নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
এ এক বিচিত্র বিষয়। মানুষ মারা যাবার আগে বা নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সের সময় আফসোস করে কী কী বিষয় নিয়ে?
সাধারণত দেখা যায়, পরিবারের সাথে আরো সময় কাটানো, আরো আনন্দময় সময় কাটানো, নিকটজনের সাথে একটু বিশ্রাম, একটু বিরামের সাথে এগিয়ে যাওয়া, প্রিয় মানুষটার সাথে আরো একটু আন্তরিকতার ইচ্ছা দেখা দেয় প্রতিটা মানুষের। অথবা, সেই কাজগুলো ঠিকমত করতে না পারাতেই তাদের আফসোস নিহিত থাকে।
আবার এই একই কথা যদি কাজপাগল মানুষের ক্ষেত্রে হয়, তাহলে দেখা যায়, লেখক তার বইয়ের কথাই মনে করছেন, সেই বইটা, যা তিনি অনেক অনেক বছর ধরে লেখার আশা করে রেখেছিলেন, কিন্তু সময় করে উঠতে পারেননি। হুমায়ূন আহমেদ হার্ট অ্যাটাকের পরপর জোছনা ও জননীর গল্প উপন্যাসটার জন্য প্রবল টান অনুভব করেছিলেন। তাঁর সম্পূর্ণ সচেতনতা জুড়ে ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এই উপন্যাসটা লিখে মারা যাবার ইচ্ছা।
একইভাবে, যাদের অনুভূতিতে থাকে, অনেক কাজ করা বাকি, তারা কীভাবে কীভাবে যেন ফিরে আসেন নিয়ার ডেথ থেকেও। গভীর কোমা বা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম থেকেও।
বেশিরভাগ মানুষই বিষয়টাকে এভাবে বর্ণনা করেন বলে শুনেছি, তিনি নিজেই ভেসে উঠেছেন। ওজনহীন, আয়তনহীনভাবে। দেখছনে, নিজেই পড়ে আছেন নিচে। আশপাশে প্রিয়জন বা মানুষ। সবকিছু ঘোলাটে, কাঁচের ভিতর দিয়ে দেখা যায়। অথবা ধোঁয়াশায় ঘেরা। অথবা, অনেকেই টানেল দেখতে পান। কেউ আলোকিত, কেউ অন্ধকারাচ্ছন্ন। কথাগুোলা আধাআধি বোঝা যায়, অর্ধেকটা বোঝা যায় না।
অনেকেই বলছেন, তখন খুব বেশি শক্তভাবে কোন অপূর্ণ কাজের কথা মনে পড়ার কারণেই তাঁরা মারা যাননি। বিষয়টা আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি। এত বেশি মানুষ বলেছে, এত বেশি ভিন্ন তাদের বিশ্বাস, আচরণ, ভাষা, পরিবেশ- যে মিল থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
প্রফেসর এম ইউ আহমেদের কথা পড়েছিলাম, তিনি যথেষ্ট বয়সে দ্বিতীয়বার কোমায় চলে যান। তখন তাঁর ভাবনা ছিল একটাই, তাঁকে বাঁচতে হবে, কারণ সব কাজ এখনো শেষ হয়নি। কারণ, এখনো, তাঁর অনেক অনেক রোগী, যাঁরা মানসিক বিকার থেকে রক্ষা পেতে চায়, তাঁর মুখ চেয়ে আছে।
মজার ব্যাপার হল, সম্ভবত এই কথাগুলো তাঁর মেয়ে পাশ থেকে বলছিল, এবং তিনি নতুন উদ্যমা পান। এই কথাগুলো থেকে।
অর্থাৎ, কথাটাকে আমরা এভাবে নিতে পারি, মানুষ মৃততুর সময় আফসোস করে তার না করা কাজগুলোর জন্য, পূর্ণ দায়িত্বের জন্য, অথবা যাতে তার টান ছিল, যাতে পূর্ণতা ছিল, তা না করার কারণে।
পাপবোধের কথা বা ঋণের কথাও খুব শোনা যায়। পাপবোধ বা ঋণ শোধ করার জন্য অনেকে প্রবল মনোবল পান। তারপর কোনক্রমে টিকে যান।
এই জায়গাটাতেই, মৃততুর বিষয়টায় বিজ্ঞানের সাথে এসে যুক্ত হয় ধর্মের/বিশ্বাসের/আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি দর্শন। পূর্ণতার দর্শন।
ধারণা হল, দর্শনটা আসে এভাবে- বাস্তবেই তো, জীবন মানে কিছুটা সময়। অর্থাৎ জীবনের একক সময়। আর সময়ের সার্থকতা সঠিক জীবন দর্শন পরিগ্রহণের মাধ্যমে সেই সময়টাকে কাজে লাগানো। আবার কাজ হলেই হবে না, এমন কাজ, যা ঠিকঠাক পূর্ণতা আনয়ন করে। কোন বিষয়ে আক্ষেপ রাখে না।
এরই উল্টো পিঠে অবস্থান করে এই বাস্তবতাকে লালন করার শিক্ষা, আবারো চলে আসছে দর্শন। স্টিভ জবস, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই আয়নার সামনে দাঁড়াচ্ছেন, তারপর জিগ্যেস করছেন, আজই যদি জীবনের শেষ দিন হত, কী কী করতে তুমি? কতটা করতে? এবং এভাবেই জীবনটা কাটিয়েছেন দেখেই হয়ত, তাঁর এক জীবন পরিণত হয়েছে সহস্র জীবনে।
অ্যাপল, পিক্সার, আবার ঘুরেফিরে অ্যাপল।
আসলেই, আজই যদি শেষ দিন হত, কী করতাম একজন লজিক সম্পন্ন মানুষ?
