নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
কালকে প্রথম আলোতে দেখলাম, হাজার হাজার কমেন্টার আলহামদুলিল্লাহ লিখছেন। কিন্তু তারা যেন ধরেই নিয়েছেন, আল্লাহু আকবর হল জামাতের পৈতৃক সম্পত্তি। তাই আর যাই হোক, আল্লাহু আকবর বলা যাবে না।
অথচ তাঁরা মুসলিম। মুসলিম না হলে আলহামদুলিল্লাহ বলতেন না।
রাসূল দ. বলেছেন, সবচে প্রিয় উচ্চারণ (যিকর) হল, সুবহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবর।
তিনি বলেছেন, তোমরা কখনো কারো মৃততুতে আলহামদুলিল্লাহ বলো না।
তিনি আরো বলেছেন, যে কোন ন্যায়নির্ভর সত্য সাহসী কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহু আকবর বলো।
আর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধরেই নিয়েছেন, জয় বাংলা হল আওয়ামীলীগের বাণী। জয় বাংলা আওয়ামীলীগের বাণী হতে পারে, কারণ তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান শক্তি। কিন্তু জয় বাংলা তো সাধারণ মানুষের বাণী। একাত্তরে এই একটা বাণী সবার মুখে মুখে ছিল। জয় বাংলা বাণীকে ভোলা একাত্তর থেকে সরে আসার নামান্তর। জয় বাংলা বাঙালির স্লোগান, এই স্লোগান ভুললে নিজের অস্তিত্বকে ভোলা হয়ে যায়।
সারা পৃথিবীর টাকার পা চাটা, লবিঙের পা চাটা, পাকি-সৌদি-ব্রিটিশ-আমেরিকান-ইজরায়েলি বলয়ের পা চাটা মিডিয়া রগরগে বর্ণনা দিয়ে গেছে দিনের পর দিনের পর দিন, বাংলাদেশে মুসলিম নেতার ফাঁসি হচ্ছে। তারা একবারো বলেনি, এই 'মুসলিম নেতা' একাত্তরে কী করেছিল। এই 'মুসলিম নেতা'র দল সাংগঠনিকভাবে, গাঠনিকভাবে, সর্বত্র কী কী করেছিল। এই দেশের মানুষ দশে নয়জন ধর্মভীরু মুসলিম, তারা বলেনি। এই দেশের সাথে একাত্তরে এই 'মুসলিম নেতা' যে গণধর্ষণের অন্যতম হোতা ছিল, সেই ধর্ষণের সবাই নারী, সবাই মানুষ, তাদের তিনে অন্তত দুইজন মুসলিম, এটা ওই লবিং গ্রুপ বলেনি। ত্রিশ লাখ শহীদের ত্রিশলাখই যে নিরস্ত্র অসহায় মানুষ, আর অন্তত বিশ লাখই যে মুসলিম, সেটা তারা বলেনি।
আমরা একাত্তরে দেশটাকে স্বাধীন পাবার সময় এই লবিস্ট-রিপোর্টার পাওয়ার আমাদের সাথে ছিল না। তাও আমরা মরতে মরতে নিজেদের রক্ষা করেছি। আল্লাহ নির্যাতিতের সহায় ছিলেন। আমাদের স্বীকৃতি দিতে সৌদি আরবের বছরের পর বছর লেগে গেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ১২ বছর পর্যন্ত এই পিশাচরা, তাদের গুরু গোলাম আযম 'বাংলাদেশ না মঞ্জুর' আন্দোলন করেছে এই সৌদি আরব, এই পাকিস্তান, এই আমেরিকা আর এই ব্রিটেনেরই বুকে। এই চারটা দেশই আমাদরে স্বীকৃতি দিতে লম্বা সময় লাগিয়েছে। তাতে আমাদের বাঁধেনি। আমরা স্বাধীন ছিলাম। এই দেশগুলোর প্রচারযন্ত্র, এই দেশগুলোর মন্ত্রী-আমলা-প্রতিনিধি কুসীদজীবীরা প্রতিদিন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তোলপাড় করে ফেলেছে। আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এখনো পিছপা হইনি। আমরা গুলি করে মেরে ফেলিনি। আমরা ধরে ছিঁড়ে ফেলিনি।
আমরা কাদের মোল্লার লাশ নিয়ে সমুদ্রে ফেলে দিব, তার লাশ নিয়ে কুকুর
