নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
মৃততুর কাছাকাছি অনুভূতি- বিচিত্র এক বিষয়।
যত শুনি, যত দেখি, তত অবাক হই।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব বেশি রকমের অকর্মা লাগে। আজকেও। এলোমেলো, অকেজো, ঠুনকো। তারপর, ভাবি, কেন, কী কারণে আমি এই রকম? ভাবতে ভাবতে কখনো চলে যাই একটা অনুসিদ্ধান্তে- চিরতরে বদলে যায় যারা, তাদের জীবনে কোন একটা ভয়ানক শক থাকে। কারো নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স তো কারো পুরো পৃথিবীটা উলটপালট হওয়া কষ্ট। আমার জীবনে নেই। তারপরই ভাবি, আছে তো। নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স আছে। যা সব উলটপালট করে দিয়েছিল। তারপরও আমি পাল্টাইনি! অথচ তখন ভাবতাম, একবার, যদি স্বপ্নেও এমন হত, যে আমি বাঁচব, কী হত তখন! কীভাবে সাজাতাম নিজেকে...
ঠুমরির ঠোকাঠুকি শেষ। কাজের কথা শুরু।
প্যাটার্ন
নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স বা প্রায় মৃত অবস্থায় যারা পৌছেছে, তাদের ফেনোমেনা গ্লোবাল। বাংলাদেশের ভূত পেত্নি এক রকম, আর অ্যামেরিকার জোম্বি-ড্রাকুলা আরেক রকম হলেও, মরণের প্রায় দরজায় গিয়ে যারা ফিরে এসেছে, পুরো পৃথিবীতেই তাদের অনুভূতি প্রায় একই রকম।
এই গ্লোবাল প্যাটার্ন যখন থেকে খেয়াল করলাম, তখন থেকেই ভাবা শুরু, তার মানে মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে যারা ফিরে আসে, তারা সবাই আসল অনুভূতিই বলে। আর অনুভূতিটা যত না ব্যক্তিগত, তারচে বেশি প্রাণীজ, অর্থাৎ সার্বিক।
প্রথমেই অক্সিজেন স্বল্পতা এবং...
গুলি খেয়ে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে, শ্বাস আটকে অথবা প্রাকৃতিক কারণে- যেভাবেই হোক, মৃতপ্রায় মানুষের সবারই একটা অবস্থার ভিতর দিয়ে যেতে হয়, তা হল, অক্সিজেন স্বল্পতা। অক্সিজেন সারা শরীরের কোষগুলোকে যেমন সজীব রাখে তেমনি নিউরনকে।
মস্তিষ্কর নানা খাঁজে খাঁজে, ভাঁজে ভাঁজে লুকানো থাকে তথ্য। এই তথ্য বা স্মৃতিকে আমরা হয়ত দশ ব্ছর ধরে ছুঁয়ে দেখিনি। কোন কোনটা কখনোই ছুঁয়ে দেখা হয়নি। কারণ খুব সিম্পল।
আমাদের ব্রেন হল ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। হ্যা। সোজাসাপ্টা সার্কিটে গড়া সত্যিকার একটা ইলেক্ট্রিক মেশিন। কিন্তু তাতে জটিলতা আছে। ইলেক্ট্রিক একটা সিস্টেম যদি অনেক জটিল হয়, তাহলে সেটাতে কুল্যান্ট থাকতে হয়, লুব্রিক্যান্ট থাকতে হয়, শক অ্যাবজর্ভার থাকতে হয়, সেইসাথে থাকতে হয় কয়েক ধরনের ফুয়েল।
