নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
প্রথমেই তাঁর কথা।
সন্ধ্যা ছয়টার পরপর। ভারি কঙক্রিট ও মেটাল কাটার নিয়ে নেমে গেলেন তিনি। সরাসরি নয় নম্বর ফ্লোর তথা ছাদ থেকে নামা শুরু। কবরও এরচে প্রশস্ত হয়। এরচে স্বস্তিদায়ক হয়। বীভৎস ছাইরঙা কঙক্রিট কেটে চৌকো চৌকো গর্ত করা হয়েছে। সে গর্তগুলোর চারদিক দিয়ে বেরিয়ে আছে ধারালো রড।
১.
শরীরটাকে হেঁচড়ে, নেমে গেলেন চারতলা পর্যন্ত।
ভাঙা বিল্ডিঙের এই অংশটায় এখন ফুট পনেরো ঢাল বেয়ে উপরের দিকে উঠতে হবে। একহাতের টর্চে সামান্য আলো, আরেক হাতের চাপে একটু একটু করে এগুচ্ছে টুলস। উপরে ভাঙা বিম, ঝুলন্ত কঙক্রিটের চাতল, শুধু একটা পাতলা শরীর যেতে পারে।
কখনো দু পা দু পাশে আর টুলটা সহ দু হাত দু পাশে রেখে শরীরের সমস্ত শক্তি আর সাবধানতা দিয়ে বাঁকানো পথে নেমে যাওয়া। মেশিন ছুটে গেলে অনেকগুলো মানুষের জীবনও ছুটে যাবে। কারণ এই সেটগুলো বাংলাদেশে খুবই কম আছে। যে কটা আছে, সবগুলো এখানে প্রাণ বাঁচাচ্ছে। শরীর ছুটে গেলে কী হবে তার কোন ঠিক নেই। যে কোন পরিস্থিতি হতে পারে।
তারপরই মোড়টা। নিতান্ত খেটে খাওয়া মানুষ বা তরুণ ট্রেইন্ড কোন প্রফেশনালই পারে এ মোড়টুকু পেরিয়ে যেতে। আরো চাপা, আরো এবড়োখেবড়ো।
কোনদিকে যেতে হবে, ভুলে যাচ্ছেন প্রায়শই। তারপর, আগে থেকে রেখে যাওয়া আলোগুলো দ্বিধা দূর করে।
সবশেষে ফুট চারেক মৃততুকূপ।
সেটা পেরিয়েই অনেকগুলো পাইপ আর রডের আড়ালে পড়া মানুষ। তাদের গুনগুন শব্দ।
তাঁকে এগিয়ে আসতে দেখে গুনগুন মৃদু হয়ে ওঠে। কে কী বলছিল, কোনটাই শোনার মত মানসিক অবস্থা নেই কারো। তবু কানে একটা কথা ধাক্কা দিল খুব, স্যার, আমার দুইটা ছেলেমেয়ে, বোধহয় আর কখনো দেখতে পাব না।
কিন্তু ওটুকুই। এরপর আশ্চর্য সমর্থন এল ভিতর থেকে। আপনি ঠিকমত করেন ভাই। আমাদের নিয়ে ঘাবড়ানোর দরকার নাই। যতক্ষণ লাগে যেভাবে লাগে করেন।
কাটা শুরু করতেই সময় নিতে হল অনেক অনেকটা। কীভাবে, সবচে কম সংখ্যক কোনগুলোকে কাটলে মানুষগুলো সবচে সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। তারপর মেশিনের সাথে লোহার সংঘর্ষের গা গুলানো শব্দের শুরু। আগুনোর ফুলকি। সেকেন্ড মিনিটে, মিনিট ঘন্টায় রূপ নেয়। শ্বাস নেয়া কষ্টকর। কঙক্রিটের গুঁড়া, কার্বন ডাই অক্সাইডে ভারি বাতাস, মানুষের বর্জ্যের গন্ধ, সেইসাথে অন্ধকূপের তীব্রতা।
কেটে যাচ্ছেন জি আই পাইপ, রড। একের পর এক। শরীর তো শরীর, মাথাটা ঘোরানোও কষ্টকর।
অনেকটা সময় পেরিয়ে, ঘামে নেয়ে ওঠা হাত দিয়ে হেলমেটের উপর থেকেই কল্পিত ঘাম মোছেন তিনি কপালের। এরপর যে জিআই পাইপটা কাটতে হবে, সেটার অবস্থিতি এই পয়েন্ট থেকেও তিন ফুট নিচে। হাত বাড়িয়ে ভারি যন্ত্রটা নামানো ও কাজ করা প্রায় অসম্ভব। একবার ভাবলেন, ভিতরে পাঠাবেন কিনা। তারপরই বাতিল। মানুষগুলো দুর্বল। এবং যন্ত্রটা হারানোর ঝুকি নেয়া যায় না। গত দুদিনে অনেক মানুষকে উদ্ধার করেছে এ। আরো করবে। ঝুকি নেয়া যায় না।
