নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
আয়াত ও বাণী
'জানার জন্য প্রশ্ন করো যারা জানে/স্মরণ রাখে/যিকর করে তাদের'- এই আয়াতের মাধ্যমে কুরআন এবং হাদিস এর উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও প্রশ্ন করার বিধান তৈরি হয় (২১:৬-৭)।
'এবং তাদের পথ অনুসরণ করো, যারা আমার দিকে ফিরেছে।' (৩১:১৫)- এই আয়াতে সুস্পষ্টভাবে মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ ইঙ্গিতবহ রয়েছে। কারণ, আমরা জানি, ধর্মবিধান যাঁরা লিখিত আকারে লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে মাজহাবের ইমামরাই সর্বসম্মতক্রমে-
* সবচে পূর্ববর্তী। (মাজহাবের ইমামদের আগে কেউ ইসলামিক ফাতওয়া এত বেশি পরিমাণে লেখেননি।)
*সবচে সার্বিক দিক দিয়ে সৎ ও সৎকর্মশীল। (তাঁদের জীবনী এই সাক্ষ্য দেয়।)
'এই সেই কুরআন যার মাধ্যমে আল্লাহ অনেককে পথপ্রদর্শন করেন এবং অনেককে করেন পথভ্রষ্ট।'- এই আয়াতের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে, কুরআনে থাকলেই বা হাদিসে থাকলেই তার যথেচ্ছ ইন্টারপ্রিটেশন করা সরাসির পথভ্রষ্টতার কারণ হবে।
'তোমরা যারা ঈমান এনেছ, মানো আল্লাহকে, মানো রাসূল দ. কে এবং তোমাদের নির্দেশদাতাদের।'- এই আয়াতের মাধ্যমে জীবিত মৃত নির্বিশেষে সুনির্দিষ্ট নির্দেশদাতাকে মানার আদেশ রয়েছে। নির্দেশদাতা চিনে নেয়ার লক্ষণও কুরআন শরীফে বর্ণিত হয়েছে।
'প্রত্যেক ব্যক্তিকে কিয়ামাতে তার ইমামের সাথে জড়ো করা হবে।', 'নিশ্চই আমার উম্মতের মধ্যে ১০ জন ইমামের আবির্ভাব ঘটবে।' সিহাহ সিত্তার এই দুই হাদিসে প্রমাণিত হয়েছে, ইমাম মানেই রাসূল দ. শুধু একা নন। আর মানুষ তার ইমামের সাথে উপস্থাপিত হবে।
'তোমরা বণী ইস্রাঈলের বাহাত্তর বিভাজন নিয়ে সমালোচনা করছ। কিন্তু জেনে রাখো, আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ বিভাজন হবে যার মধ্যে একটি জান্নাতি। আর তারা হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বা আমার জীবন ও আমার সাহাবা রা. গণের জীবনের অনুসারীদের দল।'- বুখারী সহ বেশিরভাগ গ্রন্থের এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলামে মুসলিম ছাড়া কোন পরিচয় নেই, এ কথায় সম্পূর্ণ হাদীসকে অস্বীকার করা হয়, ফলে তা কুফরি।
'আমি মানুষকে বিভিন্ন গোত্র ও জাতিতে বিভক্ত করেছি যেন তারা পরস্পরের পরিচয় জানতে পারে ও পরস্পরকে ডাকতে পারে।'- কুরআনের এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, মানুষ বর্ণগত জাতি, দেশ, ধর্মীয় গোত্রে বিভক্ত থাকবেই এবং এই বিষয়ের নির্ধারণকারী স্বয়ং আল্লাহ এবং তিনি এই বিষয় নির্ধারণ করেছেন এই জন্য, যেন পরস্পর পরস্পরকে বাঙালি/অবাঙালি, হানাফি/শাফিয়ি নামে আহ্বান করতে পারে।
'এবং তোমাদের মধ্যে যা মতভেদ রয়েছে আল্লাহ (শেষ দিবসে) তার সমাধান করে দিবেন।'- এ কথার তাফসির দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, একাধিক সত্য মতবাদ মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে যা নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব করবে।
নামাজের মধ্যে হাত কাঁধ পর্যন্ত না তোলা/ রাফে ইয়াদাইন না করা
জাবির ইবনে সামুরা রা., রাসূল দ. বললেন, ঘোড়ার অসার লেজের মত করে হাত তুলছ কেন? নামাজে মনোযোগী হও। (মুসলিম)
ইবনে মাসউদ রা., 'তোমাদের কি দেখাবো না কীভাবে রাসূল দ. নামাজ পড়েছেন?' এবং দেখানোর সময় শুরুর পরে আর কখনো তিনি হাত উপরদিকে তোলেননি। (তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী র. হাসান শ্রেণীভুক্ত করেছেন, ইবনে হাজম এবং আহমাদ শাকির র. সহীহ্ শ্রেণীভুক্ত করেছেন।)
আলী রা. প্রথম তাকবীরের সময় নামাজে হাত তুলতেন, তারপর আর নয়। (বায়হাক্বী। বুখারীর প্রধান ব্যাখ্যাকার ইবনে হাজর, জাইলাই এবং আইনী র. সহীহ্ বর্ণনাক্রমভুক্ত এবং সহীহ্ শব্দযুক্ত হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।)
খলিফা উমার রা., ইবনে মাসউদ রা. সহ আরো কয়েকজন সাহাবার নাম উল্লেখ করে ইমাম তিরমিযী র. বলেন, বেশিরভাগ সাহাবা রা. এভাবেই নামাজ পড়তেন।
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চই এ রাসূল আপন মন থেকে কিছুই বলেন না। যা বলে থাকেন, তা সরাসরি ওয়াহি হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেছেন, তোমরা পার্থক্য করো না আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র মধ্যে, তা করলে তোমরা ক্বাফিরুনা হাক্বা বা প্রকৃত খাঁটি কাফিরে পরিণত হবে।
রাসূল দ. বলেছেন, আমাকে তোমরা যেভাবে অনুসরণ করো, খুলাফায়ে রাশিদীনকে সেভাবেই অনুসরণ করবে।
তিনি আরো বলেছেন, আমার প্রত্যেক সাহাবা রা. আঁধার রাতে এক একজন নক্ষত্র। যে কাউকে পূর্ণ অনুসরণ করো, গন্তব্যে পৌছে যাবে। (উভয় সিহাহ সিত্তাহ অন্তর্ভুক্ত)
আমরা যেভাবে অযু করি
