নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
গত পর্বে আলাপ হয়েছিল অক্সিজেন স্বল্পতা ও পুরো ব্রেনের ব্যস্ত হয়ে যাবার ফলে আজন্মের সব স্মৃতি এক লহমায় মনে পড়ে যাবার বিষয়ে।
আর ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা এইজন্য যে, কমেন্টে আলাপটা করতে পারিনি, তারপরও আপনারা অংশ নিয়েছেন ভাই। বিশেষ করে তিন চারজন তো নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে কথা শুরুই করে দিয়েছিলেন... সেটুকু পেলে দারুণ হত। মন্তব্য ও জবাবে একটু শকে ছিলাম। অবশ্যই সবগুলো কমেন্টে আলাপ করব, কিছুদিন পর থেকে।
জীবজগতে অতি প্রতুলতা এবং নিউরনিক প্যাটার্নে সম্ভাব্য পরিবর্তন
আমরা বাস্তব জীবনে যাই করি, সেটা যে শুধু আমাদের সচেতন মন, অবচেতন মন একমকি অচেতন মনকে গড়ে তোলে তাই নয়, বরং আমাদের দৃশ্যমান মস্তিষ্কের গঠন বদলে যায় আস্তে আস্তে। হ্যা, অবাক ব্যাপার হলেও সত্যি কথা, এইজন্যেই যারা গণিতপাগল গণিতবিদ,তাদের মস্তিষ্কের গঠন একটু ভিন্ন হয়- সেটা হয় কিছুটা তাদের জিনের কারণে, অর্থাৎ জন্ম থেকেই, বাকিটা হয় তাদের কৃতকর্মের কারণে। একইভাবে তীব্র নেশা করেন যারা (ড্রাগ এডিক্ট) তাদের মস্তিষ্কের গড়ন এত আজব যে, এক পর্যায়ে বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন, যাদের মস্তিষ্কের গড়ন এমন, তারা গাঠনিক কারণেই নেশা করে। পরে গবেষণার আরো বিস্তৃত পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল, ভুল। মূলত নেশা করতে করতে তাদের নিউরনের গঠন দৃশ্যমানভাবে পাল্টে গেছে (বালি দিয়ে আলপনা আঁকার মত বিষয়। বালি একই পরিমাণ আছে, কিন্তু তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের গড়ন পাল্টে গেছে। সাজানোর ধরন পাল্টে গেছে। একটা নিউরন নানাভাবে পাঁচ লক্ষ পর্যন্ত নিউরনের সাথে যুক্ত থাকতে পারে এবং এভাবেই আমরা সচেতনভাবে আমাদের নিউরনের প্যাটার্নকে যে কোনদিকে ঘোরাই।)
নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স থেকে যারা বেঁচে ফিরে আসেন, তাঁদের এই শক এবং শকজনিত নিউরনিক ডাটা ট্রান্সফার, ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক-কেমিক্যাল আদানপ্রদান এবং এর ফলে প্যাটার্ন এমনভাবে বদলে যায় যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, তাঁরা যদি মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন তো বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য মানবিক গুণাবলীর সাথে সাথে দৃঢ়তা বেড়ে যায়। অর্থাৎ বেটার অবস্থানে চলে আসে।
আরো একটা মজার কথা শুনলাম, তা হল, প্রায় অর্ধেক অ্যাডাল্ট মানুষই নাকি জীবনে একবার অন্তত প্রায়মৃত অবস্থায় বা তার অনুভূতির কাছাকাছি পৌছায়। বিশেষ করে যাদের বয়স পঞ্চাশ-ষাটের কোটা পর্যন্ত যেতে পেরেছে। আরো মজার ব্যাপার হল, পশু শ্রেণীতে এই এক্সপেরিয়েন্সের হার অতি অতি বেশি (জঙ্গুলে পরিস্থিতিতে)। যেমন, সিংহ বা বাঘ অতি চতুর শিকারী হয় তার কারণ মাত্র একটা, আফ্রিকান সাভানায় তৃণভূমি সিংহকে এমন এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি করে, যার কারণে সিংহ শাবক মারা যায় ৭০-৮০%! অর্থাৎ যে ২০% টিকে থাকে তাদের সবার নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স মাস্ট! রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারেও নাকি দুই তৃতীয়াংশ শাবক মারা যায়। আর জিম করবেট বা পঁচাব্দী গাজীর বাঘ শিকারের কাহিনীগুলোয় একটা বিষয় খুব স্পষ্ট- সে বাঘ ভয়ানক যে একবার গুলি খেয়েছে বা মানুষের তাড়া খেয়ে আহত হয়েছে... এই দুটা কারণের সাথে তৃতীয় বিষয়টা যুক্ত করলাম, মানব শিশুদের মৃততুহার ছিল অতিরিক্ত- আধুনিক মেডিক্যাল সায়েন্স বিকাশের আগে আগে। এইতো, চল্লিশ-ষাট বছর আগেও বাংলাদেশে শিশু মারা যেত দুইয়ে এক। এই কারণেই কি ওই সময়ের মানুষের মধ্যে নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সের পরিমাণ এত বেশি, প্রায় ৫০%?