আমরা নিজেদের মনোসংযোগ এবং একাগ্রতা সেইসাথে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে যেসব সেলগুচ্ছে ইলেক্ট্রিক ইম্পাল্স পাঠাই, সেগুলোই অ্যাকটিভ হয়, অন্যত্র থাকে সুপ্ত ডাটা। এই সুপ্ত স্মৃতি কিন্তু তার সাথে ব্যাকলিংক মারা কোন সাম্প্রতিক স্মৃতির সাথে যুক্ত হলেই সেই নির্দিষ্ট মস্তিষ্ক-কোষ তথা নিউরনের গুচ্ছে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল ইম্পাল্স শুরু হয়ে যায়। তখনি করিম সাহেবের চেহারা দেখলে তাঁর ভাই রহিম সাহেবের কথা মনে পড়ে। এছাড়া পড়ে না।
সাধারণ অবস্থাতেই শুধু ব্রেনে যে পরিমাণ ইলেক্ট্রনের প্রবাহ তথা কারেন্ট থাকে, তা দিয়ে নির্দ্বিধায় ২৫ ওয়াটের বাল্ব জ্বালানো যায়।
তো, এই মহান মস্তিষ্কের সমস্ত কর্মকান্ডের এক মূল চালিকাশক্তি হল অক্সিজেন।
ধারণা হল আজকে সন্ধ্যায়, মানুষ মৃততুর আগে আগে যে আগে-পরে বাদেই তার সারা জীবনের প্রায় সব তথ্য এলেবেলেভাবে এক সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশে দেখা শুরু করে দেয়, তারপর কিছুক্ষণ দেখতে থাকে, এই বিশেষ ঘটনাটা এম্নি ঘটে না।
মানুষের মৃততুর সময় সবার আগে যে জিনিসটার অভাব হয়, তা হল ব্রেনের অক্সিজেন। ফলে, ব্রেনটা খানিক এলোমেলো হয়ে যায়। সে খুব দ্রুত তার ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নিউরনকে জাগ্রত করে। বার্তা পাঠানো শুরু করে প্রতিটা নিউরন-গুচ্ছে। তার উদ্দেশ্য মাত্র একটা, সর্বত্র খবর পাঠাও, অক্সিজেনের অভাব হলে, আমরা নিউরনেরা মরতে বসলে কী করতে হবে তা এই লোকটা জানে কিনা, অর্থাৎ তার স্মৃতিগুচ্ছের কোথাও তা সংরক্ষিত আছে কিনা।
অথবা বিষয়টা এমনো হতে পারে, সব মিলিয়ে হিসাব করো, কীভাবে মুক্তি পেতে পারি...
আর তখনি, এক পলকে মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে এই মুহূর্ত পর্যন্ত নিতান্ত অপাঙক্তেয় স্মৃতিগুলোও চলে আসে পরিষ্কার ছবির মত।
(চলবে)
সলজ্জ আবদার
কোন রেফারেন্স নিয়ে লিখছি না। এম্নি। মন হালকা করার জন্য। ভুল হতেই পারে। ধরিয়ে দিলেই চলবে। আসলে আজকাল মন্তব্য দেখা বা জবাব দেয়া খুব কঠিন আমার জন্য। সবগুলো মন্তব্যই থাকবে, আলাপ আর কথাসহ। কিন্তু এটা শুধুই ব্যক্তিগত অপারগতা। কিছুদিন। তারপর সব প্রকাশ করে আলাপও হবে। প্লিজ, ডোন্ট টেক ইট আদারওয়াইজ।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কাজের চাপ হল আশীর্বাদ। কাজের চাপ হল সবচে মূল্যবান বিষয়। আপনি লাকি।
২| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১০
স্বপনবাজ বলেছেন: ভুল কিছু তো বলেন নি ! মরণের খুব কাছ থেকে ফিরে আসার পর জীবনে তার প্রভাব পড়বেই!
