নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
পড়িনি। শুনলাম শুধু। ধর্মহীন কিছু মানুষকে পদ্ধতিগতভাবে তওবা করানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পড়িনি, কারণ পড়ার রুচি হয়নি।
আমি,
দৃঢ়কন্ঠে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হই,
কারণ এই তওবা হবে দুই দিক দিয়ে অবমাননা-
১. ইসলাম ধর্মের অবমূল্যায়ন।
২. একজন মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবমূল্যায়ন।
তওবা, এক মহান পদ্ধতি
তওবা হল এক মহান পদ্ধতি। আমাদের প্রিয়তম রাসূল দ. প্রতিদিন ৭০ বার তওবা করতেন শুধু আমাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য (বুখারী ও মুসলিম শরীফের সাইয়িদুনা উমার রা.'র সাথে হাদিস দ্রষ্টব্য।)
বলা হচ্ছে,
মানুষ যতবার আন্তরিকভাবে তওবা করে, মহান রাব্বুল ইজ্জাত সেই তওবা ততবারই কবুল করে নেন।
এখন প্রশ্ন হল,
১. তওবা আন্তরিক তথা অন্তরের অন্তস্থল থেকে হতে হবে। কারণ স্বয়ং আল্লাহ (যদি তাঁকে বিশ্বাস করে থাকেন তওবাকারী) ঠিক ঠিক জানেন,
অন্তরে কী রয়েছে।
২. পরে তওবা করে নিব, এই ভাবনায় পাপ করলে সেটার ক্ষমা পাবার সুযোগ প্রায় নেইই।
৩. তওবা করলেও অন্যের অধিকার নষ্ট হলে সেটা আল্লাহ ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না যে ব্যক্তির অধিকার নষ্ট হয়েছে তিনি ক্ষমা করছেন অথবা ক্ষতিপূরণ নিচ্ছেন এই জগতে বা ওই জগতে।
তওবা এমনি এক মহান পদ্ধতি,
যার মাধ্যমে-
১, পাপী পাপমুক্তি পাবেন।
২, নিষ্পাপ পাপ থেকে সব সময় সাবধানতার অটোসাজেশন দিতে পারবেন।
৩, নিষ্পাপ এর মর্যাদা (সওয়াব...) বৃদ্ধি পাবে।
৪, তওবার মাধ্যমে আল্লাহর যিকর (স্মরণ) এবং তাঁর রাসূল দ.'র সুন্নাত পালন করা হবে।
তওবা কাকে করানো যায়?
যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. এবং নির্ধারিত ধর্মে বিশ্বাসী, শুধুমাত্র তাঁকে তওবা পড়ানো যায়। অন্য কাউকে নয়।
দ্বিতীয়ত যিনি জেনেশুনে ইসলাম গ্রহণ করে সেটা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, এবং অনুতপ্ত হয়েছেন নিজেই আন্তরিকভাবে ও ইসলামে ফিরে আসতে চান তাঁর জন্য তওবা প্রযোজ্য।
কিন্তু একজন মানুষ যদি জন্মগতভাবে একটা ধর্মীয় বিশ্বাসে আবদ্ধ থেকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে, মুরতাদের কথা তার ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য তা আমাদের বিবেক দিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তিনি তখন কি মুরতাদ হবেন, (কারণ তিনি ধর্ম গ্রহণের সময় সচেতন ছিলেন না, বাবা মায়ের কথামত পালন করেছেন) নাকি নাস্তিক বা অন্য ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হবেন?
তওবা করানোর ফলাফল কী হতে পারে?
একবার কল্পনা করুন তো...
সাতসো বা আটশো বছর আগে আমাদেরই কোন এক পূর্বপুরুষের কথা, যিনি জেনেশুনে, সজ্ঞানে সনাতন ধর্ম ছেড়ে ইসলাম কবুল করেছিলেন।
তারপর তাঁর সমাজ তাঁকে সেই পরিস্থিতিতে না থাকতে বাধ্য করছে। খেয়াল করুন, তাঁর নিজস্ব বিশ্বাসে না চলতে সমাজ বাধ্য করছে।
এরপর সেই ধর্মান্তরিত মুসলিম পূর্বপুরুষ,
আমার বা আপনার,
সেই পূর্বপুরুষের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার ধার না ধেরে-
সমাজ তাঁকে গোবর এবং গোমূত্র পানে বাধ্য করলে (ইসলামে এমন কোন পদ্ধতি নেই, ইসলামের সাথে তুলনা করছি না। তবে খাৎনা আছে।)
অথবা মূর্তিপূজায় বাধ্য করলে তার প্রতিক্রিয়া কতটা তীব্র হতে পারে?