দিয়ে খাওয়াব... পারিনি। সে যেমন টুকরা টুকরা করেছিল কবি মেহেরুন্নিসার লাশ, কলম দিয়ে দেশের কথা লেখা এক মা, এক গৃহিণীর লাশ এর টুকরো নিয়ে মিরপুরের মুকুল ফৌজ মাঠে পিশাচের বাচ্চারা যেভাবে ফুটবল খেলেছিল আমরা কিন্তু তা পারি না। কারণ আমরা মানুষ, আমরা বাঙালি, আমরা অনেকেই মুসলিমও।
রাসূল দ. বলেন, লাশকে সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াও। যদিবা তা কোন কাফির বা ইহুদিরও লাশ হয়।
আমরা বাঙালিরা সর্বত্র মহত্ত্বের চিহ্ন রেখেছি। আমরা পিশাচকে শেষ করেছি, তার লাশকে পাহারা দিয়ে সসম্মানে যেখানে ইচ্ছা দাফন করার অনুমতি দিয়েছি।
এইখানেই বাঙালির সাথে পিশাচের তফাত। এই কাদের মোল্লা পিশাচেরা মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানি ক্যাম্পের মাঠে দিন-রাত জবাই করত। জবাই করে লাশ ফেলে রাখত। পুড়িয়ে দিত। লটকে দিত গাছে। মরা লাশ উলঙ্গ করে ফেলে রাখত। এই পিশাচেরা একটা লাশকেও সম্মান জানায় নাই। তাই কালকে যে চোদ্দ ডিসেম্বর আসছে, সেই চোদ্দ ডিসেম্বর তারা বাংলাদেশের সত্যিকার চালিকাশক্তি বুদ্ধিজীবীদের দাফন না করে ফেলে রেখেছিল। দাফন না করে, বিন্দুমাত্র সম্মান না দিয়ে হাজার হাজার লাশ গণ-মাটিচাপা দিয়েছিল বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায়, হানাদারের তৈরি প্রত্যেকটা গণকবরে।
বাংলাদেশের নদীগুলো হয়ে উঠেছিল গণ-ভাগাড়! আমার মা বুড়িগঙ্গা দিয়ে নৌকায় যেতে পারেননি। দুর্গন্ধ। মাঝি নৌকা চালাতে পারে না, একের পর এক লাশের গায় বৈঠা লেগে যায়।
এই রাজাকার আলবদর আল শামস জামাত শিবিররা আমাদের মেয়েদেরকে ধর্ষণের পর প্রকাশ্য রাস্তায় ল্যাম্প পোস্টেই উলঙ্গ বেঁধে রেখে মেরে ফেলত। এবং সেই লাশের প্রতিও তাদের বিন্দুমাত্র সম্মান ছিল না।
এখনো তারা মুক্তিযোদ্ধাকে হাত বেঁধে পুড়িয়ে মারার পর ধানক্ষেতে ফেলে রাখে কাদার মধ্যে। এখনো তারা সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে কুপিয়ে ধীরে ধীরে হত্যা করে। এখনো বর্বর চেঙ্গিস খানের রাশিয়ান রোলেটের লটারির মত করে মানুষ হত্যা করে। গাড়িতে আগুন দেয়। যে বাঁচে বাঁচে, যে মরে তো মরে।
বাঙালি বিজয়ী সর্বত্র। সব নীতি, নৈতিকতায় আজ বাঙালির বিজয়। কাদের মোল্লা, তোর জন্য কবর পর্যন্ত দিয়েছি আমরা। আমরা প্রতিপক্ষ ইরাকীর মত সাদ্দামের লাশের মত তোকে ছিন্নভিন্ন করিনি। আমরা প্রতিপক্ষর দ্বারা লিবিয়ায় নিহত গাদ্দাফির মত লাশকে লাথাতে দিইনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদি নিধনের হোতা যারা, সেইসব যুদ্ধাপরাধী নাৎসির বুড়ো লাশকে দেশের পর দেশ নিতে চায়নি। ওইসব তালতাল পাপ অনেক দেশ রিফিউজ করে দিয়েছে। ওসামা বিন লাদেনকে দেয়ার মত এক টুকরো জমিন পুরো পৃথিবীতে ছিল না। 'সভ্য' আমেরিকা সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। অথচ বাংলার পবিত্র মাটিতে তোকে জায়গা দিতে আমাদের কার্পণ্য হয়নি।
লাশকে লাথিয়েছিস তোরা। মরা লাশে পৈশাচিক আনন্দে বেয়নেট চালিয়েছিস তোরা। আমরা পাহারা দিয়ে তোকে কবর পর্যন্ত পৌছে দিয়েছি। আমরা জেলখানায় তোকে রাজার হালে রেখেছি। আমরা তোর জন্য জেলখানায় ফ্রিজ পর্যন্ত পৌছে দিয়েছি।
