নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
ধর্ম ডাকে। দেশ ডাকে।
'হেফাজতে ইসলাম' আন্দোলনের অণু-পরমাণুর ভিতরে বাইরে ভ্রমণে তাই স্বাগত।
৬ এপ্রিল বাংলাদেশের বুকের উপর আগুন জ্বালানোর হুমকি দিয়ে ভেঙে পড়ছে হেফাজতে ইসলামের নামে অচেনা এক আতঙ্ক । অথচ আমরা তার সঠিক পরিচয়টুকুও হয়ত অবগত নই। অবশ্যই, এই পোস্টের কোন মেধাসত্ত্ব বা কপিরাইট থাকছে না।
উল্লসিত জামাতের দুটি জাতীয় পত্রিকা । অন্যদিকে লুক্কায়িত জামাতি ব্লগ উল্লাসে তাদের অভিহিত করছে গড় নামে, ইসলামপন্থী। নামসর্বস্ব অনলাইন পত্রিকা জানাচ্ছে, গণজাগরণের সাথে বিন্দুমাত্র কথা নেই এই হেফাজতে ইসলামের। এবং আঞ্চলিক প্রণোদনা ।
কিন্তু এই মহাযজ্ঞের উৎস নিয়ে কথা থেকে যায় অপাঙক্তেয়। এমনকি মূলধারার অন্যান্য মিডিয়া পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত। ব্লগারমাত্রই কলঙ্কিত। বাঙালিমাত্রই দোষী। তার শাস্তি চাই! হুংকার দেশে-বিদেশে ।
পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ? এত শক্তি কি আসলেই সম্ভব? আর এই বিশাল বিস্তৃতির শক্তিটা কোথা থেকে এল?
আটটি ভাগে বিভক্ত এই গাণিতিক আলোচনায় আমরা আগামীকাল থেকে ভ্রমণ শুরু করব। হাজির হব শত বছরের অতীতে। খুঁড়ে আনব ইতিহাসের পাতা থেকে আধুনিক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের চুলচেরা অলিগলি। তারপর, হয়ত, উঠব শিউরে।
প্রথম ভাগ: সাম্প্রতিক দৃষ্টি
৬ এপ্রিল কিছু মানুষ রওনা হচ্ছেন সারাদেশ থেকে। পিলপিল করে এগিয়ে আসছেন অনেক মানুষ। তাদের অনেকেই প্রকৃপক্ষেই ভাল মানুষ। ধর্মভীরু। কিন্তু তাঁরা জানেন না, কোন জাল বুনে যাচ্ছে সবার অলক্ষ্যে। গড়ে তুলছে ভয়ানক সংঘাতের পথ। তেরো দফার সরাসরি কিছু কোট ও তার বিশ্লেষণ থেকেই শুরু হোক,
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।
এই দফার এই ভয়ানক বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন, কোট থেকেই বলা হোক- ক. শাহবাগের আন্দোলন কথিত। এবং এর নেতৃত্বে আছে নাস্তিকরা। এবং যারা আন্দোলন করছে তাদের শাস্তি দিতে হবে।
খ. মোমবাতি জ্বালানো যাবে না।
গ. নারী পুরুষ রাস্তায় চলতে পারবে না।
ঘ. মসজিদে এর আগে তারা যা করেছে তা করতে দিতে হবে (দাবীটা আসলে তাই)।
ঙ. তাদের কাছে যা 'কথিত', আমাদের কাছে তা প্রাণের দাবী। শাহবাগের আন্দোলন জামাতে ইসলাম ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে।
চ. সংঘর্ষ ছিল জামাতের বিরুদ্ধে। তারা রাসূলপ্রেমী তৌহিদী জনতায় রূপান্তরিত। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ছ. আলেম ওলামা (সাঈদী, নিজামী, কাদের মোল্লা, মুজাহিদ- এদের নামের সাথে আছে আলেম ওলামা) দের মুক্তি দিতে হবে। মাদ্রাসা ছাত্র দের মুক্তি দিতে হবে (শিবিরের একটা বড় অংশ তামিরুল মিল্লাত, বিভিন্ন আলিয়ার ছাত্র)।
এবার আসুন, সাম্প্রতিক ফ্ল্যাশব্যাকে।
ক. জাতীয় পতাকায় আগুন, বিভিন্ন অগুণতি শহীদ মিনারে ভাঙচুর। শহীদ মিনারও যে তাদের চোখে ভাষ্কর্য তা স্পষ্ট। এই কাজটা যতটা শিবির করেছে তারচে বেশি করেছে প্রকাশ্যে এই 'হেফাজতে ইসলাম'। এই কিছুদিন আগে, 'কওমী' নাম নিয়ে। এই শফি সাহেবের অধীনেই। এই কওমী চেইন অভ কমান্ডের অধীনেই।
খ. জাতীয় মসজিদে কওমী সমাজ (টুপিতেই স্পষ্ট) সাম্প্রতিককালে তিনবার ভয়ানক জিঘাংসা চালায়, ১. জাতীয় মসজিদের খতিবের খবর পাবার পর। ২. খতিব নামাজ পড়ানো যেদিন শুরু করেন সেদিন জুতা নিক্ষেপ ও মারপিট। ৩. যেদিন কওমী আলিমরা ঘোষণা দিলেন, চার লক্ষ মসজিদ থেকে একযোগে মিছিল আসবে, সেদিন। আগুন সংযোগ, গুলি চলে সাংবাদিক ও পুলিশদের উপর অকথ্যভাবে জাতীয় মসজিদ থেকেই।
দ্বিতীয় ভাগ: কারা এই 'হেফাজতে ইসলাম'
হেফাজতে ইসলাম। আপাতদৃষ্টিতে নিরপেক্ষ একটা মোর্চা। কিন্তু আমরা কি সচেতন যে, সুনির্দিষ্ট এই এঁদেরই আছে-
* বাংলাদেশে অন্তত তিনটা রাজনৈতিক দল। একটা গত সরকারে, জামাতের শরীক।
* বাংলাদেশে ও সমগ্র উপমহাদেশে অন্তত তিনটা অ্যাক্টিভ জঙ্গী সঙ্গঠন। তার মধ্যে একটা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নামিয়ে এনেছিল বিপর্যয়।
* আবার বাংলাদেশেরই সবচে বেশি নিরপেক্ষ মনোভাবের দাওয়াতী সঙ্গঠন, সবচে বড় সমাবেশ করার রেকর্ড।
* বিশাল একটা জনশক্তি, যারা না জেনে বা অর্ধেক জেনে এর পেছনে ছুটছেন। জামাত-শিবিরের মত জেনেশুনে বুঝে পাপ করা নয়। সবচে বেশি মসজিদের নেতৃত্ব, সবচে বেশি মাদ্রাসার বু্ৎপত্তি। এরাই অতি সম্প্রতি সরকার থেকে তাদের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য সব ধরনের সুবিধা আদায় করেছেন।
হ্যা।
দারুল উলুম (জ্ঞানের দরজা) দেওবন্দ থেকে এর শুরু। তাই তাঁদের দেওবন্দী বলা হয়। বলা হয় 'ক্বওমী', মাদ্রাসার দরুণ। তাদের মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা প্রচলিত অন্যগুলো থেকে ভিন্ন। বলা হয় 'তাবলিগ' কারণ দাওয়াতে তাবলীগ তাঁদেরই প্রতিষ্ঠান।
আল্লামা শফী সাহেব, যাঁর নামের সাথে দা.বা. (দা'মাত বারাকাতুহু) যুক্ত করা হয়, তিনি এই হেফাজতের নেতৃত্বে। এই হেফাযতের নাম নেয়ার আগে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন কিছুদিন আগের তান্ডবে, যেখানে অনেক অনেক শহীদ মিনার ভাঙা হয়, জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশের প্রাণ, জাতীয় পতাকা; আগুন দেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররামে, জাতীয় মসজিদের ভিতর থেকে ইট পাটকেল গুলি ও বোমা ছুড়ে আহত করা হয় এক ডজন সাংবাদিক এবং অনেক অনেক পুলিশকে। তিনি এই ব্যবস্থার সর্ব্বোচ্চ আসনে আসীন। তাঁর অধীনে এই কওমী বা দেওবন্দী বা তাবলিগি- তিন নামে একই বিষয় পরিচালিত হয় এবং এখনো হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম নাম নিয়ে।
তৃতীয় ভাগ: অতীত কথা বলে- ভয়ানক এক ইতিহাসের প্যাটার্ন
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু। বাংলার মানুষ ধর্মপ্রাণ। বাংলাতে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিজের নিজের ধর্ম নিয়ে বসবাস করছে হাজারো বছর ধরে।
মতবাদ হিসাবে নাস্তিক্যও এখানে হুমকি বা বিষয় হয়ে ওঠে না।
কিন্তু ধর্মশ্লেষ বা ধর্মদ্বেষ সব সময়ই বাংলাদেশে বিষয়।
আর এই বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে যারা অনলাইনে বা অফলাইনে অষ্টপ্রহর যৌক্তিক আলোচনায় প্রতিরোধে থাকেন, তাঁরাই হয়ে পড়েন গৌণ, হঠাৎ হঠাৎ এই কওমী শক্তি নেমে পড়ে মাঠে।
ঠিক কেন?
প্যাটার্নটা লক্ষ্য করুন। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আন্দোলন করলেন। কোন ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। ইসলামের বিরুদ্ধে যাবার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আন্দোলন করলেন, শুধু তাঁর সন্তানদের, রুমি সহ ত্রিশলাখের জন্য ন্যায়বিচার চাইলেন।
কার বিরুদ্ধে চাইলেন?
রাজাকার, আল বদর, আল শামস, জামাত, শিবির, একাত্তরের মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামী'র বিরুদ্ধে।
চাইলেন শুধুই বিচার। নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া।
ঠিক তখনি নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনের নাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, অত্যন্ত কষ্টের সাথে আমাদের লক্ষ্য করতে হয়, কওমী হাই কমান্ড।
অথচ এই ন্যায়বিচারের আন্দোলন কখনোই কওমী বা আপামর মুসলিম বিরোধী নয়।
কওমী বা সামগ্রিক মুসলিম সমাজের উপর বিন্দুমাত্র কোন দাবি ছিল না। পরন্তু এই আন্দোলনে ধর্মপ্রাণ অগুণতি মুসলিম জড়িত ছিলেন, আছেনও। এমনকি কওমীও।
এবার হুবহু সেই মধ্য নব্বইয়ের দশকের পুনরাবৃত্তি।
আবারো, ঠিক কেন?
কওমীরাতো সুস্পষ্টভাবে জামাত বিরোধী। ঠিক কী কারণে জামাতের মত বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অপাঙতেয় একটা সাংগঠনিকভাবে যুদ্ধাপরাধী দলের পিঠ বাঁচানোর জন্য এগিয়ে দেয়া হচ্ছে, লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে অতি সাধারণ কওমী মুসলিম সমাজকে?
চতুর্থ ভাগ: বেরুলো থলের বিড়াল-আকাশ পাতাল উলটপালট
কওমী'র সাথে ধর্মীয় বিধিনিষেধে অনেক পার্থক্য জামাতে ইসলামের। এটা আমরা জানি। তাহলে মিলটা কোথায় দেখে নেয়া যাক। কোথা থেকে ফণা তোলে সাপ।
আমরা জানি, প্রতিটা কওমী মাদ্রাসায় আগে রাখা হতো ইনকিলাব পত্রিকা। সেটার জায়গা করে নিয়েছে আমার দেশ। আমার দেশ পত্রিকা সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতার পায়ে ছোবল মারা শক্তির অর্থে ও সমর্থনে সৃষ্ট ও চালিত। এই পত্রিকা গণজাগরণের বিপক্ষে ভয়ানক মিথ্যাচার করে জনমত তৈরি করে। আর ইসলামের জ্ঞান শিখতে বসা দরিদ্র ও নিষ্পাপ তরুণ-শিশুরা সেই মন্ত্রে উজ্জীবীত হয় কওমী মাদ্রাসাগুলোয়।
আমরা জানি, সাঈদী নামে মানুষের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে হত্যা লুন্ঠন জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও ধর্ষণের কার্যক্রমে জড়িত, অপরাধী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির কথা। ওই ব্যক্তি শুধুই জামাতে ইসলামের প্রতিনিধি। এর বেশি কিছু নন।
সৌদি বলয়ে কওমী মাদ্রাসার গ্রহণযোগ্যতা অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু জামাতি গ্রহণযোগ্যতা খুবই বেশি। এই সাঈদীর বেলাতেই ফুঁসে ওঠে নিরীহ সরল ও ধর্মপ্রাণ কওমীদের (যাঁরা বিষয় কিছুই জানেন না, জামাতির মত সব জেনে পাপী নয়) হাইকমান্ড।
কারণ, অর্থ। কওমী মাদ্রাসা সিস্টেম মূলত চলে দানের উপর। দেশীয় দান যেমন আছে, তারচে কম নয় সৌদি বলয়ের দান। আর সেই টাকাটা শুধুমাত্র সাঈদী ও তাঁর বলয় হয়ে আসতে পারে। অর্থাৎ, কওমী মাদ্রাসা সৌদি বলয় থেকে যত টাকা সহায়তা পাবে, তার পুরোটা আসবে জামাতের হাত হয়ে। জামাত সেখান থেকে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রেখে তারপর মাদ্রাসাগুলোতে দেবে।
এই অর্থ যাবে জামাতের ফান্ডে। আমরা জানি, দারিদ্র্য ইসু, প্রযুক্তি ইসু, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ইসুর মত মাদ্রাসা শিক্ষা ইসুতেও সৌদি বলয়ের টাকা আসে শুধুমাত্র জামাতি ব্যাঙ্ক হয়ে এবং জামাত নিজের সম্ভাব্য মত অর্থ সেখান থেকে সাংগঠনিকভাবে কেটে রেখে বাকী সম্ভাব্য অর্থ মূল ক্ষেত্রে অনুদানের রূপে প্রকাশ করে।
এই নিয়ে অনেক বিতন্ডা, অনেক দ্বিমত, এমনকি মাদ্রাসা পর্যায়েও রয়েছে।
পঞ্চম ভাগ: উপমহাদেশীয় কানেকশন্স-আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান
তালিবান। আপাত নির্দোষ একটি আরবি-ফার্সি-উর্দু-পশতু শব্দ। ত্বালিব অর্থ সন্ধানী, অনুসন্ধানী, অনুসন্ধিৎসু। প্রচলিত অর্থে ত্বালিব/ তালেব/ তালেবুল এলেম অর্থ জ্ঞান সন্ধানী। আরো প্রচলিত অর্থে তালেব মানে মাদ্রাসার ছাত্র এবং তালেবান মানে মাদ্রাসার ছাত্রগণ।
পাকিস্তানি জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতা নিলেন। কওমীর আরেক নাম জমিয়াত উল উলেমা'র সাথে সোভিয়েত আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য ভবিষ্যত তালেবানের নেতা মোল্লা ওমর সহ ট্রেইন করালেন এক লক্ষ পাকিস্তানি-আফগান মুজাহিদকে। পরিণত হলেন ইসলামের নামে ভীতি সঞ্চারক বৈশ্বিক জিহাদের গ্র্যান্ড ফাদারে।
তিনি তখনো জানতেন না, কোন্ দানব সব পোড়ানোর পথে এগুচ্ছে গুটিগুটি পায়ে।
তিনি তখনো জানতেন না, বিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকার লোভে এবং আদর্শের কথায় চেতনালুপ্ত যে মানুষগুলো রওনা দিল বার্মা-আরাকান-বাংলাদেশ-ভারত এবং মূলত পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের পথে, তাঁরা ঠিক কোন প্রত্যাঘাত নিয়ে আসবে পুরো মুসলিম কমুনিটির পাশাপাশি পুরো দক্ষিণ-মধ্য এশিয়া এবং ফলত পুরো পৃথিবীতে।
সৌদিদের পক্ষ থেকে যুক্ত হল আল ক্বায়িদাহ্ বা ঘাঁটি নামের এক ভবিষ্যত শক্তির প্রধান, ওসামা বিন লাদেন। আদর্শিক দিক দিয়ে যাঁদের পার্থক্য অনেক, কিন্তু ভবিষ্যতে এই একটা একক লড়াইর ক্ষেত্র তৈরি করবে এক ভয়ানক অ্যালায়েন্স, পুড়ে ছাই হবে সব।
১৯৯১ সাল। জমিয়াত উলামা ই ইসলাম তথা কওমী ঘরানার হাত ধরে জন্ম নিল তালিবান । এর মূল নেতৃত্বে ছিল মোল্লা ওমরের হাত। আর তার সঙ্গী অজস্র আফগানফেরত কওমী যোদ্ধা।
মোল্লা ওমর, পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ যা বর্তমানে খাইবার পাখতুনওয়ার প্রদেশ নামে পরিচিত, সেখানটার বিশাল মাদ্রাসা দারুল উলুম হাক্কানিয়া বা জামিয়া হাক্কানিয়া'র ছাত্র। সরাসরি দেওবন্দের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার মত করে গঠিত জামিয়া হাক্কানিয়া'র গঠন, কাজ ও সবকিছুই কওমী তথা দেওবন্দী।
এই সেই হাক্কানিয়া মাদ্রাসা, যার দেয়ালে দেয়ালে ট্যাঙ্কের ছবি আঁকা ছিল ত্রিশ বছর আগে থেকেই। আজো এর দেয়ালে দেয়ালে একে ফোর্টি সেভেনের চিত্র। ত্রিশ বছর যাবৎ সত্যসন্ধানী সরল ছাত্র জামিয়া হাক্কানিয়া মহাবিদ্যালয়ে পড়তে এসে বড় হয় যুদ্ধের ট্রেনিং পেয়ে। তারপর তারাই পরিণত হয় তালিবানের উচ্চতম নেতায়।
তালিবান, এর প্রতিটা লিডারের উত্থান জামিয়া হাক্কানিয়া থেকে। তালিবানের প্রত্যেক ছাত্র কওমী মাদ্রাসার সরলপ্রাণ মানুষ। যারা একটা পদ্ধতিতে পড়ে গিয়ে পরিণত হয় মানুষ হত্যার দানবে।
১৯৯১ সাল। মাত্র ৫০ জন ছাত্র নিয়ে তাদের সম্মানিত শিক্ষক মোল্লা ওমর গঠন করেন ছাত্রবৃন্দ, তালেবান। তারপর মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবথান। ১৯৯৬। অনেক স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল আর বাজুকা, কালাশনিকভ রাইফেল নিয়ে বিদ্ধস্ত কাবুল দখল করে তালিবান। তখন তার যোদ্ধাসংখ্যা সহস্র সহস্র। মাত্র পাঁচ বছরে।
এ শুধু ভিনদেশের আজব ইতিহাস নয়। এ এক অশনিসংকেত।
আসুন, শিউরে উঠি। তালিবান ক্ষমতা দখল করেই হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করে, তাদের অভিযুক্ত করে, নাস্তিক হিসাবে।
ঠিক এখনকার হেফাজতে ইসলামের মত করেই, মূর্তি ধ্বংসে মেতে ওঠে। কী দোষ ছিল পাহাড়ে আঁকা বৌদ্ধমূর্তির? দেশ দখল করলেই অন্য ধর্মের প্রতীক ধ্বংস করতে হবে?
ঠিক এদের মত করেই, ঘোষণা করে, নারী রাস্তায় বেরুতে পারবে না। বোরখা পড়েও না। বেরুলে গায়র মাহরুম পুরুষের সাথে বেরুতে হবে। অসংখ্যবার দেখা যায়, নারীর উপর চাবুকের আক্রমণ।
ঠিক একইভাবে, নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না।
দেশে ভিন্নমত ও ভিন্নধর্ম থাকতে পারবে না।
সবাই মসজিদে যেতে বাধ্য, সবাই পূর্ণ দাঁড়ি রাখতে বাধ্য। আমাদের রাসূল দ. কখনো দাঁড়ি রাখতে বাধ্য করেছেন কি? বা তাঁরা সম্মানিত সাহাবা রা. গণ?
এই ফিরিস্তি শেষ হবার নয়। প্রকাশিত। সবার জন্য উন্মুক্ত।
২০০১। নাইন ইলেভেন। এরপর আক্রমণের প্রস্তুতি কাবুলে। আফগানিস্তানে নেমে এল নরক। লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ শিশু মৃত। পুরো একটা জাতি ফিরে গেল প্রস্তরযুগে, ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অত্যাধুনিক আক্রমণে একটা দেশ পরিণত হল পাথর আর বালির সাথে হাড় মিশ্রিত নরকে।
অবাক হয়ে দেখি, এর প্রতিবাদ যতটা না, তারচে বেশি অন্য কথা। এর প্রতিবাদ হওয়াই ছিল সমীচীন। কিন্তু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুকে অকল্পনীয় শ্লোগান,
আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।
এই ঘোষণা কি একদিন হয়েছিল?
একবার?
এই ঘোষণা যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা কি ঢাকার বুকে, বাঙালি ছিলেন না?
এই ঘোষণা যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা কি আজো বাংলাদেশের মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমামের ছদ্মবেশে লুকিয়ে নেই? কোথায় গেছেন তাঁরা?
আমরা অপেক্ষায়, ৬ এপ্রিলের লংমার্চের জন্য।
ষষ্ঠ ভাগ: ইতিহাসের খেরোখাতা
Maulvi Rashid Ahmad Gangohi states: "The followers of Mohammad Ibne Abdul Wahab are called “Wahabis”, their beliefs were excellent."(FATAWA-E-RASHIDJA - Vol. 1- Page 111) সৌদি অদ্ভুতুড়ে আদর্শ, ওহাবী আদর্শ হল আল ক্বায়িদাহ্ সহ অন্যান্য নেটওয়ার্কের মূল উপজীব্য বিষয়। মূলধারার মিলিট্যান্ট সেক্ট সালাফী বা আহলে হাদিস বা ওহাবী (তিনটা একই নাম) এর সাথে সবচে বেশি সাযূয্য রয়েছে জামাতে ইসলামীর। কিন্তু জামাতের সাথে এবং অন্যান্য আল কায়েদা ধরনের সংগঠনের সাথে কওমীর এই সম্পৃক্ততা আজকালকার নয়। কওমী ধারার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী, যিঁনি তাবলীগ জামাত নামক ফেইজেরও প্রতিষ্ঠাতা, তাঁর কথাতেই বিষয়টা স্পষ্ট।
এই সূক্ষ্ণ যোগসূত্রেই আল কায়েদা তথা সৌদিপন্থী (ওহাবী) মিলিট্যান্ট দলগুলোর সাথে (আল কায়েদা ও সকল মৌলিক মিলিট্যান্ট গ্রুপের পাশাপাশি সেমি-মিলিট্যান্ট গ্রুপ তথা হিজবুত তাহরীর, মুসলিম ব্রাদারহুড, জামাতে ইসলামী,) কওমী/তাবলিগ/ দেওবন্দী ঘরানার মিলিট্যান্ট দলগুলোর (তালেবান/ হাক্কানী নেটওয়ার্ক/ সিপাহ এ সাহাবা রা.) সাযূয্য বিদ্যমান যা প্রয়োজনমাত্র মূলধারার কওমী নেতৃত্ব ও চেইন অভ কমান্ডের সহযোগে প্রকাশিত হয়।
এই ভাগটা বিশাল আলোচনার দাবী রাখে বলেই একেবারে সংক্ষিপ্ত রাখা হল।
কার্যকারণে তালিবানের সাথে আল কায়িদার সম্পর্ক সবচে ঘনিষ্ঠ।
আর এখন প্রকাশ্যদৃষ্ট যে, জামাতের সঙ্কটে পথে 'হেফাজতে ইসলাম' নামে কওমী হাইকমান্ডের উপস্থিতি বারবার ইতিহাসের দিকে আঙুল তোলে।
সপ্তম ভাগ: শুধু তালেবান নয়
আলোচনার স্বার্থে শুধুই ভ্রমণের সংযোগায়ন ইউকিপিডিয়ার সাথে- সিপাহ এ সাহাবা (রা.)। মহান রাসূল দ.'র সঙ্গীগণের সিপাহি নাম নিয়ে উপমহাদেশের আরেক কওমীসৃষ্ট আতঙ্ক। এবং হাক্কানী নেটওয়ার্ক। জামিয়া হাক্কানিয়ার সাথে যার ওতপ্রোত সম্পর্ক। এই উভয় সংঘই বাংলাদেশের সাথে যুক্ত, তা আমরা ভালমতই জানি।
জানি, বছর কয়েক আগে এই পাঁচই এপ্রিল বলা নেই, কওয়া নেই, সারা পৃথিবীতে সবচে বড় দেওবন্দী-কওমী মাদ্রাসাগুলোর অন্যতম এবং বাংলাদেশে প্রধান সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদ্রাসা বা আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম থেকে হরতাল ডাকা হয়েছিল।
তখন হরতাল করতে গিয়ে পথে বসে পড়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা কুরআন নিয়ে। এবং তখন খুব অবাক করে যে বিষয় তা হল, তারা ভয়ানক দক্ষতার সাথে মার্শাল আর্ট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। হতভম্ভ হয়ে পড়ে পুলিশ।
ঠিক কোন সময়ে সেই হরতাল ছিল, আমরা গোল্ডফিশ মেমোরি, ভুলেই গেছি। ভুলে গেছি তার কার্যকারণও।
অষ্টম ভাগ: বাংলাদেশ
আমরা ভুলে যাই, ইমাম ওইক্য পরিষদ, ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি, খেলাফত আন্দোলন, তৌহিদি জনতা, ঈমান সংরক্ষণ, ইত্যাদি নাম নিয়ে এই এক ও অভিন্ন চতুর পক্ষ হাজারো বার বাংলাদেশের মাটিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে সশস্ত্র আক্রমণ করে নানা ধরনের ভিন্নমতের উপরে।
আমরা ভুলে যাই,
বাংলাদেশে এই কওমীর প্রধান ছিলেন জনাব হাফেজ্জী হুজুর, যিনি আর তাঁর নেতৃত্বে 'দুষ্কৃতী' তথা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ও পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার জন্য মিছিল করেন। সেই ছবি ক্যাপশন সহ ছাপা হয় একাত্তরের দালাল পত্রিকায়। আমরা যেহেতু ভুলেই যাই, তাই তাঁর নামে হয় রাজপথের নামকরণ।
ভুলে যাই, জনাব হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা গ্রেনেড হামলার সাথে নানাদিকে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যিঁনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সরকার গঠন করেছিলেন।
ভুলে যেতে চাই শফী সাহেবের হাটহাজারি মাদ্রাসার জন্য অনুদান গ্রহণের খতিয়ানগুলোর কথা। মাদ্রাসায় পুলিশ প্রবেশের চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হবার কথা। মাদ্রাসার ভিতরে থাকা অজস্র অস্ত্রের গুলতানি।
আমরা রানওয়ে সিনেমাকে স্রেফ সিনেমা মনে করি। মাটির ময়নাকে মনে করি মাটি দিয়ে বানানো পুতুল এক। গালগল্প।
তাই বাংলাদেশের দুর্গম চরাঞ্চল, সীমান্তবর্তী দুর্ভেদ্য এলাকা, নানা প্রান্তে নানা আলিমের নামে তৈরি হওয়া মাদ্রাসা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে হওয়া শত শত ট্রেনিঙের কথা আমাদের ভুলতেই হবে। সামনে আরো হাজারো সমস্যা রয়েছে চোখের সামনে দৃশ্যমান।
এবং, যেহেতু এই 'হেফাজতে ইসলাম' এর মতই তাদের ব্যানার থাকে ভিন্ন ভিন্ন, আড়ালে রয়ে যায় সব সময় কওমী হাই কমান্ডের লিগ্যাসি।
আর, হায় সেলুকাস, আমরা খুঁজে বেড়াই, কারা এই হেফাজতে ইসলাম?
প্রস্তর নগরী কান্দাহার। বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা আর অগুণতি লাশ হয়ে ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই,
জানি অত্যন্ত ব্যস্ত।
তার পরও, মেহেরবানী করে যদি পড়তেন!
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০৯
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। শিরোনাম টা স্বার্থক হয়েছে। আসলেই হেফাজতে জামাতের অনু পরমানু ফুটে উঠেছে। বুঝতে পারলাম, কেনো এরা জামাত হেফাজতে উঠেপড়ে লেগেছে। নিজেদের অস্তিত্বের জন্য জামাত হেফাজত করা এদের ফরজ হয়ে গেছে।
আজকে দারুন সব পোষ্ট পেলাম। ফিউশন ফাইভের পোষ্টের পর আপনার পোষ্ট। ভেরি গুড লিসানি ভাই। প্রাউড অফ ইউ !
+++++ এবং প্রিয়তে !
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই নির্লজ্জের মত আর পারলাম না। রাত এগারোটা। আর পারলাম না।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪
নষ্ট শয়তান বলেছেন: নিজের জ্ঞান কে অপজ্ঞানের সাথে সংমিশ্রন না করাই ঈমান।
বেশী বললাম না আপনি জ্ঞানী মানূষ।
মানূষ কে বিভ্রান্ত করবেন না।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আল্লাহ রক্ষা করুক! আমিতো বিভ্রান্তি থেকে মুক্তির পথের জন্য কষ্ট করছি। অনেক ভাল থাকুন ভাই।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২২
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: দু:খজনক হলো প্রতিটা পোষ্টে সেম সিন্ডিকেট অ্যাটাক করছে। তাই বলে কি কলম থেমে থাকবে? ক্যারি অন লিসানি ভাই।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কী করব, যে রাজনৈতিক বিশ্বাসেরই হোক না কেন, সাধারণ বিহেভিং ব্লগারদের আপন লাগে। আর যাই হোক, তাঁরা বাংলাদেশ বিরোধীও নন, ধর্মবিদ্বেষীও নন।
কিন্তু বিষয়টা টেনে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও।
দীর্ঘশ্বাস।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২২
দিশার বলেছেন: দারুন লেখা ভাইয়া। আপনার কি বাংলা লিক্স এর অডিও গুলা শোনা হয়েছে? না শুনলে শুনে নিন, আপনার লেখার সাথে ১০০% একমত
Click This Link
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অডিওগুলো এইটিন প্লাস। আমার বয়স এখনো এ্ইটিন হয়নাই মনে হয়। তাই শুনিনি।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩০
বীষফোঁড়া বলেছেন: ekdom sotti kotha. awamiliger uchit chilo kono bhavei eder prostroy na deo. bnp to doshi kintu she sathe awamileague o doshi.
amra abal jonota ki chai nijeo bojina. je kono dormio rajniti karap eita jamat kinba bjp jaitai hoq.
