নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐশী'র ভিতর জ্বিন ঢুকে যাওয়া ও সন্তান প্রতিপালনের নূনতম সাবধানতা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

এই পোস্ট লেখা শুরুর বড়জোর এক মিনিট আগে আমার বড় ছেলেটা বলল, একটা মেয়ের ভিতর জ্বিন ঢুকে গেছে, আর ও বাবা-মা'কে মেরে ফেলেছে। আমি কম্পিউটারে ছবি দেখেছি। ইরকম করে আছে।



ওর বয়স সাড়ে চার বছর। একটা মানুষ সারা জীবন কী করবে, কোন্ কোন্ ভয় আর কোন্ কোন্ আতঙ্ক তার ভিতরে ভর করবে, কোন্ কোন্ কু-সংস্কার আর নষ্ট ধারণার বীজ সে সারা জীবন বয়ে বেড়াবে, তা নির্ধারিত হয় এই বয়সে। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে।



অমিত সম্ভাবনা নিয়ে জন্মানো শিশুগুলো এই তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সেই পড়ে সবচে শক্তিশালী, জগদ্দল পাথরের তৈরি জিঞ্জিরগুলো। একজোড়া তুলতুলে ছোট্ট পায়ে তখন জিঞ্জির মনে হয় নূপুরের মতন। আস্তে আস্তে বয়স বাড়ে, পা-ও বড় হয়, আর পায়ের মাংস কেটে বসে এই ধাতব বাঁধন। এরই নাম সংস্কার।



এবং কু-ধারণা, অপবিদ্যার এইসব বস্তাপঁচা বোঝা ওদের মাথায় ঢুকিয়ে দেই আমরা। তাদের অতি নিকটের বাবা, মা, চাচা, ফুপি, দাদা-নানা এবং আজীবন আপনজনরা।



মানবশিশু অভিনেতা। গর্ভে থাকতেই তারা আমাদের কন্ঠস্বরের গঠন এবং আমাদের স্বররীতি বা ডায়ালেক্ট এমনভাবে টুকে নেয় যে, মানুষের জীবনে সবচে বেশি আপন হয় তার মা এবং মায়ের কাছের মানুষগুলোর ডায়ালেক্ট। এবং ইন ফ্যাক্ট, এটাই তার অস্তিত্বের অংশ হয়ে যায় মৃততুর আগ পর্যন্ত। কমবেশি ছমাস বয়স থেকেই তারা আমাদের মুখভঙ্গি নকল করে। মাস দশেক বয়স হলে আমাদের মত করে হাত ও পা বাঁকাতে চেয়ে না পেরে অন্য অঙ্গ দিয়ে সেটাকে বাঁকায়। এই ভয়ানক স্টেজের সবচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল তিন থেকে পাঁচ। এ বয়সে তার মনে যে রোলে অভিনয়ের সম্ভাবনাগুলো ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তারই কোন না কোন রোল সে পালন করে আজীবন।



ব্যক্তিগত জীবনে কিছু মানুষকে চিনি। এই মানুষগুলোর মনোজাগতিক গঠন আমাকে শিউরে তোলে।



১.

একটা মেয়ে, যার দু-তিন বছর বয়সে মা মারা যায়। বাবা তখনি বিয়ে করে। এবং নিজের অপরাধবোধ ঢাকতে বাবা কারণে অকারণে তাকে প্রচন্ডভাবে শারীরিক আঘাত করত। দরিদ্র।

মেয়েটাকে সাত বছর বয়সে কাজের মেয়ে হিসাবে পাঠানো হয়। বাচ্চাটা সর্বক্ষণ ভাল থাকে। সপ্তাহে এক থেকে তিনবার এমন সব কান্ড একাধারে করতে থাকে, যার ফলে তাকে শারীরিক আঘাত করার আগ পর্যন্ত কোন উপায় থাকে না। এই শারীরিক আঘাত না করলে সে এমনকি দুই-তিনদিন পর্যন্ত সব ওলটপালট করতে থাকে।

কিন্তু আঘাত করামাত্র, পনের মিনিটের মাথায় সে পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়। সবচে ভালভাবে কাজ করে, সবার সাথে অকল্পনীয় আন্তরিকতায় হেসেখেলে সময় কাটায় এবং এই ভাল থাকা দুই তিনদিন পরে পরের টার্ম আসার আগ পর্যন্ত।



২.