কাদের মোল্লার সাত জনমের ভাগ্য, তার বিচার বাংলাদেশে হয়েছিল। এই বিচার যদি পাকিস্তানেও হত, তার লাশের অণু-পরমাণুও খুঁজে পাওয়া যেত না। যাদের হাতে লক্ষ মানুষের রক্ত, তাদের মৃততুর সময় একটা ফোঁটা রক্তও বেরোয় না, গোসলের সুযোগ দেয়া হয়, তওবার সুযোগ দেয়া হয়, মরার আগে পরিবারের সবার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় দুই দুইবার, যেখানে ওরা স্বামীর সামনে অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছিল, পরিবার তো দূরে কথা, এক ফোঁটা পানিও খাওয়ায়নি, সেখানে আমরা তাকে দুই দুইবার পেট ভরে খাইয়েছি।
বাঙালি মহানের জাতি। বাঙালি চির উন্নত শির। এই সভ্যতার জন্যই বাঙালি উন্নতি করবে। বাংলাদেশ সাত মহাদেশে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। বাঙালি যেন নিজেরটা না ভোলে, জয় বাংলা বাঙালির, আল্লাহু আকবর বাঙালি মুসলিমের, লাশ হওয়ার আগে ও পরে লাশের প্রতি মানবিক সম্মান ও সংরক্ষণের অকল্পনীয় নজিরও বাঙালির।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিজেদের নিয়ে গর্বই হচ্ছে। রাজনীতির ঘোরপ্যাচ আমাদের আর পিছিয়ে রাখতে পারবে না। বাঁধ ভেঙে যাবার পর জলস্রোত আর আটকে রাখা যায় না।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: বাঙালি মহানের জাতি। বাঙালি চির উন্নত শির।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আত্মপরিচয় সকল উন্নয়নের মূল। আত্মপরিচয় সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শুরু। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
নিয়ানডার্থাল বলেছেন: স্যালুট ...
বোঝা যাচ্ছে অনেক দরদ দিয়ে লিখেছেন।
আমার বাবা আমার ছোটোবেলা থেকে বলে আসছেন ।
"বাংলার মাটি দূর্জয় ঘাঁটি ,
বুঝে নিক দুর্বৃত্ত " ।।
.... আসলেই বুঝেছে এবং আরো বুঝবে দুর্বৃত্তরা ।
আবারো ধন্যবাদ ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও কৃতজ্ঞতা ভাই।
নিজেকে নোংরা লাগে। ইচ্ছা করে এসব লিখব না। এসব লিখব না। কিন্তু সব নোংরা নিয়ে লিখলেই গা অপবিত্র হয় না।
কিছু নোংরা নিয়ে লিখলে গা পবিত্র হয়ে যায়।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আনেক ভালো লাগল লেখাটা পড়ে। +++
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল ভাই। আমরা আমাদের দেশের কথা বলি না, তারা সারা বিশ্বে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনাকে আমি পছন্দ করি। যদিও আপনার মত এত বেশী পোষ্ট দিই না। মাঝে মধ্যে শুধু দু'একটি কমেন্ট করি। এই যা।
ইসলামে "সালাম" একটি দোয়া। জানেন, এটা বিশ্বাস করি।
ইসলামের 'সালাম' ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের "নমষ্কার/আদাব/" এসব অনেকটা সার্বজনীন হয়ে গেছে। হিন্দুরাও মুসলিমদের সালাম দেয়, আবার, মুসলিমরাও 'নমষ্কার/আদাব' - এসব দিয়ে সাক্ষাৎকালীন অভিবাদন বিনিময় করে। এমনকি আলহামদুলিল্লাহও বলতে শুনেছি আমি অনেক হিন্দুর মুখে।
আপনার একটি লাইন - "অথচ তাঁরা মুসলিম। মুসলিম না হলে আলহামদুলিল্লাহ বলতেন না। " - খুব একটা শক্তিশালী যুক্তি নয়। আমার মতে। আপনি একমত না-ও হতে পারেন।
এবার আবদুল কাদের মোল্লা প্রসঙ্গ।
আচ্ছা একটা প্রশ্ন। কসাই কাদের আর আবদুল কাদের মোল্লা এক নয়।
ব্যাপক আলোচিত এ ব্যাপারটিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
কতটুকু জানেন?
