নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
এই লেখা কোনওক্রমে যদি আমার ফেবু বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীদের চোখে পড়ে... বিষয়টা নিয়ে একটু ভয়ে ভয়েই আছি। হাজার হলেও, ফেবুতে আমি মোল্লা মানুষ। সামু নিয়ে ভয় নেই, এখানে জাত বিজাতে কিচ্ছু এসে যায় না। কৃতজ্ঞ, সামু আমার কাছে অনেকটাই লালনের আখড়ার মত, তুমি কে, তুমি কী, কিসসু এসে যায় না- এসো, সুর ধরো অথবা পাশে দাঁড়িয়ে তাল দাও বা নাক কুঁচকাও, কিসসু এসে যায় না।
সামুর থিমটা তুমি আমি পাশাপাশি টাইপ, তাই ফেবুতে না লিখে সামুতেই...
ছেলেবেলাতে তো নয়টা স্কুলে পড়েছিলাম।
বাপধনের চাকরির সাথে টৈটৈ করে সারাদেশ ঘোরা। স্কুলপ্রতি তিনমাস থেকে বড়জোর টেনেহিঁচড়ে দুই বছর।
তো প্রথমদিকে হেব্বি গুডবয় গুডবয় ভাব ছিল আমার মধ্যে। বাঁশে ঘুণ ধরতে আর কদিন লাগে?
সেই গুডবয়কালে, ক্লাস সিক্সে আমাদের নবনিযুক্ত ধর্ম স্যার এসে বেশ আমোদিত কন্ঠে জিগ্যেস করেছিলেন, কালকে/পরশু তো তাজিয়া মিছিল বের হবে, যাবে না তোমরা?
স্কুলপড়ুয়া ছেলেরা বিদ্যান হয়। স্যারের রঙেই সব বুঝে ফেলে। সব্বাই মাথা নাড়ে। যাবে না।
যাও না?
না স্যার।
স্যার দাঁড় করিয়ে করিয়ে জিগ্যেস শুরু করেন। যাও না? ছেলেরা সত্যিমিথ্যা বলে। আমি বললাম, কখনো যাইনি। স্যার বিশ্বাস করেন না।
তিরিশটা বছর কেটেছে। ঢাকার সবচে জমকালো তাজিয়া মিছিল পাশদিয়ে চলে গেছে, কখনো দেখার চোখ তুলে তাকাইনি। একবার শুধু পুরান ঢাকার সবচে বড় ইমামবাড়াটায় গেছিলাম কলেজে থাকতে। তাও বন্ধুদের শখ মেটাতে। এর সাথে জগন্নাথ হলে পূজায় যাওয়ায় কোন তফাত ছিল না আমার কাছে। দুটাতেই অপ্রস্তুত এবং কিছুটা নতুন রীতি দেখার সাথে সাথে বোরড ফিল করেছিলাম। (দূর্গাপূজার মন্ডপে বহুত গেছি, সেটা আবার অস্বীকার করছি না। তবে, উৎসব দেখতে। বদমায়েশি করতে নয়। নিতান্তই নাদান মনোভাব।)
আমরা হলাম, যাকে বলে রীতিমানা মুসলমান। অন্তত নীতিগতভাবে আমরা ধরে নিই, পারি বা না পারি, রীতি মানি। শরীয়তি।
সেই আমি স্ব-ইচ্ছায় আজকে নিজে নিজে একবার গিয়েই এলাম মার্সিয়া ক্রন্দনের মিছিলে। ত্যাগ তো মহানের কাজ, ওইসব আমার দ্বারা হবে না।
বিষয়টা যেন কেমন। নবী দ.' পরিবার বা আহলে বাইতকে যেমন নীতিগত গুরুত্ব দেয়ার কথা, তা মনে করতাম দিয়েই আসছি।
মনে পড়ে, বহু বলেছি, শিয়াদের এই কুফরি রীতি। নিজেকে আহত করা। আহাজারি করা। অনেক অনেক নতুন আজব কাজ করা।
আর শুনেই এসেছি, মুশরিক, মুশরিক।
আমরা সূফিতত্বে বিশ্বাসীরা অবশ্য শিয়াদের মুশরিক বলি না। আহলে বাইতের ভালবাসার বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের কোন মৌলিক দ্বিমত নেই। তবে প্রথম তিন খলিফা সহ অগুণতি সাহাবি রা. কে অস্বীকার ও অপমান করায় ও ইসলামের মৌলিক অনেক বিষয় অস্বীকার করায় তাদের কুফরি হয়, এটুকু অবশ্যই বলি।
কিন্তু এবার একটু বেশিই উলটপালট হল। আশুরা সববারই আসে। এবার একটু কীভাবে যেন এল।
জীবনভর শুনে এসেছি, কারবালার 'মর্মস্পর্শী কাহিনী', 'হৃদয় বিদারক', 'উম্মাদ করে তোলা', 'সুস্থভাবে সহ্য করা অসম্ভব...'। বিষাদ সিন্ধু কখনো পড়িনি। বাংলা সাহিত্যের সংযোজন হিসাবে কোন একদিন পড়ব- এরচে বেশি আকর্ষণ ছিল না।
আশুরার আগের রাত থেকে কয়েকটা সোর্স ঘেঁটে কীসব জানা শুরু করলাম। এখন তো সোর্স আঙুলের ডগায়। তুমি যা চাইবে, তাই পাবে। শুধু চাও। সাধুসন্তদের এই কথা এখন আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। ইনফো যুগ বলে কথা।
তো বিশ্বাস্য এবং নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে দেখতে দেখতে জানতে জানতে অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু করল। এদ্দূর? এদ্দূর তো ভাবিনি! আরো এদ্দূর?
প্রত্যয় হল। না। কারবালার ঘটনা এই কারণে হৃদয়বিদারক নয় যে, নবী দ.'র পরিবার নিহত হয়েছেন। বরং এই কারণে ভয়ানক এবং সত্যিকার 'হৃদয় বিদারক' টার্মের যোগ্য যে, একজন সৎ, মানুষই বলি, মহামহিম কথাটা উহ্যই থাক- একজন সৎ মানুষ কতটা সৎ হতে পারে, কতটা ন্যায়নিষ্ঠ হতে পারে, একটা লম্বা জীবনে কত কৃচ্ছতা আর কষ্ট করতে পারে, আর তারপর তার উপর এত বড় অত্যাচার কীভাবে সবংশ হতে পারে!
বাসায়ই একা একা শুয়ে বসে ঘাঁটছিলাম। দেখছিলাম।
কালকে রাত থেকে মনে হচ্ছিল শরীরটা আক্ষরিক অর্থেই ফেটে পড়বে। হাত পায়ের চামড়া ছিঁড়েখুঁড়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটবে এখানে সেখানে। আমার প্রচন্ড মানসিক প্রেশার হলে একটা কাজ অবশ্যই করি, প্রচুর জর্দা দিয়ে পান মুখে দিই। তামাকের পুরনো অভ্যাসের শরণাপণ্ণ হওয়া। নার্ভাস ব্রেকডাউন কখনো হতে দিই না। তা আমার জন্য খুবই খারাপ। অতীত বাজে হিস্ট্রি আছে।
পানের জোগাড় হল। একের পর এক মুখে দিচ্ছি। মাথা ঠান্ডার বদলে আরো উন্মাতাল হচ্ছে।
হৃদয়বিদারক মানে হৃদপিন্ড ছিন্নভিন্ন হওয়া। অনুভব হল, শরীরের ভিতরের এই অযুত কণার তাপ কমাতে না পারলে মারাই যাব। মাথার রক্তনালীগুলো ছিঁড়েই যাবে।
মনে হল সব পড়ে থাক। বেরিয়ে যাই। ঘুরে বেড়াই। এ পোশাকেই। প্রয়োজনে এও পড়ে থাক। কেউ না চিনুক। পথে গিয়ে ঘুরতে ঘুরতে কোথাও মরে পড়ে থাকি।
চোখ দিয়ে পানি পড়লে একটু পর মানুষের মনটা শান্ত হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, আরো ভারি লাগে। কখনো চোখ দিয়ে পানি পড়ে না, প্রচন্ড অস্থিরতা। বড় বড় শ্বাস নেয়া।
মনে হয় কিছু একটা করতে হবে। কিছু একটা। যদি প্রচন্ড বিটে গান শোনা যেত! ঘন্টার পর ঘন্টা... যদি দৌড়ানো যেত অনেকক্ষণ... ভাবলাম নেচেকুদে পাগলামি করে শরীরটা জুড়াই। তাপ উবিয়ে দেই। ক্লান্তিতে অস্থিরতা নাশ।
কিন্তু কোথায়? কীভাবে আর কী করে?