হজরত উসমান রা. বললেন, আমি কি তোমাদের দেখাব না, কীভাবে রাসূল দ. ওযু করতেন? তারপর তিনি তিনবার করে প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করলেন। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ওযু, হাদীস ২৩)
উমার রা.'র সন্তান সাহাবা আবদুল্লাহ রা. বলেন, রাসূল দ. বলেছেন, যে-ই ওযু করবে এবং মাথা মাসাহ্ করবে, তাকে আগুনের গলাবন্ধনী থেকে মুক্তি দেয়া হবে। (বুখারী শরীফের অন্যতম প্রধান ব্যাখ্যাকার ইবনে হাজর আস্কালানী র. তালখীসুল হাবীর এ এবং আল্লামা শাওকানী নাইনুল আওতার এ এ হাদীসকে সহীহ্ হিসাবে নিশ্চিত করেছেন।)
চামড়া বা নিশ্চিদ্র আবরণী ছাড়া অন্য কোন মোজা/ গ্লাভস (সূতা বা ছিদ্রযুক্ত) এর উপর দিয়ে মাসাহ্ করা যাবে না। আহলে হাদীস মোবারকপুরী সাহেব এবং আহলে হাদীসের ফাতওয়া নাজিরিয়া দ্বারাই এটা প্রমাণিত।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়
আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন,
* সূর্যের মাধ্যমে পড়া তোমার ছায়া তোমার দৈর্ঘ্যের সমান হলে যুহর,
* দ্বিগুণ হলে আসর,
* সূর্যাস্তের পর মাগরীব,
* রাতের এক তৃতীয়াংশ পেরুনোর আগে ইশা,
* রাত পোহানোর আগে অন্ধকার থাকা অবস্থাতেই পড়ো ফজর নামাজ।
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক র., প্রথম খন্ড, অষ্টম পাতা, নবম হাদিস।)
আমরা যুহর পড়ি একটু দেরি করে, কারণ সেটা অকাট্য আদেশ
কারণ রাসূল দ. বলেছেন,
তাপ যখন খুব বেড়ে যায়, যুহর নামাজ শুরু করতে দেরি করো, তাপ প্রশমিত হওয়া পর্যন্ত। কারণ নিশ্চই সূর্যের তাপ জাহান্নামের আগুনের একটা প্রকাশ (যন্ত্রণার কারণ)। (মুসলিম)
আসর পড়ি ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে নয়, সামান্য দেরি করে
কারণ ঠিক উপরের হাদীস এবং রাসূল দ. সূর্য সাদা থাকা পর্যন্ত এবং পরিষ্কার থাকা পর্যন্ত রাসূল দ. আসর পড়তে দেরি করতেন। (আবু দাঊদ)
ফজরের সময় আকাশ সামান্য উজ্জ্বল হওয়ার ক্ষণ
রাসূল দ. বলেছেন, ফজরের নামাজ পড়ো আকাশ উজ্জ্বল হওয়া শুরু করলে। কারণ, এটাই মহা পুরস্কারের সময়কাল। (তিরমিযী)
ইমাম তিরমিযী র. বর্ণনা করেন, বেশিরভাগ সাহাবী রা. এই সময়েই ফজর পড়তেন।
ইকামাত
রাসূল দ.'র মুআজ্জিন বিলাল রা. নামাজে একবার আযান দিতেন এবং একবার ইকামাত দিতেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, আতহারুস সুনান। হাদীস সহীহ্ শ্রেণীভুক্ত।)
রাসূল দ.'র আরো দুজন মুআজ্জিন আবু মাহজুরা রা. এবং সাওবান রা. এভাবেই আযান দিতেন যা লা-মাজহাবীদের 'ইমাম' শাওকানী র. দ্বারা ভেরিফাইড। হাদিস বর্ণিত নায়লুল আতহার এ।
মাথা ঢাকা/টুপি পড়া
উবনে উমার রা. বর্ণিত, রাসূল দ. সাদা টুপিতে মাথা ঢেকে নামাজে দাঁড়াতেন। (ইমাম সুয়ূতি র. বর্ণনা, নির্ভরযোগ্য হাদীস, সিরাজুম মুনীর গ্রন্থ) আহলে হাদীসের ফাতওয়া সুনাইয়া তে বর্ণিত, রাসূল দ. সর্বদা পবিত্র মাথা ঢেকে নামাজে দাঁড়াতেন।
কানের লতি/শেষ অংশ পর্যন্ত হাত তোলা
কাতাদা রা.- রাসূল দ. কে নামাজ পড়তে দেখেছি, কানের লতির সমান উচ্চতা পর্যন্ত হাত তুলতে দেখেছি। (মুসলিম)
নাভীতে হাত বাঁধা
সাইয়্যিদুনা আলী রা. যুক্ত করেন, রাসূল দ. নাভির উপরে এক হাত এবং নাভির নিচে আরেক হাত এভাবে নাভিতে হাত বাঁধতেন। (আবু দাঊদ, ৭৫৬)
মৃদু/শ্রবণসীমার নিচে/মনে মনে বিসমিল্লাহ পড়া
আনাস রা., আমি জীবনভর নামাজ পড়েছি রাসূল দ., তারপর আবু বকর, উমার এবং উসমান রাদ্বিআল্লাহু আনহুমের নেতৃত্বে। তাঁদের কাউকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে শুনিনি। (মুসলিম)
ইমাম ছাড়া অন্য নামাজীরা (মুক্তাদি) নিশ্চুপ থাকেন
যখন কুরআন পড়া হয়, নিশ্চুপ থাকো, শোনো। তোমাদের উপর করুণা বর্ষিত হবে। - কুরআন।
সাইয়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবু হুরাইরা, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল রাদ্বিআল্লাহু আনহুম বর্ণনা করেন, এই আয়াত দুই নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্দেশ করে, ১. বক্তব্যের সময় কুরআন পড়া, ২. নামাজের সময় কুরআন পড়া। (তাফসীর ইবনে কাসীর)
রাসূল দ. থেকে বর্ণিত, সারণি/কাতার সোজা করো, ইমাম তাকবীর বললে বলো, নিশ্চুপ থাকো, ওয়ালাদ্ দ্বল্লিন বললে আমিন বলো। (মুসলিম)
কিন্তু, ইমাম তাকবীর বললে সবাই যেমন মনে মনে তাকবীর বলেন, তেমনি ইমাম ওয়ালাদ্ দ্বল্লিন বললে সবাই নিশ্চুপভাবে আমিন বলবেন। একটা মনে মনে আরেকটা জোরে, এটা হতে পারে না একই বর্ণনার আলোকে।
সমবেত নামাজরত অবশ্যই সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন না
আতা ইবনে ইয়াসার রা.'র প্রশ্নের জবাবে জাইদ বিন সাবিত রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেন, ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজীর কোন সূরা পড়া নেই। (মুসলিম)
আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা., যে-ই ইমামের পিছনে দাঁড়াবে, ইমামের সূরা পড়া তার জন্য/তার পক্ষ থেকে পড়া হয়ে যায়। (বায়হাক্বী) + একা পড়লে তাকে নিজে পড়তে হবে। (আতহারুস সুনান, ৮৯ পৃ., হাদীস সহীহ্ শ্রেণীভুক্ত)