সতর্ক অনুসন্ধান আমরা কেউ কি করেছি? নিরপেক্ষ/ নৈর্ব্যক্তিক/স্বাধীনভাবে? প্রশ্ন রইলো।
মোল্লার একাডেমিক ও কর্মময় জীবনের যে ফিরিস্তি দেখলাম, তাতে এই লোক কথিত অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে - বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। সব তথ্য দিচ্ছি না। যেহেতু আপনি অনেক বিষয় জানেন, এটা ধরে নিয়ে।
আমরা পার্টিজান (Partisan) মিডিয়া বা অন্ধ-দল-ভক্তিবাদে হারিয়ে যাচ্ছি না তো?
রাজনীতির অন্যান্য প্রসঙ্গ বাদই দিলাম।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সালাম।
প্রথমেই যে কথা তা হল, আমার মধ্যে কোন রাজনৈতিক দলভক্তি নেই। আমি গর্বের সাথে অন্তত একটা কথা বলতে পারি, আমাকে শুধু একজনের দাস করে পাঠানো হয়েছে বিধায় শুধু সেই মহাসত্ত্বারই দাসত্ব করি।
এই দাসত্বের বাইরে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত।
আমার চোখ সম্পূর্ণ খোলা চোখ।
আমার বিবেক সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন বিবেক।
এই জীবনে মৃততুর আগে শুধু এটুকু টিকে থাক, এটাই আমার কামনা।
আওয়ামীলীগ বা কোন দলের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র দলভক্তি নেই, যার যা প্রাপ্য তাকে সেটা দিতে আমার বাঁধে না। আমি সেইসব মানুষের মধ্যে, যারা নির্বাচনের আগে চিন্তায় পড়ে যায়, কাকে ভোট দিবে, বা ভোট আদৌ দিবে কিনা।
এই কারণে মনে করি, আমি একজন প্রকৃত অর্থেই মানুষ।
হ্যা, হতেও পারে যে, অনেকেই প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আলহামদুলিল্লাহ বলেন। কথাটা সম্পূর্ণ যৌক্তিক।
এবার কসাই মোল্লার বিষয়ে আমার সোজা কথা-
সে আসলেই কসাই কাদের কিনা, এটা চাক্ষুষ সাক্ষীদের সমানভাবে জানার সক্ষমতা আমারও রয়েছে। কিন্তু সেজন্য মনোযোগ দেয়া হয়নি। তবে প্রত্যক্ষ চাক্ষুষ দেখার ঠিক আগের পর্যায় যেটা, সেই পর্যায়ে আমিও জানি, কাদের মোল্লা কসাই। মানুষের কসাই। এত এত বেশি বর্ণনা, এত মানুষের জানা আছে তা... শেষ করার মত নয়।
আজকে হয়ত আমার বাবা দেখেননি কাদের মোল্লাকে। কিন্তু আমার বাবা একাত্তরে আমাদের স্থানীয় জামাতের নেতাকে খুন করে দেশ মুক্ত করার দলে ছিলেন।
সেই স্থানীয় জামাতের নেতার ছেলে এখন স্থানীয় জামাতের নেতা!
সেই ছেলে তার বাবার নাম মহামানব পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যে লোক মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে খুন হয়েছিল। যে লোকের দল আমাদের মা বোনদের হালাল করেছিল। যে লোকের ছেলে আজো মুক্তিযোদ্ধা দেখলে তেড়ে মারতে যায়।
আরো কি বলতে হবে!
আমি প্রায় নিশ্চিতভাবেই জানি আপনি জামাতি নন।
একটা বিষয় দেখুন তো, কোনদিন কোন জামাতিকে কখনো কি কোনও মিডিয়াতে দেখেছেন,
* গোলাম আজমকে বাংলাদেশের দালালদের প্রধান হিসাবে স্বীকৃতি দিতে?
* জামাতে ইসলাম যে নয়মাস সবকিছু দেখেও সবকিছু ঘটিয়েছে, এটা স্বীকৃতি দিতে?
* তারা যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও ১২ বছর, মানে ৪ হাজার তিনশো আশি দিন ধরে 'বাংলাদেশ না মঞ্জুর' আন্দোলন করেছে, এটা স্বীকৃতি দিতে?
