নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
এই পর্বে আমরা আলোচনা করব প্রচলিত পদ্ধতিতে নামাজ এ অংশ নেয়ার প্রতীক্ষিত প্রমাণগুলোর পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে। এর আগের পর্বে ইমাম আবু হানিফা র.'র অত্যাবশ্যকীয় পরিচিতি ছিল। প্রথম পর্ব ছিল বিষয়ের অবতারণা।
অতি সংক্ষেপে গ্রহণীয় সিদ্ধান্তগুলোতে চোখ বুলিয়ে যাব।
একাধিক বিপরীত মত একই সাথে শুদ্ধ হতে পারে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লাম মাত্র যুদ্ধ থেকে ফিরেছেন। তিনি সাহাবা রাদ্বিআল্লাহু আনহুমকে তখনি বানু কুরাইজা গোত্রের দিকে যাত্রা শুরু করতে বললেন। তারা মদীনার শহরতলীতে বসবাস করতো। লিখিত চুক্তি ভঙ্গ করায় তাদের উপর অবরোধ স্থাপনের উদ্দেশে। রাসূল দ. বললেন, বানু কুরাইযায় ছাড়া তোমরা আসরের নামাজ আদায় করবে না।
বানু কুরাইযার পথেই আসরের সময় চলে এল। আর পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে আসর সবচে সংক্ষিপ্ত। সাহাবাদের কয়েকজন এ সিদ্ধান্তে এলেন যে, দ্রুত বানু কুরাইযায় পৌছতে হবে, এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আসর সেখানে পড়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আসরের সময় চলে যাবার ফলে নামাজ কাযা হয়ে যাবে, এই উদ্দেশ্য তাঁর নয়। তাঁরা নামাজ আদায় করলেন।
আর কয়েকজন সাহাবা রা. সিদ্ধান্তে এলেন, কাযা হোক আর যাই হোক, রাসূল দ. যেহেতু বলেছেন, গন্তব্যে পৌছেই নামাজ আদায় করা হবে। এবং তাঁরা তা বাস্তবায়ন করলেন।
ফিরে এসে কারা সঠিক কাজ করেছেন প্রশ্ন করার পর রাসূল দ. জানালেন, উভয় পক্ষই পুরোপুরি সঠিক কাজ করেছেন।
(বুখারী শরীফ)
প্রজ্ঞাবান সিদ্ধান্তদাতা
সিদ্ধান্তদাতা যদি প্রজ্ঞাবান হয়ে থাকেন, এবং তিনি যদি যথাযথ চেষ্টা করে সঠিকটা খুঁজে বের করার পথে কোন ভুল করেন, তাহলে তাঁর জন্য একটি সৎকর্মের হিসাব সংরক্ষিত হবে। আর সঠিক করলে দুটি। আরবিতে শব্দটি হল, হাকীম।
(বুখারী শরীফ, দ্বিতীয় খন্ড, ১০৭৯ পৃ.)