জাবির রা., যে এক রাকাতেও সূরা ফাতিহা পড়ল না, তার নামাজ ব্যর্থ। ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা নিজে পড়া অপ্রযোজ্য। (তিরমিযী, হাসান সূত্র, ইমামের পিছনে সূরা পাঠ না করা বিষয়ক অধ্যায়)
ইমাম বুখারী র.'র শিক্ষক ইমাম হাম্বল র. সূত্রে ইমাম তিরমিযী র. বলেন, একা নামাজ পড়লে সূরা ফাতিহা পাঠ্য। ইমামের পিছনে অপাঠ্য।
আমীন অবশ্যই অশ্রবণীয়/অনুচ্চ/মনে মনে পড়তে হবে
রাসূল দ. যে হাদীসে আমিন পড়তে বলেছেন, সেই হাদিসেই আল্লাহু আকবর পড়তে বলেছেন এবং রুকুর পর উঠলে আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ পড়তে বলেছেন। (মুসলিম)
অর্থাৎ, রাব্বানা লাকাল হামদ এবং আল্লাহু আকবার যেমন মুক্তাদি মনে মনে পড়েন, সেভাবে আমিন পড়তে হবে। অন্যথায় তিনটাই জোরে পড়ার কথা।
আবু মাআম্মার এবং উমার রা., ইমাম তাআউজ, বিসমিল্লাহ, আমীন এবং রাব্বানা লাকাল হামদ মনে মনে পড়বেন। (আইনী)
জলসাতুল ইস্তিরাহা, তাশাহহুদ
সংক্ষেপে, জলসাতুল ইস্তিরাহা যা আমরা করি, তার বর্ণনা আবু দাঊদ, বাইহাক্বী, নাসবুর রায়াহ্ এ রয়েছে।
রাসূল দ. বসার সময় (আত্তাহিয়্যাতু/তাশাহহুদ) আল্লাহ এক এই ঘোষণা পাঠের সময় বৃদ্ধাঙ্গুলির সাথে তর্জণী একত্র করে বৃত্ত তৈরি করে (শূণ্য) তর্জণী উঁচিয়ে বাকি হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে এক নির্দেশ করে আবার হাত স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতেন। (মুসলিম)
রাসূল দ. বলেছেন, নামাজে বসার পর এটা পড়ো (আত্তাহিয়্যাতু),
সকল মৌখিক, মানসিক ও শারীরিক উপাসনা শুধু আল্লাহর জন্য। আপনার প্রতি সালাত হে নবী দ., আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা ও আশীষ। আমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, শান্তি হোক আল্লাহর সকল সত্যপথিক দাসদের প্রতি। আমি সাক্ষ্যদাতা যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ দ. তাঁর পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারী ও রাসূল দ.।
(বুখারী, মুসলিম)
রাসূল দ. বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ দরুদ (রাসূলের প্রতি সালাত) হচ্ছে এটা, আর তিনি নামাজেও সাহাবা রা. দের এটা পড়তে বলেন (দরুদে ইব্রাহীম),
হে আল্লাহ, আপনার সালাত (সাল্লি আলা=সালাত বর্ষিত হোক) বর্ষিত হোক সম্মানিত মুহাম্মাদ দ. এবং তাঁর বংশধরগণের উপর, যেমন করে আপনার সালাত বর্ষিত হয়েছিল সম্মানিত ইব্রাহিম আ.' এবং তাঁর বংশধরগণের উপর (রাসূল দ.'র পূর্বপুরুষগণের উপর),
হে আল্লাহ, আপনার করুণা বর্ষিত হোক সম্মানি মুহাম্মাদ দ. এবং তাঁর বংশধরগণের উপর, যেমনকরে আপনার করুণা (বরকত, বারিক) বর্ষিত হয়েছিল সম্মানিত ইব্রাহিম আ. এবং তাঁর বংশধরগণের উপর।
তুলি দুই হাত, করি মোনাজাত, হে রহীম রহমান!
আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা. এক ব্যক্তিকে নামাজের আগে হাত তুলে মুনাজাত করতে দেখে তাকে নামাজ শেষ করতে দিয়ে পরে বললেন, নিশ্চই রাসূল দ. নামাজের পর মুনাজাত করতেন হাত তুলে। (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ অনুসারে এই হাদীসের বর্ণণাক্রমে বর্ণিত প্রত্যেক বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত এবং তাঁদের প্রত্যেকের হাদীস সহীহ্ ক্রমভুক্ত হয়েছে )
তারাবীহ্ এর অস্তিত্ব স্বীকার করে না 'আহলে হাদীস' রা
মাতা আয়িশা রা. বর্ণিত, রাসূল দ. রমজানে এবং রমজানের বাইরে রাতের নামাজ (রাতের নামাজ মানেই সালাতে তাহাজ্জুদ, ভোররাতে ফজরের অনেকটা আগে যেটা পড়া হয়) তা এগারো রাকাতের বেশি পড়েননি। শেষের তিন রাকাত ছিল বিতর, তাই আট রাকাত তাহাজ্জুদ।
এর মানে যে কোন একটা, হয় রাসূল দ. তারাবীহ্ পড়েননি, তবু উমার রা. তা আবিষ্কার করেছেন এবং উসমান রা. ও আলী রা. তা খুশি মনে মেনে নিয়েছেন (অসম্ভব কলঙ্ক) এবং তাঁর পরেও তা পালন করেছেন অথবা রাসূল দ. রমজানেও তারাবী পড়েও তারপর আবার ভোররাতে তাহাজ্জুদ পড়তেন।
অসংখ্য অগুণতি সহীহ্ হাদিস দিয়ে প্রমাণিত যে, তারাবীর নামাজ রাসূল দ. জামাতে দুদিনের পর তৃতীয়দিন পড়াননি এই শংকায় যে, তা তাঁর সম্মানে ফরজ হয়ে যেতে পারে।
উমার রা.'র আগ পর্যন্ত তা একা একাই পড়া হত। তিনি সেই শঙ্কার সময় মুক্তির কারণে আবার জামাত শুরু করেন। তিনিই তারাবীতে খতমের প্রচলন করেন। তারাবী সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্ , যা না পড়লে শাস্তিযোগ্য অপরাধ (পরকালে)। এর অস্তিত্ব অস্বীকার করা বা এর সাথে তাহাজ্জুদ গুলিয়ে নিয়ে আট রাকাত পড়া বা আট রাকাত তারাবী পড়াই সুন্নাত মনে করা সুন্নতে মুআক্কাদাহ অস্বীকার করার প্রতিশব্দ। যে আমল না করলে গুনাহ হয়, সেই আমল নেই মনে করলে তা কিছু পরিমাণে হলেও কুফরি।
উমার রা.'র হাদীস সহীহ সব গ্রন্থেই আছে। উল্লেখ অপ্রয়োজনীয়।