সাফল্য, আধ্যাত্মিকতা ও নিয়ার ডেথ
আর নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সের সাথে মানুষের বাস্তব জীবনের সাফল্যও অনেক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নিউটনই সম্ভবত, ভুল না হয়ে থাকলে সাত মাসে জন্মান এবং তাঁকে বোতলে ভরে রাখা যেত, এত ছোট ছিলেন। আর লালন ফকিরের জীবনের মোড় ঘোরে জীয়ন্তে মরা- পক্স এ নদীতে ভাসানোর পর। তার আগে তিনি ছিলেন উদাস, কিন্তু ওই পর্যন্তই। এই উদাসীনতা ছিল স্বয়ং গৌতম বুদ্ধেরও। এক হল ভিন্নভাবে ভাবতে শেখা, যা ভবিষ্যতের নিজেকে গড়ে দিতে পারে, আর সেই বিষয়ই ত্বরাণ্বিত হয় নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সে। কারণ, গৌতম যে পর্যন্ত অশ্বত্থ গাছের তলায় দিনের পর দিনের পর দিন না খেয়ে থেকে কৃশ থেকে কৃশকায় হলেন, সে পর্যন্ত তাঁর ভাবনার পূর্ণতা এল না। অথচ পূর্ণতা আসা শুরু হয়েছে তার ইশারা পাই তখনি, যখন তিনি উঠে গেলেন, এগিয়ে গেলেন এবং তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবার পর ঘাট থেকে উঠে আসা এক মহিলা তাঁর গায়ে পানি ঢেলে পানি খাইয়ে দিলেন- তখনি তাঁর ভাবনা জগতে এবং উপলব্ধি জগতে আমূল আরো কিছু পরিবর্তন হয়।
আমরা এমন কোন মানুষের কথা শুনতে পাই না, যে কোমা থেকে উঠে আসার পর আবার আগের মানুষে পরিণত হয়েছে।
(ক্রমশ...)
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামাভাই, বিষয়টা কিন্তু শুধু আধ্যাত্মিকতা নিয়ে বলিনি। আপনার অভিজ্ঞতা শোনার খুব ইচ্ছা।
২| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭
বর্ণান্ধ বলেছেন: যোগ দর্শনের 'সমাধি' স্তর বা অন্যান্য মরমীবাদের কিছু উচ্চমার্গীয় স্তরকে আপনি কি 'নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স' বলবেন? শুধুমাত্র নিউরনিক গঠনবিন্যাস দ্বারা এর ব্যাখ্যা সম্ভব নয় বলে আমার ধারণা। তবে, 'নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স' অবশ্যই মানুষের আচরনে পরিবর্তন আনে, তা সাময়িক হলেও।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ বলেছেন ভাই। না, আবার আংশিক হা ও। সমাধি স্তর আর নিয়ার ডেথ কিছুটা এক বিষয়, আবার খুবই ভিন্ন। যেমন, রসায়ন শাস্ত্র ও জীববিজ্ঞান পরস্পরকে ওভারল্যাপ করছে, কিন্তু দুই ভিন্ন শাস্ত্র... সমাধি স্তরে যারা যাচ্ছেন তারা তো ডেলিবারেটলি সেটার জন্য প্রস্তুত, বাইরের প্রণোদনা সামান্য। অন্যদিকে যারা নিয়ার ডেথে যাচ্ছেন তারা তো ডেলিবারেটলি সেটার দিকে যাননি। যেমন লালন ও গৌতম- এঁদের দুজনের এই দুটা ঘটনা সমাধি স্তর নয় বরং বাহ্যিক জৈবিক ঘটনা।
৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১২
স্বপনবাজ বলেছেন: আমার তো মনে হয় ব্যাপারটা এমনই! অভ্যাসের কারণে আমরা অনেক কিছুই করি যেটা করা উচিত না! সেখানে মৃত্যুর কাছাকাছি গিয়ে শক খেলে মস্তিষ্ক কিংবা মনোজগত এ প্রভাব পড়বে এটাই স্বাভাবিক, অনেক ছোট খাট আঘাতের ফলেও পরবর্তী জীবনে ভিন্ন পথে হাটেন, কেউবা ক্রিয়েটিভ হয়ে যায়! সিরিজ টা যথেষ্ট ইন্টারেষ্টিং মনে হচ্ছে!