লাইট নিভিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে স্ক্রিনের উপর কাঁথা দিয়ে অন্ধকার করে নিয়ে হাত দুটা উপরে তুলে ঘরের ভিতর পায়চারি করলাম কিছুক্ষণ। পাগলামির খেলো ইচ্ছা। হচ্ছে না। হবে না। তোমার হবার নয়।
হঠাৎ বুঝতে পারলাম, এই 'মুশরিকগুলা' আসলে কী করে। প্রভু, এই 'কাফিরগুলা' কেন এমন করে।
দামামার শব্দে সম্মোহন এনে মনকে শান্ত করা। প্রচুর পরিশ্রম করে শরীরকে শান্ত করা। নিজের পিঠে চাকুছুরি চালিয়ে শারীরিক ক্ষত করে মনের ক্ষত পরিষ্কার করা। এবং অবশ্যই, একটা সামরিকতার আচ্ছাদন।
কুফরি রীতি। প্রাচীণ জঙলি রীতি। আরে দুনিয়াটা তো জঙ্গলই। আর আল্টিমেটলি আমরা সবাই জঙলি। আর কুফরির কথা কেই বা বলতে পারে? পাপ পূণ্যের কথা কাহারে শুধাই?
আজকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন করেই কেটে গেল। তারপর আক্ষরিক অর্থেই ছুটে গেলাম (অটো থেকে নামার পর) একটা মার্সিয়া মিছিলে।
ভীমবলে ঢোলের বাদন।
বাজনাটা শুধু ইয়া হুসেইন, ইয়া হুসেইনে সীমাবদ্ধ।
সবকিছু পাশ কাটিয়ে সেই বাজনার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাজাও, তোমার আমার অস্থিরতা শব্দাকারে বাতাসে ছড়িয়ে দাও।
চোখ খুলে দেখি, তৃপ্তি হয় না। অন্তত দেড় ডজন বাজিয়ে কী ক্রোধেই না বাজায়! চোখ বন্ধ করি। হাঁটু থেকে মাথার তালু পর্যন্ত দিদ্রিম দিদ্রিম আওয়াজ শকওয়েভ হয়ে গায় বাড়ি মারে।
চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকি। লজ্জিত, অপ্রস্তুত দেহে দাঁড়িয়ে থাকি। অনভ্যস্ত মুখে আউড়ে যাই। মনে মনে। শরীরের রক্তকণাগুলোয় সাউন্ড ওয়েভের আঘাত আসে। বুক কাঁপে। পেট-পা-গলা কাঁপে। সর্বাঙ্গ অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়ে দিয়ে বলে, ইয়া হুসেইন, ইয়া হুসেইন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিজেকে শান্ত লাগছে। আরে নিজের কথা বলার একটা জায়গা থাকতে হবে তো, আপনিই নাহয় সেই জায়গা।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০০
প্রীতম ব্লগ বলেছেন: ইয়া আহলে বাইত পাক!!! ইয়া আহলে বাইত পাক!!!!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ, আপনি তো সম্পূর্ণকে এক শব্দে নিয়ে এলেন। ভাল থাকুন ভাই। অগুণতি ধন্যবাদ আসায়।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার অনুভূতি উপলব্ধি ছুঁয়ে গেল ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা, মামুন ভাই। অবস্থার প্রতিকৃতি কোন না কোনভাবে এঁকে যেতেই হবে। ভাল থাকুন সব সময়।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১
আরজু পনি বলেছেন:
গতকাল বাচ্চাকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলাম, কিছু মানুষ দৌড়াচ্ছিল মিশিলে শরিক হবে উদ্দেশ্যে । বাচ্চা জিজ্ঞেস করছিল ...আমাকে অনেক আগে ফিরে যেতে হয়েছিল বাচ্চাকে বোঝাতে... খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম, গলা ধরে যাচ্ছিল বলতে...
'পান' কমাতে পারলেও ছাড়তে পারবেন না । কোনরকম স্ট্রেস বাড়লেই পান বেড়ে যাবে...তামাক বলে কথা । অবশ্য আপনি এ ব্যাপারে অনেকই ভালো বোঝেন ।
শুভকামনা রইল... ।।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মা-বাবার সঠিক কর্তব্যটা পালন করেছেন আপু।
দুনিয়াজুড়ে কত মানুষের কত রঙ, আমরা চাইলেই সন্তানদের মনে মানুষ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা জন্মে দিতে পারি, আবার চাইলেই ভালবাসার বীজ বুনে দিতে পারি।
আমি অবশ্য এরচে ভয়ানক একটা জিনিস ছেড়ে এসেছিলাম। লোপেজ ফাইভ। সাথে ছিল প্রোডেপ এবং কী একটা যেন।
কনসালট্যান্ট বলেছিলেন, ছাড়তে পারবেন না। হবে না। সমস্যা হয়ে যাবে। তাকে উপেক্ষা করে ভালই তো আছি। আর পান-সিগারেট বাদে প্রায়ই বছরও পার করেছি।
পুরোটাই তো নিউরোট্রান্সমিটারের বিষয়। নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই চলে।
তবে নার্ভে কী দিয়ে শক দিতে হবে এই শিক্ষাটা চলে এসেছে।
আশা করি এই দুর্বলতাও কাটিয়ে উঠব। উপায় নেই, একটা জীবন সুস্থভাবে পার করতে হলে সব ধরনের টক্সিন নেয়া বন্ধ করতে হবে তো।
ধন্যবাদ আপু, ব্লগে পেয়ে খুব ভাল লাগল।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
ইনফা_অল বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ......ইয়া হুসেইন, ইয়া হুসেইন।
রসূলুল্লাহ প্রতি আপনার মহব্বতের প্রতি সম্মান আল্লাহ কবুল করুন। আশুরা সম্পর্কে কিছু লেখা আপনার সাথে শেয়ার করছি।
রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইন্তেকালের প্রায় পঞ্চাশ বছর পর হিজরী ৬১ সালে কারবালার ময়দানে জান্নাতী যুবকদের নেতা, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রিয় নাতী সাইয়েদুনা হুসাইন রা. শাহাদাত বরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা একটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। ঘটনাক্রমে এ মর্মান্তিক ইতিহাস এ আশুরার দিনে সংঘঠিত হয়েছিল।
কিন্তু এটা নিয়ে বর্তমানে যে তাজিয়া বা শোকের মিছিল হয় সেটা কিন্তু কোন ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না। আর ইসলাম শোক পালনের এধরনের প্রক্রিয়া সমর্থন করে না।
আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা) ও তার সাহাবায়ে কেরাম যে আশুরা পালন করেছেন ও যে আশুরা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রেখে গেছেন তাতে কারবালার ঘটনার কোন ভূমিকা ছিলনা। থাকার প্রশ্নই আসতে পারেনা। কারবালার এ দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহবাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. আনাস বিন মালেক রা. আবু সাঈদ খুদরী রা. জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. সাহল বিন সায়াদ রা. যায়েদ বিন আরকাম রা. সালামাতা ইবনুল আওকা রা. সহ বহু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম জীবিত ছিলেন। তারা তাদের পরবর্তী লোকদের চেয়ে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার পরিবারবর্গকে অনেক বেশী ভালবাসতেন। তারা আশুরার দিনে কারবালার ঘটনার রণে কোন কিছুর প্রচলন করেননি। মাতম,তাযিয়া মিছিল, আলোচনা সভা কোন কিছুরই প্রমাণ পাওয়া যায় না।
আশুরার দিনে সাইয়েদুনা হুসাইন বিন আলী রা. এর শাহাদাত স্মরণে যে তাযিয়া মিছিল করা হয়, যে মাতম করা হয়, আলোচনা সভার ব্যবস্থাসহ যা কিছু করা হয় এর সাথে ইসলামী শরীয়তের কোন সম্পর্ক নেই।
রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কারো জন্ম বা মৃত্যু দিবস অথবা শাহাদত দিবস পালন করেননি। তারপরে তাঁর সাহাবায়ে কেরাম এ ধরনের কোন আমল করেননি। কেহ বলতে পারেন কারবালার ঘটনা যদি রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবদ্দশায় হত তাহলে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে এর স্মরনে শোক ও মাতম ইত্যাদির ব্যবস্থা করে যেতেন।
আসলে এ ধারনা একেবারেই বাতিল। কারণ রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবনে অনেক মর্মান্তিক ও হ্রদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর প্রিয়তমা সহধর্মীনি খাদিজা রা. র ইন্তেকাল তাকে সহ্য করতে হয়েছে। সাহাবীয়া সুমাইয়া রা. শাহাদত বরণ প্রতক্ষ করতে হয়েছে। তাঁর সামনে তাঁর একাধিক সন্তান ইন্তেকাল করেছেন। উহুদের যুদ্ধে তার প্রিয় চাচা ও দুধ ভাই হামযা রা. শাহাদত বরণ করেছেন। তিনি তার যে কত প্রিয় ছিলেন ও তার শাহাদতে তিনি যে কতখানি মর্মাহত হয়েছিলেন সীরাত পাঠক মাত্রই তা অবগত আছেন। তেমনি মুস‘আব বিন উমায়ের রা. সহ অনেক প্রিয় সাহাবী শহীদ হয়েছেন। তিনি তাদের জন্য অনেক ক্রন্দন করেছেনে। এমনকি ইন্তেকালের কয়েকদিন পূর্বে তিনি উহুদের ময়দানে তাদের কবর যিয়ারত করতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। সেখানে তাদের জন্য দু‘আ করেছেন। কিন্তু তাদের কারো জন্য তিনি শোক দিবস পালন করেননি।
উহুদ যুদ্ধের পর তিনি এক অঞ্চলের অধিবাসীদের দাবীর কারণে তাদেরই দ্বীনে ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্য তাঁর প্রিয় সাহাবীদের মধ্য থেকে বাছাই করে শিক্ষিত সত্তর জন সাহাবীকে সে অঞ্চলের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু ‘বিরে মাউনা’ নামক স্থানে শক্ররা আক্রমন করে তাদের সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের মাত্র একজন জীবন নিয়ে মদীনায় ফিরে এসে এ নির্মম ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এ ঘটনায় রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত ব্যথিত ও মর্মাহত হলেন যে, রাহমাতুললিল আলামীন হয়েও হত্যাকারীদের শাস্তি ও ধ্বংশ কামনা করে তিনি বহু দিন যাবত তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতে থাকলেন। কোথায়! তিনি তো এ সকল মহান শহীদানের জন্য কোন দিবস পালন করতে নির্দেশ দিলেন না। প্রতি বছর শোক দিবস পালন করতে বললেন না।
মুতার যুদ্ধে তার তিনজন প্রিয় সেনাপতি সাহাবী শাহাদত বরণ করলেন। যায়েদ বিন হারিসা রা. জা‘ফর বিন আবি তালিব রা. ও আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রা.। আরো অনেকে। যায়েদ বিন হারেসা রা. কে আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যন্ত ভালবাসতেন। রসূলুল্লাহর ভালবাসার স্বীকৃতি হিসেবে সকলে তার উপাধি দিয়েছিল ‘হিব্বু রসূলিল্লাহ’। ইসলামের দাওয়াতের শুরু থেকে তিনি সর্বদা আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছায়ার মত থাকতেন। আর জা‘ফর বিন আবি তালিব রসূলুল্লাহর চাচাতো ভাই ছিলেন। তিনি আলী রা. এর আপন ভাই ও সাইয়েদুনা হুসাইন রা. এর আপন চাচা ছিলেন। আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রা. রসূলের ঘনিষ্ঠ সাহাবীদের একজন ছিলেন। তাদের শাহাদাতের খবর মদীনাতে পৌছার পর রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতখানি শোকাবিভূত হয়ে পড়েছিলেন সীরাত ও ইসলামী ইতিহাসের পাঠক তা ভালভাবে জানেন। রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাদের জন্য শোক দিবস চালু করেছিলেন? না প্রচলন করতে বলেছিলেন? কখনো তা করেননি।
তারা তো ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই যুদ্ধ করেই জীবন দিয়েছিলেন। এ সকল মহাপ্রাণ সাহাবীদের সাথে তাঁর যেমন ছিল আতœীয়তার সম্পর্ক তেমনি ছিল দ্বীনে ইসলামের সম্পর্ক। কেহ বলতে পারবেন না যে তিনি তাদের কম ভালবাসতেন। তারপরও তিনি তাদের জন্য প্রতি বছর শোক পালনের ব্যবস্থা করলেন না।
এমনিভাবে রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম কতখানি ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছিলেন তা হাদীস ও ইতিহাসের কিতাবে সবিস্তারে বর্ণিত আছে। তারা তো প্রতি বছর দিবস পালনের প্রথা প্রচলন করলেন না।
এরপরে উমার রা. শহীদ হলেন, উসমান রা. শহীদ হলেন, শাহাদত বরণ করলেন আলী রা.। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম কারো জন্য শোক দিবস পালন করলেন না।
কারো জন্ম দিবস বা মৃত্যু দিবস অথবা শাহাদত দিবস পালন ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামের কথা হল মানুষ মানুষের হ্রদয়ে বেঁচে থাকবে, ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তার আমল বা কর্মের মাধ্যমে। বছরে একবার দিবস পালন করে কাউকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার কোন প্রয়োজন নেই।
তাইতো দেখবেন কত নবী-রসূল, সাহাবা, ইমামগন, আওলিয়া, ন্যায় পরায়ন বাদশা, মনীষি রয়েছেন যাদের জন্য জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালিত হয় না। কিন্তু তারা কি মানুষের হ্রদয় থেকে বা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে গেছেন? না, তারা মানুষের হ্রদয় দখল করে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে সঠিক ভাবে আমাদের ইসলাম বুঝা এবং পালন করার তৌফিক দান করুন। আমীন!
http://shomokalin.com/article/karbala-ashura ...অবলম্বনে
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই অনেক ভাল লাগল এই কমেন্টটা পেয়ে।
এতে আলোচনায় বসতে গেলে অনেক লম্বা সময় এবং অনেক মনোযোগ এবং কিছুটা হলেও বাড়তি পড়ালেখার দরকার পড়বে।
আল্লাহ চাইলে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।
এখন সংক্ষিপ্ত আলাপ রইল, পরে বিস্তারিত কথা হবে।
এ কথা তো সত্যি, এখানে অনেক বিষয় নবপ্রচলন আছে।
এ নবপ্রচলনের কোন বাস্তব প্রায়োগিক কারণও নেই, আর তার কোন প্রায়োগিক উপযোগীতাও নেই- স্মরণ ও প্রজ্বলন ছাড়া।
আহলে বাইতে রাসূল দ. তো আর সব সাহাবী রা. গণের সাথে তুলনীয় নন। যেমন রাসূল দ. সৃষ্টিতে কারো সাথে তুলনীয় নন।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
বেঈমান আমি. বলেছেন: অনুভুতির বর্ননা ভালো লাগলো।কেমন আছেন ব্রো?
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খুবই ভাল আছি ব্রো। আশা করি আপনিও।
ব্লগে সিজন একটু চেঞ্জ চেঞ্জ লাগছে।
জামাতিরা মনে হয় ভোল পাল্টেছে। এখন তারা আর সত্য, ন্যায়, সঠিক ইত্যাদি চায় না।
এখন তাদের পোস্টগুলো হচ্ছে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের মত।
সেইসাথে বেশ সাহিত্য সাহিত্য ভাব এসেছে।
খেয়াল করছেন?