এরপর রয়েছে সুন্নাত, কাজা, বিতর, কুনূত, ঈদের নামাজ প্রভৃতি বিষয়। সেগুলোও এমনভাবেই বর্ণিত। প্রমাণিত। তবে এক মাজহাবের নামাজের রীতির সময় অন্য মাজহাবের বা যে কোন বর্ণনার রীতি মিশানো যাবে না। তাই এমন ব্যক্তির কাছে জেনে নিতে হবে, যে হানাফী কিনা তা আমরা নিশ্চিত।
নানা পদ্ধতি মিশালে কার্বন এর মত ঘোসো একটা মৌল দিয়ে একই সাথে যেমন হীরাও তৈরি করা সম্ভব আবার কার্বন মনোক্সাইডের মত সাইলেন্ট কিলার গ্যাস বা পটাশিয়াম সায়ানাইডের মত সবচে ভয়ানক সিন্থেটিক বিষও তৈরি করা সম্ভব।
ক্রম:
হাদিসের শুদ্ধতা ও সাধারণ্যে এক ভুল ধারণা। Click This Link
নামাজ, শুদ্ধভাবে নামাজ এবং নামাজের পদ্ধতি নিয়ে ইদানীংকার অস্বস্তিকর অস্পষ্টতা
Click This Link
তিনি (ইমাম আবু হানিফার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি)
Click This Link
আমরা যেভাবে নামাজ পড়ি (প্রমাণ পর্ব: প্রাসঙ্গিক বিষয়)
Click This Link
নামাজের ক্রমকাল নির্ণয়ে ভবিষ্যত পোস্ট: ইসলামিক টাইমলাইন
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই পরিবেশ বন্ধু। ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৩
ভ্রান্ত পথচারী বলেছেন: ভালো লাগলো,অাপনাকে ধন্যবাদ,অারো চাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। নামাজ নিয়ে মনে হয় এই সিরিজটা শেষ হয়ে গেল। হয়ত অন্য কোন সময় আবার এ নিয়ে লেখা আসবে। আপনারাও লিখুন। সব তো নেটে পাওয়া যাচ্ছে। নেট থেকেই লেখা।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫১
ভোরের বাতাস বলেছেন: আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ভাই আপনার প্রথম রেফারেন্স টা, ৪৩ নম্বর সুরার ৭ নম্বর আয়াতঃ এই অনুবাদটা তো কোথাও খুজে পেলাম না। এইটা কি অন্য কোন সূরাতে আছে? আর ভাই আপনি অনেকগুলো হাদীসেরই রেফারেন্স উল্লেখ করেন নাই। যদি উল্লেখ করে দিতেন তাহলে ভাল হত।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: "And We did not send before you except men whom We inspired to. So ask the People of the Reminder (Ahl-Azzikr / أهل الذكر ) if you do not know." (Qur'an 21:6-7)
শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী রহ. বলছেন,
এই বিষয়ে আমরা বহুবার আলোচনা করেছি। মুসলিম জাতি এক্ষেত্রে দুইভাবে বিভক্ত, প্রথমত, আহল আয যিক্ র। যারা স্মরণ করে, যিকর করে খোদার, যারা সবকিছু মনে রাখার চেষ্টা করে এবং বিশ্লেষণ করে, অপরদিকে যারা এই বিশ্লেষণকারীদের উপর নির্ভর করে।
Click This Link
কোনকিছু না জানলে প্রজ্ঞাবানদের প্রশ্ন করতে হবে: Click This Link
এই অসাধারণ সংশোধনের জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। এরই নাম ইন্টারাকশন।
ভাই অনেকগুলো হাদীস আমি স্মৃতি থেকে দিয়েছি। সত্য কথা সরাসরি বলতে তো কোন আপত্তি নেই। আমার পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে সেগুলোর রেফারেন্স দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যখন এগুলো জেনেছিলাম, রেফারেন্স সহ জেনেছিলাম।
প্রকৃতপক্ষে মূল কাজ বা বেশিরভাগ সময়ব্যাপী কাজ বা পেশাদারিত্ব যাদের ধর্ম বিষয়ে, তাঁরাই হাদীসের সাথে সাথে রেফারেন্স মুখস্ত রাখেন। আমাদের মত সাধারণ মানুষরা শুধু কথাটাকে বুঝতে পারলে সেটাকেই মনে রাখার চেষ্টা করি, এর বেশি কিছু নয়।
বাকীগুলোর রেফারেন্স রয়েছে। পোস্টকে অতি টেকনিক্যাল না করার জন্যই ইচ্ছা করে শুধু গ্রন্থের নাম তুলে ধরেছি। লেখার সময়ই আমার হাতে হাদীস নম্বর, পৃষ্ঠা নম্বর ইত্যাদি ছিল। কারণ আদতে কেউ সেই গ্রন্থ খুলে দেখবে না। যারা দেখার, তাঁরা অলরেডি একটা সিদ্ধান্তে আছেন।
এখানে তো টার্গেট অডিয়েন্স আমার মত সাধারণ মানুষ, যারা আরবি ঠিকমত পারিও না, নানামুখী পড়লেখা করতে গিয়ে তা সম্ভবও হয়নি। কখনো হাদীস খুলে দেখা বাস্তবতার জন্যই হয় না।
এই ধরনের মানুষ খুব সহজেই শুধু বুখারী বা মুসলিম শরীফের উদ্ধৃতিতে সারা জীবনের সবকিছুকে ভুল বিশ্বাস করতে রাজি। তাদের জন্যই আয়োজন।
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬
আরজু পনি বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা রইল লিসানি ।।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও অগুণতি ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫১
ভোরের বাতাস বলেছেন: সংশধোন এবং ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ভাই। ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
ডাব্বা বলেছেন: এটা ভাল একটা কন্ট্রিবিউশন হল।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮
মেলবোর্ন বলেছেন: লিসানী ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় কোরআনের আলোকে কি দেয়া যায় বিস্তারিত আর দিনের নামাজে যোহর ও আসরের সময় কেন আওয়াজ করে পড়া হয়না সেই বিষয়টাও যদি জানা থাকে কারন আমনা নামাজে যাই আল্লাহর স্বরন করতে কোরআন শুনতে বুঝতে এখন যদি না শুনি তবে নামাজের মুল ফয়দাটা কি হচ্ছে?
