নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
একটা কম্প্যাক্ট ঘোরাঘুরির প্ল্যান আছে। মৎস্য জগতে খাই মাত্র দুটা জিনিস, চিংড়ি আর ইলিশ।
তো, খেয়াল করলাম, ইলিশ মাছটা নদীতে পেলে দেখতে হয় সবুজাভ-নীলাভ-চকচকে পীঠের আজব শাইনি রূপালি জিনিস। যেটা রান্নাঘরের বরফ দেয়া ইলিশে দেখাই যায় না। ম্যাদম্যাদে কালচে পীঠ, ততোধিক ম্যাদম্যাদে সাদাটে পেট। ব্যস।
প্রথম এই রহস্যের সন্ধান পাই বরিশালে পায়রা নদীতে। মাত্র ইলিশ ধরে নৌকা ভিড়ল, সাত-তাড়াতাড়ি সেই ইলিশ কেটেকুটে ভেজে খেয়ে যে মজা পেলাম তার তুলনা ভূ-ভারতে খুব কমই।
প্ল্যানটা শেয়ার করে ফেলি। খুব সস্তায়, খুব কম সময়ের ব্যয়ে যদি মাত্র-ধরা ইলিশ খাওয়া যায়, এর মূল্য জগতে খুব কমই হতে পারে, কী বলেন?
হ্যা, মাওয়াঘাটে যেতেই পারেন। কিন্তু এই তীব্র বর্ষায় না জেলে নৌকায় ওঠার সাহস পাবেন, না তাজা ইলিশ খাওয়া হবে। কারণ, ট্রলারও, মাশাল্লাহ, সকাল বিকাল ডোবে মাওয়ার ঘোলাজলে। বিশাল বিশাল ফেরিকে বিশ মাইল দূরে ঠেলে নিয়ে যায় স্রোত। তার উপর, মাওয়ার দিকে পদ্মার ইলিশ প্রায় নাই।
বলেন কী! তাহলে ঘাটে যে এত ইলিশ বিক্রি করে আর খাবার দোকানগুলোও যে ভরপুর?
ওই হলো... তারাও সেসব জিনিস কিনে আনে। দূর থেকে, বরফ দেয়া। মাওয়াতে টাটকা ইলিশ পাওয়া যায় না আজ কয়েক বছর হল। কমে এসেছে।
তাহলে আমাদের প্ল্যানটা কী?
আছেতো একটা। অল ফার্স্ট হ্যান্ড ন্যাচারাল প্ল্যান।
পনেরো থেকে বিশজন মানুষ চাঁদা দিব।
একটা ট্রলার ভাড়া করে রাখব আগেই, নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালে যেটা অপেক্ষা করবে। ঢাকা থেকে ভোর ভোরে ট্রেন বা বাসে নারায়ণগঞ্জ, নামলেই পড়বে টার্মিনাল। সেখানে গিয়ে উঠব ট্রলারে। অবশ্যই, কিছু ট্রলার আছে যেগুলোর ছাদের মত ধাতব ছৈ বা শামিয়ানা থাকে, সেগুলো।
সাথে স্টোভ থাকবে, ট্রলার দিয়ে রওনা দিয়ে কিছুদূর গেলেই, কিলোমিটার দশ পনেরো পর ক্ষেতওয়ালা একটা জায়গায় নেমে প্রচুর সব্জি (যা পাওয়া যায়) কিনে নেয়া। থাকবে খিচুড়ির চাল-ডাল-মসলা। কালিজিরার ভর্তা। কুচানো নারিকেল। প্রচুর তরমুজ-বাঙ্গি লোকালি পাওয়া যাবে। ক্ষেত থেকে কিনে নিব এ ধরনের ফলমূল। কোথাও ট্রলার থামিয়ে বাড়িওয়ালার সাথে ভাব জমিয়ে পাকা আম অথবা কাঁচাই সই... প্রচুর ডাব বা নারিকেলও কিনে নেয়া। আবার এক জায়গায় বিরতি নিয়ে, আখক্ষেতের মালিকের সাথে ভাব জমিয়ে কিনব আখ। তবে একটা জিনিস নিয়ে যেতে হবে, তা হল, আনারস।
