নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাপলা চত্ত্বরের ভাই, শুনতে কি পাও?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

ভাই শাহবাগের দাবীর বিষয়টা কীভাবে আসে বলি।





১. নৈকট্যের সংজ্ঞায়ন



নিকটতর উদাহরণ দিলে বিষয় স্পষ্ট হয়। তবে বিষয়টা যে পারিবারিক, তা কিন্তু নয়। পুরো জগৎ মানুষের আপন। কিন্তু নিজের ভাষাগত জাতি একটু বেশি আপন হবেই। আবার নিজের ভূমি একটু বেশি আপন হবেই। তারচে বেশি আপন হবে নিজের পরিবার। এতে দূষণীয় কিছু নেই।



তাই,

তিনি বলেন, এই ফাতিমা সালামুল্লাহি আলাইহা হলেন আমার সন্তান। যারা এঁকে আনন্দিত করল, তারা আমাকে আনন্দিত করল। যারা একে কষ্ট দিল, তারা আমাকে কষ্ট দিল। যারা এর সাথে শত্রুতা পোষণ করল তারা আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করল। আর যারা এঁর সাথে ভালবাসা রাখল তারা আমার সাথে ভালবাসা রাখল। (৫৭ টি হাদীস গ্রন্থে, ৩০ টি ভিন্ন ভিন্ন শুদ্ধ রেওয়ায়েতে বর্তমান)

তিনি অন্যত্র বলেন,

হে আল্লাহ, এরাই আমার আহল আল বাইত (গৃহবাসী), আমি এদের উপর সন্তুষ্ট, আপনিও এদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আর আল্লাহ বললেন, হে আহলাল বাইত! আমি চাই কোন অপবিত্রতা যেন আপনাদের স্পর্শ না করে।

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যা চান, শুধু বলেন, হও। আর তা হয়ে যায়।

এবং হাদ্বরাত দ্বিতীয় উমার আলাইহির রাহমা, যাঁকে ন্যায়বিচারের মানদন্ডে কখনো কখনো পঞ্চম খলিফাও বলা হয়, তিনি সাইয়্যিদুনা হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমার বংশধরের সম্মানে উঠে দাঁড়ালেন,

দ্বিতীয় উমার র.'র পূর্বপুরুষ এই আহলে বাইতে রাসূলের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেই পূর্বপুরুষ যে কিনা-

ইমাম আবু হানিফা আলাইহির রাহমা কর্তৃক ফাসিক ঘোষিত,

ইমাম শাফি আলাইহির রাহমা কর্তৃক মুনাফিক ঘোষিত,

ইমাম মালিক আলাইহির রাহমা কর্তৃক মুরতাদ্ব ঘোষিত,

এবং ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্মল আলাইহির রাহমা কর্তৃক ক্বাফির ঘোষিত,



সেই ইয়াজিদের।



তিনি, খলিফাতুল মুসলিমীন দ্বিতীয় উমার আলাইহির রাহমা, এক প্রকাশ্য সম্পদহীন যুবা বয়স্কর সম্মানে রাজসভা থেকে যখন উঠে দাঁড়ান। এগিয়ে যান। তাঁকে বলেন, বলুন, আপনার কী দাবি, তখন তিনি সেসব পূর্ণ করার আশ্বাস দিলে তাঁর অনভ্যস্ত উমরাহ গণ বলেন, হে খলিফাতুল মুসলিমীন! আপনার জন্য এক কম বয়েসি চালচুলোহীন যুবার সম্মানে দাঁড়ানো মানায় না।



তিনি তখন বলেন,

তোমরা কি শোননি, আমি পূর্ণ সহীহ রেওয়ায়েতের হাদিস জানি, যাতে বলা হয়েছে যে, রাসূল দ. বলেছেন যে, যে আমার ফাতিমাকে খুশি করবে সে নিশ্চিত আমাকেই খুশি করবে। একবার ভেবে দেখো, আমি এই আচরণের মাধ্যমে ফাতিমা সালামুল্লাহি আলাইহাকে খুশি করতে পারতাম কিনা!

আর তোমরা কি জানো না যে, প্রত্যেক বানি-হাশিমকে তথা হাশমীকে অধিকার দেয়া হয়েছে শাফাআতের?



অত:পর তিনি ওই তরুণের দিকে ফিরে তাকালেন এবং বললেন, বলুন, আপনি আমাকে নিয়ে জান্নাতে যাবেন তো?



তরুণ, বললেন, নিশ্চই আমি আপনাকে ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করব না।



(আর ইসলামী ব্যাঙ্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এই বছর দশই মুহররমের সময়কালে নরসিংদীর একটি ব্যাঙ্ক শাখায় আভ্যন্তরীণ সভায় বলেন,

-মুহররম উপলক্ষ্যে ইয়াজিদ র. কে কী পরিমাণ অসম্মানিত করা হচ্ছে!

-অথচ তিনি ছিলেন ন্যায়বিচারক শাসক।

-তিনি এলে আমরা বাংলাদেশের শাসনভার তাঁর উপর ন্যস্ত করতাম। তাঁর হাতে বাইআত গ্রহণ করে।



এই কথা শুনে ইসলামী ব্যাঙ্কে কর্মরত এক রোকন সদস্য বলে ওঠেন, নাউযুবিল্লাহ, এটা কি ইয়াজিদি ধর্ম নাকি?

আর আরেক সিনিয়র অফিসার, দলের সদস্য বলে ওঠেন, দরকার নাই আমার টাকার। চাকরির। ঈমান থাকলে পরকালে মুক্তি পাবো।

আর দারোয়ান বলে ওঠে, এরা তো প্রায়ই এ ধরনের কথা বলে। বহু বছর ধরে আছি। আমরা জানি।)









তাই,

রাসূল দ. মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার সময় বলছেন, হে আমার পিতৃভূমি, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে ভালবাসি। তারপর কাঁদছেন। (ভূমির প্রতি আলাদা মমত্বের নিদর্শন)



তাই,

তিনি বলছেন, আরবদের জন্য শোভনীয় নয় যে তারা পারসিকদের মত পোশাক পরবে। (ভাষাগোষ্ঠীর প্রতি মমত্ব)



তাই,

তিনি বলছেন, ওই গোত্রে তো বিবাহের সময় সঙ্গীতের প্রচলন আছে। তারা কি কনের সাথে সঙ্গীতজ্ঞ কোন নারীকে পাঠায়নি? (গোত্রের প্রচলনের প্রতি সম্মান ও মমত্ব।)



সংঘাত,

অথচ নিজ দেশপ্রেম, নিজ ভাষাপ্রেম, নিজ গোত্রপ্রেম কখনো কোনদিনই বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের এবং ইসলামের প্রতি বাঁধা হয়ে আসতে পারেনি সেই কথার সত্যায়ন পাই আবার অন্য হাদিসে-

ইয়া আইয়ুহান নাস! (খেয়াল করুন, রাসূল দ. আইয়ুহাল মু'মিনুন বা বিশ্বাস স্থাপনকারীর দল বলেননি, আইয়ুহাল মুসলিমুন বা ইসলাম গ্রহণকারীদের দল বলেননি, ইয়া উম্মাতি বা হে আমার জাতি বলেননি, তিনি বলছেন ইয়া আইয়ুহান না-স! হে মানবজাতি! হে মানুষ!) তোমরা জেনে রাখো, আরবের উপর অনারবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। অনারবের উপর আরবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সাদার উপর কালোর এবং কালোর উপর সাদার কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। পিতার পাপ পুত্রের উপর বর্তাবে না, পুত্রের পাপের জন্য পিতা জিজ্ঞাসিত হবেন না।