এ কথাটি তাঁদের উপরই প্রযোজ্য হবে, যাঁরা যথাযথভাবে জানেন, ভালভাবে জানেন এবং সর্ব্বোচ্চ জানার চেষ্টার পর ভুল করেন। যারা নব আবিষ্কারের চেষ্টা করছে তাদের ক্ষেত্রে জঘন্যতম অপরাধের মতই হবে। কারণ, ধর্মীয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নেই, যা প্রথম ছয় শতাব্দীর মধ্যে সমাধা হয়নি। এরপর যা বিশুদ্ধ এসেছে, তা ওই ছয় শতকের পূর্ব-প্রমাণিত বিষয়ের আলোকে।
তাই এই কথাগুলো মুজতাহিদ তথা ইমামদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
যে গ্রন্থগুলোয় পরবর্তীতে হাদিস সংরক্ষিত হয়েছিল
আমরা জানি, হানাফি মাযহাব একজন তাবিয়ি কর্তৃক নির্দেশিত হওয়ায় তাঁর সময়ে লিখিত হাদিস গ্রন্থ ছিল অত্যন্ত কম এবং এক হিসাবে অপ্রয়োজনীয়। কারণ তখনো সাহাবা রা. গণ বর্তমান থাকায় হাদিস সরাসরি প্রথম রাবী থেকেই শোনা যেত, বিশ্বাসযোগ্যতা ও অবিশ্বাসযোগ্যতার কোন বিষয় ছিল না।
কিন্তু পরবর্তীতে এই হাদিসগুলোর বেশিরভাগ বুখারী এবং মুসলিম শরীফ, ক্ষেত্রবিশেষে আবু দাঊদ শরীফে গ্রন্থিত হয়নি। এ বিষয়ে পরবর্তী পর্ব আসবে আশা করি। মূল কারণ ছিল এই যে, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম র.- এঁরা ছিলেন সরাসরি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল আলাইহির রাহমার ছাত্র। এবং তাঁদের মাযহাবে নামাজের অথবা জীবনাচরণের হানাফি নিয়মগুলো ছিল না। তাই শুদ্ধ হবার পরও তাঁরা হাদীসগুলো গ্রন্থিত করেননি। তাঁরা শুদ্ধ হাদীস একত্র করছিলেন না, বরং একটা সুনির্দিষ্ট জীবনাচরণ তৈরি করার জন্য ওই প্রক্রিয়ার শুদ্ধ হাদিসগুলোই শুধু তালিকাবদ্ধ করছিলেন।
শরাহ্ মাআনিল আতহার, আযাওহারান নাক্বী, নাসবুর রায়াহ্ , ইলা আস সুনান, বাজলুল মাজহুদ, ফাতহুল মুলহীম, আওযাজুল মাসালিক, আতহারুস সুনান প্রভৃতি গ্রন্থে হানাফী মাজহাবের হাদিসগুলো বেশি এসেছে।
বিশুদ্ধ যে কোনভাবে নামাজ পড়লেই তো হল, মাজহাবের দরকার কী
নামাজের একটা পদ্ধতি আরেকটা পদ্ধতির সাথে জড়িত। যেমন, পুরুষ নামাজী রাফে ইয়াদাইন করলে (রুকুতে যাবার সময় এবং ওঠার সময় হাত তুললে) তাকে বুকে হাত বাঁধতে হবে। তিনি যদি হানাফী পদ্ধতির মত পেটে নাভিতে হাত বাঁধেন এবং হাম্বলী পদ্ধতির মত রাফে ইয়াদাইন করেন, তাহলে নামাজ শেষ। অর্থাৎ, যে মাজহাবের ইমাম নামাযের যে একটা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, সেই পদ্ধতিতে নামাজ পড়ানোর সময় রাসূল দ. যেভাবে অযু করাতেন, যেভাবে যখন নামাজে দাঁড় করাতেন এবং যেভাবে পড়াতেন, তার পূর্ণটা ফলো করেছেন, যা নিজের ইচ্ছামত করলে অবশ্যই ভুল হবে।
যেমন,
হাম্বলী মাজহাব অনুসারে পরস্পর নামাজিদের পায়ের মধ্যে সামান্য দূরত্ব থাকবে।
শাফিয়ি মাজহাব অনুসারে, পদযুগলের মধ্যে দূরত্ব এক হাতের মত থাকবে।
মালিকি মাজহাব অনুসারে, দূরত্বটা মধ্যপন্থার হতে হবে। লাগিয়ে রেখে নয়, আবার খুব দূরেও নয়।
হানাফি মাজহাব অনুসারে, দুই মুসল্লীর পায়ের মধ্যে চার আঙুল মত দূরত্ব থাকতে হবে।
অথচ কোন মাজহাব স্বীকার করে না, এমন কিছু নতুন জন্ম নেয়া বিষয়, অর্থাৎ বিদআতি মতবাদ হল, পায়ের সাথে পা লেগে থাকবে। দেখা গেল, পায়ের সাথে পা লেগে থাকা, যা মুসলিম আদবের নিয়মের মধ্যে বেআদবী এবং চার-চারটি বৃহত্তম মাজহাবের কোথাও যা নেই অর্থাৎ হাজার বছর ধরে অনুসৃত ইসলামেই যার অবস্থান নেই, সেভাবে নামাজ পড়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে।