কিছু লাকড়ি খড়ি নিয়ে নিব। নিব ধাতব 'চান্দা', যার উপরে ইলশে কাবাব করা হবে।
সবই তো হল, এবার আসলটা। শীতলক্ষ্যা থেকে মেঘনার মোহনার দিকে যেতে নিলেই দেখা পাওয়া যাবে ইলিশ শিকারীর। পাশে ভেড়াব ট্রলার। ওরা দাম দিবে না আমাদের, তাতে কী, আমরা ঠিকই পটিয়ে ফেলব।
ছোট হোক আর বড়, ইলিশ মাত্র ধরেছে, এই বস্তু তুলেই কয়েকটা পদ করা হবে, প্রথমেই ফুটন্ত ভাতের হাঁড়ি থাকবে, সেই হাঁড়িতে ভাতের ভাঁজে ভাঁজে মাত্র কাটা ইলিশ একটু মসলা মাখিয়ে নামিয়ে দিব। হয়ে গেল বাঙালির সেই বিখ্যাত জেলে-ভাত। যে ভাত আমরা বাঙালি হয়েও কোনদিন খাইনি। এই ভাতটা হবে মেইন দুটা ফুডের একটা। অন্যটা, সবজি খিচুড়ি।
এবার, ভেজে নেয়া হবে মাত্র ধরা ইলিশ। সবার ভাগে যেন ভাতের হাড়ির এক পিস এবং ভাজা এক পিস করে পড়ে (মেঘনায় বড় ইলিশ জেলেরা দিবে না, মাঝারি-ছোটগুলোই চড়া দামে কিনতে হবে।)
তারপর, একটা প্রিপারেশন হবে আনারস-ইলিশ। কুচানো আনারসের সাথে সামান্য কুচানো নারকেলও দেয়া যেতে পারে। আরেকটা প্রিপারেশন হবে ইলিশ পাতুরি, প্রয়োজন লাউপাতা। হট স্পাইসি আইটেমটা কিন্তু বিকালের খাবারে থাকবে। সেটা পরে আসছে। এখন দুপুরের খাবারের কথা।
পাতে নিয়ে নিন প্রথমে ইলিশ-ভাতের সাথে এক টুকরা ভাজা। এরপরই যে কোন রান্না ইলিশ। আরেকটা প্লেট রেডি রাখুন যেখানে বাঙ্গি-তরমুজ-আম বা পারলে কাঁঠালেরও ছড়াছড়ি (একটা হবে দুপুরে, আরেকটা সন্ধ্যায়)।
আরো এডভেঞ্চার চাই? সঙ্গী দুজনকে সরাসরি ঢাকা থেকে তুলে দিন সোনারগাঁর বাসে। ওরা শীতলক্ষ্যার ওপাড়ে বন্দর হয়ে উঠে পড়বে ট্রলারে। টাইমিঙ ঠিক থাকলেই হল। সরাসরি সোনারগাঁ থেকে বিস্তর লিচু আনবে। লিচুর স্বর্গ সোনারগাঁ।
এরপর খাওয়া আর খাওয়া। দুই ঘন্টা ধরে শীতলক্ষ্যা-মেঘনার মোহনায় টালমাটাল পানি আর প্রকৃতি দেখতে দেখতে, সব উড়ানো বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে।
আরো পাগল আছেন আপনি?
আরে সলুশন তো আমার কাছে। গামছা লুঙি নিয়ে গেছেন তো?
বৃষ্টি নামবেই। আপনি ট্রলারের ধাতব ছাদে উঠে ভিজবেনই।
আরো বেশি পাগলা?