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ঘুর্ণিঝড়টা নিয়ে অস্বস্তি হচ্ছে।
৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪২
নাইট রিডার বলেছেন: বেচে থাকা কি আশ্চর্য্য সুন্দর।
আমি মরতে খুব ভয় পাই আর ভয় পাই বলেই আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকি তিনি আমাকে আরেকটা দিন বাচিয়ে রেখেছেন।
অসাধারণ লেখা ভাই, চলতে থাকুক এবং খুব শীঘ্রই।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরেকটা দিন বেঁচে থাকার জন্য যারা প্রতিদিন কৃতজ্ঞ হতে পারে তাদের মত সুখী আর কোন মানুষ নেই। প্রতিটা দিন তাদের জন্যে ছোটখাট জান্নাত নিয়ে আসে। ধন্যবাদ ভাই। শীঘ্রি দ্বিতীয় পর্ব এনে ফেললাম।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৪
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: সঠিক কথাই লিখেছেন ভাই , মাঝে মাঝে মন ডেল্টাতে চলে যায় , খুব চেষ্টায় তাকে কখনো কখনো আলফায় আনতে পারি সবসময় পারিনা ।
সাধারণ অবস্থাতেই শুধু ব্রেনে যে পরিমাণ ইলেক্ট্রনের প্রবাহ তথা কারেন্ট থাকে, তা দিয়ে নির্দ্বিধায় ২৫ ওয়াটের বাল্ব জ্বালানো যায়।
তবে এই বিদ্যুত টা ভিন্য ধরনের বিদ্যুত এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যেটা বাতি জ্বলাতে সাহায্য করে সেই উপাদানগুলো এটাতে নেই । (যতোদুর শনেছি সঠিক নাও হতে পারে )
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। ঘুপাভাই আছেন কেমন! খুব বেশি ভাল থাকবেন কিন্তু। থাকতে হবে।
ঝড় আসছে। দোয়া করবেন দেশটার জন্য।
৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪২
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: মাইরালা লিসানী ভাইরে মাইরালা
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হেক্টরভাই, শেষমেষ অ্যাম্নে? কাজটা ঠিক হচ্চে না।
৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৮
জেনো বলেছেন: সেখানেই শুরু.....
জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার টুকরোগুলো
ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখার।
প্রতিটি খাটি মুক্তোগুলোকে
এক সুতোয় গাথার।
বস্তু-আত্মার বিশ্বতে থাকা মানুষ
সেতো সময়-সংগীতে বাজা এক
অনুরণিত ঢেউ।
অবশেষে পঞ্চ-দরজায় প্রহরী বসিয়ে
সেই সুরের মাঝে ডুব দিয়ে খুঁজি
আপনাকে।
..............
...
অসমাপ্ত পাঠ গুলো শেষ হবার ইচ্ছায় আছে।
আপনি লিখবেন তবে................
..
এবং অবশ্যই
প্রশান্তি আসুক সবার মাঝে।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এবং প্রশান্তি নেমে আসুক সবার মাঝে।
মহাসেন তার ভীমবিক্রম রুদ্ধ করে বিশ্রাম নিক।
বিশ্রাম নিক ধরিত্রী। এবং এর বুকের মানুষগুলো।
একটা ছোট পোকাও যেন এক বিন্দু জিরিয়ে নিতে পারে,
আর ধ্বণিত হোক সেই সুর-
শুধু আদর্শরূপে নয়,
শুধু ফাঁকা বুলি রূপে নয়,
নিজের নিজের মত করে,
সর্ব্বে সত্ত্বা সুখিতা ভবন্তু-
ভুবনের সকল সত্ত্বা হোক সুখী!
লেট দেয়ার বি লাইট!
সালামুন আলাল আলামিন!
শান্তি, শান্তি, শান্তি!
৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক এবারো সাথেই আছি। শেষ পর্যন্ত না পড়লে ভাবটা বোঝা কষ্ট হবে।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার হতাশার স্পর্শ যেন আর না পাই। কান্ডারী কখনো হতাশা নিয়ে কথা বলবে না। অনন্ত সুখের প্রত্যাশা রইল।
৮| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
s r jony বলেছেন: শেষ পর্যন্ত না পড়লে ভাবটা বোঝা কষ্ট হবে
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জনিভাইয়ের কেকের কথা ভুলি নাই। খুব ভাল থাকুন।
৯| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত ছোট লেখা! এই ব্যাপার নিয়ে ভীষণ আগ্রহ। অনেক প্রশ্ন। শেষ করেন তাড়াতাড়ি। আমার ২০০১ সালে এমন অভিজ্ঞতা হৈসিল। যা চিরকালের জন্যে আমাকে বদলায় দিছে।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হামাভাই ঘটনা শুনব। বিস্তারে শুনব। সবিস্তারে শুনব। প্লিজ, পোস্ট দেন না নিয়ার ডেথ নিয়ে।
১০| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৭
ইয়ার শরীফ বলেছেন: মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে অক্সিজেন অভাবে নিউরনে আলোড়ন ের ফলে সারা জিবনের সব সৃতি মনে পরে যায়,
এই ব্যাখ্যা টা ভালো লেগেছে।
সাথেই আছি আর লিখে জান ভাই
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটা কিন্তু শুধুই ভাবনার সমীকরণ, হয়ত বিজ্ঞানীরাও এ ধরনের কথা বলেন। আবার উল্টোও হতে পারে। সার্চ করিনি।
১১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
নিয়ার-ডেথ-এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে ইউটিউবে বেশ কিছু ভিডিও রয়েছে। ৪/৫ ডাউনলোড করে রেখেছি। অন্যান্য ভিন্ন ধরণের বিষয় নিয়েও রয়েছে। এখনও দেখা হয়নি। পছন্দের প্রায়োরিটি বেসিসে দেখবো।
হাদীছে শরীফে এ নিয়ে বেশ কিছু কথা রয়েছে। হযরত আযরাইল আ. কর্তৃক নেককার ও বদকার লোকের প্রাণ হরণ প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে বলে পড়েছি।
বেশ আগে পড়া বলে স্পষ্ট মনে নেই। তবে বদকার লোকের প্রাণ হরণ প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী কষ্টদায়ক, যা' সামনে থাকা জীবিত ব্যক্তিরা বুঝতে পারে না। এবং মৃত্যুপদযাত্রী ব্যক্তির টাইম ফ্লো/ডাইমেনশান পরিবর্তন হয়ে যায়। এটি অনেকটা বাইরে-কিউতে-অপেক্ষমান তীব্র-মলত্যাগের-বেগ- যন্ত্রণা-কাতর ব্যক্তির যেমন এক মিনিটকে এক ঘন্টার সমান মনে হয়, (Intense Bowel Movement), তেমনি মৃত্যুপদযাত্রী ব্যক্তিরও সেরকম একটা অনুভূতি হয় বলে শুনেছি।
নেককার লোকেরা মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্বে আশু মৃত্যুর ব্যাপারে জেনে যায়। বদকার লোকেরা তা' বুঝতে পারে না। (হাদীছ)।
মৃত্যু নিয়ে ইমাম গাজ্জালী রাহ. এর বিখ্যাত বই "মৃত্যুর আগে ও পরে" বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি বই। বইটি পড়তে গেলে কারো কারো মনে ভীতির সঞ্চার করতে পারে।
তবে এটা নিশ্চিত যে বিজ্ঞান এ বিষয়ে তেমন অগ্রগতি অর্জন করতে পারে নি। কমন একটা অভিজ্ঞতা "আলোকিত টানেল" এর দৃশ্যমান হওয়া, কারো কারো ইউফোরিয়ার অনুভূতি হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
এটি একটি বিশাল সাবজেক্ট। তবে, বিজ্ঞান এনিয়ে খুব বেশি তথ্য দিতে অক্ষম। ধর্ম গ্রন্থই একমাত্র ভরসা।
ধন্যবাদ।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার প্রতিটা কথায় সহমত। এবং খুবই ভাল লাগল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলায়।
তবে বিজ্ঞান এখন অনেক অনেক বেশি এগিয়ে গেছে তো!