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে রাজনৈতিক দলগুলো বা তাদের কাজ আমাদের মত সাধারণ মানুষরা কখনোই বুঝে উঠতে পারে না।
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫
দি সুফি বলেছেন: দারুল উলূম দেওবন্দও জামাত ইসলামের মাধ্যমে টাকা পায়???
হোয়াটেভার ইট্ হ্যাপেনস্, দাবি এখন দুইটাঃ
১) ইসলাম বিদ্বেষীদের কঠোর বিচার
এবং
২) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
আরেকটা কামনাঃ দেশে শান্তি ফিরে আসুক!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার তিনটা দাবীই মানুষের প্রাণের কথা।
দেশের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছি।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
ব্লগার রানা বলেছেন: কওমী মাদ্রাসা আলিয়া মাদ্রাসা হতে ভিন্ন। সম্পূর্ণ রূপেই। জামাত এর কানেকশন আমি জানতাম আলিয়া মাদ্রাসা এর সাথে। একটা ব্যাপার বুঝতে পারছিনা, কওমীদের সাথে তবলীগ এর সংযোগ আছে, বা একই প্রতিষ্ঠান। আর জামাতিদের সাথে তবলিগ এর সাপে-নেউলে সম্পর্ক। কওমী মাদ্রাসার লোকেরাও জামাতিদের দেখতে পারেনা। এই ব্লগেইতো জামাতিরা তবলীগ এর নামে কত অসত্য কথা বলেছে।
তারপরও কেন এই পোস্টে হেফাজতে ইসলাম কওমী ঘরানার আর কওমীরা জামাতীদের রক্ষায় নেমেছে বলে বলা হচ্ছে???????
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রানাভাই পোস্টের লেখায় স্পষ্ট না হলে লিংকগুলো দেখতে পারেন।
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
দিশার বলেছেন: @রানা, সবাই প্লিজ ই লিংক থেকে জামাত, হেপাজত এর আন্দোলন কিভাবে চালাচ্ছে শুনে আসুন।
https://soundcloud.com/bristi-balika/sets/hib
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ও! দিশার ভাই, আমি মনে করেছিলাম বিনোদন লিক্স। ওইসব এড়িয়ে যাই তো, কখনো শুনিনি।
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
দিশার বলেছেন: @লিসনি, ভাই আপনার আমার সৃষ্টিকরতা নিয়ে মতের অমিল আছে। কিন্তু প্লিজ রাজাকার জামাত শিবির নির্মূল য়ে আসেন আমরা সবাই একসাথে কাজ করি। আপনার আমার, ধার্মিক , ওধার্মিক, হিন্দু, মুসলমান, বোদ্ধ ক্রিষ্টান সবার কমন শত্রু ওহাবী জামাত .
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিশ্বাস করেন, তারা ওহাবী কিনা, তাতেও আমার কিছু যায় আসে না।
আমরা আর সব ধর্মাবলম্বীদের মতই তাদের সাথে ভদ্র ব্যবহার করি। আলাপ করি। সম্পর্ক করি বন্ধুত্বের।
বিষয়টা, বাংলা মায়ের সাথে জড়িত।
স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত।
আর লড়াই বলতে তো ছাই একটু কিবোর্ড টেপাটেপি। তাও যদি যৌক্তিক কথায়, প্রমাণের পাহাড়ের তলায় ছাইচাপা পড়ে কী আর করা...
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: কওমী মাদ্রাসা ও তাবলীগ দুইটা এন্টি জামাত। আলীয়া মাদ্রাসাগুলো জামাতের আস্তানা।
কওমী ও তাবলীগের মধ্যে মধুর সম্পর্ক।
এই দুইটা যদি আপনি জামাতি মনে করেন বাংলাদেশে এন্টি জামাতি দল কোনটা?
নাকি সব ইসলামী দলই জামাত পন্থী?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমরা কিছুই মনে করি না।
আমরা দেখি।
দেখতে দেখতে শিখি।
কওমী জামাত- এই সরল সমীকরণ তো এখানে নেই।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৯
দিশার বলেছেন: @ নষ্ট ছেলে
ভাই আপনি শুনেছেন ক্লিপ গুলা ? কি মানিপুলাসন করবে? শুনে দেখেন
https://soundcloud.com/bristi-balika/sets/hib
প্লিজ শেয়ার করেন, পুরা টা শুনেন, তারপর সত্যবাদী হয়ে থাকলে বলেন, জামাত হেপাজত না কি ইসলাম হেপাজত হচ্ছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লক্ষণ দেখলেই তো সব বোঝার কথা। এখানে লক্ষণের বাইরে রয়েছে বিস্তর দৃষ্টান্ত। এর পরও যদি প্রমাণ আকারে অডিও থেকে থাকে তাহলে আর কী বলা যায়?
অনেক অন্যরকম আজকে আমাদের চারপাশ।
১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১২
দিশার বলেছেন: @লিসনি , ভাই সত্যি আমরা কি বোর্ড যুদ্ধ করছি, কিন্তু বিসসাস করেন কাজ হয়। অন্তত একটা মানুষ এর কাছে যদি রাজাকার জামাত শিবির আসল চেহারা তুলে ধরতে পারি, বাংলা মায়ের একটা সন্তান বাড়বে, পাকি খানকির একটা কমবে . এটা কম বলছেন ?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কম বলার সাধ্য আমার নাই। মন বিষিয়ে যাচ্ছে। শুভ'র রঙ ফিকে হয়ে আসে কেন এত?
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২২
দিশার বলেছেন: ভাই হতাশ হয়েন না . রাজাকারদের বিরুদ্ধে, ধর্ম বেবসার বিরুদ্ধে কাজ চালিয়ে যান। নিজের মায়ের চেয় বড় দেশ মাতা . আমার মা মরলে আমি কাদব, কষ্ট পাব। দেশ মারা গেলে ? সোনার বাংলা কে যে গোষ্টি একটানে পাকিস্তান, আফগানিস্থান এর কাতারে নামায়ে আনতে চায় তাদের ক্ষমা নাই .
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দেশের কিছু হবে না। হতে পারে না। এত সহজ নয়।
আমরা আছি, সতেজ মানুষরা আছি। যারা মাথা নোয়ালে শুধু সত্যের সামনে, শুধু প্রভুর সামনে, আর কারো নয়।
ধন্যবাদ ভাই।
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩০
মুহসিন বলেছেন: আমার জানামতে কওমীরা জামাতবিরোধী। সুতরাং এইসব অতি পরোক্ষ কোন লিংক খুঁজে কোন লাভ হবে মনে হচ্ছেনা! বরং আমরা তাদের পরামর্শ দিতে পারি যাতে কোন অশান্তিপূর্ণ বা হানাহানিমূলক কাজ না করে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কিছু খুজতে হয়নি। এম্নি চোখের সামনে ধরা দিয়েছে। শুধু গোছানো। মতামত জেনে ভাল লাগল।
১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮
নষ্ট ছেলে বলেছেন: @দিশার,
এই ধরনের ফোনালাপ বানানো তেমন কঠিন কোন কাম না। এমন কি ভয়েস ক্লোনিং সফটওয়্যার দ্বারা একজনের কন্ঠ পর্যন্ত নকল করা যায়।
আল্লামা শফি কে তিনি জামাতের কেমন শত্রু এটা বাংলাদেশের সব আলেমই জানে। আর তাবলীগের লোকও আজকে লং মার্চে যোগ দিচ্ছে। যারা তাবলীগ করে তাদের আল্লাম শফি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যুক্ত ফরিদ উদ্দিন মাসউদের সাহস নেই আল্লাম শফির বিরুদ্ধে জামাতি অভিযোগ আনার। মওদুদীবাদের সাথে কওমী ও তাবলীগের দ্বন্দ আজকে থেকে না, অনেক আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ করেন ভাল কথা তাই বলে সব ক্ষেত্রে দালালী ভাল না। ভন্ড জামাত কিংবা তাদের কোন অঙ্গসংস্থানের ক্ষমতা নাই সারা বাংলাদেশ থেকে এত মানুষ জমায়েত করার।
আজকের লাং মার্চে বাধা না দিলে জামাত কোন সুবিধা আদায় করতে পারত না। আওয়ামী লীগের ভুলের সুযোগে জামাত বিরাট সুবিধা আদায় করে নিল। বামপন্থীদের বুদ্ধিতে আওয়ামী লীগ চললে ধ্বংস অনিবার্য।
@লেখক,
কিছু মনে করেন না বলে এড়িয়ে গেলেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হয়ত আপনার আমার সম্পর্কের কারণেই...
যাক, মন্তব্যটা অন্তত পুরোটা দেখেছেন দেখে ভাল লাগল। ভাল থাকুন ভাই।
১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
নষ্ট ছেলে বলেছেন: @দিশার,
আপনার প্রোফাইলের ছবিটা একটা ভুল বার্তা দিচ্ছে। যেই সৈন্যটি লুঙ্গি খুলে চেক করছে সে ভারতী সৈন্য। ছাগুদের হাসির পাত্র হওয়ার চেয়ে ছবিটি সরিয়ে ফেলা বেটার।
ছবিটি তুলেছেন ভারতী ফটোগ্রাফার কিশোর পারেক।
নিচের লিংক থেকে পিডিফটি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। ছবিটির নিচে ক্যাপশন দেওয়া আছে।
Bangladesh A Brutal Birth
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একাত্তর ফিরে ফিরে আসে প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে।
১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৭
আল-মুনতাজার বলেছেন: কিন্তু তাঁরা জানেন না, কোন জাল বুনে যাচ্ছে সবার অলক্ষ্যে। গড়ে তুলছে ভয়ানক সংঘাতের পথ >
> তাদেরকে যত আবাল মনে করছে তারা তত আবাল না,এদেশের মুসলমানেরা জানে কিভাবে শেখ আওয়ামীলীগের হাফ মালাউনপানা কবর দিতে হয়।শেখ আওয়ামী লীগ চানক্য আওয়ামী লীগ নিজেই খুন করে বিএনপি-জামাত-শিবির গায়ে চাপিয়ে দিচ্ছে-এ মহাসত্য এদেশের মানুষ জানে।সুতিরাং মুসলাম্নেরা তাদের নিজেদের স্বার্থেই শেখ আওয়ামী হাফ মালাউনদের মেহমানদারী করবে - এর জন্য প্রুস্তুত থাকুন।
পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ? এত শক্তি কি আসলেই সম্ভব? আর এই বিশাল বিস্তৃতির শক্তিটা কোথা থেকে এল?>
> এদেশের ১৬ কোটি মুসলমান এই লং মার্চের সমর্থক,শেখ আওয়ামী হাফ মালাউন জারজেরা রেল,বাস লঞ্চ বন্দ্ব না করলে দেখতে পারতেন জনজোয়ার কাকে বলে।
জাতীয় পতাকায় আগুন, বিভিন্ন অগুণতি শহীদ মিনারে ভাঙচুর >
> জাতীয় পতাকায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে?মন্দির গুলোকে কারা ভাং চুর চালিয়েছে?বগুড়ায় শহীদ মিনার ভাঙ্গতে যেয়ে কে ধরা পড়েছে?আপনি যদি আবাল বা অন্দ্ব আওয়ামী হাফ মালাউন না হয়ে থাকেন ,তবে বলবো এদেশের মানুষ সবাই জানে এগুলো শেখ আওয়ামী হাফ মালাউনদের করা চানক্য হারামীপানা,যা কিনা বিএনপি-জামাতের ঘাড়ে খয়রাতী মিডিয়া দিয়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।আশা করি আপনার মিথ্যার বেশাতীর কিছু উত্তর পেয়ে গেছেন।আপনার জবাবের অপ্রেক্ষায় রইলাম।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমার ব্লগে ঢোকার আগে ভাষা শিক্ষা করতে হয়।
নাহলে আমি তারে ভাষা শিখাই।
আপনার জবাবের প্রতীক্ষায় রইলাম।
১৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৮
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: আমি তাবলীগ জামাত কে জামাতে ইসলামির সাথে এক করে ফেলার পক্ষে নই।
তবে "হেফাজতে ইসলামের" ইসলামের দাবি গুল ১০০% তালেবানি ভাব ধারার।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমিতো এক করে ফেলি নাই! যোগাযোগের সূক্ষ্ণতাটা তুলে ধরেছি শুধু। তারা এক না এটাতো সবাই জানে। কিন্তু এই পারস্পরিক সহযোগিতা চিরকালের।
তালেবানি ভাবধারা- আলবত।
ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত।
২০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১০
দিশার বলেছেন: ভাই সাইদীর বহু ওয়াজ শুনসি সরাসরি। ক্লোন করা যায় টাইপ এর আবুল তাবুল কথা না বলে। ভালো করে শুনে দেখেন কি বলসে। আজব কাহিনী! বিচারপতির skype সংলাপ আসল বলতে পারেন, আর এমন তরতাজা ফোন টেপ করা জিনিস নকল বলে উড়িয়ে দেন ? বুকে হাত দিয়ে বলেন, এই হেপাজত এর পিছনে জামাত টাকা আর লোক দিচ্ছে না ?
এমন হুবহু ক্লোন করা গেলে আর গায়ক গায়িকারে লক্ষ লক্ষ মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে গান না গাইয়ে . "ক্লোন" করে গান ছেড়ে দিত না বাজারে? যেখানে আপনাদের প্রানের প্রাণ মাহমুদুর রহমান বলতেসে যে, সরকার ফোন টেপ করতেসে, সেখানে যুক্তি দেন "ক্লোন" এর ?
করে হেপাজত করতেসেন? রাজাকার?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সত্য এবঙ মিথ্যার পার্থক্য তো সুস্পষ্ট।
সত্য দিনের আলোর মত দৃশ্যমান,
মিথ্যাকে রাতের আঁধারে টর্চ জ্বেলেও খুজে পাওয়া যায় না।
২১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১১
মারুফ ফািহম বলেছেন: পোষ্টের সাথে সম্পূর্ন একমত, তবে তার আগে লেখককে মানতে হবে তিনি ছাড়া বাকী সব বোকে এবং মূর্খ
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি বোকাও না,
মূর্খও না।
আপনার ব্লগ আমি হাড়ে হাড়ে চিনি।
এড়িয়ে যান আমাকে, এতেই কল্যাণ।
২২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
দিশার বলেছেন: @আল মুনতাজার , ভাই কওমী বা জামাত বা ওহাবী, এরা কেও তো আপনার "শিয়া" মতবাদ কে "ইসলাম" মানে না . ওয়াজ টোয়াজ কিসু শোনা আসে? না শুনলে শুনে দেইখেন, যাদের সাফাই গাইলেন, তারা মনে করে আপনেও মুরতাদ, গোমরাহ বা বিভ্রান্ত ..
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি ইচ্ছা করেই শিয়া বিষয়ে কিছু বলি নাই।
তাহলে ধর্ম টানা হত।
ইরানের আজকাল একটু তেল হয়েছে তো,
তাই খরচ করার মত পয়সা হয়েছে,
পয়সা খরচ করে তারা সাংবাদিক আর ব্লগার রাখা শুরু করেছে,
এরা আবার অ্যাক্টিভিটি করে শিয়া নাম রেখে, ইরানের পতাকা বুকে রেখে।
একবার ভাবেন তো,
আমেরিকার পতাকা বা ভারত বা পাকিস্তান বা চীন বা রাশিয়ার পতাকা নিয়ে বাংলা ভাষায় কেউ ছাপ রেখে যায়!
শিয়া নিয়ে আবারো, আই ডোন্ট গিভ আ শিট।
যার যার ধর্মবিশ্বাস তার তার।
২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
এস বাসার বলেছেন: বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বানানোই এই ভন্ডদের একমাট্র উদ্দেশ্য।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই বিষয় কিন্তু তাই। একথা তাদের মুখে বারবার নানাভাবে উচ্চারিত হয়। এই দায় তারা এড়াতে পারে না।
ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করুন।
২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
িরেজায়ান আহেমদ তুিহন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এমন একটা প্রামাণ্য পোস্ট এর জন্য।
একটা প্রশ্ন। হাফেজ্জি হুজুরটা কে? আমাদের লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় আছে এক হাফেজ্জি হুজুর। এই কি সে ই?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তুহিন ভাই তাঁর গ্রামের বাড়ির বিষয়টা জানি না। তবে হাফেজ্জী হজুর হলেন বর্তমানের শফী সাহেবের মতই কওমীর সাবেক সর্বময় আদেশের অধিকারী।
২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: লিসানী ভাই, আপনার হাত দিয়ে যখন লিখেছেন গুরুত্বপুর্ণ তো অবশ্যই। তাছাড়া আপনার বিগত পোষ্টগুলোতেও আপনার লেখনির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে মন্তব্যের যৌক্তিক প্রত্যুত্তর দেখেই বোঝা যায় আপনার লেখনির বিষয়ে একটা পরিষ্কার স্বচ্ছ ধারণা রেখেই আপনি আপনার বিশ্লেষণ করে থাকেন।
গত দুইদিন ধরে আল্লামা শাফিকে রাজাকার প্রমাণের চেষ্টার বিরোধীতা করে আসছিলাম। কারণ আমার ভিউ ছিল এভাবে সকল ইসলামপন্থী দলগুলোকে ঢালাও ভাবে রাজাকার পন্থী বানিয়ে আসলে জামাত শিবিরের হাতকেই শক্তিশালী করা হয়। পরষ্পর বিরোধী দলগুলোতে ঐক্য আসে। তবে আপনার লেখনি নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করলো।
শুধু একটি পয়েন্টে বিভ্রান্ত, ইনষ্টিটিউশনগুলোর অবস্থান দেখা যাচ্ছে সার বিশ্বব্যাপি এমনকি যেসব দেশ তালিবান আলকায়দার হুমকির মুখে আছে বলে দাবী করে তাদের দেশেও এদের প্রকাশ্য কার্যক্রম রয়েছে। তাহলে তারা এসব ইনষ্টিটিটিউশনের বিরুদ্ধে কি কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে?
যাইহোক, আমার ধারণা সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে পোষ্টটি অনেক গুরুত্বপুর্ণ। সে কারণে ফ্লাডিং বা অনভিপ্রেত ক্যাচালের মধ্যমে পোষ্টের মোটিভ চেঞ্জ না হয়ে একটি যৌক্তিক এবং পোষ্ট রিলেটেড আলোচনার মাঝেই যাতে থাকে সেটা লক্ষ্য রাখার জন্য অনুরোধ জানালাম।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ জানালেও অনেক কম জানানো হয়, তাই ধন্যবাদ জানালাম না
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই ধন্যবাদ আন্তরিকভাবে, অনেক গাঠনিক মন্তব্য আপনার কাছ থেকে সব সময় পাই।
আসলে কাল রাতে বা আগের দিনও পোস্ট বা এমনকি মন্তব্য লেখারও শরীরিক-মানসিক শক্তি ছিল না। এমন ক্ষিপ্ত ও বিক্ষিপ্ত ছিলাম।
কোনক্রমে যৌক্তিকভাবে পোস্টটা দাঁড় করালাম। তারপর কিছু সহব্লগার ভাই এমন একটা প্রশ্ন তুললেন, যা শুনে থ হয়ে গেলাম।
এই পোস্ট তো কওমী=জামাতি প্রমাণ করার পোস্ট নয়।
পোস্ট হল, কওমী এর সাথে জামাতের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সারা পৃথিবীতে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ইসলামকে আরো হেয় প্রতিপণ্ন করতে সহায়তা করা একটা শক্তির বিষয়ে পোস্ট।
কয়েকজন সহব্লগার ভুলে গেছেন,
এক আদর্শ এবং একসাথে লড়া এক কথা নয়।
আমরা প্রমাণ করতে চাইছি,
হেফাজতে ইসলামের নাম দিয়ে মূলত কওমীরা পিঠ বাঁচাতে চাইছে শুধুই জামাত শিবিরের।
এবং এখানে অর্থের যোগাযোগ আছে, আছে ইতিহাসের ভিত্তিতে সুদূর পারস্পরিক সহায়তার মহাকাব্য।
অথচ মোটাদাগের বিষয়টাকে খুব হালকাভাবে নিয়ে আজব প্রশ্ন তুলে আনলেন তারা। এটাই হবার ছিল। কারণ যুক্তি ও প্রমাণ যখন হেরে যায় তখন অপ্রাসঙ্গিক কথাই একমাত্র হাতিয়ার হয়।
আরেকটা কারণ হতে পারে, তাঁরা শুধুই ট্যাগটা ও টাইটেল দেখেছেন।
মূল পোস্ট পড়া থাকলে এমন কথা বলতে পারতেন না।
টু বি অনেস্ট, শফী সাহেব রাজাকার কিনা, তা জানি না।
এই না জানার মধ্যে দোষের কিছু নেই। আমরা অনেকের রাজাকারির কথাই জানি না।
তবে তিনি রাজাকার হোন বা না হোন, তাঁর বর্তমান পদক্ষেপ এবং এইখানে লেখা সার্বিক আলোচনা কিন্তু একটা মাত্র অনুসিদ্ধান্তে নিয়ে আসে।
হেফাজতে ইসলাম জামাতে ইসলাম নয়, কিনতু হেফাজতে ইসলাম প্রকৃত অর্থে হেফাজতে জামাতে ইসলাম (যদিও তারা জামাতের বিরোধী)।
অর্থ কথা বলে। প্রাচীণ সম্পর্ক নতুন সম্পর্ককে উজ্জীবিত করে।
আসলে কওমীরা ঠিক জামাতের মত নয়।
লক্ষ্য করুন, জামাতের সবাই ব্রেনওয়াশড। এন্টি বাংলাদেশ। এন্টি স্বাধীনতা এবং তাদের সবাই কঠিনভাবে যুদ্ধ-মনোভাবের।
আমি যতটুকু জানি, কওমীদের বেলায় এর উল্টো হয়।
তালেবান-লস্কর ই তাইয়্যিবা- সিপাহে সাহাবা রা.- জয়শ ই মুহাম্মাদ দ.- হাক্কানী নেটওয়ার্ক এরা হল এই আদর্শেরই পূর্ণ সামরিক রূপ।
কিন্তু এই আদর্শর সবাই আবার তার খোঁজও জানে না, অপজিং টু জামাতিজম।
সারা পৃথিবীতে তাদের ছড়িয়ে থাকা বলতে আমরা যা বুঝছি, তা কিন্তু অত ভয়ানক নয়। এই শক্তির মূল বিচরণক্ষেত্র আফগান থেকে শুরু করে বাংলা পর্যন্ত অঞ্চল।
বহির্বিশ্বে এদের শক্তি অত্যন্ত ম্রিয়মান।
কোনদিনই খুব বেশি শক্তিশালী ছিল না সাব কন্টিনেন্টের বাইরে।
তবে তাতে উনিশ বিশ হচ্ছে না। আশার কথা মাত্র একটা, এদের নেতৃত্ব এবং বিশাল একটা অংশ মিলিট্যান্ট, বাকীরা মিলিট্যান্ট নয় বলেই তাদের বিপদ ডাকার সম্ভাবনা কম।
ইন্সটিটিউশনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া মারাত্মক ঝুকির কাজ। তবে কিছু কিছু দেশ নিয়েছে।
যেমন, পাকিস্তানের লাল মসজিদ ইনসিডেন্ট।
আপনার মন্তব্যে হৃদয় প্রশান্ত হল। বিশ্বাস করেন, অন্তরের কথা। কারণ, এরপর আমি প্রতিটা মন্তব্যের যৌক্তিক জবাব দেয়া শুরু করব।
২৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আপাতদৃষ্টিতে কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক হক্বানী আলেমগন এন্টি-জামাত, ধর্মের কিছু ব্যাখ্যা প্রশ্নে । কিন্তু ৯৮-৯৯ সালের দিকে গড়ে উঠা আওয়ামী বিরোধী চার দলীয় ঐক্যজোট হওয়ার পরেই এই দুই গ্রুপের মাঝে সমঝোতা বিদ্যমান, ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নে । গত ১৫ বছরে এই সমঝোতা আরো ঘনিষ্ট হয়েছে, প্রমান আজকের হেফাজত ।
তাই হেফাজত ইসলামী জামাত বিরোধী, এই দাবী আর ধোপে টিকছেনা । ক্ষমতার প্রশ্নে ঘনিষ্ট সমঝোতার পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তাদের আরো কাছাকাছি নিয়ে আসে । আমার দেশ পত্রিকার মধ্যস্থতায় জামাত আর সাকার ইন্টারেস্টে একটা বিশাল লেনদেন হয় । আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা যে, হাটাজারী-রাউজান মুলত সাকা'র প্রভাবাধীন এলাকা যা জামাত আর হেফাজতকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসছে ।
তাই এই পুরো প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপের বিভিন্ন ইন্টারেস্ট জড়িত । তবে মুল ইন্টারেস্ট সরকার পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া, তাহলে যুদ্ধপরাধের বিচার সহ বাকী ইস্যুগুলোরও সমাধান হয়ে যাবে ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ৯৮-৯৯ সালের দিকে গড়ে উঠা আওয়ামী বিরোধী চার দলীয় ঐক্যজোট হওয়ার পরেই এই দুই গ্রুপের মাঝে সমঝোতা বিদ্যমান, ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নে । গত ১৫ বছরে এই সমঝোতা আরো ঘনিষ্ট হয়েছে, প্রমান আজকের হেফাজত ।
মামুন ভাই,
আপনার এই মন্তব্য ছাড়া পোস্ট অপূর্ণ থাকত।
.............................................................................
দেখুন,
এই হেফাজতে ইসলামের লোকজন কিন্তু সেই আধ শতাব্দী ধরে বলে আসছেন, হাজার হাজার বই লিখছেন এই কথা বলে-
*** জামাত ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে।
*** জামাত শতভাবে, শতপথে মহানবী দ.'র অবমাননা করে।
*** জামাত সকল নবী রাসূল আ. গণকে অন্যায়বিচারক (সম্রাট রূপে) বলে।
*** সকল নবী রাসূল আ. গণকে ভুল কাজকারী বলে।
*** জামাত শরিআহ'র আইন মানে না।
*** জামাত সাহাবা রা.গণের অবমাননা করে।
*** জামাত হাদীস অস্বীকার করে।
অথচ তাঁদের প্রদর্শিত ৫০ টিরও বেশি ধর্ম অবমাননার বিষয় নিয়ে তাঁরা এখন একটা কথাও বলছেন না। তাঁরা একবারও বলছেন না, নাস্তিকের সাথে সাথে জামাতেরও বিচার চাই, জামাতও মহানবী দ. কে অবমাননা করে আসছে যুগযুগ ধরে।
এই কি তাহলে সততা?
এই কি ইসলাম রক্ষার আন্দোলন?
২৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষনী আর সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর আপনাকে আবারো ধন্যবাদ পরিপূরক আলোচনার জন্য ভাই।
২৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সহমত ভাই, প্রথমবার আপানর পোস্ট পড়ার পর আপনার প্রতি যে সম্মান সৃস্ঠি হয়েছিল তা আজ বহুগুনে বেড়ে গেল....
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই দোয়া রাখবেন দেশটার জন্য। আল্লাহ যেন আমাদের মাতৃভূমিকে সবদিকদিয়ে রক্ষা করেন। আমরা যেন তোড়াবোড়া না হই, কান্দাহার-ব্যাবিলনে পরিণত না হই।
২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
পথহারা সৈকত বলেছেন: বাপুক বিনুদুন................বাপুক মজা পেলুম....
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাই? কেন ভাই?
৩০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পোস্ট পড়লাম পরে আসছি কিছু আলোচনা করবো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার আরো বিশ্লেষণী আলোচনার আশায় আছি। পরের মন্তব্যটা জলদি করেছিলেন, দেখেই বোঝা গেছে।
৩১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
দিশার বলেছেন: মামুন ৬৫৩ এর কমেন্ট এর সাথে একমত। ধন্যবাদ ভাই
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল লেগেছে, এই কথাটুকুতে পরিপূর্ণতা এসেছে।
এই পোস্টের কন্টেন্টের বিপরীতে যৌক্তিক প্রতিবাদ আশা করেছিলাম।
এখনো পাইনি দেখে অবাক হলাম।
৩২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: bisal intel report apne cia mossad e jog dile ora iraq e ostro kuje peto.
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কষ্ট করে পড়ুন না। পড়লে হয়ত কিছুটা যৌক্তিক দ্বিমত করতে পারতেন।
এখন আপনার যুক্তি হয়েছে এমন, যা-ই কস্, তুই খারাপ।
তোর কথা সত্য হউক, তাও তুই খারাপ।
৩৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: nije to kisu krte pare na abar jara allah rasuler osommankarider sastir dabite nemese tader birodhita kren mia .eto prosno hefajat k nie taile gonjgrn mnch er blog malik gon blog calanor tk pai koi teke sahbage birianir packet er jogan ase koi teke egula niao leken.deser manus eto bnka noy rate karb hastal dey manus jane
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিজে কী করতে পারে না ভ্রাতা?
আপনি এই পোস্টদাতার অতীত জানেন?
অন্য অতীত নয়, ব্লগীয় অতীত?
আল্লাহ লেখার সময় এ টা বড় হাতের হবে। রাসূল দ. লেখার সময় আর টা বড় হাতের হবে। রাসূল দ. শব্দের পর দরুদ লিখতে আামাদের কষ্ট হলে অন্তত দরুদের চিন্হ দিতে হবে।
আপনি কি খেয়াল করেছেন,
হেফাজতকে নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই পোস্টে।
আসলে প্রশ্নের ছলে সুস্পষ্ট এবং খুবই তীক্ষ্ণ উত্তর রয়েছে?
