নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ এবং হুমায়ূন আহমেদের নবীজি দ.

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

হুমায়ূন আহমেদ অসংখ্য মানুষের জীবনে সাঙ্ঘাতিক প্রভাব ফেলেছেন। আমার জীবনেও ফেলেছেন। এতটাই বেশি, যে সেটা লুকিয়ে রাখাই শ্রেয়। হুমায়ূন আহমেদ লেখক, তাই আমারও লেখক হতে হবে। তিনি ডক্টরেট করা, প্রফেসর, তাই এমনটা আমারও চাই। মুহম্মদ জাফর ইকবাল আর তিনি বলেছেন, ভবিষ্যত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষগুলো হবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার। সোজা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিঙে ভর্তি হওয়া।



এই লোকটা মারা যাবার পর তাঁকে নিয়ে লিখিনি। তাঁর কথা আনিনি। এখনো মনে পড়ে, বাংলাদেশ সময় রাত দশটার পরপর তিনি মারা গেছিলেন। সেই সময় আমি টাঙাইল থেকে আসছি। বাস জ্যামে আটকানো। অস্থির লাগছে। জীবনে যেমনটা হয়নি, মুখ পাকিয়ে বমি চলে আসছে। বসে থাকতে পারি না, অকল্পনীয় অস্বস্তি। অনেকটা সময় ধরে। হয়ত আধঘন্টা। তারপর তীব্র বৃষ্টি নেমেছিল। সেই বৃষ্টিটায়, বুক পর্যন্ত জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেছিলাম। বারবার জলস্পর্শ নিচ্ছি মাথায়, মুখে, বুকে। অদ্ভুত চোখে চেয়ে আছে বাসভর্তি মানুষ। ভিজে যাচ্ছিল বাসের সিটও। টানা দশ মিনিট। কোন কারণ ছাড়াই করুণাধারায় ভেজা। তারপর শরীরটা ভিতরে ঢুকিয়ে বসলাম। ঘন্টাখানেক পর মেসেজ এল,



দাদা, হুমায়ূন আহমেদ ইজ নো মোর।



এই কথাটা কাউকে বলিনি। বলার কিছু নাই। আত্মার যোগাযোগের চেয়ে পিস্টনের সাথে ডিজেলের স্পার্কের যোগাযোগ এখন অনেক সচ্ছ্বন্দ্যের বিষয়। বইয়ের নতুন পাতা খুলতে গেলে পুরনো পাতাকে ভাঁজ করে রেখে দিতেই হয়।



আজকে হঠাৎ অন্যদিন ঈদসংখ্যা হাতে চলে এল। নিব না। হুমায়ূন আহমেদ নেই। নিতে হবে, খুলে দেখতে হবে, কারণ তাঁর অপ্রকাশিত লেখা নাকি আছে।



খোলার পর, তীব্র একটা ঝাঁকি খেলাম। বারবার চোখ বুলালাম, না, ঠিকই দেখছি। হুমায়ূন আহমেদের এই লেখাটার শিরোনাম নবীজি।



একটা উপন্যাস শুরু করেছিলেন তিনি। শুধুই শুরু। আকৃতিতে সামান্য এই লেখাটা পুরোটাই তুলে দিতে পারলে ভাল লাগত। তা হয়ত শোভন হবে না। শুধু একটা ছোট অংশ তুলে ধরছি।