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একেবারে যা যা হাবিজাবি ভাবনা তার সবই তুলে আনব ভাবছি। ধূর, কীসের নিখুত লেখা আর কীসের দলিল দস্তাবেজ লিংকের তুড়িবুড়ি! ব্লগ তো এম্নি এম্নি যা খুশি বলার জায়গা। ওয়েব-লগ। যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা। ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত।
৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
বৃক্ষ বলেছেন: পরিবর্তন আসাটা খুব বেশি অস্বাভাবিক নয়। নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স স্পষ্টতই আগের জীবন আর পরের জীবনের মাঝে একটা সীমারেখা এঁকে দেয়। বেশিরভাগ লোকেরা এইটাকে মিরাকল হিসেবে বিশ্বাস করে , মনে করে পরের জীবনটা গড-গিফটেড। তাই ভাল কিছু করার একটা উদ্যোগ তাঁর মধ্যে কাজ করে।
লেখা ভাল হয়েছে। সিরিজের নেক্সট লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বেশিরভাগ লোকেরা এইটাকে মিরাকল হিসেবে বিশ্বাস করে , মনে করে পরের জীবনটা গড-গিফটেড। তাই ভাল কিছু করার একটা উদ্যোগ তাঁর মধ্যে কাজ করে।
এই পরিবর্তনটা আবার কিন্তু এমন নয় যে জৈবিক হতেই হবে। দারুণ বলেছেন ভাই। আসলেই, তখন তাকে অজৈবিকেও ডেডিকেটেড হওয়া সম্ভব।
৫| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২০
আরজু পনি বলেছেন:
আমার বন্ধুর ছোটভাই, বাঙলাদেশের বাইরের এক দেশে থাকে। ও হসপিটালে কোমায় চলে গেছিল। কোমায় ছিল বেশ কয়দিন। ওদের বাসায় মৃত্যুর কান্না চলছিল সেইদিনগুলোতে।
ও আল্লাহর রহমতে এখন বহাল তবিয়তে আছে।
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোমা তো আরো দারুণ জিনিষ। ওটাও আসবে যদি সম্ভব হয়। আশা করি ভাল আছেন।
৬| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৫
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: কোমার ব্যাপারটা কিন্তু বড়ই রহস্যময়।
পোষ্টে +
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হেক্টর ভাই, ভাল আছেন আশা করি। গ্রাজুয়েশন শেষের দিকে?
৭| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:১৯
মর্গের লাশ বলেছেন: দারুন লিখছেন । চালিয়ে যান। আমি এক বিবিসি ডকুমেন্টারি তে দেখেছিলাম যে এক লোক গাড়ি এক্সিডেন্ট করে সাথে সাথে কোমা তে চলে যায়। পড়ে তাকে এক লোক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনদিন পর তার জ্ঞান ফেরে।
আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে লোক তাকে হাসপাতালে তাকে নিয়ে যায় তাকে দেখেই চিনতে পারে, কিভাবে চিনতে পারে কারন জানতে চাওয়া হলে সে বলে জ্ঞান হারাবার পরও সে নাকি সব ই দেখতে পারছিল । এমন কি নিজের দেহ ও নিজে দেখছিল।।
এর কোন ব্যাখ্যা জানা আছে কি আপনার।?
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, এক কথায় বলি? আমার বিশ্বাসে তো আর কোন কিছু এসে যাবে না... বিষয়টা হল, এই ফেনোমেনা আমিও বিশ্বাস করি। এটা নিয়েও একটা পর্বের খুব ইচ্ছা। দারুণ প্রসঙ্গ তুলেছেন।
৮| ১৬ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:১১
অমৃত সুধা বলেছেন: বাংলাদেশের সীমানায় মহাসেন, আঘাত হানবে দুপুরে
http://dhakajournal.com/?p=7588
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল থাকি যেন আমরা।
৯| ১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২১
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: লিসানী ভাই, আপনার এই পোস্টে কমেন্টটি দেখে উত্তর দেয়া জরুরী। আপনি হয়তো পোস্টটি খেয়াল করেনটি।
Click This Link
১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইয়াসিন ভাই, সালাম। ভাল আছেন আশা করি। ওই শাস্তি বাংলাদেশের আইনের কোন্ ধারায় কোন্ রীতিতে প্রযোজ্য, তা উল্লেখ করে আমারব্লগ ডটকমের এক পোস্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম এবং তিনি তারপর ধাক্কা খেয়ে পুরো পোস্টের টাইটেলটাই চেঞ্জ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, টাইটেলটা ছিল সরাসরি ইসলাম বিদ্বেষী।
কত বিচিত্র প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভাই, অবাক বিষয় না?
