নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিভিউ: 'টেলিভিশন' ও কল্পনার ঘোড়দৌড়

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক আর নতুন ব্যাকরণের নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর যৌথ রচনা আর ফারুকীর পরিচালনায় টেলিভিশন।







ফারুকী সম্পর্কে আগে থেকেই একটা ধারণা ছিল। তাঁর নির্মাণের মূল শৈলী হল মানুষের সহজাত প্রবণতা ও তাৎক্ষণিক রিঅ্যাকশন। আনিসুল হক যে কাহিনীকার, তা অবশ্য মুভি দেখার সময় বুঝতে পারিনি।



মুভিটা প্রথমেই আটকে ফেলে যে এলিমেন্ট দিয়ে, তা হল চেয়ারম্যান সাহেবের ডানহাত ফ্রেঞ্চকাট লোকটা ট্রলারে করে প্রথম আলো আনার সময় প্রতিটা ছবি সাদা কাগজের টুকরা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। খুবই স্বাভাবিক মানবিক প্রবণতায় ঢাকার আগে বারবার দেখে নিচ্ছেন এক মডেলের ছবি। এটাই টোপ। এটাই অ্যাঙ্কর পয়েন্ট, যা দিয়ে একজন দক্ষ কাহিনীকার-নির্মাতা তার দর্শককে পুরো মুভির শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি প্রথম আলোর ব্র্যান্ডিঙও হয়ে গেল। নিখুত ব্র্যান্ডিঙ বা সিনেমায় গেঁথে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখতেও ভাল লাগে। দর্শককে গেঁথে নেয়ার বড়শি পয়েন্টটাতেই ব্র্যান্ডিঙ।



এরপরই চেয়ারম্যান সাহেব। হাডারি সাব বা পাটোয়ারী সাহেব। পর্দা পুশিদা করা প্রথম আলো পড়ছেন।



সাগর-নদী-মোহনার কাছাকাছি বিচ্ছিন্ন গ্রামের ইলিশ-বিচরণক্ষেত্রে এই চেয়ারম্যান সাহেব সর্বদন্ডমুন্ডবিধাতা। তাঁর গ্রামে টিভি নাই, অপেশাদারের জন্য ফোনও নাই, ছবি তোলার চল নাই। মানুষের আগ্রহ যে একটু হয় না, তা তো নয়। কিন্তু তারা মেনেই নিয়েছে। এবং আনুগত্য করছে চেয়ারম্যান সাহেবের।



চেয়ারম্যান সাহেবের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসীর মেয়ের সাথে আত্মিক-আবেগিক সম্পর্কে জড়িত। তারা কোনক্রমে দেখা করে। তাদের সম্পর্কটা যতটা না বাহ্যিক, তারচে বেশি সার্বিক। তাই চেয়ারম্যান সাহেবকে শ্বশুর সম্বোধন করা। এখানে অভিনেত্রী তিশা'র বিশেষ করে এন্ট্রি লেভেল অভিনয়, পড়া আউড়ে যাবার অভিনয় এবং কান ধরে উঠবস করার পর চলে যাবার সময় হাঁটার ছন্দের অভিনয় যে কোন আন্তর্জাতিক মানকেও এক মুহূর্তে বহুক্রোশ পিছনে ফেলে দিবে।



তিশা'র ওই সময়ের অভিনয়, চেয়ারম্যানপুত্রের মাতালকালীন অভিনয় অথবা চেয়ারম্যানপুত্রসহযোগীর মাতালকালীন এবং অন্যান্য জায়গার অভিনয় আর চেয়ারম্যান সাহেবের শেষ দৃশ্যে আল্লাহর কাছে পৌছানোর আকুতি এমন একটা উচ্চতায় পৌছেছে, যার কাছাকাছি কোন পর্যায় নেই। অনভ্যস্ত চোখ বলে ওঠে, এরচে ভাল অভিনয় সম্ভব নয়, এরচে ভাল অভিনয় নেই।



প্রথমদিকে চেয়ারম্যান সাহেবের টিভি সাক্ষাৎকারকে যতটা পশ্চাৎপদ ব্যক্তির উপস্থাপন মনে হয়েছিল, মুভি এগিয়ে যাবার সাথে সাথে সেটা ফিকে হয়ে পড়ে। কিন্তু বাবার সাথে মা হয়ে ছেলের কথা বলার দৃশ্য যে কাঠিন্যের বৃত্তে বন্দী করে চেয়ারম্যান সাহেবকে, সেই বৃত্ত পরবর্তীতেও রয়ে যায়- বাস্তবানুগভাবেই।



কাহিনীর মোড় বা টার্নিঙপয়েন্ট এক সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রাথমিক শিক্ষকের টিভি নিয়ে গ্রামে ঢোকা। আধুনিক কাহিনীতে যতটা সময় পার করে টার্নিং পয়েন্ট আনার কথা, চরম মুন্সিয়ানায় ঠিক সেইরকম একটা পর্যায় আনা হয়।



চেয়ারম্যান সাথে সাথে অস্থির হয়ে মসজিদে আল্লাহর সামনে রত। টিভি ঢুকতে দিলে ধর্মনষ্ট। না ঢুকতে দিলে অন্যধর্মঅধিকার নষ্ট। এই যে যন্ত্রণা, এই যে আকুতি, এই যে আন্তবিশ্বাস ন্যায়বিচারের ধারণা, এই মুহূর্তটাই টেলিভিশন মুভির সাফল্যের মুহূর্ত। স্বর্ণশিখরে আরোহণের প্রথম ধাপ।



নিতান্তই গ্রাম্য, গ্রাম ছেড়ে কখনো ঢাকায় না আসা এক চেয়ারম্যান আর তার কথা গঞ্জে গিয়েও মানা পশ্চাৎপদ গ্রামবাসী, যাদের কাছে খুব সরলভাবে টিভি হচ্ছে ইহুদি খ্রিস্টানের ষড়যন্ত্র, খুবই সরলভাবে সাংবাদিক আপার জিন্স-ফতুয়া পুরুষালী, বিমানে চড়ার ভয় হচ্ছে শয়তানের ওয়াসওয়াসা, টিভিতে ধর্মের প্রোগ্রাম হচ্ছে হারামের উপর ভিত্তি করে ভালর কথা বলা- সেই মানুষের ভিতরে অন্যধর্মাবলম্বীর অধিকার এত ভীষণ করে বাজে! এই বাদ্য তুলে আনার অতুল কৃতীত্ব অবশ্যই লেখক-পরিচালকের প্রাপ্য।