একই রাসূল দ. নিজ গোত্র, নিজ ভূমি ও নিজ ভাষাগোষ্ঠীর প্রতি মমত্ব রেখেও বিশ্বপ্রেমে লীন হতে শিখিয়েছেন। কারণ, এই হাদিসগুলোয় কোন দ্বন্দ্ব নেই।





২. মুমিনের কার্যাবলী



ইন্নামাল আ'মালু বিন্ নিয়্যাত। কেন প্রতিটা হাদীস গ্রন্থে এই হাদিস দিয়ে শুরু? আমার মনের ভিতরে যে উদ্দেশ্য লুক্কায়িত আছে, তার উপর ভিত্তি করেই আমার কাজের মান নির্ধারিত হবে আল্লাহর কাছে।



এমনিতে ভাত খাওয়া বিশেষ কিছু নয়, প্রাকৃতিক কর্ম বিশেষ কিছু নয়, ঘুম বিশেষ কিছু নয়। এতে আর যাই থাক, প্রভুর দাসত্ব তথা ইবাদাত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং দেহের দাসত্বের সম্ভাবনা আছে।



কিন্তু একজন পূর্ণ মু'মিনের দৃষ্টিভঙ্গি, তথা নিয়্যাত কী রকম?



-আমি ভাত খাচ্ছি, এতে শক্তি হবে, শক্তি হলে আমি আরো ইবাদাত করতে পারব।

-প্রাকৃতিক কর্ম করছি। সুস্থ থাকব। সুস্থতায় আরো ইবাদাত হবে।

-ঘুমাচ্ছি। শরীর তরতাজা থাকবে। উঠে যা করব তা তো শুধুই প্রভুর জন্য করব।

-আমার সন্তানকে আমি আমার নিজস্ব কিছু হিসাবে ভালবাসি না, বরং প্রভুরই অধিকারে থাকা একটা পূর্ণতাপ্রাপ্ত রূহকে আমি আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছি। তখন সন্তানের গালে চুমু খাওয়া ইবাদাত।

-আমার সম্পদ নেই। একটা দিরহাম বা কোটি ডলার, এটা প্রভুর কাজের জন্য প্রভু কর্তৃক দেয়া আমানত। ইয়া রাব! আপনার আমানত আমি আপনার কাজে ব্যবহার করব বলেই আমার কাজেও ব্যবহার করি কারণ আমি নিজে আপনার কাজে ব্যবহৃত হব। তাই সম্পদ অর্জন, নিজের জন্য ব্যয় ও অন্যের জন্য ব্যয় ইবাদাত।

-আমি সামনে তাকিয়ে বায়োলজিস্টের মত গাছের পাতায় সবুজ রঙ দেখতে পারি। আবার কবির মত চোখের প্রশান্তি নিতে পারি আবার মুমিনের মত ভাবতে পারি, আহা, আমার রবের দেয়া চোখ দিয়ে আমারই রবের অনুপম সৃষ্টি দেখছি। চরম, মহা, পরম ইবাদাত।



তাই, যিনি ক্বালবুস সালিমে রয়েছেন। পূর্ণ মু'মিন হয়েছেন, তাঁর প্রতিটা শ্বাস প্রশ্বাস এবং পৃথিবীতে কাটানো প্রতিটা মিলি সেকেন্ড, মাইক্রো সেকেন্ড চরম ও পরম উচ্চতম ইবাদাত।



এই কারণেই আল্লাহ বলছেন, (কুরআন ও আহাদিসে কুদসিতে),

-সালাম হোক (যাকারিয়া আ.'র উপর, আরেক আয়াতে ঈসা আ.'র উপর) তাঁর জন্ম দিবসে, তাঁর ঘুম দিবসে এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন সে দিবসে। (কারণ তাঁরা এতটাই পারফেক্ট যে, তাঁদের জন্ম মুহূর্ত থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত এমন কিছু নেই, যাতে সালামের বত্যয় ঘটতে পারে।)

-সালামুন আলা নূহিম ফিল আলামীন (সালাম হোক নূহ আ.'র উপর, যত জগৎ আছে সমস্ত জগৎ থেকে)। (কারণ তাঁরা এতটাই পারফেক্ট এবং আল্লাহ কর্তৃক হিফাজতকৃত।)

-মু'মিন আল্লাহর নূর দিয়ে দেখে। আরিফ আল্লাহর চোখ দিয়ে দেখে।

-যারা শহীদ (শহীদের দুই অর্থ, ১. যাঁরা প্রাণপাত করেন আল্লাহর পথে, ২. যাঁরা আল্লাহর সাক্ষ্য দেয়ার মত উচ্চতর স্তরে উপনীত হন) তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তাঁরা জীবিত, তোমরা তা বুঝতে পার না। এমনকি তাঁদের কাছে রিযিক পৌছে থাকে।

-এবং আল্লাহর বন্ধুদের না আছে কোন (পাপজনিত) ভয়, না কোন (বিপদের) শংকা।





৩. বিচারপ্রার্থীতা



শাহবাগে আমরা কী চেয়েছি?



যারা বাংলাদেশের জন্মের সময় স্বজাতির মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতনের অপরাধে অপরাধী, সেইসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে নিজ নিজ কাজের ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের সবার বাংলাদেশে সক্রিয়তা নিষিদ্ধ করতে হবে।



এখানে ইসলামের কাজ হচ্ছে তিনভাবে,



১. ইসলামের নাম ভাঙিয়ে কিছু চরম পথভ্রষ্ট মানুষ এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল, যদি মুসলিম সেখানে জড়িত না হত, তাহলে এই কথা প্রমাণিত হতো যে,



-মুসলিম মুসলিমের অপকর্মের বিচার চায় না। (অথচ রাসূল দ. বিচারে ইহুদিকে ন্যায় পক্ষে পেয়ে তারই পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। আমরা এই রাসূল দ.'র শিক্ষাকে পদাবনত করতে পারি না। তাহলে ঈমান থাকে না।)



২. কিসাস দাবী করা ইসলামের অধিকার।



৩. ন্যায়বিচার সমাপ্ত করা ও সম্পূর্ণ করা ইসলামের নিদর্শন। বনু নাদ্বির। বনু কুরাইজা।



উপরের তিনটা স্তরের আলোচনার একত্রীকরণে আপনি কী পাচ্ছেন ভাই?