ঝাঁপ দিন শীতলক্ষ্যার জলে। শীতলক্ষ্যা স্বচ্ছ্ব। এবং সেখানে ডুবে মরার আশা কমই, যেহেতু আপনার মাঝি আছে, আপনিও সাঁতার জানেন।
এরপর, বিকাল বেলা, বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে তক্কে তক্কে থাকুন, ততক্ষণে চাঁদপুরের দিকে চলে গেছেন, সেখানে আবার ইলিশ শিকারী। এবারের ইলিশকে ভিনিগারে একটু ভিজিয়েই সামান্য কেঁচা কেঁচা করে নিয়ে সস-সয়া সস সহ এক ফোঁটা টেস্টিঙ সল্টে নাইয়ে নিয়ে দু চার দানা মসলা গুড়া মিশিয়ে উঠিয়ে দিন বারবিকিউ শিকে। ততক্ষণে সন্ধ্যা এল এল।
বারবিকিউ হচ্ছে ইলিশ। ফ্রাইড আলু নিয়ে অপেক্ষা করছেন আপনি। এবং আমরা সবাই।
গান ধরেছে আমাদের সাথের অন্য কোন পাগলা। হয়ত প্লেটেই ঠুকে দিচ্ছে তাল। তীব্র বাতাস। দুই তিন ধরনের ন্যাচারাল ড্রিঙ্ক (নো কোক, অনলি ফোক)। একটা কড়া ডোজের কফি-রিলেটেড তো আরেকটা বাঙ্গি-তরমুজের স্ল্যাশ। তৃতীয় ড্রিঙ্কে কাঁচা আমের সাথে একটু আনারস মিশিয়ে বানানো তোফা স্ল্যাশ তো থাকবেই। বিটলবণ-পুঁদিনা-লেবু ও লেবুর খোসা স্বাদকুঁড়ি তুবড়ে দিবে। বারবিকিউ নামিয়ে নামিয়ে তুলে দেয়া হচ্ছে প্লেটে প্লেটে।
আমাদের ট্রলারে শুধু আগুনের আঁচ। সাথে করে নিয়ে যাওয়া হ্যাজাকটা এখনো জ্বালানো হয়নি।
হয়ত এই ফাঁকে আবারো ছাউনির উপরে উঠে গেছেন আপনি। ফোন খুলে খুব প্রিয় কাউকে একটা কল করার চেষ্টা করছেন। বলছেন, কী হল আজকে।
বাতাসের জন্য অন্যপ্রান্তে কিছু শুনতেই পাচ্ছে না সে। অথবা শুধুই চেয়ে আছেন দূরের কালো ঢেউগুলোর দিকে।
রাত ঘনানোর আগেই ফিরে আসা। আহ স্বপ্ন, স্বপ্ন বানাতে হয়, জীবনটাকে কোন না কোনভাবে অর্থবহ করার জন্য।
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এক বরষায়... যদি মন কাঁদে, তবে চলে এসো, এক বরষায়...
ভাই কিসসু ভাল্লাগে না। কিসসু ভাল্লাগে না দেখেই স্বপ্ন সাজাই। আজ তিন বছর ধরে এই প্ল্যান মাথার ভিতরে পুঁতে রেখেছি। এমন আরো অনেকগুলো। আসলে এটা হল আমাদের জীবনের ফুয়েল। এই ফুয়েলগুলো জ্বালিয়ে জ্বালিয়েই জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। ছোট্ট, অকাজের স্বপ্ন সব।
যাব কি কোন একদিন? ইনশাআল্লাহ ভাই। আপনারা প্ল্যান করতে পারেন।
২| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
মুশাসি বলেছেন: লিসানি ভাই এইটা কি লিখছেন !! পড়তে পড়তে জিভে যে পরিমান জল আসছে ছোটখাটো একটা দুব্বল মহাসেন ঘটায় ফেলতে যথেষ্ঠ
ভাই, কত কইরা পড়বো পার পারসন? পোষ্টে ইলিশীয় পিলাচ++
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরে দূর, খরচ খুবই সামান্য পড়বে। পাঁচশোর উপরে, হাজারের অনেক নিচে। ওখানে যা-ই খাব আমরা, সব সবচে কম দামে, কিন্তু সরাসরি গাছ থেকে পেড়ে অথবা নদী থেকে তুলে। প্রকৃতির সাথে একাত্মতা।
মহাসেন যেন দুব্বলই ঘটে
আসলে ঝড়টা হাল্কার উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় মনটাও অনেকটা হালকা হয়ে গেছে।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: পুরাই লোভ লাগায় দিলেন...........ইলিশ মাছ এমনিতেই ব্যাপক প্রিয়...........আর এখন লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে আজকালের মাঝে না খেলে জীবনটাই বৃথা.............+++++
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাইরে, এমন আরো ছয়টা প্ল্যান আছে মাথার ভিতরে। ভয় হয়, যেটাকেই বাস্তবায়ন করব, সেটাই তো শেষ হয়ে যাবে, তারপর জীবনে রইবে বাকী কী?