*পরিবারকে এমনভাবে সময় দিতাম, যেন কোন বিন্দুমাত্র আক্ষেপ না থাকে। প্রত্যেকের সাথে, একটা মুহূর্তও যদি হয়, খুব আন্তরিক।
*নিশ্চই, কারো সাথে আদান-প্রদান থাকলে যথা সম্ভব পরিষ্কার করে ফেলতাম।
*কাজের যেটুকু বাকি আছে, আজই, তার যথা সম্ভব একেবারে শেষ দেখে ছাড়তাম।
*এবং নিজের জন্য রাখতাম অতোটা সময়, যাতে করে অতীত ঘাঁটতে পারি, সবটুকু দেখে নিতে পারি।
তখন আর একটা ইটের টুকরা বা একটা ছোট পিঁপড়াকে কিঞ্চিৎ মনে হত না। তখন আর আকাশের দিকে তাকানোর সময়ে বিশ্রি একটা উপর দেখা যেত না। তখন সব বর্ণিল হতো, সব আলোময় হতো, সব সুন্দর হতো এবং সবই স্পর্শী হতো।
সবচে বড় কথা, এই দিনটাকেই শেষ দিন মনে করলে আমার প্রতিটা মুহূর্তকে অতি জরুরী মনে হতো এবং কোন কিছুতে অকারণে সময় নষ্ট করার কোন সুযোগ থাকতো না।
এভাবেই হয়ত, জীবন সেই জীবনই রইল, কিন্তু তাতে বর্ণিলতা বাড়ল বহুগুণ। এক জীবন সহস্র জীবনে পরিণত হয়।
আাবার দর্শনের থেকেই যেহেতু মানবমনে (বাস্তবে যাই হোক...) ধর্মের উৎপত্তি, তাই মৃততুভাবনার সাথে ধর্মের যোগসেতুতে দর্শন এসেই পড়ে। এই এসে পড়ার অনুভূতি যে কত তীক্ষ্ণ!
একজন লালন ফকির ভাসলেন বসন্তরোগী হয়ে ডুবলেন, তারপর আবার কিনার পেলেন। তারপর তাঁর অনুভূতিতে যা বাসা বাঁধল, এই টোটাল ঘটনাটাকে তিনি যে রূপে দেখলেন সেটাকে আমরা দর্শন বলতেই পারি। নিশ্চই তিনি তা বলে গেছেন, কী বলেছেন...
তুমি ডুবায়ে ভাসাতে পারো,
ভাসায়ে কিনার দাও তারো,
রাখো মারো হক্ব তোমারো,
তাইতে তোমায় ডাকি স্বামী (জগতকর্তা, এখানে প্রভু)
ইলাহাল আলামীনা গো আল্লা-
বাদশা আলামপানা তুমি!