আসুন, এই উত্তরগুলোকে ভুল প্রমাণিত করি।
আমরা আলোচনা করি।
আমরা হয়ত কিছু ভুল জানি, আপনি শুদ্ধ করে দিবেন।
ব্লগ মালিকগণ ব্লগ চালানোর টাকা পায় কোত্থেকে এটা তো এ পোস্টের বিষয় ছিল না ভাই। আপনি লিখেন, আমরা জানব। আপনি জানলে সেটা জানানো আপনার দায়িত্ব।
শাহবাগে বিরানির প্যাকেট কোত্থেকে গেছে সেটা জানেন না?
সাধারণ মানুষ দিয়েছে। আমরা ছিলাম, দেখেছি।
মুক্তিযোদ্ধারা দিয়েছেন, দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা, আমরা ছিলাম, দেখেছি। নিজের চোখে দেখেছি লজ্জিত ভঙ্গিতে অর্থ এগিয়ে দিতে। মাত্র দু হাজার টাকা।
আবার আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও দিয়েছে।
শাহবাগে বিরানির প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছে,
পানির বোতল নিয়ে যাচ্ছে মাথায় করে,
চরম ধার্মিক মুসলমান-
এই ছবি কি দেখেননি???
মাথায় করে খাবার নিয়ে যাচ্ছে লম্বা দাঁড়ি, বয়স্ক মানুষ, কাঁচাপাকা।
গায়ে ধর্মীয় পোশাক। মুখে তৃপ্তির হাসি অথবা দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ছাপ।
ওই ছবিগুলোও কি কষ্ট করে আপনার জন্য এখন খুজে বের করতে হবে ভাই?
আপনার শেষ লাইনটা বুঝতে পারিনি।
.............................................................................
দেখুন,
এই হেফাজতে ইসলামের লোকজন কিন্তু সেই আধ শতাব্দী ধরে বলে আসছেন, হাজার হাজার বই লিখছেন এই কথা বলে-
*** জামাত ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে।
*** জামাত শতভাবে, শতপথে মহানবী দ.'র অবমাননা করে।
*** জামাত সকল নবী রাসূল আ. গণকে অন্যায়বিচারক (সম্রাট রূপে) বলে।
*** সকল নবী রাসূল আ. গণকে ভুল কাজকারী বলে।
*** জামাত শরিআহ'র আইন মানে না।
*** জামাত সাহাবা রা.গণের অবমাননা করে।
*** জামাত হাদীস অস্বীকার করে।
অথচ তাঁদের প্রদর্শিত ৫০ টিরও বেশি ধর্ম অবমাননার বিষয় নিয়ে তাঁরা এখন একটা কথাও বলছেন না। তাঁরা একবারও বলছেন না, নাস্তিকের সাথে সাথে জামাতেরও বিচার চাই, জামাতও মহানবী দ. কে অবমাননা করে আসছে যুগযুগ ধরে।
এই কি তাহলে সততা?
এই কি ইসলাম রক্ষার আন্দোলন?
৩৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হেফজতে ইসলাম যে হেফপাজতে জামাতে ইসলাম সেটা আগেও পরিষ্কর হয়েছিল এখন আরো হলো।
তবে এই মুহুর্তে সংবাদ পেলাম যে তারা মহাখালিতে গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করেছে।
তো গণজাগরণ মঞ্চ তো জামাতের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তাদের গাত্র দাহ যে কি কারণে সেটা তো আরো ক্লিয়ার হলো!
পোস্টে প্লাস এবং প্রিয়তে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাদের লক্ষ্যই গণজাগরণ।
খেয়াল করেননি, তারা শাহবাগ আন্দোলনকে বলছে কথিত আন্দোলন।
এরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকেও কি কথিত যুদ্ধ বলেছে?
কীভাবে জানব?
আর শাহবাগের আন্দোলনের নেতারা নাকি নাস্তিক।
তাই শাহবাগের আন্দোলনের কড়া শাস্তি চায় তারা।
কিন্তু আন্দোলনটা কী বিষয়ে,
সেটা নিয়ে টুঁ শব্দটিও করছেন না।
বিষয়টা এমন,
আমি শুনব না,
আমি দেখব না,
আমি বলব না।
এখন যে শুনবে এবং বলবে এবং দেখবে না, তাকে আপনি কিছুই বোঝাতে পারবেন না।
এবার এই পয়েন্টটা কিন্তু সবচে ইম্পর্টেন্ট।
৩৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
রাফা বলেছেন: যথাসময়ের পোস্ট।বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করে মাঝে মাঝে সাহস হারিয়ে ফেলি।আমরা কি পাকিস্তান অথবা আফগানিস্থাকে অনুসরন করা শুরু করে দিয়েছি ।পুরোটাই মনে হয় পয়সার খেলা চলছে।ঐ যে কথায় আছেনা কত পর্যন্ত খায়না।তার উপরে চলে গেলে গোগ্রাসে গিলে, বর্তমানে মনে হয় সেই খেলাটাই চলছে।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
ধন্যবাদ,লিসানী ভাই।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আর কিছু বলার নেই।
অর্থ, পুরনো বন্ধুত্ব সবই কাজে লাগে।
তিনি সব সময় সত্যের পক্ষে আছেন।
তিনিই তো সত্য।
তাই তাঁর সমর্থন আসবে সত্যের পক্ষেই।
হেফাজত সব দেখে চুপ করে আছে।
হেফাজত জামাতের বিরুদ্ধে কিছু বলবে না,
যদিও জামাত ৩০ লাখ খুনের দায়ে হয়ে থাকে।
কেন বলবে না?
হেফাজত যদি সত্যের জন্য নেমে থাকে, তাহলে বিচার চাওয়ার আন্দোলনকে কথিত বলছে কেন?
৩৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: ভাগ্যিস, মুক্তিযুদ্ধটা ৭১ সালেই হয়েছিলো.......
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ব্যথিত হৃদয়ে আংশিক মেনে নিলাম। তবে দেশটার মানুষ দেশটাকে ভালবাসে রে ভাই।
৩৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
বৃক্ষ বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন। পোষ্ট স্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এই কথাগুলো এতদিন বলিনি। এই এতদিন, হেফাজত কিন্তু আজ প্রায় দেড়মাস যাবত তান্ডব চালাচ্ছে অপপ্রচারের মাধ্যমে। বলিনি। কিন্তু এখন কোন্ শক্তি ঢাকার উপর ভেঙে পড়ল তা তো সবার জানার অধিকার আছে।
৩৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
মামুন হতভাগা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্ট টা আরও আগে আসলে অনেক ভাল হত।+++++
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মামুন ভাই, গত দেড়মাসে বিষয়টা নিয়ে তো কেউ লেখেননি। ভেবেছেন, এরা তো জামাত নয়।
আমাদের জন্য কাল হল এই চিন্তা-
এরা তো জামাত নয়।
৩৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
আপনার পোস্টটা পড়ে আতঙ্কে আছি।
হে আল্লাহ, এমন যেন না হয়। আমিন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শুধু সম্ভাব্যতার সমীকরণ।
ইরাকের মানুষ কি জানত, তাদের বুকে ইঙ্গ-মার্কিন হামলায় সব উল্টেপাল্টে যাবে?
আফগানিস্তানের মানুষ কি জানতো, তালেবান নাম নিয়ে আসা মানুষগুলো তাদের প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে?
পাকিস্তান কি জানতো, তাদের মূল মাথাব্যথা হবে তাদেরই হাতে গড়ে তোলা সামরিক শক্তিগুলো?
আমরা শুধু কামনা করতে পারি। প্রার্থনা করতে পারি। চেষ্টা করতে পারি এবং ভোরের প্রতীক্ষা করতে পারি ভাই।
৪০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০
শাদা-অন্ধকার বলেছেন: চমতকার েপাষট্।+++ অসাধারন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, হেফাজতে ইসলামের কাছে এই প্রশ্নগুলো ছিল,
এই হেফাজতে ইসলামের লোকজন কিন্তু সেই আধ শতাব্দী ধরে বলে আসছেন, হাজার হাজার বই লিখছেন এই কথা বলে-
*** জামাত ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে।
*** জামাত শতভাবে, শতপথে মহানবী দ.'র অবমাননা করে।
*** জামাত সকল নবী রাসূল আ. গণকে অন্যায়বিচারক (সম্রাট রূপে) বলে।
*** সকল নবী রাসূল আ. গণকে ভুল কাজকারী বলে।
*** জামাত শরিআহ'র আইন মানে না।
*** জামাত সাহাবা রা.গণের অবমাননা করে।
*** জামাত হাদীস অস্বীকার করে।
অথচ তাঁদের প্রদর্শিত ৫০ টিরও বেশি ধর্ম অবমাননার বিষয় নিয়ে তাঁরা এখন একটা কথাও বলছেন না। তাঁরা একবারও বলছেন না, নাস্তিকের সাথে সাথে জামাতেরও বিচার চাই, জামাতও মহানবী দ. কে অবমাননা করে আসছে যুগযুগ ধরে।
এই কি তাহলে সততা?
এই কি ইসলাম রক্ষার আন্দোলন?
৪১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ভালো পোষ্ট। এই পোষ্টটি স্টিকি হওয়ার যোগ্য ছিল।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই তথ্যগুলো জানা থাকলে আমরা অন্তত জানতে পারব এইটুকু যে,
* যারা হেফাজত আন্দোলন করছেন, তাঁরা কি শুধুই ইসলামপন্থী একটা দল, যাদের টাকা দিয়ে হাত করা হয়েছে?
* নাকি আড়ালে আরো কিছু ছিল?
৪২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
দন্ডিত বলেছেন: চমতকার পোস্ট।
এরকম একটা বিশ্লেষণের অপেক্ষায় ছিলাম।
ইটা রাইখ্যা গেলাম। বিরোধী যুক্তিগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল থাকুন ভাই।
বিরোধী যুক্তিগুলো অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এখনো শক্তিমত্তার বিরোধী যুক্তি পাচ্ছি না। এতই ক্ষীণ এবং অপ্রাসঙ্গিক আলাপ যে, সেখানে আর ব্যাখ্যায় যেতে হচ্ছে না।
যুক্তি মাত্র একটা, আমি এর বিরোধী। বিষয়টা এখন পর্যন্ত মন্তব্য তে এমনই।
৪৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
কাফের বলেছেন: অসাধারণ পোষ্টের জন্য স্যালুট বস
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তথ্যগুলো জানানো দরকার। কাজে লাগাতে পারেন ব্রাদার।
৪৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: বাকশালীদের উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া পাছা ঢাকার দায়িত্ব যদি আপনার উপর পড়ে, তবে আপনি ১০০/১০০ পেয়েছেন। আপনার লেখা গুলা যে খুবই সাবধানে মুসলমানদের মাঝে মতানৈক্য তৈরি করবে আর ফেতনা ছড়াবে, এতে আর আশ্চর্য কি।
কোথায় যেন পড়েছিলাম, শয়তান অতি উত্তম সুরতে মুমিনদেরকে ধোকা দেয়।
আল্লাহ হেফাজত করুন আমাদেরকে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি আমাকে ভদ্র ভাষায় গালি দিয়েছেন ভাই।
কিন্তু আমি তো অসহায়, কারণ গালিটা ভদ্র ভাষায় দিয়েছেন। কিছু বলতে পারছি না।
আপনি কি খেয়াল করেছেন যে,
পোস্টের মৌলিক বিষয়ে কিছুই বলেন নাই?
না ডিনায়াল, না এডমিট- কিছুই করেন নাই?
আপনার অভিযোগ গুলো তো শুনলাম। বলতে গেলে তো হাস্যকর হবে, না? বাকশালী বলতে যদি আপনি আওয়ামীলীগ বুঝিয়ে থাকেন, তো আমি আওয়ামীলীগের কে?
আর যদি বাকশালী বলতে শাহবাগের আন্দোলনকারী বুঝিয়ে থাকেন (এটা আপনার ইচ্ছা আপনি কী বুঝিয়েছেন, সর্ব্বোচ্চ তিনটার যে কোন একটা বোঝাতে পারেন, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমরা জানি না) তাহলে শুনুন, শাহবাগের আন্দোলন এ আওয়ামী সমর্থন ছিল। তেমনি সমর্থন ছিল বিএনপির অগুণতি অসংখ্য সমর্থকের। এমনকি এখনো জাতীয়তাবাদী অনেকের সমর্থন আছে। সমর্থন ছিল এই কওমী/দেওবন্দী/তাবলীগ/হেফাজতের মতাদর্শের অনুসারী হাজার হাজার মানুষের। এই ব্লগেই তাঁরা আছেন। প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছেন।
এখন শাহবাগ আন্দোলন যদি আওয়ামীলীগের সমর্থকরা থাকায় আওয়মী আন্দোলন হয়, তাহলে তা তো বিম্পি আন্দোলনও। তা তো হেফাজতি আন্দোলনও। তা তো কওমী আন্দোলনও।
একটা কথা কেন এড়িয়ে যান?
শাহবাগে মানুষ গেছে শুধুই ন্যায়বিচার চাইতে।
ন্যায়বিচার চাইলে আপনাদের কেন লাগে?
আপনাকেই জিগ্যেস করি,
ন্যায়বিচার চাওয়ার মৌলিক কারণে কোন দ্বিমত আছে কি?
আর, আগেই একটা পোস্টে আপনাকে বলেছিলাম, জিহ্বা এমনভাবে ব্যবহার করবেন, যেন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারেন।
শুধু তো কিয়ামাতে নয়, এখনো আল্লাহ আপনাকে দেখছেন। তিনি সদা সর্বশক্তিমান। জিহ্বা ব্যবহারের আগে তাঁকে ভয় করুন।
আপনার জিহ্বা না আপনার জাহান্নামের কারণ হয়।
৪৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
সাফায়াত কাদির বলেছেন: একটা কথার জবাব দেন?
হেফাজতের এত মানুষের শক্তি (সেটার ভিতরে জামাত ই থাকুক আর হেফাজতের নিজস্ব কর্মীই হোক) সেটাকে কিভাবে আপনি যুক্তি দিয়ে রুখবেন? দেশটা যুক্তি তন্ত্রে চলছে না? গণতন্ত্রে চলছে।
বুঝা গেছে?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাহলে আপনি বলছেন,
পোস্ট এবং এর কথা একেবারে ঠিকই আছে।
কিন্তু মানুষ গায়ের জোরে সত্য স্বীকার করবে না?
৪৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: দারুন পোস্ট! +++++++++++++++
আপনার এই প্রয়াসের জন্য অভিনন্দন রইলো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রোপিক... চেতনার ভিতর দিয়ে পাক খেয়ে যাওয়া।
৪৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: পুরোটা অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।অনেক ভাল লিখেছেন ।
এইজন্যই সরকার ওদের এতো ভয় পেয়েছে। এতদিনের ব্লগার, বাম, শাহবাগের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। দফায়, দফায় বৈঠক, ওদের দাবি মেনে নেয়া--থেকেই বোঝা যায়্, , , , তারা বিপদ টের পেয়েছে-- আমজনতার আগেই।
@নস্টছেলেঃ ভয়েস নকল করার প্রযুক্তি থাকলে- মাইকেল জ্যাকসনরা বারেবারে ফিরে আসতো।আর, যদি নকলই হয় তাইলেতো আপনার জন্য সুসংবাদ।আপনি মিলিয়নার বনে যাবেন।ভুল প্রমাণিত করতে পারলে -১ লাখ ডলার প্রাইজ ।
পুরোটা অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।অনেক ভাল লিখেছেন ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই বিস্তৃত মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল।
আসলে কওমীর সাথে তো সাংগঠনিকভাবে কোন সমস্যা নেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইসুতে।
কিন্তু কে বাঁচায় কার পীঠ! অর্থই সকল অনর্থের মূল। হায়রে পাতকী অর্থ!
৪৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
কামরুল আলম চাদপুরী বলেছেন: লেখাটি স্তিকি করা হোক। সবার জানা উচিত।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই স্টিকি হোক বা না হোক, কথাগুলো শেয়ার করা এখন সময়ের দাবি।
কারণ, সামনে এসে মূর্তিমান হেফাজত দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ তাদের প্রকৃত পরিচয় জানে না। এমনকি অনলাইনের ৮০% মানুষও সে বিষয়ে অবগত নয়।
এই হেফাজতে ইসলামের লোকজন কিন্তু সেই আধ শতাব্দী ধরে বলে আসছেন, হাজার হাজার বই লিখছেন এই কথা বলে-
*** জামাত ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে।
*** জামাত শতভাবে, শতপথে মহানবী দ.'র অবমাননা করে।
*** জামাত সকল নবী রাসূল আ. গণকে অন্যায়বিচারক (সম্রাট রূপে) বলে।
*** সকল নবী রাসূল আ. গণকে ভুল কাজকারী বলে।
*** জামাত শরিআহ'র আইন মানে না।
*** জামাত সাহাবা রা.গণের অবমাননা করে।
*** জামাত হাদীস অস্বীকার করে।
অথচ তাঁদের প্রদর্শিত ৫০ টিরও বেশি ধর্ম অবমাননার বিষয় নিয়ে তাঁরা এখন একটা কথাও বলছেন না। তাঁরা একবারও বলছেন না, নাস্তিকের সাথে সাথে জামাতেরও বিচার চাই, জামাতও মহানবী দ. কে অবমাননা করে আসছে যুগযুগ ধরে।
এই কি তাহলে সততা?
এই কি ইসলাম রক্ষার আন্দোলন?
৪৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: পোষ্টে +++++++++++++++
গত ২৪ ঘন্টায় সামুতে ফ্লাডিং হচেছ। হেফাজতে ইসলামের নাম করে পথে নামা তান্ডবকারীদের বিষয়ে অনেক ধর্মীয়, নৈতিক ও আইনগত বিষয় নিয়ে পোস্ট এসেছে। এই পোস্টগুলোতে অসংখ্য বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে।
...তালেবান জঙ্গিবাদের ভয়
মুসলমানিত্ব যাচাই পরীক্ষায় ব্লগারের ত্রাহি দশা : এই ধর্মব্যবসায়ীদের হারাতেই হবে
'হেফাজত' এর অণু-পরমাণু: শিউরে ওঠার উপাখ্যান
হয় তালেবানী না হয় শত্রু
মধ্যযুগের দিকে যাচ্ছে দেশ (বাংলাস্তান অথবা পূর্ব পাকিস্তান) : হেফাজতিদের ১৩ দফা দাবি এবং আমার চিন্তা
হেফাজত ইসলামের শান্তির নমুনায় হামলা চলছে
হেফাজতের নেতা আর টিভি র টক শোতে (আওয়ার ডেমোক্রেসি) বললেন বেপর্দার জন্য মালালা কে গুলি করা হয়েছ।।
ফিউশন ফাইভ এর পোস্টের ছবি নিয়ে যারা কনফিউসনে আছেন তারা এইদিকে আসেন
হিফজতের প্রধান আস্তানা ভারতের দেওবন্দ: দেখুন সেই দেওবন্দীদের কি অবস্থা
‘নাস্তিকদের শায়েস্তা করি, এরপর মিডিয়া’
...হেফাজতের কাছে প্রশ্ন
শাপলা চত্বরের এক নাম না জানা তরুণের কাছে শাহবাগ চত্বর থেকে খোলা চিঠি : আরিফ জেবতিক
হেফাজতিরা পারলে প্রশ্নগুলোর জবাব দিন নতুবা মেনে নিন আপনার ভন্ড!
হেফাজতের মঞ্চ দখলের ঘোষণা। গায়ে পড়ে ঝগড়া করার শামিল নয় কি?
জানুন অন্যকে মুশরিকক/কাফির/মুনাফেক/নাস্তিক বলা গোনাহ
আল্লাম শফি ধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণদের মতো নাস্তিকতার সংজ্ঞা দিচ্ছেন
ইসলাম হেফাজতের মালিক কোনো মানুষ নয়, বরং স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সত্যিকারের মুসলমানের কাজ না
বুকে যদি বিন্দু মাত্র ঈমানী শক্তি ও জোর থাকে হেফাজতে ইসলাম, আমার ছবিগুলোর বিপক্ষে যুক্তি দেখান।
হেফাজতে ইসলামের আসল চরিত্র
প্রিয় নবীজির নামে জঘণ্য মিথ্যাচার করল হিফাজত!!!
হেফাজতে ইসলামের কাছে কি ইসলাম হেফাজত ?
...লংমার্চ
লংমার্চ জায়িয প্রমাণ করতে পারলে আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে একশ’ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা।
লংমার্চ নাস্তিক্যবাদবিরোধী কর্মসূচি নয়; বরং কট্টর নাস্তিক মাওসেতুংয়ের নাস্তিক্যবাদ তথা কমিউনিস্টবাদ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি
পবিত্র ‘হিজরত’ এর সাথে মাওসেতুং এর লংমার্চ মিলানো কুফরী হবে
প্রাণপ্রিয় নবীজি লংমার্চ করেছেন!!! (নাউযুবিল্লাহ) উক্ত অপবাদ লেপনকারী নিশ্চিত জাহান্নামী
...শাহবাগ নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন ও গণজাগরণ মঞ্চে হামলা
কাণ্ডারি হুশিয়ার!!
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে হামলা চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা।
লড়াই হবে রাজপথে। শাহবাগ আবার জেগেছে। আবার জেগেছে প্রজম্ম..........জয় বাংলা।
গণজাগরণ মঞ্চ।
এবার সশস্ত্র প্রতিরোধের পালা, সমবেত হোন শাহবাগে
হেফাজতে ইসলামের শান্তির নমুনা : নির্মূল কমিটির সমাবেশে হেফাজতের হামলা
...জামাত বিষয়ে হেফাজত অন্ধ
হেফাজতী ইসলামের লংমার্চঃ নেপথ্যের এক ভয়াবহ কাহিনী
জামাতের বিরুদ্ধে, দেওয়ান বাগির বিরুদ্ধে কোনদিন লং মার্চ করলেন না কেন মাওলানা শফি সাহেব (দঃবাঃ)?
একটি হেফাজতে জামায়েত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি!!
যুদ্ধাপরাধীদের টাকায় এই আন্দোলন.....
ওরা হেফাজতে ইসলাম নয়- হেফাজতে জামাত ॥
হেফাজতে ইসলাম এত টাকা পেল কোথায় ?
হেফাজতে জামাতের এইগুলো নাকি অরাজনৈতিক বক্তব্য
হেফাজত-জামায়াত গোপন ফোনালাপ ফাঁস সরকার উৎখাত ও লংমার্চের ষড়যন্ত্র নিয়ে কথোপকথন
...তেরো দফা
হেপাজতে জামাতে ইসলামীর ১৩ দাবীর বাস্তবতা এবং কল্প বাস্তবতা।
লংমার্চ কর্মসূচি ইসলাম ও কুরআন শরীফ বিরোধী : একাত্তরে ঘাতক বাহিনীর সংগঠক ছিলো মাওলানা শফী
...নারীর উপর তালেবানী হামলা
এবার নারী সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা, অবস্থা গুরুতর।
বাংলা হবে আফগান : নারীদের পেটানো শুরু করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম
ব্রেকিং!!বাংলাস্তানে স্বাগতম!!নারী সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে হেফাজতের লোকজন!
আমি ও চাই !
উপরের পোস্টগুলোতে এত বেশি সংখ্যাক তথ্য আছে যে এগুলোই যথেষ্ট। আর এই সময়ে হেফাজতিরা দিচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট।
...রাষ্ট্রদ্রোহীদের নর্তনকুর্দন
'ঢাকা বিচ্ছিন্ন এইটাই চান্স' -এই ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্টদাতা ও তাদের সমর্থকদের চিনে নিন। মুখোশ উন্মোচন করুন।
৫০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
হেনরি রাইডার হেগার্ড বলেছেন: পুরাই মন গড়ন কথা ---- সিওর থাকেন এই কথাই ওরা বলবে, আমার ধর্ম ইসলাম কে controversial করার জন্য। keep it up. আল্লাহ আমাদের সকলকে রহমত দিক। +++++++
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কথাগুলোই বলছে। এটা অনেকটা খিচুড়ির কম্পোনেন্টের মত। ইচ্ছামত ঢেলে দাও। জ্বাল দাও। খিচুড়ি প্রস্তুত।
ধন্যবাদ ভাই।
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এক দারুণ লেখক। তাঁর 'নেশা' নামে একটা অনুবাদ পড়েছিলাম। ভুলতে পারি না।
৫১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩
মেলবোর্ন বলেছেন: অসাধারন পোস্ট লিসানী ভাই--
আমি হেফাজতে ইসলামের জন্য কিছু প্রশ্ন যোগ করতে চাই ওনারা ভেবে দেখবেন কি ওনাদের দেয়া থিউরি অনুযায়ী
১। বেগানা মহিলা খালেদা কে সাপোট করা জামাত ও বিএনপি এবং শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানা = ইসলামের অবমাননা নয় কি ? হেফাজতের মতে যেহেতু প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ সমর্থন করেনা।
২।মুর্তি ভাংঙবেন ভালো কথা কিন্তু বাংলাদেশে হাজারো ভন্ড বাবার দরবার গুলো কে কি ভাংঙতে পারবেন।-কিংবা সৈদিতে যে হাজারো ভাস্কর্য সেগুলো?
৩।ইসলামের হেফাজত করবেন ভালো কথা ইসলাম মানে যে শান্তি মুসলিম কে যে হতে হয় বিজ্ঞ কিন্তু না জেনে সব ব্লগার শাহবাগের সবাই নাস্তিক বলেন এটা কি মুসলমানের পরিচয় হেফাজত এ ব্যপারে কি জানে ?
৪।সাঈদিকে চাদে দেখা ও কাবার গিলাফ চরানোর ছবি ভুল ভাবে উপস্থাপন করা সেখানে কি ইসলামের অবমাননা হয় নি? সে বিষয়ে নিশ্চুপ ক্যান। নাকি হেফাজতে ইসলাম না আপনারা হেফাজতে অন্য কোন দল?
৫। ৭১এ গনহত্যা বিষয়ে আপনাদের মতামত কি? সেটা কি মানুষের প্রতি অন্যায় নয় সেটা কি নিম্ন কোরআনের আয়াত বা আল্লাহয় আদেশের লংঘন নয় বা ইসলামের অবমাননা হয় না
"কোরআনে সুরা আল মায়েদাহ সুরা নং৫ আয়াত নং ৩২ এ দেখুন
এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।" রাজাকাররা কি সীমা অতিক্রম করেনি?
উপরোক্ত প্রশ্ন সমুহের উত্তরে হেফাজতে ইসলাম কি হ্যা বলতে পারবে?
আপনাদের জন্য একটি কথাই "আল্লাহ অন্তরের বিষয়ে ভালো জানেন"
আর লিসানী ভাই ওল্লাহি আপনার জন্য আপনারই করা দোয়াটাই ভাল মনে করছি "তুমি কিন্তু একে ওই মর্যাদা দিও যেটা তার প্রাপ্য। যেটা পাবার মত অটলতা তিনি দেখাতে পেরেছেন। অসহায়ত্বের দিন তাঁর মুখ উজ্জ্বল করো। আর এই পৃথিবীতেও দাও স্থির প্রশান্তি। ইসলাম মানেই প্রশান্তি, ইসলাম মানেই তোমাতে সমর্পণ।"
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার মুখ এখন আবারো চেপে ধরতে চাইবে।
আপনি এবং আপনার মত কিছু মানুষ কী চেয়েছিল?
বাংলাদেশ আমার দেশ,
শহীদ ও যুদ্ধাহতরা আমার আত্মীয়,
বীরাঙ্গনা আমার মা।
তাঁদের উপর অত্যাচারের বিচার চাই।
হায়রে ন্যায়বিচার!
এই ন্যায়বিচার চাইলেন বলে জামাত শিবির আক্রমণ করল।
তাদের নানা দোসর, নানা দলের রূপে, নানা সংগঠনের রূপে, নানা সিন্ডিকেটের রূপে আক্রমণ করল।
এখন,
আপনি পুরো ব্লগীয় জীবন কাটিয়েছেন ইসলাম বিদ্বেষের বিষয়ে আলোচনা করে। ইসলামকে ক্ল্যারিফাই ভ্যারিভাই করে। বিদ্বেষীদের বুঝিয়ে।
কিন্তু জানেন কি,
এখন এই আপনার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠবে নাস্তিকতার।
আর আল্লাহ খুব কম মানুষের কপালেই শেষ পর্যন্ত ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়তার মত শক্তি দিয়েছেন।
আপনাকে নিয়ে গর্বিত ভাই। প্রাউড অভ ইউ।
৫২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩২
এম হুসাইন বলেছেন: দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: দু:খজনক হলো প্রতিটা পোষ্টে সেম সিন্ডিকেট অ্যাটাক করছে। তাই বলে কি কলম থেমে থাকবে? ক্যারি অন লিসানি ভাই।
++++++++
ও প্রিয়তে।
অসাধারন পোস্ট ভাই।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হুসাইন ভাই,
অন্তত এই কাজের জন্য আছি।
শখ করে আছি তা কিন্তু না।
রাসূল দ.'র নির্দেশ, আমরা যা জানি, যতটুকু জানি, ততটুকু পৌছে দেয়া আমাদের উপর কর্তব্য।
হাশরের ময়দানে জিজ্ঞাসা করা হবে যারা জানে, তাদের। তোমরা কি যা জান তা পৌছে দিয়েছিলেন সাধারণ্যে?
রাসূল দ. বলেছেন, হাত দিয়ে প্রতিরোধ করো (হাত দিয়ে প্রতিরোধের মানে শুধু যুদ্ধ না।)। না পারলে কন্ঠ দিয়ে। না পারলে ঘৃণা করো এবং এটা সর্বনিম্ন স্তরের ঈমান।
আমরা অন্তত সর্বনিম্ন স্তরের ঈমানের অধিকারী হতে চাই।
যেখানে পথ থেকে একটা ময়লা সরিয়ে ফেলাও ঈমানে অঙ্গ হতে পারে,
যেখানে দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ হতে পারে,
যেখানে ঈমানের সত্তরটির বেশি শাখা থাকতে পারে,
সেখানে কী করে আমরা ন্যায়বিচারের কথা ভুলি?
অতি সাধারণ ন্যায়বিচারের কথা ভুলিনি ভুলতে পারিনি।
৫৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: সত্যই শিউরে উঠার মতো তথ্যের সন্নিবেশ। না জেনেই আগে থেকে আমি সন্দেহ করছিলাম যে জামাতিদের সাথে তাদের একটা গভির যোগাযোগ রয়েছে। তা আপনি দৃশ্যমান করলেন ব্যাখ্যার মাধ্যমে। তাই ধন্যবাদ জানাই!