হ্যা, পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানোর একটা হাদিস রয়েছে। আনাস রা. বর্ণিত ওই হাদিস বুখারী শরীফে উপস্থাপন করার কারণ হিসাবে ইবনে হাজর আস্কালানী রহ. বলছেন, ইমাম বুখারী এই হাদীস এই কারণে আনেননি যে, পায়ের সাথে পা মিলাতে হবে। বরং তিনি সালাতের লাইন সোজা করে দাঁড়ানোর গুরুত্বের হাদীস হিসাবে তা এনেছেন যেখানে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো একটা গৌণ বিষয় ছিল। রাসূল দ. পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো বলতে দুই নামাজীর মধ্যে উল্লেখ্য ফাঁকা অবস্থান না রাখা বুঝিয়েছেন কেননা সালফে সালিহিন এবং একটা ছাড়া কোন ক্ষেত্রেই জানা যায় না যে, কেউ পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই হাদিস আরো দুটি বিখ্যাত গ্রন্থে রয়েছে। আরো একটি রেওয়ায়েতে রয়েছে।
মূল কথাটা ছিল, রাসূল দ. জামাতের কাতার পূর্ণ সোজা করার জন্য জোর দিচ্ছেন। এবং ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির ফাঁকা থাকার কারণে একতা ও সাম্যের যে বন্ধন, সেটা কমে যায় ফলে ফাঁকাতে শয়তান (বিভাজনের কু মন্ত্রণা ও প্রকৃত ইবলিশ শয়তান দুই অর্থেই) প্রবেশ করে।
এখানে বাঁচোয়া মাত্র একটা কথায়, তা হল, যে অর্থেই হোক, হাদিসে আছে।
রাফে ইয়াদাইন যদিও গ্রহণযোগ্য কাজ, কিন্তু তাঁরা যেভাবে প্রকৃতার্থে পায়ের সাথে পা চাপা দিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ান, এটা কোন পদ্ধতি নয়। রাফে ইয়াদাইন যেখানে বহুল প্রচলিত, সেখানে এই পদ্ধতিটি নিতান্তই দুর্লভ, ইদানীংকার তথাকথিত আহলে হাদীস ছাড়া, যারা প্রচলিত কিছুই মানেন না, মানেন বইয়ের ইন্টারপ্রিটেশন। ফলে, বইয়ে যা লেখা আছে, তা লিটারালি ইন্টারপ্রেট করতে গিয়ে বিপরীতে সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত মতবাদের সমস্ত মুসলিমের সমস্ত আমলকে সরাসরি অস্বীকার করেন। অথচ তাঁদের সূচনা সাহাবী-তাবিয়ী পর্যায়ে তো নয়ই, মাত্র তিন শতাব্দী পূর্বে।
এই মতবাদ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য কারণ, রাসূল দ. বলেছেন, আমার উম্মাতের বেশিরভাগ কখনোই কোন অবস্থাতেই সম্পূর্ণ ভ্রান্ত আমল করতে পারে না।
যেখানে এই মতবাদ প্রকাশের সময় উম্মতের প্রায় শতভাগ পায়ে পা ফাঁকা রাখেন, সেখানে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো, এবং না দাঁড়ালে ভুল বলা প্রকারান্তরে কুফরিতে পরিণত হয়।
এটা কখনোই সম্ভব নয় যে, ইমাম আবু হানিফা, শাফি, মালিক ও হাম্বল রিদ্বওয়ানুল্লাহি আজমাইন স্বয়ং তাবিয়ী এবং তাবে তাবিয়ী হয়ে অসংখ্য সাহাবা রা. এবং তাবেয়ী র.'র পিছনে নামাজ পড়ে অভ্যস্ত হয়ে কখনো পায়ের সাথে পা লাগানোর সিদ্ধান্ত দিলেন না, বরং ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত দিলেন আজীবন নামাজ নিয়ে গবেষণা করে, জীবনভর নিজের চোখে দেখে- আর অন্যদিকে রূপক কথাকে বাস্তব গ্রহণ করে এখন মানুষের নামাজ নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া, তাও শুধু গ্রন্থের ইন্টারপ্রিটেশনে, যেখানে গ্রন্থেই লেখা আছে মূল ব্যাখ্যা- একেই ফিৎনা বলা যায়। যদিও পুরোপুরি ভুল বলা যায় না পায়ে পা লাগিয়ে দাঁড়ানোর পদ্ধতিটাকে।
তাহলে প্রচলিত নামাজের পদ্ধতির বিরোধীতা কেন?