অর্থাৎ এইযে ডুবে যাওয়া (মৃতপ্রায় অবস্থা), এখান থেকে ভাসা (নদীতে ভাসানো), এবং কিনার পাওয়া (বহুদিন পর ভিন্নধর্মের, যবনের ঘরে আশ্রয় পাওয়া... নদীর কিনারায়)- এই পুরো ব্যাপারটাতে তিনি তাঁর বিবোচনা অনুযায়ী আল্লা'র সন্ধান পাচ্ছেন। এখানে তিনি আল্লাকে পান এমন এক প্রবল পরাক্রমশালী রূপে, যার সবই হক্ক্ব। সবই যাঁর অধিকারে, ফলে রাখাও তাঁর হক্ব আবার ডুবানোও। তিনি এঁকে পান ইলাহাল আলামীন হিসাবে, যত জগত আছে, সবগুলোর একমেবাদ্বিতীয়ম্ প্রভু রূপে। তাঁকেই বাদশা (আাল মালিক্ ), আলমপানা (জগত-ত্রাতা) হিসাবে পান। এবং এই পাওয়াতে তাঁর কোন অবদান নেই, নদীর জলের নেই, বসন্ত রোগের নেই, হিন্দু মা-বাবা বা তাঁর যে কর্তার সাথে মেলায় গিয়েছিলেন তাঁরও নেই, নেই অবদান ওই যবন বা মুসলমান পরিবারের, যারা ঘটনাক্রমে তাঁকে আশ্রয় দেন।
এথানে তিনি একচ্ছত্র হিসাবে শুধু আল্লা'র উপস্থিতি এবং প্রভাব লক্ষ্য করেন। এইযে বিনা শর্ত বিনা শক্তিতে সমর্পণ- একেই হয়ত ধর্ম বলা হয়, বা ইসলাম... আর এই অনুভূতি কখনোই সার্বজনীন নয়, যার যার মত করে উপনীত হওয়ার বিষয়।
সবচে বড় কথা হল, উপনীত হওয়াতেই সব কিছু নেই। সেখানেও কোন কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বরং শুরু হচ্ছে।
(চলবে... ভাবনাগুলোকে সাজাচ্ছি, তাই প্রতি পর্বে বিষয় পরিবর্তন হচ্ছে, বোরড লাগলে মাফ করবেন, এই কথাগুলোও অপাঙক্তেয় নয়, নিয়ার ডেথেরই অংশ)
১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ভাবনাগুলা তালগোল পাকিয়ে গেছিল। স্ট্রেট হচ্ছে আস্তে আস্তে।
২| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
মোঃ জুম্মা বলেছেন: দীর্ঘ লেখা। ধন্যবাদ
১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন অষ্টপ্রহর।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১০
ইয়ার শরীফ বলেছেন: তারা কীভাবে কীভাবে যেন ফিরে আসেন নিয়ার ডেথ থেকেও। গভীর কোমা বা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম থেকেও। ***
মানুষের মধ্যে জীবন শেষ ও পুনরায় নতুন করে ফিরে পাবার ঐ মুহূর্ত আমাদের কাছে আজীবনই রহস্যে ঘেরা থাকবে।
১ম পর্বের কমেন্ত কারীরা যদি তাদের দু একটি অভিজ্ঞতা আরও ভালোভাবে বর্ণনা করত তাহলে পরের পরব গুলো আরও উপভোগ্য হয়ে উঠত।
আপনি আপনার মত করে লিখে জান, তবে ইদানিং কি সংসার বৈরাগে ধরল নাকি <অফতপিক> ইলিশ খতে যাবার পোস্ট এবং নিয়ার ডেথ পোস্ট এ যে ভাবে লালন বা বুদ্ধের সংসার ত্যাগী হয়ে পূর্ণতা পাবার কথা লিখছেন, কাকতালীয় নাকি?