১০| ১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
যাদের জীবনে একবার মৃত্যুর সাথে মুখোমুখি পরিচয় ঘটে থাকে তাদের জীবনের স্বরূপ বদলে যায়।
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোন না কোনভাবে, কোন না কোন পর্যায়ে বদলে তো যাবেই। যেতেই হবে। যেমন আপনারটা। অনেকখানি আশা করি। জ্বলে উঠুক রূহের প্রদীপ।
১১| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
ইয়ার শরীফ বলেছেন: আমার জানার পরিধি বাড়ছে আপনার এই সিরিজ তা পড়ে।
আরও জানতে চাই,
ভালো থাকবেন
সাথে সাথে কমেন্ত কারীদেরও ধন্যবাদ তাদের জন্য আরও উপভোগ্য হয়ে উঠছে এই পোস্ট টি
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কমেন্টগুলো যে এত বৈচিত্র্যময় হবে ভাবিনি। দারুণ ব্যাপার। শরীফ ভাই কেমন আছেন?
১২| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
ইয়ার শরীফ বলেছেন: আছি ভাই ভালো।
রুটি রুজির সন্ধান নিয়া কিঞ্চিৎ ব্যাস্ত এবং চিন্তিতও বটে
আপনি কেমন আছেন?
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হুবহু আপনার কমেন্টটা কপি পেস্ট করা যায়!
১৩| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
নবীউল করিম বলেছেন: দুটা প্রশ্নঃ আপনার কি নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে? আপনি কি কখনও কোমায় গিয়েছিলেন.........
এই বিষয়টা নিয়ে যারা গবেষণা করেছে এবং লিখেছে, আপনার জানা মতে তাঁদের কি ঐ দুটা অভিজ্ঞতা ছিল?
একতা তথ্যঃ আমার ব্যক্তিগত ভাবে ঐ দুটারই অভিজ্ঞতা হয়েছে! সেই সাথে ক্যান্সার হয়েছে জানলে যে অনুভূতি হয়, সেটারও অভিজ্ঞতা আল্লাহ্ আমাকে দিয়েছে
১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিয়ার ডেথ এক্সিপেরিয়েন্স মেন্টালি হয়েছে একটা লম্বা সময় ধরে। তখন আমি বিশ্বাস করতাম আমার ক্যান্সার হয়েছে। ফিজিক্যালি দুবার হয়েছে। দুবারই ডুবে মারা যাবার প্রায় কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিলাম। প্রথমবার ফ্ল্যাশের মত স্মৃতি আসা শুরু করেছিল। দ্বিতীয়বার অসুরের মত শক্তি পেয়েছি শরীরে উঠে আসার জন্য।
আমার জানামতে তাঁদের এই অভিজ্ঞতা আছে।
ক্যান্সারের অভিজ্ঞতাটা বিশদ বললে ভাল লাগত ভাই। শেয়ার করুন না। আল্লাহ আমাদের এই করুণ অভিজ্ঞতার বদলে একটা সামগ্রিক জীবন সুষ্ঠুভাবে দান করুন, আমিন।
১৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩১
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: কোমায় থাকা কালীন রুহু কোথায় থাকে ?
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঘুপাভাই মানুষ ভাল না! সব সময় মেইট টপিকে চলে যান...
রূহ তো দেহের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকে, এইটুকুই আরকী...
১৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫
গ্রীনলাভার বলেছেন: তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি....
১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাহলে হয়ে যাক ভাই।
১৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমতকার একটা লেখা - ২ পর্ব একসাথে পড়লাম।
আমার নিজের টুটাইম নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স আছে। আপনার লেখাটা পড়ার পর চিন্তায় পড়ে গেলাম -
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স লিখে ফেলেন ভাই।
আসলে আমরা তো বিস্মৃতিপরায়ণ... নাহলে পাল্টেই যেতাম।
১৭| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স আছে কিনা সেটা পরিচিতো দের আস্ক করতে হবে!!
তবে আমার দাদীমার একবার এই এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে বলে জানলাম। কিন্তু পরের বার আর বাঁচতে পারেন নাই। তাই জানাও হয় নাই কি রকম এক্সপিরিযেন্স ছিলো।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জিগ্যেস করে দেখতে পারেন। আসলে আমরা তো দূরের কথাগুলো ঘেঁটে দেখি, কাছেরটার কাছেও যাই না। ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সের প্রভাবই অন্যরকম।
১৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪০
নিয়েল হিমু বলেছেন: ৩নাম্বারটা আগে পড়ে ফেলেছি তাই ২নাম্বারটা পড়ে ম্যাচ করলাম । কোমা বা ICUর রোগীরাই তো মুলত এই ক্যাটাগরিতে পরবে তাই তো ?
চলুক । ভাল লাগছে পড়তে
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাই। মোটামুটি বলতে পারেন কোমার মানুষ... হ্যা।
আসলে জীবনটাকে পুরোপুরি বদলেও দিতে পারে এই অভিজ্ঞতা, আবার একই জীবন রইতে পারে, আমারটার মতন আরকী!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দ্বিমত করলাম। আর কিছু বলতে চাইনা আপাতত এখানে।