চেয়ারম্যান সাহেবের রমরমা ইলিশ ব্যবসা। সেই ব্যবসায় পাইকারী-ব্যাপারীরা কোন অন্যায় করলে সরলভাবে আল্লাহর কাছে ঠেকে থাকবে। এতে কোন দোটানা নাই। কোন দ্বিতীয় ভাবনা নাই। আর পুত্র, সাধারণ তারুণ্যের পাশাপাশি দারুণ অনুগত সন্তানের প্রতীক। গঞ্জের দোকানে নীলরঙা ঝালরের আড়ালে তার টিভি চলে। সুপ্রচলিত হিন্দি সিনেমার আইটেম সঙ। অথচ পিতার সঠিক হওয়া নিয়ে তার ভিতরে দোটানা নাই। দোটানা নাই গ্রামের সাধারণ মানুষেও। ছেলের দোকানে থাকতে চাওয়া নিয়ে তাঁর সন্দেহবাতিক নেই, কিন্তু 'কামান চাইলে অন্তত বন্দুক তো পাওয়া যাবে'র মোবাইল কিনতে চাওয়াতে বুদ্ধিবৃত্তির অভাবও নেই।



একজন ধর্মানুসারীর প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে, যখন চেয়ারম্যানসাহেব আপন স্ত্রী কেও আপনি সম্বোধন করেন। যখন তিনি নিজের ছেলেকে সেলফোন কিনতে অনুমোদন করার পর গ্রামের সব তরুণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেন। যখন প্রভুর দ্বারে উপস্থিতির আশায় তাঁর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যখন প্রতারিত হবার পর লজ্জায় গ্রামে ফিরে যান না এবং মহান প্রভুর কাছে যেতে না পারার যন্ত্রণায় দিনের পর দিনের পর দিন না খেয়ে হজ্বের দিন পর্যন্ত ওষ্ঠাগত প্রাণ হয়ে পড়ে থাকেন ভাড়ার মেস অথবা হোটেল রুমে।



প্রাইমারি শিক্ষক তাঁর কথা রাখেন। সরাসরি কোনও মুসলমানকে টিভি দেখতে দেন না। মানুষের অনুরোধ ফেলতে পারেন না। আয়নায় কৌশলে দেখার ব্যবস্থা করে দেন। চেয়ারম্যান সাহেবের লেঠেল বাহিনী নাই, নাই অতিরিক্ত ক্ষমতাপ্রয়োগ। তার ক্ষমতার উৎস যেন স্বাভাবিক, সার্বিক, সার্বজনীন। তিনি যেন ধরেই নিয়েছেন, যা ঠিক তা তিনি জানেন এবং বাকিরা তা জানে যে তিনি জানেন। এইটুকুই যথেষ্ট। আবার পরামর্শ শুনতেও তাঁর বাঁধে না।



চেয়ারম্যান সাহেবের নৈতিকতা প্রখর। তিনি যা জানেন, স্পষ্টভাবে জানেন এবং তাতে কারো ধার ধারেন না। প্রয়োজনে ইমাম সাহেবকে ধমকাতে তাঁর বাঁধে না। আবার নিজের ছেলের বউয়ের হাতে আঙটি পরানোর মত সম্মানিত কাজটা ইমাম সাহেবকে দিয়েই করান। তিনি যাতে কম্প্রোমাইজ করেন সবার জন্য তা উন্মোচিত করে দেন।



আবার গ্রাম্যতা ও একরোখামিও প্রখর। তাই তরুণী একটা মেয়েকে নিতান্তই বাচ্চাজ্ঞান করে 'বাবা-মা'য় আদব শিখায় নাই?' বলার মধ্যে যে শিশুজ্ঞান কাজ করে, সেই সরলতাতেই একটা সীমাতিক্রমী ভুলও তিনি অবলীলায় করে ফেলেন, কান ধরে ওঠবস করান। সীমা অতিক্রমের বিষয়টা যেন তাঁর চোখেও পড়ে না। এসব দেখেই যেন তিনি অভ্যস্ত। চিরায়ত বাস্তবতা এখানে সরাসরি ফুটে ওঠে। কোন অন্তরাল ছাড়াই।



চাইলেই চেয়ারম্যাকে অত্যাচারী, একরোখা, পরধর্মবিদ্বেষী, ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকারপন্থী, ছাত্তিমাথা টিপিক্যাল লুচ্চা চেয়ারম্যান আকারে উপস্থাপন করতে পারতেন লেখক-নির্মাতা। এটাই বাংলাদেশের নাটক-চলচ্চিত্রের আবহমান ফ্যাশন। আমরা ত্রিশ বছর আগের চলচ্চিত্র-নাটকে অথবা এখনকারও চলচ্চিত্র-নাটকে এমন চেয়ারম্যান দেখে দেখে অভ্যস্ত। এতে আমাদের ধর্ম নষ্ট হয়ে যায়নি। সমাজও নষ্ট হয়নি। ওইসব টিপিক্যাল নাটক-ছবির নির্মাতা-লেখকের মহাডাম্বনেস অথবা একচোখামি অথবা 'অ্যাসাইনমেন্টমুখী বিনোদন নির্মাণ' এর বাইরে চলে এসেছে এই টেলিভিশন।



গঞ্জে গিয়ে নারকেলের বিনিময়ে সিনেমা দেখে আসা তরুণদের বেঁধে তো উপস্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু তাদের শাস্তি দেয়ার বদলে কষ্ট পাওয়া চেয়ারম্যান সাহেব সব দায়দায়িত্ব ছেড়েছুঁড়ে দিতে চান। সাথে সাথে সরল স্বীকারোক্তিতে যারা ক্ষমাপ্রার্থণা করে, তারাই আবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছেলের বিয়ের ঘোষণা এবং টিভি আনার প্রচারণা ও গণপিটুনি দেয়ার মহান দায়িত্বে শামিল হবার পর চেয়ারম্যান সাহেবের পক্ষ হয়ে গ্রাম থেকে নদী হয়ে গঞ্জে যাবার পথে ভিসার তদারকি করে ও তাঁর চলে যাবার সময় আপ্লুত হয়ে বিদায় জানাতে আসে।



চেয়ারম্যানের ছেলে এখানে গুডিবয় গুডিবয়। তার চরিত্র বাস্তবেই যেন প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ পায়নি দুর্দান্তপ্রতাপ পিতার ছায়ায় থাকতে থাকতে। একটু বোধবুদ্ধি কম, কারণ তার সংগ্রাম কম। অথচ তার অ্যাসিস্ট্যান্ট অতি অল্প এক ফোঁটা জিঘাংসাপ্রবণ। তার সংগ্রাম তাকে একটুখানি এমন করেছে। তার কল্পনার ঘোড়া সীমা মানে না, কিন্তু বাহ্যিক পার্থিব সমস্ত ভব্যতার সীমা তার রয়েছে।



চলচ্চিত্রের কাহিনী তো অবশ্যই অসাধারণ। আগাপাশতলা। এই একই মানের সাউন্ডট্র্যাক নেয়া হয়েছে। হজ্বের সাউন্ডট্র্যাকে আমরা দেখি দুই টেলিভিশনের শব্দের নিখুত ওভারল্যাপ। লৌকিক প্রচলিত মিলাদের সাউন্ডট্র্যাকে সত্যিকার রেকর্ড ব্যবহার করা হয়। মিউজিক আলাদাভাবে কানে বাজে না। বরং তা যেন দর্শকের প্রত্যাশিত হার্টবিটরেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।