আর আমু ব্লগের আরেকখানে পোস্টের কমেন্ট গুলো Click This Link
ওদের অবস্থা যা হইসে দলবাইধা আসে ঝাপায়া পড়ে মুক্তমনার সব কি ঐখানে বসতি গাথছে নাকি?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোরআনের আলোকে কিন্তু আমরা সব ব্যাখ্যা করতে পারব না। কারণ এতে অনেক অনেক কিছুই গভীরভাবে লুকিয়ে আছে, যা বের করা সম্ভব না, বা বের করা সম্ভব হলেও অন্যের চোখে উপস্থাপন করা সম্ভব না।
আবার কুরআনে স-ব প্রয়োজনীয় বিষয় অনুপুঙ্খভাবে থাকবে, এটাও জরুরী নয়।
কুরআনে শুধু নামাজের নৈতিক নির্দেশনাই আমরা মোটাদাগে দেখি, কিন্তু ব্যবহারিক নির্দেশনা পাই খুব কম।
ব্যবহারিক নির্দেশনার পুরোটাই এসেছে হাদিস তথা সুন্নাহ থেকে।
দুই ওয়াক্তে যেহেতু নিরব এ পড়া হয়, এর পিছনে নিশ্চই কোন হিক্বমাহ্ আছে। তা হয়ত এই যে, ওই সময়টা ধ্যানমগ্ন থাকা। শূণ্যতে মগ্ন থাকার মহিমা অপার- যদিও ইমাম আমার পক্ষ থেকে পড়ছেন।
শূণ্যতে মগ্ন থাকা অসীম দরজা খুলে দেয়। বাণীর পুণ:পুণ: উচ্চারণের চেয়ে নিথর নিস্তব্ধতায় মহান স্রষ্টার প্রতি সমর্পণের আবেদন নিশ্চই কম নয়, এ কারণে দুই ওয়াক্তে নিরবতা আর তিন ওয়াক্তে সরবতা উঠে এসেছে। নিজে অনুমান করলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. সবচে ভাল জানেন।
তবে নিরবতার যে আলাদা মহিমা আছে, তা কুরআন শরীফ থেকে আমরা পাই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন মহান মূসা আলাইহিস সালামকে নির্জনবাস গ্রহণ করতে (সূরা বাক্বারা) এবং তিনি পূর্ণ নিরবতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন মারইয়াম আলাইহাস সালামকে (সূরা মারইয়াম) এবং দিন কতক মসজিদ বাসের পাশাপাশি নিরবতা অবলম্বন করতে বলেছেন যাকারিয়া আলাইহিস সালাম অথবা তাঁর পিতাকে (সম্ভবত সূরা মারইয়াম)।
নামাজ তো আল্লাহর ধ্যানও। তাঁর সাথে মিলনও। এখানে তাই অন্তত কিছুটা সময় থাকবেই, যখন কোন তিলাওয়াত, তাসবীহ্ তাহলীল আর যিকর থাকবে না।
হয়ত এই নিরবতাতে খোদার সাথে মিলিত হবার (মিরাজুল মু'মিনীন) রহস্যর কিছুটা লুকিয়ে আছে।
ভাই আমুব্লগে একটা রিঅ্যাকশন কিন্তু হয়েছে ঘটনাটার। প্রত্যাশিত, কিন্তু অনিশ্চিত ছিল বিষয়টা। দুই দুইজন ব্লগার ব্যান হয়েছেন, যদিও কোন ব্লগার ব্যান হোক, এই কামনা আমরা করি না, আশা করি কেউ এমন আচরণ করবে না।
এখন একটু নিশ্চুপ থাকতে হবে। হয়ত কিছু মানুষের একমাত্র উদ্দেশ্য হবে আপনাকে বা আমাকে ব্যান করা। সে সুযোগ দেয়া যাবে না। ক্ল্যাশে যাওয়া যাবে না।
আর অনুরোধ, যে-ই গালি দিবে, সেই গালির জবাবে, ইগনোরড কথাটাও লিখবেন না। একটা ফুলস্টপও লিখবেন না। সহব্লগার হিসাবে এই অনুরোধ তো করতেই পারি, কারণ এটাই কুরআনের আদেশ। যখন কেউ আল্লাহ-রাসূল-ধর্ম নিয়ে পরিহাস করে, সে স্থান ত্যাগ করো যে পর্যন্ত না সে স্থানের বিষয় পরিবর্তন হচ্ছে। আমি স্থান বলতে ধরলাম কমেন্টের ওই স্লটটাকে।
আমুব্লগে রাডিক্যাল আক্রমণ আগেও হত, কিন্তু সেটা এই মাত্রায় শুধু ধর্মকে উদ্দেশ্য করে করতে দেখিনি। সব সময় কথা থাকত এই, আক্রমণ করা হচ্ছে জামাতিদের। সরাসরি কখনো মুসলিমদের আক্রমণ করা হচ্ছে, এই অ্যাপ্রোচ ছিল না।
আপনার অনুমান ঠিক ধরতে পারি। দুটা সুনির্দিষ্ট ব্লগের আবেদন পড়ে যাওয়ায় (মুক্তমনা-ধর্মকারী) তারা সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন।
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
কাউন্সেলর বলেছেন:
+++++
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার একটি প্রয়োজনীয় পোস্টের জন্য শুভকামনা রইল।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্যও, কান্ডারী ভাই।
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২২
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আবারো প্লাস। প্রিয়তে নিলাম।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দু একজন ভাইয়ের কাজে লেগেছে, এটা কৃতজ্ঞ করল আমাকে। মালিকের কাছে অগুণতি শুকরিয়া।
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
শুধু ভালো লাগা দিয়ে গেলাম।
সময় করে পড়ে আবার ক্রিটিক্যাল মন্তব্য দেবো।
হালকা চোখ বুলিয়েই - জাষ্ট ওয়ান্ডারফুল। প্রাউড অফ ইয়্যু।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।
কৃতজ্ঞ বোধ করছি বিশ্লেষণী মন্তব্য পেয়ে।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২১
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
জ্বী ভাই, পড়লাম। মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। মুগ্ধ হলাম। আশান্বিত হলাম এই ভেবে যে সামুতে সঠিক আক্বীদার একজন সমমনা ব্লগার পেলাম। "সঠিক আক্বীদা" আস্তে আস্তে দূর্লভ হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ আপনার এই পোষ্ট।
চারিদিকে পরিকল্পিত বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক - দুই মাধ্যমেই।
বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে -
ইসলামের মৌল আক্বীদা নিয়ে
মহানবী স. এর জীবন ও চরিত্র নিয়ে
ইসলামের মৌলিক বিধান নিয়ে
ইসলামের ইতিহাস সহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে।
আশা করি এসব আপনার অবগতি আছে।
Undoubtedly, we are living in end times of history.