এবার আসি অন্য বিষয়ে।



কোনও একটা কারণে আপনার মনে ধারণা হয়েছে যে,

শাহবাগ আন্দোলন উকাযের মেলার মত কোন পূজা, পার্বণ, নৃত্যগীতি, অশ্লীলতা, মাদকদ্রব্যের আখড়া, জুয়া, ইত্যাদির মেলা।



জানাতে পারি, এই ধারণা ভুল। জানাতে পারি, লীগ তাদের মত করে এটাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। হ্যা। কমুনিস্টরা তাদের মত করে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। হ্যা। কিন্তু মানুষ, লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ- হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান বাঙালি অবাঙালি, তাঁরা এসেছিলেন কাঁচা একটা সুঘ্রাণ নিতে। ন্যায়বিচারের সুঘ্রাণ। সেখানে আমার মত অগুণতি অসংখ্য ধার্মিক লোক ছিল। অগুণতি অসংখ্য নারী ছিলেন প্রোপার পর্দা করে।



এই কারণে আপনি শাহবাগের সাথে ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা পাচ্ছেন না।

আমি নিশ্চিত, আপনি জীবনে একবার হলেও হিন্দি সিনেমা দেখেছেন, একবার হলেও ইংরেজি সিনেমা দেখেছেন, এবার হলেও বাংলা সিনেমা ও নাটক দেখেছেন, একটা হলেও জাফর ইকবাল বা হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েছেন, (যে পাঁচটার কোনটাতেই কোন টার্গেটেড অশ্লীলতা ছিল না বলেই ধরে নিচ্ছি), নিশ্চিত, আপনি ১,০০০ ঘন্টা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেছেন। চাচার সাথে প্রয়োজন নেই, এই পরিমাণ আলাপ করেছেন। একবার বলুন তো, সারা জীবনের বেশিরভাগ এইসব করে কাটালাম আমরা, যা না পাপ, না পূণ্য- এই কাজে ইসলামের ঠিক কী করা হয়েছে???



আপনি ভাই আতঙ্কিত। আপনি আতঙ্কিত শাহবাগ নিয়ে সম্পূর্ণ অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।



আপনার কাছে এটা সম্মানিত মানুষদের রক্ষা করার জন্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, অপরাধী, চরম অপরাধী কখনো খলিফাতুল্লাহ হতে পারে না। কোনও খলিফাতুল্লাহ কখনো চরম অপরাধী ছিলেন না। কোনও খলিফাতুল্লাহ কখনো জনমানুষের দ্বারা এত বেশি ঘৃণিত ছিলেন না।



আপনাকে আমি অ্যাশিউর করতে পারি,

শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই ছিলাম।

রাতের পর রাত কাটিয়েছি।

আন্দোলিত হয়েছি দেশের গানে। দাঁড়িয়ে থেকে শ্লোগান দিয়েছি।

ওখানে কী হয়েছে কী হয়নি সেটা আমি তো জানি, নাকি? আর প্রতিটা মুহূর্তই আমার ছিল পরিপূর্ণ ইবাদাত। কারণ আমি ন্যায়বিচারের পক্ষে ছিলাম। কারণ এই ন্যায়বিচারের কথা আমি পুরো পৃথিবীর বিপরীতে মুখের উপরে বলে দিতে পারব।



আমি আমার অধিকার ছাড়ি নাই!

আল্লাহও তোমাদের মাফ করবেন না, কারণ এটা হাক্কুল্লাহ নয়, হাক্কুল ইবাদ!

কিসাস চাই! কিসাস!

আমি ওই লাশগুলোর ফিরিস্তি চাই, যেগুলোকে আমার মা বুড়িগঙ্গা নদীতে ষোল ডিসেম্বর নৌকা দিয়ে যেতে যেতে দেখেছেন। মাঝি নৌকা বাইতে পারে না, আহারে, খালি লাশে লাশে বৈঠা লেগে যায়। শত শত শকুন। কোত্থেকে এল? একটা লাশের উপর বসে, আর সেটা টুপ করে ডুবে যায়।



আমি আমার মায়ের চাচার হত্যার কিসাস চাই! রাজাকার আমার মায়ের চাচাকে হত্যা করেছিল একাত্তর সালে। তিনি কোন অপরাধ করেননাই। আমি রজম্ চাই ওই ব্যক্তিদের, যাদের কারণে আমার নানাবাড়ির ঘাটে নৌকার ২০ জন ঘুমন্ত মাঝি মারা গিয়েছিল।



বদলা চাই!

চোখের বদলে চোখ!

হাতের বদলে হাত!

পায়ের বদলে পা!

আর প্রাণের বদলে প্রাণ!

শরীআহর আলোকে বিচার চাই! ত্রিশ হাজার হলে তাও সই, তিন লাখ হলে তাও সই, ত্রিশ লাখ হলে তাও সই, আমাকে ত্রিশ হাজার হত্যার বিচার খালি করে দেখাও, আমি বিচার চাই! বিচার!



আমি উইটনেস, কোন তাত্ত্বিক নই।

তাই আমার জোরটা অনেক অনেক বেশি।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাই লেখা থামিয়ে ফেইলেন না কোন ভাবেই । মায়ের ডাক যাতে না লাগে লেখা যাতে চলতেই থাকে ।
আশা করি এটাও একটা অসাধারণ পোষ্ট :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এটা টানা লেখা। কোন পলিশড পোস্ট নয়। আশা করি স্পর্শ করবে কোন কোন হৃদয়। ভাল থাকবেন সব সময়।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: শাহবাগে যেতে পারিনি।
তবু আছি শাহবাগে মনে প্রাণে সবসময়।

যতদিন এই হায়েনাদের বিচার না হবে ততদিন জোর আওয়াজ হবে

রাজাকারের ফাসি চাই।
জয় বাংলা
জয় তারুণ্য।


০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আছি শাহবাগে মনে প্রাণে সবসময়।


রাজাকারের ফাসি চাই।
জয় বাংলা

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

এক্সপেরিয়া বলেছেন: শাহবাগ আমাদের অন্তরে । আমরা ঐক্যবদ্ধ । অপশক্তিকে অবশ্যই রুখে দাঁড়াবো ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অপশক্তিকে অবশ্যই রুখে দাঁড়াবো ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শাপলা চত্ত্বরের ভাই, শুনতে কি পাও?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পাবে, যদি বাংলা ব্লগ পড়ার মত পরিস্থিতিতে আসতে পারে।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: শাহবাগকে নিয়ে অসেক অপপ্রচার চালানো হয়েছে এরই ধারাবাহিকতা এখন আরো বেড়েছে ভাই।
পোস্ট ভালো লেগেছে। :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অথচ যে ভাইর উদ্দেশ্যে পোস্টটা লিখেছিলাম তিনি সেটা ধরতেই পারেন নাই। তিনি বলছেন, আমি তাহলে শরিআহ আইন চাই? আমি শরিআহ আইন চাই বা যাই চাই না কেন- বিচার যে চাই এবং সেটা শরিআহ তে আছে, এইটা এই পোস্টে মন্তব্য করা সব সহব্লগার বুঝতে পারলেন, শুধু তিনিই পারলেন না। আফসোস।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নাইট রিডার বলেছেন: আপনি আগের পোষ্টে এক অবুঝকে বুঝানোর জন্য যে পরিমাণ পরিশ্রম করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।

সেই একই রকম যৌক্তিক মানসিকতা, ধর্মীয় দৃষ্টভঙ্গি নিয়ে এই পোষ্টে ও লিখলেন বাকীদের জন্য।

১। জানিনা যাদের জন্য লিখলেন তারা এই রকম লেখার জন্য আদৌ প্রস্তুত কিনা?

- নাকি তাদের কে আরও কিছুদিন সময় দিতে হবে বোঝার জন্য যে বাংলা ব্লগে শুধু নাস্তিক রা লিখে না। নাস্তিকতা না করে ও শাহবাগের আন্দোলনে যাওয়া যায়, রাজাকারদের ফাঁসী চাওয়া যায় এবং বেশীরভাগ ব্লগার ই সেই রকম।

২। তাদের মস্তিষ্ক এই লেখার মূল ভাব ধরার মত পরিপক্ক কিনা?