বর্তমানে টিভিতে এবং বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে দেখছি সকলে এই হেফাজতিদের হাস্যকর দাবীগুলোকে খুব গুরুত্বসহকারে স্টাডি করার কথা বলছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটা করা হবে শুধুই এফোর্ট লস্। কারন, তাদের যা দাবি তা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই দাবিগুলো সাজানো হয়েছে এমনভাবে যাতে কোনভাবেই মেনে নিয়ে আন্দোলনকে স্তিমিত করার সুযোগ না থাকে। তাই সরকারের প্রস্তুতি হওয়া উচিৎ কি করে তাদের পরবর্তি কর্মসুচিগুলোকে মোকাবেলা করা যায় তা ঠিক করায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শুধুই এফোর্ট লস্। কারন, তাদের যা দাবি তা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই দাবিগুলো সাজানো হয়েছে এমনভাবে যাতে কোনভাবেই মেনে নিয়ে (হেফাজতে জামাত) আন্দোলনকে স্তিমিত করার সুযোগ না থাকে।
ঠিক তাই। আসলে দাবা খেলা খুব জটিল বিষয়।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত।
৫৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৪
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: গুরুত্বপুর্ন পোস্ট।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় ভাই।
৫৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমি অপেক্ষা করছিলাম তারা কি রকম দাবী করে সমাবেশ থেকে সেইটার। আর কি বক্তব্য দেয়।
যা ভেবেছিলাম তাই।
অরাজনৈতিক বক্তব্যের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছে।
আর যে দাবীগুলো করেছে সেগুলো কতটুকু যৌক্তিক ?
আর তাদের কথা কথিত শাহবাগী আন্দোলণ নাকি সব কাদিয়ানী আর নাস্তিকদের খিয়াল কৈরা! এই টপিক নিয়া কিন্তু পাকিস্তানে (কাদিয়ানী টপিক) ব্যাপক হাঙ্গামা করেছে তারা! কোন ইস্যু যখন না পায় তখন এই টপিক সামনে নিয়ে আসে। তাহলে সংখ্যা গুরু মুসলিমের সমর্থনও আদায় হয় আকার তাদের স্বার্থসিদ্ধিও হয়।
এর পরে আসি সরকারকে নাস্তিক বলা নিয়ে। এটা হতে পারে সরকারের মাথাব্যাথা নাই তাদের নাস্তিক বললো না কি বললো কিন্তু আমার এই খানে বিষয়টি তুলে আনার দরকার আছে যে সরকার কি কোন ব্যাক্তি? ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহ কাকে দিয়েছেন? সরকরেকে?
আর হ্যাঁ একজন বক্তাতো শফি সাহেবকে মূসা নবীর সাথে তুলনা করতেও ছাড়লেন না (নাউজুবিল্লাহ!)
আর তাদের সব ইশারা কিন্তু শাহবগিী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে। কেন?
শাহবাগেই কি শুধু নাস্তিক আছে? আর থাকলেও কয়জন আছে? লিস্টতো তারা দিয়েছে আটাশ জনের! ধরলাম আরো বেশী তাহলে ইসলামকে এত দুর্বলভাবার কি কারণ আছে যে কয়টা নাস্তিকের জন্যে ইসলামের উপর খড়গ নেমে এসেছে!
এইটা কি তামাশা নয়?
এরপর আসি তাদরে সব ক্ষোভ কেন ব্লগার দের উপর। ব্লগারদের উপর তো ক্ষোভ জামাতের! তো তারা কেন ক্যারি করবে এইটা?
এর পরেতারা বললো যে শাহবাগী নাস্তিকরা ইসলামী রাজনীতি বন্ধ করার দাবী করার সাহস করেছে।
ইসলামী রাজনীতি টা কি ভাই? কোরানে বলা আছে(জামাইত্তা অনুবাদিত না)? নাকি হাদিসে? কোথায় আছে?
মওদদী দর্শনে আছে। তো এখানে কি অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে আসছে না?
আর তারা যে সমস্ত দাবী করছে সেগুলোর যৌক্তিক বিশ্লেষন দাবী রাখে বৈকি!
তারা নাস্তিকদের ফাসি চায়। কোরানে কই বলা আছে যে নাস্তিকের সাজা ফাসি? তারাতো কোন আয়াত দেখাতে পারে নাই!
শুধু একটা হাদিস বলছে “যে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে তার সাজা মৃত্যুদন্ড।” সহিহ না জয়ীফ জানি না। তবে কিছু প্রশ্ন আসলো হাদিসটা শুনে। কেউ যদি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মে আসে তাইলে তার কি একই সাজা হবে?
এই প্রশ্ন শফি সাবেরে করার রুচি আমার নাই।
আর হ্যাঁ তারা যেভাবে অনলাইনে নাস্তিক্যবাদী লেখার বিরুদ্ধে সোচ্চার সেভাবে কেন জামাতের অবিরত মিথ্যাচার এবং সাঈদীরে চান্দে দেখা সংক্রান্ত জঘন্য মিথ্যাচার নিয়ে সোচ্চার না? কারণ কি? আসলে তারা হেফাজতে ইসলাম না হেফাজতে জামাতে ইসলাম।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার এই কমেন্টটা সবার পড়া উচিত।
প্লিজ, যদি না দিয়ে থাকেন, এই কথাগুলো উল্লেখ করে একটা পোস্ট করে ফেলুন। প্লিজ।
আর মুরতাদ সেই হবে, যে জেনেশুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তারপর জেনেশুনে ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছে। এবং মুরতাদের সাজা দিতে পারবে পরিপূর্ণ শরিয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো। কোন সরকার নয়, খিলাফাত। কারণ, শরিআহ আইন প্রয়োগ হবে শরিয়াহ কাঠামোর ভিতরে।
৫৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আরেক্টা বিষয় আফগানে ফেরত মুজাহিদ টাইটেল প্রাপ্তরা এখন কই? তারাকিন্তু ভিড়েছে তাদের দলে! খিয়াল কৈরা! তারা কিন্তু আবার এলইটি(লস্কর ই তৈয়বা ) আর আইএসআই প্রশিক্ষিত।
আর হ্যাঁ ইসলাম ধর্মকে পুজি করে একাত্তরে জামাতযা করেছিল (তখন তারা এত প্রভাবশালী ছিল না শুধু চান্সটা নিছিলো) হেফাজতও তাই করছে (চান্স নিচ্ছে। মুসলিমদের উদ্ধার কৈরা ফেলার কথা বৈলা) এটা তো একাত্তরে জামাত করচিল তারা তো শুধু তাদের কথা ফলো করতেসে!
আপনার পোস্টে যে পয়েন্টগুলো তুলে এনেছেন সেইগুলোর সাথে একমত।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একদম কঠিন!
লাস্টের প্যারাটা তো দুর্দান্ত।
প্লিজ উপরের আর এই মন্তব্যটা মিলিয়ে একটা পোস্ট করুন।
৫৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৫
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: অল্প কিছু নাস্তিক নামধারী ধর্মকে আঘাতকারীর বিচার দাবি করায় আপনাদের জ্বলে কেন ? কেন আপনারা হাতে গোনা অল্প কিছু অপরাধী ব্লগারকে সমর্থন করছেন ? আপনারা কি জানেন না যে অপরাধীকে / অপরাধকে সমর্থন করাও অপরাধ ?
ক্লিয়ার কাট এন্সার আশা করছি ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শিব্বির ভাই, ভাল লাগল অধিকার নিয়ে সহব্লগারকে প্রশ্ন করায়।
এই ধরনের এপ্রোচই চাই। পরিচ্ছন্ন ভাষায় সরাসরি পয়েন্ট টু পয়েন্ট আলোচনা। নোংরামি না।
* আমাদের জ্বলে কেন- আমরা বলতে ঠিক কোন গোত্র জানি না। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জ্বলে না। বিচার দাবি করলে জ্বলবে কেন? যাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মকে আঘাত করেছে প্রতিনিয়ত, রাসূল দ. কে নিয়ে কুৎসা রটিয়েছে, তাদের বিচার চাওয়া তো দেশের আইনেও আছে আগে থেকে।
আমি, আমারব্লগ ডটকমে আইনের ধারা তুলে ধরে তাদের বিরুদ্ধে কমেন্ট করেছিলাম।
* অপরাধী ব্লগারকে সমর্থন- এই ব্লগার করেনি। একটা ফুটা অক্ষর দেখান।
* সমান অপরাধ- জ্বি না। সমান অপরাধ না। তবে অপরাধীকে সমর্থন করা অবশ্যই বিবেকের কাছে অনেক অনেক বড় অপরাধ।
আপনার তিনটা প্রশ্নের ক্লিয়ার কাট অ্যান্সার পেয়েছেন। এবার আমার তিনটা প্রশ্নের ক্লিয়ার কাট অ্যান্ড শাইনি অ্যান্সার চাই।
** বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতা করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমস্ত কর্মকান্ডকে সমর্থন এবং সমস্ত কর্মকান্ডে সমভাবে যুক্ত থাকায়- এই তিনটা সংগঠনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক সকল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে থাকার নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাগত অধিকার রাখে কি রাখে না হ্যা বা না সহ একটু ব্যাখা জড়িত জবাব চাই।
** গোলাম আযম, আআ মুজাহিদ, আকা মোল্লা, মর নিজামী, কামারুজ্জামান সহ ৭১ সালে সাংগঠনিকভাবে যারা রেজাকার, আলবদর, আল শামস, শান্তি কমিটিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছিলেন জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে- দলমত নির্বিশেষে তাদের নিজ নিজ পাপ অনুযায়ী সর্ব্বোচ্চ এবং যথাযথ শাস্তি দেয়ার বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যামূলক এবং সুস্পষ্ট জবাব চাই।
** এই ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে যেসব আদর্শের জন্য, সেই আদর্শ সমূহের (খেয়াল করুন, ইসলাম নয়) আদর্শিক বইগুলো ও আদর্শিক চর্চা বাংলাদেশ এবং মানবকল্যাণে পৃথিবী থেকে ব্যান করা উচিত কিনা। হলে ঠিক কীভাবে।
লুকিং ফরওয়ার্ড ভাই।
৫৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: আপনি অনেক কষ্ট করে সুন্দর একটি পোষ্ট লিখেছেন। অনেক কাজে লাগবে।
+++++++++সহ প্রিয়তে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পলাশ ভাই ভাল থাকুন। ধন্যবাদ সমর্মীতার জন্য।
৫৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: Thanks!
৬০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৬
হাবিবউল্যাহ বলেছেন: আলোচনা খুব খারাপ করেন নাই।
সব কথার শেষ কথা মনে হয় এইটা ই।জামাতের বিচারকার্য চলিতেছে,এই মূহুর্তে হাগামুতা বন্ধ!না হইলে বিচারকার্যে বাধাগ্রস্থ করা হইছে বলিয়া ধরে নেওয়া হইবে।
কয়েকবছর আগে যেসব মাওলানারা কুরআন হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল তারা মুফতি আমীনির ডাকে নেমছিল।
এইখানেও আপনে শফি সাবরে নিয়া আসছেন!
লিঙ্কু দিয়েন।
আর সব মাদ্রাসা জংগিদের ঘাটি।অতি চুলকানি ছাড়া এইরকম ধ্যান ধারনা কেউ পোষে বইল্যা মনে হয়না।
আপনে তো শফি সাবের মাদ্রাসারেও জংগিদের ঘাটি বইল্যা ফেললেন।
প্রতিষ্ঠান যখন সরকারী না তখন সরকারী বাহিনিকে ভিতরে প্রবেশ করা,আর ভিতরে গিয়ে নামকরা একটি মাদ্রাসার নামে ভুলভাল অভিযোগ আনলে আপনেরা খুশী হন বুঝতে পার্তেছি।
সরকারী নজরদারী মাদ্রসাতে আমিও চাই।আমি চাই সরকার মাদ্রসা মসজিদ্গুলোর খরচ বহন করুক।তাদের কারিকুলামে পরিবর্তন আনুক।তাদের মেধার উন্নয়নে সহায়তা করুক।
কিন্তু যেইহারে আপনে ব্যাপারগুলান বিশ্লেষন কর্লেন পুরাই আবুল বারাকাত আর শাহরিয়ার কবির টাইপের বিশ্লেষন হইয়া গেল।
আপনেরেই দেখি ধর্ম কর্ম নিয়া পোস্ট দিতে।
আপনে নিজেই বললেন রাগে কাপতেছেন...এই মূহুর্তে আপনের বিশ্রাম নেওয়ার দরকার আছিল।
লেকিন আপনে পোস্ট ই দিয়া বইসা আছেন।
আর তাদের দফাগুলোকে নিজের মনের মাধুরি মিশাইয়া বিশ্লেষন কর্লেন।বাহ কিয়া বাত হ্যায় জি!
তাদের এইসব দফা অনেক পুরনো বাংলাদেশে।কোন সরকার ই এইসবগুলা দফা বাস্তবায়ন করার চিন্তা কর্বেনা দেশের পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায়।
চুলকানি নাস্তিকদের বিচারে সমস্যা আছে নাকি আপনের?
তাইলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন।সরকার ই আইন বানাইয়া রাখছে।যেই আইনে তাদের বিচার সম্ভব।
তো এইখানে বিচার চাওয়ারে দোষের মনে কর্তাছেন কেন?
আর ছাগুদের মত যুক্তি আজকাল অনেক সাধুরেই দিতে দেখতেছি।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার কর্লে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার কর্তে হইবে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু কর্লেই কি সব সস্মস্যার সমাধান হইয়া যাইব।
ত্যানা প্যাচানি।
জামাতের বিরুদ্ধে কওমি ওলাদের আন্দোলনের খবর আগে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
জামাতের বিরোধিতা না কর্লে নাস্তিকদের ধর্মদ্রোহীদের বিচার চাওয়া যাইবোনা পুরা ছাগুমূলক বক্তব্য।
শাহবাগরে খাইছে এইটাইপের বক্তব্য।
এতদিনেও হুশ হয়নাই?
দাড়ি টুপি দেখলেই জংগি নজরে আসে?
জামাতি মনে হয়?
রোগ খারাপ।লক্ষন ও ভালো না!
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সবগুলো কমেন্টের জবাব পর্যায়ক্রমে দিচ্ছি। তবে আপনার কমেন্টটা প্রায়োরিটি পায়।
আলহামদুলিল্লাহ, আপনার কমেন্টের মত কমেন্টই আশা করছিলাম।
এতক্ষণ হয়ত ঠিক এমন সুন্দর ও যৌক্তিক (প্রশ্নসমৃদ্ধ) কমেন্ট পাইনি।
সব কথার শেষ কথা মনে হয় এইটা ই।জামাতের বিচারকার্য চলিতেছে,এই মূহুর্তে হাগামুতা বন্ধ!না হইলে বিচারকার্যে বাধাগ্রস্থ করা হইছে বলিয়া ধরে নেওয়া হইবে।
ভাই আপনি এই প্রাকৃতিক কাজগুলো করতে পারেন। কেউ বাঁধা দিবে না।
কিন্তু প্রাকৃতিক কাজ করছি, এই বলে যদি জামাতের নাম উচ্চারণ করতে মানা করেন,
এবং প্রাকৃতিক কাজ আপনাকে শাহবাগের উপর দিয়েই করতে হবে তা বলেন,
তাহলে আপনি জামাতের প্রাকৃতিক দরজা সংরক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন।
তখন আপনার নাম হবে, "আমিরে সংরক্ষণে প্রাকৃতিক দরজায়ে জামাতে ইসলামী"।
এবং আপনার সংগঠনের নাম হবে, "সংরক্ষণে প্রাকৃতিক দরজায়ে জামাতে ইসলামী"।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কয়েকবছর আগে যেসব মাওলানারা কুরআন হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল তারা মুফতি আমীনির ডাকে নেমছিল।
এইখানেও আপনে শফি সাবরে নিয়া আসছেন!
লিঙ্কু দিয়েন।
শফি সাব তো কোন আলাদা পার্সোনালিটি না। শফি সাব একটা সিস্টেমের অংশ। আপনিই খাল কাটলেন। কুমীর আনলেন। মুফতি আমিনী সাব যে সিস্টেমের অংশ, সেই কওমী সিস্টেমের আরেক অংশ হলেন শফি সাব।
এখন, আমিনী সাবের ডাকা হরতালে যদি শফি সাবের মাদ্রাসা রাস্তায় ভেঙে পড়ে, তাহলে ভুলটা কোথায় করলাম?
এইখানে ব্যক্তি তো আলোচ্য হতে পারেন, কিন্তু মূল বিষয় নন। যেমন, গো আজম আলোচ্য হইতে পারেন, কিন্তু তার সংগঠন ও সাংগঠনিক বিস্তৃতিই ছিল একাত্তরে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ। গো আজমের জায়গায় চো আজম বা কোন চৌধুরী আজম এলেও তার কোন বত্যয় ঘটত না।
আপনিই বলে দিলেন, আমিনী সাব করেছিলেন। আমার লিংকু দেয়ার কষ্ট বাচিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ। আর লিংকু দিয়ে কী হবে?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর সব মাদ্রাসা জংগিদের ঘাটি।অতি চুলকানি ছাড়া এইরকম ধ্যান ধারনা কেউ পোষে বইল্যা মনে হয়না।
জনাব, আপনার এই কথার সাথে আমি একমত। সব মাদ্রাসাকে জঙ্গির ঘাঁটি যারা বলে, তাদের বিচ্ছু মলম লাগবে। এখন খালি বলেন তো, কে বলেছে এই কথা?
বাংলাদেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেই মাস্তান আছে। তাই বলে কেউ যদি বলে, শিক্ষাঙ্গণ হল মাস্তানের ঘাঁটি, কথাটা হাস্যকর এবং মূর্খতার শামিল।
অথচ আমি বলিও নাই যে, সব মাদ্রাসায় জঙ্গি আছে। সব মাদ্রাসায় একজন হলেও জঙ্গি থাকাও ইম্পসিবল।
এমনকি বাংলাদেশে এমন অনেক অনেক কওমী এবং আলীয়া মাদ্রাসা আছে, যেখানে একজনও জঙ্গি থাকার কথা না। এবং বাস্তবেও ধরেই নিতে পারি যে, নাই।
আপনে তো শফি সাবের মাদ্রাসারেও জংগিদের ঘাটি বইল্যা ফেললেন।
প্রতিষ্ঠান যখন সরকারী না তখন সরকারী বাহিনিকে ভিতরে প্রবেশ করা,আর ভিতরে গিয়ে নামকরা একটি মাদ্রাসার নামে ভুলভাল অভিযোগ আনলে আপনেরা খুশী হন বুঝতে পার্তেছি।
আমরা কীসে খুশি হই সেইটাও বুঝে ফেলেছেন। ব্রাভো। আপনি নিজের মত করে বুঝে নিয়েছেন আরকী!
*শফি সাহেবের মাদ্রাসাকে সার্টিফাই করেছেন, আপনার মত করেই প্রশ্ন করতে হয়, যেহেতু বলছেন ভুলভাল অভিযোগ, তার মানে সেই অভিযোগটা যে ভুল, তা সার্টিফাই করার অধিকার বা অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা আছে আপনার। আপনি কি সে মাদ্রাসায় পড়েছেন? আপনি কি সেখানে কী হচ্ছে এবং কী হচ্ছে না, তা সার্টিফাই করার অধিকার সম্পণ্ণ ব্যক্তি বা অভিজ্ঞতা সম্পণ্ন ব্যক্তি?
সরকারী নজরদারী মাদ্রসাতে আমিও চাই।আমি চাই সরকার মাদ্রসা মসজিদ্গুলোর খরচ বহন করুক।তাদের কারিকুলামে পরিবর্তন আনুক।তাদের মেধার উন্নয়নে সহায়তা করুক।
এই জিনিসটা তো আমরা সব বিবেকবান মানুষই চাই, নাকি?
আপনেরেই দেখি ধর্ম কর্ম নিয়া পোস্ট দিতে।
এহন কি, ধইরা বাইন্ধা কান্ধে কইরা ঘাটে নিয়া গিয়া নাস্তিক বানায় দিবেন? মৌচাকে ঢিল পড়লে কপালে সিজদার কালসিটে পড়া দাড়িঅলা মানুষও নাস্তিক হয়া যায়, কইসিলাম না?
আপনে নিজেই বললেন রাগে কাপতেছেন...এই মূহুর্তে আপনের বিশ্রাম নেওয়ার দরকার আছিল।
লেকিন আপনে পোস্ট ই দিয়া বইসা আছেন।
জ্বি জনাব। আমার বিশ্রাম দরকার আছিল। তারচে বেশি দরকার আছিল আপনার সাতে এই আলোচনা করে তা সবার সামনে নিয়ে আসা। প্রয়োজন ফুরানোর সাথে সাথে আমি গর্তে চলে যাব।
বিশ্রাম না নিয়া আমি তো এইটিন প্লাস পোস্ট দেই নাই। গাছ লতাপাতা ফুল পাখি পোস্ট দেইনাই। নিতান্তই আপনার সাথে আলোচনা করে তা নেটে ঝুলানোর দরকার ছিল বইলা ফিরা আসছি।
আর তাদের দফাগুলোকে নিজের মনের মাধুরি মিশাইয়া বিশ্লেষন কর্লেন।বাহ কিয়া বাত হ্যায় জি!
এই লাইনটা আপনার স্বভাবসুলভ হল না। আপনার যৌক্তিক শক্তি দেখে বোঝা যাচ্ছে, আপনি চাইলে শব্দ টু শব্দ কোট করে বুঝিয়ে দিতে পারতেন, কোন্ কোন্ অক্ষরে আমি মনের মাধুরী-কারিশমা মিশিয়ে তিলকে তাল ও চুলকে কী যেন বানিয়েছি জনাব।
তো এইখানে বিচার চাওয়ারে দোষের মনে কর্তাছেন কেন?
মুখ দিয়া একটা কথা বের করসেন। মুখ অনেক দামি বস্তু। এই বস্তু দ্বারা প্রাকৃতিক কর্ম করে না। এখন এই কথারে আপনি জাস্টিফাই করবেন। আমি কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি, যে কথাটা বলেছেন, তা জাস্টিফাই করার দায় আপনার।
অলরেডি আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললাম, আপনি দাবি করছেন এমন কিছু আমি প্রকাশ করেছি যা আমি করিনি। এই দায় থেকে মুক্তি নেন। এইটা অনলাইন। সব কথা থেকে যায়। আপনারটাও যাবে। আমারটাও আছে।
দাড়ি টুপি দেখলেই জংগি নজরে আসে?
জামাতি মনে হয়?
আমি আপনারে অভিযুক্ত করলাম। আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। এমন একটা অভিযোগ, যেটা অত্যন্ত অসম্মানজনক। কারণ, আমি নিজে দাঁড়িওয়ালা কিনা, আপনি বলগার সেটা জানেন না। আমি দাঁড়ি রেখে থাকলে ফ্যাশানের জন্য রেখেছি নাকি রাসূল দ.'র ভালবাসায় রেখেছি আপনি বলগার সেটাও জানেন না। আমি নামাজের সময় টুপি পরি কিনা, ইভেন পাগড়ি পরি কিনা সেটাও জানেন না। আর আপনি কতবড় বলগিং করছেন, যে এই মানুষগুলা দেখলৈ আমার জামাতি মনে হয়। এখন নিজের জবানের কথারে ডিফেন্ড করেন।
৬১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আরে অনেকের ল্যাঞ্জায় দেখি আগুন ধৈরা গেসে! পুস্ট না বুইঝা কমেন্টাইতাসে!
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এইটাই খারাপ লাগে। পুস্টে সব কথা বলা আছে, আবার বিতং করে সেটা মন্তব্যে বলতে হবে, অথচ পুস্ট পড়ার কষ্টটুকু করে না।
৬২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
আমিনুর রহমান বলেছেন: এরপর ও যদি আমাদের আমাদের ব্লগার এক হতে না পারি টা হবে সত্যিই দুঃখজনক।
আমি ভাবছিলাম আপনি কেন পোষ্ট দিচ্ছেন না। যেখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে একটা ভয়ানক ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে যাচ্ছে আমার প্রিয় মার্তৃভুমি।
পোষ্ট স্টিকি করার জোর দাবী রাখছি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওইযে ভাই, সবার উপরে দল সত্য, তাহার উপরে নাই।
ধর্ম, মানুষ, রাষ্ট্রকে যদি ভালবাসা যেত, তাহলে আমরা ব্লগাররা যার যার মতে থেকেও এক প্ল্যাটফর্মে চলে আসতে পারতাম।
আমাদের ভিতরে তো দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, ধর্মপ্রেম হাস্যকর বিষয়।
কার্যকর বিষয় শুধু দলপ্রেম।
আমরা মানুষ,
ভেড়া না।
পরিযায়ী পাখি না।
আমরা খেতের আল না।
যে আগের লাঙল যেভাবে যাবে পিছনের লাঙল সেভাবেই যেতে হবে।
কিন্তু ভেড়া যেমন শুধু সামনেরটাকে অনুসরণ করে, পরিযায়ী অতিথি পাখি যেমন শুধু চেইন তৈরি করে, আমরা সেরকম হয়ে যাই, যখন কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকি।
স্বাতন্ত্র্য মানবের সবচে বড় সম্পদ। দলবাজি সবার আগে কিল করে এই স্বাতন্ত্র্যকে।
ভাল থাকুন আমিনুর রহমান ভাই।
৬৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন: এরপর ও যদি আমাদের আমাদের ব্লগার এক হতে না পারি টা হবে সত্যিই দুঃখজনক।
আমি ভাবছিলাম আপনি কেন পোষ্ট দিচ্ছেন না। যেখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে একটা ভয়ানক ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে যাচ্ছে আমার প্রিয় মার্তৃভুমি।
পোষ্ট স্টিকি করার জোর দাবী রাখছি।
সহমত!
এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক!
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: স্টিকি হোক বা না হোক,
বিষয়গুলো সবার চোখের সামনে আনা উচিত।
এই পোস্টের মাধ্যমেই আনতে হবে এমন কোন কথা নেই।
পোস্টের কন্টেন্ট কপি পেস্টে কোন বাঁধা নেই। অন্য ব্লগে বা ফেবুতে ব্যবহারেও বাঁধা নেই।
কারণ,
অচেনা একটা পক্ষ হামলে পড়ল।
আমরা দিশেহারা। তবে কি বাংলাদেশের আপামর মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ল?
কেন?
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কি জামাতকে এতই ভালবাসে?
হেফাজতের পরিচয় দেশের ৯৫% মানুষ জানে না।
এমনকি অনলাইনের ৮০% মানুষ হয়ত জানেনা।
৬৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি করা হোক।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তথ্যটুকু ছড়াতে হবে। আরো যৌক্তিক তথ্যের সমাবেশ করতে হবে।
৬৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
অনিক আহসান বলেছেন: ইনফর্মেটিভ পোস্ট ++++
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ। আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে আপনার পোস্ট এখনো মিস করি। এমন হলে চলে?
৬৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০
এক্সপেরিয়া বলেছেন: আবাল ছাগু গুলা আগে বিএনপির ছত্রছায়ায় থাকত(এইখানে বেশি একটা সুবিধা করতে পারে নাই । গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনাই ) এবং দেশ রক্ষার কথা বলত অহন হেফাজতের ছায়ায় ইসলাম রক্ষার কথা বলতেছে(এইখানে শুরুতেই একটা সুবিধা করতে পারসে ।কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের নাস্তিক বিষয়ে অপপ্রচার চালিয়ে এনে জমায়েত করতে পারসে । আর হেফাজত কিন্তু ইসলামের না জামাতের )
আগে কইত রাজাকারের বিচার আমিও চায় জামাতরে আমিও পছন্দ করি না (হেতে কইলাম করত শিবির ) । তবে মঞ্চে যদি একবার অমুক তমুক বিষয়ে বলত ইত্যাদি ।
আর অহন কইব রাজাকারের বিচার আমিও চায় তয় আগে নাস্তিক ব্লগারের ফাসি চাই ।(বিচার না কইলাম ,ডাইরেক্ট ফাঁসি চায় ।অথচ ব্লগার কারে কয় ? ব্লগ কি তা জানে না । একটা ব্লগ জীবনে পড়েও নাই । পড়তে দিলে পড়তে পারবে না । কারণ কওমি মাদ্রাসার তারা ইংরেজি ত দূরের কথা বাংলাও পড়তে পারেনা । )
তবে তাদের বলছি তোমরা সারা দেশের মাদ্রাসা থেকে ছাত্র জমায়েত করে বিশাল জনসভার কথা বলতাছ । আমরা সারা দেশ থেকে মানুষ আনলে ঢাকা শহরে জায়গা নিবেনা ।
এদেশের শিক্ষিত জনসংখ্যা যে তাদের চেয়ে বেশি তা নিশ্চয় সবাই জানে ।
আর আমাদের আস্থা হারানো যাবেনা । যেইখানে ছাগু পাওয়া যাবে সেইখানেই গদাম দিতে হবে ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জ্বালাময়, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কমেন্ট।
দারুণ।
থ্যাঙ্কস, বাডি।
৬৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ভাই এই অসাধারণ পোষ্টটা যে কতটা ভাল লাগছে আমি বলে শেষ করতে পারব না । রাতেই পড়েছি তার আগে শেয়ার করেছি । আপনাকে ধন্যবাদ মায়ের ডাকে আবার ফিড়েছেন বলে
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই দেখেন না, গাছ লতাপাতা ফুল ফল পাখি আকাশ বাতাস নিয়ে পোস্ট দেই নাই।
আমার অতিপ্রিয় সাবজেক্ট ধ্যানবিদ্যা এবং মার্শাল আর্ট নিয়ে পোস্ট লিখে লিখে ড্রাফটে রেখেছি। দেইনি।
কিন্তু একটা দায় তো আছে দেশের প্রতি, ধর্মেরও প্রতি। ধর্মকে মানুষ চিনবে হেফাজতের নামে, তা কি করে হয়।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন হিমুভাই।
৬৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
জামিনদার বলেছেন: পোস্ট পড়ে কিছু সময় হাসলাম । ৯-১১'র পর থেকে পশ্চিমা পরিচালিত ইসলামফোবিয়ার জরাক্রান্ত পুরানো কথাগুলোর নতুন নতুন শিরোনাম, সস্তা গভেষনা আর উল্টে পাল্টে পরটার দুই পিঠ পুড়ানো ছাড়া আর কি? কওমি মাদরাসা চলে সৌদি টাকায় আর সৌদিরা জামাতিদের হাত ছাড়া টাকা দেবেনা এই জন্য জামাতিদের পিঠ বাঁচাতে হবে? নাহলে টাকার অভাবে কাওমীদের মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাবে?? হা হা হা হাস্যকর সব থিম আর কল্পনা জল্পনা। ইসলাম প্রিয় জনতার দেশে ইসলাম শিক্ষার টাকা কোথায় থেকে আসে সে প্রশ্নের উত্তর জানতে বড়বড় মিথ্যার প্রোপাগান্ডা চালানো লাগেনা বাংলাদেশের যে কোন কাওমী মাদরাসায় একদিন সরেজমিন এসে দেখে যাবার অনুরোধ থাকলো।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক কথা বলা যেত। কিন্তু পরের কমেন্টটা দেখেন কষ্ট করে।
পোস্টে কোথায় বলা হয়েছে যে কওমী মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাবে সৌদি টাকা না পেলে?