আরব পেনিসুয়েলা। বিশাল মরুভূমি। যেন আফ্রিকার সাহারা। পশ্চিমে লোহিত সাগর, উত্তরে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পার্শিয়ান গালফ। দক্ষিণে প্যালেস্টাইন এবং সিরিয়ার নগ্ন পর্বতমালা। সমস্ত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি অঞ্চল। এখানে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কিছু নেই। সারা বৎসরই মরুর আবহাওয়া। দিনে সূর্যের প্রখর উত্তাপ সব জ্বালিয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। সারা দিন ধরে বইছে মরুর শুষ্ক হাওয়া। হাওয়ার সঙ্গে উড়ে আসছে তীক্ষ্ণ বালুকণা। কোথাও সবুজের চিহ্ন নেই। পানি নেই। তারপরেও দক্ষিণের পর্বতমালায় বৃষ্টির কিছু পানি কীভাবে কীভাবে চলে আসে মরুভূমিতে। হঠাৎ খানিকটা অঞ্চল সবুজ হয়ে ওঠে। বালি খুঁড়লে কাদা মেশানো পানি পাওয়া যায়। তৃষ্ণার্ত বেদুঈনের দল ছুটে যায় সেখানে। তাদের উটগুলির চোখ চকচক করে ওঠে। তারা হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কাঁটাভর্তি গুল্ম চিবায়। তাদের ঠোঁট কেটে রক্ত পড়তে থাকে। তারা নির্বিকার। মরুর জীবন তাদের কাছেও কঠিন। অতি দ্রুত পানি শেষ হয়। কাঁটাভর্তি গুল্ম শেষ হয়। বেদুঈনের দলকে আবারো পানির সন্ধানে বের হতে হয়। তাদের থেমে থাকার উপায় নেই। সব সময় চলতে হবে।



মাঝেই যুদ্ধ। এক গোত্রের সঙ্গে আরেক গোত্রের হামলা...

... পবিত্র কোরান শরীফে সূরা তাকবীরে জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যা বিষয়ে আয়াত নাজেল হলো। কেয়ামতের বর্ণনা দিতে দিতে পরম করুণাময় বললেন-



সূর্য যখন তার প্রভা হারাবে, যখন নক্ষত্র খসে পড়বে, পর্বতমালা অপসারিত হবে। যখন পূর্ণগর্ভা উষ্ট্রী উৎক্ষেপিত হবে, যখন বন্যপশুরা একত্রিত হবে, যখন সমুদ্র স্ফীত হবে, দেহে যখন আত্মা পুন:সংযোজিত হবে, তখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে- কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল?



যে মহামানব করুণাময়ের এই বাণী আমাদের কাছে নিয়ে এসেছেন, আমি এক অকৃতী তাঁর জীবনী আপনাদের জন্য লেখার বাসনা করেছি। সব মানুষের পিতৃঋণ-মাতৃঋণ থাকে। নবীজির কাছেও আমাদের ঋণ আছে। সেই বিপুল ঋণ শোধের অতি অক্ষম চেষ্টা।



ভুলভ্রান্তি যদি কিছু করে ফেলি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি পরম করুণাময়ের কাছে। তিনি তো ক্ষমা করার জন্যেই আছেন। ক্ষমা প্রার্থনা করছি নবীজির কাছেও। তাঁর কাছেও আছে ক্ষমার অথৈ সাগর।




হুমায়ূন আহমেদ এই লেখা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন একজন ধার্মিক আলিমের অনুরোধে। অন্যপ্রকাশের নতুন শোরুম উদ্বোধনে। ধার্মিক লোকটার অনুরোধ ছিল, হুমায়ূন আহমেদের লেখা কত মানুষ পড়ে, তিনি যদি দয়াময় রাসূল দ.'র একটা জীবনী লিখতেন! কতই না মমতায় শুরু করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ! পড়ালেখা চালাচ্ছিলেন। সেইসাথে অভিমানও ছিল করুণাময় নবীজি দ.'র উপর। অগুণতি মানুষ তাঁকে দেখেছে। লেখক দেখা পাননি। যদি কখনো স্বপ্নে দেখেন, তার পরই শুরু করবেন তিনি এই লেখা। শুরুও করেছিলেন, শেষ করতে পারেননি।



আহা, কী লেখা হত সেটা!