যদিও বলা হয় যে, নব্য মতবাদ মূলত হানাফী নামাজের পদ্ধতির বিরোধীতা করছে, এবং বলা হয় যে, তারা মূলত হাম্বলির মত স্বত:সিদ্ধ নামাজের পদ্ধতি গ্রহণ করেছে এই কারণে যে ইমাম হাম্বল সবচে গ্রহণযোগ্য, আমরা দেখতে পাই চার মাজহাবের সমস্ত নিয়মের বাইরে গিয়ে এবং প্রচলিত পূর্ণ মুসলিম উম্মাহর বাইরে গিয়ে একটা পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। এই পদ্ধতি নেয়ার কারণ মাত্র একটা, চার মাজহাবের স-ব প্রচলনের বিরোধীতা করা। সুস্পষ্ট ভিন্নতা আনয়ন।
এই ভিন্নতার উৎস ঘৃণা। আহলে হাদীস বা লা মাজহাবি বা সালাফি পদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে খুঁজে খুঁজে প্রতিটা এমন বিষয় আনা হয়েছে, যা প্রচলিত শিয়া-সুন্নি বা আর সব মতবাদের সমস্ত ইবাদাত এবং জীবনযাপনের পদ্ধতির বিপরীত হয়। অথচ তা যেন হাদীসেই থাকে।
এ প্রক্রিয়ার প্রায়োগিক শুরু কবে? অবাক বিষয়, সাহাবা রা. দের রীতি অনুযায়ী হানাফী মাযহাব শুরু হয় প্রথম হিজরীতেই, অন্য তিন মাজহাব এর শুরু দ্বিতীয় হিজরীতেই। সেখানে এই প্রচলনের প্রয়োগ শুরু হয় মাত্র ২৭০/২৮০ বছর আগে।
'কাউকে ফলো না করার প্রক্রিয়া' আদপে তাবেয়ী এবং তাবে তাবেয়ী বাদ দিয়ে মাত্র তিনশো বছর আগের এক যুদ্ধোন্মাদ, জোর পূর্বক তরুণদের মসজিদে নিয়ে গিয়ে হাতে কলমে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া ব্যক্তির অনুকরণ-অনুসরণ। কাউকে ফলো না করার দল সব সময় মাত্র তিনশ বছর আগের একজনকেই ফলো করে। সেটা কাউকে ফলো করা হয় না। তার কিতাবুত তাওহীদ বইকে সর্ব্বোচ্চ মর্যাদা দেয় এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য তালিকাভুক্ত করে, তাতে তাকে ফলো করা হয় না! হা-হতোষ্মি! নিজেরাই আহলে হাদিস নাম গ্রহণ করে সমস্ত দলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে অথচ আহলে হাদীস মানে হাদিসের দল। মাজহাবে আহলে হাদীস নাম গ্রহণ করে আবার বলে, মাজহাব বলতে কিছু নেই। মাসলাকে আহলে হাদীস নাম গ্রহণ করে বলে, ভিন্ন শুদ্ধ মতবাদ বলতে কিছু নেই, শুদ্ধ মতবাদ মাত্র একটা।
আমি হানাফী, এই পরিচয় বলা নাকি দোষদুষ্ট, কারণ তাতে মুসলমান বলা হয়নি কিন্তু তাদের আহলেহাদীস পরিচয় দেয়া ঠিক আছে। আহলে হাদীস শব্দটার মানে হল, গল্পের দল। লিটারারি মানে। এখানে কোথায় মুসলমান শব্দটা রইল? সালাফি মানে হলে তিনপ্রজন্মের দল। তিনপ্রজন্মের দল শব্দটার কোথায় মুসলমান লুকিয়ে রইল?