- নাকি সেই চিন্তা করার মানসিকতা ধর্মীয় গোড়ামি দিয়ে মোড়া, যেখানে ইসলামের সুন্দর বিষয়গুলোকে কখনও প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি।

৩। তাদের আত্মা সেই পরিমাণ শুদ্ধ কিনা যা কিনা ধারণ করবে ইসলাম, মানবতা আর দেশপ্রেম প্রতিপক্ষ কোন বিষয় নয়?

- নাকি সেই আত্মা যা "দেশপ্রেম একটা এমন শব্দ যা আমাদের কে শিক্ষা দেয় ধর্মের চেয়ে দেশ বড়, আধুনিকতা এমন একটা শব্দ যা আমাদের কে শুধু শিখায় অশ্লীলতা-ধর্মহীনতা, মানবতা হল সেই বিশ্বাস যা মানুষকে একসময় সৃষ্টিকর্তার উপর স্থান দিয়ে দেয়' এই রকম ভ্রান্ত ধারনায় ইতিমধ্যে টইটুম্বুর।

তাহলে আপনার এই লেখা তারা বুঝবে না, এই লেখা হয়ে যাবে ইসলাম বিরোধী, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান কারী হিসেবে।

তাহলে আমরা কি তাদের কে বলা বন্ধ করে দিব? মনে হয় না। জানি একদিন তারা বুঝবে ইসলাম মানে মাস মার্ডারার বা তাদের সাহায্যকারীর ক্ষমা না, ইসলাম এর মধ্যেই আছে দেশপ্রেম, আপনজনের প্রতি দায়িত্ব, অত্যাচারীর প্রতি ঘৃণা। আর এ থেকেই আমরা শামিল হয়েছি শাহবাগে। সেখানে কিছু দুরাত্মা, দুরাচার সুবিধাবাদী দলকানা লোক যে ছিলনা তা না, কিন্তু বেশীরভাগ মানুষ গিয়েছিল একটি ঘোরতর শাস্তির বিচারের দাবী নিয়ে - যার সাথে ইসলাম কোনভাবেই সাংঘর্ষিক না বরং দেশের প্রতি, সাধারন মানুষের প্রতি অন্যায়কারীর বিচার দাবী করাটাই ইসলামের শিক্ষা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন আবারো। আপনার কাছ থেকে দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছ্বতা শিখছি।

যেভাবে মন্তব্য করছেন এভাবে লেখুন। আরো আরো। বিশেষত পোস্ট চাই। আপনি এই কাজটা সবচে ভাল করতে পারবেন।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: লেখক বলেছেন: অথচ যে ভাইর উদ্দেশ্যে পোস্টটা লিখেছিলাম তিনি সেটা ধরতেই পারেন নাই। তিনি বলছেন, আমি তাহলে শরিআহ আইন চাই? আমি শরিআহ আইন চাই বা যাই চাই না কেন- বিচার যে চাই এবং সেটা শরিআহ তে আছে, এইটা এই পোস্টে মন্তব্য করা সব সহব্লগার বুঝতে পারলেন, শুধু তিনিই পারলেন না। আফসোস।




শরীয়হ অনুয়ায়ীই ব্যাখ্যা করেছেন কেন বিচার চাইতে হবে। দেখেও যদি না দেখার ভান করে তাহলে দেখাতে পারবেন না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শরীয়হ অনুয়ায়ীই ব্যাখ্যা করেছেন কেন বিচার চাইতে হবে। দেখেও যদি না দেখার ভান করে তাহলে দেখাতে পারবেন না।

ধন্যবাদ আপু। এটা জরুরি নয় যে পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ বুঝবে। এটা জরুরি যে মানুষ বুঝবে।
শুভতার উদয় যেন শুধু উদীয়মান না থাকে আমাদের এই দেশে।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫০

রুদ্র মানব বলেছেন: লিসানি ভাই , পুরাই সেইরম পোস্ট B-) B-) B-)

কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:


শাপলা চত্ত্বরের ভাই, শুনতে কি পাও?


লেখক বলেছেন: পাবে, যদি বাংলা ব্লগ পড়ার মত পরিস্থিতিতে আসতে পারে।



এই উত্তরের পিছে কারো কোন কথা থাকলে শুনতে চাই ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে ক্ষেপে গেলে মানুষ কত কী যে বলে তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই। আপনি ভাল আছেন তো? অনেক ভাল থাকার কামনা রইল।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
চমৎকার বলেছেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ জাকারিয়া ভাই। ভাল লেগেছে দেখে সার্থক মনে হল কষ্টটুকু।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৫

নিকষ বলেছেন: "আর বিশ্বাসীগণ, তোমরা ন্যায়বিচারে প্রতিষ্ঠিত থাক ...... " ৪.১৩৫

শত্রু না বাড়াইয়া, মিউচুয়াল একটা স্পেসে আসার জন্য আপনার এই কথাগুলির উপ্রে আর কথা হয় না।

+

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিকষ ভাইকে অন্তবিহীন শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন। মনটা ভাল নেই।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫০

আলতামাশ বলেছেন: একটা জিনিস বুঝতে পারলাম না, ইসলামি ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কি জামাতের কেউ?
বিষয়টা ক্লিয়ার করেন নি।
সেই লোক কি ইয়াজিদের প্রশংসা করেছে?
অর্থাৎ, আপনার মতে কি জামাতে ইসলাম ইয়াজিদের প্রশংসা করে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রতিষ্ঠানটা তো তাদেরই, ওখানে উচ্চতর পর্যায়ে পৌছায় শুধু তারাই। এমনকি যারা তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা শেয়ার হোল্ডারও থাকতে পারেনি অতীতে।

হ্যা, তিনি ওই কাজ করেছেন।
হ্যা, তারা ওই কাজ করে।

আপনি আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন ব্লগার।
তাই আপনার জন্য আরো একটু বেশি কথা রইল।

দেখুন, প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেরই থাকে একটা গোপনীয়তা। একটা অপ্রকাশিত দিক। বলেছিলেন অ্যাসাঞ্জ, উইকিলিক্স।

আমরা তো জানি,
জামাত যা বলে, তা করে না।
যা করে, তা বলে না।

ওরা একটা সিক্রেট সোসাইটির মত, যত উপরে যাওয়া যাবে, তত বিস্ময় অপেক্ষা করে।
হ্যা, তাদের দলীয় ভাবধারা এমনি, কিন্তু ঠিক কী কারণে জানি না, এই ভাবধারা হাজারো চাদরের তলায় লুকানো থাকে।

এর সপক্ষে আপনাকে দুটা তিনটা কথা জানানো যায়-

১. লুটন জুলুস:
লন্ডনের লিউটন বা লুটন পার্কে ১০ মুহররম শিয়ারা মাতম করছিলেন। সেটা সাপোর্ট করা যায় কি যায় না তা হল শিয়াদের সাথে বিতর্কের বিষয়। সে দিকে আর যাচ্ছি না।

