টেকনিক্যাল এরর হতে পারে।
কোয়ান্টাম মেথড আমার কাছে মেথড হিসাবে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, মানবসেবার জন্য একটা সংগঠন হিসাবে তারচে অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মেথড হিসাবে কোয়ান্টাম মেথডকে আমি আর সব প্রচলিত আধুনিক মেথডের পাশাপাশিই রাখব। এর বেশি খুব একটা কিছু না।
আমিতো আপু ধ্যান/তাফাক্কুর/গভীর একমুখী মনোযোগে নির্জনতায় চিন্তাভাবনাকে সূরা ফাতিহা আর সূরা ইখলাসের গভীরে যাবার একমাত্র পথ হিসাবে পাচ্ছি। আপনি প্লিজ প্রসিড।
১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫১
নিয়েল হিমু বলেছেন: বিষয়টা জেনে ভাল লাগল । কিন্তু আমি বুঝতে চেয়েছিলাম উর্দু ভায়ায় কি অর্থর কথা বলতেছেন ?
বাংলা অর্থ এবং উচ্চারণ সহ কোরানশরিফ তো বের হয়েছে অনেক আগেই (আপনিও বল্লেন)
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে যার কাছে চিঠিটা পাঠিয়েছিলাম, ও বাংলাদেশে নেই। আর অডিও যা বের হয়েছে তার সবই অশুদ্ধ। বিষয়টা অনেকটা এরকম, ৮৫-৯০ ভাগ শুদ্ধ। কিন্তু কুরআনের বেলায় তো তা চলবে না। লেখার অনুবাদ শুদ্ধ বই আছে।
হ্যা, অর্থ। ঠেকার কাজ চালানো আরকী।
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
মুদ্দাকির বলেছেন: আপনার এই বিষয়ে আরো পোষ্টের অপেক্ষায় থাকব !!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর আমি আপনার সাথে আলাপের!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
বড় পোষ্ট :/
পরে আবার এসে পড়ে যাবো।
আপনি কেমন আছেন?