* ৪৩৮০ দিন বাংলাদেশ না মঞ্জুর আন্দোলন করে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে মরতে বসা মাকে দেখার কথা বলে ভিসা নিয়ে দেশে এসে এই গোলাম আজম জামাতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিল, একথা কি তারা স্বীকার করে?
ভাইরে, কাদেরকে আপনি বিশ্বাস করেন!
মরতে বসা মানুষ খরকুঁটো আকড়ে ধরে।
যে কোনভাবে যে কোন অবলম্বন আঁকড়ে ধরে।
আপনি ভালভাবেই জানেন, তারা কখনোই সত্য কথা বলেনি। তাদের সত্যিটা এত ভয়ানক লজ্জার। এত নীল।
সবার সাথে মন খুলে কথা বলা যায় না। সবাইকে অনেক কথা লেখা যায় না। আপনি পড়বেন, সহমর্মী হবেন, আপনার কথা আলাদা।
আমি যে চিনি অণ্তত ১৫ জন জামাতিকে, যারা আমার কাছে স্বীকার করল, জামাত একাত্তরে এই কাজগুলো করেছে সাংগঠনিকভাবে।
আর জামাত কেমন সংগঠন?
তাদের নেতা যা বলে, তাই তারা করে।
তাদের শেখানো হয়, নেতার কথাই ধর্ম, নেতার কথাই কোরান, নেতার কথাই আইন, নেতার কথা যে বিন্দুমাত্র অমান্য করে, সে 'জামাত' থেকে চু্ত। আর জামাত থেকে চুত ব্যক্তি কতলের যোগ্য। তারা বলে, এটা কোরানের কথা।
এখন মাত্র ১০ জন জামাতি দেখাতে পারবেন, যারা এই দুই হাজার তেরোতে মানুষ পোড়ানো আর মিথ্যাচার দেখে জামাত ছেড়েছে?
না। ছাড়েনি। তারা বরং সেটারই সমর্থক।
তারা জানে, তারা মিথ্যা বলতে বলতে শেষ হয়ে যাচ্ছে একাত্তর বিষয়ে, তবু তারা তা ছাড়বে না।
এখন এই একই গোষ্ঠী একাত্তরে কী করে থাকতে পারে একবার ভাবুন! এই গোষ্ঠীর মানুষজন কী করেছিল একবার ভাবুন!
এই যে পনেরজন মানুষ আমার কাছে স্বীকার করল, তাদের আপনি মিডিয়ায় নিয়ে আসুন, মিথ্যা কথা বলবে। বলবে, জামাত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একাত্তরে যুদ্ধ করেনি। জামাত ১২ বছর বাংলাদেশ না মঞ্জুর আন্দোলন করেনি। বলবে, নিজামি আল বদরের প্রধান ছিল না। মুজাহিদ আল বদরের মূল ছিল না। রাজাকার হত্যা করেনি।
গোয়েবলস বলেছিল,
একটা মিথ্যা একশবার বললে সেটা সত্যি হয়ে যায়।
গোয়েবলসদের মিথ্যা সত্যি হতে পারে, সত্যের সত্য কখনো মিথ্যা হয় না।
আমাদের কানের কাছে এক কোটিবার মন্ত্র পড়ছে জামাত, জামাতের মিডিয়া, জামাতে বিক্রি হওয়া মানুষজন।
এই মন্ত্র থেকে আমরা বাঁচব কিনা, এটাই আমাদের ঈমানী পরীক্ষা।
রাসূল দ. বলেছেন, কিয়ামতের সময় ঈমান রক্ষা করা হাতে জ্বলন্ত আগুন রাখার চেয়ে কঠিন।
তিনি বলেছেন, হুব্বুল ওয়াতান মিনাল ঈমান। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। দেখুন জামাতিদের, আপনি চেনেন, আরো চিনুন জামাতিদের, তারা বলে, দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ নয়!
তারা বলে, এটা বানানো হাদিস!