লুটনে তারা যখন বিক্ষত আমাদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় মহান ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমার জন্য, তখন পুলিশ প্রটেকশনের আড়ালে দাঁড়িয়ে মাত্র চার-পাঁচজন মানুষ দুই হাত দূর থেকে হ্যান্ডমাইকে বলছিল-
আবু বাকার, আবু বাকার (অর্থাৎ তারা আমাদের মহান প্রথম খলিফা খলিফাতুল্লাহ ওয়া রাসূলুল্লাহ, খলিফাতুল আসহাব, খলিফাতুল মুসলিমীন ওয়াল মু'মিনীন সাইয়্যিদুনা সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমার নাম ঘোষণা করছিল। খুব ভাল কথা। কিন্তু আবু বাকার আবু বাকার এই উচ্চারণের মাধ্যমে কতটুকু কী প্রকাশিত হয়? এটুকু প্রকাশিত হয় যে, তারা ওই গোত্রের হতে পারে, যারা মাত্র দুই খলিফাকে মানে। খারিজাইট।)
তারা বলছিল,
উমার, উমার, (সাইয়্যিদুনা ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমা)
বলছিল,
আয়িশা, আয়িশা (সাইয়্যিদা উম্মুল মু'মিনীন সালামুল্লাহি তাআলা আলাইহার নাম এত অবজ্ঞায়। এবার বোঝা যাচ্ছে, তারা সেই খারিজাইট নয়। খারিজি বা ইবাদি নয়। কারণ খারিজি বা ইবাদিরা কখনো নবীপত্নী সালামুল্লাহি আলাইহার নাম আনে না। নামটা তারা আনছে শিয়াদের বিক্ষত করার জন্য। হায়রে, নামটা তারা আনছে ইমাম হুসাইন রা.'র বিপক্ষে ক্ষেপানোর জন্য। অথচ অবাক করা বিষয় কী জানেন,
শিয়ারা একটুও ক্ষেপল না সিদ্দিকে আকবর রা., ফারুকে আজম রা., ও উম্মুল মু'মিনীন রা.'র নাম শুনে।

এরপর তারা বলল,
মা'বিয়া, মা'বিয়া!
অবাক কান্ড, আমির মুআবিয়া রাদ্বিআল্লাহু আনহুমার নাম শুনেও শিয়ারা তেমন তপ্ত হল না।

এরপর হঠাৎ করেই হ্যান্ডমাইকধারীরা যেন ক্ষেপে উঠল।
সর্ব্বোচ্চ শক্তিতে বলা শুরু করল,

এজিদ! এজিদ!

এবং আগুন ধরে গেল শিয়াদের মধ্যে। তারা পাল্টা চিৎকার শুরু করল, নারায়ে তাকবীর! আল্লাহুআকবার! নারায়ে রিসালাত! ইয়া রাসূলাল্লাহ দ.! নারায়ে হায়দারী! ইয়া আলী রা.! ইয়া আলী রা.! ইয়া হুসাইন রা.! ইয়া হুসাইন রা.!

ইউটিউবের ওই ভিডিও আমার কাছে আছে, কোনদিন দেখা হলে দিতে পারব, লিংক দিতে পারব না। সার্চিং টার্চিং আমার পোষায় না।

তারা কিন্তু খারেজি নয়, তারা খাঁটি সালাফি ওরফে আহলে হাদিস ওরফে ওয়াহাবি।



০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ২. জাকির নায়িক ইনসিডেন্ট:

এই কথাটা যখন আমি বলি, ৫০ মিনিট সময় লাগে। এতটা সময়ের আলাপ লিখে পোষাবে কিনা, পাড়েও পোষাবে কিনা, জানি না। তাই অতি সংক্ষেপে বলছি।
হ্যা, প্রত্যেকের পূর্ণ ভিডিও আমার কাছে আছে।

প্রথমেই, আমরা সবাই জানি, জাকির নায়িককে কারা প্রমোট করে?
স্পষ্টত, প্রমোট করে আহলে হাদীস এবং প্রমোট করে শুধু জামাতে ইসলামী।
এটা আমরা সবাই জানি।
অতি স্পষ্ট।

নায়িক নিজেও একাধিকবার আহলে হাদীস ও জামাতে ইসলামীর সাথে জড়িত থাকার কথা বলেছেন প্রকাশ্য টেলিভিশনে।

যাই হোক,
তিনি পিস্ কনফারেন্সের সমাপনি দিবসে মুম্বাইতে বললেন,

ইয়াজিদ, মে আল্লাহ বি প্লিজড আপন হিম! এবং ইমাম হুসাইন রা.'র মধ্যে যুদ্ধটা ন্যায়ের যুদ্ধ ছিল না, বরং ক্ষমতা দখলের যুদ্ধ ছিল।

তখন ফেটে পড়ল সবকিছু।

এরপর কী করার কথা?
আইআরএফ বা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের কী করার কথা?
ক্ষমা চাওয়ার কথা।

তারা ক্ষমা চায়নি।
তারা বলেছে, ডক্টর জাকির নায়েক কি ভুল করেছেন কোন?
(ডব্লিউটিএফ, ওয়েলকামটু ফেসবুক, জাকির নায়েক কি ভুল করেছেন কোন! প্রশ্নটা ইমাম হুসাইন সালামুল্লাহি আলাইহির নয়, প্রশ্নটা মামুলি এক মানুষ জাকির নায়েকের ভুল বিষয়ক! ইমাম হুসাইন ভুল করেছিলেন, কিন্তু জাকির নায়েক নন।)

তারা বলছে,
ডক্টর জাকির নায়িক তাঁকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেছেন।
কিন্তু আপনারা জানেন, ডক্টর নায়িক কোন কিছু না জেনে বলেন না।
ইয়াজিদ রাহিমুল্লাহ (!) কে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলা যায়, এটা প্রমাণ করা হচ্ছে পরবর্তী আলোচনায়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু কারবালার ময়দানে সমবেত ইয়াজিদ বাহিনীর দিকে চেয়ে একটা কথা বলেছিলেন,

তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই?


তারা বলছে,
ইয়াজিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি (!) একজন তাবেয়ী (!) হলেও তাঁকে রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলা যাবে (!) কারণ তিনি রাসূল দ.' ঘোষিত জান্নাতী (!) আর রাসূল দ. ঘোষিত জান্নাতী যারা, তাদের নামের সাথে রাদ্বিআল্লাহু আনহু ব্যবহার করা যাবে।

তারা এই কথার সপক্ষে বুখারী শরীফের হাদিস আনয়ন করে।
তারা জানায়, রাসূল দ. বলেছেন, যারা পারসিক সাম্রাজ্যে (আমি যেহেতু দেখে বলছি না, সাম্রাজ্যের নামে ভুল হতে পারে, অন্যত্র ভুল হবে না এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি।)
আক্রমণ করবে তারা সবাই জান্নাতি।
এজিদ আক্রমণ করেছিল পারসিক সাম্রাজ্যে। এবং এজিদের অধীনে মামুলি সৈনিক হিসাবে কাজ করেছেন ইমাম হুসাইন সালামুল্লাহি আলাইহি যার ব্যাপারে রাসূল দ. বলেন, আমি হুসাইন হতে, হুসাইন আমা হতে। হুসাইন আমার অর্ধাংশ, হাসান আমার অর্ধাংশ।
আর আবু হুরাইরা রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমা, যাঁর হাত ধরে আমরা হাদিস শিখি, তিনি বলছেন, হে হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু, আমি আপনার পবিত্র চরণ আমার চাদর দিয়ে মুছিয়ে দিচ্ছি। আমি বয়েসি হতে পারি। কিন্তু জেনে রাখুন, আমি বালক আপনার সেবায় যে কাজ করছি, আপনার উচ্চতা ও আপনার বিষয়ে মানুষের জানা থাকলে সবাই একই কাজ করত।

এবং নিশ্চই ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন সালামুল্লাহি আলাইহি জান্নাতবাসী তরুণদের প্রধান।
আর নিশ্চই প্রধানের সাহচর্য ব্যতীত কেউ অবস্থান করতে পারে না।
এবং নিশ্চই প্রত্যেক মানুষ জান্নাতে তরুণ রূপে প্রবেশ করবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অথচ সেই হাদিস দেখুন,

কেন রাসূল দ. যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন পারসিক সাম্রাজ্যের বিষয়ে?
কেন তিনি বলেছিলেন, যারা প্রথমবার পারস্যে আক্রমণ করবে তাদের সবাই বিনা হিসাবে জান্নাতী?