চিত্রধারণও, আবারো, অসাধারণ। একটা অভাব বোধ করতাম, তা হল, সরাসরি বক্তার চেহারায় ক্যামেরা ধরা হতো। সেটা এখন আর নেই। বক্তার পেছন থেকে, পাশ থেকে, সামনে থেকে, অথবা বক্তাকে না দেখিয়েই বক্তার শব্দ নেয়া হচ্ছে- অসাধারণ অগ্রগতি। এ বিষয় ফারুকী তে ছিল, কিন্তু ফাইন পলিশড সিনেমায় ছিল না। চেয়ারম্যানের বাড়ির ঘাটে দুই মোসাহেবের কথাবার্তার সময় সামনে দিয়ে একটা ট্রলার চলে যায়। প্রকৃত ট্রলার। প্রকৃত তার আভরন। প্রকৃত ধরনের মানুষজন।



ক্ল্যাসিক মুভি বানাতে হলে যে দৃশ্য থাকা আবশ্যক হয়ে গেছে বাংলাদেশে, তা হল দু-চারটা ন্যাংটো আট-দশ বছরের ছেলেপুলে গোসল করছে। সেটাও আছে। পুরো দৃশ্যায়নের অঞ্চলে ফাঁকা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয় খেয়াল রাখা হয়েছে। নির্মাতা পুরো মুভি তৈরি সময় এই একটা বিষয়ে খেয়াল রেখেছেন, যেন দর্শকের চোখ ক্ষুদ্র দেখতে না থাকে, যেন সুপরিসর ও বৃহত্তর দেখতে পারে। আবার একের আড়ালে আরেক ফুটিয়ে তোলার মুন্সিয়ানাও দারুণ। বাচ্চার প্লাস্টিক গাড়ি সুতলিতে টাঙিয়ে সাথে করে বাথরুমে নেয়া বা ট্রলার থেকে নদীতে ঝুলানো অথবা চেয়ারম্যানপুত্রের সম্ভাব্য স্ত্রীর সাথে তারই এসিসটেনের আলাপচারিতার সময় ফ্রেমিং তাদের মনের প্রকৃত অবস্থাকেই অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলে।



বিশেষ করে সামনে নদী দেখিয়ে নদীর পাড়ে 'ভিসার ঘাটে' পোঁতা বাঁশে লটকানো হাত-আয়নায় মানুষের লাইন ধরা এবং কজ-ভেরিফিকেশনের পদ্ধতির দৃশ্যায়নে মানুষের ওপাড়ে এই নদী ধরে যাবার আকুতি যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, সেভাবেই সামান্য কাগজ কলম নিয়ে কিছু শব্দ লিখে ফেললে কবিদের হাত বেয়ে কবিতা হয়ে যায়।



প্রপস বাস্তবানুগ। সবার পোশাক ও আশপাশের প্রতিটা জিনিস খেয়াল করে বাছাই করা। প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকের দরজার একপাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পোস্টার এবং অন্যপাশে মাতা লক্ষীর পোস্টার একই সাথে শিক্ষার ও মানসিক অগ্রগতির পরিচায়ক, সেইসাথে দারিদ্র্যপীড়িত শিক্ষকের দেবীকে তুষ্ট করে কোনক্রমে সংসার চালানোর প্রবণতাও লক্ষণীয়। (পোস্টারটা জ্ঞানদেবী সরশ্বতীরও হতে পারে)।



আর্ট ফিল্ম হতে হবে বোরিং। চরম বিরক্তিকর। কিন্তু এই কী! এই আর্ট ফিল্ম তো পরতে পরতে রস-ঠাসা। কাতুকুতুর হাসি নয়, মাঝে মাঝেই প্র্রাকৃতিকভাবে প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে দর্শকের দম ফাটার অবস্থা।



টেলিভিশন দেখেই ভাবনা, এটা এক্কেবারে আন্তর্জাতিক মান হয়েছে। এর কাছে হলিউডের ছবিও নস্যি। এর মান থ্রি ইডিয়টস টাইপের হয়েছে। এমনকি মাটির ময়না বা রানওয়ের মত বিষয় যদিও এর নয়, বিষয়ের ভিন্নতায় তুলনাও চলে না, কিন্তু ওই দুই চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আসার যোগ্যতা পেয়েছে। পৃখিবীর যে কোন দেশে যে কোন ভাষায় প্রদর্শিত হবার মত একটা যোগ্য সৃষ্টি হয়েছে।



মাটির ময়নার পরিচালক মারা যাবার পর যে পরম শূণ্যতা অনুভব করেছিলাম, যে আফসোস করে বলেছিলাম, প্রভু, তোমার কি খুবই দরকার ছিল তাকে তুলে নেয়ার? সেই পরম শূণ্যতা কেটে গেল এই টেলিভিশন দেখে।



টেলিভিশন প্রকৃতই কল্পনার ঘোড়দৌড়। মানুষের কল্পনা কতটা গোছানো, কতটা দরদী এবং কতটা অন্যকে বোঝার সামর্থ্যপূর্ণ হতে পারে, সেটা দেখিয়েছেন লেখক- নির্মাতারা, চিত্রগ্রাহক, শব্দকুশলী এবং এডিটররা। দেখিয়েছেন অভিনেতারা।



এবং মানুষের কল্পনার ঘোড়দৌড় যে বেঁধে রাখার বিষয় নয় বরং বেছে নেয়ার বিষয়, সেটাই নানা মাত্রায় এই ছবির একমাত্র উপজীব্য হয়ে উঠেছে।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

adder69 বলেছেন: ছবিটা ভালো লাগছে, কিন্তু আপনার রিভিউ টা ভালো লাগে নাই ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কিন্তু আপনার মন্তব্যটা ভাল লাগছে। :)

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

কাফের বলেছেন: রিভিউ মুভিটার মতই অসাধারণ হইছে!
তবে "এর কাছে হলিউডের ছবিও নস্যি।" একটু বেশী বলা হয়ে গেলো মনে হচ্ছে :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই নির্মাণশৈলীর কথা বলেছি। বাজেট বা এনিমেশন নয়। প্রকৃত ভাল জিনিস বানাতে হলে তো শুধু একটা ক্যামেরা লাগে।

তবে একটু বেশি... হয়তো।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ছবিটা পুরো দেখি নাই। দেখি আজকেই দেখে ফেলব। রিভিউ ভালোই লেগেছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই ধন্যবাদ রইল। আশা করি ভাল আছেন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রিভিউ ভাল হয়েছে। মুভিটা মনোযোগ দিয়ে দেখা লাগবে।সরোয়ার ফারূকী সন্দেহাতিত ভাবে সবচেয়ে ট্যালেন্ট ডিরেক্টরদের একজন। :) তার ব্যাচেলর ছবিটা খুব ভালো লেগেছিল।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই। হ্যা, তার ব্যাচেলর তো পুরো গ্রাউন্ডব্রেকিং পর্যায় তৈরি করেছিল।

তাঁকে নিয়ে একটা ব্যক্তিগত হতাশা ছিল, সেটা এই মুভিতে কেটে গেছে। পলিশড সৃষ্টি। অবশেষে সেটাও পেয়ে গেলাম।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: রিভিউটা প্রফেশনালের মতই হয়েছে। ছবি কম দেখি। ধন্যবাদ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দেখলে মন্দ লাগবে না কিন্তু! আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

কাল্পনিক মন বলেছেন: খুবই প্রাসঙ্গিক রিভিউ।পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন ছবিতেই আছি।যাইহোক, বাংলা ছবি এখন আন্তর্জাতিক মানে পরিণত হচ্ছে এটা একটা আনন্দের বিষয়।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। মনটাই ভাল হয়ে গেল আপনার কমেন্টে। বাংলা ছবি আসলেই আন্তর্জাতিক মানে পৌছে গেছে।

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: রিভিউ ভালো হইছে............ কিন্তু যারা দেখে নাই তাদের জন্য স্পয়লারে ভরপুর.....