১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ১ম পর্বের কমেন্ত কারীরা যদি তাদের দু একটি অভিজ্ঞতা আরও ভালোভাবে বর্ণনা করত তাহলে পরের পরব গুলো আরও উপভোগ্য হয়ে উঠত।
দাবিই রইল।
কাকতালীয় না ভাই, মনটা আর টেকে না।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
জীবনে কয়েক বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলাম ভেবেছিলাম এই বুঝি মরে গেলাম। কিন্তু বেঁচে আছি। কিন্তু এখন বেঁচে থাকার কোন অর্থ খুঁজে পাই না।
১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আসেন গলাগলি ধরে কোন পুকুরে নাহয় নদীতে পায়ের পাতা ডুবিয়ে বসে থাকি। ঘোর সন্ধ্যাবেলায়। আমারো মানে নেই, তাই কৃত্রিম অর্থ বানাই জীবনের।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: চালিয়ে যান।
১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ রিয়াদ ভাই।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
বোকামন বলেছেন: মৃত্যুর স্বাদ গন্ধ চেকে দেখার সুযোগ আল্লাহ-তায়ালা এখন পর্যন্ত করে দেননি। শোকরিয়া
তবে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করেছি যেমনি আপনার লেখা কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়ছি।
মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি, মৃত্যুর কোল থেকে ফিরে আসা ব্যক্তি তার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করে থাকে স্মৃতি এবং বিশ্বাসের অপ্রচলিত ধারনা কে সামনে রেখে। মাত্রা-রিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন বঞ্চনা উজ্জ্বল আলো বা ক্ষিপ্ত অন্ধকারে সন্নিবেশ করতে পারে।আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে ইহকাল থেকে পরকালে যাওয়ার পথটা দেখতে পারে, যদি সে পার্থিব জীবনে পুনরায় ফেরত আসে তবে হয়তো সেই পথে দেখে আসা কিছু চিত্র তার জীবনাচরণে প্রভাব ফেলে। জীবনের সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বদলেও যেতে পারে। মৃত্যুকে চাক্ষুষ দেখাকে কী হ্যালুসিনেশন বলা যাবে ! যদি বলি এটা শুধুই একখানা উপলব্ধি, ঠিক যেমন করে আমরা ফুলের সুবাস - সৌন্দর্য অবলোকন করে থাকি ! প্যাথলজিকাল কন্ডিশন অথবা আধ্যাত্মিক শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড আত্মার অস্তিত্ব অলীক করে ফেলছে কী ?
জাস্ট কোড ব্লু !!!
আমি মৃত্যু বা NDE নিয়ে খুব বেশী ভাবি না, পরকাল আমাকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে।
খুবই সাধারণ একজন পাঠক হিসেবে একদম বোরড হচ্ছি না প্রিয় লিসানী ভাই !
“ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান”
তাই মনে হয় এ ধরেনের লেখাগুলোর খুব প্রয়োজন রয়েছে।
(আমিও আপনার পোস্টে যা বোকামনে এসেছে তাই লিখে গেলাম, আশাকরি বিরক্ত হবেন না ভাই আমার
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মৃত্যুকে চাক্ষুষ দেখাকে কী হ্যালুসিনেশন বলা যাবে !- তাতো বলা যাবেই। কারণ হ্যালুসিলেশন হয় আগে থেকে তৈরি থাকা ধারণার উপর ভিত্তি করে। যদি আমি আগে থেকেই জানি যে, মৃততুর কাছাকাছি পর্যায়ে গেলে মানুষ এই এই অনুভূতি পায়, তাহলে মস্তিষ্ক সেই দৃশ্য তৈরি করতেই পারে।
প্যাথলজিকাল কন্ডিশন অথবা আধ্যাত্মিক শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড আত্মার অস্তিত্ব অলীক করে ফেলছে কী ?- এটাতো বিজ্ঞানীদের কাজ... আর বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা বিষয় খুবই কমন, তা হল, যা ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, যার প্রমাণ পাওয়া যায় না, সেটাকে তারা অবশ্যই সব সময় ইগনোর করবে। এই ইগনোর করতে না পারলে কিন্তু তারা বিজ্ঞানী হতে পারত না। তাদের মনে সাধারণত কোন সংস্কার থাকে না। সর্বসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানীর সংখ্যাই তাই সব সময় সবচে বেশি। তার উপরে কিছু কিছু বিজ্ঞানী আবার এককাঠি সরস, তারা শুধু যে আত্মা আছে কি নেই সে প্রশ্নে যাবে না, বরং তারা বলবে, আত্মা মাত্মা কিছু নেই। কারণ, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ম্যাটেরিয়ালিস্টিক হয়ে গেছে। এটা কোন দোষ নয়। যে যে ধরনের কাজ করে তার সে ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি হয়েই যাবে।
তার পরও, অনেক ধার্মিক বিজ্ঞানী কিন্তু আবার এই বিষয়গুলোর সাযূয্য আনবেই।
মজার ব্যপার কি জানেন, আত্মাকে যদি ল্যাবে ধরেই ফেলা যেত, তাহলে আর তার আত্মা-মর্যাদা থাকত না। তাই রূহ অধরা থাকাতেই অনন্য।
আমি মৃত্যু বা NDE নিয়ে খুব বেশী ভাবি না, পরকাল আমাকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে।-আমি কিন্তু না! কারণ, ভয় পাব কাকে! তিনি তো আমার প্রভু! শত্রু বসে থাকলে তাকে না ভয় পাব! শুধু সাবধান থাকি, এমন কোন কাজ না হয়, এমনভাবে অন্যের অধিকার নষ্ট না হয়, যেন তার সামনে দাঁড়াতে না পারি।
৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: বোরড লাগলে মাফ করবেন, এই কথাগুলোও অপাঙক্তেয় নয়, নিয়ার ডেথেরই অংশ
ভাই আপনেরে নিয়া ইদানিং ডর করে। এইসব কি লেখেন? কোন সমস্যায় আছেন নাকি? মইরা টইরা যাওনের চিন্তা আছে নাকি?