এখন তারা অনেক বেশিই জানে, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকাশ করে। এর মাঝে তত্ত্বকথাও আছে প্রচুর, যার কারণে একটার সাথে আরেকটা মেলে না।
ভিডিওগুলো তো নামাতে হবে আমারো! আসলে এটা নিয়ে এর আগে কখনো ইচ্ছা করে সার্চ করা হয়নি- কেন যেন। আমারো এই বদ অভ্যাস বা ভাল অভ্যাস যাই বলেন না কেন, আছে। যে বিষয়টাই দেখি, সেটা নিয়ে অনেক অনেক ভিডিও আর পিডিএফ নামানো শুরু করি।
কোন একদিন হয়ত দেখা হবে। আমরা হার্ড ডিস্কের ভাব বিনিময় করব। ভাল থাকুন ভাই।
১২| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
নস্টালজিক বলেছেন: নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স আছে আমার!
এত স্বল্প সময়ের জন্য যে মাথা থেকে ব্ল্যাক আউট হয়ে গেছে! খুব মাঝে মাঝে আমি ঐ স্বল্প সময়েক সুলুক সন্ধান করি! এক এক সময় এক এক ভাবে ধরা দেয়!
শুভেচ্ছা, লিসানি!
ভালো থাকুন নিরন্তর!
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন কবি! ভাল থাকুন, ভাল থাকুন!
১৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: কারও যদি নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স থাকে তাহলে শেয়ার করা উচিৎ। আমার নাই কিন্তু আমার এক চাচাতো ভাইয়ের আছে।
একসময় নামায রোযা করতনা কিন্তু এখন চরম আস্তিক এবং অলৌকিকতায় বিশ্বাসী। প্রচন্ড কস্ট নাকি সেই সময়। ওর মতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মৃত্যুর পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। যন্ত্রণা তার ঘুম ভাঙ্গাবেই।
আর এক দুলাভাই পরপর দুইবার স্ট্রোক করে কোমায় ছিলেন ২৪ দিন। ব্যাঙ্কক হসপিটালে তার জ্ঞান ফিরলে মাঝখানের সময়টার কোন স্মৃতিই তার মনে নেই।
আমি একবার প্রচন্ড জ্বরের ঘোরে (১০৫ ডিগ্রি) অনুভূতিহীনতা টের পেয়েছিলাম। সমানে বমি করছিলাম কিন্তু ভয়-ভীতি, কস্ট-সুখের কোন অনুভূতিই পাচ্ছিলামনা। এটা মনে হয় না নিয়ার ডেঠ একসপেরিয়েন্স কিন্তু আমার বাসার লোকজন ভয় পেয়ে গিয়েছিল।
জানি না এক্সপেরিয়েন্স টা কেমন!! তবে একেকজনের কাছে যে একেকরকম আমার কাছে তাই মনে হয়। হার্টের রোগীর সাথে ব্রেনেরটার মিল থাকবেনা মনে হয়, মিল থাকবেনা অল্প সময়ে মারা যাওয়া রোগীর সাথে দীর্ঘক্ষণ কোমায় থাকা রোগীর মৃত্যুর অভিজ্ঞতার। নিজের লো প্রেশার আর আমার মায়ের হাই প্রেশারের কারণে বলতে পারি মৃত্যুর কারণ যদি হয় ব্লাড প্রেশার তাহলে প্রেশারের ধরণের কারণেও মৃত্যু অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। ধন্যবাদ লিসানিকে এই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওর মতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মৃত্যুর পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। যন্ত্রণা তার ঘুম ভাঙ্গাবেই।
কত কষ্টকর কথা! কতটা কষ্ট পেলে মানুষ এমন কথা বলতে পারে!