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাতো অবশ্যই। না দেখে থাকলে পুরো দেখাটাই স্পয়েল হয়ে যাবে। থ্যাঙ্কু ভাই কমপ্লিমেন্টের জন্য।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিটা ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ওয়াইড এ্যাঙ্গেলে ক্যামেরার কাজ। তবে অভিনয়ের ব্যাপারে একমত না। তিশা স্টেরিওটাইপ। তার প্রতিভাকে ফারুকী নষ্ট করছে একইরকম চরিত্রে অভিনয় করিয়ে। চেয়ারম্যানের অভিনয়ও আশানরূপ না। আপনি অতি প্রশংসা করে ফেলেছেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তিশার স্টেরিওটাইপ কিন্তু কয়েকটা জায়গায় ছিল না। আর প্রেমপ্রার্থীর সাথে কথা বলার কিছু কিছু জায়গাতে স্টেরিওটাইপ বেরিয়ে গিয়েছিল। একই রকম চরিত্র ধারণাটা তো আসলে বাণিজ্যিক। চেয়ারম্যানের মধ্যে কিছুটা আড়ষ্টতা কাজ করেছে। আড়ষ্টতার অনেকখানি মানিয়েও গেছে।

আমিও একটু উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করে ফেলেছিলাম।
তবে আন্তর্জাতিকতা পাবার মত কিন্তু প্রথমেই মনে হয়েছে। আসলে এই মুভিটায় আন্তর্জাতিকতা পাবার এলিমেন্ট আছে।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

সাজ্জাদ আলী চৌধুরী বলেছেন:
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ Typed with Panini Keypad

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ। পানিনি কিবোর্ড তো মারাত্মক জিনিস!

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

পথহারা নাবিক বলেছেন: ছবির কাহিনি এবং অভিনয় অসাধারণ!! রিভিউ অনেক সুন্দর হয়েছে!! ছবিটি অস্কারে পুরুস্কার পেলেও আশ্চর্য হবো না!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলে ফারুকীর যে আলাদা ধাঁচের পরিচালনা, এটা হয়ত আন্তর্জাতিকে একটু ভিন্নমাত্রায় আসবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বোদ্ধাবাজারে যাবার মত এলিমেন্টগুলোও রয়েছে। বিশেষ পয়েন্টগুলো।

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

মহিদুল বেস্ট বলেছেন: টেলিভিশন না দেখে রিভিউ দেখে নিলেই হবে! আপনি রিভিউটা যা দিলেন... দারুন দারুন দারুন

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অনেকগুলো ধন্যবাদ ভাই। আসলে বেশিরভাগ কথাই একটানা এবং এক ধাক্কায় বলি, তাই লেখা বা কথাটাও মাঝে মাঝে একপেশে হয়ে যায়।

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

নূভা অনন্যা বলেছেন: টেলিভিশন আগে দেখেছি। রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছিলো আবার দেখছি। আমাদের অভিনেত্রীরা ( বিশেষ করে নাটক যারা করে) তাদের যে টেলেন্ট তা প্রোপার ইউজ করা হলে ও বাজেট বাড়ানো হলে হলিউডের ছবি নস্যি না হলেও হলিউড মানের ছবি বানানো সম্ভব। সে যোগ্যতা বাংলাদেশী প্রযোজক পরিচালক ও অভিনেতা অভিনেত্রীদের রয়েছে।

আর ফারুকী তিশার ট্যালেন্ট নষ্ট করেনি বরং তাকে এমন পজিশনে এনে দাঁড় করিয়েছে এখন সে যে কোন চরিত্রের জন্য পারফেক্ট।

বাংলা ভিশনের আরমান ভাই নাটক , থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, মন ফড়িং এর গল্প , ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যায় এসব দেখলেই বুঝা যায় ফারুকী তিশাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে আপু দেখবেন হলিউডের ছবি মুহূর্তে নস্যি হয়ে যায় এমন অনেক চলচ্চিত্রই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। সেসবের বাজেট, প্ল্যানিং বা পরিসীমারচে কাহিনীর সাথে সারা দুনিয়ার দর্শক যাবে কিনা- সেটা বিবেচ্য।

হলিউডি টপচার্টের বেশকিছু মুভি দেখা হয়েছে। সেগুলোর প্রায় সবগুলোই অনন্যসাধারণ। কিন্তু সেই তালিকার পাশে না হোক, কাছাকাছি মান নিয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে বা একটা আলাদা আবহ তৈরি করবে এই মুভিটা।

অবশ্য খেলোখেলো ভাব যে ছিল না, তা মোটেও নয়।

তিশা একই রকম অভিনয় করে যান। ভাল এবং মুক্ত। তার অবস্থানটা আর সব স্টারের মতই একমাত্রিকতায় চলে আসছে তাও সত্যি।

১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

শ্যামল জাহির বলেছেন: 'টেলিভিশন' দেখা হয় নাই আমার। চমৎকার বর্ণনায় দেখার আগ্রহ জাগলো। আজই দেখে ফেলবো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। বর্ণনা পড়ে দেখার পর কিন্তু একটু বকতেও পারেন। প্রথম মুগ্ধতার বর্ণনা একটু বেশি উচ্ছ্বসিতই হয়।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: বাহ একেবারে নিখুত বিশ্লেষণ। ভালো লাগল রিভিউটা। টেলিভিশন দেখেছি। ফারুকীর আরেকটা অসাধারণ সৃস্টি। আমার তো মনে হয় বাংলাদেশে যদি অস্কার ধরা দেয় তা কোন একদিন ফারুকীর হাতেই হয়তো হবে।

তিশার অভিনয় অসাধারণ। মনে হয় অভিনয়ের জন্যই ওর জন্ম। তবে সবার অভিনয়ই খুব ভাল হয়েছে।

মুভিলাভার হয়েও যারা টেলিভিশন দেখেন নাই তাদের জন্য আফসোস!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ বলেছেন সিদ্দিকী ভাই।