টিপুর কথা মনে পইড়া যায়। সেও ক্যান্সার নিয়া এইরাম পোষ্ট দিছিল।
অটঃ মরার সময় একটাই আফসোস থাকবো যে, শ্লা জীবনে একটা প্রেম করতে পারলাম না।
ফেবুতে রিকু দিছি কইলাম
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ডর তো করারই কথা। কয়দিন আগে স্বপ্নে দেখলাম, আমার ফাইনাল স্টেজের ক্যান্সার।
যারা মেডিটেশন করে, তারা স্বপ্নরে কখনো ইগনোর করে না। কারণ স্বপ্নটা মেডিটেশনঅলাদের কাছে ডাটা ট্রান্সফারের একটা সিস্টেম। আর আমি তো মাশাল্লাহ, জীবনভর তামাক ইনটেক করছি। তামাক ইনটেক না করলে চলত না একটা লম্বা সময় ধরে।
এই হল ডর। তবে এর সাথে আরেকটা কথাও আছে, আমার ধারণা, এত তাড়াতাড়ি কিছু হচ্চে না। আল্লার কোন প্ল্যান আছে আমারে নিয়াও, যেমন আছে প্রতিটা মানুষরে নিয়া।
আপনে এখনো প্রেম করতে পারেন নাই! কন কী ভাই! কংগ্র্যাটস! জীবন তো তোফা!
৮| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়....
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। তাহলে আমিও রইলাম।
৯| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
মাকসুদ বদ্দ০০৭ বলেছেন: হু হু হু।
চমতকার লাগছে। সত্যিই প্রতিটা দিনই যদি আমরা শেষ দিন বলে মনে করি তাহলে জিবন টা হয়ত অন্যরকম হত। চালিয়ে যাবেন আশা করছি
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মাকসুদ ভাই, চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
১০| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পড়লাম ভাই।
ভালো লাগলো।
তবে আমার একটু কথা আছে দুঃস্বপ্ন বিষয়ক। অফটপিক হয়তো। কিন্তু দুঃস্বপ্নে অনেক সময় বোঝা যায় ঘুমিয়ে আছি দুঃস্বপ্ন দেখতেসি। কিন্তু শত চেষ্টাও ঘুম ভাঙ্গতে পারি না। তখন আধো ঘুম আধো জাগরণের দুনিয়ায় কিন্তু কিছুটা এই রকম এক্সপিরিয়েন্স হয়। কোন প্রেরণা বা প্রিয় মুখ ভাবনায় চলে আসে। আমি বোঝাতে পারছি না। আপনি এই টপিকটাকেও নেক্সট পোস্টে আনবেন আশা রাখি!
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল আপু, যেন এমন অভিজ্ঞতা শুধুশুধু না হয়- তবে যদি বিষয়টা এমন হয়, গড হ্যাজ আ প্ল্যান- তাহলে তাঁর প্ল্যানই আমাদের প্ল্যান।
হ্যা, দু:স্বপ্নের নিয়ার ডেথ কিন্তু অনুভূতিটা বাস্তব এনে দেয়। আর দু:স্বপ্ন, যদি তা খাওয়া বা আঘাতজনিত শারীরিক কারণে না হয়ে থাকে, তাহলে মৃততুর দু:স্বপ্ন দেখাটা যৌক্তিক অনিরাপত্তাবোধ থেকেই আসে। আমাদের মনতো মহাজ্ঞানী। সে অনিরাপত্তাকে ঠিকই দেখিয়ে দেয়। দু:স্বপ্ন না দেখাটা তাই বরং ব্যাডলাক।
ইনশাআল্লাহ, পরের পোস্টে ঘুমের সাথে নিয়ার ডেথের সম্পর্ক নিয়ে কথা আসবে। ভাল আছেন আশা করি।
১১| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৬
স্বপনবাজ বলেছেন: মৃত্যু দিন জানলে আমরা কিছুই করতে পারতাম না!