পনের ষোল বছর বয়েসি অর্বাচীণ এক ছেলে হুমায়ূন স্যারকে ঈদগায় রোজার ঈদে বলেছিল, আমার বাসায় যদি আসতেন, আমার ঈদ সার্থক হতো। সেদিন রাতেও মন খারাপ ছিল আমার। হায় হুমায়ূন আহমেদ! আপনি ঠিকই আমার একটা রোজার ঈদ সার্থক করে দিয়ে গেলেন। ঈদের ভোর রাতের সময়টায়, আপনাকে নিয়ে এই প্রথম লিখছি। আর ভোর রাতে, যত জগৎ আছে, সমস্ত জগতের প্রতি করুণাধারা রাসূল দ.'র আগমনের সময়ে, তাঁর প্রতি যে ভালবাসার জমাট প্রকাশ দেখতে পেলাম আপনার কলমে, ঈদ (খুশি) তো সাঈদ (আনন্দময়) ছিলই, মুবারক (পবিত্র) হয়ে গেল।



আমার নবী দ.'র নাম নিয়ে ঈদ শুরু হল। তাঁর নাম যেখানে তাই তো পবিত্র। ঈদ মুবারক।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
আসলেই হুমায়ুন আহমেদ একজন এমন জলন্ত বারুদ যে পাঠকের
মন জয় করতে অন্য কোন লেখক এত এগিয়ে ছিলনা
ঈদ মোবারক

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মমতাময় মানুষ মমতাময় মহামহিমের স্পর্শ পেতে পারেন, তাঁকে অনুভবও করতে পারেন। হুমায়ূন আহমেদ যে রাসূল দ. কে এতটা অনুভব করতেন তা রীতিমত শকিং লাগল।

ঈদ মুবারক ভাই। অনেকটাই একা একা লাগছে। নিজের ভিতর গুটিয়ে গেছি।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৮

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: বইটার কতুটুকু ছাপানো হয়েছিল? একটা পিডিএফ ভার্সন দিতে পারবেন?
আর হ্যা ঈদের শুভেচ্ছা রইল

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অগুণতি শুভেচ্ছা ভাই। ঈদ মুবারক!

সামান্য লেখা হয়েছে। মাত্র দেড় চ্যাপ্টার। ওটাই ছাপা হয়েছে অন্যদিন ঈদ সংখ্যায়। বই আকারে কখনো পাব বলে মনে হয় না। খুব ইচ্ছা হয়েছিল পুরোটা তুলে দিই। এর সাথে পত্রিকার বাণিজ্য জড়িত বলে মন সায় দিল না।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আমি হুমায়ুন আহামেদের গুণমুগ্ধ বা ভক্ত না-হলেও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানব, সৃষ্টিকর্তার দূত, বাণীবাহক, হযরত মোহাম্মদ স. এর ব্যাপারে এমন একটি বক্তব্য দেখে তার সম্পর্কে আমার একটু পজিটিভ ধারণা হোল।

আর ঐ জিনিষ আমাদের কাছে রিলে করার জন্য আপনাকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

ঈদ মোবারক। :D

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদ মুবারক মুন্না ভাই! ভাল আছেন আশা করি!

হ্যা, আলটিমেটলি হুমায়ূন আহমেদ তো আর তেমন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম ছিলেন না। তবে মনের দিক দিয়ে অবশ্যই ভাল মানুষ এবং ভাল মুসলিম ছিলেন।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আর হ্যাঁ, হুমায়ুন আহামেদের "ঐ কথা"র সম্মান রেখে আজ থেকে আমি আর কোনদিন তার সম্পর্কে নেগেটিভ কোন কথা বলবো না। ব্লগে বা অন্য কোথাও।

হুমায়ুন আহামেদ কোন সাহিত্য-টাইটেল পেয়েছেন কি-না আমি জানি না। তবে, আজ আমি ঐ-কথার জন্য তাকে আধুনিক যুগের শরৎচন্দ্র উপাধি দিলাম। বরঞ্চ তারও উপরে। অনেক উপরে।

হ্যাঁ, আজ আমি স্বীকার করছি -

হুমায়ুন আহামেদ আধুনিক যুগের কথা শিল্পী।

আধুনিক তরুণ-যুবাদের হৃদয় জয় করেছেন যিনি।

হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন যিনি।

হৃদয়ে নাড়া দিয়েছেন যিনি।

সম্মোহন করেছেন যিনি।

তরুণ-যুবাদের হৃদয় কন্দরে নানান উপলব্ধিতে উপলব্ধ হয়েছেন যিনি। .................