ফারুকী'র বিদ্দুত চমক আছে। তবে অস্কার আনতে হলে তাঁকে কিছু রিকোয়্যারমেন্ট তো পূর্ণ করতেই হবে।

টেলিভিশন ছিল পলিশড মুভির একটা ধাপ। এরই আরো উচ্চতর ধাপে পৌছাতে পারলে সেই অধর ধরা যাবে। বা চেষ্টা করা যাবে বলে মনে হয়।

মন্তব্যটা খুব ভাল লাগল।

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

কয়েস সামী বলেছেন: দেখেছি এবং ভাল লাগেনি। এটা কি আর্ট ফিল্ম? যদি আর্ট ফিল্ম হয়ে থাকে, তবে হয়তো ঠিক আছে। তবে ছবিটা আমার আগ্রহ ধরে রাথতে সক্ষম হয়নি। ছবিটাকে যথেস্ট শ্লথ লেগেছে। এটা বিভিন্ন দেশে দেখিয়ে আমাদের ছায়াছবির দৈন্যতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দৈন্যতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু কারণ মনে হয় আছে। আপনি-আমি বুঝতে পারছি না।

রুচির ভিন্নতা তো থাকবেই ভাই।

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মুনেম আহমেদ বলেছেন: ছবিটা কয়েকবার দেখেছি।ভাল লেগেছে। মোশাররফ করিম আর তিশার অভিনয় অনেক চমত্‍কার লেগেছে।

ছবিটার শ্যুটিং চাঁদপুরের হাইমচরে হয়েছে।কাছেই। কদিন আগে জায়গাগুলি গুরে এসেছি।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুনেম ভাই এখনো কি সেখানে আসলেই একটা কৃত্রিম টেলিভিশন আছে? থেকে থাকলে দেখার ইচ্ছা ছিল আমারো। নিতান্তই নাদান মনোকামনা।

ধন্যবাদ রইল ভাই।

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: তিশার অভিনয় আমার কেমন জানি গতানুগতিক ধারার লাগছে। তবে চেয়ারম্যান আর ছেলের মাঝে কথার সময় মায়ের ভুমিকাটা দারুন লাগছে। এবং আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগছে একেবারে শেষ দৃশ্যটা। চেয়ারম্যানের কান্নাটা একদম হৃদয়স্পর্শ করেছে

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আসলে এই ছবির প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্য মূল চরিত্র হল ত্রিভূজ সম্ভাব্য প্রেম।

তবে ছবির আসল 'মূল চরিত্র' হল চেয়ারম্যান।
তাকেই ফিল ও ফলো করার চেষ্টা করেছি। সেখানে ভাবনা হয়ত একটু একচোখাই হয়ে গেছিল।

১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
নতুন ব্যাকরণের নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার মজা পাইলাম :P =p~

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই একটুখানি লজ্জাই পেয়ে গেলাম। B-) :D :-&

১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ছবিটা দেখতে হবে, এখনও দেখি নাই !!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল লাগবে আশা করি মুদ্দাকির ভাই। তবে বর্ণনা একটু ভারপ্রযুক্ত হয়ে গেছে।

২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়লাম গোলাম দস্তগীর লিসানি'র অনুপস্থিতিতে > আমরা দুজন

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ মিরাজ এবং মিশাদ।

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

িনলয় আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: ছবিটা এক কথায় অসাধারণ। আর আপনার রিভিউ টা অনেক ভাল লেগেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ রইল ভাই এত্তোগুলো।

২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ছবিটা দেখিনাই। রিভিও পড়েই ভালো লাগলো লিসানি ভাই।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ রইল ভাই। আশা করি আপনার কাছ থেকেও অসাধারণ সব নির্মাণের ভিত্তি পাব। আশা করি আমাদের মধ্য থেকেও ওখানে দেখব।

২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

রঁমাকান্তকামারঁ বলেছেন: ছবিটা দেখি নাই। ঘটনা চক্রে দেখা না হলে সাধ করে এই ছবি দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও নাই।
তবে আপনার রিভিউ টা মানসম্পন্ন হয়েছে নিঃসন্দেহে। খুব নিপুনভারে করেছেন কাজটা ;)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পুরোটাই তো অভিরুচির বিষয়। ইউনিভার্সাল ভাল বা মন্দ বলে কিছু নেই- অন্তত শিল্পে।

অনেকদিন পর আমার ব্লগালয়ে পেলাম আপনাকে। ধন্যবাদ ভাই।

২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ভালো লাগলো রিভিউটি। একটি পরিপূর্ণ আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।

টেলিভিশন’র কথা বলি: এটি ফিল্ম নির্মাতা হিসেবে ফারুকি’র পরিপক্কতার চিহ্ন, যার শুরু হয়েছে থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার দিয়ে। ‘ব্যাচেলর’ নিয়ে যতই চিল্লাচিল্লি হোক, ওটা কোন স্থায়ি প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে নি, কিছু ব্যতিক্রম চিত্রনাট্য ছাড়া।

তবে তারেক মাসুদের শূন্যতা পূরণ করতে পেরেছেন কিনা, সেটা বলতে পারছি না।

শুভেচ্ছা :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে তারেক মাসুদ তো একপিস। তাঁর শূণ্যতা পূরণ হবে না। আর তাঁর ধারায় মুভি নির্মাণের সাহসই বা কয়জন পাবে?

নিতান্তই ক্ষেত্রজ্ঞ তুলনা।

তবে ভাললাগলে অতি ভাললাগার একটা বিষয় আমার মধ্যে চলেই আসে।

খুব সুন্দর কমেন্ট পেলাম ভাই। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

বেলাল তামজীদ বলেছেন: দারুন মুভি

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই। ভাল থাকুন সর্বক্ষণ।

২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: রিভিউ কিছুটা পড়েই থেমে গেছি । যেহেতু সিনেমাটা দেখার ইচ্ছে আছে, তাই থেমে গেলাম ।

শুভকামনা ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্যও মামুন ভাই। আশা করি ভালই লাগবে।

২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার রিভিউটা ডিটেইলস হইছে..... সেই ডিটেইলিংটা ভালো লাগলো। তবে মাঝেমাঝে একটু বেশি বলে ফেলছেন।

ছবিটা আমি দেখছি....... আমার কাছে কোনদিক থেকেই ছবিটা ভালো লাগে নাই। কেন জানি সিনেমা মনে হই নাই। টেলিফিল্ম টেলিফিল্ম লাগছে।

তাছাড়া ছবিটাতে বেশ কিছু অসংগতি আছে যেগুলা চোখে পড়ার মত।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে পজিটিভগুলি বলছিলাম তো, তাই নেগেটিভ চোখেও পড়েনি। ভাললাগা শুরু হলে এমনি হয়।


বাংলা নাটক-টিভি-মুভি দেখার চল নেই আমার মধ্যে। যে কারণে টেলিফিল্ম এর সাথে তুলনাটা ওভাবে করতে পারিনি ভাই।

মুভিটা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে- এ ধারণাটা নিজস্বও বলতে পারেন।