একটা ছেলেকে চিনি, যাকে চার বছর, পাঁচ বছর বয়সে বাবা তিনতলার ছাদে তুলে নিয়ে ফেলে দেয়ার হুমকি দিত। বাচ্চা ছেলে তো, বিশ্বাস করত, তার আপন জন্মদাতা পিতা তাকে ফেলে দেবে। তার বাবার চাওয়া একটাই, ছেলের সঠিকভাবে চলতে হবে এবং ক্লাসে ফার্স্ট হতে হবে। কারণ তাকে ডাক্তার হতেই হবে। এই বাবাটা ডাক্তার হতে পারেননি সামান্য ইন্টারভিউর গলদের জন্য। তিনি ঢাবি'র জুয়োলজির পড়ালেখাও ছেড়ে দিয়েছেন, অ্যাপ্রন পরা মেডিক্যাল স্টুডেন্টদের দেখে সমস্যা হত, এই কারণে।

বাবা তাকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়ার পথে যেসব কথা বলতেন, সেগুলো হল, তুই কোন কাজের না, তোকে দিয়ে পড়ালেখা হবে না, জীবনে পড়ালেখা ঠিকমত করতে পারবি না, মাথার মধ্যে গোবর ভরা। এমন ছেলে আমার দরকার নাই, নি:সন্তান থাকব। অত:পর... ফেলে দিব।



এই ছেলে সর্বমোট আটবার ফেইল করে তার পড়ালেখার জীবনে।



৩.

আরো একজন। মেল। সে চার-পাঁচ বছর বয়সে শিশুদের পারস্পরিক দলবদ্ধ বিকৃতকামে জড়িয়ে পড়ে। সে জানে, বিকৃতাম খুব গুনাহর কাজ। এই কাজ যে করবে, তার দোজখে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। সে খুবই খারাপ। তার আর কোন হোপ নাই।



সে যেহেতু খারাপ, তার যেহেতু আর বেহেস্তে যাবার আশাই নাই, সুতরাং। এই সুতরাং একেবারে তারুণ্য পর্যন্ত তাকে ভয়ানকভাবে ধাওয়া করে।



প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এই মানুষগুলোর প্রত্যেকেই বিশ্বাস করে, এই ভয়ানক অপঘাতগুলো সে ডিজার্ভ করে। এবং ডিজার্ভ করা বস্তুগুলো যে কোনভাবে টেনে আনে নিজের জীবনে।



আমার ছেলে কেন্ বলবে, একটা মেয়ের ভিতর জ্বিন ঢুকে গিয়েছিল? কেন্ বলবে, একটা মেয়ে তার বাবা-মা কে হত্যা করেছিল?



এই ছেলে আজীবন জ্বীনের ভয় পাবে। এই ছেলে আজীবন অন্ধকারে ভয় পাবে। আমি এমন মানুষ দেখেছি, যারা অন্ধকারে ভয় পায় না, কখনো অলৌকিকে ভয় পায় না। তার কোন ধরনের একাকীত্বের ভয় নেই। কারণ, তার মা। তার মা কখনো তাকে এই ভয়গুলো পেতে দেয়নি। চটকানা মেরে দূরে সরিয়ে দিয়েছে মিসলিডিঙ আত্মীয়স্বজনকে।



এবং এই ছেলের মনে যেহেতু খুব দাগ কেটেছে বাবা-মাকে হত্যা করা, এই বিষয়টা তার মনে ঘুরবে। তার মত লক্ষ শিশুর মনে ঘুরবে বাবা-মা হত্যা করা। আগে বাচ্চারা বলত, এমন করলে আমি আত্মহত্যা করব, এখন বলবে, বাবা-মাকে মেরে ফেলব। ক্ষতি কী, বিষয় তো একই। নিজে আত্মহত্যা করলেও বাচ্চার বাবা-মা মারা যায়। আর বাবা-মাকে হত্যা করলেও নিজের আত্মহত্যা করা হয়।



যারা এইসব আইডিয়া আমার ছেলের মাথায় ঢুকিয়েছে, ভদ্র সমাজের জন্য তাদের গলা টিপে ধরতে পারলাম না।

ভদ্রতা আমাদের খেলো।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: বেশ চিন্তাজাগানিয়া একটা পোস্ট। ভাবছি।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই জীবনে একটাই ইচ্ছা আছে। সন্তানকে ডাক্তার মোক্তার ইঞ্জিনিয়ার ব্যবসায়ী বানাবো না। মানুষ বানাবো।