(হ্যা, হাদিসে যে কথাটা রয়েছে, তা হল প্রথমবার আক্রমণ)

কারণ, পারস্যের সম্রাট তাঁর পবিত্র বন্ধুত্বের পত্রকে পত্রবাহকের চোখের সামনে কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে।

এখন,
রাসূল দ.'র পত্রের যদি এত মর্যাদা হয়,
যাদের জন্য রাসূল দ. নামাজের খুতবা ছেড়ে দৌড়ে আসেন,
যাদেরকে রাসূল দ. নামাজের মধ্যেও কোলে পিঠে রাখেন,
যাদের জন্য নানা রাসূল দ. হন ঘোড়া এবং দৌহিত্র হন সওয়ারী, আর তা দেখে আবু হুরাইরা রা. প্রশ্ন করেন, হে সওয়ারীগণ আপনারা কতই উচ্চ মর্যাদার বাহন পেয়েছেন আর জবাবে রাসূল দ. বলেন, হে আবু হুরাইরা রা., বলবেন না, বাহন কত উচ্চতর, বলুন, বাহিত কী উচ্চতর!
যাদের মুখে ঘাড়ে বুকে পিঠে নানা রাসূল দ. চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিয়েছেন,
যাদের জন্মের পর প্রথম খাদ্য ছিল রাসূল দ.'র পবিত্র জিহ্বা মুবারকের লালা,
যাদের বিষয়ে আল্লাহ বলছেন, হে আহলাল বাইত! আল্লাহ চান আপনাদের কাছ থেকে সমস্ত অপবিত্রতাকে দূরে রাখতে!
আর বলছেন, হে রাসূল দ., আপনি বলে দিন, আমার নুবুয়্যতের অধিকার তোমরা কখনো আদায় করতে পারবে না, আমার নিকটজনের ভালবাসা ব্যতীত,

সেই ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমা মাওলানা ওয়া মালজানার হত্যাকারীকে কিনা নিষ্পাপ ঘোষণা করা হচ্ছে রাসূল দ.'র চিঠি মুবারকের অসম্মানে আক্রমণে যাবার কারণে!


০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখন,
আইআরএফ বা জাকিরের প্রতিষ্ঠান কি জানতো না যে,
ইয়াজিদ অষ্টম আক্রমণের আগে কোনদিন কোন সময়েই যায়নি পারস্যে? আর জান্নাতি ঘোষণা করা হয়েছে প্রথম আক্রমণকারী দলকে?

তারা জানে। জেনেও হাদীসের কথাকে সম্পূর্ণ উল্টে দেয়।
তাদের স্থান কোথায়, এই একটা প্রশ্ন আলতামাশ ভাইকে কি আমি করতে পারি?

অষ্টম আক্রমণ।
মুসলিম সেনাবাহিনী ধুঁকছে বরফে। দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে খাদ্য নেই, পানীয় নেই।

আমীর মুআবিয়া রা.'র রাজ দরবারে খবর পৌছানোর পর ওই মুহূর্তে ইয়াজিদ ছিল মদের পেয়ালা হাতে। তার আরেক হাতে আবদ্ধ ছিল প্রেয়সী।

সে তখন একটা কবিতা উচ্চারণ করে,

এজিদ কি বুদ্ধিমান নয়?
তার একহাতে পানপাত্র অন্যহাতে প্রেয়সী,
অথচ ওরা ভুগছে খাবারের কষ্টে, বরফের উপর।



এবং এই কথা জানতে পেরে, অষ্টম আক্রমণের চারমাস পেরিয়ে যাবার পর আমীর মুআবিয়া রা. তাকে শাস্তিমূলকভাবে তৎক্ষণাৎ প্রেরণ করেন ওই যুদ্ধক্ষেত্রে।

একবার ভাবুন।
একবার ভাবুন।
ঈমান ইটস অল অ্যাবাউট।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

আলতামাশ বলেছেন: আমার এত কিছু জানার দরকার ছিল না, আমার শুধু জানার দরকার ছিল, আপনার কথা অনুযায়ি, জামাতে ইসলাম ইয়াযিদের প্রশংসা করে কি না?
আপনি কি সুন্দরভাবে একটা মিথ্যা কথা বলে দিলেন যে করে।
আসল সত্য হল, জামাতের ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা এতটাই ইয়াযিদের বিরোধিতা করেছে যে ইয়াযিদের বিরোধিতা করতে গিয়ে সে ইয়াজিদকে খেলাফত প্রধানকারী আমিরে মুয়াবিয়াকেও গালাগালি করেছে।
ইয়াজিদকে সমস্ত উম্মাত খারাপ মনে করে। কিন্তু সাহাবাকে গালি দেওয়া বৈধ নয়। আমাদের সাথে জাশির পার্থক্য তারা সাহাবদের অনুসরণযোগ্য মনে করে না এবং সাহাবাদের গালাগালি করে। এইটা তাদের সাথে আমাদের পার্থক্যের অন্যতম কারণ।
আপনার মাঝে ইদানিং লক্ষ্য করছি, আপনি মিথ্যাচার করছেন। একটা ব্লগারের জন্য সেটা উচিত নয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার মাঝে ইদানিং লক্ষ্য করছি, আপনি মিথ্যাচার করছেন। একটা ব্লগারের জন্য সেটা উচিত নয়।

আলাতামাশ, এই কথাটার জন্য আপনাকে জবাব দিতে হবে।
আমি প্রস্তুত।

আপনার মত মানুষের কাছ থেকে আশা করিনি।
বন ভয়াজ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ক্ষমা করলাম না। অণ্তত আপনার মত দুইদিনের বৈরাগীর জন্য যা করেছি, সেটা জানেনও না। ২০ জন ব্লগারকে ইনবক্স করেছি, ইউ ফুল। আপনার পক্ষে। কৃতঘ্ন।

অপাত্রে দান, আলতামাশ, অপাত্রে দান।

কিয়ামাতে আপনি আমাকে জবাব দিবেন। প্রস্তুত থাকুন। আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন, প্রস্তুত থাকুন।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

উযায়র বলেছেন: নবীর অবমাননাকারীদের গ্রেফতার ও সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে কোন দিন কিছু বলেছেন ?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি ভাল আছেন? আমার অতীত ঘাঁটেন।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

আলতামাশ বলেছেন: আপনি মিথ্যা বলেছেন, তাই আপনাকে মিথ্যাবাদী বলেছি। এখানে অন্যায় কিছু করিনি যে আমাকে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে!