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কথা হইলো ইসলামে উৎসব পালনে বাধা নাই যদি তা কুফরী না হয় বা খারাপ কাজ না হয়। দ্বিতীয় কথা ইসলামী শাসন ব্যাবস্হার সবচেয়ে বড় ত্রুটি হলো খোদ খলিফারাই ভালো কইরা এই ব্যাবস্হায় শাসন কইরা যাইতে পারে নাই।
এবং মুসলিম জাতীর সবচেয়ে বড় খন্ডিতকরন হয় এই কারবালার ঘটনা থিকাই কারন সাহাবী পুত্র এবং নবিজী সা: এর বংশধররা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ফলে যারা নৃশংস হত্যার শিকার হয় তারা ক্রুদ্ধ হয় যা বছরের পর বছর চলে আসছে। আর যারা সুবিধাভোগী মুসলিম তারা এই ক্রুদ্ধতাকে ধর্মের আদলে অবৈধ ঘোষনা করার চেষ্টা করে এবং যুদ্ধটাকে ইহুদী নাছাড়াদের ষরযন্ত্র বলেই চিহ্নিত করে।
এখন কথা হলো আপনি কোন পক্ষে যাবেন? ইসলাম সাম্যবাদের কথা বলে, ন্যায়বিচারের কথা বলে। কিন্তু আমরা সুন্নী শিয়া সেই প্রাচীন কাল থেকেই এক অবিচারের মাধ্যমে নিজেদেরকে কাফের মুশরিক বলে গালাগালি করি, বাড়াবাড়ি করি।
এই ঘাঁ, এই আবেগ কখনো শুকাবার নয়। যদিও কোনো পয়গম্বর আসবে না, তবে যদি কেউ মেটাতে চায় এই দূরত্ব তাহলে ধরে রাখবেন প্রতিক্রিয়াশীল চক্র কখনোই এই দুরত্ব ঘুচতে দেবে না।
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত করুন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উদাসী ভাই,
আপনার কমেন্টটা আসলেই এত ভাললাগল যে, তিনটা আলাদা দৃষ্টিতে আলাপটুকু করব। আপনার সাথে কথা বলতে পারা, আন্তরিকভাবে বলি ভাই, সৌভাগ্য। আলাদা তিন কমেন্টে। প্রথমটায় ননটেকনিক্যাল ঘটনামুখি সরলরৈখিক। দ্বিতীয়টায় টেকনিক্যাল, কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে। তৃতীয়টায়... একটা পোস্ট ঠিক করছিলাম, ওটা আর করা হবে বলে মনে হয় না, ওটার ড্রাফটটুকু।
কোরানশরিফ থেকে অন্তত একটা বিষয় দেখি, নিজের নবীদের হত্যা বা সরাসরি হেনস্থার বিষয়ে আল্লাহ চরম খড়গহস্ত।
তাঁর নবী-রাসূল আ. দের হত্যা বা পুরোপুরি হেনস্তা যারা করেছে, তাদেরকে অঞ্চলসহ তলিয়ে দিয়েছেন।
খেয়াল করবেন, কৃতপাপের জন্য (শুধু) আল্লাহ ডুবায় না।
স্বয়ং নবী বর্তমান থাকতে তার সামনে তার সাথে কৃতপাপের জন্য সে সবকিছু ডুবিয়ে ছারখার করে দেয়।
আর রাসূল দ. বলেছেন, এদের গায়ের মাংস আমার গায়ের মাংস, এদের গায়ের রক্ত আমার গায়ের রক্ত, আমাকে ভালবাস আল্লাহর জন্য আর- আহলে বাইত ভালবাস আমার জন্য, আহলে বাইতের মধ্যেও হাসান ও হুসাইন আমার প্রিয়তম, এদের সাথে যারা চুক্তিবদ্ধ হবে আমি তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ, এদের যে কষ্ট দিবে সে আমাকে কষ্ট দিবে, এদের প্রতি যারা যুদ্ধরত হবে আমি স্বয়ং আল্লাহকে নিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধরত।
ফাতিমা ও তার পরিবারের প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী যদি মাক্বামে ইব্রাহীম ও ক্বা'বার কোণা (যেখানের মর্যাদা সর্ব্বোচ্চ এবং যেখানে কথিতভাবে সবার পাপ মাফ হয় এবং আল্লাহর সবচে নৈকট্য পাওয়া যায় স্থানের মর্যাদায়) এই দুয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এমনকি নামাজরত অবস্থায় সিজদা দিয়ে সিজদায় মারাও যায়, তবু তার উপর জাহান্নাম ওয়াজিব অবস্থায় থাকবে।
হুসাইন আমার অর্ধাংশ, হাসান আমার অর্ধাংশ, আমি হুসাইন হতে, হুসাইন আমা হতে...
হাসান হুসাইন আমার উম্মতের প্রতি রেখে যাওয়া আমার আমানত।
আসলে নবী দ. পরিবার তো কখনোই সম্পদশালী অবস্থায় সময় কাটাননি। তাদের অজস্র সম্পদ ছিল, এসেছিলও, সেগুলো এমনভাবে বিলিয়ে বিলিয়ে দিয়েছেন যে পরের বেলায় খাবার শুকনা রুটিটাও ছিল না। এটা শুধু রাসূল দ.'র কখা না, তাঁর পরিবার রা., কাছের সাহাবী রা., সবারই।
একটা ভুল কথা হল, নবী-পরিবার রা. ক্ষমতায় আরোহন করতে চেয়েছিলেন। বিষয়টা এমন নয়। তাই হলে স্বয়ং আলী রা. প্রথম তিন খলিফার সংক্ষিপ্ত কলেবরের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য থাকতেন না। এঁরা নীতির সাথে কম্প্রোমাইজ করেন না, আর সবকিছুর সাথে করেন। একইভাবে ইমাম হাসান রা. কখনোই আমীর মুআবিয়া রা.'র সাথে চুক্তি করে মুআবিয়া রা.'র হাতে ক্ষমতা সুসংহত করতেন না। ইমাম হুসাইন রা. ও কারবালার প্রান্তর পর্যন্ত যখন যান, ততদিনে এজিদের শাসনামলের বেশ কিছু বছর সম্ভবত কেটে গেছে (সাম্প্রতিক দেখা নাই তাই এটা ঠিক বলতে পারছি না।)। এর পরও নবী দ. পরিবার ক্ষমতা দখলের একটা অ্যাটেমটও নেন নি কমবেশি ২০০ বছরে।
দ্বিতীয় বিষয় হল, ইমাম হুসাইন রা.ও ক্ষমতা দখল করতে চাননি। তিনি তা চাইলে মক্কায় অথবা মদিনায় একজনকেও বাইআত করিয়ে পাল্টা খিলাফাত শুরু করতে পারতেন। তিনি তা করলে অন্তত হাজার হাজার (যদি লক্ষ লক্ষ না হয়) সৈন্যবাহিনী তো তৈরি করতে পারতেন! সাথে নিয়ে রওনা করতে পারতেন।
কুফা থেকে এজিদের অত্যাচার ও জবরদখল ও ভীতির বিষয়ে ১০৭-১২০ টা চিঠি এসেছিল যেটার মূল উদ্দিষ্ট ছিল তাদেরকে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে মুক্ত করা। ইমাম হুসাইন রা. অত্যাচারিতকে সাহায্য করার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন, ক্ষমতা বা যুদ্ধ কখনোই নয়। এটা তাঁর উপর অবশ্যকর্তব্য ছিল।
শুধু নারী, শিশু আর নিতান্ত পারিবারিক সেবক-সেবিকা নিয়ে কেউ যুদ্ধে তো যায়ই না, যুদ্ধের সম্ভাবনাতেও যায় না। তাঁর যু্দ্ধের নূনতম ইন্টেনশন থাকলে হাজার হাজার যোদ্ধা নিয়েই হিজাজ থেকে রওনা দিতে পারতেন। উমার রা.'র সন্তান আবদুল্লাহ রা. অত্যাচার প্রতিরোধের উদ্দেশে নিজেই ২০০০+ বায়আত করিয়েছিলেন, অন্তত তাদেরকে বডিগার্ড করে যেতে পারতেন।
আর মাসটা ছিল জিলহজ্ব-মুহাররাম। এই যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাসে নবী পরিবারের সম্মানের সাথে যায় না, যে তারা যুদ্ধ করুন বা না করুন, সশস্ত্র অবস্থায় লোকবল নিয়ে কোথাও যাবেন।
ইমাম হুসাইনের প্রতি কৃত অত্যাচারের বিষয়ে সুন্নি-শিয়া নির্বিশেষে সবাই একমত। এ বিষয়ে পারস্পরিক পার্থক্য থাকা সম্ভব নয়। নেই।
কারণ ইমাম হুসাইন রা. তীরবিদ্ধ হতে হতে সোজা দাঁড়িয়ে থেকে বলছিলেন, তোমাদের মধ্যে কি কোন মুসলিম অবশিষ্ট নেই?