আবার উল্টোটাও তো শোনা যায় ভাই, কেউ কেউ নাকি টেরও পায় না। এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও বলেন, যেমন হুমায়ূন আহমেদের বেলায় বলেছেন- তিনি শান্তিময়ভাবে মারা গেছেন। আবার এর প্রতিধ্বণি পাই কুরআন-হাদীসেও অন্যভাবে।
তবে একেকজনের কাছে যে একেকরকম আমার কাছে তাই মনে হয়। হার্টের রোগীর সাথে ব্রেনেরটার মিল থাকবেনা মনে হয়, মিল থাকবেনা অল্প সময়ে মারা যাওয়া রোগীর সাথে দীর্ঘক্ষণ কোমায় থাকা রোগীর মৃত্যুর অভিজ্ঞতার।
সহমত। পুরোপুরি একরকম তো হবার কথাই না।
১৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
ব্যক্তিগত জীবনের নিয়ার-ডেথ-এক্সপিরিয়েন্স এর কথাটি স্কিপ করে গেছি, তাই আবার আসা
হ্যাঁ, আমার জীবনে নিয়ার-ডেথ-এক্সপিরিয়েন্স রয়েছে। তা' হয়েছে আমার চাকুরী সূত্রে অবস্থান কালীন প্রবাস জীবন সওদী আরবে।
ঘটনার স্থান - হজ্জ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্ব "মিনা"-তে।
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে গিয়েছিলাম। কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ দূরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ জনস্রোতের দু'টি বিপরীতমূখী প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এতে একধরণের প্রচান্ড চাপ সৃষ্টি হয়। এবং এরকম এক চাপে পড়েছিলাম আমি। এ চাপের ধরণ বাস্তব অভিজ্ঞতা না-থাকলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অর্থাৎ অনির্বচনীয়।
এ প্রচন্ড চাপে আমার অভিজ্ঞতা।
মনে হয়েছিরো আমার "জান/পরান/আত্মা/প্রাণ/SOUL"-টি আমার কন্ঠ বরাবর চলে এসেছে। দৃষ্টি আকাশের দিকে। মুখ "হাঁ" করে গেছে। এ অবস্থায়ও যে যন্ত্রণা হয়েছিলো, তা-ও অনির্বচনীয়। সত্যি তাই। অন্ততঃ তা' প্রকাশ করার জন্য যে ভাষার দখল থাকা দরকার তা' আয়ত্ত্বে নেই।
আল্লার কসম,
কোরান শরীফে একটি লাইন পড়েছি আমি। ওখানে আছে মৃত্যুর সময় আত্মা কন্ঠ পর্যন্ত চলে আসে।
ঐ ঘটনায় কোরানের কথার সত্যতা পেয়েছি। একান্ত নিজের অভিজ্ঞতা। ধার করা নয়। নির্ভেজাল।
এরকম আরো কিছু /অনেক বাক্য পেয়েছি, যা' আমাকে কোরানের প্রতি আকৃষ্ট করে ফেলে। অদ্ভূত এক গ্রন্থ। অদ্ভূত।
এ এমন এক গ্রন্থ যা' কিছু মানুষকে প্রচন্ড আকৃষ্ট করে। আর কিছু তীব্র বিকর্ষণ করে। রহস্যময়। খুবই রহস্যময়। অদ্ভূত। অত্যাশ্চার্য।
হাদীছে পড়েছি, নিদ্রার সময় "আত্মা" দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। তবে দেহের বাইরে থেকে দূর-সংযোগ বর্তমান থাকে। ঘুম থেকে জাগ্রত হলে "আত্মা" দেহে অবস্থান নেয়।
কেউ কেউ ঘুমের মধ্যে মৃত্যু বরণ করে। এর অর্থ তার আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে না-আসা। যেমন, ড. হুমায়ুন আজাদ।
ব্যক্তিগত জীবনের আরো কিছু ঘটনা রয়েছে। তবে, তা' অন্য কোন দিন, অন্য কোন সময় শেয়ার করবো, ইনশা'আল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ বলেছেন এবারো। চাপে পড়ে মারা যাবার অবস্থা তৈরি হওয়া খুব কষ্টকর একটা অভিজ্ঞতা। আমার এর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা যেটা আছে তা হল, সাড়ে তিন বছর বয়সে, বারো বছরে... কয়েকবার। সেগুলো পোস্টে আসবে। পানি বিষয়ক দুই তিনটা ঘটনা।