তবে নিয়ার ডেথ অভিজ্ঞতা হলে আমি হয়তো কাছের মানুষদের আশীর্বাদে সিক্ত হয়ে মরতে চাইতাম!
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ! কাছের মানুষের আশীর্বাদে সিক্ত হয়ে মরা... অথবা প্রিয়জনের। এমনো তো হতে পারে, প্রিয়জন, যিঁনি কাছের মানুষ নন।
১২| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: দুইবার কোমায় গেলে অবস্তা কি হয় ভাবতাছি !
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: চিন্তা করেন! দুইবার কোমা থাইকা ফিরে যে, হ্যায়তো সিম্পলি অমর টাইপের মানুষ!
১৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ফকিরা মার্কা বাংলাবিলাই নেটের জইন্য কমেন্টের জবাব দিতে পারতাসি না। মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এরচে গ্যাড়ামিন ভাল।
১৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
বোকামন বলেছেন: আমি কিন্তু না! কারণ, ভয় পাব কাকে! তিনি তো আমার প্রভু! শত্রু বসে থাকলে তাকে না ভয় পাব! শুধু সাবধান থাকি, এমন কোন কাজ না হয়, এমনভাবে অন্যের অধিকার নষ্ট না হয়, যেন তার সামনে দাঁড়াতে না পারি।
খুবই যথার্থ এবং চমৎকার উত্তর পেয়ে লগিন করতেই হল!
হ্যা আপনার কাছ থেকে এমনই মন্তব্য আশা করেছিলাম হয়তো.....
মৃত্যু নিয়ে ভাবছি না -
জীবনকে পরকালের জন্য অর্থবহ করে তোলার জন্যই হয়তো জীবন নিয়েই বেশী ভাবছি !! মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ....
মোহাব্বতই ভয় সৃষ্টি করে যাচ্ছে মোহাব্বত কে প্রাচুর্যময় এবং টিকিয়ে রাখার জন্যই ......
আপনার প্রতিটি পোস্টে সময়ের কারনে মন্তব্য করতে না পারলেও আমি কিন্তু মনযোগী পাঠক ....
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় গোলাম দস্তগীর লিসানি ভাই।
আস সালামু আলাইকুম
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়া আলাইকুম সালাম ভাই। ভাল থাকুন সব সময়, এখানে এবং ওখানে। তাঁর রহমতের ছায়ায়, বরকতের অশেষতায় নেয়ে উঠুন ভাই। এবং সাইয়্যিদুনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লামার শাফাআতের মাধ্যমে সুন্দরতম বাগানে চিরদিন স্থান করে নিন।
ভাই, বিষয়টা এমন না, আসলে তো কিছুই করতে পারি না তাঁর কথামত। তাঁর আদেশ একটাও পালন করতে পারি না। কিন্তু নিষেধের ব্যাপারে সাবধান থাকার চেষ্টা করি।
আদেশ পালন করতে না পারা এক ব্যর্থতা, নিষেধ অমান্য করা ভয়ানক ব্যর্থতা। তাঁর করুণা চাই, তিনি ছাড়া দ্বিতীয় অস্তিত্ব নেই, যে রক্ষা করতে পারে। পাপের বোঝার তো শেষ নাই, কিন্তু তাঁর দানের সমুদ্রে আমার পাপ কি আর টিকতে পারবে?
১৫| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চলুক ....। খুব এনজয় করছি লেখাটা
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। চলবে, চলতেই হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ কমেন্টগুলোতে যা পাচ্ছি তার তুলনা নাই।
১৬| ২০ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সিরিজটা আগেই খেয়াল করেছিলাম। বেশ কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা আর ভাবনার বিচ্ছিন্নতার মধ্যে কাটালাম। চেষ্টা করছি গুছিয়ে উঠতে। আজ তিন পর্ব একসাথে পড়ে ফেললাম আর অনাগত পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
খুব ছোটবেলায় একবার নাকি প্রায় মরেই গেছিলাম সবাই বাঁচার আশা ছেড়ে দেয়ার পরও নাকি বেঁচে উঠেছি। অতি ছোটবেলার ঘটনা তাই স্মৃতিতে নেই। বড় হয়ে এমন কোন অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ছেনা। তবে, আমার এক ফ্রেন্ড আছে নাম নজরুল। সে মারা গিয়েছিল, মারা যাওয়ার পর ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সব শেষ করে কবরে নামানোর সময় নড়চড়ে উঠেছে। সে এখন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। অবশ্য ওর বেলায়ও ঘটনাটা ঘটেছিল ছোটবেলায় তাই সেও কিছু মনে করতে পারেনা।
অঃটঃ ফ্রি থাকা অবস্থায় সময় করে একটু ফেসবুকে নক দিয়েন তো লিসানি ভাই। একটা বিকল্প রাস্তা বের করার জন্য আপনার হেল্প দরকার। জরুরী!!!