আরো সময় নিয়ে আরো ঝুলন্ত অবস্থায় চলছে কাজ।
এরপর, রডগুলো বাঁকানোর শক্তি আর নেই। বললেন, হয়ত বেখেয়ালেই, ভাই, রডগুলো একটু বাঁকানোর চেষ্টা করেন। তারপর, ভিতরের মানুষগুলোর দুর্বল হাত এগিয়ে আসে। ব্যর্থ। তারপর মিলে মিশে সফল।
আপনাদের জন্য আলো, খাবার, স্যালাইন, পানি, ফ্যান নিয়ে আসবে প্রথমে। এরপর একজন একজন করে ওঠানোর জন্য লোক আসবে। আপনারা ধৈর্য্য ধরবেন। একজনের বেশি আসতে পারে না। সবাই আসতে পারবেও না। জায়গা নেই।
ভিতরের মানুষগুলো জানালেন, তাঁরা ধৈর্য্য ধরবেন।
কাঁপছে হাত। তিনি বেরিয়ে আসতে শুরু করলেন, টানা তিনঘন্টা শ্বাস নেয়াও কষ্টকর এমন একটা জায়গাতে, চারদিকে রড ও ঝুলন্ত কঙক্রিট স্ল্যাবের ভিতরে অত্যন্ত ভারি মেশিনটা নিয়ে কাজ শেষে করেছেন তিনি। দুজন এখানে কাজ করতে পারবে না। দুজন আসতে পারবে না।
ফিরে যাবার শুরু। সেই চরম ঝুঁকিপূর্ণ কষ্টকর পথ ধরে ফিরে যাওয়া। আসার সময় ঘাম ঝরা শুরু হয়েছিল, এখন শরীর নি:শক্ত। জবজবে ভেজা। ভারি টুলসকে এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত ভরযুক্ত। এবং ফিরে যেতে হচ্ছে ঠিক উল্টোভাবে। মিনিটের পর মিনিট কেটে যায়। ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগিয়ে যান তিনি। ছড়ে যায় ভারী ইউনিফর্মের উপরে থেকে লাগা বেরিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ কঙক্রিট আর লোহালক্কড় লেগে।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এই তরুণ অফিসার স্টেশনড আছেন ঢাকার বাইরের একটা জেলাতে। ঢাকার অপারেশন তাঁর এক্তিয়ারে নয়। তার উপর, চলতি দুটা উচ্চতর ট্রেনিঙে সমস্ত অফিশিয়াল কাজকর্ম থেকে দূরে। চলছিল পরীক্ষা। এ পরীক্ষা তার খাতিরে পেছানো হবে না। হয়ত অপূর্ণ রয়ে যাবে ডিগ্রিটা।
গর্তবাসী এই মানুষের প্রতি, এই মানুষগুলোর প্রতি আমাদের সালাম। এঁরা ১০/১২ মাসের অমানুষিক পরিশ্রমের পর পরিণত হন উদ্ধার বিশেষজ্ঞে। ঝাঁপান নদীর তলায়, আগুনের ভিতর অথবা ভাঙা ভবনের নিচে। তারপর বাইরে চলতে থাকে তাদের প্রতি লাঞ্চনা, গঞ্জনা। শাপ-শাপান্ত, গণ-থুতুনিক্ষেপ। ভ্রুক্ষেপ না করে এগিয়ে যান সামনে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সই বাংলাদেশের অফিশিয়াল রেসকিউ সার্ভিস। এরপর রয়েছে এমএফআর- মেডিক্যাল ফার্স্ট রেসপন্ডার ট্রেনিং, সিএসএসআর- কলাপ্সড স্ট্রাকচার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ট্রেনিং।
পনের ঘন্টা করে সময় দিচ্ছেন। পুরোটাই গর্তের ভিতরে। আলো সেখানে পৌছে না। ইন্টারভিউর প্রশ্নই সেখানে ওঠে না। তাঁর টিকিটারও দেখা পাওয়া যায় না ভাঙা দানব রানা প্লাজার বাইরে। যখন ঢোকেন, দ্রুতবেগে, বেরিয়ে আসেন গভীর রাতে ক্লান্ত শরীরে।