আর আপনি হানাফী নাকি মুসলিম এই কথাটা বলার মাধ্যমে সরাসরি ইমাম আবু হানিফা, যার নামের সাথে তারাও রহমতুল্লাহি আলাইহি বা রাহিমাহুল্লাহ যুক্ত করে, তাকে নবী সাব্যস্ত করছে।
আপনি রাসূল দ.'র দ্বীন অনুসরণ করছেন নাকি আবু হানীফা র.'র প্রশ্নের মাধ্যমে আবু হানীফাকে তাঁরা সম্মান করার বিনিময়ে এই স্বীকৃতি দিচ্ছেন যে, তিনি আলাদা ধর্ম প্রণয়ন করেছেন এবং তিনি একজন সম্মানিত- তার মানে মাত্র একটা, তাঁকে নবী বলা। অপবিত্র কথার শেষ পর্যায়।
এই মতবাদ প্রচলিত এমন একজনের দ্বারা, যে প্রচলিত সমস্ত বিশ্বাসের সমস্ত মতামতের এবং সমস্ত রীতি-নীতির পূর্ণ বিপরীত ছিল। আর সেই বৈপরীত্যের উৎস শুধুই জাতিগত ঘৃণা ও আন্ত-ধর্ম স্যাবোটাজ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি নিশ্চই খেয়াল করেছেন যে অনেক ক্ষেত্রেই কাঠকাঠ করে দ্রুত কথা শেষ করে ফেলছি। আবার কিছু জায়গায় একটু বিস্তারিত কথা চলে এসেছে। সেটা হয়ত লেখার ফ্লো তে।
যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রাসঙ্গিক বিষয় এত বেশি বিস্তারিত যে, খেই হারিয়ে ফেলছি।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৪
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
প্রয়োজনীয় পোষ্ট।
সুলিখিত পোষ্ট।
সতর্ককারী পোষ্ট।
প্রতিটি মুসলিমের অবশ্যপাঠ্য পোষ্ট।
May Almighty Allah reward you for this valuable post.
Please keep on writing on the similar topic.
Plus. Showcased. Thanks.
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কৃতজ্ঞতা রইল। এভাবে বলাতে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল। অগুণতি ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮
জেনো বলেছেন: যথাযথ। এবং প্রিয়তে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি। না পেরে এই সিরিজ। আমার পরিবারেরই যদি কেউ বলে,
তোমার সারা জীবনের নামাজ, তোমার বাপ দাদা মা নানী এবং তাদের চোদ্দ গোষ্ঠীর নামাজ ভুল, তখন তাকে ব্যক্তিগতভাবে না ছিলে সেই বিস্তারিত জবাবটা ব্লগে লেখাই শুদ্ধতর হবে বলে মনে করলাম।
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৮
ShusthoChinta বলেছেন: ঠিক এই চিন্তাটা আমার মাঝেও উদয় হয়,সেই সাহাবাদের সময় থেকে শুরু করে হাজার বছরের বেশি সময়জুড়ে যুগে যুগে প্রায় সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কোটি কোটি মানুষের আমলকে এক নিমিষে বাতিল ঘোষনা করে নিজেদেরকে সহীহ ঘোষণাটাকে শুধুই কি দুঃসাহস বলা যায়? এটা তো জাস্ট অন্ধত্ত্ব আর পাগলামী ছাড়া আর কিছু নয়! হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা বিশাল একটা ইমারতের ভিত্তি থেকে শুরু করে চুড়ার প্রায় কাছাকাছি পর্যন্ত পুরো অংশটাকে বাতিল ঘোষণা করলে কি সেই ইমারতের কোন অস্তিত্ত্ব থাকতে পারে? কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে এভাবে ভাবা সম্ভব? লা মাজহাবী ভাইদের কাছে প্রশ্নগুলো রইল।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রতিটা বিষয়ের পিছনে একটা পদক্ষেপ কাজ করে- এটা উপলব্ধি করতে পারলেই কিন্তু তাঁরা বাকিটা ধরে ফেলবেন।
ঠিক কী কারণে প্রয়োজন পড়ল সরাসরি মুসলিম উম্মাহর শতভাগের বিপরীতে যাবার, সেই ২৬০/২৮০ বছর আগে।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ ও চমৎকার একটি পোস্টের জন্য প্লাস এবং প্রিয়তে ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই। আন্তরিক ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
প্রিয়তে +++
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর রহমান ভাই। আশা করি ভাল আছেন।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট!