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই, আজকেই নক দিচ্ছি ভ্রাত:
আপনি ভাল থাকুন ভাই, বিশেষ করে মানসিক প্রশান্তি স্থির থাকুক। ইদানিংকার পোস্টগুলোও কিন্তু তুখোড় হচ্ছে।
১৭| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৬
ফরটি ইজ দা নিউ থারটি বলেছেন: মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মৃততু আসুক পূর্ণতার পর।
১৮| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৩
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
ধর্মীয় বই নিয়ে নাড়াচাড়া করা কালীন একটি বিরল, গুরুত্বপূর্ণ, রহস্যময় ও চমকপ্রদ তথ্য মনে পড়লো।
তবে, এটি নিয়ার-ডেথ-এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে নয়, "ডেথ বা মৃত্যু" নিয়ে।
সব মন্তব্য চাঁছাছোঁলা ভাবে বিষয়ভিত্তিক হলে একঘেয়েমি লাগে। তাই কিছু কিছু মন্তব্য বিষয়ের একটু বাইরে গেলে বৈচিত্র্য আসে। তাই না?
এ কথা মেনে নিয়েই,
মৃত্যু নিয়ে ধর্মীয় উৎস (Revealed Knowledge) বা ওহী সূত্রে প্রাপ্ত উৎস থেকে চমকপ্রদ এক তথ্য দিচ্ছি।
তা' হলো এইঃ
হাশরের মাঠে মানুষ ও জ্বিন জাতিরই কেবল বিচার হবে। অন্যদের নয়। কারণ আল্লাহ মানুষ ও জ্বিন জাতিকেই কেবল মুক্ত ইচ্ছা বা ফ্রি উইল দিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তাকে মানা-না-মানার ব্যাপারে স্বাধীনতা দিয়েছেন।
এবং
হাশরের শেষ-বিচার-পরবর্তী পর্বে যারযার কর্মফল প্রদান শেষে "মৃত্যু"-কে মেরে ফেলা হবে।
অর্থাৎ মৃত্যুকে শারীরিক অবয়ব দান করা হবে। ঐ অবয়বের বর্ণনা সম্ভবত হাদিছ শরীফে রয়েছে, তবে দূর-অতীতে পড়ার কারণে স্পষ্ট মনে নেই।
"মৃত্যু"-কে মৃত্যু দান করার পর 'মৃত্যুর' অস্তিত্ব আর থাকবে না। মানুষ ও জ্বিন জাতি অসীম সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। জান্নাত ও জাহান্নামে অবস্থান করবে।
পবিত্র কোরানে এ রকম একটি লাইন আছে যে "তিন 'মৃত্যু' সৃষ্টি করেছেন"। অর্থাৎ 'জীবন' এর অনুপস্থিতিই মৃত্যু নয়। 'মৃত্যু' জিনিষটাই একটা আলাদা সৃষ্টি/সত্ত্বা/এনটিটি।
ধন্যবাদ।
কমেন্টটা একটু বাসিই হয়ে গেল। তাই না?
ব্লগে অনিয়মিত হওয়াতে এই অবস্থা।
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অসামিস্টিক! ফ্যান্টাবুলাস! আমি এই পোস্টের পাঠক হলে এই ধরনের কমেন্টগুলোর জন্যই পোস্টকে অন্য মর্যাদা দিতাম ভাই। ধন্যবাদ সিরিজজুড়ে চমকপ্রদ টুইস্টের জন্য।
১৯| ২১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
মুদ্দাকির বলেছেন: হজরত আজরাইল আঃ বেশ কয়েক বারই আমার সামনে এসেছেন। নিয়েও গিয়েছেন, কিছু বলা বা করার সাধ্য ছিল না আমার। আবার অনেক সময় তাঁর নেবার জন্য অনেক কে ফেলে রাখা হলেও তিনি নিতে আসেন না। মনে মনে চাই হজরত আজরাইল আঃ যেন তাকে অতি শিগ্রই নিয়ে যান কিন্তু তা হয় না। হুকুম নাই নিবেন কিভাবে??? ব্যাস হুকুম পেলেই হল, নিয়েই যাবেন!! কিছুই করার থাকবেনা, মিনিটও সময় দিবেন না!!! কার বয়স কত, আপেক্ষিক ভাবে কার স্বাস্থ্য কত ভালো কোন কিছুই কোন ব্যাপার না।
মৃত্যু কে অনেক কাছ থেকে দেখি!!