আপনি পোস্ট শেয়ার দিয়েছেন, আমি কি আপনাকে বলেছি?
আমার মতন দুই দিনের বৈরাগির পোস্টে এমন কি ছিলো যে আপনি শেয়ার দিয়েছিলেন?
নাকি সেখানে আপনার অদৃশ্য কোন স্বার্থ লুকিয়ে ছিলে?
সত্যের সৈনিকদের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। মিথ্যা বললে তারা কখনো প্রশয় দেয় না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি পোস্ট শেয়ার দেই নাই। ডিফেন্ড করেছিলাম।
আর বললাম না, আপনি এইজন্য জবাব দিবেন?
ভয় কি, সত্যের সৈনিক, জবাবের সময় বুঝবেন।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:

একটা বিষয় কি জানেন ? আমিও আপ্নার মতো এমন ধরনের পোষ্ট দিতে পারলে খুশি হতাম , কিন্তু আমি রম্য লেখি । সব জিনিস সবাই হজম করতে পারে না ।

ইসকুলের এর ইসটুডেন্টদের মাস্টার্স এর বই পড়তে দিলে বইয়ের লেখক এর ভুল ধরবে এটাই স্বাভাবিক ।

সব খাদ্য সব বয়সের বাচ্চা হজম করতে পারে না ।

সব কিছু সকলের সামনে ওপেন করলে সমস্যা ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঘুপাভাই,
সেজন্যই রাসূল দ. বলেছেন,
মানুষের সাথে তার উপলব্ধির স্তর অনুযায়ী কথা বল।

নিশ্চই আমি তাদের উপলব্ধির স্তর অনুযায়ী কথা বলতে পারিনি।
আমার অক্ষমতা।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

হাসান নাঈম বলেছেন: "অথচ যে ভাইর উদ্দেশ্যে পোস্টটা লিখেছিলাম তিনি সেটা ধরতেই পারেন নাই।"

ভাই এই পোস্ট কি আমার উদ্দেশ্যে দেয়া? তাই তো মনে হয় (কারণ কথাগুলি আগের পোস্টের কমেন্টেও দেখেছি)।

নিজেকে খুবই গুরুত্বপুর্ণ ও সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আপনারমত জনপ্রিয়, জ্ঞানী লেখক আমার মত অজ্ঞ নাদানের উদ্দেশ্যে পোস্ট দেবে - ভাবাই যায় না!!

কিন্তু সমস্যা হয়েছে কি জানেন - আপনি যে উচ্চতর স্তরে অবস্থান করেন, যে উচ্চমার্গীয় সাহিত্যে পোস্ট দেন তা আমার মাথার বহু উপর দিয়ে যায়( সম্ভবত আমার উত্তর/কমেন্টগুলিও আপনার হাটুর নিচ দিয়ে যায়, তাই চোখে পড়ে না! )। আসলে দুই স্তরের দুই ব্যাক্তির মধ্যে আলোচনা করতে গেলে এ'রকম হওয়া বিচিত্র নয়। তাই অনুরোধ করব এত কস্ট করে এত বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে না গিয়ে আমাদেরমত নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের জন্য সহজ করে সোজা কথায় লিখলেই ভাল হয়। আপনারও কস্ট কমে, আমরাও কিছু শেখার সুযোগ পাই।

যাই হোক, আমাকে এতটা গুরুত্ব যখন দিয়েছেনই তখন সেই সুযোগে আরো কিছু বিষয় জেনে নিতে চাই। অন্যদের জিজ্ঞেস করলেতো গালি শুনতে হয় অথবা উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায় - আশা করি আপনি তেমন হবেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে - এই যে আপনারা শাহবাগে, মিডিয়ায়, ব্লগে দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত 'যুদ্ধাপরাধী'দের ফাঁসি চাইছেন, বাংলাদেশে এই 'যুদ্ধাপরাধী' কারা?

৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রথম সরকার যে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করেছিল, তারাতো সবাই ছিলো পাকিস্তানী। আপনারাতো তাদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন না - আমি অন্তত কোথাও তাদের বিচারের দাবি দেখি নাই।

আপনাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে যে ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে সেখানে আটক ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধেতো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগই আনা হয় নাই - বিচার করা হচ্ছে 'মানবতাবিরোধী' অপরাধের। তার মানে তারা কেউ যুদ্ধাপরাধী নয় ( আমরা সাধারণ মানুষ কখনই ডাকাতের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করি না )। তাহলে 'যুদ্ধাপরাধী' কারা যাদের ফাঁসি না দিলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়ে সামনে এগুতে পারছে না?

দয়া করে অন্যদেরমত ভিন্ন কিছু ভাববেন না - আমি বিষয়টা আসলেই জানতে চাইছি।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাই অনুরোধ করব এত কস্ট করে এত বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে না গিয়ে আমাদেরমত নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের জন্য সহজ করে সোজা কথায় লিখলেই ভাল হয়।

ঠিক আছে, এখন থেকে তাই হবে।

আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি।
তারপর কিছু প্রশ্ন করেছি।
সেই প্রশ্নের উত্তর আপনি দেন নাই।
বরং উত্তর না দিয়ে পাল্টা অনেক অনেক প্রশ্ন করে গেছেন। (শেষদিকে, আপনার প্রায় ৩০ টা প্রশ্নের জবাব দেয়ার পর, শেষ তিনটা কমেন্টের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে, সেই পুরনো যে প্রশ্নগুলো আপনাকে করছিলাম, সেগুলোর কোন একটারও পাইনি, পাব এই আশায় আছি।)


আমি তখন বুঝতে পারলাম যে, আপনি কখনোই সে প্রশ্নগুলোর দিতে আগ্রহী নন।
প্রশ্নগুলো কি আবার করব?
এইটা কি মানুষের এথিক্স? নীতি? যে প্রশ্ন করে উত্তর নিয়ে যাবে, কিন্তু সম্পূরক প্রশ্নকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাবে?

জা মা ত

শি বি র

মু ক্তি যু দ্ধ

স্বা ধী ন বাং লা দে শ

নিয়ে আপনাকে অত্যন্ত সম্পূরক প্রশ্ন করেছিলাম। আপনার উত্তরগুলো দেয়ার পর। বারবার।

এখন আপনি কোন্ বিবেকে আরো নতুন প্রশ্ন করেন?
আপনি তো আমার সাথে আলোচনা করছেন না!
আমার একটা কথারও সরাসরি জবাব দিচ্ছেন না।
আগের প্রশ্নগুলোর একটারও জবাব না দিয়ে... আপনার বিবেক কি এই বলে?
এই জিনিসই শিখেছেন ধর্মের কাছ থেকে? মানুষ এমন নীতিহীন আলাপকারীকে কী করে মূল্যায়ন করবে? কী করে তার কাছ থেকে ধর্ম শিখবে?