তারা এ কথা এজন্য বলে, যেন দেশপ্রেম নিয়ে তাদের প্রশ্ন তোলা না যায়।
যারা নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য স্বয়ং মহানবী দ.'র কথা অস্বীকার করে কাফির হয়ে যেতে পারে,
তারা নিজেকে বাঁচানোর জন্য কী মিথ্যা বলতে পারে আর কী পারে না, সেটা জানা আমাদের ঈমান রক্ষা করার মতই কর্তব্য।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: জয় বাংলা, বাংলার জয় ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোটি প্রাণ একসাথে
জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার
এইতো সময়।
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এত কিছুর পরও ভাই শুনতে হয় "বাংলাদেশ হয়েছে বলেই এতো মাতব্বরি " এরা কত বড় পিশাচ !!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই অথেন্টিক লিংকটার অনেক দরকার ছিল।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভাই।
৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: পড়ে খুব ভাল লাগল বস। প্রতিটি পরতে পরতে সত্য ফুটিয়ে তুলেছেন। বলতে দ্বিধা নাই;
সারাবিশ্ব অবাক তাকিয়ে রয়,
জ্বলে, পুড়ে, মরে ছারখার
তবুও মাথা নোয়াবার নয়...
♥ আল্লাহু আকবার ♥
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সাবাশ বাংলাদেশ!
এক ভেড়ার পালে এক সিংহ তার শাবক জন্ম দিয়ে মারা গিয়েছিল।
সিংহশাবক ভেড়া হয়েই বড় হয়। ভেড়ার মত ঘাস খায়।
আমাদের বাঙালিদের অবস্থা তেমনি।
আমরা নিজেদের পরিচয় ভুলে গেছি।
এইবার সেই পরিচয় একটু হলেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা স্বাধীন। কোন সাবেক প্রভুর মন্ত্রী এসে আমাদের বিরত করতে পারেনি।
এবার দেখবেন আমাদের অগ্রগতির গর্জন।
এই ফাঁসি প্রতীকী, মাত্র একটা বিচারে কিছু এসে যায় না। কিন্তু এর ফলে আমাদের ছাতি যেটুকু উচু হল, সেটা প্রকৃত।
৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
HHH বলেছেন: ্জয় বাংলা তো এককালে বাংলার আপাময় জনতার প্রানের স্লোগান ছিল।
কিন্তু সত্য হল যে, খাবার যত ভাল আর দামী আর সুস্বাদুই হোক না কেন, কুকুর যদি সেই খাবারে মুখ দেয় তাহলে সেই খাবার আর খাওয়া যায় না। ফেলে দিতে হয় এবং সেটা পরে কুকুরের খাবারই হয়।
আল্লাহু আকবার সকল মুসলিম জাতির স্লোগান। এটা জামাত দিক আর সৌদি আরব দিক কোন লাভ নাই। জামাত অথবা নাস্তিক কোন গ্রুপেরই কোন ক্ষমতা নাই আমার নবী বা আমার ইসলামিক কোন কিছুকে তারা কলুষিত করে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কুকুর যদি বলেন দেশকে ঠিকমত পরিচালনা করতে না পারা আর দেশকে প্রকৃতভাবে ভালবেসে কাজ করতে না পারাকে,
ওই দুর্নীতিবাজ কুকুর তো সব দলই। একেবারে সব রাজনৈতিক দল।
তাই বলে আমাদের কথা তো আর বৃথা হয় না। আমাদের জয় বাংলা তো আর মিথ্যা হয় না।
আর একাত্তরের সেই সময়ের কোন কিছুকে কুকুর তো বলা যাবে না, শুধু দেশের সাথে গাদ্দারি যারা করেছে, তাদের বলা যাবে।
১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
HHH বলেছেন: আমার কমেন্ট মনে হচ্ছে আপনার মাথার উপর দিয়া গেছে,
বলতে চাচ্ছিলাম, জয় বাংলা স্লগান দলীয়করন হয়ে গেছে। তাই এটা এখন পরিত্যাক্ত
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, আমার কথাও আপনার মাথার উপর দিয়ে গেছে। জয় বাংলা পরিত্যাগ করার আপনি-আমি কে???
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এই কথার উপর। অনেকের ভাল নাই লাগতে পারে। দুনিয়ার সবার অনুভূতির জিম্মা আমরা নিয়ে রাখিনি।
১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
সায়েম মুন বলেছেন: জয় বাংলা!
-----উন্মোচনের একটা লেখা শেয়ার দিলাম।
কাদের মোল্লা নাকি “কসাই কাদের” নয়!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সায়েম ভাই, চ-মৎ-কা-র! থ্যাঙ্কস আ লট।
১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
সোজা কথা বলেছেন: ভুল গুলা সুন্দরভাবে ধরিয়ে দিয়েছেন।ভালো লাগল।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
HHH বলেছেন: ওহ তাহলে শোধদ-বোধ
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শোধবোধ...
১৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
নীল জানালা বলেছেন: সেই আওয়ামিলীগ এখন আর নাই। হাসিনার প্রবল লোভ গিলা খাইসে আওয়ামিলীগরে। এখন আওয়ামিলীগ হৈল আওয়ামিলীগ নামের আরেকটা বিএনপি।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নীতি নৈতিকতার দিক দিয়ে তো আমার চোখে দুটা দল মোটামুটি একই রকম।
পার্থক্য অন্য কিছুতে নাই, পার্থক্য শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বয়ে বেড়ানোতে।
আর আওয়ামীলীগ নিয়ে কথা বলতে ভাল লাগে না ভাই। আমি লীগের মুখপাত্র তো নই!
কৃতজ্ঞ।
১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
পাজল্ড বলেছেন: আল জাজিরা তে সব জামাতি গুলা মিথ্যা ছড়িয়ে যাচ্ছে, ১ ঘন্টা যুদ্ধ চালিয়ে এলাম ওখানে । সময় পেলে আবার যাবো, সম্ভব হলে দু একটা কমেন্ট দিয়ে আসবেন সবাই।
লেখাটা অসাধারণ বললে কম হবে মাস্টার ক্লাস হইছে।ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।@লেখক
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দেশের জন্য কারা কারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তথ্য-লড়াই করছেন এবং করবেন?
আপনাদের তথ্য পাবার পর সমন্বিত ব্যবস্থার চেষ্টা করা হবে।
(আন্তরিক কৃতজ্ঞতা... বলার ভাষা নেই। বাংলার দামাল ছেলে, মা তোমার চোখের দিকে চেয়ে আছেন।)
১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
ইখতামিন বলেছেন:
বাঙালি বিজয়ী সর্বত্র। সব নীতি, নৈতিকতায় আজ বাঙালির বিজয়। কাদের মোল্লা, তোর জন্য কবর পর্যন্ত দিয়েছি আমরা। আমরা প্রতিপক্ষ ইরাকী কর্তৃক সাদ্দামের লাশের মত তোকে ছিন্নভিন্ন করিনি। আমরা প্রতিপক্ষর দ্বারা লিবিয়ায় নিহত গাদ্দাফির মত লাশকে লাথাতে দিইনি।
অসাধারণ লিখেছেন
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমরা ভাল নজির রেখেছি, এটা ভাল লেগেছে উল্টা। বডি মিউটিলেশন আমাদের কাজ হতে পারে না।
১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
বাংলার পোলা বলেছেন: খুব ভালও লাগলো ভাই আপনার লেখাটা। আজকাল মুসলমান আর জামাতিদের মধ্যে পার্থক্য করাই মুশকিল। মানুষ এত কম জানে, আর এত গুজব বিশ্বাস করে!!! সাইদির অয়াজ শুনে তাও কোরান পাঠ শুনবে না!!!
আপনি আরও অনেক লিখুন, ইসলাম নিয়ে, ১৯৭১ নিয়ে, আপনার পিতার মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে। আল্লাহ আপনার সহায় হওন।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার কমেন্টটাও অনেক ভাল লাগল ভাই।
বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ বিতাড়িত ছিল। কৌশলে। সেই বিতাড়নের ফল এই দেশদ্রোহীদের উত্থান।
আমার বাবা'র সহযোদ্ধা ছিলেন তাঁর এক চাচা। একই টিমে, একই ক্যাম্পে। তিনি 'বাচ্চা' ছেলেটাকে কোন অপারেশনে যেতে দেননি। তারপরও মুক্তিযুদ্ধের যে কোন ঘটনাই আগ্রহোদ্দীপক। আশা করি এগুলো কোন এক সময় বলব ভাই। আমারও আরো ভালভাবে জানতে হবে তাঁর কাছ থেকে।
আর আমরা তো আল্লাহু আকবর এর জায়গির জামাতকে দিতে পারি না। শিবিরকে দিতে পারি না।
একজন মুসলিম এক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে গেলে অন্তত পঞ্চশবার আল্লাহু আকবর এর ভিতর দিয়ে যায়।
আর নামাজ তো মুসলিমের প্রাইমারি টাস্ক।
এই আল্লাহু আকবর আমরা ওদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। এতে ওদের হাত শক্তিশালী করা হবে।
দোয়া রাখবেন ভাই। দেশ আর ধর্ম নিয়ে যেন কথা বলতে পারি। এটাই কামনা।
১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬
নিয়েল হিমু বলেছেন: আমরা বাঙ্গালী অতিত ভোলা রোগের রোগি ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর অতীত ভোলার রোগ ক্যান্সারের চেয়েও মারাত্মক।
১৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। হ্যা, মুখে আমিও বলেছি ওর লাশ কুত্তা দিয়ে খাওয়াবো, কিন্তু তার যথাযত জানাযার পর তার গ্রামের বাড়িতে দাফন হয়েছে।