তাই এ সময়ে ঐ সব তৎপরতা যে চলবে তা' নবী করীম স. তার বাণীতে বলে গেছেন। ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার সুচতুর, সচেতন ও পরিকল্পিত অব্যাহত চেষ্টা যে চলবে তা' নিয়ে প্রচুর হাদীছ রয়েছে। আমার লেখা সিরিজ "কেয়ামত পূর্ববর্তী পৃথিবী ও ইলুমিনাতি এজেন্ডা"-তে আমি কিঞ্চিত আলোকপাত করেছি। না-পড়ে থাকলে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
Click This Link
মাযহাবের ব্যাপারে যা' বলেছেন তাতে একটুও অতিরঞ্জন নেই। যথার্থই বলেছেন। মাযহাব মানা প্রায় ফরজের কাছাকাছি। অত্যন্ত মেধাবী ও স্মৃতিশক্তির অধিকারী না-হলে মাযহাব মানা ফরজ। সবাই ইমাম গাজ্জালি হতে পারে না। তিনি কোন মাযহাব মানতেন না। তবে মাযহাবি ইমামদের প্রতি কোন অশ্রদ্ধাও তার ছিলো না। তিনি নিজেই একজন মুজতাহিদ। তাই সাধারণ মানুষ অবশ্যই মাযহাব মানতে হবে। নচেৎ সে পথভ্রষ্ট। বিভ্রান্ত। ক্ষতিগ্রস্ত।
কোরান হাদীছ ইসলামের ইতিহাস ক্লাসিক্যাল আরবী ভাষা ও ব্যাকরণ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় মন্থন করে ধর্মীয় বিধান দেয়া ৯৯.৯% মানুষের পক্ষে সম্ভবপর নয়। পার্সেন্টেজটা আরো অনেক বেশি হবে। শুধু বোঝাবার জন্যই বললাম।
তাই প্রসিদ্ধ বিজ্ঞ আলেম, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুজতাহিদদের অনুসরণ করাই নিরাপদ, বলাই বাহুল্য।
নামাজের মাসলাহ মাছায়েল বা নিয়ম কানুন নিয়ে যা' বললেন তা' আমার পূর্ব পঠন পাঠন থেকে ভিন্নতা নেই। মোবারক।
মে আল্লাহ ব্লেস ইয়্যু।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইলুমিনাতি বা এ ধরনের সঙ্গঠন নিয়ে আপনার করা বেশ কিছু পোস্ট পড়েছি।
আমারও তিন চারটা পোস্ট ছিল।
হ্যা, ইন্টারনেটের মত অস্ত্র ব্যবহার তো হবেই। রেডিও, টিভি, প্রযুক্তির মত অস্ত্র ব্যবহার তো হবেই। আরো বড় অস্ত্র হচ্ছে, যেগুলো দিয়ে প্রকাশ্যে কোন বার্তাই দেয়া হয় না, সেসব।
এখন কথাটাকে হয়ত হাস্যকর লাগবে, কিন্তু আপনার সাথে শেয়ার করি,
রাসূল দ. যখন কুরআন থেকে এবং স্বীয় আল্লাহ প্রদত্ত অদৃশ্যের জ্ঞান থেকে অতীতের নবী আ. দের অসাধারণ ঘটনা বর্ণনা করতেন, তখন দলে দলে দলিত মানুষ তাঁর কাছে যেত।
মক্কার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টাকে মনে করল শুধুই চিত্তাকর্ষক বাণী। গালগল্প। তারা পাল্টা গালগল্পের জন্য একজনকে নিযুক্ত করল, লোকটা পারসিক আর রোমান বিশাল সাম্রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। দারুণ মোহময়ভাবে, বাজনা, নৃত্য, গান সহকারে সেই ঘটনা সেই পথের উপরই বর্ণনা করা শুরু করলেন, যে পথ দিয়ে রাসূল দ.'র ঘরের দিকে মানুষ রওনা দিতো।
যতদূর জানি, এরই নাম মিসলিডিঙ এন্টারটেইনমেন্ট। এখন সেই মিসলিডিঙ এন্টারটেইনমেন্টের যুগ।
যে কোন কিছুই কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের মন-মগজকে আক্রান্ত করে। প্রতিটা বিষয় আমাদের নিউরনের প্যাটার্নে ছাপ ফেলে। এবং এন্টারটেইনমেন্টের আড়ালে থাকে সাবলিমিনাল মেসেজ (সম্ভবত আপনার একটা পোস্টে সাবলিমিনাল মেসেজের আরো ভাল একটা ধারণা পেয়েছিলাম)।
আক্বীদার কথা তো এখন সবচে সুপ্ত। ঈমান যেখানে ভঙ্গুর, সেখানে আকাঈদ বা ঈমানের মৌল-গঠন তো সুকঠিন হবেই।
হ্যা, ইমাম গাজ্জালী র. স্বয়ং একজন মহামহিম মুজতাহিদ, তাঁর মাজহাব অনুসরণের বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু অন্তত ৫০ বছর সঠিক গাইডেন্সে থেকে যিনি দিনে না হলেও ১২ ঘন্টা সঠিকভাবে ধর্মজ্ঞান অনুসন্ধান করবেন, তাঁর জন্য মাজহাব নয়- যদি তিনি আল্লাহর বন্ধু (ওয়ালীউল্লাহ) বা রাসূল দ.'র প্রকৃত ওয়ারিশ (প্রকৃত আলিম, যার মধ্যে রাসূল দ.'র জ্ঞানের পদ্ধতিতে বাহ্যিক জ্ঞান- কুরআন ও হাদীস এবং আভ্যন্তরীণ জ্ঞান- আল্লাহ কর্তৃক মাহফুজ হয়ে ইলহাম তথা ইলমে গায়িবের বর্ষণ আসে।) সেই আলিম হতে পারলে মাজহাব মানার কোন কারণ নেই।
কিন্তু সেই পরিমাণ নিখুঁত ইলম অর্জন করা কখনো গণিত দিয়ে সম্ভব নয়। গণিত, তথা কুরআন হাদিসের বাহ্যিক বাছ-বিচার, তাফসীর-শরাহ, রেওয়ায়েত-রাবী, হাদীস-তারীখুল ইসলাম তো থাকতেই হবে। সেইসাতে আল্লাহ কর্তৃক পথপ্রদর্শিত হতে হবে, যাঁকে আল্লাহ পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করেন।
নাহলে সারা জীবন জ্ঞানার্জন হবে সেইসাথে সারা জীবনই পথভ্রষ্টতা হবে। যার নিশ্চয়তা আল্লাহ দেন।
এই কারণে সাধারণ মানুষ (এমনকি যদি তার আজীবন ধর্মজ্ঞানের অনুসন্ধানে কেটে থাকে) তার উপরও মাজহাব বিনা প্রশ্নে ওয়াজিব।
আর ওয়াজিব ও ফরজের মধ্যে পার্থক্য প্রায় নেই।
আপনাকে এত সুন্দর আলোচনায় পেয়ে কৃতজ্ঞ লাগছে ভাই।
১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
জনদরদী বলেছেন: আপনার এই পোষ্টটি পড়ে খুব হতাশ হলাম । আপনার নামাজ, শুদ্ধভাবে নামাজ এবং নামাজের পদ্ধতি নিয়ে ইদানীংকার অস্বস্তিকর অস্পষ্টতা ১ শিরোনামের পোষ্টটি পড়ে খুব আশা নিয়ে বসে ছিলাম আমার মত আরবী না জানা এবং ইসলাম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ লোকদের সামনে সত্য উম্মোচিত হবে । কিন্তু না, আর মনে হয় তা হল না ।
আপনার প্রথম পোষ্টটি শুরু হয়েছিল সালাতে রাফে ইয়াদাইন নিয়ে আপনার নিকট আত্নীয়ের মন্তব্যকে নিয়ে । আপনি এই পোষ্টে রাফে ইয়াদাইন এর বিপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন ।
নামাজের মধ্যে হাত কাঁধ পর্যন্ত না তোলা/ রাফে ইয়াদাইন না করা
জাবির ইবনে সামুরা রা., রাসূল দ. বললেন, ঘোড়ার অসার লেজের মত করে হাত তুলছ কেন? নামাজে মনোযোগী হও। (মুসলিম)