.......................................


আবারো আপনাকে ধন্যবাদ। :)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কথার পর শুধু নজরুলের ওই চরণ-

ভালবাসা পায়নি যে জন, রাসূল দ. তাকে ভালবাসে।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
এই পোষ্ট নির্বাচিত কলামে যাবে কি-না ভাবছি!

#:-S 8-|

মডুদের জন্য কঠিন পরীক্ষা বটে!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ডাজ নট ম্যাটার। আপনার আর আমার কনসার্ন তো শুধু নিজেদের লেখা আর মন্তব্যে। নির্বাচিত করা না করায় আমাদের হাত যেহেতু নেই, ভাবনাও নেই।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: ভাল লাগলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কামাল ভাই কিউটি বাবুটা কে?

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ঈদ মোবারক লিসানি ভাই !

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিনুর রহমান ভাইকে কত্তদিন পর দেখলাম! ভাই ভাল আছেন আশা করি। ঈদ মুবারক!

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

েবনিটগ বলেছেন: :)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা অগণন।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

গ্রীনলাভার বলেছেন: ঈদ মোবারক লিসানি ভাই। !:#P !:#P

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই! কালকের ঈদটা প্রবাহিত হোক অনন্তে।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাইয়া। :)

হুমায়ুন একটা বড় শূন্যতা রেখে গেছেন :( :(( :((

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই! তিনি ওই শ্রেণীর লেখক, যাঁর সিঙ্গল পিস হিসাবে আসেন। তারপর শূণ্যতা রেখে যান। রবীন্দ্র-নজরুল-শরৎচন্দ্র-জীবনানন্দ যেমন একটা করে শূণ্যতা রেখে গেছেন, অনেকটা তেমনি।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ঈমো মানে ঈদ মোবারক :)

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাহলে আচ্ছামত কয়েকটা ইমো হয়ে যাক!

B-) B:-) :-B B-))

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

অন্তরন্তর বলেছেন:
ঈদ মোবারক শ্রদ্ধেয় লিসানি ভাই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই! প্রোপিকটা মন খারাপ করে দেয় কিন্তু।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

মুহামমদল হািবব বলেছেন: হুমায়ুন আহামেদের লেখা নিয়ে মন্তব্য করার সাধ্য আমার নাই,
আপনার লেখার হাত অনেক ভালো, আমার চোখে পানি চলে এসেছে।
ধন্যবাদ এবং ঈদ মুবারাক আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুহাম্মাদ হাবিব- আপনি তো ভাই রাসূল দ. কে যে প্রিয় করে নেয়, তেমন মানুষ। নামের প্রভাব মনে পড়বেই। ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর। আপনার পরিবারের সবাইকেও অন্তবিহীন ঈদের শুভেচ্ছা।

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন জিনিস জানলাম। ধন্যবাদ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় প্রোফেসর! ভাল থাকা হোক সর্বক্ষণ।

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

সিরাজ সাঁই বলেছেন: আপনার বর্ণনা আর লেখাটা পড়ে চোখ ভিজে গেলো, লিসানি ভাই। প্লাস দিয়ে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

ঈদ মোবারক।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদ মোবারক সিরাজ সাঁইজির ভালবাসা বুকে ধরা মানুষটাকেও। আপনি ভাল থাকুন ভাই। সব সময়, সর্বক্ষণ।

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ নবীজি (দঃ) কে নিয়ে লেখাটা শেষ করতে পারেন নি, কিন্তু লেখার সামান্য একটু অংশ পড়েই বুঝা যায় কী অসীম দরদ নিয়ে লেখাটা তিনি শুরু করেছিলেন ।

আপনার বর্ণনার মাঝেও সেই দরদ বা মায়া টা চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে ।