এভাবেই কাজ করছেন পঞ্চান্ন বছর বয়েসি উদ্ধারকর্মকর্তারাও। সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেব আছে যেমন বাইরে, আবার ভিতরেও একই দৃশ্যে দেখা পাওয়া যায় ফায়ার সার্ভিস থেকে কলাপ্সড স্ট্রাকচার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কোর্স করে নেয়া চব্বিশজন সেনা অফিসারকে। মানুষের জীবন বাঁচানোর আবেগে প্রফেশনাল সেনা অফিসাররাও কি আপ্লুত হন না? একটা মানুষকে মৃততুকূপ থেকে বের করে এনে চোখ মোছেন। জড়িয়ে ধরেন সহকর্মীকে। তবে ভিতরে সেনা আর ফায়ার রেসকিউ সার্ভিস ছাড়া মাত্র একটা প্রশিক্ষিত দল কাজ করতে পারে। কমুনিটি ভলান্টিয়ার। এবং, হতবাক করা বিষয় হল, সাধারণ মানুষ। সেই অন্ধকূপের ভিতরে বীর সাধারণ মানুষ যা করেছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়।
২,৪০০ জীবন! ২,৪০০ মনুষ্য জীবন এই মানুষগুলোর হাতে উঠে এসেছে। স্যালুট। প্রাউড অভ ইউ!
আর অবাক করে একটা বিষয়, ঠিক পরের দৃশ্যপটটা।
২.
তাঁর স্নেহের ছোটবোনটার লাশ কিন্তু তোলা হয়ে গেছে। না, তিনি বিলাপ করেননি। তিনি উঠে এসে গোসল করে কাঁদতে কাঁদতে শবযাত্রায় যাননি।
বোন তো যেখানে যাবার চলেই যাবে। তিনি তৎক্ষণাৎ ফিরে এসেছেন দোজখে। অন্ধ অলিগলির ভিতরে পৌছেছেন তাঁরাই সবার আগে। আহা, মাথায় হেলমেট নাই, গায়ে ভারি ইউনিফর্ম নাই, পায়ে বুটজুতা নাই। যে টর্চ, তার ছিরিছাদও নাই। হাতুড়ি, সামান্য হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেছেন স্ল্যাব। পেরেছেনও খানিকটা। খুজে খুজে বের করেছেন প্রতিটা অলিগলি।
সাধারণ মানুষের প্রতীক এই মানুষটা, একাই একশোর বেশি মানুষকে মানুষের জগতে, আলোতে তুলে এনেছেন। জীবিত।
এই মহাবীরকে কিন্তু আমরা চিনব না। সম্মাননাও জানাবো না। একমাস পর তাকে হয়ত কোথাও রিকশা চালাতে দেখা যাবে, অথবা কোন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কিউসির কান গলানো গালি খেতে দেখা যাবে।
এমন 'সাধারণ' মানুষ ছিলেন সেখানে অসংখ্য। যারা সমালোচনায় সময় ব্যয় করেননি। শাপ শাপান্ত করেননি চারদিকে। বাইরে থেকে সেনাবাহিনী বা পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের উপর ইট পাটকেল ছোড়েননি। গুজব ছড়াননি নানা ধরনের।
সরাসরি অন্ধকূপে নেমে গেছেন।
আমরা আসলে বলতে চাই, এই মানুষটা, এই মানুষগুলো বাংলাদেশের প্রতীক। এদের দিয়েই বাংলাদেশকে চিনতে হবে। হাজার হাজার রক্তদাতাকে দিয়ে, শত শত অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী- খাদ্যদাতা, আলোকদাতা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এগিয়ে নেয়া মানুষগুলোকে দিয়ে। এরাই মানুষ। বাংলাদেশের লক্ষ মানুষ আজকে এক হয়ে গেছে এখানে। এমনকি মসজিদের এক ইমামও গত চারটা দিন অন্ধকূপেই কাটিয়েছেন ছুটে বেড়িয়ে, কাটিয়েছেন কিবোর্ড টেপা নেটচারী কিছু ব্লগারও।