তাঁরা জনম জনম এই বিদ্বেষ পুতে রাখবেন মাটির তলায়। সে মাটি থেকে চারা গজাবে। নতুন, নতুন।
এবার এই নাস্তিক মানুষগুলো, যাঁদেরকে তওবা করানোর মত অতি ভঙ্গুর এবং ভয়ানক একটা সিদ্ধান্তের প্রতি এগিয়ে যাবার কথা বলছেন আলিম সমাজের কিয়দংশ,
একবার ভাবুন তো,
এই মানুষগুলো মনে করবে,
এ টা ই
বু ঝি
রা সূ ল দ.'র
প দ্ধ তি!
নো, ম্যান! এটা ইসলামও নয়, রাসূল দ.'র পদ্ধতি নয়।
আমার রাসূল দ. কে আর বিতর্কিত করবেন না আপনাদের নিমজ্ঞান দিয়ে।
এখন মধ্যযুগ নয়
এখন মধ্যযুগ নয়। যে হোলি ওঅটর ছিটিয়ে দেবেন। ধরে বেঁধে তওবা করিয়ে দেবেন। অথবা গোমূত্র পান করিয়ে দেবেন।
মাত্র একজন নাস্তিককেও যদি সামাজিক চাপে তওবা করানো হয়,
হিতে বিপরীত হবে।
ভবিষ্যতে এক হাজার নাস্তিকের জন্ম হবে।
এজন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।
এবং নিশ্চিত জেনে রাখুন,
যিনি এই প্রস্তাবনা করছেন এবং যিনি এটা বাস্তবায়ন করবেন,
আপনার সন্তান বা অনাগত বংশধর আপনার চোখের সামনে নাস্তিক্য গ্রহণ করবে।
কারণ আল্লাহ বড় বিচিত্র পদ্ধতিতে শাস্তি দেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ হামাভাই। ইসলামকে এই আজব বস্তুগুলো কী বিচিত্র বর্বর রূপেই না প্রকাশ করছে! এর একমাত্র কারণ, তারা না ধারণা রাখে ইসলাম সম্পর্কে, না মানবাধিকার সম্পর্কে।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৯
রুদ্র মানব বলেছেন: বিশ্লেষন টা ভাল লাগলো । জোর করে তওবা করালে এর ফল কখন অই ভাল হবে না । হিতে বিপরীত হওয়ার ই সম্ভাবনা বেশি ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখন কী বলব বলুন ভাই?
এখন সংগ্রাম শুরু করতে হবে-
প্রকৃত ভালো মুসলমানের উদাহরণ তৈরি করুন।
এই দাবিতে।
কারণ প্রকৃত ভাল মুসলমানরা কখনো গায়ে পড়ে এসব নিয়ে মন্তব্য করে না। ফলে কিছু উগ্র ব্লুফিল্মদর্শী বোতলমাতাল ইয়ো টাইপ টেকনো সাইকো প্লাস সামান্য মুসলমান ব্লগার যখন নাস্তিককে তওবা করানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে, তখন ইসলামের বদনাম হয়।
তারাতো ব্লুফিল্ম দেখেই সময় পায় না,
হাদীস পড়বে কখন?