আল্লাহ মহান, উদার ক্ষমতা শীল , ন্যায়বিচারক। মৃত্যুর পর তার জিম্মা আল্লাহর কাছে। আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে হেদায়েত কামনা করা মৃত ব্যাক্তিকে গালি না দিয়ে।
ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে বাজে আচরণ করার আর কোন দরকার নেই আমাদের। তবে পরকালীন বিচারটাও তার বাকী আছে। সেটাও দেখার খুব ইচ্ছা আমার। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখব।
সব সময় ভাল থাকুন ভাই। সব সময়।
২০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ মূলক পোষ্ট।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল ভাই। অসাধারণ নিক। অসাধার।
২১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বাংলাদেশ অতুলনীয়।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বাংলাদেশ অনন্য।
কৃতজ্ঞতা রইল ভাই।
২২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: জয় বাংলা যেমন আওয়ামী লীগের সম্পদ নয়, তা সকল বাঙালীর। তেমনি আল্লাহু আকবার শুধু জামাতের নয় সকল মুসলিমের। আমি দুটোই বলব অথচ উভয়কেই আমি ভালবাসি না।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটাই আসল কথা মাসুদ ভাই। আওয়ামীলীগ বা জামাত কেউ এই অসাধারণ কথাগুলোর একক দাবিদার নয়। আমাদের নিজেদের পরিচয় নিজেদেরকেই সংরক্ষণ করতে হবে।
২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০
বেলা শেষে বলেছেন:
গোলাম দস্তগীর লিসানি, Salam, i respect your writing style very heartly, there are manythings i had to study again & again.
thenk you verymuch brother.
108 Al-Kawthar
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ্!
প্রিয় সূরার প্রিয় আয়াত। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত।
আল্লাহর রাসূল দ.'র সম্মানের কথাগুলো মনে পড়লেই মন প্রশান্ত হয়ে যায়। মনের সমস্ত অস্থিরতা দূর হয়ে যায়।
ক্বুররাতু আইনি বিকা ইয়া রাসূল আল্লাহ!
ইউ আর দ্য কুলনেস অভ মাই আইজ, রাসূলুল্লাহ!
আপনি আমার চোখের শান্তি, ইয়া রাসূলআল্লাহ!
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লাম... সাইয়্যিদুনা আবু বাকার রা.)
২৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১
মামুন হতভাগা বলেছেন: বাঙালি মহানের জাতি। বাঙালি চির উন্নত শির। এই সভ্যতার জন্যই বাঙালি উন্নতি করবে। বাংলাদেশ সাত মহাদেশে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। বাঙালি যেন নিজেরটা না ভোলে, জয় বাংলা বাঙালির, আল্লাহু আকবর বাঙালি মুসলিমের, লাশ হওয়ার আগে ও পরে লাশের প্রতি মানবিক সম্মান ও সংরক্ষণের অকল্পনীয় নজিরও বাঙালির।
ধন্যবাদ
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই আপনাকেও অসংখ্য অগুণতি ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের দেশটাকে পূর্ণ করুক, ধন্য করুক, পূণ্য করুক।
২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩
বেলা শেষে বলেছেন: .... it is to much good if some Body is there to talk.....
....i am a very new Blogger but from whom- we may learn if all old peoples they had gone away...& why?
Salam & Respect to all of you.
Thank you very much.
Up to next time.
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: "আমরা কাদের মোল্লার লাশ নিয়ে সমুদ্রে ফেলে দিব, তার লাশ নিয়ে কুকুর
দিয়ে খাওয়াব... পারিনি। সে যেমন টুকরা টুকরা করেছিল কবি মেহেরুন্নিসার লাশ, কলম দিয়ে দেশের কথা লেখা এক মা, এক গৃহিণীর লাশ এর টুকরো নিয়ে মিরপুরের মুকুল ফৌজ মাঠে পিশাচের বাচ্চারা যেভাবে ফুটবল খেলেছিল আমরা কিন্তু তা পারি না। কারণ আমরা মানুষ, আমরা বাঙালি, আমরা অনেকেই মুসলিমও।"