বাংলাদেশকে আমরা চিনব তাদের দিয়ে নয়, যারা জলাভূমির উপর রাতারাতি বিল্ডিং দাঁড় করিয়ে দেয়, সিমেন্টের জায়গায় দেয় বালি, তিন তলার ফাউন্ডেশনে ছয় তলা গড়ে, সকাল বিকাল শ্রমিককে কুকুর বিড়ালের মত ট্রিট করে, যারা ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলগুলোর নাম নিয়ে অপকর্মের সব বন্দোবস্ত ঠিক করে ফেলে, গুজব ছড়ায় দেশের সঙ্কটেও, ফাটা বিল্ডিঙের ভিতরে বাধ্য করে শ্রমিককে ঢুকতে, বাংলাদেশের প্রাণ গার্মেন্টস সেক্টর যাদের চূড়ান্ত নীতিহীনতার কারণে মরতে বসেছে, তাদের দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে চিনব না। এরা বাংলাদেশ নয়, এরা সর্বত্র শোষক।
অনেকগুলো নীতিহীনতার, বিবেকহীনতার এবং অর্থলোলুপতার পর্যায় পেরিয়ে তাজরীন-রানা বা আরো অন্যান্য ঘটনাগুলো ঘটে। এজন্য দায়ী খুব বেশি কিছু নয়, এজন্য দায়ী কিছু মানুষ।
এর বাইরে, বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই শ্রেষ্ঠ।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
সজল৯৫ বলেছেন:
এর বাইরে, বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই শ্রেষ্ঠ। সহমত
সত্যিই খুব মরমী লেখা। ধন্যবাদ.......
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: চমৎকার লেখা ভাই! মন খারাপের মধ্যেও মন ভালো হয়ে গেল!
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
রাফা বলেছেন: এ যেনো সেই এসপিওনাজ জগতের দুঃসাহসী সৈনিক।নিজের জিবনের পরোয়া না করে ঝাপিয়ে পরছে দেশ মাতৃকার প্রয়োজনে।
This is call real hero!! I salute them.
ধন্যবাদ,লিসানি ভাই।
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
s r jony বলেছেন: স্যালুট সেই সব জাতীয় বীরদের
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: সজল৯৫ বলেছেন:
এর বাইরে, বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই শ্রেষ্ঠ। সহমত
সত্যিই খুব মরমী লেখা। ধন্যবাদ.......
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
এস বাসার বলেছেন: আমার বড় ভাই বাংলাদেশ নেভীর একজন সামান্য চাকুরে....... কমান্ডো ট্রনিং নিয়েছেন, জীবন বাজী রেখে কিভাবে সাধারন মানুষকে বাঁচিয়ে তোলে, শুনলে শরীর মন ভয়ে কেঁপে উঠে............ অনেকগুলো সাকসেফুল অপারেশানের অভিজ্ঞতা ........... একবার তো বংগোপসাগরে প্রায় ১৮ ঘন্টা নিখোঁজ ছিলো...... ভেবেছিলাম........., নাহ আবার আগের মতোই ঝাঁপিয়ে পড়ে দুঃসাহসিক কাজে.............. স্যালুট তার সততা, কর্ননিষ্ঠাকে...........