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: টেকনিক্যাল:
খলিফারা তো ভাল করেই শাসনকাজ চালিয়েছেন। খলিফা মানে হল প্রথম চারজন। সাহাবী রা. সবাই হলেন মুজতাহিদ। তাঁদের কোরান-হাদীসের অনুযায়ী নিজে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আছে যা সাহাবী ছাড়া গড়ভাবে আর কারো নাই। এই কারণে দুই সঠিকের মধ্যে মতভেদ হয়েছে, ক্ষেত্রবিশেষে যুদ্ধও হয়েছে।
তাঁদের শাসনকাল তো এত সুন্দর ছিল যা প্রায় মিথিক্যাল যুগে পড়ে যায়।
আর ইসলামী শাসন ব্যবস্থা মানে কিন্তু শুধু আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত পুস্তক, তার নির্ধারিত নবীর জীবনাচরণ নয়। বরং আরেকটা এলিমেন্ট যুক্ত হবে, তার দ্বারা সংরক্ষিত বিশেষ শাসক।
সাধারণ মানুষ যতই চেষ্টা করুক, বোমা ফাটাতে পারবে, একটা অঞ্চল দখল করে খেলাফত ঘোষণা করতে পারবে, এরচে বেশি কিছু করার তার সামর্থ্য নাই।
কারণ সে তার নিজের মনকে দমন করেনি। রাতে তার নগ্ন ছবি দেখার প্রয়োজন পড়ে, তার নিজের জন্য সম্পদের মোহ একটু হলেও আছে। তার একটু হলেও নিজের সম্মানের প্রতি খেয়াল আছে। তার মনে বিদ্বেষ ও হিংসা আছে। সে সদা-সর্বদা অটল পাহাড়ের মত সত্য কথা বলতে পারে না। নিজের ও শত্রুর মধ্যে বিচারে শত্রুকে অত্যাচারিত/হকদার পেয়ে শত্রুকে জিতিয়ে দেয়ার সামর্থ্য তার নেই।
তো এই রিপুদমন যার হয়নি, সে যতই চেষ্টা করুক না কেন, কখনোই খিলাফত করতে পারবে না। বরং সুযোগ পেলেই অপব্যবহার করবে। তখন ইসলামের শাসন ব্যবস্থার বদনাম হবে।
হ্যা, যদি মহামানব হয়ে যেতে পারে, প্রথম চার খলিফার মত নয়, তা সম্ভবও নয়, তাঁদের মনস্তত্ত্বের আলোকে, তাহলে অবশ্যই সম্ভব।
বাহ্যিক খিলাফত মিছরির ছুরি। বাহ্যিক খিলাফত পাপের আড্ডাখানা, যদি না তাতে আভ্যন্তরীণ খিলাফাত আগে থেকেই মহামানবিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে ভিতরে।
এই কারণেই জিহাদ নিজের সাথে আগে। নিজের সাথে জিহাদ না করে অন্যের সাথে করলে সেই জিহাদের ফল পুরোটাই উল্টা অপকর্মে লাগবে। যেখানে সে নিজে খারাপ হতে পারত, সেখানে এবার সে সমস্ত শক্তি ও সম্পদ সহ খারাপ হবে।
এবং এইটাই বারবার রিপিট হয়েছে মাত্র কয়েকজন ছাড়া। তাদের প্রত্যেকের জীবন দেখেন, তারা প্রত্যেকেই ছিল মানসিকভাবে বিশুদ্ধতম। এজিদেরই বংশধর উমার ইবনে আবদুল আজিজ রা., বাদশাহ আলমগীর, সালাহ উদ্দিন আইউবী।
সারারাত কাঁদত, দিনে রোজা রাখত, টুপি বুনে-কোরান লিখে তা বিক্রি করে খেতো, মাটির উপর ঘুমাতো, নিজের ভুল সাথে সাথে মেনে নিয়ে লজ্জিত হতো- ওই 'জিহাদি' লম্পটগুলোর বচন-বাচন-জীবনভঙ্গির সাথে বিন্দুমাত্র যায়?
তো এই ভোগী বনাম বিশুদ্ধর শিক্ষাই ওই হতাহতে প্রতিষ্ঠিত। আজো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও একই কান্ড হয়েছে।
আসলে এই 'এলিমেন্টগুলা'র সমস্যা এত প্রখর যে, তারা যেমন দুর্ঘটনাবশত কারবালায় এমন ঘটনা ঘটায়নি, তেমনি তারা যতবার সুযোগ পাবে, সাধারণ মানুষের জীবনে নরক ভেঙে আনবে। এটাই তাদের টেন্ডেন্সি। আজকে যদি এক হাজার বার এক হাজার সিচুয়েশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মত এক হাজার ঘটনা ঘটত, তারা এক হাজার বারই গণহত্যা করত।
কারণ, এটাই তাদের ড্রাইভিং ফোর্সের পরিণতি।
প্রত্যেকে চালিকাশক্তি দ্বারা চালিত হয়।
আর চালিকাশক্তি নির্ণীত হয় তার দ্বারা নির্ণীত ও বিশ্বাস করা নীতিশাস্ত্র ও নৈতিক বিশুদ্ধতার নিয়মিত চর্চার উপরে।
তাদের নীতিশাস্ত্রই তাদের নৈতিক কর্মকান্ডকে এইসব কাজের দিকে নিয়ে আসছে, নিয়ে আসবে, নিয়ে আসতে থাকবে।
এ থেকে মুক্তি নেই। এই তাদের অভিশাপ।
.....
প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এটা মিটাতে দিতে চাইবে না কথা সত্যি। আর মেটানো উচিত। তবে এতে মুসলিমের পরিচয়ও নিহিত আছে।
.....
'ইহুদি-নাসারা' 'দের' সামান্য অবদান অবশ্য ছিল। কিন্তু ওই অবদানের চেয়ে বড় বিষয় হল,কারা করল কীভাবে করল। আর এই না হওয়া যুদ্ধকে যুদ্ধ রূপ দিয়ে তারপর সেটাকে বৈধতা দেয়া হয়, মজাই তো এখানে।
.....
ভাই, সবাইকে পরিজ্ঞাতহৃদয় করুন তিনি।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
হারান সত্য বলেছেন: লিসানী ভাই,
সালাম
আপনাকে একটা ওয়েব সাইটে আমন্ত্রন জানাতে চাই।
এখানে কিছু মৌলিক গুরুত্বপুর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যে ব্যাপারে আপনারমত সচেতন ব্যাক্তিদের অংশগ্রহন একান্ত কাম্য।
আপনার কি সময় হবে এই লেখাগুলি পড়ে দেখার?
ধন্যবাদ
সাইটের ঠিকান: মহাসত্যের পথ
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সালাম ভাই।
এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, এই বিষয়টার জন্য আমি এর আগে ঢুকিনি।
অবশ্যই ঢুকব। আশা করি মতামত দেয়ার এবং বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ থাকবে।
পরবর্তীতে নেটলাইন অন করেই ঢুকব ইনশাআল্লাহ।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
হারান সত্য বলেছেন: হ্যা রেজিস্ট্রেশনের ব্যাবস্থা আছে - তবে তা খুবই সহজ। শুধুমাত্র একটা নিক, পাসওয়ার্ড আর ই-মেইল হলেই চলে। ইমেইল ভ্যারিফিকেশনের ঝামেলা নাই। এটা করা হয়েছে পড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য। আর আলোচনার জন্য আছে ফোরাম।
সবগুলি অধ্যায় শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আশা করি আপনিও এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন।
আশা করি আপনার অংশগ্রহন এই সাইটকে আরো সম্মৃদ্ধ করবে।
ধন্যবাদ
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই প্রথম অধ্যায় পড়লাম।
আমি আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না, কিন্তু বাস্তব কথা হল, এতটা সঙ্গোপনের কোন বিষয় তো নাই!
আমি প্রথম অধ্যায় পড়ার পর প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এবং এখানে যা লেখা আছে তাই দিতে হবে।
ধর্মের শিক্ষা আর বিজ্ঞানের শিক্ষা কিন্তু এক নয়। বিজ্ঞানের শিক্ষায় শিক্ষক যা বলবেন তাই আমাকে বলতে হবে।
ধর্মের শিক্ষায় আমাকে খেয়াল রাখতে হবে,
এখানে যা বলা হল, তা বলতে গিয়ে আমি ধর্মহারা হয়ে যাচ্ছি কিনা!
অর্থাৎ আপনারা ওই সাইটে কিছু বললেই আমি জবাব হিসাবে সেই কথা রিপিট করতে পারছি না।
কারণ,
উৎসগুলো খুব ভাল বলেছেন, অথচ অনুসিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সচেতন উম্মাহকে ভুল প্রতিপণ্ন করছেন।
অথচ রাসূল দ.'র উম্মাহ কখনোই সামষ্টিকভাবে ভুল করতে পারে না।
আমরা আপনাদের যে কোন মতবাদ জানতে রাজি আছি, কিন্তু সেজন্য বলতে রাজি নই যে, (উদাহরণ স্বরূপ), মহামহিম জিসাস ক্রাইস্ট আল্লাহর শরীক।
আসলে এভাবে সম্পূর্ণ পরিচয় এবং সম্পূর্ণ মতবাদ গুপ্ত রেখে অ্যাক্টিভিটি চালানো শেষ পর্যন্ত ফল দিবে না।
যদি সম্ভব হয়,
আপনাদের স্ট্র্যাটেজি বদলান।
সাথে থাকব তখন পুরোপুরি।
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০
বেঈমান আমি. বলেছেন: হুম ব্রো এখন ব্লগে ছাগু নাই সব শুশিল
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কিন্তু লুকায় রাখতে পারে না তো!