আপনার মন্তব্যটা খুব ভাল লাগল ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: মুভিটা দেখেছি। কম বাজেটে ও নানা সংকীর্ণতার ভিতরেও এতো অসধারন একটা মুভি বানানো আসলেই অনেক বড় কিছু। আমরা টেলিভিশন মুভির হাত ধরে স্বপ্ন দেখতে পারি, পরবর্তী সময়ে আরও অনেক বেশি ভাল মানের মুভির। স্বপ্ন দেখতে পারি, বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্পের অন্য অবস্থানের।

মুভিটাতে মোশারফ করিমের অভিনয় সবচেয়ে ভাল লেগেছে।আর খেলনা গাড়ির বিষয়টার আর্ট চমৎকার লেগেছে। আপনার রিভিউটাও অনেক ভাল লেগছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কম বাজেটে ও নানা সংকীর্ণতার ভিতরেও এতো অসধারন একটা মুভি বানানো আসলেই অনেক বড় কিছু। আমরা টেলিভিশন মুভির হাত ধরে স্বপ্ন দেখতে পারি, পরবর্তী সময়ে আরও অনেক বেশি ভাল মানের মুভির। স্বপ্ন দেখতে পারি, বাংলাদেশের চলচিত্র শিল্পের অন্য অবস্থানের।

দারুণ বলেছেন রিয়াদ ভাই। বাস্তবিক।

ধন্যবাদ রইল অনেক অনেক।

২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: ফারুকির নাটক সিনেমা টেলিফিল্ম সবই আমার নাটকের মতো লাগে । টেলিভিশনের গল্পের বুনন অসাধারণ । সবার অভিনয় ভালো হইসে ।
তিশার অভিনয় আমাকে বিরক্ত করেছে । তার সবই একরকম লাগে ।
বাংলাদেশ অনুপাতে টেলিভিশন ভালো হয়েছে । আন্তর্জাতিক মানের কথা বলা হাস্যকর । মোশারফ করিমের অভিনয় দুর্দান্ত ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ রইল ভাই, মন্তব্যটা সুন্দর লেগেছে।

দেখবেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একবার চলে গেলে এটা অন্যরকম মাত্রা পাবে। কারণ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিচালক-অভিনেত্রীর স্টেরিওটাইপ বিষয়গুলো মানুষের জানা নয়।

দেশে আমরা যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দিব, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হবে না। সেখানে দর্শকের দৃষ্টি সব সময় অন্যদিকে থাকবে।

এইক্ষেত্রে কথাটা আমি ধরেই রাখছি।

৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৪

বোকামন বলেছেন:






কেমন আছেন জনাব :-)
ব্লগে লেখালেখি করা হয় না নাকি ? ছাপার অক্ষরে ব্যস্ত কী !

রিভিউখানা বেশ ভালো লাগলো । তবে মন্ত্যে দীর্ঘায়িত করতে পারছি না কারণ অর্থব্যয় করে সিনেমাটি দেখবো বলে; এখনো দেখার সুযোগ হয়নি । সিনেমাটি দেখার পরে আপনার এই পোস্টটি আবার পড়বো ।

আপনি রিভিউর নামে বাংলা সিনেমা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা-তামাশা করেননি । এ জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই ।

আন্তর্জাতিক মান না খুঁজে ভৌগলিক সীমাবদ্ধতায় কতটা উতড়ে গ্যাছে সেটা দেখাই উত্তম ।

সালাম এবং শুভেচ্ছা ।।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সালাম ভাই। ব্লগে তো আছিই, কখনো কম কখনো বেশি। আর ছাপার অক্ষর এর সাথে আড়ি। ছাপার অক্ষরের প্রতি আকর্ষণও এখন নেই।

অনেক ভাল আছি ভাই। সব সময়।


দেখবেন, আন্তর্জাতিক মানেও এটা উৎরে যাবে। কিছু একটা আছে এতে।

অগুণতি শুভেচ্ছা ভাই।

৩১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৬

বোকামন বলেছেন:

*মন্তব্য

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: টাইপো বিশেষ কিছু নয়। খুব ভাল থাকুন ভাই সর্বক্ষণ।

৩২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

ভষ্ম মানব বলেছেন: টেলিভিশন দেথি না খুব একটা। তবে এই টেলিভিশনের কথা শুনে "টেলিভিশন" দেখার ইচ্ছা করতেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ফাটাফাটি নিকতো আপনার ভাই! অসাম।

আমিও টেলিভিশন দেখিই না প্রায়। এই টেলিভিশন ভাল লেগেছে।

৩৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ লিসানি ভাই।

মুভিটা চমৎকার লেগেছে আমার কাছে। বেশি ভালো লেগেছে চঞ্চলের দুখে মোশাররফ যখন মাতাল হয়ে কাঁদে। ঐ জায়গাটাতে বেশি মজা পেয়েছিলাম।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কস আরমান ভাই। ফানপার্টের অভাব ছিল না। আর ওই মুহূর্তের অভিনয় একেবারেই ভাল লেগেছিল। চরম।

অনেকদিন পর! আশা করি ভাল আছেন।

৩৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

দি অপু বলেছেন: ভালো লিখসেন ভাই। আমি ৪২০, ব্যচেলর থেকে ফারুকির ভক্ত। আশা করি সামনে মুক্তির মিছিলে থাকা পিঁপড়া বিদ্যা এবং ডুবো শহরও অসাধারণ হবে....।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ তো। ভক্ত সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়বে, বয়সে তিনি যতটা সিনিয়র হবেন ততটাই। সরাসরি ফারুকি ভক্ত পেয়ে ভাললাগল ভাই।

তবে পলিশড মুভি বানানোর প্রতি তাঁর দৃষ্টি রাখা উচিত সব সময়।

৩৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মুভির চাইতে রিভিও বেশী ভাল্লাগছে ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাই। অনেকদিন কোন খোঁজ খবর নাই। তাও দেখা পেয়ে খুশি হলাম।

৩৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সায়েম মুন বলেছেন: ছবিটা সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে।

আপনার রিভিউ ভাল লাগলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম ভাই। আশা করি ভাল আছেন। অনেক অনেক ভাল থাকা হোক।

৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ম্যুভিটা অনেক ভালো লেগেছে, সেই সাথে আপনার রিভিউও :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মহামহোপাধ্যায় ভাই। ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর।

৩৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫

নিয়েল হিমু বলেছেন: মুভিটা দেখব অবস্যই । আর ফারুকি ? আমি এই লোকটার নির্মিত বিজ্ঞাপনেও শিল্পের ছোয়া পাই , মেধার প্রকাশ পাই , চিন্তার পরিধী দেখতে পাই । এক কথায় সেই মেট্টিক ইয়ার থেকে আমি ফারুকির ফ্যান ।
আপনার পোষ্ট দেখে মুভিটা দেখতে ইচ্ছা আরো বেরে গেল । দেখি কালকেই পাত্তা লাগাতে হবে :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে অফট্র্যাকের মানুষ বুড়ো 'সাহিত্যসংজ্ঞাদানকারী' দের কাছে পাত্তা পেতে অনেক সময় নেয়, তাই বলে তার কদর থেমে থাকে না।