যাওয়া দরকার... খুবই দরকার। বর্ষা এসে পড়ল বলে...
৪| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: লিসানি ভাই আপনি করলেন কি কামটা? আমার তো এখনই অলমোস্ট জীবনের উপর থেইকা বৈরাগ্য চইলা আসল......এইটা কিছু হইল?
ফরেস্ট গাম্পের মত দৌড় শুরু করুম নাকি ভাবতেছি...
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ মন্তব্য পইড়া মনে হইল, জীবনে কোনই সমস্যা নাই, আমিও ব্লগার ভাইগো লগে দেখা করতে ডরাই না।
ফরেস্ট গাম্পগিরির আগে কিন্তু চুপ্পে চুপ্পে কইয়েন... আছি, বুকিং মারলাম।
বৈরাগ্য চলে এসেছে রে ভাই, কিসসু ভাল্লাগে না।
৫| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
মামুণ বলেছেন: কামডা আপনার ঠিক হইল না । এহন এই প্লান মাথার মইদ্যে তে যাইব না । যেই লোভ দেহাইছেন । পোষ্টে ইলিশীয় পিলাচ++
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এইজন্যই তো প্ল্যান। মাথা থিকা যাওন নাই, আহন। স্বপ্ন থাকবে প্রকৃতির, আমরা ঘুরে বেড়াবো জ্যামে ভরা ঢাকা শহরে, কুঁচকানো কপাল সোজা হয়ে যাবে ওই স্বপ্নের ভাবনা এলেই।
খাবারে ধইন্যার দরকার, আপনেরে দিয়া রাখলাম।
৬| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা প্ল্যান
শুনেই যেতে ইচ্ছে করছে
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। স্বপ্নগুলো পড়ে থাক মনের আশেপাশে।
৭| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
আমিই রাকিব বলেছেন: আজ অনেকদিন পর সামুতে লগইন করলাম শুধু এই পোস্টটাতে পিলাচ দেয়ার জন্য... +++++.... চমৎকার ভাই.... স্বপ্ন বাস্তবায়নের লাইনে দাড়ালাম....
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিও তাহলে লাইনে রইলাম। দেখি কী করা যায়...
লগইন করেছেন জেনে ভাল লাগল ভাই, আসলেই, স্বপ্নের তাড়না সবচে বড় তাড়না...
৮| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রাইতের কইতর বলেছেন: ওই মিয়া জিহ্বায় ত ঝাজ তুলে দিলেন
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কী করব ভাই, জিনিসগুলাই এমন, জিহ্বার কোন দোষ নাই, পয়দা হয়েছে স্বাদ নেয়ার জন্য। নাথিং মোর... কিন্তু প্ল্যানটা এতই সরল যে, চাইলেই বাস্তবায়ন করা যায়। শুক্রবারে করবেন না, সে সময় ট্রলার বেশি থাকে, প্রাকৃতিক নদী দেখা যায় না, ট্রলারে আউল ফাউল হিন্দি গান বাজে, মেজাজ খিচড়ে যায়।
৯| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