++++++++++++++
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বর্ষণ ভাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল।
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: দারুন! আবারো প্লাস।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর।
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন:
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এত্ত অবাক কেন! কেমন আছেন? অনেক দেরি করে ঈদ মোবারক।
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নতুন এতো কিছু জানলাম যে অবাক হইলাম!
ঈদের শত শুভেচ্ছা ভাই। আমার আজাইরা পস্টে টোস্টেও আসবেন, আড্ডা দেবো। আপনার পোস্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আড্ডা দিতে ভয় হয়।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইয়াল্লা আড্ডা তো চিরায়ত! সব জায়গায় চলে। পারস্পরিক আলোচনা বলেন আর আড্ডা বলেন, এটাই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি। পোস্ট আর গুরুত্বপূর্ণ কোথায়, কতশত ভুলভ্রান্তি হয়ে যায়!
আপনার পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ না, কী বলেন। পাঁচই ফেব্রুয়ারির পর থেকে কি ভুলে গেছি
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই আসব। দোয়া রাখবেন ভাই। মনটা খুব রিঅ্যাক্টিভ ছিল গত চব্বিশ ঘন্টা। রিঅ্যাক্টিভ মন খুব খারাপ জিনিস। তবে ঈদের পর দুদিন মন ভাল ছিল, মনে হয় এক বছর পর দুদিন মন পুরোই ভাল।
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
ঝটিকা বলেছেন: জামাত ইসলামি অনেককেই আহলে হাদিসদেরকে ফলো করতে দেখেছি। আবার জাকির নায়েক প্রদত্ত একটা নামাজ শিক্ষা বই এ দেখলাম, পুরো বই জুড়ে শুধু হানাফি মাজহাবকে সমালোচনা। আর একটা গ্রুপ আছে শুবিধাবাদি, তারা মাজহাব অশিকার করেনা কিন্তু সব মাজহাব থেকে নিজের ইচ্ছামত ফলো করে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার এই কমেন্টটা একটা পোস্ট হতে পারে, কেন চুপ করে আছেন! আমরা তো জিজ্ঞাসিত হব!
কৃতজ্ঞতা অতি সরল কথায় মূলটুকু তুলে আনায়।
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
ঝটিকা বলেছেন: আর একটা কথা মেয়েদের নামাজের যে পার্থক্য সেটা কোন হাদিস থেকে এসেছে?
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এগুলোর মতই কোন হাদিস থেকে এসেছে, যা আমরা মোটেও অস্বীকার করতে পারি না। এখানে তো সামান্য কিছু হাদিস এনেছি।
আপনার উপস্থিতি পোস্টে পূর্ণতা আনল।
১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২২
নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাই অনেক কিছু জানলাম । ওয়েট পরেরটাও এক নিশ্বাসে পরে নেই ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই! আপনাদের পোস্টে পেলে মনে হয়, স্বস্তির একটা দম নিলাম। মনে একটা আরামের রেশ চলে আসে। আশা করি খুব বেশি ভাল আছেন হিমু ভাই।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
ব্লগার রানা বলেছেন: ভাই মাজহাব মানেন না মানেন একটা কথা বলেন আপনি হানাফি পরিচয় কেন দিবেন? এটা স্পষ্টই বিভেদ তৈরি করা
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রানা ভাই, এই কথাটার বর্ণনাই তো এই পোস্টে সবচে ভালভাবে করা হয়েছে।
আপনি সিরিজের অন্যান্য পোস্টগুলোও দেখুন, তাহলে আরো স্পষ্ট হতে পারে আশা করি।
'হানাফি বললে স্পষ্ট বিভেদ তৈরি করা হয়'- এই কথাটা একটা প্রোপাগান্ডা।
এমন এক প্রোপাগান্ডা, যা শুনতে শুনতে আমরা বিশ্বাস করে ফেলেছি।
এই যে আমাদেরকে বলা হচ্ছে, তোমরা বিভেদ সৃষ্টিকারী, এই কথাটা কি বিভেদ নয়?