আপনার হাদিসটি মুসলিম থেকে দেখে আপনার উপর থেকে বিশ্বাস হারালাম ।
বড় করে দেখতে
হাদীস গুলো বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টার থেকে প্রকাশিত সহীহ মুসলিম এর ২য় খন্ডের ২০৫ থেকে ২০৭ পৃষ্ঠায় আছে । আমি শুধু বাংলা টুকু সংযুক্ত করেছি । ৮৬৪ নং হাদীস বাংলা অনুবাদ না থাকায় সেটি বাদ দিয়েছি । সেখানে লেখা আছে "এই সনদেও উপরের হাদীসের (৮৬৩ নং) অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে ।"
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, সালাম। অনেক দেরি করে উত্তর দেয়া হচ্ছে। আসলে নেট লাইন ছিল না।
আমার উপরে বিশ্বাস রাখার তো কিছু নেই। আমার কাছে সবকিছু সরল, সবকিছু সাধারণ। বিশ্বাস আপনি রাখবেন মূলের উপর। পৃথিবীতে অসংখ্য ধর্ম, মতবাদ, বিশ্বাস, উপমতও আছে। ছিল, থাকবে।
রাফে ইয়াদাইন এর সরাসরি বিপক্ষে তো আমরা নই।
রাফে ইয়াদাইন করে নামাজ পড়া যাবে, তবে তা হাম্বলি মাজহাব এবং মাজহাবের ভিতরে থেকে। মাজহাব না মানলে নামাজ সুন্দরভাবে হবে না, এটা তো এই সিরিজে বারবার নানাভাবে প্রমাণ হয়েই গেছে।
সালামের সময় হাত ফিরানো বিষয়ে ওই হাদিসটি ছিল, জেনে এবার ভাল লাগল। এটা রাফে ইয়াদাইন কে সরাসরি নির্দেশ না করলেও, হাত চালনার দিকে নির্দেশ তো করে। আর রাফে ইয়াদাইন করা যাবে না, এ কথা তো কখনো বলিনি, বরং বারবার বলছি, রাফে ইয়াদাইন করতে হলে একেবারে মূলে গিয়ে সেভাবেই করতে হবে এবং সে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নাহলে মিশ্রণ হবে। মিশ্রণ মানেই দূষণ।
১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
নিয়েল হিমু বলেছেন: পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পরছিলাম তাই আর কমেন্ট করা হয় নি ।
যাই হোক পোষ্টের কলঙ্ক কিন্তু ঠিক উপরের কমেন্টটা । এটার জবাবটা দেখতে আবার আসব
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হিমুভাই, আশা করি ভাল আছেন। আসলে বিষয় হল, মানুষ নামাজ পড়ছে আদিকাল থেকে। সরাসরি তাবিয়ি ইমাম আবু হানিফা র.'র নির্দেশিত পথেই আমাদের উপমহাদেশে নামাজ পড়া হয়।
এটাকে সরাসরি ভ্রান্ত বলছেন তাঁরা, যা একটা ভয়ানক ফিতনা।
এই ছিল পোস্টের বিষয়। মূল বিষয় ঠিক রাখা গেছে, এতে আমি খুশি।
আর রাফে ইয়াদাইন বা হাত তোলার মূল কারণটা এইরকম,
কিছু মানুষ ছিলেন, যাঁরা সামাজিক-আর্থিক ও ক্ষমতাবলয়ের মুসলিম হবার আশায় নামে মুসলমান হয়েছিলেন।
তাঁরা এই ধরনের পৌত্তলিক ছিলেন যে, তাঁদের পুতুল পুজা সঠিক রাখার জন্য এবং নামাজে নামাজের মূল ভাবের বিরোধীতা করার জন্য বগলের তলায় ছোট ছোট পুতুল নিয়ে আসতেন।
এ বিষয় রাসূল দ.'র অজানা ছিল না। কারণ অজানা বা গুপ্ত বিষয় আল্লাহ পাক তাঁকে জানিয়ে দেন।
তিনি তখন কিছু সময় নামাজে হাত উপরে তোলেন বারবার, যেন পুতুল হাতের তলা থেকে পড়ে যায়।
এখন, মুসলমানদের মধ্যে তো পুতুল হাতের তলায় নিয়ে এই যুগে কেউ নামাজ পড়ে না। তাই এই প্রতিরোধ বিষয়ক পদ্ধতির প্রয়োগ অপ্রযোজ্য।
তার মানে এমন না, যে পদ্ধতি থাকবেই না। থাকতেই পারে, যেহেতু রাসূল দ. করেছেন। কিন্তু এখন নামে মুসলমান থাকলেও, তারা যে এমনভাবে বগলের তলায় মূর্তি নিয়ে ঘোরে, সে বিষয় আর নেই।
এ কারণে বিষয়টা সাধারণ মুসলিমদের জন্য আবশ্যক ও প্রযোজ্য নয়।
১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: @জ, ভাই ভাল. সি রি জ এ এই ফল বুঝি?
JAK PHONE THEKE BANGLA ONEK KOSHTO.
apni shuru theke FOLLOW korchen series.
no words TILL now.
EI HADITH TA AMI SHORASHORI RAFE YADAYIN ER OPPOSIT HISHEBE ANI NI . apnar REF dekhe AGROHO HOLO.
IT WILL B SOLVED
NOW, DO U HAV ANYTHING TO SAY ABOUT our way OF SALAAH?
(AND the other HADITHS? )
১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৯
জনদরদী বলেছেন:
নামাজের মধ্যে হাত কাঁধ পর্যন্ত না তোলা/ রাফে ইয়াদাইন না করা অনুচ্ছেদের (অংশের) পর জাবির ইবনে সামুরা রা. এর হাদীসটি লিখেছেন । তাই এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক এটা রাফে ইয়াদাইন না করা করার প্রমাণ স্বরূপ দিয়েছেন । কিন্তু সেই হাদীসটি বর্ণনার কারন প্রকৃতপক্ষে অন্য ছিল, যা আমার উপরের মন্তব্যে দেখিয়েছি । যাই হোক, আপনি পরে বলেছেন সেটা সরাসরি রাফে ইয়াদাইন বিপক্ষে আনেন নি । আপনি কি কারনে সেই হাদীসের আংশিক তুলে ধরেছেন সেটাও পরিষ্কার করেন নি ।
ভোরের বাতাস এর মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন "পোস্টকে অতি টেকনিক্যাল না করার জন্যই ইচ্ছা করে শুধু গ্রন্থের নাম তুলে ধরেছি। লেখার সময়ই আমার হাতে হাদীস নম্বর, পৃষ্ঠা নম্বর ইত্যাদি ছিল।। "
হাদীস নং ও পৃষ্ঠা নং যদি সংগ্রহে থাকে তবে সেটা দিলে ভাল হত।
নাভীতে হাত বাঁধা
সাইয়্যিদুনা আলী রা. যুক্ত করেন, রাসূল দ. নাভির উপরে এক হাত এবং নাভির নিচে আরেক হাত এভাবে নাভিতে হাত বাঁধতেন। (আবু দাঊদ, ৭৫৬
হাদীসটা পড়ে আমার সন্দেহ হল । তাই পরীক্ষা করে সঠিকটা জানলাম । হাদীস নং দেয়ায় কাজটা সহজ হল ।
বড় করে দেখতে
হাদীস গুলো বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত আবু দাউদ শরীফ- এর ১ম খন্ডের ৪১০ থেকে ৪১১ পৃষ্ঠায় আছে । আমি শুধু বাংলা টুকু সংযুক্ত করেছি ।
সমবেত নামাজরত অবশ্যই সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন না