শুনেছি এফডিসিতে কাজ করতে গিয়ে অনেক টিটকারী শুনতে হয়েছিল তাকে।

দেখলে ব্যাপক ভাল্লাগবে আশা করি।

৩৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমার মনে হয়ে পশ্চিমা স্টেরিওটাইপ চোখ যে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে সেটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয়া হয়েছে এই সিনেমাতে। আর এজন্যই এই সিনেমার এত সেলিব্রেশন। ক্যামেরার কাজ বেশ কিছু জায়গায় ভালো। এডিটিং ভালৈ হয়েছে। আমি বিনোদিতও হয়েছি অনেক জায়গায়।

কিন্তু সিনেমাটার রাজনীতিটা সমস্যাজনক খুব। এটা অস্কার পেলেও একটি নীচু সিনেমা হিসেবেই বিবেচিত হবে আমার কাছে। এবং আমি চাইনা এই সিনেমা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করুক।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বোল্ড কথাগুলো ভাললাগল শরৎদা।

এই কথা সত্যি, পশ্চিমা বিশ্ব এক্সাক্টলি যা দেখতে চায় বাংলাদেশ সম্পর্কে, সেই চাওয়াটাকেই মডারেট করে, সবদিক ব্যালান্স করে তারপর তৈরি করা হয়েছে।


হ্যা, সিনেমার রাজনীতি, পুরস্কারের রাজনীতি, নোবেলের রাজনীতি তো সব সময়েই ঘৃণ্য।

দেখবেন, হোসেইনির কাইট রানার চলবে, কিন্তু তার অন্য বিষয়ক ছবি চলবে না।


আসলে শরৎদা এই সিনেমা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। আমাদের অজপাড়াগাঁ এইরকমই আছে। এবং কষ্টের বিষয় হল, এরচে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে। এখানে তো তাও ব্যালান্সের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, সেসব জায়গায় মাতবরদের ধর্ম ব্যবহার করে টিকে থাকা সত্যিকার ভয়ঙ্কর।

আমি বরং খুশি যে সেসব দেখানো হয়নি।


তবে আশা করি পুরো পৃথিবীর ভিউয়াররা এটা বোঝার মত সামর্থ্য ও সচেতনতা রাখেন যে, এটা প্রত্যন্ততা ও বিচ্ছিন্নতার প্রতীক, অখন্ডভাবে জাতির প্রতীক নয়।

৪০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আপনার কমেন্টটাতে বিবেচনা নিয়েই লাইক দিলাম, শুভেচ্ছা জানবেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ভাই। আলাপটা খুব ভাল লাগল। কৃতজ্ঞতা।

৪১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:

আছি আলহামদুলিল্লাহ্‌। ব্যাস্ততা বেড়েছে, তাই ব্লগে আগের মতো সময় দিতে পারি না। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ভাল আছি ভাই। অনেক ভাল। আশা করি ব্যস্ততা খুবই ফলপ্রদ হবে। ফুলেফলে পল্লবিত হবে জীবন।

৪২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সিনেমা জগতে ফারুকি কে এখনও অনেকটা পথ পারি দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

আপনার রিভিউ ভালো লাগছে কিন্তু সিনেমাটা ভালো লাগে নাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পথ পাড়ি দিতে হবে এটা শতভাগ। আসলে তিনি পরিণত হচ্ছেন এবং অনেকটাই হয়েছেন তা স্পষ্ট মনে হল এখানে।

সিনেমা ভাল না লাগা... অনেকটাই ব্যক্তিগত ভাললাগা না লাগার মত।

৪৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

সোমহেপি বলেছেন: সিনেমাটা আমার কাছে যথার্থ সিনেমাই মনে হয়েছে।

এর আগে ফারুকী যেগুলো বানিয়েছিলো ওগুলো সিনেমা মনে হয়নি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমার কাছেও ভাই। টেলিফিল্ম মনে হয়েছে আগেরগুলো। কৃতজ্ঞতা রইল।

৪৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

নিয়েল হিমু বলেছেন: এই মাত্র দেখলাম মুভিটা । কিন্তু কথা হচ্ছে ইন্টারন্যাসনাল কোন পুরষ্কার পেতে হলে যে শর্ত পালন করতে হয় তার অভাব আছে দেখলাম । তবে মিউজিক চয়েজ ফারুকি সব সময় সুপার করে থাকে ।
ধন্যবাদ এমন একটা পোষ্ট দেবার জন্য । নেক্সট গেরিলা দেখব ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইয়াল্লা সবাই যখন বলছে তখন এটা তো নিশ্চিত যে আমি বেশি বেশিই বলে ফেলেছি। গেরিলা ভাল লেগেছে অনেক।

মাটির ময়না আর রানওয়ে কেমন লেগেছিল আপনার?

তারেক মাসুদকে আজীবন মিস করব ভাই।

৪৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
মুভি ভাল লাগেনি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমাদের ভাললাগার বিস্তৃতি অনেকদূর বিস্তৃত। মুভি ভাল লাগা অনেকটা রঙ ভাললাগার মত ব্যাপার। মতামতের জন্য ধন্যবাদ রইল আপু।

৪৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

ম্যাভেরিক বলেছেন: ছবিটি অগোছালো বিক্ষিপ্ত মনে হয়েছে। তবে আপনার রিভিউ সুন্দর হয়েছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অতিপ্রিয় সুপ্রিয় ম্যাভেরিক ভাইয়ের মন্তব্য পেয়েছি, এটা আমার কাছে ইমন জুবায়ের ভাইয়ের মন্তব্য পাবার মত ব্যাপার।

আমার ক্ষুদ্র অক্ষম চোখে ইমন জুবায়ের ভাই আর ম্যাভেরিক ভাইয়ের অবস্থান অনেক অনেক উপরে। রীতিমত কৃতজ্ঞ লাগছে।

৪৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৮

কয়েস সামী বলেছেন: আরেকটা কথা, শুনেছি এই ছবিটা অন্য একটা ছবির কপি!!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটা আমিও হালকা বাতাস পেলাম পরশুদিন। কপি হতে পারে, আবার দুনিয়াটা ছোট... মিলেই যায়, তাও হতে পারে। জানা দরকার ভাই।

৪৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চমৎকার একটা রিভিউ হয়েছে। আমার কাছে টেলিভিশন সিনেমাটা অসাধারন লেগেছে। সিনেমাটোগ্রাফি আর সাউন্ড ডিজাইনিং এ নতুনত্ব আছে। স্টরির শুরু, শেষ, মাঝামাঝি সবই গ্রামাট্যিক্যাল। খেলনা গাড়ির ইন্টেলেকচুয়াল মন্তাজ ভালো লেগেছে। আর বাকিগুলা তো আপনি বলেই দিলেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ ইউ ভাই। আশা করি ভাল আছেন। অনেকদিন পর আলাপ হল। তবে আমারও মনে হচ্ছে একটু বেশি বেশি বলে ফেলেছি...