পশ্চিমে লোহিত সাগর, উত্তরে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পার্শিয়ান গালফ। দক্ষিণে প্যালেস্টাইন এবং সিরিয়ার নগ্ন পর্বতমালা।


আরব পেনিনসুলার এই ভৌগোলিক বর্ণনায় একটু ভুল আছে, হয়ত টাইপো । সঠিক হবে, দক্ষিনে ভারত মহাসাগর আর উত্তরে প্যালেস্টাইন এবং সিরিয়ার নগ্ন পর্বত মালা ।

অনেক ধন্যবাদ লিসানী ভাই চমৎকার এই লেখাটি শেয়ার করার জন্য । আবেগী করে দিলেন ভাই ।

ঈদ শুভেচ্ছা । :) :)

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কয়েক ধরনের টাইপো ছিল। একটা আমি ঠিকও করেছি লেখার সময়। আসলে হুমায়ূন আহমেদের লেখার টাইপোতেও হাত দেয়ার সাহস পাই না। আর সম্ভবত উত্তর-দক্ষিণটা আমার টাইপো। আরেকবার রিচেক করে দেখতে হবে।

কৃতজ্ঞতা রইল মামুন ভাই। ঈদের শুভেচ্ছা। আমেজ তো যায়নি, আর চাইলে আমরা ধরেও রাখতে পারি সেটাকে। ধরা থাকুক আপনার কাছে, সবাইকে নিয়ে।

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: যদি বলি তার কিছু অপূর্ণতা তবে এই বৃহৎ কর্মটি অসম্পূর্ণ থাকাটাই হলো তার অপূর্ণ। আর কিছু বলার নেই।

ঈদ মোবারক।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঠিক তাই সজীব ভাই। আসলে মজার বিষয় হল, লেখকদের কিছু না কিছু অপূর্ণতা রয়েই যাবে, যদি না তারা লেখা থেকে অবসর নিয়ে তারপর মারা যান। মানুষ শেষ পর্যন্ত কর্মীই থেকে যায়, তাই তার অপূর্ণতাও রয়ে যাবে সব সময়।

তবে উনি এটা লিখতে পারলে অসম্ভব ভাল লাগত।

ঈদ মোবারক!

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ঈদ মোবারক লিসানি ভাই। তথ্যটা জেনে ভালো লাগল। সংগ্রহ করে পড়তে হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই! আশা করি খুব খুব ভাল আছেন। পড়লে ভাল লাগবে। বেচারা খুব কষ্ট করে লেখা শুরু করেছিলেন, অনেক তথ্য যোগাড় করেছেন, কিন্তু সামান্য লিখতে না লিখতেই চলে যাওয়া।

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

নিয়েল হিমু বলেছেন: স্যার এই লেখাটা শুরু করেছিলেন খুব সম্ভব ৫৯ বয়সে । কারন ৬০ তম জন্মদিনের এক অনুষ্টানে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন যে তিনি নবী (স) এর জীবনি নিয়ে লিখা শুরু করেছেন । এবং প্রতিবছর তিনি এই লিখাটার এক পাতা করে লেখেন । কারন তার ধারনা এই লেখাটা যেদিন শেষ হবে সেদিন নাকি তার মরন হবে ।
আপনাকে ধন্যবাদ এবং ঈদের শুভেচ্ছা ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: চমৎকার ইনফো ভাই। বইটা নিয়ে তাঁর অনেক অবসেশন ছিল বোঝা যাচ্ছে। ভাল আছেন আশা করি।

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:






১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ডবল ঈদ মোবারকে ডবল ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই।

২১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫০

মেহেদী হাসান '' বলেছেন: ইসলামী ইতিহাসের অনেক বই জোগাড় করেছিলেন। বইটি লেখার আগে। আপসোস! লিখে যেতে পারলেন না।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মেহেদি ভাই, তৃতীয়বার মন্তব্য করছি। বাগের কারণে বারবার পোস্ট হওয়া থেকে সরে যায়।