আতা ইবনে ইয়াসার রা.'র প্রশ্নের জবাবে জাইদ বিন সাবিত রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেন, ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজীর কোন সূরা পড়া নেই। (মুসলিম) এ হাদীসটি অনেক খুঁজে পেলাম না । অনুগ্রহ করে এটার হাদীস নং বলবেন ।
[বিঃদ্রঃ আমি আরবী জানি না ; তাই প্রমাণের জন্য আমাকে বাংলা অনুবাদের উপর নির্ভর করতে হয় । ]
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখানে বিষয়টা কিন্তু একই থাকল।
যদি হাদিস সহীহ্ হয়, তাহলে বর্ণনাকারীদের সবাই বিশ্বাসযোগ্য হওয়ায় হাদীস নিজেই বিশ্বাসযোগ্য।
এই বর্ণনাকারী সাইয়্যিদুনা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহু হন, আর যিনিই হন না কেন, কথা একই থাকছে।
কথা থাকছে,
আলী রা. এভাবে নামাজ পড়েছেন।
মূল অর্থ হারাচ্ছে না।
মূল অর্থ সেটাই থাকছে, আলী রা. এভাবে নামাজ পড়ার কারণে এভাবে নামাজ পড়াটা ঠিক রয়ে যাচ্ছে। বর্ণনাকারীর শুধু বিশ্বাস্য হতে হবে, তাহলেই হল।
আমি আসলে দ্রুত অনুবাদ করেছি। ইংরেজি থেকে। রেফারেন্সগুলো যে দেয়া যাবে না, তা নয়, কিন্তু তাতে সময় লাগবে। সাময়িকভাবে এসেছি। আশা রাখি অবশ্যই দেয়া হবে। বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬
জনদরদী বলেছেন: সংশোধনঃ
নামাজের মধ্যে হাত কাঁধ পর্যন্ত না তোলা/ রাফে ইয়াদাইন না করা অনুচ্ছেদের (অংশের) পর জাবির ইবনে সামুরা রা. এর হাদীসটি লিখেছেন । তাই এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক এটা রাফে ইয়াদাইন না করা সপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ দিয়েছেন । কিন্তু সেই হাদীসটি কারন প্রকৃতপক্ষে অন্য ছিল, যা আমার উপরের মন্তব্যে দেখিয়েছি । যাই হোক, আপনি পরে বলেছেন সেটা সরাসরি রাফে ইয়াদাইন বিপক্ষে আনেন নি । আপনি কি কারনে সেই হাদীসের আংশিক তুলে ধরেছেন সেটাও পরিষ্কার করেন নি ।
ভোরের বাতাস এর মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন "পোস্টকে অতি টেকনিক্যাল না করার জন্যই ইচ্ছা করে শুধু গ্রন্থের নাম তুলে ধরেছি। লেখার সময়ই আমার হাতে হাদীস নম্বর, পৃষ্ঠা নম্বর ইত্যাদি ছিল।। "
হাদীস নং ও পৃষ্ঠা নং যদি সংগ্রহে থাকে তবে সেটা দিলে ভাল হত।
নাভীতে হাত বাঁধা
সাইয়্যিদুনা আলী রা. যুক্ত করেন, রাসূল দ. নাভির উপরে এক হাত এবং নাভির নিচে আরেক হাত এভাবে নাভিতে হাত বাঁধতেন। (আবু দাঊদ, ৭৫৬
হাদীসটা পড়ে আমার সন্দেহ হল । তাই পরীক্ষা করে সঠিকটা জানলাম । হাদীস নং দেয়ায় কাজটা সহজ হল ।
বড় করে দেখতে
হাদীস গুলো বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত আবু দাউদ শরীফ- এর ১ম খন্ডের ৪১০ থেকে ৪১১ পৃষ্ঠায় আছে । আমি শুধু বাংলা টুকু সংযুক্ত করেছি ।
সমবেত নামাজরত অবশ্যই সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন না
আতা ইবনে ইয়াসার রা.'র প্রশ্নের জবাবে জাইদ বিন সাবিত রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেন, ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজীর কোন সূরা পড়া নেই। (মুসলিম) এ হাদীসটি অনেক খুঁজে পেলাম না । অনুগ্রহ করে এটার হাদীস নং বলবেন ।
[বিঃদ্রঃ আমি আরবী জানি না ; তাই প্রমাণের জন্য আমাকে বাংলা অনুবাদের উপর নির্ভর করতে হয় । ]
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর রাফে ইয়াদাইন বিষয়ক কথাগুলো ১৩ ও ১৪ নাম্বার কমেন্টে পরিষ্কার করেছি।
আর ভাই,
হাদিসটা তো আপনার স্ক্রিনশটেই স্পষ্ট হল। আলী রা. নিজে বর্ণনা করেছেন, আবার আলী রা. কে এভাবে পড়তে দেখা গেছে, আবার আবু হুরাইরা রা. কে বর্ণনা করতে দেখা গেছে।
সাইয়্যিদুনা আবু হুরাইরা রা. হলেন ওই ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের উপরে হাদিস দাঁড়িয়ে আছে। মাত্র তিন-চারজনের নাম যদি আমরা কেটে দেই, তাহলে হাদিস বলতে কিছু থাকে না,
আয়িশা সিদ্দিকা রা., আবু হুরাইরা রা., আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা. প্রমুখ।
আপনার আর মাজহাবের মতবাদের মধ্যে একটা স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
আপনি যা স্পষ্ট করতে চাইছেন তা হল, রাসূল দ. কে বুকে হাত বাঁধতে জানা যায়।
আর এখানে এই হাদিসগুলোয় তাঁর অতি ঘনিষ্ঠদের পেটে হাত বাঁধতে জানা যায়।
ইঙ্গিতটা হয়ত এরকম,
রাসূল দ. কে মানবো, নাকি তাঁর অনুসারীদের মানবো!
এ ইঙ্গিত হয়ত আপনি করেননি, কিন্তু আমি আহলে হাদীসের অনেক বড় বড় হাস্তীকে করতে দেখেছি।
অথচ এই ইঙ্গিত সব সময় শিয়া ইঙ্গিত, যারা সাহাবীদের অনুসরণ করে না ও সত্যপথপথিক মনে করে না।
অন্যদিকে সালাফি আর সুন্নি সবাই মানে, যে, রাসূল দ.'র সব সাহাবা অনুসরণীয় এবং বিশেষ কয়েকজন সাহাবা রা.'র সাথে রাসূল দ.'র কাজের পার্থক্য গড়া যাবে না। গড়লে তা ধর্ম অস্বীকার করায় পরিণত হবে।
নি:সন্দেহে এই বিশেষ সাহাবাদের মধ্যে চার খলিফা, আহলে বাইত, আশারায়ে মুবাশশারা, এবং হাদীসের সর্ব্বোচ্চ বর্ণনাকারীরা রয়েছেন।
১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: ++
প্রিয়তে রাখলাম বাকীগুলা পড়ব সময় করে। অনেক কিছু শিখার আছে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের জন্যই ব্লগ নামে একটা শান্তির জায়গা আছে- যেখানে মুখ গুঁজে বাকী দুনিয়ার কঠিন বাস্তবতাটাকে অবহেলা করা যায়। আর আমাদের লেখায় তো কতশত দুর্বলতা থেকেই যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্ট
অনেকেরই জানা হবে
ধন্যবাদ
শুভকামনা ।।