ভারসাম্য বলেছেন: ছোটবেলায় গ্রামে গেলে বিশেষ করে নানাবাড়ির এলাকায় আমার মামাদের (মায়ের চাচাতো, ফুফাতো ভাইদের) বাড়িতে দেখতাম ধনুকের মত বাঁকানো অনেক লম্বা একধরণের জাল যা কেবল সৌখিন ইলিশ শিকারেই ব্যাবহৃত হত। সবার বাড়িতেই নৌকা থাকত হরেকপদের। তবে ইলিশ শিকারের জন্য ব্যবহৃত (আসলে একা একা চালানো ও নিয়ন্ত্রণ উপযোগী) নৌকাগুলো ছিল অনেক ছোট আকারের। সাধারণতঃ একজন ফজরের পর দুচারটা পান্তাভাত গিলে আর টিফিন ক্যারিয়ারে কিছু নিয়ে একাই একেকটা নৌকায় বেড়িয়ে পড়তো। কারো কারো সাথে পিচ্চি টাইপের একজন অতিরিক্তও থাকত অনেক সময়। ফিরত সন্ধ্যায়। যখনকার কথা বলছি তখনো নদীতে বেশ মাছ ছিল তাই কেউই খালিহাতে ফিরতনা বরং কারো ভাগ্য বেশি সুপ্রসন্ন হলে অতিরিক্ত অনেক মাছ বাজারে বিক্রিও করে দিয়ে আসত। অবশ্য সামাজিকভাবে মাছবিক্রির এই ব্যাপারটা এখনো অনেকেই ভালভাবে দেখেনা। পেশাগতভাবে তারা কাঠের কারবারী হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অবশ্য বছরে একবার নিজেদের জমিতে নিজেরাই ধান বুনতেও বাকী রাখেনা। এটাকে অবশ্য পেশা হিসেবে দেখতনা কেউ।
এমনি একটা সামাজিক পরিবেশের সাথে বছর বিশেক আগেও বছরে দু'চারবার কাটানোর সুযোগ হত। এখনও হয় তবে পরিবেশটা আর আগের মত নাই। যাই হোক, ছোটবেলার সেই সব সময়ে কোন একবার আমি বেশ পণ করেছিলাম কোন এক মামার সাথে ইলিশ শিকারে যাব। কিন্তু প্রতিদিনই সকালে উঠে শুনতাম সবাই বেরিয়ে গেছে মাছ ধরতে।
এখন অবশ্য ছোটবেলার মত অ্যাডভেঞ্চার ফীল করিনা। তাছাড়া বাড়ি গেলে নদীর পাড় থেকে সদ্য ধৃত ইলিশ কেনার সুযোগ স্বল্প মাত্রায় হলেও এখনো ঘটে কদাচিৎ। তবে ধরেই গরমভাতে পুরে, বা ভেজে বা বারবিকিউ করে খাবার সুযোগ ঘটেনি। কিন্তু সে নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস হবার মত মন নাই আর। বড় হয়ে গিয়েছিনা!
ভাল লাগল ভিন্নমাত্রার পোষ্ট। +++
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই অনেকদিন পর... আপনি তো কমপ্লিট স্যাটিসফেকশন নিয়েই আছেন, তার সাথে এই অভিযানই বরং বোরিং মনে হবে। স্বাভাবিক।
এইজন্যই তো সবকিছু আপেক্ষিক।
কক্সবাজারে আমার বৈবাহিক সম্পর্কের কিছু আত্মীয় আছেন।
আমি জ্ঞানের আগে গিয়েছিলাম, কিন্তু স্মৃতিতে থাকা অবস্থায় বিয়ের আগে সাগরে যাইনি। সাগরের পাগল হয়ে ছিলাম।
যখন বললাম, সাগর দেখতে যাব, ওই আত্মীয় বলেছিলেন, সাগর আবার কী দেখবে!
আমি চোখ বড় বড় করে বললাম, সাগর দেখব!
দেখার কী আছে? পানি, বালু আর ঝাউগাছ। এই 'চর' তো দেখার কিছু নেই।
তাদের কাছে বিষয়টা খুব স্বাভাবিক। অনেকে নাকি বিশ বছরে একবারো সাগর পাড়ে যাননি। প্রয়োজন পড়েনি বলেই। অবাক হয়েছিলাম।
আর এই প্ল্যান তো রীতিমত নাগরিকদের। আমার মত মানুষ, যারা মাত্র এক বা দুই বার ইলিশ খেয়েছে তোলার পরপরই, তাদের জন্য এর কোন তুলনা নেই।
একটা কাহিনী বলেন তো, আপনি কবি মানুষ, এত কঠিন হয়ে গেলে চলে! (এত কষ্ট করে স্বপ্ন বুনে রেখেছি, আপনি সেটাকে স্বাভাবিক, সাধারণ করে দিলেন, এরপর তো আপনার গ্রামের বাড়ি বা নানাবাড়ি যাবার আবদার করে বসব, তখন কী হবে???)