মানব জীবনে এই অপূর্ণতাগুলো তো থেকেই যাবে... হ্যা, আফসোসটা আজীবন থাকবে আমাদের মনে।

২২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

মেলবোর্ন বলেছেন: দেরিতে হলেও ঈদ মোবারক -- এবার এত্ত ঘুরেছই আর খেয়েছি যে ব্লগে এসে পোস্ট গিলার সময় পাইনি অনেক দিন পর বিদেশে দেশের মত ঈদ করলাম সবার বসায় গিয়ে গিয়ে । আর হুমায়ন আমহেদ কি আর বলবো ওনার মতো সকলেই যদি মনটা খুলে একটু জানার চেস্টা করতো ইসলাম সম্পকে মানুষের ধারনা অনেক পান্টে যেত আমাদের সমস্যা এখানে আমাদের যারা শিক্ষিত তারাই ইসলাম ও মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে আগ্রহ দেখায় না বা লিখে না তাই এই সুযুগে ফতোয়া দেয়া চান্দে যাওয়া লোক দেখানো কিছু মানুষ ইসলামের ধারক বাহক ও প্রচারক হয়ে যায় যার ফল যা হবার তাই হয় মনুষ হয় বিপথগামী ইসলাম হয় কলংকিত আর , ইসলাম বিদ্বেষীরা হয় আনোন্দিত।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মূল্যবান মতামত ভাই! হ্যা, বিষয়টাকে আমরা ধার্মিকতাও বলতে পারি, আবার কৃতজ্ঞতাও বলতে পারি, সবচে বেশি যেটা বলতে পারি সেটা হল, প্রকৃত মুক্তমন।

তিনি যে রাসূল দ.'র প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন সেটা সেই শুরু থেকেই জানি। কিন্তু এতটা, তা কখনো টের পাইনি।

প্রকৃত প্রগতিশীল, প্রকৃত মধ্যমপন্থী মানুষের জন্যই কিন্তু ইসলাম।
রাসূল দ. বারবার বলেছেন, ইসলাম মানে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
ইসলাম মানে মধ্যপন্থা।

তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে অনেক জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে বিলীন হয়ে গেছে।- এই কথাটা রাসূল দ.'র আদেশ। আর রাসূল দ.'র আদেশ হচ্ছে ফরজে আইন।

এ কথা কাদের বোঝাবেন!
যারা -
ইসলাম ইসলাম বলে গলা ফাটিয়ে ফেলবে, অন্যের অধিকারের দিকে তাকাবে না, অপরাধ করবে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে, নারীকে বাজে উদাহরণ আকারে উপস্থাপন করবে, ক্ষণে ক্ষণেই বিরুদ্ধমত আর ভিন্নধর্মের উপর আক্রমণ করবে, পাপ করেই ভাববে নামাজ পড়লেই সব মাফ, তাদের?

যারা অনুবাদ করে,

প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর উপর দ্বীনী ইলম অর্জন করার ফরজ, তাদের?

যেখানে স্বয়ং আল্লাহ ফরজ করলেন জ্ঞানকে, আর তারা সেটাকে সরাসরি বিকৃত করল, দ্বীনী জ্ঞান আকারে।

তারপর তারাই কিনা বলে, এক সময় মুসলিম ছিল বিজ্ঞানের, বিজ্ঞান ছিল মুসলিমের।

আরে বোকার দল, যেদিন থেকে তোমরা জ্ঞানকে শুধু দ্বীনীতে ট্রান্সফার করলা, সেদিন থেকেই সাঈদীর ছবি চান্দে বসে গেল, শুধু নীল আর্মস্ট্রং সেখানে গিয়ে সেটা দেখতে পেল না।

সবই নীল আর্মস্ট্রঙের কপাল আর মুসলিমের গণিত-পদার্থ-রসায়ন-জৈব বিজ্ঞান ছেড়ে দেয়ার ফলশ্রুতি!

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট । শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ !

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ভাই। অগুণতি শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন অনুক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.