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৬
ভাবনার মেশিন বলেছেন: একমত
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৬
নন্দিত নন্দন বলেছেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম
ইহা সম্মন্ধে কুটুক্তি করা বাঞ্ছনীয় নয়
হিন্দু বৌদ্ধদের মূর্তি ভাঙা জায়েজ আছে।
কোন নবী যেন মূর্তি ভাঙছিলেন কুড়াল
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নবীর মূর্তি ভাঙা... যদি বিবেক স্বচ্ছ্ব হয়ে থাকে, মস্তিষ্ক সুস্থ হয়ে থাকে এবং হৃদয় খোলা হয়ে থাকে তথা মন মুক্ত হয়ে থাকে তাহলে এই পোস্টে বুঝতে পারবেন- Click This Link
এরপরও বুঝতে না পারলে আমি আমরণ চেষ্টা করে যাব। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সাঙ্ঘাতিক ধৈর্য্যশীল। নিশ্চই আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীলদের মধ্যে পাবেন।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৭
বোকা ইনদুর বলেছেন: আমার জানা মতে "তওবা" শব্দের অর্থ ক্ষমা চাওয়া। ইসলাম নিয়ে এরা অপপ্রচার করেছে। যেহেতু এরা ইশ্বর মনেনা তাই এরা মুসলিম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই ক্ষমা চাইতে পারেন। এটা আমারও দাবী। আমি কাউকে কাউকে ঘোষণা করে ক্ষমা করে দিয়েছি। বাকিদের দেইনি। চাওয়ামাত্র দিব।
কিন্তু তা তো তওবা হল না। তওবা মুসলিমের জণ্য প্রযোজ্য একটা পারিভাষিক শব্দ।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৯
বোকা ইনদুর বলেছেন: অন্য কোন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে থাকলে তদের কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে গণমানুষের বুকে ব্যথা দেয় যারা,
তাদের গণমানুষের কাছেই ক্ষমা চাইতে হবে।
সব চড় তো আর গালে লাগে না।
কিছু চড় বুকেও লাগে। সেটা শক্ত।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩০
আলতামাশ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
আপনার পোস্টের পক্ষে কোরআনের দুইটি আয়াত মনে ভাসছে কিন্তু নাম্বারটি মনে আসছে না, আসলে সেটা কমেন্টে যুক্ত করতাম।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আয়াত দুটাই দিয়ে দেন না! আপনি হাফিজ, সেইসাথে অনেক সঠিক অনুবাদ দিতে পারবেন।
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২
হাবিবা রশিদ নাজমি বলেছেন: নন্দিত নন্দনদের মত ব্লগারদের জন্যই আসলে সামু্ ব্লগের বদনাম হয়।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখন যদি বলি তিনি জানেন না, তাহলে আঁতলামি হয়ে যাবে।
তবু বললাম, তিনি সিম্পলি জানেন না ও অনুভব করেন না।
দ্যাটস ইট!
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
ত্বহির বলেছেন: তওবা অর্থ ফিরে আশা। ইসলামে তওবার সুযোগ সবাইকেই দেয়া আছে। খোদ ইবলিসও চাইলে এখনো তওবা করতে পারে।
ধন্যবাদ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খোদ ইবলিসও চাইলে এখনো তওবা করতে পারে।
আশা করি আপনি এবার আমার ধন্যবাদটা গ্রহণ করবেন।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মুবিন ভাই ধন্যবাদ।
১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
আমি মোঃ চয়ন বলেছেন: জোরকরে তওবা পড়ালে তওবা হয় না।
তবে ঐতিহাসিক ভাবে গ্রাম-গঞ্জের মোল্লারা কাউকে লঘুদন্ড হিসেবে এই কাজ করিয়ে আসছে।
এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।
ঐসব ধর্মবিদ্বেষীরা লোক দেখানো তওবা করলেই কি তারা সাধারন জনগনের ধর্মানুভুতীতে যে আঘাত হেনেছিল তার শাস্তি হয়ে যাবে ???
অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে প্রমান সাপেক্ষে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা দাবী করছি।
অঃটঃ - আপনার তওবা সম্পর্কিত লেখাটা সুন্দর হয়েছে। যদি কষ্টকরে 'জানাযা' সম্পর্কে এমন একটা লেখা লিখতেন........ যেমন
"জানাযার নামাজ কি"
"জানাযার নামাজ এর ফজিলত"
"কোন ব্যক্তির জানাযা নামাজ পড়ানো যায় " ইত্যাদি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: চয়ন ভাই যদি খোঁচা দিতে চেয়ে থাকেন তো জেনে রাখুন,
আমি রাজিব সাহেবের মৃততুর পর ছিলাম শাহবাগের এলাকাতেই।
কিন্তু তাঁর জন্য সম্মান দেখিয়েছি, জানাজায় যাইনি।
যে কোন লাশকে সম্মান দেখানো আমার রাসূল দ.'র আদেশ।
তা এমনকি ইহুদি বা খ্রিস্টান ও অত্যাচারীর হলেও।
উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখাতে হয়।
ওখানে আমার কার্পণ্য নেই।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
রুদ্র মানব বলেছেন: এখন আমরা যা দেখছি ,
তাও কিন্তু রাজনীতিতে ইসলাম টাইনা আনার এক প্রকার ফল । ভোটের রাজনীতি সবাই করে , তাই নাস্তিক লিস্ট কইরা তওবা করাইলেও অবাক হমু না ।
এগুলোর বিরোদ্ধে জোরালো প্রতিবাদের কুনু বিকল্প নাই নাই ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ব্লগে এসে হল মরণ!