৪৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২১

নিয়েল হিমু বলেছেন: পোষ্টে আপনি যে সব অংশ গুলোর কথা বলেছেন সেগুলো খুব মন দিয়ে দেখেছি । আশা ছিল ঐ পয়েন্ট গুলো আরো গভির ভাবে তুলে ধরা হবে । যেমন গ্রামে টিভি প্রবেশ নিয়ে চেয়ারম্যানের দোটানাটা হাইলাইট করা উচিত ছিল । তার পর কানেধরে উঠবস এর পরে গ্রামে সবার কানাকানিতে মুখোর থাকার কথা এখানেও আশাহত হয়েছি । আবার যখন পিতা ভক্ত ছেলে মদ খেয়ে পরের দিন পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রহ করল নাটকিয় ভাবে সেটাকে ভেবেছিলাম মাতালের কল্পনা অংশ । মানে বেশ কিছু অংশে একটু............ :)
তবে মুভি যতটা ভাল লাগছে তারচেয়ে বেশি ভাল লাগছে আপনার পোষ্ট । তাই বার বার ফিরে আসছি ।
রানওয়ে দেখিনি মাটির ময়না দেখেছি এবং বলব তুলনা হয়না ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তুলনা তো ওইভাবে হয়ই না। আর রানওয়ে না দেখলে আপনারে চোটপাটের সাথে বিশাল কড়া একটা মাইনাস!

আমি রানওয়ে মাটির ময়না দুইটারই সমান সমান ফ্যান। রানওয়ে দেখলে জামাত-হিজবুত-তালেবানের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং পাশাপাশি পারস্পরিক দূরত্ব দুটাই একেবারে ক্লিয়ার লাগবে।

আসলে ফারুকী কখনোই কিন্তু এত ক্লিয়ারলি কোনকিছু দেখাবেন না। এটা তাঁর শিল্পবৈশিষ্ট্যের অংশ ভাই। ঠিক হুমায়ূন আহমেদের যেমন একটা নিজস্বতা আছে, তেমনি।

মানে তিনি নিজে কোনকিছুতে আবেগারোপ করবেন না, কিন্তু দর্শকের আবেগারোপের সুযোগ দিবেন।

আরো ভাল নির্মাণ অবশ্য অবশ্যই সম্ভব ছিল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মজার একটা কথা বলি?

আমার উপর আবার ক্ষেপবেন না। আমি তো মানুষের কমপ্লিমেন্ট না শুনে বাংলা মুভি দেখি না, কাছের দু চারজন বলেছিল তারেক মাসুদ ইসলাম বিরোধী ছবি বানায়। আমার ভাবনা হল, বানাতেই পারে! শুনছিলাম তারেক মাসুদের ক্লে বার্ড এ ইসলামকে খাটো করা হয়েছে। ভাবলাম, তা তো করা হতেই পারে!

এজন্য অনেক বছর পর মাটির ময়না দেখেছি। বিশ্বাস হয়!

মানুষের মুখ কত্ত খারাপ! কোন্টা অপমান আর কোনটা উল্টা সুসংরক্ষণ- এইটা বোঝার মত সেন্স গজায় নাই!

মাটির ময়না আসলেই অলটাইম ফেভ। মাটির ময়না আর রানওয়ের পাশাপাশি তারেক মাসুদকে নিয়ে একটা পোস্টের খসড়া সাজছিল, কিন্তু একত্র করতে পারছিলাম না। মনটা খারাপ হয়ে যায় বারবার তাঁর কথা মনে পড়লে।

৫০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

এহসান সাবির বলেছেন: ছবিটা দেখি নাই। দেখে ফেলব।
রিভিউ ভালো লেগেছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান ভাই। আশা করি ভাল আছেন।

৫১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪

নিয়েল হিমু বলেছেন: আশ্চর্য !! আপনার উপর ক্ষেপব ?!! আপনার সাথে কথা বলতে সময় বার বার বিনয়ের কোথাও কমতি হয়ে যায় কিনা এই চিন্তায় অস্থির থাকি......

যাই হোক এবার আমার একটা নীতি বলি আপনাকে । আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঘটনার ভিতরে যেতে চাই । তার পরে সিদ্ধান্ত এবং কর্ম পদ্ধতি । একটা উদাহরন দেই মুভি লাইনে । ইনোসেন্স অব মুসলিম মুভিটা দেখেছেন ? (যেহেতু অনেক বছর পর মাটির ময়না দেখেছেন তাই সহজেই অনুমেয় ঐটা দেখেন নাই) আমিও দেখি নাই । আমার মত লক্ষ লক্ষ মানুষ না দেখেই পশ্চিমাদের গুষ্টি উদ্ধার করতে দেশের ভিতরে ভাংচুর শুরু করছে । ইউটিউব থেকে ১৬মিনিটের ট্রায়লের ৪মিনিট নামিয়ে দেখে পরে সিদ্ধান্ত নিছি যে না এই মুভি সত্যিই ধর্মকুটুক্তির মুভি । এবং দোয়া করছি আল্লাহ তাদের জ্ঞান দিক । তো আগে ঘটনার ভিতরে যাবেন তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হিমুভাই যে কী বলেন না! আমি বরং আপনাকে শুধু ক্লোজ ভাই এবং সত্যি সত্যি সহকর্মী হিসাবে বিবেচনা করি।যদি কেউ জিগ্যেস করে, তোমার সারা জীবনের ক্লোজ মানুষগুলার নাম বলো, বেশ কয়েকজন ব্লগারের নামও আসবে। তাদের সাথে দেখা হয়নাই, কথাও হয়নাই, অথচ আসবেই তাদের নাম। আপনিও তাদের একজন।

ইনোসেন্স দেখার তো প্রশ্নই ওঠে না। তবে সেটার ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ দেখেছিলাম। ওটাতেই পুষে গেছে। যেমন ট্রেলার দেখে আপনার।

আর ওইযে, মানুষের মুখের উপর নির্ভর করে মাটির ময়না দেখিনি এটা যেমন সত্যি কথা, আবার সেই ক্লোজ মানুষদের মুখে ভাল কথা শুনেই সেটাও দেখেছি।

কিছু মানুষের চলে যাওয়াতে শূণ্যতা বোধ হয়। হুমায়ূন আহমেদ, তারেক মাসুদ, ইমন জুবায়ের তাদের অন্যতম।

৫২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২

নিয়েল হিমু বলেছেন: কিছু মানুষের চলে যাওয়াতে শূণ্যতা বোধ হয়। কিছু মানুষের চলে যাওয়াতে....

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ...নিজেকে অপূর্ণ মনে হয়।

৫৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ইদানিং ব্লগিংয়ে অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় অনেক পরে রিভিউটি আমার চোখে পড়েছে। এক কথায় দারুন রিভিউ, লিসানি ভাই। এককথায় প্রকাশ : রিভিউটি সিনেমাটির চাইতে উৎকৃষ্টতর।

Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.