১০| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: খিদা লাগছে , ঐ লিসানি ভাই, ইলিশ দেও
১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আগে জায়গামত হাজির না হইলে কইলাম পচা বরফের বাসি ইলিশ খাওয়ামু, এম্নেই খাইলে চলব?
১১| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ভারসাম্য বলেছেন: আবদার করতেই পারেন। কিন্তু বললামনা আগের সেই পরিবেশ আর নাই। আগে প্রতিবাড়ির পুকুরঘাটায় বড় নদী থেকে সরাসরি নৌকা নিয়ে চলে আসা যেত। এখন নৌকায় লেগেছে ভটভটি ইঞ্জিন। পুকুরঘাটা থেকে নদী পর্যন্ত যাবার মাঝের ছোট ছোট খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। তারচেয়েও বদলে গেছে মানুষ। এখনকার প্রজন্ম আর নিজেদের জমিতে নিজেরা চাষাবাদে আগ্রহী না মোটেও। সৌখিন মৎসশিকার বলে কিছু নাই এখন। সব কমার্শিয়াল হয়ে গেছে।
তারচেয়েও বড় কথা হল নিজেরাই বড়(!) হয়ে গিয়েছি। নিজেকে কবি ভাবতেও আগ্রহী হয়না মন। অথচ ছোটবেলায় বড় কবি-সাহিত্যিক হবার স্বপ্নও কম ছিলনা। বড় হয়েছি ঠিকই, বড় কবি হবার সাধ নাই মোটেও। তবে একে আবার কঠিন হয়ে যাওয়া বলবেন না। এখনো গ্রামে ফিরে গিয়ে হালচাষ করবার ইচ্ছা (স্বপ্ন নয়, প্রবল ইচ্ছা) লালন করি। দোয়া রাখবেন। হয়তো আবদার করতে হবেনা, নিমন্ত্রণই পেতে পারেন।
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি তো উল্টা আরো নস্টালজিক করে দিলেন ভাই।
আমাদের খালে আগে দাদা চাঁই পাততেন। সেই চাঁইয়ে উঠে আসত রুইপোনা (ঠিক পোনা না... বড় টাইপেরই...), বিশাল বিশাল চিংড়ি। সে কী সাইজ! তার দাঁড়াগুলোই একেকটা আ্ট ইঞ্চি। আমরা কিন্তু সেই দাঁড়াও খেতাম, আগুনে পুড়ে লবণ দিয়ে ভিতরের শাঁশটা। সেই স্বাদ পাইনি বিশ বছরে। বড় চিংড়ি তো দু:স্বপ্ন, এখন নদী-খালে ডাইঙের পানি। কোন জলজ পোকাও বোধহয় অবশিষ্ট নেই।
বড় নদীতে দেখা পেতাম শুশুকের। পাটবোঝাই রপ্তানী নৌকা চলে যেত, কালো, ঢাউস। গ্রামের মানুষ বলত রক্তানী। সেই রক্তানীর বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকত গোল গোল পাটাতনের কাঠ, সেসব ধরে ভেসে ভেসে অনেকটা দূরে চলে যেতাম আমরা।
নাই, সেসবের কিছুই নাই।
নিমন্ত্রণ পাব, এটা সৌভাগ্য। কোন একদিন, সব শান্ত হোক, অন্তরাত্মা তৃপ্ত হোক। তবে ইলিশ যেহেতু এখনো তাজা পাওয়া যায়...
আপনারটা স্বপ্ন নয়, প্রবল ইচ্ছা, প্রায় প্রতিজ্ঞার মত। খুব ভাল লাগল ভাই।
১২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পুরা মাথাই নষ্ট হয়ে গেলএখন একটা গান ই চলবে, সংসার আমার ভাল্লাগেনা সংসার ভাল লাগে না ......।
কালিজিরা ভর্তা আমি বানাবো ...।
আমি সপ্ন দেখতে শুরু করলাম ...............