স্পষ্ট বলা আছে, কওমী মাদ্রাসা দানে চলে। এর বিশাল অংশ আসে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
৬৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
নয়ন বেষ্ট বলেছেন: পুরো পোষ্ট না পড়ে বা না বুঝে, কমেন্ট করলে যা হবার তাই হচ্ছে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কিছু মানুষ যদি বুঝতে না চায় তাহলে আল্লাহ একটা পর্যায়ে তাদের অন্তরকে উপলব্ধি থেকে দূরে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে কুরআন শরীফে অসংখ্য আয়াত রয়েছে।
৭০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই পোস্টটি ইষ্টিকি করার অনুরোধ রইল।
তাও যদি আমাদের সকলের বোধদয় হত।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: স্টিকি হোক বা না হোক, এইসব তথ্য মানুষের কাছে পৌছাতে হবে। ভাল থাকুন কান্ডারী ভাই। শুভেচ্ছা অগনণ।
৭১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলো সব সময় দুর্দান্ত হয় !! ধন্যবাদ !! প্রিয়তে নিলাম !
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তানভীর ভাই আপনাকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন সবাইকে নিয়ে। সর্বাবস্থায়।
৭২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: হেফাজতিদের শরীরে ম্ওদুদীর রক্ত প্রবাহিত। গতকাল সমাবেশে বললেন হেফাজত নেতা। যতই বলুক অরাজনৈতিক সংগঠন। কসম কেটে বলেছে জামায়াতের সাথে সম্পর্ক নাই। তারপরও মুখ ফসকে আসল সত্য বেরিয়ে পড়ে।।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটা কী কথা শুনলাম জিয়া ভাই!
আই অ্যাম সিম্পলি শকড!
৭৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
জাহিদুল হাসান বলেছেন: সহমত লিসানি ভাই। দারুন লাগলো। প্লাস এবং প্রিয়েতে নিলাম। কবে যে এই দেশের মানুষগুলোর হেদায়েত হবে। কবে যে এরা ধর্মীয় ফাদ থেকে বেরিয়ে আসবে আল্লাহই জানেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। হ্যা, ধর্ম এবং ধর্ম নিয়ে পাতা ফাঁদ দুটা ভিন্ন বিষয়।
আমরা জানি না, বুঝি না, টের পাই না বলেই এই দুটার ভিন্নতা ধরতে পারি না। ফলে চলে আসে অপ্রাসঙ্গিকতা।
৭৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
জাহিদুল হাসান বলেছেন: আমার পোষ্টে করা আপনার সর্বশেষ মন্তব্যটি ভুল করে ডিলিট করে ফেলেছি। আবার দিবেন প্লিজ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওই পোস্টটা অনেক আগে আমার প্রিয় তালিকায় ছিল। আসলে এই ধরনের সচেতনতামূলক আলোচনা আমরা আর আজকাল করি না।
এই ধরনের পোস্ট আরো আরো চাই।
বলেছেন না, সবার উপরে অর্থ সত্য, তাহার উপরে নাই!
বিষয়টা এখন এমন হয়ে গেছে সর্ববাণিজ্যে। মানবতা ও বিবেকের সাথে সাথে স্বাস্থ্যঝুঁকি চলে এসেছে একেবারে উপরে।
আসুন, আমাদের হাতে মাউসের মত শক্তিশালী অস্ত্র আছে। কাজে লাগাই। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে যতভাবে সচেতনতা ও কিবোর্ড-আন্দোলন করা সম্ভব, করি।
৭৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
আমিনুর রহমান বলেছেন: লিসানি ভাই, জিয়া ভাইয়ের লিঙ্কটায় কোন ভুল নাই, আমি নিজে নিজ কানে শুনেছি ...
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবিশ্বাস্য কি?
এবার বুঝলাম, অবিশ্বাস্য নয়।
এই হল পরবর্তী ধাপ।
এই হল জামাতি চালের মূল রূপ।
তারা পুরো কওমী সমাজকে জামাতে অথবা অর্ধ জামাতে অথবা নিম জামাতে রূপান্তরিত করার মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নিয়েছে।
ঠিক আমাদের প্রধান বিরোধী দলের মত (প্রধান বিরোধী দল নিয়ে কখনো কিছু বলি না, কারণ তাদের সম্মান করি।)
দেখবেন,
যে ব্যক্তি এই কথা বলেছেন,
তিনি হয় সাবেক জামাত শিবির (মানে আজীবন জামাত শিবির আরকী, শুধু কওমীর ভিতরে প্ল্যান্টেড, যেমন প্ল্যান্টেড আছেন লীগ-বিএনপিতে)
অথবা অপ্রকাশিত, কিন্তু আসলে জামাত শিবির।
যে-ই জামাত শিবিরকে নিজের কোলে নিয়েছে,
রেডিয়েশনে তার কোল বিনাশ হয়েছে।
কারণ জামাত শিবির ইউরেনিয়াম। তারা নিজেরা ক্ষয় হয়, যেখানে যায় সেখানটা ক্ষয় করে।
৭৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
তিক্তভাষী বলেছেন: সমস্যা চিহ্নিত। এখন দরকার সমাধানের উপায় বের করা। সেটা কী হতে পারে?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আলোচনা করা যায় বিষয়টা নিয়ে।
৭৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
প্রীতম ব্লগ বলেছেন: নাস্তিক্যবাদ ও মৌলবাদ নিপাত যাক। যদি আরো আগেই দাড়িপাল্লা ধমাধম, আসিফদের নিকগুলি ব্যান করা হতো তাহলে আজ হেফাজতে মওদূদীর মতো ঘৃণ্য পাপেটগুলি তান্ডব চালাতে পারতো না।
আফসুস, সত্যকথা তিতা লাগে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ওই মানুষগুলো সব সময়েই পরিত্যাজ্য। তাদের পরিত্যাগ না করাটা ভুল।
কিন্তু তারা ওই কথা বলে আন্দোলন না করে অন্য কথা বলে করত। করা থামত না।
কারণ, উদ্দেশ্য জামাতি বাঁচানো।
৭৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
হাসান নাঈম বলেছেন: ভাই আপনি যে আপ্রান চেস্টা করছেন বাস্তবতাকে এড়িয়ে আপনার পছন্দের চেতনাকে যৌক্তিক প্রমানের সেটা অসাধারণ! কিন্তু সমস্যা হয়েছে বিষয়টাকে আপনি ইসলামের সাথে মিলিয়ে দেখতে চাইছেন - তাই আপনাকে বহু কস্ট করে, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মধ্যদিয়ে, ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলতে হচ্ছে। অথচ আমরা সাদা চোখে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি কে কোন পক্ষে আছে - দেশের মানুষ কাকে সমর্থন করছে আর কাকে করছে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান।
আপনার আগের পোস্টে শাহবাগ আন্দোলন ও ইসলামের সঠিক চেতনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি বলেছিলেন বিস্তারিত উত্তর দেবেন - সম্ভবত সময় করে উঠতে পারেন নি।
যাই হোক, আপনার চিন্তাধারার মধ্যে যে দ্বন্দ আছে, আপনি যে কোন একটা কিছু প্রমানের আপ্রান চেস্টা করছেন ( হয়ত নিজের সান্তনার জন্য! ) তা বেশ বুঝা যাচ্ছে।
আপনার অন্তর্দ্বন্দের মুল বিষয়টা সম্ভবত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেন্দ্রিক চেতনা। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত প্রচার প্রচারণা আছে তার প্রায় সবই অতিরঞ্জিত, আবেগতাড়িত এবং দলীয় স্বার্থে বিকৃত - আরো সহজ করে বল্লে বলা যায় 'মিথ্যা'। আমরা অনেকেই 'চেতনার' প্রভাবে জেনেবুঝেও এ'ধরনের অনেক মিথ্যা প্রচার করি। এই মিথ্যার পাহাড় মাথায় নিয়ে পথ চলা আসলেই কঠীন! যদি কখনও এই জঞ্জাল বাদ দিয়ে নির্মোহ তথ্যভিত্তিক চিন্তার দিকে অগ্রসর হতে পারেন তাহলেই এই দ্বন্দ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা করা যায়। সেই কামনাই করছি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ফেসবুক এ লেখা ছিল, আইডির পাসওয়ার্ড হারিয়ে গিয়ে বেড়াছেড়া। ওটা খুজছি। তারপর আপনার দুই কমেন্টের বিষয়ে একবারে কথা বলব ইনশাআল্লাহ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পবিত্র আল-কুরআনে :
১.পুরুষ শব্দটা এসেছে ২৪ বার, নারী শব্দটা এসেছে ২৪ বার
২.আদেশ শব্দটা এসেছে ১০০০ বার, নিষেধ শব্দটা এসেছে ১০০০ বার
৩.হালাল শব্দটা এসেছে ২৫০ বার, হারাম শব্দটা এসেছে ২৫০ বার
৪.জান্নাত শব্দটা এসেছে ১০০০ বার, জাহান্নাম শব্দটাএসেছে ১০০০ বার
৫.দুনিয়া শব্দটা এসেছে ১১৫বার, আখিরাত শব্দটা এসেছে ১১৫ বার
৬.ফেরেশতা শব্দটা এসেছে ৮৮ বার,শয়তান শব্দটা এসেছে ৮৮বার
৭.জীবন শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার, মৃত্যু শব্দটা এসেছে ১৪৫ বার
৮. উপকার শব্দটা এসেছে ৫০ বার, ক্ষতিকর শব্দটা এসেছে ৫০ বার
৯.মানুষ শব্দটা এসেছে ৩৬৮ বার, রাসূল শব্দটা এসেছে ৩৬৮ বার
১০.যাকাত শব্দটা এসেছে ৩২ বার, বরকত শব্দটা এসেছে ৩২ বার
১১.জিহ্বা শব্দটা এসেছে ২৫ বার, উত্তম বাক্য শব্দটা এসেছে ২৫ বার
১২.মাস শব্দটা এসেছে ১২ বার,দিন শব্দটা এসেছে ৩৬৫ বার
রাজনীতি/ রাষ্ট্রক্ষমতা/ দেশ দখলের বিষয়টা কতবার এসেছে?
ইসলামে রাজনীতি নেই সেটা বলছি না। কিন্তু ঠিক কেমন রাজনীতি আছে, তাতে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে? গুরুত্ব আছে, কিন্তু ঠিক কোন্ পদ্ধতিতে? আজকে মুসলিম ব্রাদারহুড, হিজবুত তাহরীর এবং জামাতে ইসলামী যেভাবে রাজনীতি করে বা যেভাবে প্রমাণ করতে চায় যে,
*ইসলাম মানে মূলত রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও,
*রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে না পারলে কোন মুমিন পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না,
*এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতা নেতা যেভাবে প্রত্যেক নবী আ. রাসূল আ. কে স্রেফ রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে দেখিয়েছেন,
* এবং প্রত্যেক নবী-রাসূল আ. কে স্রেফ রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে দেখাতে গিয়ে তাদের "ভুল-ত্রুটি" অণ্বেষণ করেছেন, (সাইয়্যিদুনা আদম আ., ইব্রাহিম আ., দাউদ আ., ইউসূফ আ. এবং রাসূল দ.'র সমাজ/রাষ্ট্র/বিধান/দেশ পরিচালনাকে তিনি প্রতিটি পদে পদে ত্রুটিযুক্ত বলেছেন।)
* এবং ইসলামের প্রত্যেক খলিফা (সাইয়্যিদুনা সিদ্দিকে আকবর রা., ফারুকে আজম রা., যুন নূরাইন রা., কাররামাল্লাহ রা.) কে ত্রুটিপূর্ণ শাসক হিসাবে দেখিয়েছেন,
**তারই ফলশ্রুতিতে এই কনক্লুশন চলে আসে,
-প্রচলিত ইসলামের সাথে জামাতি ইসলামের প্রায় কোন মিলই নেই।
-কারণ প্রচলিত ইসলামের একমাত্র উদাহরণ যারা, সেই নবী ও রাসূল আ. গণ এবং সাহাবা রা. গণ যখন তাদের দৃষ্টিতে "ত্রুটিতে ভরপুর" সেখানে কোন্ ইসলাম তারা প্রকট করতে চান? ওই নবী ও সাহাবা দের ইসলামের বাইরে কোন কিছু নিশ্চই? সেটা কী? জনাব মওদুদীর ইসলাম?
-এবং সেটায় যাবতীয় ভুল যা থাকবে, তাতে কোন আপত্তি করা যাবে না।
-এবং যেহেতু নবী আ. গণ ও সাহাবা রা. গণ তাঁদের মতে, "স্বয়ং রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুল করেছিলেন" সেহেতু স্বয়ং নবী আ. গণ ও আসহাব রা. গণের বিপরীত মতেও তিনি চলতে পারেন...
তাহলে এই কথার কনক্লুশন কী এল?
ফলো অনলি মওদুদী, নট রাসূল আ. অর আসহাব রা.।
তাই না?
এই কথাকেই আরো সংহত করে যখন মওদুদী হাদীস ডিনাই করেন। কারণ হাদীস মানতে গেলে রাসূলের দ. ডিসিশন মানতে হয়।
এখন,
---নবী ও রাসূল আ. এবং আসহাব রা. গণকে মানতে গেলে তো কখনোই মওদুদী সাহেবকে মানা যায় না।
---এবং মওদুদী সাহেবকে মরণোত্তর ব্লাসফেমি আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
---এবং, ইসলাম মানতে গেলে সবার আগে মওদুদী সাহেব এবং মওদুদী সাহেবের সমগোত্রীয় সব সাহেবকে ডিনাই করতে হচ্ছে। তাই নয় কি?
এখন ভাই, ইসলাম হল আমার আদর্শ। রাষ্ট্র হল আমার আদর্শ। এখানে কোনও সংঘর্ষ আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আমি তো পাচ্ছি না। কোন্ সংঘর্ষটা দেখতে পাচ্ছেন কাইন্ডলি জানাবেন কি স্পেসিফিকভাবে?
ভাই আমি এই পোস্টে অনেক সহব্লগার ভাইয়ের প্রশ্ন পেয়েছি। মানবিক যোগ্যতা দিয়ে তাদের উত্তর দিয়েছি। তারপর তাঁদের প্রশ্ন করেছি। কেউ উত্তর নিয়ে আসেননি এখনো। ভাবছি তাঁদের পোস্টে গিয়ে আবার জিগ্যেস করে আসব।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: Tayeb Ul Alam ভাই আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন,
আমি কম্পিউটারে না থাকায় জবাব দিতে পারিনি। আমারও কিছু প্রশ্ন ছিল, সেগুলো করতে পারিনি। যুক্ত হতে পারিনি। এখন আপনি চাইলে আপনার টাইমলাইনে, অথবা আমার টাইমলাইনে, অথবা অনলাইন সূফি স্কুলে সেই আলাপটা শেষ করে নিতে পারি।
প্রশ্নগুলো আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি,
* জামাত শিবির ছাড়া আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের ব্যাপারে মনোভাব কী?
* শাহবাগের নারী পুরুষ জনতার বিষয়ে আমার মনোভাব কী (প্রশ্নটা আপনি একটু অন্যভাবে করেছিলেন, সেই সুর বলছি না।)
* ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল আপনার ভাষ্য মতে অনেক খারাপ লোক, কিছু মানুষ কেন তাকে পছন্দ করে?
* একজন সূফিপথের মানুষ হয়ে কেন রেগে যাচ্ছি?
* শাহবাগ আন্দোলনের সাথে কিছু ইসলাম বিদ্বেষী মানুষের সম্পৃক্ততাকে আমি কীভাবে দেখি?
* শাহবাগ আন্দোলনের আহ্বায়ককে কীভাবে দেখি?
* আর সব অন্যায়ের বিচার কি আমরা চাই না?
তো, ভাই, শুরু করা যাক?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কমেন্ট-১
একাত্তুর সালে যারা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সমর্থন ও সহায়তা করেছে:
* তাদের মধ্যে যারা নারী নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে এবং নারী নির্যাতন ও হত্যায় নির্দেশনা দিয়েছে, তাদের সবার একমাত্র শাস্তি মৃততুদন্ড।
* এছাড়া যারা সহায়তা করেছে তারা তাদের কাজ অনুযায়ী শাস্তি পাবে।
* আর কোন দল/সংগঠন/পক্ষ যদি দলীয়/সাংগঠনিক/সার্বিক দিক দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে থাকে এবং তখন সক্রিয় হয়ে থাকে- স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের কোন ধরনের দল ও প্রতিষ্ঠান থাকার প্রশ্নই ওঠে না। (এখন, এই সংগঠন যে জামায়াতে ইসলামী, তাতে আপনার সন্দেহ থাকলে আমি তা পূরণ করে দিবই। এটা আমার দায়িত্ব।)
কমেন্ট-২
জামাতের হোক, বিএনপির হোক, আওয়ামীলীগের হোক আর কোন দলের বাইরে হোক। ন্যায়বিচার কোনদিনই ব্যক্তি দেখে হয় না।
রাসূল দ. তাঁর সময়ে মুসলিমের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে ইহুদিকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। এই সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যে থাকবে না, সে রাসূল দ.'র উম্মতের অন্তর্ভুক্ত কিনা তা চিন্তার বিষয়।
কমেন্ট-৩
শাহবাগের নারী, শিশু, পুরুষ ও বৃদ্ধদের বিষয়ে আমার মনোভাব:
১. শাহবাগে কী হচ্ছে? সেখানে বিচারের দাবি হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রকাশ্যে আমি ও আপনি সহমত ধরে নিচ্ছি।
২. সেখানে গান হচ্ছে। গান হচ্ছে দেশের জন্য। এর সাথে বাজনা রয়েছে। বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ছাড়া আর কোন হাদিসের গ্রন্থের কথা বললাম না।
দেখুন, রাসূল দ. কমপক্ষে পাঁচটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে বাদ্য সহ গান করতে অনুমতি দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে গান করতে দিয়েছেন। উম্মুল মু'মিনীন সিদ্দিকা রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমার কক্ষে গান করতে দিয়েছেন ঈদের জন্য। এক সাহাবি রাদ্বিআল্লাহু আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহির সামনে, তিন খলিফার উপস্থিতিতে বাদ্য করতে দিয়েছেন যুদ্ধ ও যুদ্ধ জয় বিষয়ে। একটা গোত্র তাঁর উপস্থিতির খুশিতে গান ও নৃত্য করতে চাইলে রাসূল দ. অনুমতি দিয়েছেন। রাসূল দ. মদিনায় আগমনের সময় আনসার রা. গণ পথে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন সুর করে গেয়ে। বিয়ের সময় গায়িকা আনেনি, রাসূল দ. প্রশ্ন করেছেন, ওদের গোত্রে গায়িকা দিয়ে গান হয়। গান করতে বলেছেন।
অনুসিদ্ধান্ত:
*ঈদে অর্থাৎ খুশীতে যন্ত্র সহ বাদ্য করা আহলে বাইতে রাসূলের দ. সুন্নাত।
*লড়াইতে বাদ্য খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাত।
*গোত্র/জনগোষ্ঠীর গান, যদি তা তাদের প্রচলন হয়ে থাকে, এমনকি নৃত্য (সতর্কতা সহ) সম্মানের বিষয়, ক্ষেত্রবিশেষে তার অনুমতি দেয়া রাসূল দ.'র সুন্নাত।
*শুভতার আগমনে বাদ্যযন্ত্র সহ গান হাজার হাজার আনসার সাহাবী রা.'র সুন্নাত।
*আবারও দেখা গেল, গোত্রের/ জনগোষ্ঠীর সম্মান রাসূল দ. দেন। এবং সম্মান করে তাদের প্রচলনে সায় দেন।
আমরা একাত্তরে এই জাগরণের গান গেয়েছি। অপশক্তিকে পরাভূত করেছি।
এখনো গাচ্ছি। এটা আপামর বাংলার কালচার। বাউল, জারি, ভাটিয়ালী, মুর্শিদী, তাত্ত্বিক, দেশপ্রেমের গান বাংলার প্রচলন। এইসবকে যে হারাম বলবে, সে রাসূল দ.'র বিরোধী।
কমেন্ট-৪
ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার খারাপ লোক কিনা...
বিশটা বছর ধরে তাঁকে অবজার্ভ করেছি। শুনে বিশ্বাস করি না তো, দেখে, কর্মকান্ডে বিশ্বাস করি।
আমার বিনাপ্রশ্নে আনুগত্য শুধু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র প্রতি এবং তাঁরা সুনির্দিষ্ট যাঁদের আনুগত্য করতে বলেছেন শুধু তাঁদের প্রতি।
আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই, কোন গ্রুপের সমর্থক নই, কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিকতার সমর্থক নই এমনকি আমি কো-ন-ও রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য নই। এমনকি, শাহবাগ বিপ্লবের শুরু থেকে জড়িত, অথচ সেখানেও কোন কিছুর 'সদস্য' নই। কেন নই? কারণ, আমার নীতির ভিত অতি বেশি শক্ত। (আমিত্ব আসছে না, প্রশ্নটা ব্যক্তিগত বলেই ব্যক্তিগত কথা বলতে হচ্ছে)
এরপরও যাঁদের পছন্দ করি বা অনুসরণ করি, কেন করি?
আর যখন করি, তখন কীভাবে করি?
এই লোকটা, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে আমি বিশ বছর অবজার্ভ করেছি। তাঁর বড়ভাই লেখক হিসাবে আমার অতি পছন্দের- ব্যক্তি হিসাবে অনেকটাই পছন্দের এবং অনেকটাই অপছন্দের। তাঁর ছোটভাই কার্টুনিস্ট হিসাবে আমার পছন্দের- ব্যক্তি হিসাবে কিছুটা পছন্দের এবং কিছুটা অপছন্দের।
কিন্তু ব্যক্তি ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এবং লেখক-সংগঠক ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, উভয়ে আমার পছন্দের কেন?
*তিনি সৎ। ব্যক্তিগত জীবনে, চারিত্রিক জীবনে, আর্থিক জীবনে ও নৈতিক জীবনে তিনি সৎ। আর সততাকে আমি কী পরিমাণ শ্রদ্ধা করি সেটা আপনি কালকে আমার লেখা থেকে একটা কোটেশনে দেখতে পেয়েছেন। সৎ মানুষ সহজে ভুল করতে পারে না। তাদের অবচেতন মন ভুল করতে দেয় না। অসৎ মানুষ সহজে ঠিক কাজ করতে পারে না। তাদের অবচেতন মন সহজে ঠিক কাজ করতে দেয় না। এটাই হচ্ছে ৫০% এর চেয়ে বেশি কারণ।
* দ্বিতীয়ত, তিনি কাজের দিক দিয়ে সতর্ক। অনেক বেশি ভেবে সামান্য একটু কাজ করেন।
* তৃতীয়ত, আমি যেহেতু ধার্মিক, ধর্ম আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তাই ধর্ম ব্যাপারটাও এসে যায়। তিনি ধর্মের দিক দিয়ে শত্রুতা পোষণ করেন না। জাতির দিক দিয়ে শত্রুতা পোষণ করেন না। তাঁর কাছে একজন মুসলিমও সঠিকভাবে ট্রিট হয় যদি তিনি লোকটাকে জানতে পারেন- এবং হিন্দুও। এই গুণটা রাসূল দ.'র সুন্নাত। এটা আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
* চতুর্থত, তিনি হৃদয়কে স্পর্শ করেন, তাঁর ভাবনা, কথা ও কাজে হৃদয়কে স্পর্শ করা বিষয় রয়েছে।
*পঞ্চমত, তিনি দেশকে ভালবাসেন। দেশের জন্য মিত্রতা পোষণ করেন, দেশের জন্য শত্রুতা পোষণ করেন। এইখানেই জামাত ও ইসলামের পার্থক্য। তিনি ঘোর জামাত বিরোধী, কিন্তু তাঁকে কেউ ইসলাম বিরোধী বলুক, তখন দেখে নেয়া যাবে রেফারেন্স কাকে বলে। একটা পূর্ণতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জন্য তাঁর চাওয়ার শেষ নেই। সেটা অতি সরল ভাষায় বছরের পর বছর ধরে বলেই যাচ্ছেন।
যে লোকের ব্যক্তিগত ত্রুটি শূণ্যের কাছাকাছি বলে আমি জানছি, তাঁর হৃদয়ের কাছাকাছি আল্লাহর সন্তুষ্টি বিরাজ করবেই।
কমেন্ট-৫
সূফিপথের মানুষ হয়েও রাগি কেন?
রাসূল দ. অন্যায়ের সমর্থন দেখে বেশিরভাগ সময়েই ধৈর্য্য ধারণ করতেন ও মাঝে মাঝে রেগে যেতেন, আমিও তাঁর দ. ও তাঁর আসহাবে সুফফা রা.'র অনুসারী সূফিপথের মানুষ হলেও, অন্যায়ের সমর্থন দেখে রেগে যেতেই পারি।
সব সময় পজিটিভ থাকতে হবে, একশো ভাগ সহমত আপনার সাথে।
কমেন্ট-৬
Try to focus on your dhikr, obey the sharia and Sunnah- যিকর মানে স্বরণ। আমরা সত্যের স্মরণেই আছি। সত্যের যিকরই করছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ সুন্নাহ। অন্যায়ের শাস্তির দাবি শরীআহ।
U will be shouting for some days then you will be quite- সময় বলবে। একাত্তরে কোয়াইট হয়ে যাব, এই আশায় ছিল ওরা।
Again u will fall in to the trap of shaytan- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হিদাআত দান করেন। তিনি চাইলে মৃততুর আগ পর্যন্ত সত্য ও ন্যায়ের পথেই থাকব।
Invite people toward the goodness and Sunnah.-এটাই পাঁচ বছর ধরে অবিশ্রান্তভাবে করছি।
প্রশান্তি সত্যের সাথে থাকে। প্রশান্তি শুকরিয়ার সাথে থাকে। প্রশান্তি সন্তুষ্টির অন্তর্ভুক্ত। সন্তুষ্টি সত্য ও ন্যায়বিচারের অন্তর্গত।
start with your friends and family make them aware of the deen and Sunnah , one day they will benefit from it- পুরো পৃথিবীকেই ফ্রেন্ডস ও ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত করছি। তাদের সাথেই ন্যায়বিচার, সাম্য এবং কুরআন সুন্নাহর দাওয়াত শেয়ার করছি প্রতিটা ইসুতে।
ধন্যবাদ ভাই গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন্সের জন্য।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এ পর্যন্ত ছিল আগের লেখার কপিপেস্ট, যা আপনি দুইটা পোস্টে জানতে চাইলেন। এবার বর্তমান বিষয়-
আপ্রান চেস্টা করছেন বাস্তবতাকে এড়িয়ে আপনার পছন্দের চেতনাকে যৌক্তিক প্রমানের
আপনি যেহেতু ডিটেক্ট করেছেন ভাই যে, আমার একটা পছন্দের চেতনা আছে, সেটা এক্সাক্টলি কী তা আপনি বললে আমি অবশ্যই ক্ল্যারিফাই করব এবং ভুল করে থাকলে সেখান থেকে ফিরে আসব। বা খুদা।
অথচ আমরা সাদা চোখে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি কে কোন পক্ষে আছে - দেশের মানুষ কাকে সমর্থন করছে আর কাকে করছে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান।
কে কোন্ পক্ষে আছে ভাই?
আর দেশের মানুষ কাকে সমর্থন করছে?
মতিঝিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ গেছে। ঠিক না?
শাহবাগেও লক্ষ লক্ষ মানুষ গেছে। তাও তো ঠিক, তাই না?
আপনার কাছে মাত্র একটা প্রশ্ন,
এই দুই পক্ষের মধ্যে একাত্তরের ইতিহাস কারা ভাল জানে?
(দেশের মানুষ শুধু এক পক্ষে থাকলে তো হয়েছিলই।)
যাই হোক, আপনার চিন্তাধারার মধ্যে যে দ্বন্দ আছে, আপনি যে কোন একটা কিছু প্রমানের আপ্রান চেস্টা করছেন ( হয়ত নিজের সান্তনার জন্য! ) তা বেশ বুঝা যাচ্ছে।
এখন এমন একটা কথা বলব, যেটা শুনতে অহংকারের মত মনে হবে। কিন্তু না বলে উপায় নেই। সেই কানাগলিতে আপনি নিয়ে গেছেন টেনে।
আমি যা ভাবি, সেই ভাবনায় কোন দ্বন্দ্ব নেই।
আমি যা প্রমাণের চেষ্টা করি, সেটা আগে থেকেই প্রমাণিত। শুধু সংগ্রহ করি।
এবং আগে থেকে প্রমাণিত বিষয় ছাড়া কোন বিষয় কোনদিন কোনক্রমে কখনো নতুন করে প্রমাণ করার চেষ্টা করি না।
এখন আপনার কাছে পরবর্তী প্রশ্ন, 'আমার দ্বন্দ্বটা' আপনি ডিটেক্ট করেছেন, ক্ল্যারিফাই করবেন।
বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত প্রচার প্রচারণা আছে তার প্রায় সবই অতিরঞ্জিত, আবেগতাড়িত এবং দলীয় স্বার্থে বিকৃত - আরো সহজ করে বল্লে বলা যায় 'মিথ্যা'। আমরা অনেকেই 'চেতনার' প্রভাবে জেনেবুঝেও এ'ধরনের অনেক মিথ্যা প্রচার করি। এই মিথ্যার পাহাড় মাথায় নিয়ে পথ চলা আসলেই কঠীন!