কথায় কথায় শিবির বেরিয়ে পড়ে।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৮
নিয়েল হিমু বলেছেন: ইতিহাস এত ডিটেল ভাবে জানিনা আমি তবে এই পোষ্ট পড়ে জানতে আগ্রহ হচ্ছে । মিরাজ থেকে নবী (দ) তো শহিদের সুসংবাদ নিয়ে এসেছিলেন । যাই হোক একটু help করেন
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আশা করি ভাল আছেন।
আপনার জন্য একটা পোস্ট রেডি করব। সম্ভব হলে আজকে রাতেই।
পোস্টটা করব না ভেবেছিলাম। একটু ড্রাফট করা আছে। কিন্তু প্রিয় হিমুভাই বলে কথা।
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কথা ঠিক, মানুষ মাত্রই ভুল আর তারাও মানুষ ছিলো এবং শুদ্ধতার কাছাকাছি রূপ ছিলো। মাঝে মাঝে খটকা লাগে যখন মুখফাটা কারো সাথে আলোচনা করতে বসি তখন নিজের কাছেই কেমন যেনো হীনমন্যতা তৈরী হয় চার সাহাবীর তিনজন স্বাভাবিক মৃত্যুতে মরে নাই। বেশ কিছু সাহাবী নিজেদের মধ্যে বাহাসে এমনকি যুদ্ধেও নাকি জড়ায়। যাই হোক, সময় অনেক এগিয়ে গেছে। এখন মানুষের মনে এত অস্হিরতা যে সেরকম সাধনা শুদ্ধতার ধ্যান জ্ঞান করবে সেই সময় টুকু নেই। যারা ইসলাম নিয়েই সাধানা চর্চা করেন তারা মাঝে মাঝে এমন কথা এবং কাজ করেন যে পুরো মুসলিম জাতীকে মাথা নত করতে হয়।
হয়তো এসব স হজ সরল কনসেপ্টই আমরা বুঝি না বা বুঝলেও প্রাত্যহিক জীবনে আমরা শয়তানের দ্বারা প্রলোভিত হই।
অসম্ভব সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ভালমানুষ মাত্রই আবেগী। আমার চোখে আপনি ভালমানুষ, এবং আবেগী তো অবশ্যই। আলাপচারিতায় কষ্ট পাবেন না, কারণ কোন ইন্টেনশনাল খোঁচার প্রশ্নই ওঠে না অন্যতম প্রিয় ব্লগারের প্রতি।
তিন খলিফার নিহত হওয়া:
এটাই তো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
এখন আপনি বললেন, ভালো করো।
একজন ইন্টারপ্রেট করবে এভাবে: অন্তত মানুষটা ভাল করতে বলে।
আরেকজন ইন্টারপ্রেট করবে এভাবে: এহ্, নিজের খবর নাই, খালি ভাল করার কথা বলে।
তো ঘটনা সঙ্ঘটন কখনো দ্রষ্টার উপর নির্ভর করে না, বরং সংঘটনকারীর উপর নির্ভর করে।
আমরা দ্রষ্টা, আমরা বড়জোর আমাদের ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে ঘটনাকে বিচার করতে পারব অথবা খুব বেশি হলে সংঘটকদের বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করতে পারব।
যারা বলছে, তিন খলিফাই 'অন্তদ্বন্দ্বে নিহত', তারা কিন্তু একটা বাস্তব ঘটনাকে বাস্তবতায়ই বলছে, সত্যও বলছে, কিন্তু সত্যর একটা প্রতিরূপ তৈরি করে নিচ্ছে, যে প্রতিরূপটা হল তাদের প্রচারযন্ত্রের/আদর্শের আগে থেকে ঠিক করে রাখা রীতি বা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি।
যে বিষয়টাকে তারা ভয়ানক লজ্জাজনকভাবে আমাদের চোখের সামনে উপস্থাপন করছে, ঠিক সেটাকেই আমরা দেখছি অসম্ভব সৌভাগ্য হিসাবে। এবং ঈশ্বরিক অলৌকিকতা হিসাবে।
তিন তিনজন খলিফা শহীদ হয়েছেন। তাঁরা সত্যের সাথে বিন্দুমাত্র কম্প্রোমাইজ করেননি।
যারা তাঁদের হত্যায় ছিল, তারা সবাই ছিল মুনাফিক, মুসলিম নয়। মুনাফিক ইসলামে এমন একটা টার্ম, যার মানে দাঁড়ায়, মুসলিম নাম নিয়ে মুসলিমের সামষ্ঠিক/আদর্শিক ক্ষতিকারী (এবং অবশ্যই, মুখে এক, অন্তরে আরেক)।
মুনাফিক মুসলিম হিসেবে বিবেচ্য নয়। কারণ সরলভাবে মুনাফিক মানে হল ছদ্মবেশী গুপ্তচর। আর মুনাফিকের অবস্থান সবচে খারাপ পাপীদের সাথে, সবচে ভয়ানক ও বিভৎস ঘৃণ্য পাপীদের সাথে।
এই তিন খলিফাই ৬৩ বছর বয়সে শহীদ হন (যতটা মনে পড়ছে)। রাসূল দ.ও ৬৩ বছর ছিলেন। তাঁরা সব সময় কামনা করতেন রাসূল দ.'র সর্ব পদাঙ্ক অনুসরণের। আর রাসূল দ. কামনা করতেন বৃদ্ধাবস্থার আগে চলে যাওয়া এবং আল্লাহকে সবাস্তবতা প্রকাশিত করার কারণে মৃততু। তাঁর জন্য এই শারীরিক শহীদের বাস্তবতা আল্লাহ রাখেননি তিনি যেহেতু প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, সর্ব অনিষ্ট থেকে তাঁকে রক্ষা করবেন। আর শেষ রাসূলের সম্মানের সাথে যায় না, যে তিনি কারো হাতে শারীরিকভাবে নিহত হবেন।
মূলত ৬৩ বছর বয়সে তিন তিনজন খলিফার শহীদ হওয়া তাঁদের আজীবন রাসূল দ.'র পদাঙ্ক অনুসরণেরই নামান্তর ও প্রামাণ্য পরিচয়। অনেকটাই আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ লক্ষণ।
আর শহীদ হওয়া তো তাঁদের জীবনের মূল আকর্ষণ ছিলই।
তিনজন খলিফার জন্য সম্ভব ছিল না, যে তাঁরা অন্যধর্মের কারো দ্বারা নিহত হবেন। তাহলে পতন হতো সাম্রাজ্যের। মুনাফিকের হাতেই তাই শহীদ হওয়া।
শহীদ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, তোমরা তাদেরকে মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত, তোমরা তা বুঝতে পার না এবং কবরে খোদায়ি রিযক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন।
আরো বলেন, যারা নবী, যারা সিদ্দিক (চিরতরে সত্যের উপর আদর্শিক ও ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠিত), যারা শহীদ, এবং যারা সামগ্রিক সৎকর্মশীল, এই চার ধরনের জনই হলেন রাদ্বিআল্লাহু আনহু (যাঁদের উপর আল্লাহ রাজি ও খুশি আছেন) ওয়া রা'দ্ব (এবং থাকবেন)।
এই মহাসম্মান থেকে আল্লাহ তাঁদের বঞ্চিত করেননি।
এই তিনজন সাহাবী শুধু নবী হওয়া থেকে বিরত ছিলেন। আর বাকি তিন ক্যাটাগরিই অলঙ্কৃত করেছেন।
আল্লাহর শেষ ধর্মকে অবিকৃত রাখার চেষ্টায় প্রাণ দেয়ার সম্মান থেকে তাই তাঁরা বঞ্চিত হলেন না।
সাহাবীদের পারস্পরিক মতভেদ:
অনেক মতভেদ হয়েছে, কিছু যুদ্ধও হয়েছে যেখানে উভয়পক্ষ সত্যের দুইটা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন।
যারা শেষ পর্যন্ত সাহাবী হিসেবে বিবেচ্য অথবা মুসলিম হিসেবে বিবেচ্য, তাদের সবাই কোন না কোনভাবে সঠিকের সাথে সম্পৃক্ত থেকে প্রাণপাত করেছেন। তবে একেবারেই সঠিকের বিপরীত দিকে যাদের যেতে দেখা যায়, তারা পরবর্তীতে ধর্মচু্ত হয়েছেন ধরে নিতে হবে।
মুসলিম সাধকদের অনুসিদ্ধান্ত:
হ্যা তাতো অবশ্যই। কেউ কেউ মোটাদাগে ভুল করে বসেন। তখন বুঝতে হবে 'তুমি সরল সহজ পথে আমাদের চালিত করো'... এই যে প্রার্থণা, এটা থেকে আল্লাহ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাদের আর সরল সহজ পথে চালিত করছে না, বা তাদের বড় ভুলের ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টি সরিয়ে রক্ষা করছে না। বরং তাদের আপন প্রকৃত স্বাধীনতায় ছেড়ে দিয়েছে, তাদেরই কোন অতীত ভুলের উপর ভিত্তি করে।