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এহ্! শুধু কালিজিরা ভর্তা বানালে চলবে কেন? সেখানে মহিলা সমাজের যারা থাকবে দেখবেন আমরা আস্তে করে তাদের হাতে হেঁশেলের বেশিরভাগ দায়িত্ব তুলে দিয়েছি... কিচ্ছু করার নাই, আপনারাও আপত্তি করতে পারবেন না। সব হবে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল। আমরা খালি বলব, ইলিশ রান্নার মত সফিসটিকেটেড বিষয় আমাদের হাতে তুলে দিয়ে ফিস্টি নষ্ট করার ঝুঁকি নিবেন কিনা... দেখা যাবে, আপনারা ওই ঝুঁকি নিচ্ছেন না।
১৩| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪২
কালোপরী বলেছেন:
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যাব। এক সময়, কোন একদিন। অথবা কোন এক সময় প্রতি বছরই।
১৪| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৮
এেলােমেলা সব বলেছেন: তাজা ইলিশ.. আহহ্...
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হবে তো! হবেই, কারণ একটা মাত্র মানব জীবন। যতভাবে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া যায়...
১৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:২৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: পায়রা নদী কুয়াকাটার কাছে । আমার বাড়ি হতে দুরে নয় ।
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার এলাকায় কাহিনী আছে ঘুপাভাই। খালি সবুর করেন। অনেক কাহিনী আছে। আপনার জিওগ্রাফি ঠিক করে নিই, তারপর জীবনটা ত্যানাত্যানা করে ফেলব, এমন প্ল্যান করব, পুরা এক হপ্তা। তখন বলবেন, দী দরকার ছিল!
১৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৩৫
অনন্ত আরেফিন বলেছেন: কি একখান পোস্ট দিলেন ভাই!! জিভ দিয়ে জল পড়ছে তো পড়ছেই!!! সুযোগ পেলেই এইরকম একটা ট্রিপ দেয়ার ইচ্ছা রাখলাম!
শেষের প্যারা গুলো খুব টাচি ছিলো! হাজারটা ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাদের নিয়ে সফরটা কিন্তু ভার্চুয়ালি হয়েই গেল। তৃষ্ণা মিটে গেল একটা নদীর সমান। তাতে কম কী ভাই। অনেক, অনেক।
ট্রিপে আপনি আমি লাইনে রইলাম, সবাইকে সাথে নিয়ে।
১৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মাওয়া ঘাটে এখন আর তেমন ইলিশ মাছ ভাল পাওয়া যায় না। আমরা কিছু বন্ধু প্রায়ই যাই মাওয়া ঘাটে মাছ কিনতে। কিন্তু কিছু দিন ধরে হতাশ হতে হছে মাছের সল্পতা দেখে
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কান্ডারী ভাই, ঠকা, ঠকা। বেশ কিছু বছর ধরে মাওয়াতে মাওয়ার ইলিশ নেই। খবরটা জেনুইন। মাওয়ার ঠিক ওপাড়েই আমার এক জান্নাতবাসী বন্ধুর বাড়ি। আহারে, ভাইটা আমার আর নেই। তিন বছর আগেই ও বলেছিল, ওদের বাড়িতেও বহুদিন ধরে পদ্মার আসল বরফ ছাড়া ইলিশ আসে না, চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না।
১৮| ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
আরমিন বলেছেন: দারুন লাগলো! প্রিয়তে ! +
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরমিন ভাই, ধন্যবাদ। প্রোপিকটা নিজের মানুষ হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়।
১৯| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
ভাইটামিন বদি বলেছেন: আহ্....এই দুর পরবাসে তাজা ইলিশ!!!! ঘ্রানাই পাই না কঅঅঅঅঅঅত্ত দিন!
ভয়ানক লোভ লাগিয়ে দিলেন যে দাদা......এখন কি হবে? কখন যাব?
...তাজা ইলিশের ঝোল দিয়ে গরম গরম ধোয়া উঠা ভাত....সাথে পুদিনা, পিয়াজ/পাতা, কাচা মরিচ মাথিয়ে ভর্তা।।।।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি দেশে এলে খালি বলবেন, অবশ্যই আমরা তাজা ইলিশ খাওয়ার একটা বন্দোবস্ত করব। অবশ্যই। প্রবাসী ভাই, ইলিশ মিস করছে, আমরা আছি কী করতে!
২০| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: একটা পাগলা গ্রুপ বানানো দরকার ... কিছুই করা হইতেসেনা! দুনিয়ার পাগলা এক হও এক হও!