যখন দেখি মানুষ বানাতে সমস্যা করছে কেউ, গলা টিপে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে সমস্যাকারীকে।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

খাটাস বলেছেন: ভাল একটা ব্যাপার নিয়ে লিখেছেন। আজকের শিশুরা বিকৃত মানসিকতা শিক্ষা পেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সহজেই বোঝা যায়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সামুব্লগজুড়েরই আপনাদের হাতেগোনা কয়েকজনের মতামত দেখি। ভরসা পাই।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

মুজাহিদুল ইসলাম বলেছেন: খাটাসের সাথে সহমত।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুজাহিদ ভাইকেও কৃতজ্ঞতা। হ্যা, তাঁর কথাগুলো ভাল লাগে সর্বত্র।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

চটপট ক বলেছেন: ভাবনার বিষয়। কিন্তু শুধু কি ভেবেই যাবে সবাই, কিছুই কি পরিবর্তন হবে না??

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একটু একটু করে হবে ভাই। হঠাৎ করে তো কিছু হয় না। ধন্যবাদ রইল।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাবনায় পরে গেলাম লিসানি ভাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কান্ডারী ভাই, পারলে তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে বাবা-মাকে চব্বিশ ঘন্টা সময় দিতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক উন্নতির পেটে লাথি মেরে বাচ্চাকে সরাক্ষণ সময় দিতে হবে। শুধু এ দু বছর। কারণ, টাকা পয়সা কার জন্য? প্রচুর টাকা হল, ছেলেও অমানুষ হল- যোগফল শূণ্য না, মাইনাস হবে তখন।

শুভকামনা রইল। :)

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার হিসাবে বাচ্চা যত ছোটই হউক না কেন, সব সত্যিটাই শেখানো উচিৎ, আর যতটা সম্ভব গ্রোস জিনিস গুলো ওদের চোখের আড়ালে রাখা উচিৎ, আর কোন সত্যি যদি জানাতে না চাই, তাহলে সরাসরি বলা উচিৎ যে, তুমি বড় হও তার পর বলব

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটাই তো পারিবারিক দৃঢ়তা, একজন 'বড়'র ছোটদের মানুষ করার দৃঢ়তা। এটা না থাকলে সব ভেসে যায়।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন লিসানি ভাই ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কস মামুন ভাই! এই বিষয়গুলো আমাদের কাছে খুবই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র মানুষগুলোর কাছে সারা জীবনের বিষয়।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মাঝে মাঝে বাচ্চাদের পুরো জীবনের জন্য হয়ে পড়ে ইরিটেটিং। ধন্যবাদ ভাই :)

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭

মেলবোর্ন বলেছেন: মারাত্বক রকম বিষয় নিয়ে লিখেছেন লিসানী ভাই আমাদের দেশের মানুষের মনেহয় এত কিছু ভাবার সময় নাই বাবা থাকে উপরি ইনকামে ব্যস্ত আর মা হিন্দী সিরিয়াল গিলতে ব্যস্ত এইতো কিছুদিন আগের কথা ডোরেমনের প্রভাবে আমাদের বাচ্চারা হিন্দিতে কথা বলায় ওস্তাদ হয়েছিল। আমরা বাচ্ছাদের খালি এ প্লাস আনতে উৎসাহ দেই প্রশার দেই কিন্তু এ্ প্লাস ছারাও কোটি মানুষ দিব্যি ভালো আছে সেটা ভুলে যাই - ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেই না ধর্ম কর্ম তো আর পরে এর ফল আমরা হারে হারে ভোগ করছি জাতি হিসেবে।

আপনার ছেলেটা কেমন আছে? সুখবর আছে খুব ভালো একটা মহান আল্লাহ সবচেয়ে একটি ভালো উপহার দিয়েছেন আমাকে, ফেবুতে জানাবো শিগ্রই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমার শাহজাদা তো মাশাল্লাহ হিন্দি বিলকুল বোলতা হ্যায়। ঠেকানেকা কেউ তরীকা না রাহা।

কী করব? ডোরেমনের জন্য এমন করে যে, নিজেই ডিভিডি কিনে এনে দিয়েছি। দ্যাখ বাবা! বেশি করে দ্যাখ। ভাষা তোকে খাবে না, নিজে নিজেকে না খেলেই হল।

ভাই মালিক আপনাকে সুসন্তান দিন। তিনি সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে আপনাকে দান করুন।

ছেলেটা ভালই আছে। মাস্তানির সর্ব পদ্ধতি হাসিল করেছে। বাবার কাছে মাঝে মাঝে বকা খায়। আবার ভয়ও পায়। সেটার জন্য নিজেকে খুব অপরাধী লাগে।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে বিয়া শাদী করছেন? আপনার বাচ্চাও আছে? আমি তো মনে করছিলাম আপনে ভার্সিটি পড়ুয়া !