আর যারা প্রকৃতই তাঁর অনুসন্ধানী, সে যদি সর্বান্তকরণে সত্যি তাঁকে চেয়ে নিজের পথে এগুতে পারে, তারা দ্বারা বড় ভুল হবে না। এটুকু থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেই চলবেন।
ওই যে, আসলে কোন একটা স্ট্যান্ড থেকে তিনি বলছেন, সেটা ওই স্ট্যান্ড থেকে ঠিক থাকলেও অন্য স্ট্যান্ড থেকে ক্ষতির কারণ হয়। ক্ষতিটাও বাস্তবেই হয়ে যায়, তার ঠিক থাকাও বাস্তবেই দেখা যায়।
বিশেষ করে ইমাম গাজ্জালীর ফিলোসফি বিরুদ্ধ অবস্থান নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী কিছু মানুষের প্রচারণা চোখে পড়ে।
প্রথমত, ইসলামে ওপেন ফিলোসফির কোন অবস্থান নেই- যে পর্যন্ত বিষয়টা ধার্মিক।
কিন্তু বিষয়টা নিতান্তই ধর্ম-রিলেটেড না হলে ওপেন ফিলোসফিই জ্ঞানের জন্ম দেয়। কারণ ফিলোসফির অপর নাম ধরতে পারি অনুসন্ধিৎসা।
আর তিনি মূলত সেখানে যাদের রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন, তারা ছিল ধার্মিকভাবে ধর্মকে রিডিফাইনকারী।
এটা তাঁর অবশ্যকর্তব্য ছিল। কারণ ইসলাম নতুনভাবে রিডিফাইনের কিছু নেই।
নতুন করে রিডিফাইন করার মানে হল, ধর্মই ধ্বসে যাওয়া।
যেমন, আল্লাহর পরিচয়, আল্লাহর প্রকৃতি, আল্লাহর কর্মপদ্ধতি, নবী-রাসূল-কিতাবএরও পরিচয়-প্রকৃতি-কর্মপদ্ধতি ইত্যাদি।
এই বিষয়টাকে রুদ্ধ না করে তাঁর উপায় ছিল না।
তবে বিজ্ঞানের সাথে তাঁর দ্বন্দ্ব ছিল... এ বিষয়টার সত্যতা এখনো পাইনি। পেলে অবশ্যই ভালমত জানব এবং মুক্তভাবেই মতামত তৈরি করব।
আর এই বিশেষ প্রচারণার আরেকটা কারণ হল, ইসলামিক স্কলারদের হাত থেকে বিজ্ঞানকে সরিয়ে নেয়ার অন্যান্য যে এলিমেন্ট, সেগুলোকে ওভারলুক করার চেষ্টা বা সহজ কথায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। যখন বিজ্ঞান এর মূল পৃষ্ঠপোষক মুসলিম বিজ্ঞানীরা, সেই সময়ে হওয়া স্যাবোটাজগুলোই এর দৃষ্টান্ত।
সম্পূর্ণ জ্ঞান-নগরী এবং অকল্পনীয় বিশাল অনুবাদকেন্দ্র-লাইব্রেরি বারবার জ্বালিয়ে দেয়াই সেই স্যাবোটাজগুলো।
ইমাম গাজ্জালীর নিজের অগুণতি বই আজকে বিলুপ্ত।
এই বিলোপ কিন্তু গাজ্জালী করেননি, করা হয়েছে একের পর এক লাইব্রেরি জ্বালিয়ে। ইন্ট্রুডারদের দ্বারা।
আর সাধকদের উপলব্ধি তো সব সময়েই একটু সরে সরে থাকে। এটার সাথে অনেক কিছুই মিলানো সম্ভব নয়।
প্রকৃত সাধকরা তো একেবারে আক্ষরিকভাবেই একটা মহাচেতনার স্রোতের সাথে সচেতনভাবে যুক্ত থাকেন। ওই বিষয়টা এতই সাঙ্ঘাতিক যে, তাদের দ্বারা সার্বিক দৃষ্টিতে ভুল হওয়া একটা বিস্ময় হবার কথা।
আর আমরা তো সাধারণ মানুষ।
আমাদের ভুল হবে। ছোটখাট ভুল যা আল্লাহর সাথে করে ফেলব, আমাদের নিজের সাথে করে ফেলব, সেসব তিনি মাফই করে দিবেন ধরা যায় প্রায় সবক্ষেত্রে (তার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল)। শুধু সামগ্রিক ভুল ও দৃষ্টব্যমাত্রায়/প্রভাব পড়ে এ মাত্রায় অন্যের অধিকার হরণ হলে সেটার জন্য আটকাতে হবে।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনুভূতিগুলো লেখায় ছুঁয়ে গেলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
লোডশেডিং বলেছেন: ভালো অনুভূতি। সুন্দর পোস্ট
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
আল মাহদী ফোর্স বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ জানানো গেল না।বিস্তারিত জানুনঃ
ইমাম খোমেইনীর(রঃ) কাছে প্রশ্ন
প্রশ্নঃ কামাহযানী( তরবারী,চাকু, ব্লেড ইত্যাদি দিয়ে রক্তপাত করা), শাবীহখানী(কারবালার ঘটনা স্মরনে নাটক),রওযাখানী(শোকগাথা পড়া) এবং আযাদারী( শোক পালন) ইত্যাদি সং্ক্রান্ত ইমামের অভিমত কি?
উত্তরঃ বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যেন কামাহযানী করা না হয়।শাবিহখানীর মধ্যে যদি কোন হারাম বিষয়াদি না থাকে এবং তা মাজহাবের জন্য অবমাননাকর না হয় তাহলে এতে কোন বাধা নেই।যদিও রওযাখানী করাই সবচেয়ে উত্তম।আর মযলুমদের নেতার( ইমাম হুসাইনের আঃ) জন্য আযাদারি করা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বোত্তম আমলসমুহের অন্তর্ভুক্ত।
আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনেয়ীর কাছে কতিপয় প্রশ্ন ও তার জবাবঃ
১/ইমাম হুসাইনের(আঃ) শোক পালন করার ক্ষেত্রে চাকু মারার বিধান কি হবে?
উত্তরঃ মহান আল্লাহর নামে।বর্তমান কালে যদি তা(চাকু মারা) ধর্ম ও মাজহাবের জন্য অবমানননাকর হয় বা জীবনের জন্য ভয় ও বিপদের বা বিবেচনাযোগ্য শারীরিক ক্ষতির কারন হয় তাহলে জায়েয হবে না।
২/ যে পিতামাতা নযর/মানত করেছে যে,যদি মহান আল্লাহ তাদেরকে পুত্র সন্তান দেন তাহলে আশুরার দিনে তার মাথায় চাকু দিয়ে আঘাত করবে এবং ঐ পুত্র সন্তানটি বালেগ হবার পর আশুরার দিনগুলোতে চাকু মারবে,তাহলে এ নযর/মানত কি সহী হবে এবং পিতামাতার নযর/মানত অনুসারে আমল করা কি ঐ পুত্রের জন্য ফরয/ওয়াজিব হবে?
উত্তরঃ এ ধরনের নযর/মানতের সিদ্বান্ত অসুবিধাজনক।যে কোন অবস্থায়ই ঐ নযর/মানত পালন করা পুত্রের জন্য ওয়াজিব/ফরয হবে না।
৩/শোক পালন করার ক্ষেত্রে চাকু মারা যদি কার ইন্তেকালের জারন হয় তাহলে এ কাজ কি আত্নহত্যা ও পাপ বলে গন্য হবে?
উত্তরঃ মহান আল্লাহর নামে।জীবনের বিপদের আশংকা ও ভয় থাকা সত্বেও যদি কোন ব্যক্তি এ কাজ করার উদ্যোগ নেয় তাওহ্লে তা আত্নহত্যার শামিল হবে।
৪/ইমাম হুসাইনের(আঃ) জন্য শোক পালনের বাহানায় দেহের মাংশ ছিদ্র করা,তালা লাগানো এবং (ভারী) ওজন ঝুলানো কি জায়েয হবে যা ইদানিং প্রচলিত রয়েছে?
উত্তরঃ মহান আল্লাহর নামে। এ ধরনের কার্যকলাপের কোন ধর্মীয়(বৈধ) রুপ নেই;বরং এ কাজ গুলো জনসাধারনের চোখে মাজহাবের জন্য অবমাননাকর।
সুত্রঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/ahlebaitibest/29878703
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই,
আসলে এখনি তো আমার আর আপনার বিশ্বাস মিলে যাবে না।
তাতে কোন ক্ষতি বা সমস্যাও নেই।
এটুকু বলতে পারি,
শিয়াদের আহলে বাইত বিষয়ক কোন কাজে আমাদের কোন আপত্তি নাই।
যেটুকু মতপার্থক্য, সেটা তো খলিফা ও সাহাবা রাদ্বিআল্লাহু আনহুম নিয়ে।
সে বিষয়ে আলাপ করার মত মানসিক সামর্থ্যও নেই। তাই সেটা থাক। আর সেটা থাকলে যে বিষয় বাকি থাকে, তা হল আহলে বাইতে পাক!