এইবার
আমি
আপনার
সাথে
মুক্তিযুদ্ধ
নিয়ে
কথা
বলব।
আপনি প্রস্তুত আছেন তো?
৭৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলেছেন: আমার পড়া সেরা পোস্টগুলোর একটা। ধন্যবাদ এভাবে ওদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য।
ওরা কণ্ঠকে চেঁপে ধরতে চাইবেই। কারণ, স্রেফ কয়েকটা যুক্তিই ওদের ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে। এবং করবে।
পোস্ট স্টিকি চাই...
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওরা কণ্ঠকে চেঁপে ধরতে চাইবেই। কারণ, স্রেফ কয়েকটা যুক্তিই ওদের ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে। এবং করবে।
অনেক বুদ্ধিমান এবং মননশীল মেধাবী ব্লগারের কমেন্টে স্রেফ কন্ঠচাপার আর্তি দেখতে পাচ্ছি।
ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য।
৮০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: ডেঞ্জারাস! অবস্থা এত খারাপ নাকি?
টেকাটুকা না থাকলে এগুলা অফ হয়ে যাওয়ার কথা। টেকাটুকার সাপ্লাই অফ করতে হবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: 'তোমরা অর্থ ও মহান প্রতিপালক, উভয়ের আরাধনা একসাথে করতে পারবে না।' - বাইবেলে এমন একটা কথা আছে। বইটা যেমনি হোক, বাণীটা লক্ষ্যণীয়।
৮১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
এস আর সজল বলেছেন: অসাধারণ এবং তথ্যবহুল। তবে এই পোস্ট সামু স্টিকি না করার সম্ভাবনাই বেশি। পোস্টটি স্টিকি করার জন্য মডারেটরদের কাছে আবেদন করছি। +++++++
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সম্ভাবনা নিয়ে কি আর ভাবা যায় ভাই? তথ্যগুলো নানাভাবে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি।
৮২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
উন্মোচক বলেছেন: মাথায় যে কয়ডা সিট আছে...
আপনার পোলা না হইয়া স্টার জলসার মাইয়া হওন দরকার আছিল। সন্দেহ যে এমন কনফিডেন্সের সাথে চালায়া দিতাচেন...
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নেক্সট টাইম, আপনাকে মানবিকতার জন্য প্রস্তুত করব। প্লিজ কাম অন নেক্সট টাইম।
৮৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: হেফাজতে ইসলাম নিয়া আমার কোন চুলকাণি নাই ! কিন্তু প্রশ্ন আছে কিছু !
১/ হেফাজতে ইসলামের টাকার উৎস কি ?
২/ এতো বড় সমাবেশের অর্থ কোথা থেকে আসলো ?
৩/ গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে নাস্তিকদের লেখা লেখি হচ্ছে ! সেখানে আমরা যারা নিয়মিত প্রতিবাদ করছি তাদেরকে বাদ দিয়া তারা কেন এই কার্জক্রম শুরু করলো ?
৪/ ইসলাম কি কোন নারীকে পথে ঘাটে হিংস্র হায়েনার মতো আক্রমন করার পারমিশন দেয় কিনা ? যদি না দেয় তবে নারী সাংবাদিককে কেন আক্রমন করা হলো ?
৫/ হে: ই : নেতাদের সাথে জামাতের নেতাদের সাথে কথোপকথনের খবরটি সত্য কিনা ? অনলাইনে যেটা পাওয়া যাচ্ছে ?
৬/ তাদের মিটিং এর কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে , সেখানে কেন শিবিরের কর্মিরা উপস্তিত ?
৭/ তাদের ১৩টি দাবীর মধ্যে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবী কেন নাই ?
প্রশ্নর উত্তর চাই !!! পোষ্টে আগত হেফাজতে ইসলামের পক্ষে গুনগান কারিরা উত্তর দেন
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, আপনি কি আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবেন?
তারা হয়ত বলবে, উর্দু পরীক্ষার সময় বাংলা প্রশ্ন করা যাবে না।
অনেক ভাল লাগল যুক্তিময় কথাগুলো দেখে। আশা করি খুব ভাল আছেন। প্রভু সবাইকে ভাল রাখুক।
৮৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
joos বলেছেন: ব্যাপক তথ্যবহুল পোস্ট।
নগদে প্লাস এবং প্রিয়'তে এবং অতি অবশ্যই শেয়ারড।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ট্রিপল ধন্যবাদ।
বিশেষ করে এই পোস্টের ডাটাগুলো যে কোনভাবে ছড়ালে তা ভাল হয়।
অপরিচিত একটা পক্ষ হঠাৎ করে হামলে পড়েছে, বিষয়টা তো এমন নয়।
৮৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
rafiq buet বলেছেন: ইনফর্মেটিভ পোস্ট ++++
মডারেশন পোস্টটি স্টিকি করতে পারেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ রফিক ভাই। ভাল থাকুন সর্বক্ষণ।
৮৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
হাসান নাঈম বলেছেন: আপনি যে বিশাল উত্তর দিয়েছেন তার পুরোটা নিয়ে আলোচনা করা অনেক সময়সাপেক্ষ এবং কস্টকর। আর এটাও স্বীকার করতে লজ্জা নাই যে আপনি এই ক্ষেত্রে যতটা দক্ষ/অগ্রসর আমি হয়ত তার ধারে কাছেও নই।
আমি বরং সংক্ষেপে একটা বিষয়ে কিছু বলি - আপনি প্রথমেই চেস্টা করলেন জামাতে ইসলামী এবং মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বর্তমান সময়ের ইসলামী আন্দোলনে যারা আছে তারা যে সঠিক ইসলামের পথে নাই সেটা প্রমানের। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে তারা কেউ ইসলামের পথে নাই, তারা কেউ সঠিক ইসলাম চেনে না - আপনি চেনেন, তাহলে তো আপনার একমাত্র দ্বায়িত্ব ছিল সেই সঠিক ইসলাম প্রচার/প্রতিষ্ঠার চেস্টা করা - তাই না? অথচ আপনি শাহবাগী আন্দোলন প্রচার/প্রতিষ্ঠার পথে আছেন, আপনার সময়,শ্রম,মেধা ব্যায় করছেন - তার মানে কি আপনি বলতে চান শাহবাগীরা প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা/প্রচারের আন্দোলন করছে? সেই সাথে একটা সম্পুরক প্রশ্ন: আজকে শাহবাগী আন্দোলন শুরুর দুইমাস পরেও কি আপনি মনে করেন এই আন্দোলন এখনও টিকে আছে, বা সঠিক পথে আছে, বা এর কোন ভবিষ্যত সাফল্যের সম্ভাবনা আছে??
একটা কৌতুক বলি: প্রশ্ন 'বলুনতো জোড়া না দিয়ে একটা লাঠিকে কিভাবে বড় করা যায়?' উত্তর: 'লাঠিটার পাশে একটা ছোট লাঠি রেখে দিন, তাহলেই ওটাকে বড় দেখাবে'।
আমাদের জাতীয় চেতনাই হচ্ছে এই কৌতুকেরমত। আমাদের কাউকে যখনই কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখনই সে অন্যদের সমস্যা নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। ভাবখানা এমন যেন অন্যদের খাটো করে দেখাতে পারলেই নিজেকে বড় করা যাবে। আপনার মধ্যেও একই প্রবনতা দেখে দু:খিত হলাম।
যাই হোক, দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষই দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকে। অতি অল্প সংখ্যক মহামানব ছাড়া প্রায় সবাই সবকিছু নিজেরমত করে দেখতেই পছন্দ করে। এ'জন্য আমি বলি পৃথিবী আসলে একটা নয়, বরং সাতশ কোটি মানুষের সাতশ কোটি পৃথিবী। একই বিষয়, একই ঘটনা এক একজন মানুষ এক এক ভাবে দেখে। এর মধ্যে যারা নিজেরটার পাশাপাশি অন্যের পৃথিবীটাতেও উকি দিতে চেস্টা করে তাদের পক্ষেই প্রকৃত বাস্তবতা অনুধাবনের সম্ভাবনা বেশী থাকে। আশা করি আপনাকেও সেই দলে দেখব।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাইরে, স্পর্শ করতে হবে।
আমার ভুল হতেই পারে, পারে না কি?
স্পর্শ করতে হবে।
আমি সারা জীবন ভুল করে থাকতে পারি, সো হোয়াট? তার জন্য শাস্তি আল্লাহ দিতে পারেন, তাতেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ-
আমার ইসলাহ (হিদাআহ) এর জন্য আমারই হৃদয়কে স্বয়ং আমাকে উন্মুক্ত রাখতে হবে।
আমাকে স্বীকার করতে হবে, অনেকদিন ধরে ভুল করার সামর্থ্য আমার আছে। আমি সেটা করেছি অথবা করিনি, সেটা বড় কথা নয়, কিন্তু একটা ভুল ঘোর, ভুল ধাঁধার ভিতরে থাকার মত পরিস্থিতিতে আমি পড়তেই পারি।
লক্ষ লক্ষ বাক্য কি কখনো তর্কবাগীশকে হারাতে পেরেছে? পারেনি। কিন্তু হৃদয়ে অনুভূত সত্য সব তর্কবাগীশকেই হারিয়ে দেয়। কারণ হৃদয় তর্কবাগিশ নয়, হৃদয় পরিচ্ছন্নভাবে সৎ।
এইজন্য রাসূল দ. বলেছেন,
শরীরের একটা অঙ্গ আছে, যা দূষিত হয়ে পড়লে সমস্ত শরীর দূষিত হয়ে পড়ে। আর যা সুস্থ থাকলে সমস্ত শরীর সুস্থ থাকে।
আমরা জানি, হৃদয় দ্বিমুখী। হৃদয়ে অসুস্থতা হলে রক্ত সবচে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আর হৃদয়ের দ্বিতীয় মুখ হল, সেটার নিউরাল সিস্টেম। যাকে আমরা বলতে পারি একটা ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক। হ্যা, নিজস্ব একটা ফেইল সেইফ সিস্টেম, নিজস্ব একটা ভাবনা ও গণিতের জগৎ।
এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কটাই কিন্তু মস্তিষ্ক সৃষ্টির আগে থেকে রক্ত পাম্প করে করে স্বয়ং মস্তিষ্ককে সৃষ্টি করেছে।
এইজন্যই যুগে যুগে অনুভবকারীরা বলেন, মস্তিষ্ক নয়, হৃদয় দিয়ে অনুভব করো।
এটাই হল ক্বালব।
এই ক্বালব যদি প্রশান্ত হয়, তাকেই বলা হয় ক্বালবুস সালিম।
ক্বালবুস সালিম কখনো যুক্তি মানে না। যুক্তির পিঠে যুক্তিতে সে আরো অশান্ত হয়।
এই ক্বালবুস সালিমের জন্যই সাইয়্যিদুনাই ইব্রাহিম আ. বলেছিলেন, খোদা, তুমি তো মৃতকে জীবিত করতেই পার। আমি কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস ও স্বীকার করি। তবু একবার যদি করে দেখাতে, হৃদয় প্রশান্ত হতো।
আর অন্য সূরায় আল্লাহ বলেন, ইব্রাহিম অত:পর এলেন, ক্বালবুস সালিম নিয়ে।
মূসা আ. বলেন, প্রভু, তবু তোমাকে একটু দেখতে চাই। তিনি দেখালেন আলোর ঝলক। মূসা আ. ক্বালবুস সালিম পেলেন।
এই কমেন্টটা কেন করলাম ভাই?
আপনার ক্বালবুস সালিম প্রত্যাশায় করলাম।
কামনা করি, আপনিও যেন আল্লাহর নিদর্শনসমূহ দেখতে পারেন। কামনা করি, সেই নবী আলাইহিমুস সালাম ও আসহাব রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুম এবং সিদ্দিকীন, শুহাদা ওয়াস সালিহিন এবং 'লা খাউফুন আউলিয়া আল্লাহি ওয়ালাহুম ইয়াহযানূন' এর মত করে আপনিও আল্লাহর নিদর্শন প্রত্যক্ষ করুন।
কারণ, তাঁর নিদর্শন ব্যতিরেকে যতই বলেন না কেন,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই এবং সাইয়্যিদুনা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লিম তাঁর রাসূল এবং তাঁরই পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারী,
সেটা কখনোই কালিমা শাহাদাত হবে না।
সাক্ষ্য তো সে দেয়, যে দেখে-শোনে ও জানে। যার চোখের সামনে নিদর্শনাবলী উন্মুক্ত হয়ে যায়।
বাকিরা বলতে পারে, আমি বিশ্বাস করি যে...
কখনো বলতে পারে না, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে...
৮৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ভাই মনে হয় প্রশ্ন গুলো পড়ার পরেও ইচ্ছা করে এড়াইয়া যাওয়া হইতাছে , আর ইনাইয়া বিনাইয়া ল্যাঞ্জা হাইডের চেষ্টা করা হইতাছে
একটা কথা বলি অপ্রাসংগিক : আপ্নের পোষ্টে কয়টা চতুপ্ষদ প্রানির আগমনে ইহা আমার মনে পরিলো , ল্যাঞ্জা অতিশয় গুরুত্বপুর্ন অংগ অতএব ইহাকে লুকাইয়া রাখা ঠিক নহে ।
তাই হয়তো কেউ কেউ ল্যাঞ্জা দেখাইতাছে
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল তো। আমরা নাহয় বরং স্বাগত জানাই, কী বলেন ঘুপাভাই।
আর কত দূরে সরিয়ে রাখব?
আপনারা আসুন,
কথা বলুন,
সমস্ত যুক্তি, প্রমাণ, বিশ্বাস, আবেগ, স্মৃতি, সবকিছু তুলে ধরুন,
অকারণে তো আর জামাত করেন না, ঠিক কী কারণে করেন তা হৃদয় থেকে বলুন-
ঠিক কী কারণে আপনি বাংলাদেশকে পছন্দ করতে পারছেন না অথবা মুক্তিযুদ্ধকে ঘৃণা করছেন অথবা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ করছেন।
আমরা একবারো গালাগালি বা আক্রমণ করব না।
শুধু শুনতে চাই আপনাদের হৃদয়ের কথা।
৮৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
নাইট রিডার বলেছেন: ১। হেফাজতে ইসলামীর একটি দাবী- নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে হবে।
- তাদের সংগ্রামে সমর্থন দানকারী বি এন পি এর প্রধান একজন নারী, যিনি কিনা পুরুষদের সাথে অবাধে বিচরন করেন বলেই আমার ধারণা। তাহলে কেন এই ধরনের একটি দলের সমর্থন তারা গ্রহন করলেন?
- তারা তাদের দাবী দাওয়া এমন একটি সরকারের কাছে করলেন যার প্রধান ব্যক্তি একজন নারী, যিনি ও পুরুষদের সাথে অবাধে বিচরন করেন বলে আমি মনে করি। তাহলে এই ধরনের একটি সরকারের কাছে কেন এই দাবী উপস্থাপন?
২। তাদের আরেকটি দাবী-পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্বের একটি হল ইসলাম প্রচার এবং প্রসার। অন্য ধর্মের লোকের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছান প্রত্যেক মুসলমানের উপর বর্তায়, ঠিক তেমনি খ্রীষ্টান মিশনারীদের ও দায়িত্ব তার ধর্ম এর প্রচার। সেই প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ যদি ধর্মান্তরিত হয় সেটা সেই লোকের দূর্বল ঈমানের পরিচয় প্রদান করে, কিন্তু এর জন্য কোনভাবেই তাদের ধর্মপ্রচার আমরা বন্ধ করতে পারি না।
কিন্তু হেফাজতে ইসলাম তাই চাচ্ছে। কেন?
৩। তারা বলে ব্লগাররা সব নাস্তিক তাদের কে হত্যা করতে হবে। ইমরান এইচ সরকার ব্লগারদের কমান্ডার। তার ফাসী চায় হেফাজতীরা।জানি এবং মানি শাহবাগের আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজন নাস্তিক ছিল এবং তাদের মধ্যে আসিফ গং এর মত দু একজন একজন নাস্তিক ছিল যারা কিনা ইসলামকে নিয়ে কটু কথা বলেছেন। তাতেই কি তার দায়ভার ইমরান ও অন্যান্য সাধারণ ব্লগারদের কাঁধে চলে যায়?
-তাই যদি হয় তাহলে নারী সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের কমান্ডার হিসেবে আল্লামা শফীর বিচার দাবী ও কিন্তু যৌক্তিক হয়ে যায়। হেফাজতের গুন গান এখানে যারা করছেন তারা কি তাই করবেন?
লিসানী ভাই যেই পোষ্ট দিয়েছেন বা কমেন্টের যে উত্তর করছেন তা কিন্তু অনেক হেফাজতের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বা তারা ইচ্ছে করেই হয়ত বুঝতে চাচ্ছে না। তাই তদের জন্য সহজ ইসলাম, জামাত ইসলাম ও হেফাজতে ইসলাম পার্থক্য সমুহ এই নামে একটা পোস্ট দিলে ভাল হয়। প্লিজ আপনি একটু কষ্ট করুন।
পোষ্টে প্লাস, প্রিয়তে এবং পর্যবেক্ষণে
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার মন্তব্য মুগ্ধ করল ভাই। এত ক্লিন ও কিন দৃষ্টিভঙ্গি, মুগ্ধ করল।
বিশেষ করে আপনি যে সরল ভাষায় কথাগুলো তুলে এনেছেন, অসাধারণ।
এই কথাগুলোও ব্যবহার করতে চাই।
আসলে সরল কথার বিকল্প নেই।
ধন্যবাদ ভাই।
পোস্ট একটা করতে হবে তাহলে, আরো।
৮৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রুদ্র ছায়া বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি ভাই ইসলামের বিজয় নিশ্চিত বুঝা যাচ্ছে....অসেন আম্রা প্রতিরোধ না করে..গলাগলি ধরে বলি.. আম্রা হব তালেবান বাংলা হবে আফগান
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখনো হয়নি শেষ। এখনো পথযাত্রার শুরুই তো হয়নি। তবে মজা লেগেছে কমেন্টে।
ধন্যবাদ ভাই।
৯০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১১
উযায়র বলেছেন: ১৯৭১সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা ও আল্লামা শফির ভূমিকা ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এটাতো খুবই ভাল বিষয় ভাই।
৯১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৩
মেলবোর্ন বলেছেন:
লিসানি ভাই এই ভিডিওটা কাজে লাগবে আশাকরি:
নাস্তিক, ধর্ম নিয়ে বিদ্রুপকারীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত?
Click This Link
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যেমন আচরণ করা উচিত আপনি তো তেমনই করছেন। বাকী অনেক ব্লগারই সেই স্তরের ভাবনায় উপনীত হতে পারেনি ভাই।
ইন্টারনেট স্পিড নাজুক হওয়ায় কী আর করা, ভিডিওটা দেখার সুযোগ পেলাম না।
লিংকটা যেন সবাই দেখতে পান এই প্রত্যাশা করি।
৯২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
হাসান নাঈম তার মন্তব্যে এই প্রশ্নটি করেছেনঃ
আপনি বলতে চান শাহবাগীরা প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা/প্রচারের আন্দোলন করছে?
@হাসান নাঈম, আমি বুঝতে পারি না শাহবাগের গন জাগরণে মানুষ ধর্ম প্রতিষ্ঠা/প্রচারের আন্দোলনে নামে নাই। এই সহজ কথাটি কেন বুঝেন না নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করে যাচ্ছেন !!!
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাঁর এই মন্তব্যটা একটু এলেবেলে ছিল।
শাহবাগের আন্দোলন বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েছে,
ইসলাম নয়।
বাজারে চোর ধরা পড়লে মানুষ যখন গণপিটুনি দেয়,
তখন ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য দেয় না, বিচার হচ্ছে এই মনে করে দেয়।
সেখানে হিন্দু মুসিলম সবাই থাকে।
৯৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫০
শিপু ভাই বলেছেন:
দারুন পোস্ট লিসানী ভাই!!!
সকল অশুভ শক্তির বিনাশ হোক!!! সত্য মুক্তি পাক!!!
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ শিপুভাই।
সকল অশুভ শক্তির বিনাশ হোক!
সত্য মুক্তি পাক!
আল্লাহ আমাদের স্বদেশকে রক্ষা করুন।
জয় বাংলা!
৯৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭
চলতি নিয়ম বলেছেন: হওয়া বদলাইচে সামুর। না হলে এই পোসট এখনো স্টিকি হয় না কেন.?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ব্লগটা তো কঠিন সময় পার করছে। অবশ্য অনেকগুলো ফেবু শেয়ার হল। এতে তথ্যটা ছড়াবে মন্দ না। কেমন আছেন আপনি?
৯৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৬
নিমচাঁদ বলেছেন: পোষ্ট রেস্পেক্টেড।
অনেক পরে পড়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
দুইটা কওমী মাদ্রাসার আমি নিয়মিত ডোনার , এ অবস্থান থেকে আমি জানি আপনার লজিকের এবং তথ্যের সত্যতা কতোটুকু।
ষ্টিকি না থাকায় পোষ্ট নজর এড়িয়ে গেছে বললে দায় এড়ানো যাবে না ব ব্লগে অনিয়মিত থাকায় এটা হয়েছে ।
মিসেস জানার এই পোষ্টটা অন্তত কিছু দিন ঝোলানো উচিত ছিলো।
লিসানি ভালো থাকবেন ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক মিস করি।
আপনার কথাগুলো সব সময় মূল্যবান।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল।
ব্লগকে তো এখন সবাই খুব আক্রমণ করছে। এক হিসাবে সারা পৃথিবীর দৃষ্টি এখন ব্লগের দিকে। এ অবস্থায় কীই বা করার থাকতে পারে কর্তৃপক্ষের।
৯৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এই সময়ে এই রকম একটা পোস্টেরই অপেক্ষায় ছিলাম ।
অনেক কস্ট করে এমন অসাধারণ একটা পোস্ট দিয়েছেন লিসানী ভাই ।
এই পোস্ট সামু কেন স্টিকি করছে না বুঝতে পারছি না ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
পোস্ট স্টিকি করা হউক ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ। অনেক ভাল আছেন আশা করি। আপনাকে মিস করছিলাম, সত্যি। ভাবলাম মন্ত্রী মহোদয় ভাই কোথায়...
থ্যাঙ্কস এগেইন।
৯৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: লিসানী ভাই আপনি বলাতে পোস্ট দিয়েছি। কিছুটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কী পোস্ট করেছেন আপু আপনি! আমি তো থ! অসাধারণ, অসাধারণ।
৯৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩
মাসুম মিয়া বলেছেন: চমৎকার সংগ্রহ। হেফাজত আদতে একটি কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী দল। তারা লংমার্চ কে ইসলামী বলে মিথ্যা প্রচারণা করে। এটাকে দৈনিক আল ইহসান নামক একটি ইসলামি পত্রিকার পক্ষ থেকে কাউন্টার চ্যালেঞ্জ করে বলেছে, ইসরামে লংমার্চ হারাম, জায়েজ প্রমাণ করতে পারলে ১০০ কোটি টাকা চ্যালেণ্ড। এই হেফাজত সম্পর্কে আরো হাকিকত ফাস হয়েছে এই পোস্টে।
এই পোস্ট স্টীকি না করলে প্রমাণিত হবে সামু হেফাজতে জামাতের দোসর। পোস্টটি প্রিয়তে রাখলাম। পোস্ট দাতাকে ধন্যবাদ।
পোস্টে সুপার প্লাস ++++++++++++
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হ্যা, এই বিষয়টা খুব মজা লেগেছে। আসলেই লংমার্চ টাইপের কোন আন্দোলনের পদ্ধতি ইসলামে নেই। এটা বেদাত হবে।
৯৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪১
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: + + + + +
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইয়াসিন ভাই ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১০০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২২
নাইট রিডার বলেছেন: আমার অনুসারিত ব্লগার আমার কমেন্ট ব্যবহার করতে চেয়েছে, তার মানে হল অনুসরণ করে হয়ত কিছু শিখেছি।
অবশ্যই ব্যবহার করবেন, সানন্দে।
আর এই মুহূর্তে নির্বাচিত পাতায় ব্লগার কোশিক এর একটা পোষ্ট এসেছে। খুবই কৌতুহলদ্দীপক। অবশ্য এটা সহ ওনার শেষ তিনটা একি রকম কৌতুহল উদ্দ্রেক কারী।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিতো মনে হয় ওটাতে কমেন্ট করেছি। ভাই আপনার কমেন্টটা আসলেই দুর্দান্ত যৌক্তিক ছিল। মুগ্ধ। এভাবে বলতে পারলে তো কথা আটকানো যাবে না।
১০১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
রুদ্র মানব বলেছেন: পোস্ট অসাধারণ । +++++ সহ প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রুদ্র মানব ভাই, ভাল থাকুন অনন্তকাল। শুভেচ্ছা রইল ভাই।
১০২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
বিজ্ঞ মানুষ বলেছেন: প্রিয়তে
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা, ভাই।
১০৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: বেশি বড় হয়ে গেছে ভাই, তবে অনেক গোছান। আর লেখার ব্যাকাপ রাখবেন কাইন্ডলি।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লেখার ব্যাকআপ রাখাটা আসলেই জরুরি হয়ে পড়েছে অর্ক ভাই। আর ইচ্ছা করেই বড় করেছি। অনেক ক্ষেত্রে একটা কথাকে টুকরা টুকরা করে বললে সবার চোখ পর্যন্ত পৌছায় না। শুধু বিষয়টার সামগ্রিকতা তুলে ধরার জন্যই। শেষের দিকে আরো বড় হত। সামলে নিয়েছি।
১০৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
হাসান নাঈম বলেছেন: "এই কমেন্টটা কেন করলাম ভাই?
আপনার ক্বালবুস সালিম প্রত্যাশায় করলাম।"
ধন্যবাদ আমার জন্য সর্বোত্তম প্রত্যাশা করার জন্য।
আশা করি আপনি এটা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন। আমার প্রশ্নটা কিন্তু এ'খানেই ছিল - আপনার ক্বালবুস সালিম বা প্রকৃত ইসলামী চেতনা কিভাবে শাহবাগী আন্দোলনের দাবিসমুহ এবং কার্যাবলী সমর্থন করে?
আর একভাবে চিন্তা করা যায়: একজন ক্বালবুস সালিম যে আন্দোলনে সম্পৃক্ত তা নিশ্চয়ই প্রকৃত ইসলামী চেতনা প্রচার/প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হবে। এখন আপনারমত লোকেরা যখন শাহবাগী আন্দোলনের পক্ষে জোড়াল ভুমিকা রাখেন তখন সাধারণ মানুষ ভাবতেই পারে যে এই আন্দোলনটা নিশ্চয়ই ইসলামের প্রকৃত চেতনা প্রচার/প্রতিষ্ঠার আন্দোলন - প্রশ্ন এখানেই, শাহবাগী আন্দোলন কি সত্যিই ইসলামের প্রকৃতি চেতনা প্রচার/প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল?