আর অন্যান্য যে কথাগুলো বলেছেন, তা তো আধ্যাত্মিকতার পর্যায়ে চলে গেল, আর সত্য কথা হল, জীবন-মৃততুর মাঝামাঝি একটা আধ্যাত্মিক পর্যায় থাকবেই।
ভাল থাকুন ভাই। আশরাফ মাহমুদ ভাইয়ের সিরিজগুলো কিন্তু খুব ভাল লাগে, বিশেষ করে কিছু সিরিজ আমি হাইলি রিকমেন্ডও করি।
১৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৯
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অনেক বেশি ভালো লাগলো
আরও জানতে চাই
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি ভাল আছেন। কালকে তৃতীয় পর্ব আসতে পারে, মনটা যদি ভাল থাকে। ভাল থাকুন। ঝড় আসছে, ভাল থাকুক দেশের মানুষগুলো।
১৬| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১:২১
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনার এ সিরিজটি আরো তথ্যসমৃদ্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য যোগ করলামঃ
মৃত্যুর পরে শরীরের কোন কোন অঙ্গ
কতক্ষন জীবিত থাকে???
চোখ – ৩১ মিনিট
মস্তিষ্ক – ১০ মিনিট
পা – ১ ঘন্টা
চামড়া – ৫ মিনিট
হাড় – ৩০ দিন
খুবই সাম্প্রতিককালে তথ্যগুলো আমার হাতে এসেছে। আগে আমারও জানা ছিলো না।
ধন্যবাদ।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ ডাটা ভাই। হ্যা, কোষগুলো তো মারা যায় ভিন্ন ভিন্নভাবে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। তথ্যগুলো শুধু পোস্টকেই সমৃদ্ধ করেনি, আমার জানাটাকেও অনেকদূর নিয়ে গেছে। মুন্না ভাইয়ের ভাবনার ধরণ কিন্তু ভাল লাগে সব সময়।
১৭| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক আগ্রহ এই সব বিষয় নিয়ে। এই বিষয়ে কখনো পড়ি নাই তাই আলোচনায় অংশ নিতে পারছি না।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাতে আগ্রহটা তো আর কমছে না। আমি কিন্তু ইদানিং পড়িনি আপু। অনেক আগের কথাগুলো এলোমেলোভাবে...
১৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩০
নিয়েল হিমু বলেছেন: এইভাবে বৈলেন না ভাই নাস্তিক ট্যাগ পৈরা যাইতে পারে ।
এনি ওয়ে রেফারেন্স লাগবে না । আমি বুঝছি এবং বিশ্বাস করছি কথা গুলো । তবে রেফারেন্সের অভাবে সাইন্সফিকেশন এর আভা চলে এসেছে । দারুন ভাল লাগল ।
১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রেফারেন্স বিষয়টাই কি বোরিং না হিমুভাই! রেফারেন্সের কচকচিতে মনের কথাও আর মনের কথা থাকে না, স্কলারি ওয়ার্ক হয়ে যায়।
নাস্তিক ট্যাগের গুল্লি মারিরে ভাই, অলরেডি এত ট্যাগ পাইছি, নাস্তিকও তো বলল বেশ কয়েকবার। নিজের সাথে কমপ্রোমাইজ চলবে না। মনে যা আসে, মুখে তাই বলব, নাহলে মুনাফিক হয়ে যাব।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
বোকামন বলেছেন:
প্রিয় লিসানী ভাই !!
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ছি ... কাজের চাপে মাথায় কার্ব-ডাই-অক্সাইড ভর করছে .... একটু বেশী করে অক্সিজেন নিয়ে পোস্টখানা আবার পড়ে মন্তব্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করে গেলাম ................