কিন্তু???
সেই মানুষটিই শুধুমাত্র সততার জন্যই সেখানে ভীষনভাবে বন্চিত! ভীষন।
আর বেশী বলব না, বলতে যে ভাই ই মানা করে............
সাভারের উদ্ধারকারী দলেও আমার ভাইয়ের মতো শত ভাইকে দেখি আর ভাবি এরাই মানুষ, এরাই বাংলাদেশ..........
এরা মানুষ, আর মখা-মওদুদ রা মানুষ নামের কলংক।
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১১
শিপু ভাই বলেছেন: স্যালুট সেই সব জাতীয় বীরদের
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: আল্লাহ এই সব মানুষদের উত্তম বদলা দিবেন।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
কয়েস সামী বলেছেন: স্যালুট
১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
নতুন বলেছেন: স্যালুট সেই সব জাতীয় বীরদে
এরাই বাংলাদেশী... দেশপ্রেমিক....
১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: পড়তে পড়তে শরীলটাই ঝাকুনি দিয়ে উঠল।
ভাল লিখেছেন
১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: অন্তরের অন্তঃস্হল থেকে বলব প্রকৃত মানবতা বলতে যা বুঝায় সেটাই আপনারা দেখালেন
১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই শ্রেষ্ঠ।
১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: হৃদয়ছোয়া লেখা। এইসব মানুষরাই প্রকৃত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬
মুনসী১৬১২ বলেছেন: আল্লাহ তাদের কবুল করুক
১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৭
ইয়ার শরীফ বলেছেন: মুনসী১৬১২ বলেছেন: আল্লাহ তাদের কবুল করুক
১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩২
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: ৭১ ভেসে উঠে আমার চোখের সামনে।
স্যালুট সবাইকে যারা যারা এ কাজের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আছেন।
যেহেতু ৭১ ভেসে উঠে সেহেতু রাজাকার টার্মের মানুষদের চেহারাও ভেসে উঠে
১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৮
ল্যাটিচুড বলেছেন: মন খারাপের মধ্যেও মন ভালো হয়ে গেল!
২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
শহীদুল্লাহ খান বলেছেন: মহান আল্লাহ পাক তাদের কবুল করুন ....
২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
আহলান বলেছেন: আসলেই অনন্য অসাধারণ .... ....
২২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এই মানুষটা, এই মানুষগুলো বাংলাদেশের প্রতীক। এদের দিয়েই বাংলাদেশকে চিনতে হবে।
২৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: চোখে পানি আসার মত একটা লেখা......এই দূর্যোগের মুহূর্তে আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাসের.....বিশ্বাস করি যে আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো....।
ফেবুতে শেয়ার দিলাম...
২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্যালুট সেই সব জাতীয় বীরদের
২৫| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:০২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এরাই জাতীয় বীর! এরাই সেই বীর বাঙ্গালী!! স্যালুট তাদের!!!
২৬| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০৩
মিনেসোটা বলেছেন: স্যালুট !!!
২৭| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
আমিতপু বলেছেন: এ রকম একটা দুর্দান্ত লেখায় আমি ২৭ নং মন্তব্য করলাম। আমি কি ভাগ্যবান? নাকি বাকিরা ভাগ্যহীন যে লেখাটা মিস করলো।
স্যালুট আপনাকেও।
২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তপুভাই, আমার তখন খারাপ অবস্থা যাচ্ছিল দেখে কমেন্টের জবাব দিতে পারিনি। গালাগালি খেয়ে ভূতা হয়ে ছিলাম। ধন্যবাদ ভাই, অনেক আন্তরিক মূল্যায়ন পেলাম।
২৮| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
আরািফন বলেছেন: জাতীয় বীরদের স্যালুট জানাই.................................................... সাথে লেখককেও
২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমরা তো সাধারণ কিবোর্ড টেপা মানুষ। সালাম তাদের জন্য, ব্লগারদের মধ্যেও অনেকে গেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ সব সময়েই শ্রেষ্ঠ।