আমি জানি সব প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেয়া যায় না বা সব প্রশ্ন হয়ত মুখের উপর সরারসি উপস্থাপন করাও বেয়াদবী/অভদ্রতা। কিন্তু ব্লগ আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে - তাই আমারমত অপরিচিত/অনভিজ্ঞ/অজ্ঞ/মুর্খ ব্যাক্তিও আপনাকে সরাসরি বিব্রতকর প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছে। যদি উত্তর দিতে না চান সেটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার এবং সেক্ষেত্রে আপনি স্বচ্ছন্দে এই কমেন্ট মুছেও দিতে পারেন। শুধু একটাই অনুরোধ আপনি যে অবস্থানে আছেন সেখানে থেকে দয়া করে এমন কিছু করবেন না যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে বা যে বিষয়ে পরিষ্কার/সরাসরি উত্তর দেয়া কঠীন। কারণ আমাদের প্রত্যেককে এইরকম বা এরচেয়েও কঠীনভাবে জিজ্ঞাসিত হতে প্রতিটি কথা ও কাজের জন্য।
আল্লাহ আপনাকে আরো উচ্চতর আধ্যাত্মিক স্তরে উন্নীত হওয়ার তৌফিক দান করুন - আমীন।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল্লা আমাকে আপনাকে এবং সব অনুসন্ধিৎসুকে শরীর, রুহ ও সৃষ্টিজগৎ- এই তিনে সর্বতো বিলীন করে সকল রহস্য উন্মোচিত করে দিন, কারণ অজানা থেকেই পাপের উৎপত্তি। যে জেনেশুনে ভুল করে তার জন্য উন্মোচন কোন কাজের নয়। কিন্তু শুভতা যার ভিতরে আছে তার পক্ষে ভুল করা সম্ভব মাত্র এক জায়গায়, আর তা হল জানার গন্ডির সীমাবদ্ধতা। তাই তিনি আমাদের এই দূরত্বের পর্দা অপসারণ করুন। আমিন।
ভাই শাহবাগের দাবীর বিষয়টা কীভাবে আসে বলি।
১. নৈকট্যের সংজ্ঞায়ন
নিকটতর উদাহরণ দিলে বিষয় স্পষ্ট হয়। তবে বিষয়টা যে পারিবারিক, তা কিন্তু নয়। পুরো জগৎ মানুষের আপন। কিন্তু নিজের ভাষাগত জাতি একটু বেশি আপন হবেই। আবার নিজের ভূমি একটু বেশি আপন হবেই। তারচে বেশি আপন হবে নিজের পরিবার। এতে দূষণীয় কিছু নেই।
তাই,
তিনি বলেন, এই ফাতিমা সালামুল্লাহি আলাইহা হলেন আমার সন্তান। যারা এঁকে আনন্দিত করল, তারা আমাকে আনন্দিত করল। যারা একে কষ্ট দিল, তারা আমাকে কষ্ট দিল। যারা এর সাথে শত্রুতা পোষণ করল তারা আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করল। আর যারা এঁর সাথে ভালবাসা রাখল তারা আমার সাথে ভালবাসা রাখল। (৫৭ টি হাদীস গ্রন্থে, ৩০ টি ভিন্ন ভিন্ন শুদ্ধ রেওয়ায়েতে বর্তমান)
তিনি অন্যত্র বলেন,
হে আল্লাহ, এরাই আমার আহল আল বাইত (গৃহবাসী), আমি এদের উপর সন্তুষ্ট, আপনিও এদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আর আল্লাহ বললেন, হে আহলাল বাইত! আমি চাই কোন অপবিত্রতা যেন আপনাদের স্পর্শ না করে।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যা চান, শুধু বলেন, হও। আর তা হয়ে যায়।
এবং হাদ্বরাত দ্বিতীয় উমার আলাইহির রাহমা, যাঁকে ন্যায়বিচারের মানদন্ডে কখনো কখনো পঞ্চম খলিফাও বলা হয়, তিনি সাইয়্যিদুনা হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহুমার বংশধরের সম্মানে উঠে দাঁড়ালেন,
দ্বিতীয় উমার র.'র পূর্বপুরুষ এই আহলে বাইতে রাসূলের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেই পূর্বপুরুষ যে কিনা-
ইমাম আবু হানিফা আলাইহির রাহমা কর্তৃক ফাসিক ঘোষিত,
ইমাম শাফি আলাইহির রাহমা কর্তৃক মুনাফিক ঘোষিত,
ইমাম মালিক আলাইহির রাহমা কর্তৃক মুরতাদ্ব ঘোষিত,
এবং ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্মল আলাইহির রাহমা কর্তৃক ক্বাফির ঘোষিত,
সেই ইয়াজিদের।
তিনি, খলিফাতুল মুসলিমীন দ্বিতীয় উমার আলাইহির রাহমা, এক প্রকাশ্য সম্পদহীন যুবা বয়স্কর সম্মানে রাজসভা থেকে যখন উঠে দাঁড়ান। এগিয়ে যান। তাঁকে বলেন, বলুন, আপনার কী দাবি, তখন তিনি সেসব পূর্ণ করার আশ্বাস দিলে তাঁর অনভ্যস্ত উমরাহ গণ বলেন, হে খলিফাতুল মুসলিমীন! আপনার জন্য এক কম বয়েসি চালচুলোহীন যুবার সম্মানে দাঁড়ানো মানায় না।
তিনি তখন বলেন,
তোমরা কি শোননি, আমি পূর্ণ সহীহ রেওয়ায়েতের হাদিস জানি, যাতে বলা হয়েছে যে, রাসূল দ. বলেছেন যে, যে আমার ফাতিমাকে খুশি করবে সে নিশ্চিত আমাকেই খুশি করবে। একবার ভেবে দেখো, আমি এই আচরণের মাধ্যমে ফাতিমা সালামুল্লাহি আলাইহাকে খুশি করতে পারতাম কিনা!
আর তোমরা কি জানো না যে, প্রত্যেক বানি-হাশিমকে তথা হাশমীকে অধিকার দেয়া হয়েছে শাফাআতের?
অত:পর তিনি ওই তরুণের দিকে ফিরে তাকালেন এবং বললেন, বলুন, আপনি আমাকে নিয়ে জান্নাতে যাবেন তো?
তরুণ, বললেন, নিশ্চই আমি আপনাকে ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করব না।
(আর ইসলামী ব্যাঙ্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এই বছর দশই মুহররমের সময়কালে নরসিংদীর একটি ব্যাঙ্ক শাখায় আভ্যন্তরীণ সভায় বলেন,
-মুহররম উপলক্ষ্যে ইয়াজিদ র. কে কী পরিমাণ অসম্মানিত করা হচ্ছে!
-অথচ তিনি ছিলেন ন্যায়বিচারক শাসক।
-তিনি এলে আমরা বাংলাদেশের শাসনভার তাঁর উপর ন্যস্ত করতাম। তাঁর হাতে বাইআত গ্রহণ করে।
এই কথা শুনে ইসলামী ব্যাঙ্কে কর্মরত এক রোকন সদস্য বলে ওঠেন, নাউযুবিল্লাহ, এটা কি ইয়াজিদি ধর্ম নাকি?
আর আরেক সিনিয়র অফিসার, দলের সদস্য বলে ওঠেন, দরকার নাই আমার টাকার। চাকরির। ঈমান থাকলে পরকালে মুক্তি পাবো।
আর দারোয়ান বলে ওঠে, এরা তো প্রায়ই এ ধরনের কথা বলে। বহু বছর ধরে আছি। আমরা জানি।)
তাই,
রাসূল দ. মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার সময় বলছেন, হে আমার পিতৃভূমি, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে ভালবাসি। তারপর কাঁদছেন। (ভূমির প্রতি আলাদা মমত্বের নিদর্শন)
তাই,
তিনি বলছেন, আরবদের জন্য শোভনীয় নয় যে তারা পারসিকদের মত পোশাক পরবে। (ভাষাগোষ্ঠীর প্রতি মমত্ব)
তাই,
তিনি বলছেন, ওই গোত্রে তো বিবাহের সময় সঙ্গীতের প্রচলন আছে। তারা কি কনের সাথে সঙ্গীতজ্ঞ কোন নারীকে পাঠায়নি? (গোত্রের প্রচলনের প্রতি সম্মান ও মমত্ব।)
সংঘাত,
অথচ নিজ দেশপ্রেম, নিজ ভাষাপ্রেম, নিজ গোত্রপ্রেম কখনো কোনদিনই বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের এবং ইসলামের প্রতি বাঁধা হয়ে আসতে পারেনি সেই কথার সত্যায়ন পাই আবার অন্য হাদিসে-
ইয়া আইয়ুহান নাস! (খেয়াল করুন, রাসূল দ. আইয়ুহাল মু'মিনুন বা বিশ্বাস স্থাপনকারীর দল বলেননি, আইয়ুহাল মুসলিমুন বা ইসলাম গ্রহণকারীদের দল বলেননি, ইয়া উম্মাতি বা হে আমার জাতি বলেননি, তিনি বলছেন ইয়া আইয়ুহান না-স! হে মানবজাতি! হে মানুষ!) তোমরা জেনে রাখো, আরবের উপর অনারবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। অনারবের উপর আরবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। সাদার উপর কালোর এবং কালোর উপর সাদার কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। পিতার পাপ পুত্রের উপর বর্তাবে না, পুত্রের পাপের জন্য পিতা জিজ্ঞাসিত হবেন না।
একই রাসূল দ. নিজ গোত্র, নিজ ভূমি ও নিজ ভাষাগোষ্ঠীর প্রতি মমত্ব রেখেও বিশ্বপ্রেমে লীন হতে শিখিয়েছেন। কারণ, এই হাদিসগুলোয় কোন দ্বন্দ্ব নেই।
২. মুমিনের কার্যাবলী
ইন্নামাল আ'মালু বিন্ নিয়্যাত। কেন প্রতিটা হাদীস গ্রন্থে এই হাদিস দিয়ে শুরু? আমার মনের ভিতরে যে উদ্দেশ্য লুক্কায়িত আছে, তার উপর ভিত্তি করেই আমার কাজের মান নির্ধারিত হবে আল্লাহর কাছে।
এমনিতে ভাত খাওয়া বিশেষ কিছু নয়, প্রাকৃতিক কর্ম বিশেষ কিছু নয়, ঘুম বিশেষ কিছু নয়। এতে আর যাই থাক, প্রভুর দাসত্ব তথা ইবাদাত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং দেহের দাসত্বের সম্ভাবনা আছে।
কিন্তু একজন পূর্ণ মু'মিনের দৃষ্টিভঙ্গি, তথা নিয়্যাত কী রকম?
-আমি ভাত খাচ্ছি, এতে শক্তি হবে, শক্তি হলে আমি আরো ইবাদাত করতে পারব।
-প্রাকৃতিক কর্ম করছি। সুস্থ থাকব। সুস্থতায় আরো ইবাদাত হবে।
-ঘুমাচ্ছি। শরীর তরতাজা থাকবে। উঠে যা করব তা তো শুধুই প্রভুর জন্য করব।
-আমার সন্তানকে আমি আমার নিজস্ব কিছু হিসাবে ভালবাসি না, বরং প্রভুরই অধিকারে থাকা একটা পূর্ণতাপ্রাপ্ত রূহকে আমি আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছি। তখন সন্তানের গালে চুমু খাওয়া ইবাদাত।
-আমার সম্পদ নেই। একটা দিরহাম বা কোটি ডলার, এটা প্রভুর কাজের জন্য প্রভু কর্তৃক দেয়া আমানত। ইয়া রাব! আপনার আমানত আমি আপনার কাজে ব্যবহার করব বলেই আমার কাজেও ব্যবহার করি কারণ আমি নিজে আপনার কাজে ব্যবহৃত হব। তাই সম্পদ অর্জন, নিজের জন্য ব্যয় ও অন্যের জন্য ব্যয় ইবাদাত।
-আমি সামনে তাকিয়ে বায়োলজিস্টের মত গাছের পাতায় সবুজ রঙ দেখতে পারি। আবার কবির মত চোখের প্রশান্তি নিতে পারি আবার মুমিনের মত ভাবতে পারি, আহা, আমার রবের দেয়া চোখ দিয়ে আমারই রবের অনুপম সৃষ্টি দেখছি। চরম, মহা, পরম ইবাদাত।
তাই, যিনি ক্বালবুস সালিমে রয়েছেন। পূর্ণ মু'মিন হয়েছেন, তাঁর প্রতিটা শ্বাস প্রশ্বাস এবং পৃথিবীতে কাটানো প্রতিটা মিলি সেকেন্ড, মাইক্রো সেকেন্ড চরম ও পরম উচ্চতম ইবাদাত।
এই কারণেই আল্লাহ বলছেন, (কুরআন ও আহাদিসে কুদসিতে),
-সালাম হোক (যাকারিয়া আ.'র উপর, আরেক আয়াতে ঈসা আ.'র উপর) তাঁর জন্ম দিবসে, তাঁর ঘুম দিবসে এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন সে দিবসে। (কারণ তাঁরা এতটাই পারফেক্ট যে, তাঁদের জন্ম মুহূর্ত থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত এমন কিছু নেই, যাতে সালামের বত্যয় ঘটতে পারে।)
-সালামুন আলা নূহিম ফিল আলামীন (সালাম হোক নূহ আ.'র উপর, যত জগৎ আছে সমস্ত জগৎ থেকে)। (কারণ তাঁরা এতটাই পারফেক্ট এবং আল্লাহ কর্তৃক হিফাজতকৃত।)
-মু'মিন আল্লাহর নূর দিয়ে দেখে। আরিফ আল্লাহর চোখ দিয়ে দেখে।
-যারা শহীদ (শহীদের দুই অর্থ, ১. যাঁরা প্রাণপাত করেন আল্লাহর পথে, ২. যাঁরা আল্লাহর সাক্ষ্য দেয়ার মত উচ্চতর স্তরে উপনীত হন) তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তাঁরা জীবিত, তোমরা তা বুঝতে পার না। এমনকি তাঁদের কাছে রিযিক পৌছে থাকে।
-এবং আল্লাহর বন্ধুদের না আছে কোন (পাপজনিত) ভয়, না কোন (বিপদের) শংকা।
৩. বিচারপ্রার্থীতা
শাহবাগে আমরা কী চেয়েছি?
যারা বাংলাদেশের জন্মের সময় স্বজাতির মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতনের অপরাধে অপরাধী, সেইসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে নিজ নিজ কাজের ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের সবার বাংলাদেশে সক্রিয়তা নিষিদ্ধ করতে হবে।
এখানে ইসলামের কাজ হচ্ছে তিনভাবে,
১. ইসলামের নাম ভাঙিয়ে কিছু চরম পথভ্রষ্ট মানুষ এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল, যদি মুসলিম সেখানে জড়িত না হত, তাহলে এই কথা প্রমাণিত হতো যে,
-মুসলিম মুসলিমের অপকর্মের বিচার চায় না। (অথচ রাসূল দ. বিচারে ইহুদিকে ন্যায় পক্ষে পেয়ে তারই পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। আমরা এই রাসূল দ.'র শিক্ষাকে পদাবনত করতে পারি না। তাহলে ঈমান থাকে না।)
২. কিসাস দাবী করা ইসলামের অধিকার।
৩. ন্যায়বিচার সমাপ্ত করা ও সম্পূর্ণ করা ইসলামের নিদর্শন। বনু নাদ্বির। বনু কুরাইজা।
উপরের তিনটা স্তরের আলোচনার একত্রীকরণে আপনি কী পাচ্ছেন ভাই?
এবার আসি অন্য বিষয়ে।
কোনও একটা কারণে আপনার মনে ধারণা হয়েছে যে,
শাহবাগ আন্দোলন উকাযের মেলার মত কোন পূজা, পার্বণ, নৃত্যগীতি, অশ্লীলতা, মাদকদ্রব্যের আখড়া, জুয়া, ইত্যাদির মেলা।
জানাতে পারি, এই ধারণা ভুল। জানাতে পারি, লীগ তাদের মত করে এটাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। হ্যা। কমুনিস্টরা তাদের মত করে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। হ্যা। কিন্তু মানুষ, লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ- হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান বাঙালি অবাঙালি, তাঁরা এসেছিলেন কাঁচা একটা সুঘ্রাণ নিতে। ন্যায়বিচারের সুঘ্রাণ। সেখানে আমার মত অগুণতি অসংখ্য ধার্মিক লোক ছিল। অগুণতি অসংখ্য নারী ছিলেন প্রোপার পর্দা করে।
এই কারণে আপনি শাহবাগের সাথে ইসলামের কোন সম্পৃক্ততা পাচ্ছেন না।
আমি নিশ্চিত, আপনি জীবনে একবার হলেও হিন্দি সিনেমা দেখেছেন, একবার হলেও ইংরেজি সিনেমা দেখেছেন, এবার হলেও বাংলা সিনেমা ও নাটক দেখেছেন, একটা হলেও জাফর ইকবাল বা হুমায়ূন আহমেদের বই পড়েছেন, (যে পাঁচটার কোনটাতেই কোন টার্গেটেড অশ্লীলতা ছিল না বলেই ধরে নিচ্ছি), নিশ্চিত, আপনি ১,০০০ ঘন্টা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন। বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেছেন। চাচার সাথে প্রয়োজন নেই, এই পরিমাণ আলাপ করেছেন। একবার বলুন তো, সারা জীবনের বেশিরভাগ এইসব করে কাটালাম আমরা, যা না পাপ, না পূণ্য- এই কাজে ইসলামের ঠিক কী করা হয়েছে???
আপনি ভাই আতঙ্কিত। আপনি আতঙ্কিত শাহবাগ নিয়ে সম্পূর্ণ অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
আপনার কাছে এটা সম্মানিত মানুষদের রক্ষা করার জন্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, অপরাধী, চরম অপরাধী কখনো খলিফাতুল্লাহ হতে পারে না। কোনও খলিফাতুল্লাহ কখনো চরম অপরাধী ছিলেন না। কোনও খলিফাতুল্লাহ কখনো জনমানুষের দ্বারা এত বেশি ঘৃণিত ছিলেন না।
আপনাকে আমি অ্যাশিউর করতে পারি,
শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই ছিলাম।
রাতের পর রাত কাটিয়েছি।
আন্দোলিত হয়েছি দেশের গানে। দাঁড়িয়ে থেকে শ্লোগান দিয়েছি।
ওখানে কী হয়েছে কী হয়নি সেটা আমি তো জানি, নাকি? আর প্রতিটা মুহূর্তই আমার ছিল পরিপূর্ণ ইবাদাত। কারণ আমি ন্যায়বিচারের পক্ষে ছিলাম। কারণ এই ন্যায়বিচারের কথা আমি পুরো পৃথিবীর বিপরীতে মুখের উপরে বলে দিতে পারব।
আমি আমার অধিকার ছাড়ি নাই!
আল্লাহও তোমাদের মাফ করবেন না, কারণ এটা হাক্কুল্লাহ নয়, হাক্কুল ইবাদ!
কিসাস চাই! কিসাস!
আমি ওই লাশগুলোর ফিরিস্তি চাই, যেগুলোকে আমার মা বুড়িগঙ্গা নদীতে ষোল ডিসেম্বর নৌকা দিয়ে যেতে যেতে দেখেছেন। মাঝি নৌকা বাইতে পারে না, আহারে, খালি লাশে লাশে বৈঠা লেগে যায়। শত শত শকুন। কোত্থেকে এল? একটা লাশের উপর বসে, আর সেটা টুপ করে ডুবে যায়।
আমি আমার মায়ের চাচার হত্যার কিসাস চাই! রাজাকার আমার মায়ের চাচাকে হত্যা করেছিল একাত্তর সালে। তিনি কোন অপরাধ করেননাই। আমি রজম্ চাই ওই ব্যক্তিদের, যাদের কারণে আমার নানাবাড়ির ঘাটে নৌকার ২০ জন ঘুমন্ত মাঝি মারা গিয়েছিল।
বদলা চাই!
চোখের বদলে চোখ!
হাতের বদলে হাত!
পায়ের বদলে পা!
আর প্রাণের বদলে প্রাণ!
শরীআহর আলোকে বিচার চাই! ত্রিশ হাজার হলে তাও সই, তিন লাখ হলে তাও সই, ত্রিশ লাখ হলে তাও সই, আমাকে ত্রিশ হাজার হত্যার বিচার খালি করে দেখাও, আমি বিচার চাই! বিচার!
আমি উইটনেস, কোন তাত্ত্বিক নই।
তাই আমার জোরটা অনেক অনেক বেশি।
১০৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
েশখসাদী বলেছেন: আপনাকে আমি একজন বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী মানুষ মনে করেছিলাম । কিন্তু আপনিও পশ্চিমাদের প্রপাগান্ডা থেকে বেরুতে পারেননি ।
আপনারা জানিনা - ইসলাম বলতে কেন খালি আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বুঝেন । আর তালিবানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মিডিয়ার কত অপপ্রচার আছে তা একজন আফগানীর মুখে না শুনলে বিশ্বাস করতাম না ।
ইসলামকে যদি ভালোবাসেন - আল্লাহকে যদি ভয় করেন , তবে আপনাদের মত জ্ঞানী মানুষের উচিত ইসলাম প্রচারে সহায়তা করা - ইহুদি-নাসারা আর অবিশ্বাসীদের এজেন্ট হিসেবে নয় ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আরো জানুন। আপনার সাথে তর্ক নেই। আপনি খুবই ভাল মানুষ। আরো জানুন। ধন্যবাদ।
১০৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
হাসান নাঈম বলেছেন: "বদলা চাই!
চোখের বদলে চোখ!
হাতের বদলে হাত!
পায়ের বদলে পা!
আর প্রাণের বদলে প্রাণ!
শরীআহর আলোকে বিচার চাই! ত্রিশ হাজার হলে তাও সই, তিন লাখ হলে তাও সই, ত্রিশ লাখ হলে তাও সই, আমাকে ত্রিশ হাজার হত্যার বিচার খালি করে দেখাও, আমি বিচার চাই! বিচার!"
ওরে বাপরে! আপনি শরীআহ আইন চান? এটা দয়া করে শাহবাগে গিয়ে বলিয়েন না - ওরা তো শরীআহ এর কথা শুনলেই আৎকে ওঠে!!
"আপনি ভাই আতঙ্কিত। আপনি আতঙ্কিত শাহবাগ নিয়ে সম্পূর্ণ অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।"
শুধু আমি নই, বহু মানুষ শাহবাগের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি দেখে আতঙ্কিত হয়েছে। হ্যা, নিশ্চয়ই সেটা ভিন্ন দৃস্টিভঙ্গী - আমি ব্যাখ্যা করার চেস্টা করছি।
শাহবাগ কি বাচার চাওয়ার আন্দোলন ছিল?? তাও আবার শরিআহ আইনে বিচার?? কখনই নয়, শাহবাগ বরং বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করার আন্দোলন ছিল। কারন শাহবাগ আন্দোলনের শুরুই হয়েছে বিচারের রায় প্রকাশের পর। তার প্রথম দাবি ছিল একটাই 'কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই'। তাহলে এ'টাকে আপনি কিভাবে বিচার চাওয়ার আন্দোলন বলেন? বিচার চাওয়ার আন্দোলন কিভাবে বিচারের রায় প্রকাশের পর শুরু হয়??
শাহবাগ আন্দোলনের প্রভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে জনআকাংখার ভিত্তিতে রায় দেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানালেন(বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রির আহ্বান কঠোর নির্দেশের চেয়েও এক ডিগ্রি উপরে!!)। আপনি বলেন ইসলামী আইনতো নয়ই, দুনিয়ার কোন আইনে জনআকাংখার ভিত্তিতে বিচারের কোন বিধান আছে? জনআকাংখার ভিত্তিতে রাজনীতি চলে, ভোট হয়, সরকার গঠন বা পতন হয় কিন্তু বিচার কিভাবে জনআকাংখার ভিত্তিতে হবে? যদি কোন মানুষ অপরাধী না হয় বা তথ্য-স্বাক্ষির ভিত্তিতে উপযুক্ত আদালতে অপরাধ প্রমান করা না যায় তাহলে দেশের ৯৯% মানুষ চাইলেও কি তাকে ফাঁসি দেয়া যাবে? আপনার প্রকৃত ইসলামী চেতনা কী বলে??
হ্যা, আমি আপনার আবেগের স্থানটা বুঝতি পারছি। নিশ্চয়ই আমরা সব ধরনের অপরাধের উপযুক্ত বিচার চাই। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলন কী করেছে? তারাতো বিচার ব্যাবস্থাকেই চ্যালেঞ্চ করেছে। তারা আন্দোলনের মাধ্যমে আদালতকে প্রভাবিত করে নিজেদের অপছন্দের ব্যাক্তিকে ফাঁসি দিতে বাধ্য করেছে। অথচ একই অপরাধে বা তার চেয়েও বেশী অপরাধী ব্যাক্তিরা যারা ক্ষমতায় আছে তাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানাতেও অস্বীকার করেছে। অযুহাত হিসেবে বলেছে 'আমরা বাংলা পরীক্ষার সময় ইংরেজী পরীক্ষা দেই না'। অথচ আমার দেশ পত্রিকা নিষিদ্ধ বা মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানানোর সময় আর এই যুক্তি মনে থাকে নি।
শাহবাগীদের এই আচরণ মানুষকে আতংকিত করেছে। কারণ মানুষের শেষ আশ্রয় হচ্ছে আদালত। শাহবাগীরা যেভাবে নিজেদের ইচ্ছামত আদালতকে ব্যাবহার করেছে বা ভিন্নমতের প্রতি যে উগ্র মনোভাব দেখিয়েছে তাতে মানুষের মনে এই বিশ্বাস তৈরী হয়েছে যে এরা সফল হলে দেশে আর কার নিরাপত্তা থাকবে না। যারাই শাহবাগীদের সহযোগী/অনুগত না হবে তাদেরকেই বিনা-বিচারে, বা আদালতকে প্রভাবিত করে আইনের মারপ্যাচে হত্যা করা হবে। এই আতংক থেকেই শাহবাগের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে গেছে এবং ঠিক এই কারনেই মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ করা সম্ভব হয়েছে। যদিও সরকার এবং শাহবাগীদের সর্বোচ্চ বাধায় আগ্রহীদের ২০% ও সমাবেশস্থলে পৌছাতে পারেনি।
"কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, অপরাধী, চরম অপরাধী কখনো খলিফাতুল্লাহ হতে পারে না। কোনও খলিফাতুল্লাহ কখনো চরম অপরাধী ছিলেন না। কোনও খলিফাতুল্লাহ কখনো জনমানুষের দ্বারা এত বেশি ঘৃণিত ছিলেন না।"
আসলেই কি তাই? আপনারা যাদেরকে চরম অপরাধী ভাবছেন তারাই কি অন্য এক শ্রেনীর মানুষের কাছে চরম শ্রদ্ধেয় নয়? দেখুন আপনারা আন্দোলনের চাপে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আদালতের মাধ্যমে দেলোয়ার হোসেন সাইদির ফাঁসির রায় আদায় করার পর তার প্রতিবাদে রাস্তায় যে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে শতাধিক মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে, দশ হাজারের বেশী আহত হয়েছে, দেশব্যাপী সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। স্বাধারনত কোন আন্দোলনেই সমর্থকদের ৪-৫% এর বেশী মানুষ রাস্তায় নামে না - সেই হিসেবে এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে কয়েক কোটি মানুষ। এই মানুষদের কাছে তারা কি ঘৃনিত না শ্রদ্ধেয়?
দেখুন ইতিহাসে কী লেখা থাকবে - ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নৃসংশভাবে নিহত হওয়ার পরও একামত্র কাদের সিদ্দিকী ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করেনি, জীবন উৎসর্গতো বহু দুরে, একটা প্রতিবাদ মিছিলও হয়নি (নিন্দুকেরা বলে তখন নাকি আনন্দ মিছিল হয়েছিল!!)। আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় (এখনও ফাঁসি হয় নি!) এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে দশ হাজারের উপরে - -ভেবে দেখেছেন কি, ভবিষ্যত প্রজন্ম এই ইতিহাস কিভাবে মুল্যায়ন করবে?
আপনার পরিবার ৭১ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে - তার বিচার আজও পাননি। এটা নিশ্চয়ই বেদনার। আমি নিশ্চিত ভাবেই আপার পরিবারের উপর যে নির্যাতন হয়েছে তার উপযুক্ত বিচার চাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে - আপনার মায়ের চাচাকে যারা হত্যা করেছিল তাদের বিচার কি ট্রাইবুনালে হচ্ছে? অথবা ট্রাইবুনালে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের কেউ কি আপনার নানাকে হত্যা করেছিল? আপনি বা আপনার আত্মীয়রা কি স্বাক্ষি হিসেবে ট্রাইবুনালে গিয়েছিলেন? বা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান সরবরাহ করছিলেন?(আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে!!)
আপনি কি মনে করেন একজনের অপরাধে অন্যদের বা অপরাধীর সমর্থকদের বা অপরাধীর সমগোত্রীয়দের বা অপরাধীর আদর্শিক সহযোগীদের স্বাস্তি দেয়া বৈধ? আপনার প্রকৃত ইসলামী চেতনা কী বলে??
ধরুন ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রকাশ্য রাস্তায় কিছু মানুষকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল - আমরা টেলিভিশণের মাধ্যমে সেই দৃশ্য কম বেশী সবাই দেখেছি। কারা মেরেছে, কেন মেরেছে, সবাই তা জানি। তাছাড়া একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিনিয়ত সারা দেশে বহু মানুষ(এমনকি নিজ দলের মানুষও) হত্যা করছে। এখন কি আপনি সেই হত্যাকান্ডের জন্য সেই দলের সবাইকে বা সেই আদর্শের/চেতনার সাবাইকে, বা সেই দল/সংগঠনের নেতাদের দুনিয়ার কোন আইনে ফাঁসি দিতে পারবেন? যদি কার সরারসি কম্পৃক্ততা স্বাক্ষি-তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত আদালতে প্রমানিত না হয়? হ্যা, রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে ঘায়েল করার জন্য ফাঁসির দ্বাবি নিয়ে আন্দোলন করা যেতে পারে - কিন্তু আইন আদালত কি রাজনীতির স্থান? নাকি শাহবাগে আপনারা রাজনীতি করতেই ( বা কোন দলকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে ) গিয়েছিলেন?
আপনি বলেছেন 'নিয়ত গুনে বরকত' - তাই বলে কি কেউ যদি কোন ওজর ছাড়া মদ/গাঁজা/শুকরের মাংস সাগ্রহে মজাছে খেতে থাকে আর বলে আমার নিয়ত ঠিক আছে, আমি ইবাদত করছি - তাহলে কি সেটা সমর্থনযোগ্য হবে?
হ্যা, এগুলি সবই ভিন্ন দৃস্টিভঙ্গীর চিন্তা-ভাবনা। আশা করি এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন দুনিয়া কত বৈচিত্রময়!!
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এবার আপনার কমেন্টে এমন কিছু বিষয় আছে, যা কোট করতে হবে না। এমনিতেই ভেসে যাবে।
আপনি বরং একটু ওই ব্যক্তিগুলো বিষয়ে ক্লিয়ার কথা বলুন। প্লিজ। আমি জামাতে এক্সপার্ট। আপনি বলুন। আর এই মন্তব্যের জবাব সুন্দর করে ধীরে সুস্থে দিব।
প্লিজ জামাতের নেতৃবৃন্দের বিষয়ে একেবারে খুল্লাম খুল্লা বলুন। কারণ আমার বলার অনেক কিচু আছে। একাত্তরের কথা দিয়েই শুরু করুন। ইউ হ্যাভ দ্য ফ্লোর।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মদ/গাঁজা/শুকরের মাংস সাগ্রহে মজাছে খেতে থাকে আর বলে আমার নিয়ত ঠিক আছে, আমি ইবাদত করছি - তাহলে কি সেটা সমর্থনযোগ্য হবে?
আর আপনি এইটা কী বললেন?
আমিতো বুঝলাম না।
মদ গাঁজা খাওয়ার মধ্যে আবার নিয়ত কী?
আমি কোন জায়গায় হারাম জিনিস খাওয়ার নিয়তের কথা বলেছি?
হারাম জিনিস ভাল নিয়তে খেতে হবে সেটা কোথায় বলেছি?