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দুনিয়ার পাগলা, এক হও, এক হও!
দুনিয়ার পাগলা, গামছা বাঁধি নদীতে ঝাঁপাও!
ভাইরে, জীবনটারে তো স্রেফ রঙিন করে ফেলবেন! বানান, কায়মনোবাক্যে আছি, যেখানে যাবেন, সেখানেই আশা করি।
২১| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দেড় বছর ধরে কমপ্লিটলি ভেজিটেরিয়ান। ইলিশ খেতে ইচ্ছা করে না।
তবে প্রিয়দের পোস্টটা শেয়ার করলাম।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভেজিটারিয়ান হওয়া তো ভাগ্যের কথা! আপনি খুব লাকি আপু! আমি ভাবি, এই অতিরিক্ত মাংস আর ডিম খাওয়া আমার জন্য কাল হবে নাকি!!!
দারুণ কাজ করেছেন, জানতে পারলে ভাল লাগত, কেন।
২২| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৫৯
নিয়েল হিমু বলেছেন: ভোজন রসিক হুমায়ূন আহমেদকেও ফেল করিয়ে দিলেন এই একটা পোষ্টেই ।
তবে নদী-নৌকা চড়ম ভয় পাই(সাতার না পারা একটা কারন হতে পারে)
জীবনটাকে অর্থবহ করতে স্বপ্ন বানিয়েছিলাম এবং সেটা বাস্তবও করেছিলাম ২০১১তে । আচ্ছা আরেকটা বানালাম না হয় । কোন একদিন যাওয়া হবে ইনশাআল্লাহ ।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হায়হায়, বসকে ফেল করিয়ে দেয়ার কোন ইচ্ছাই নেই! তিনি তো বস্ ! লেখালেখির অবিসংবাদিত সম্রাট! লাভ ইউ হুমায়ূন স্যার... লাভ ইউ।
আপনি খালি আসেন না, বাকিটা আমার দায়। আপনি একা ডুবতেই পারবেন না, ডুবলে দুই ভাই ডুবুম, খালি আসেন।
২৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:০৮
নাইট রিডার বলেছেন: জানি না কোনদিন আপনার এই অসাধারণ উদ্যোগটি সফল হবে কিনা, দোয়া করি হোক। যদি সেদিন আপনাদের সাথে যাওয়া সম্ভব হয়, তবে তা হবে জীবনের এক অনবদ্য অংশ।
আর যদি নাও যেতে পারি তাহলে এই লেখাটিকে বের করে পড়ে নেব, কারণ যতক্ষণ লেখাটি পড়ছিলাম মনে হচ্চিল আমি মেঘনার বুকে ট্রলারের ছাদে বৃষ্টিতে ভিজছি আর নীচ থেকে আসছে ইলিশ ভাজার গন্ধ, একটু পরেই ঝাপিয়ে পড়ব।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আ-হ!
আর তখন যদি সাউন্ড সিস্টেমে বেজে ওঠে, সন্ধ্যার পরপরই, যদি কখনো ভুল হয়ে যায়, তুমি অপরাধ নিও না...
অথবা, তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও, মুছিয়ে দেব দু:খ জ্বালা...
ভাই, অবশ্যই যাব কোন একদিন, সেটা তিন বছর পর হতে পারে, এবং আপনাকে ছাড়া যাব না। আপনার জন্য প্রয়োজন পড়লে ডেট চেঞ্জ করব।
২৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৬
কালীদাস বলেছেন: বয়স হইছে, এরকম প্ল্যান মাথায় আসলেও বাস্তবায়ন করার উপায় নাই আর
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বয়স হইছে তো কী হইছে? ভালই তো, আপনারে নাহয় চিফ গেস্ট করে নিয়ে যাব!
(আরে ব্লগারদের আবার বয়স আছে নাকি! ব্লগাররা এক বয়সে আটকে থাকে।)
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
প্রাচীন মানব বলেছেন: পুরাই মাথা নষ্ট। জিভে জল - টলমল।
ফাটাফাটি প্লান লিসানি ভাই। কবে কখন, আল্লাহ চাইলে যেতে চাই।