যাই হোক, টেনশন নিয়েন না। ছেলে পেলে ১৮ - ২০ পর্যন্ত চেক দেন। এর পর ওদের মাঝে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন হয়। ছেলে পেলে এই বয়সে যাও করুক না কেন তখন অদ্ভুত পরিবর্তন গুলো বেশীর ভাগই কাঙ্খিত হয়।


ভাইসতা আমার মানুষ হোক, এই দোয়া করি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি ভার্সিটি পড়ুয়াই। আশা করি আরো পনের বছর ভার্সিটি পড়ুয়া থাকুম।

আপনার এই আঠারো বছরের কথাটা খুব আশা যোগাল ভাই।
আমিও একটা বিশ্বাস করি, ছেলেপেলে পঁচিশ-ছাব্বিশ এ দারুণ ম্যাচিউর্ড হয়। হরমোনের ব্যালান্সে ঠিকঠাক আসে সবকিছু।

আপনার দোয়া আমার মনে গেঁথে গেছে উদাসী ভাই। আমার স্রষ্টার মনেও গেঁথে যাক।

১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

কালীদাস বলেছেন: আমি আপনেরে ব্যাচেলর ভাবছিলাম, সত্যি কইতে কি আমিও আপ্নেরে স্টুডেন ভাবছিলাম!! স্যরি।

আপনার লেখাটা মেলা চিন্তায় ফালায়া দিছে। যাউকগা; ভাতিজারে পার্ভার্ট এই মুভিগুলা থিক্ক্যা আরও কিছুদিন দূরে সরায়া রাখেন। এগুলা বাচ্চাদের মনে খুব খারাপ ইফেক্ট ফেলে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমার হাবভাব তো স্টুডেন্টই। আর আমি আইনগতভাবে এখনো কমসে কম তিন জায়গার স্টুডেন্ট... নানান জায়গায় রেজিস্ট্রেশন করা আছে। নানান কোর্স-গ্রাজুয়েশন-ডিপ্লোমায়। কোনটাতেই যাই না।

আর বয়স কিন্তু বেশি না। এখনো একত্রিশ শেষ হয় নাই। :)

আপনারে হঠাৎ পেলে মারাত্মক ভাললাগে। ভাতিজা ভাল থাকবে আশা করি। আমার ঠেলাধাক্কায়ও পড়ে।

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

আমি এক পাষাণ বাবার সন্ধান পাইছিলাম যে ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনদিন ওই ছেলেরে কোলে নেয় নাই , ইভেন অন্যরুমে একা ওই বাচ্চা ছেলেরে ঘুমাতে হয় ! একদিন কোন একটা কারনে রাগারাগি করে চায়ের কাপটা ওই তিন বছরের ছেলের মাথায় ঢেলে দিছে । আমি জাস্ট বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কৃতজ্ঞতা। দেরির জন্য দু:খিত, আমার নেট লাইন আসে যায়।

এখন নিজের উপর বিশ্বাস অনেক উঠে গেছে। কেন যেন মনে হয় আমিও এমন হয়ে যেতেই পারি। আসলে মানুষ যে কী করতে পারে, কী হতে পারে, তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই।

এই বাবাটা আসলে আমাদের হিসাবে পাষাণ। কিন্তু সে নিজের সাথে এত্ত যুদ্ধ করল, এত্ত যুদ্ধ করল যে দুর্বল মানুষটা আর পারল না।

এটা অনেকটা আমাদেরই ব্যর্থতা ও এড়ানোর প্রতিকৃতি।
মানুষ যে কখন কতবড় পাপ করে ফেলে, এর কোন গাছপাথর নাই। এটা এখন খুব বিশ্বাস করি।

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

রাফা বলেছেন: ৩/৪ এই বয়স তারপর ১২/১৪ আবার ১৮/২০ এই ট্রানজিশন পিরিয়ড গুলো খুবই সংবেদনশীল।এখানে কোন কিছু রেখাপাত করলে তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।

খুব ভালো পোস্ট..বরাবরের মত ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ, কেমন আছেন লিসানি ভাই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এখন এত্ত এত্ত ভাল আছি।

আসলে ক্ষেপে গেলে ব্লগে আবোল তাবোল বকি।
আজকাল একটু 'বড়' হয়ে গেছি। সত্যিকার পৃথিবীতে মন খুলে কাউকে কিছু বলতে পারি না। ভার্চুয়ালে আপনাদের কয়েকজনকে পেয়ে এটাই সত্যিকার পৃথিবী হয়ে গেছে।

যেখানে মনখুলে বলা যায় সেটাই সত্যিকার পৃথিবী হবার কথা।
আপনি খুব ভাল আছেন তো রাফাভাই?