আর হানাফী-শাফিয়ি-হাম্বলি-মালিকি এসব পরস্পরকে সমান ও এক চোখে দেখে। ছোট-বড় করে তো দেখেন না।
তাহলে এখানে বিভেদটা রইল কোথায়!
আসলে এই কথা আমাদের মনের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়েছে কিছু মানুষ, যারা প্রকৃতপক্ষে সারা পৃথিবীর প্রচলিত ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
যারা আজকে এই কথা প্রচার করছে,
তাদের নেতা ২৮০ বছর আগে বলেছিল,
যারা এইসব পরিচয় ধারণ করে তাদের ক্বতল করা ওয়াজিব।
একবার চিন্তা করেন, যে জাকির নায়িকরা আজকে শান্ত কথার ভাঁজে প্রতি মুহূর্তে হানাফি শাফিয়ি মালিকি হাম্বলির বারোটা বাজাচ্ছে, তারা আসলে এই ক্বতলকারীরই অনুসারী।
এই ক্বতলকারী শুধু মুখে বলেনি, কাজেও করে দেখিয়েছে। এর থেকেই সন্ত্রাসবাদ ইসলামে ঢুকেছে। জিহাদ আর এখনকার আল কায়েদা তালেবানের সন্ত্রাসবাদ কখনো এক নয়, কখনো এক ছিল না। এরা ওই লোকেরই অনুসারী।
কাইন্ডলি এই সিরিজের পাঁচটা পোস্ট পড়ে ফেলুন। তাহলে কিছু কথা পুনরুক্তি করতে হবে না।
আপনি আগ্রহী হলে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আমরা।
১৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
rafiq buet বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন নামক এক ব্লগার বিজ্ঞান ও দর্শন না পড়েই বিজ্ঞান ও দর্শনে মহাজ্ঞানী সেজেছে। কথায় না বনলেই আচুদা, চুদির ভাই, চুদতে ইত্যাদি অশ্লীল সব ভাষা ব্যবহার করছে।
ব্যাপারটা এমন যে, আরবীই পড়তে জানে না-দাবী করে কুরআনে হাফেজ
Click This Link
Click This Link
Click This Link
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রফিক ভাই, পরাজিত মধ্যবিত্তের ব্লগ দেখেছি। ব্যাপক ভয় পেয়েছি। গায়ে পড়ে এমন মানুষের সাথে যাই না, যাঁর কথার আগেই গুলির মত গালি ছোটে। তিনি তাঁর মতই থাকুন।
কথায় না মিললে গালি দিতে থাকুন।
সবচে ভাল হয়, তিনি শান্তি পেলে, তিনি যেন খুব খুব শান্তি পান। আর পোস্টগুলো সবগুলোই দেখছি।
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৯
বেলা শেষে বলেছেন: আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না।
আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা।
বরং আল্লাহই তাদের সাথে উপহাস করেন। আর তাদেরকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যেন তারা নিজেদের অহংকার ও কুমতলবে হয়রান ও পেরেশান থাকে।
তারা সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করে। বস্তুতঃ তারা তাদের এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারেনি এবং তারা হেদায়েতও লাভ করতে পারেনি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সঠিক। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৮
ডাব্বা বলেছেন: এই লেখাটার কলেবর খুব বেশী বৃদ্ধি না করার অনুরোধ থাকল। অপেক্ষায় থাকলাম।