তথা কথিত মৃত্যুকে ফাকি দেয়াও দেখি!!!
হিউম্যান ফিজিওলজি যত দূর জানি তাতে মৃত্যু ব্যাপারটা শুধু মাত্র পান থেকে চুন খসার মতই সহজ। আর এই হাজার হাজার পান থেকে চুন খসার প্রক্রিয়া প্রতিরোধ করার জন্য কত রকম ব্যাবস্থা যে উনি দিয়ে রেখেছেন আমাদের শরিরে তা শুধু উনিই যানেন। আর আমরা তার ১% ও জানি কিনা আমার সন্দেহ হয় প্রতি নিয়ত!!!!!!!!!!!
আপনারা সবাই মাফ করবেন!!
"নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স" কথাটা শুনলেই ইমোসানাল লাগে।
আমার হিসাবে কেউ যদি মৃত্যু জিনিশ টা কি তা জানত, কারো যদি মৃত্যুর অভিজ্ঞতা থাকত , তাহলে মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা বলতে কিছু একটার অস্তিত্ত থাকত।
মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা বলতে আসলে কিছুই নাই। মানুষ মৃত্যুকে কল্পনা করতে চায় , কিন্তু তা কি আর সম্ভব???????
তথা কথিত মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা গুলোর কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে,
যেমন, অনেকেই বলেছেন যে তারা একটা আলো দেখেন বা আলোর সুরংগ দেখেনঃ
বিজ্ঞান বলে ঃ যখন আমাদের মস্তিস্কের রক্ত চলাচলের বা অক্সিজেনের ঘাটাতি হয় তখন সর্ব প্রথম আমাদের অক্সিপিটাল কর্টেক্স এ রক্ত চলাচল কমে যায়, উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্য আরো জরুরি অংশ গুলোতে রক্ত সরবরাহ করে। ফলে এই অক্সিপিটাল কর্টেক্স প্রয়োজনিয় অক্সিজেন ও খাদ্যের অভাবে এই রূপ আলোর দেখাপান, বা আলোর ঝল্কানির দেখা পান। যা আসলে বিপাকিয় বিপর্যয়। আপনাদের মধ্যে কারো যদি হঠাৎ করে রক্ত চাপ অনেক কমে গিয়ে থাকে তাহলে, আপনার ও এই অভিজ্ঞতা হতে পারে। এমন কি এই সময় বায়োক্যামিকেল এবনরমালিটির জন্য আপনার ভিজুয়াল হ্যালুসিনেসন ও হতে পারে............
লিসানি ভাই মাফ করেবেন
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুদদাকির ভাই,
আপনার এই কমেন্ট আমার কাছে একটা সার্থক পোস্টের মর্যাদা রাখে।
থ্যাঙ্কু ভাই, বিশেষ করে একটা ঘটনার সরাসরি সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা জানলাম ফিজিশিয়ানের কাছ থেকে, তারপর মানুষ নিজের সম্পর্কে কতটা জানে সেটাও জানলাম, সেইসাথে মৃততু দেখার যাতনার কথাও।
কমেন্ট এমন চাই, অথবা পোস্ট। অদেখার জগতগুলো দেখিয়ে দিন না।
২০| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৯
শামির শাকির বলেছেন: লিসানি ভাই কেমন আছেন? মার্শাল আর্ট নিয়ে পোস্ট দিতে বহু আগে একবার জালাইছিলাম, মনে আছে? NDE এর পরের গুলো পড়ার জন্য বসে আছি। প্লাস কোমা নিয়ে একটা পোস্ট দেন সময় পেলে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই মনে শান্তি পাচ্ছি না... একটুখানি পারিবারিক বিষয় নিয়ে, ক্যারিয়ার নিয়ে... ফিরব, এবং অবশ্যই আপনার ব্লগে লিংক দিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ! লেখাগুলো যেন সুন্দর হয়, এটাই জরুরি। মনে ফুরসৎ এলে সুন্দর তো হবেই। দোয়া রাখবেন। ভাল থাকুন সব সময়। চারপাশটা নিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
নিয়েল হিমু বলেছেন: ৩ পড়লাম মুগ্ধতা নিয়ে ২, ১ ও পড়ব । miss করে গেছিলাম তাই দুঃখিত ।