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪০

নিয়েল হিমু বলেছেন: বাবার সাথে মায়ের সাথে বসে চাঁদ দেখতে হবে , পূর্ণিমা-অমাবস্যা দেখতে হবে এই বিষয়টাও মাথায় ঢুকিয়ে দেন ছেলেটার ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উফ, এই না হলে হিমু!

অসাধারণ কথা বলেছেন ভাই। ছেলেটা তো এখন অনেকটাই ভয় পায় আমাকে। একটু শাসন টাসন করি দেখে। শাসন না করে উপায় কী! এই পোস্ট লেখার দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে সে আমাকে খুন করার অফার করেছে... বার তিনেক। একবার বন্দুক দিয়ে, একবার ঘুষিয়ে ইত্যাদি।

১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১০

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: লেখাপড়ার পাশাপাশি সন্তানকে সামাজিক ও ধর্মীয় শিক্ষাই শিক্ষিত করলে প্রব্লেম হবার কথা নয়। ভাল থাকবেন

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটা বেসিক বিষয়। দারুণ বলেছেন তানভীর ভাই। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল।

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ৩-৫ বয়সের ব্যাপারটা জানা হল।আপনার ছেলে আপনার লেখাটা নিশ্চয়ই পড়বে একদিন এবং সচেতন হবে ভাই।তবে শিশুদের মানসিক স্বাস্হ্যে যত্নশীল হওয়ার প্রচারনা করার সময় এসে গিয়েছে সরকারের।যক্ষা,গর্ভবতী মা,এইচআইভি,মাদক,শিশুমৃত্যু প্রায় সবসমস্যা নিয়ে কাজ করে তো অনেক সাফল্য আসলোই।এবার শিশুদের সঠিক মানসিক বিকাশে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলেই, এখন সময় চলে এসেছে এই বিষয়টাকে সামনে আনার। শিশুর যত্ন নিয়ে অবশ্য ক্ষীণ প্রচারণা চলছে। প্রথম পাঁচ বছরের যত্নই সব, এমন ধরনের কথা বেশ দেখা যাচ্ছে।

এইজন্য অতি সচেতনদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরাও পারি, ব্লগ থেকে।

চমৎকার তিনটা সাজেশন দেখলাম ভাই পরপর তিন কমেন্টে। মনটা ভাল হয়ে গেল।

আশা করি শিশুর গড়ে তোলার বিষয় সামনে আসবে সরকারি বেসরকারি ভাবে।

বিশেষ করে শিশুরা যেন ভয়, ঘৃণা, অত্যাচার থেকে দূরে থাকতে পারে।

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৪

নিয়েল হিমু বলেছেন: বাচ্চাদের হাতে বন্দুক (খেলনা অবস্যই) দিলে তারা যে কাউকেই খুন করতে প্রস্তত থাকে ট্রিগার কাজ না করলেও মুখ দিয়ে সাউন্ড করেও পারে তারা । এটা নিয়ে টেনশিত হওয়ার কিছু নাই :)
আর কিল ঘুষি ? এইটার মত মজার মাইর পৃথিবীতে ৩য়টা নাই । [২য় হচ্ছে প্রেমিকার কিল ঘুষি :!> :!> (কপালে নাই :( ) ]
যাইহোক আপনাকে উপদেশ দেয়ার সাহস প্রকৃতি দেয় নি আমাকে শুধু বলি (আমি জানিই) পিতা হিসাবে যেটা করার সেটাই করবেন :)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ!
এভাবে দেখলে সবই সহজ হয়ে যায়। আসলে ভয় পাওয়াটাও একটা রোগ। শিশুরা শেষ পর্যন্ত সহজভাবেই বেড়ে ওঠে। শুধু মনে কোন প্রভাব যেন না থাকে এ নিয়েই সাবধানতা।


দৃষ্টিভঙ্গিটা অসাম লাগল ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.