তাঁদের মহামহিত মর্যাদার কারণে আপনারা যেসব রসম ও রেওয়াজ পালন করেন, সেটা তো ভালবাসায়। আর ভালবাসায় পাগলের জন্য/ বাহ্যিকজ্ঞানশূণ্যের জন্য তো কোন বিধিনিষেধ নেই।
শরীআতের ভিতরে থাকতে গেলে আপনাদের সম্মানিত ইমাম খোমেনি যা বলেছেন, তা তো আমাদের ইমামদেরই কথা।
সবচে বড় কথা, আমরা সচেতন সুন্নিরা মনে করি, শিয়ারা ইসলামের আরো এক মাজহাব। তারাও সত্যপন্থী। (*সাহাবা বিষয়ক কোন অবমাননাকর বিষয় না থাকাকালীন পরিস্থিতিতে।)
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় শিয়াদেরকে ইসলামের সর্বগ্রাহ্য পঞ্চম মাজহাব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে শত শত পাতার চিঠি আদান প্রদানের পর।
ওই আদানপ্রদানকৃত চিঠিতে বর্ণিত শর্তসাপেক্ষে আমরা তো সব সময়ই পাশাপাশি।
১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
আল মাহদী ফোর্স বলেছেন: ভাই,প্রক্রিত আহলে সুন্নাত কারা জানতে ক্লিক করুনঃ
Click This Link
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ। মতবাদের কিছু পার্থক্য সব সময়ই থেকে যাবে। সত্যপন্থী প্রতিটা মাজহাবই সঠিকপন্থী। সেটা হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলি, মালেকী বা শিয়া যাই হোক না কেন।
আপনারাও প্রকৃত আহলে সুন্নাত।
১৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমরাই আহলে ছুন্নাত , আর এটাই নবীজীর খাটি ছুন্নাত এর অনুসারি , ধন্যবাদ
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আগের দুটা কমেন্টের জবাব দেখলে অবশ্যই বিষয়টা পরিষ্কার হবে। আশা করি ভাল আছেন পরিবেশ বন্ধু ভাই।
১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬
নিয়েল হিমু বলেছেন:
১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬
নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাই আপনার এত ঋণ শোধ করব কিভাবে !
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পোস্টটা ঠিকঠাক করতে গিয়ে দেখি প্রচন্ড সময় লাগছে। কালকে ভোর পর্যন্ত করলাম, আজকে আবার সকাল থেকে মোটামুটি এখন পর্যন্ত। ভাবছি বিষয়টা একটু দেরিতে হলেও যেন সঠিকভাবে সুন্দরভাবে আসে।
একটু ব্রেক নিলাম ভাই।
কিছুদিন ব্রেক থাক। সপ্তাখানেক বা সপ্তা দুয়েক।
বিশেষ করে ঘটনাগুলো লেখা সম্ভব হচ্ছে না। খুব চাপ পড়ে যাচ্ছে। তবে ভাল মানের একটা লেখাতে নূনতম সবগুলো বিষয় তুলে আনার ইচ্ছাটা রইলই। অবশ্যই এক লেখায় একটা পূর্ণাঙ্গতা পাবেন আশা করছি।
২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
হারান সত্য বলেছেন:
আপনার এ্যাকাউন্ট লেভেল ৫ এ আপগ্রেড করা হয়েছে।
এখন সবগুলি লেখা কোন কুইজে অংশ না নিয়েও এক বারেই পড়তে পারবেন।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসংখ্য অগুণতি ধন্যবাদ ভাই। আপনি যে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন অযোগ্যের প্রতি, স্রষ্টা তার প্রতিদান দিন।
২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাজাও, তোমার আমার অস্থিরতা শব্দাকারে বাতাসে ছড়িয়ে দাও।
চোখ খুলে দেখি, তৃপ্তি হয় না। অন্তত দেড় ডজন বাজিয়ে কী ক্রোধেই না বাজায়! চোখ বন্ধ করি। হাঁটু থেকে মাথার তালু পর্যন্ত দিদ্রিম দিদ্রিম আওয়াজ শকওয়েভ হয়ে গায় বাড়ি মারে।
চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকি। লজ্জিত, অপ্রস্তুত দেহে দাঁড়িয়ে থাকি। অনভ্যস্ত মুখে আউড়ে যাই। মনে মনে। শরীরের রক্তকণাগুলোয় সাউন্ড ওয়েভের আঘাত আসে। বুক কাঁপে। পেট-পা-গলা কাঁপে। সর্বাঙ্গ অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়ে দিয়ে বলে, ইয়া হুসেইন, ইয়া হুসেইন।
ভাই, একেবারে কাঁদিয়েই ছাড়লেন।
আবেগকে খুব ধরে বেঁধে রেখেই পড়ছিলাম....
কপি-পেষ্ট অংশে এসে আপনাতেই চোখ ভিজতে লাগল। অফিসের কারো দেখাদেখির তোয়াক্কা না করেইগড়িয়ে পড়ল জল...
ইয়া হুসাইন- ইয়া হুসাইন....
আমার একটা ছোট লেখা ছিল..এ নিয়ে
"ফোরাতের পানিতে নেমে
ফাতেমা দুলাল কাঁদে
অঝোর নয়নে রে.."
+
কারবালা কারবালা
যায় বয়ে যায় বেলা
আজোতো হলনা জানা
সেখানে কি হল বলা!!!
আরো কতক লিখেছিলাম-আহলে বাইতের ওয়াস্তার আশায়।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সালাম!
আপনি নতুন করে আবারো আবেগাপ্লুত করে দিলেন।
আহলে বাইতে রাসূল দ.র কাছাকাছি আর কে আছে জগতে?
লেখাগুলো পোস্ট করুন না। কারবালার কথা পড়ার জন্যও চোখ চাই। পড়ার জন্যও সাহস চাই। সে সাহস মালিক চাহেন তো হয়েই যাবে।
কৃতজ্ঞতা আবারো ভৃগুভাই। আপনাকে আমি দেড় বছর আগেই খেয়াল করেছি ধর্মের বিষয়টাতে। অসম্ভব ভাল লেগেছে।
২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
ত্বাকী’র মোড় বলেছেন:
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় শিয়াদেরকে ইসলামের সর্বগ্রাহ্য পঞ্চম মাজহাব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে শত শত পাতার চিঠি আদান প্রদানের পর।
ওই আদানপ্রদানকৃত চিঠিতে বর্ণিত শর্তসাপেক্ষে আমরা তো সব সময়ই পাশাপাশি।
বিষয়টা কি আরেকটু ক্লিয়ার করে বলবেন???
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হল ইসলামের টিকে থাকা প্রাচীণতম বিশ্ববিদ্যালয়।
শিয়াদের কর্তৃত্বের সাথে আল আজহারের কতৃপক্ষের দীর্ঘদিন দলিল ও বিশ্বাসের নির্যাস বিনিময় এবং তার ব্যাখ্যা বিনিময় হয়েছে। অবশেষে সেই দলিল ও নির্যাসের ব্যাখা মানা অবস্থায় আল আহজার শিয়াদের পঞ্চম মাজহাব (স্কুল অভ থট) হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন, প্রথম তিন খলিফা এবং নবীদের সম্মানিত গৃহিনীদের বিষয়ে সম্মানিত মতামত না থাকলে আল আজহার এই স্বীকৃতি দিবে না।
রেফারেন্স আকারো আজো সেই উভয় পক্ষের সমস্ত দলীল রয়ে গেছে। চেষ্টা করছি লিঙ্ক দেয়ার...
আগে শুধু ফতওয়াটা। এইখানে জাফরি বা আশ শিয়া আল ইমামিয়্যাহ আল ইসনা আশারিয়্যাহ (অর্থাত বারো ইমামে বিশ্বাসী শিয়াদের যারা সাইয়্যিদুনা ইমামে পেশওয়া জাফরুস সাদিক রাদ্বিআল্লাহু আনহুর অনুসারী পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত তারা) ইসলামের আরো এক সত্যপন্থী মাজহাব হিসাবে স্বীকৃতি পান।
Click This Link
আর এইখানে তাদের মধ্যে বিশ্বাসের স্পষ্টকরনের কথা রয়েছে: দলিল বিনিময়ের ডকুমেন্টেশন-
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯
মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: ভাই, কি লিখবো বুঝতেই পারছি না!