১০৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
হাসান নাঈম বলেছেন: এই পোস্টের লেখক আপনি - লেখক হিসেবে আপনার বক্তব্য আপনাকেই জাস্টিফাই করতে হবে, পাঠক হিসেবে আমার প্রশ্নের উত্তরও আপনাকেই দিতে হবে।
আপনি জামাত এক্সপার্ট (সাবধান, শাহবাগীরা শুনলে ". . . ধইরা ধইরা জবাই কর " এর প্রাক্টিক্যাল শুরু করে দিতে পারে!! )- কিন্তু আমিতো এখানে জামাতকে ডিফেন্ড করতে আসি নাই।
আপনি বার বার কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে অন্যরা কে কত খারাপ, কে কত অন্যায় করেছে, কে কত ভুলের মধ্যে আছে সেই দিকে যেতে চাইছেন - নো ব্রাদার, লাঠির পাশে ছোট লাঠি রেখে সেটাকে বড় দেখানোর এই খেলায় আমি নাই।
আপনি চাইলে যে প্রশ্নগুলি তুলে ধরেছি তার যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেন - না চাইলে সে স্বাধীনতাতো আপনার আছেই। এমনকি খুব বেশী বিরক্ত হয়ে থাকলে আমার সকল কমেন্টও মুছে দিতে পারেন। আমি কিছুই মনে করব না। শুধু অনুরোধ থাকবে কোন একটা চেতনা বা আবেগে অন্ধ না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃস্টিভঙ্গী অনুধাবনের চেস্টা করুন। একজন ক্বালবে সালিমের পক্ষে আবেগে ভেসে যাওয়া কখনই শোভনীয় নয়।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পোস্টের লেখক আমি। পোস্টে মন্তব্যকারী আপনি। সমভাবে শেয়ার করছি আমরা ভাবনা, ঠিক না?
মন্তব্যে আপনি বলছেন, কী বলছেন কোট করব?
পোস্টদাতা হিসাবে আপনি আমাকে যা যা জিগ্যেস করেছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জবাব আমি দিয়েছি। (একটা মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি। এখনো দেইনি। এই মন্তব্যের জবাবও দিব। আমার স্বভাব মত অনুপুঙ্খভাবে দিব। কিন্তু আপনার জন্য অত্যন্ত কষ্ট করে আমি যে কথাগুলো তুলে ধরেছি, আপনি শুধুই সেগুলোকে পাশ কাটালেন। )
এখন আমার অধিকার আছে আপনার কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ সেগুলো জানতে চাইবার।
শক্তির কাছে ভীত হওয়ার কিছু নেই। হেফাজত শক্তির কাছে যেমন আমি ভীত না, আপনিও এন্টি জামাত শক্তির কাছে ভীত না। এই পোস্টে কেউ আপনাকে গালি দিবে না, তা সে যে-ই হোক না কেন, অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আমি তাকে রহিত করব।
আমি যেমন বলে যাচ্ছি আমার কথা যুক্তি প্রমাণ ও স্টেপ বাই স্টেপ, আপনার কাছে এটুকু চাইতে তো পারি?
(আপনি হয়ত জানেন না, ক্বালবে সালিমরা সবচে বেশি আবেগী হয়ে থাকে। কারণ ক্বালব তারাই সবচে বেশি ব্যবহার করে। আর আমি কন্সট্যান্ট প্রশান্তহৃদয়ে থাকতে পারি না। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। যদি থাকতাম, তাহলে এখন এই পোস্টই দিতাম না। শুধু অবজার্ভ করতাম এবং আমার যে লক্ষ্য, সেটাকে আরো কীভাবে অজর্ন করা যায় সে ভাবনায় থাকতাম। এবং তা ঠিকই অর্জন করতাম।)
আমি দেখতে চাই,
গোলাম আজম কীভাবে শ্রদ্ধেয় হয়।
নিজামীর একাত্তরের ভূমিকা কীভাবে শ্রদ্ধেয় হয়।
মুজাহিদের প্রতিষ্ঠিত আল বদর কী কী শ্রদ্ধাভাজন কাজ করেছে।
জামাতে ইসলাম একাত্তরে কী কী কাজ করেছে। কী বলেছে। কেন বলেছে। এতে ভাল উদ্দেশ্য কী কী ছিল।
আমাকে জানান।
জানান,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেন আপনার কথা অনুযায়ী ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক?
কেন এই চেতনার সাথে ইসলামের দ্বন্দ্ব আছে বলে আপনি বলছেন?
১০৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
হাসান নাঈম বলেছেন: আপনি বার বার প্রসঙ্গের বাইরে যাওয়ার চেস্টা করছেন - জামাত কি, কেমন বা জামাত নেতারা কে কি করেছে বা করেনি সেটাতো আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শাহবাগের আন্দোলন সঠিক ইসলামী চেতনা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন কি না?
আপনি সেই পয়েন্টে থাকুন এবং বলুন কিভাবে শাহবাগের ঐ কাজগুলি ইসলামের সঠিক চেতনা বাস্তবায়নের জন্য হয় - আমি পরিষ্কার করে বলছি:
১. আন্দোলনের চাপে বা প্রধানমন্ত্রির নির্দেশে আদালতকে প্রভাবিত করে কার বিরুদ্ধে(যে কেউ, সে যত বড় অপরাধীই হোক) ফাঁসির রায় আদায় করা ইসলামের সত্যিকার চেতনার আলোকে বৈধ কি না?
২. চরম ইসলামবিদ্বেষী 'থাবা বাবা' কে ইসলামী পরিভাষা 'শহীদ' উপাধীতে ভুষিত করা বৈধ হয়েছে কি না?
৩. শাহবাগে যেভাবে বেপর্দা হয়ে ছেলে-মেয়ে একত্রে মঞ্চে নাচ-গান-নাটক করেছে, ইসলামের প্রতিক দাড়ি টুপিকে অপমান করেছে সেটা ইসলামের মৌলিক চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য করেছে কি না?
৪. আপনি বা শাহবাগের আন্দোলনকারীরা যাদেরকে ঘৃনা করেন দেশের একটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠি ( জামাতের ৫% ভোটার হিসেবে ১৬ কোটির মধ্যে অন্তত ৮০ লাখ ) চরম ভাবে শ্রদ্ধা করে। এতটাই যে তাদের একজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা শতাধিক মানুষ জীবন দিয়েছে, দশ হাজারের বেশী আহত হয়েছে। অন্য জনগোষ্ঠির শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিদের হেয় করা, গালি-গালাজ করা, বা যেকোন ভাবে অপমান করা ( সে যতবড় অপরাধীই হোক ) ইসলামের সঠিক চেতনার আলোকে বৈধ কি না?
৫. একই অপরাধে নিজেদের অপছন্দের একজনকে জোর করে আদালতের উপর প্রভাব খাটিয়ে ফাঁসি দেয়া আর অন্যদেরকে যারা ক্ষমতায় আছে বিচারের আওতায় আনার দাবিও না করা - এই ধরনের পক্ষপাতমুলক আচরণ ইসলামে বৈধ কি না
আমি কোন ব্যখ্যা - বিশ্লেষণ বা ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে উত্তর আশা করি না। সম্ভব হলে সরাসরি হ্যা/না তে উত্তর দিন। না হলে - এই প্রসঙ্গে আলোচনা এখানেই শেষ।
আমি আপনাকে কিছু বুঝাব বা মানাবো অতটা যোগ্য নিজেকে মনে করি না। আমি এবং আমারমত আরো অনেকে( সম্ভবত আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ) শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে যা দেখেছি তার আলোকে বিষয়গুলি আপনার অবস্থান থেকে ইসলামের সঠিক চেতনার ভিত্তিতে কেমন তাই জানতে চাইছিলাম।
যদি বলেন যে এই প্রশ্নগুলিই ভুল, শাহবাগের ক্ষেত্রে এ'গুলি প্রযোজ্য নয় বা শাহবাগ এইসব কিছুই করেনি তাহলে আমাকে বলতে হবে যে ১. হয় আপনি নিজেই বোঝেন নি শাহবাগ জনগনের কাছে কী মেসেজ দিচ্ছে, অথবা ২.শাহবাগ যে মেসেজ দিতে চেয়েছে তা দিতে পারেনি বা জনগনের কাছে তা পৌছায় নি। এই দুই এর যেটাই হোক তার জন্য আমরা সাধারণ জনগন ক্খনই দ্বায়ী নই, দ্বায় আপনাদের আন্দোলন কারীদের - আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শাহবাগকে যেভাবে দেখেছি তার ভিত্তিতেই এই প্রশ্নগুলি এসেছে। এবং আমি নিশ্চিত যে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি শাহবাগকে ঠিক এ'ভাবেই দেখেছে - তার প্রমান শাপলা চত্তরের সর্বকালের সর্ব বৃহৎ জনসমাবেশ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জনাব, পোস্টের বিষয় মূলত একটা, তা হচ্ছে, হেফাজত।
উপবিষয় হল মূলত দুটা-
১. শাহবাগ আন্দোলন ন্যায়বিচারের আন্দোলন, (খেয়াল করুন, ধর্মীয় আন্দোলন বলি নাই।)
২. জামাত বাংলাদেশের ৭১ যুদ্ধে অপরাধী, ব্যক্তি এবং দলীয়ভাবে।
এখন,
আপনি যদি বলেন, শাহবাগ আন্দোলন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন কিনা?
জ্বি না জনাব,
এটা রাজাকার ঝুলানোর আন্দোলন। এটা চোর পিটানোর আন্দোলন।
এবার আপনি আমার প্রশ্নগুলোর জবাব দিন,
যেহেতু আপনি আমাকে এত প্রশ্ন করতে পেরেছেন এবং শত শত বাক্য নষ্ট করে আমি সেগুলোর জবাব দিয়েছি, রক্তমাংসের আঙুল কিবোর্ডে নাচিয়ে, আপনার জবাব দেয়াটা ওউচিত্যের মধ্যে পড়ে।
আর খেয়াল রাখবেন, আপনি আপনার তথ্যের রিপ্রেজেন্ট করছেন। মানুষ কিন্তু আপনার মন্তব্য এবং আমার জবাব দুটাই পড়ছে।
লুকিং ফরওয়ার্ড।
১০৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: খুবই আগ্রহদদীপক আলোচনাছলছে.।চালিয়ে যান।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইকবাল ভাই, ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
শতাব্দী রায় বলেছেন: জটিল জিনিস ভাই, ধন্যবাদ অফুরন্ত। প্রিয়তে নিলাম। একটু বড়, তাই আরো কয়েকবার পড়বো।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে বড় হয়ে গেছে। হোলিস্টিক দৃষ্টিভঙ্গি আনতে গেলে বড় হয়ে যায়। অবশ্য সঙ্কটকালে মানুষ বড় লেখা পড়তে পারে না। এজন্যই এখন ফেসবুকে বেশি আনাগোনা হচ্ছে।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল ভাই। আপনার প্রোপিক চোখের প্রশান্তি আনে।
১১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: লিসানী ভাই আসসালামালাইকুম।
শুধু ভাল লাগছে বললে ভূল হবে। বলবো স ময়ের প্রয়োজনে সাহসী পদক্ষেপ।
ভালো থাকুন ভাই
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ, ভাল থাকব।
কতদিন কত কত দিন পর আপনার সাথে আলাপ!
ভাল থাকুন শের শায়রী ভাই। ঢাকা আপনাকে সুখের ঠিকানা দেখাক।
১১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১২
হাসান নাঈম বলেছেন: সরাসরি সংক্ষেপে উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা, শাহবাগের আন্দোলনকারীরা বিষয়টা এ'ভাবে ভাবতেই পছন্দ করে - তাদের ভাবনা ঠিক না ভুল সেটা ভবিষ্যতে জানা যাবে। যদি সঠিক হয়, অন্তত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সঠিক মনে করে তাহলে তারা বিজয়ী হবে -অন্যথায় তাদের পরাজয় ঘটবে।
আমি কিন্তু এই প্রশ্নগুলি কোন স্বাধারণ শাহবাগীকে করি নাই। আপনাকে করেছি, কারণ আপনি বলেছেন ইসলামের প্রকৃত চেতনা আপনার কাছে আছে। আমি মুলত জানতে চাইছিলাম 'ইসলামের প্রকৃত চেতনা'র ভিত্তিতে শাহবাগের আন্দোলন সেইরকম ছিল কি না যেমনটা তারা মনে করে। সে জন্যই শাহবাগে সংঘটিত ঘটনার/বিষয়ের ভিত্তিতে প্রশ্নগুলি করেছিলাম। যদি আপনি প্রশ্ন ধরে ধরে হ্যা/না উত্তর দিতেন তাহলে আরো পরিষ্কারভাবে বোঝা যেত যে আপনার কাছে থাকা 'ইসলামের প্রকৃত চেতনা'র চেহারাটা ক্যামন বা 'ইসলামের প্রকৃত চেতনা' কোন ধরনের কাজকে অনুমোদন করে।
যাইহোক, পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও অন্তত এটা জানা গেল যে শাহবাগের আন্দোলন 'ইসলামের প্রকৃত চেতনা' বাস্তবায়নের আন্দোলন ছিল না। এবং আপনি একজন 'ক্বলবে সালিম' ব্যাক্তি হয়েও, ইসলামের প্রকৃত চেতনা সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয়েও বিশ্ব মানবতাকে সেই চেতনার মাধ্যমে সুনিশ্চিত ধ্বংস থেকে রক্ষার জরুরী কাজ বাদ দিয়ে অন্য আন্দোলনে সময় নস্ট করছেন - যা নি:সন্দেহে হতাশাজনক।
আপনি আমার বিরক্তিকর/বিব্রতকর প্রশ্নগুলির দীর্ঘ জবাব দিতে গিয়ে যে কস্ট স্বীকার করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ। যদিও আমি ঐ রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষন মুলক উত্তর চাই নি - চেয়েছিলাম সরাসরি হ্যা/না উত্তর। আর আমি আাপনাকে যাকিছু বলেছি তার সবই হচ্ছে আপনাদের বলয়ের বাইরে থাকা মানুষের চিন্তা-ভাবনা - যার মুল বিষয় হচ্ছে দৃস্টিভঙ্গীর পার্থক্য। আপনি যদি কখনও নিজের বলয়ের বাইরে আসতে পারেন তাহলেই ওগুলি বুঝতে পারবেন - অন্যথায় অসম্ভব। অনেকটা 'গ্লাসের অর্ধেক পুর্ণ আর অর্ধেক খালি' এর মত ব্যাপার। কাজেই এই বিতর্ক দীর্ঘ করার কোন অর্থ নাই।
ভাল থাকুন - আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন - আমীন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি,
সেখানে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আমি যাইনি।
কেউ যায়নি।
সেখানে গেছে 'ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার' জন্য।
দুটা ভিন্ন বিষয়।
এখন যদি বলেন,
মুসলিমকে শুধু ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজ করতে হবে কিনা,
এ বিষয়ে জবাব আগেই দিয়েছি। আপনি মুভি দেখার সময় ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন না। বন্ধুর সাথে আকাশ বাতাস প্রকৃতি বা কী উচিত এবং কী উচিত না এ বিষয়ে আলোচনার সময় ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন না।
ইন ফ্যাক্ট, আপনি চব্বিশ ঘন্টার অতি অতি অল্প সময় ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন অথবা তার কাজ করেন।
এই অতি অতি অল্প সময় বাদ দিয়ে যা সময় থাকে, সেই সময় কী করেন, এই প্রসঙ্গ উঠলেই বাকিটা আপনার নিজের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
(লক্ষ্য করুন, আপনার শেষ তিনটা মন্তব্য ছাড়া সমস্ত মন্তব্যের সমস্ত প্রশ্নের বিশদ এবং ব্যাখ্যামূলক উত্তর আমি দিয়েছি। শেষ তিনটার প্রতিটা অক্ষরের ব্যাখ্যামূলক, সরাসরি এবং বিশদ উত্তর দিতেও প্রস্তুত আছি। কিন্তু আপনি আমার কয়েনে খেলছেন না। আমি কষ্ট করে আপনাকে শত শত বাক্যে জবাব দিয়ে দু চারটা প্রশ্ন করছি। আপনি সেটার কোনটার বিন্দুমাত্র জবাব দিচ্ছেন না। এর ফলে আপনার আদর্শ সবার সামনে উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে। এসবই আল্লাহর করুণা।)
এখনো আমার প্রশ্নগুলো রয়ে গেল।
আপনার প্রশ্নের জবাব দেয়ার মাধ্যমে আমার প্রশ্নের জবাব পাবার অধিকার আমি অর্জন করেছি।
সেই অধিকার থেকে জানতে চাইছি।
১১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
স্বপনীল জলরং বলেছেন: অসাধারণ যা ধন্যবাদের ও উপরে কিছু প্রাপ্য।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্ননীল ভাই। আপনার প্রোপিক আসলেই স্বপ্ননীল।
১১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
উযায়র বলেছেন: দ্বিতীয় উমার র.'র পূর্বপুরুষ এই আহলে বাইতে রাসূলের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেই পূর্বপুরুষ যে কিনা-
ইমাম আবু হানিফা আলাইহির রাহমা কর্তৃক ফাসিক ঘোষিত,
ইমাম শাফি আলাইহির রাহমা কর্তৃক মুনাফিক ঘোষিত,
ইমাম মালিক আলাইহির রাহমা কর্তৃক মুরতাদ্ব ঘোষিত,
এবং ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্মল আলাইহির রাহমা কর্তৃক ক্বাফির
রেফারেন্স কি ? কৈ পেলেন এসব ?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উযায়র,
শিখুন।
১১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
উযায়র বলেছেন: আপনার গবেষণা ও আবিষ্কার অভিনব :
কওমী - দেওবন্দী- তাবলীগি = ওহাবী -আলকায়েদা = জামাত = তালেবান ! ( সব মিলিয়ে হেফাজত )
এই সমীকরণে
তাবলীগ = আল কায়েদা
তাবলীগ = জামাত
কওমী = জামাত
তালেবান = তাবলীগ
সুফিবাদী দেওবন্দী = ওহাবী
মা-শা- আল্লাহ । আপনার পূর্বে কোন বিশ্লষক, গবেষক, রিপোর্টার, বা গোয়েন্দা সংস্হা এরকম কিছু আবিষ্কার করতে পারেন নি !
তবে একটা মিল অবশ্য পাওয়া যায়, এরা সবাই মুসলমান, নবীর শানে বেয়াদবী করলে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে, (কম-বেশী) প্রতিবাদ করে । হেফাজতের কর্মসূচী সমর্থন করে বা কমপক্ষে বিরোধীতা করে না ।
আর আপনি এর বিপরীত !
আপনার চিন্তা ভাবনা ও কথা দেখে পোষ্টে কমেন্টের রুচী হয়নি, গত কয়দিন, সত্য প্রকাশের জন্য তাও লিখলাম । সত্যি বলতে হুবই অরুচিকর ( বমি আসার মত ) লেগেছে পোষ্ট।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কথা ঠিকমত বলতে না পারলে বাজ অফ।
আপনি পোস্ট পড়েছেন?
আবার পড়েন।
আবার পড়েন।
তখন বুঝতে পারবেন আপনি যে সরল সমীকরণ দিয়েছেন আমি তা লিখিনি।
আমারই পোস্টে, লেখা বর্তমান থাকা অবস্থায় লেখার মোটিভ চেইঞ্জ করে ফেলবেন, আবার বমিও করবেন, মূর্খ ভাবেন নাকি?
আপনার ধর্ম সম্পর্কে কতটা আইডিয়া আছে জনাব?
আমি কীসের বিপরীত?
আপনাকে বেআদব ডাকতে হয় না, এমন পরিস্থিতির উদ্ভব করান।
কী করেছেন রাসূল দ.'র শান নিয়ে?
আমার ব্লগওতো দেখেন নাই। দেখলে এই কথা মুখ দিয়ে বের হত না।
১১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
শাহেদ চট্রগ্রাম বলেছেন: একটি পোস্ট দিয়ে প্রতিটি কমেন্টকারীকে উত্তর দেয়ার এবং সন্তুস্ট করার চেস্টা করেন। কি অসাধারণ ধৈর্য্য এবং ব্যক্তিত্ব !!!!!
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আল্লাহ মাফ করুক। আমি জবাব দেয়াই বন্ধ রেখেছিলাম কিছুদিন। যার অন্তরে তিল পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। রাসূল দ.'র এই বাণীর কথা মনে পড়ে গেছে এবং আমার তীব্র অহঙ্কারের কথা মনে পড়ে গেছে বলেই এতদিন দেরি করেছি। আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
১১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২২
ঢাকাইয়া০০৭ বলেছেন: আমি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। অতি সাধারণ একজন বাঙ্গালী মুসলমান। ব্লগার আর নাস্তিককে যেমন মোল্লারা গুলিয়ে ফেলেছে তেমনি কিছু ব্লগার আবার মোল্লাদের জনমকুন্ডলি বের করে কবে কোথায় কোন মোল্লা কি দিয়ে ভাত খেয়ে কেমন বদবায়ু বের করেছে তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করেছে। আমি বুঝিনা নিজের খেয়ে নিজের পরে এসব সন্দর্ভ লিখে এদের কোন্ ডক্টরেট ডিগ্রী হাসিল হবে (তবে পেইড হলে আলাদা কথা) ?
শেষ কথা, ব্লগে যেহেতু অল্প-স্বল্প বিচরণ করি তাই আমার ধারণা যারা আস্তিক ব্লগার আছেন এবং প্রজন্ম চত্ত্বরের সাথে জড়িত তারা অবশ্যই জানেন কোন্ কোন্ নাস্তিক ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে । তাদেরকে চিন্হিত করে প্রজন্ম চত্ত্বর থেকে বের করে আইনের হাতে তুলে দিন।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার পুরো কথাটাই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত হল।
কিন্তু ভাই, ব্লগ কিন্তু সিটিজেনের সংবাদপত্রও।
এখানে অনুসন্ধানী লেখা লেখা হয়।
আর আমাদের মত সাধারণ বাঙালি মুসলিম ব্লগারদের পিছনে হেফাজত লাগলে তাদের জনমকুন্ডলী বের করা তো কোন অপরাধ হবে না। বরং সাবধানতার জন্য ভালই মনে হবে।
আমি আমার কথা স্বাধীনভাবে বলব, কিন্তু কেউ পে করবে, এমন ব্যবস্থা হলে ভাল হত। এম্নিতেও লিখে পেটে ভাত জোটানো কোনকালে সম্ভব ছিল না।
যদি জানা থাকে অনুগ্রহ করে একটা নক করবেন।
১১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫২
নাজমুস চৌধুরি বলেছেন: বস ফ্যান হয়ে গেলাম। এত দিন পর সামু তে ঢুকে আপনার লেখাই প্রথম পরলাম। আশা করি পাঠক কুলের বোধদয় হবে, জাতির বোধদয় হবে। আর যদি না হয় তাহলে অন্ধকার ছাড়া সামনে আর কিছুই নাই
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আলো আর অন্ধকার তো নাজমুস চৌধুরি ভাই সব সময়েই পাশাপাশি চলছিল। তবে দেশে দেশাত্ববোধ অতিমাত্রায় কমে গেছে। এজন্য অন্ধকারের ভয় রাখা অমূলক নয়।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৪
আতাউররহমান১২০০৭ বলেছেন: আপনার কাছে সব ইসলামী দল( কওমি ) ভেজালযুক্ত খালি আপনার মত মাজারপন্থীরা ছাড়া , তাই না ?আর আপনি কি চান কাশ্মীরে, মিয়ানমারে আফগানিস্তানে মুসলমানরা কাফেরদের জুতার তলায় পিষে মরুক , হানাদার বাহিনীগুলোর কাছে জীবন দিক? কোন প্রতিবাদ না করুক ? হাদীস শরীফে এসেছে , '' গান মানুষের অন্তরে মুনাফিকি সৃষ্টি করে ,যেমন পানি শস্য তৈরি করে। '' আর আপনি আরব জামানার পৌত্তলিক দের মত যুদ্ধ বিগ্রহে গান,বাদ্য কে জায়েজ করে দিয়েছেন? শাহবাগ কি কোন যুদ্ধক্ষেত্র ছিল ? আজানের সময়, নামাজের সময় নারী পুরুষ একসাথে নাচা, হইহুল্লোড় করা বহুত দেশপ্রেম, সওয়াবের কাজ? ইসলামের কোন যুদ্ধে সাহাবীরা নারী পুরুষ একসাথে নাচতে নাচতে জিহাদে গিয়েছে? শাহবাগের আন্দোলনকে ইসলামি জিহাদের সাথে তুলনা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আতাউর রহমান ভাই,
আপনি সমস্ত ইসলামী দলকে কওমী বলছেন? তার মানে কি আপনার কথামতও, কওমী ছাড়া আর কোন ইসলামী দল নেই? তাহলে, এখন আমি যদি বলি, আমরা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত এবং আমরা সকলে সঠিক, তাহলে বিষয়টা কেমন হয়? আপনার সাথে আমাদের কথার কি কোন মৌলিক তফাত থাকে?
ভাই আমার কথা শুনলে কি বিশ্বাস করবেন? আমার চোখে যারাই মুসলিম, তারাই কমবেশি ইসলামি দল। কিন্তু, সেই ইসলামি দলের মধ্যে সঠিক পথ এবং ভুল পথ বলে তো কিছু বিষয় আছে, তাই না?
মাজারপন্থী বলতে কোন দলের নাম আমার জানা নাই ভাই। আমরা হলাম ক্ল্যাসিক মুসলিম। মুসলিম। বড়জোর আহলুস সুন্নাহ বলতে পারেন, অর্থাৎ যারা রাসূল দ.'র সুন্নাহ এবং তাঁর আসহাব রা. গণকে অনুসরণ করেন। অথবা সূফি বলতে পারেন, যারা রাসূল দ.'র মসজিদে নববীতে অবস্থান করা শত শত আহলে সূফফা সাহাবা রা. গণের আদর্শে অনুপ্রাণিত। মাজারপন্থী বলতে কোন শব্দ নেই।
জি না, আমি চাই না কাশ্মীর, মিয়ানমার, আফগানিস্তাকে কাফিরদের পায়ের তলায় মুসলিমরা কাফিরদের পদপিষ্ঠ হোক। যারাই ওইসব দেশে মুক্তির জন্য যুদ্ধ করছে তারা সবাই স্বাধীনতা যোদ্ধা। ভিন্নদেশের মানুষ এসে যখন দেশ ও ধর্মকে নষ্ট করে, তখন দেশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা অবশ্যকর্তব্য।
কিন্তু এই যুদ্ধে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, তার সুস্পষ্ট রীতি-নীতি আছে। অল ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়র কথাটা ব্রিটিশের, মুসলিমের নয়।
নিষ্কাম, খোদাপ্রীতির, রাসূলপ্রীতির, সভ্য গান বাদ্যকে আমি জায়েজ করিনি। রাসূল দ. জায়েজ করেছেন। একবার করেননি, দুইবার করেননি, আমার জানামতে ছয়বারের বেশি করেছেন। এই নিয়ে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। আপনি বরং সব বাদ দিয়ে আগে বুখারী শরীফ পড়ুন। জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর জন্য ফরজ। আপনার উপরও ফরজ।
কারণ বুখারী শরীফ থেকে এইসব হাদিস তুলে আনার কোন মানে হয় না তার জন্য, যিনি আপন ফরজ কাজ সম্পাদন করছেন না।
শাহবাগে কদিন ছিলেন ভাই? প্রতি ওয়াক্তে নামাজের সময় আজানের সময় মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাসের পর মাস। শাহবাগকে ইসলামী জিহাদের সাথে তুলনা করা আসলেই বোকার কাজ। এই কাজ করবেন না আশা করি। এখানে মজলুমের পক্ষে বিচারের আন্দোলন করেছে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সবাই, এটা ইসলামি জিহাদ নয়।
১২০| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: আতাউররহমান১২০০৭ বলেছেন: আপনার কাছে সব ইসলামী দল( কওমি ) ভেজালযুক্ত খালি আপনার মত মাজারপন্থীরা ছাড়া , তাই না ?আর আপনি কি চান কাশ্মীরে, মিয়ানমারে আফগানিস্তানে মুসলমানরা কাফেরদের জুতার তলায় পিষে মরুক , হানাদার বাহিনীগুলোর কাছে জীবন দিক? কোন প্রতিবাদ না করুক ? হাদীস শরীফে এসেছে , '' গান মানুষের অন্তরে মুনাফিকি সৃষ্টি করে ,যেমন পানি শস্য তৈরি করে। '' আর আপনি আরব জামানার পৌত্তলিক দের মত যুদ্ধ বিগ্রহে গান,বাদ্য কে জায়েজ করে দিয়েছেন? শাহবাগ কি কোন যুদ্ধক্ষেত্র ছিল ? আজানের সময়, নামাজের সময় নারী পুরুষ একসাথে নাচা, হইহুল্লোড় করা বহুত দেশপ্রেম, সওয়াবের কাজ? ইসলামের কোন যুদ্ধে সাহাবীরা নারী পুরুষ একসাথে নাচতে নাচতে জিহাদে গিয়েছে? শাহবাগের আন্দোলনকে ইসলামি জিহাদের সাথে তুলনা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা। সহমত
সামুতে অনেকদিন পর একখান বলদ মার্কা পোষ্ট পাইলাম যেখানে লেখক তালেবানের সৃষ্টির ইতিহাস জানে না, যেখানে তালেবানদের সৃষ্টির মূলেই ছিল আমেরিকার আসল হাত যখন রাশিয়া আফগানিস্থান দখল করে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লেখক জানে ভাই। লেখক এই বিষয়টা তুলে ধরেনি। তার কারণ, পোস্ট অলরেডি অনেক বড় ছিল। আর এখানে দুনিয়ার তাবৎ ষড়যন্ত্র তুলে ধরলে আপনি পড়ে শেষ করতে পারতেন না, অধমও লিখে শেষ করতে পারত না, তার আগে অধম জেনে শেষ করতে পারত না।
যে কমেন্ট কপি করেছেন, সেই কমেন্টের জবাব দেখলে কৃতজ্ঞ থাকব।
১২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৮
বেলা শেষে বলেছেন: [2:153]
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই প্রতিটাই সঠিক আয়াত দিয়েছেন। আয়াতগুলো সঠিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন তো?
১২২| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:০৪
বাংলার জামিনদার বলেছেন: সবই একই রসুনের গোড়া, মাথা দেখায় আলাদা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০৭
রবি_জল বলেছেন: কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি !
হেফাজতের লং মার্চ নিয়া কাহিনী টানলেন জংগী দলের আর পাকিদের !!!
জামাতের লং মার্চেও আপনারা এত কস্ট পাননা যতটা পেলেন হেফাজত'রে নিয়া