প্লিজ, সব ব্লগার আপনাদের যেভাবে ট্রিট করে জোর করে সেভাবে ট্রিট হবেন না।
আপনাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। প্লিজ।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

হাসান নাঈম বলেছেন: ভাই, ধন্যবাদ আমাকে গুরুত্ব দিতে চাওয়ার জন্য।

আসলে সমস্যাটা আমি এই কমেন্টে আরো পরিষ্কার করে বলেছি (সম্ভবত তা এতই নিচু মানের হয়েছে যে আপনার চোখে পরে নি)। আমিতো ভাই স্বীকার করেই নিয়েছি যে আমি খুব কম জানি - কম জানি বলেইতো জানার জন্য প্রশ্ন করি।

পক্ষান্তরে আপনি অনেক জ্ঞানী মানুষ। জামাত পঞ্চাশ বছর ইসলামী রাজনীতি করে বা কওমী মাদ্রাসা শতাধিক বছর কোরআন হাদীস নিয়ে পড়াশুনা করে ইসলামের যে আসল চেতনা অনুধাবন করতে পারেনি - আপনি তা অর্জন করেছেন(আলহামদুলিল্লাহ)। আপনি ক্বলবে সালিম হাসিল করেছেন(মাশাআল্লাহ) - যা দুনিয়ার অতি অল্প মানুষের যোগ্যতায় কুলায়। আপনি অত্যন্ত দক্ষ একজন লেখক - ব্লগে কত মানুষ আপনাকে অনুসরণ করে, সমর্থন করে।

আমিতো আপনার তুলনায় কিছুই না - কোন সাহসে আমি আপনার সাথে আলোচনা করতে যাব। আলোচনাতো হয় সমানে সমানে তাই না। আমি বরং যা বুঝি না তাই বোঝার জন্য প্রশ্ন করি। যদি আপনার মুল্যবান সময় ব্যায় করে আমার প্রশ্নগুলির উত্তর দেন তাহলে কৃতজ্ঞ হই - আর না দিতে চাইলে জোর করার কোন ক্ষমতাতো আমার নাই, তাই না?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এভাবে বলছেন কেন? আপনি আর আমি তো সমান।

আমরা তো আলোচনা করছি। আলোচনায় আপনি আমাকে দশটা প্রশ্ন করবেন, আমি দশটার জবাব দিব।

তারপর আপনাকে দশটা প্রশ্ন করব, আপনি সেই দশটার জবাব না দিয়ে ফিরতি প্রশ্ন করবেন না। আর যদি ফিরতি প্রশ্ন করেনও, আমার প্রশ্নের জবাব দেবেন, তারপর আপনার প্রশ্নের জবাব নেবেন।

এটাই তো আলোচনার বিবেক সংশ্লিষ্ট নীতি।

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

হাসান নাঈম বলেছেন: ভাই, মাফ করে দেয়া যায় না? আপনার সাথে আলোচনার কোন যোগ্যতাই আমার আছে বলেতো মনে হয় না। ৬ নং কমেন্টে নাইট রাইডার ভাই বিষয়টা আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন - এবং আপনি তা সমর্থনও করেছেন। তার পরও আপনার আমার মাঝে আলোচনা কিভাবে সম্ভব?

"লেখক বলেছেন: ঘুপাভাই,
সেজন্যই রাসূল দ. বলেছেন,
মানুষের সাথে তার উপলব্ধির স্তর অনুযায়ী কথা বল।"

হ্যা ভাই, আমি স্বীকার করেই নিচ্ছি আমার উপলব্ধির স্তর খুবই নিচে(তবে দুর্ভাগ্যজনভাবে সম্ভবত আমরা নিচুস্তরের লোকেরাই বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ!) - কাজেই এই স্তর থেকে আপনারমত উচু স্তরের সাথে আলোচনায় যাবার বেয়াদবী কিভাবে করি?

তাই যদি দয়া করে আমার প্রশ্নের জবাব দেন তো কৃত্জ্ঞ হই - আর না দিতে চাইলে বিদায় হই। কিন্তু আপনাকে ধর্ম শিখানোর ধৃস্টতা কখনই করতে চাই না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাইরে, আলোচনা তো করতে পারেন, তাই না?
আমরা তো পরস্পরের কাছে শিখতে পারি, আমি আপনার কাছে শিখতে পারি। আর না শিখি, আমরা তো নিজেদের কথাটুকু বলতে পারি। তাতে অন্য মানুষ হয়ত সঠিক পথে আসবে। অন্তত সঠিক জীবনদৃষ্টি গ্রহণ করবে।

আর আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়ত সারমর্ম করে দেয়া যায় এভাবে.
রাজনীতির বিষয়ে অগুণতি ভুল আছে। কারণ তা রাজনীতি। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এই কারণেই কোন রাজনীতি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকি না, কারণ কিছু ভাল এবং কিছু মন্দ কাজ জেনেশুনে করা সম্ভব নয়। আমার জন্য জীবন ও ধর্মই যথেষ্ট।

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

হাসান নাঈম বলেছেন: "রাজনীতির বিষয়ে অগুণতি ভুল আছে।"

ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য। অন্য কেউ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই, আপনি অন্তত কিছু বলেছেন।

এখন দয়া করে চিন্তা করবেন কি যদি এই রাজনৈতিক ভুলে আইনি প্রকৃয়া প্রভাবিত হওয়ার ফলে কার ফাঁসি হয় ( সে যতবড় অপরাধী হোক না কেন ) - তাহলে সেটা কত বড় অন্যায় হবে? গনমানুষের সর্বশেষ আশ্রয় আইন-আদালতের উপর আস্থাই বা কোথায় যাবে? মনে রাখা প্রয়োজন - ফাঁসি হচ্ছে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট যার ভুল সংশোধন করা যায় না। আরো ভাবুন আমরা ক্রসফায়ারে মানুষ হত্যার বিরোধীতা কেন করি? ক্রসফায়ারে হত্যা আর রাজনৈতিক/আইনগত ভুলে হত্যা - পরিনাম কিন্তু একই।

যদি ধীর স্থীরভাবে চিন্তা করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর এমনিতেই পেয়ে যাবেন। কথায় বলে 'আক্বেলমান্দ ইশারায় কাফি'।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি আকল এ আসলেই মন্দ।
ইশারায় বুঝিনি।
স্পষ্টভাবে জানলে বরং ভাল হত। :)

আপনি নৈতিকতা দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখাটা যদি কিসাসের বিধান নিয়ে দিতেন, তবে তা চলত না। আমি যতদূর জানি, পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে মৃততুদন্ড অবৈধ নয়।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

নাইট রিডার বলেছেন: হাসান নাঈম বলেছেন: ৬ নং কমেন্টে নাইট রাইডার ভাই বিষয়টা আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন - এবং আপনি তা সমর্থনও করেছেন।

হাসান নাঈম অফ টপিক এবং খুবই নগণ্য একটা বিষয় নিয়ে বলি। আমার নিকটা নাইট রাইডার না নাইট রিডার। রাতে আমি কিছু চালাই না, কিঞ্চিৎ পড়ালেখার ব্যর্থ চেষ্টা করি, তাই এই নাম।

যেহেতু একই ব্লগে লেখালেখি করি তাই দুজনের সঠিক নিক জানাটাই ভাল। আর তাছাড়া নিজের নাম সেটা ব্লগ নাম বা আসল নাম যাই হোক না কেন মানুষের দূর্বলতা থাকে, আমার মনে হয় একটু বেশী, কি করব ব্যাক্তিগত ক্ষুদ্র মানসিকতা। কিছু মনে করবেন না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: :) :| B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.