খালি সম্বৎসর গাভী যেমন দুধ দিয়ে যায়, মাত্র একবার বিয়োয়, তেমনি আমরাও ব্লগার হবার পর থেকে সম্বৎসর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি, বছরে মাত্র একটা সত্যিকার ভাল ও সফল ও সার্বিক কল্যাণময় কাজ করছি।
(খেদ থেকে বললাম রুদ্র ভাই, আপনাকে বা আমাকে উদ্দেশ্য করে নয়।)
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫১
দিশার বলেছেন: ভাই এমন বাজে উদাহরণ বা এর চেয়ে বাজে উদাহরণ দধর্মীয় লোকজন বহুবার করসে . প্রশ্ন করলে বলে যে "প্রকিত" ধর্ম নাকি ওটা না , তাইলে কোনটা "প্রকিত " ধর্ম , কে প্রকিত ধার্মিক ?
পীর এর মুরিদ গুলা বলে, তাবলিগ বাতিল .
তাবলিগ বলে জামাত বাতিল .
জামাত বলে পীর বাতিল .
সবাই বলে কাদিয়ানী বাতিল
কাদিয়ানী বলে সবাই বাতিল .
শিয়া বলে সুন্নি বাতিল
সুন্নি বলে শিয়া বাতিল .!
কি যামু ভাই ? আমরা কিসু বললে নাস্তিক , মুরতাদ জবাই কর , শুনতে হয়।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি নাস্তিক হলেই কেউ জবাই করতে চায় যদি,
বুঝবেন তার সাইকোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার আছে,
অথবা সে আমাজানে জন্ম নিয়ে উলুলুলু করছে।
পীর এর মুরিদ গুলা বলে, তাবলিগ বাতিল .
তাবলিগ বলে জামাত বাতিল .
জামাত বলে পীর বাতিল .
সবাই বলে কাদিয়ানী বাতিল
কাদিয়ানী বলে সবাই বাতিল .
শিয়া বলে সুন্নি বাতিল
সুন্নি বলে শিয়া বাতিল .!
ভাই আমাদের ইসলামে ৭২ মেইন ফির্কা আছে, তার মধ্যে সাব ফির্কা আছে না হলেও ৭২০ টা হবে!
আমরাই তো বলি, প্রকৃত ফির্কা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ।
সেটা রাসূল দ.'র কথা অনুযায়ী বলি আরকী!
আপনি ডিটেইল জানতে চান?
অ্যাট ইউর সার্ভিস। (সামান্য বুঝি, আন্তরিকভাবে সেটা রিপ্রেজেন্ট করতে পারি।)
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫২
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: সব কিছু যখন দুষ্টুদের দখলে চলে গেছে সেখানে ন্যায়বিচার কি করে হবে
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমরা মরি, পুড়ি, হই ছাই-
আবার ছাই থেকে উৎরাই!
হতাশ হবেন না ঘুপাভাই। হতাশ হবেননা।
১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০২
নিকষ বলেছেন: ব্লগে যে কয়েকজন মানুষরে চুপে চাপে ফলো করি এর মধ্যে আপ্নে একজন।
টিভি পাগ্লার পোস্ট থেকে আসলাম এখানে। আপনি যে কথাগুলি বলেছেন সেগুলি যৌক্তিক। এই জাতীয় কাজকর্ম অগ্রহনযোগ্য, প্রতিবাদযোগ্য কোন সন্দেহ নাই। তবে আশার বিষয় হল, এই জাতীয় কথাবার্তা আলেম সমাজ, ইসলামী চিন্তাবিদরা বহু বছর ধরেই বলছে, ভবিষ্যতেও বলবে হয়ত - কিন্তু করতে পারবে না, করা উচিত না, করা সম্ভব না। সেই ধারা বজায় রেখে, আশা করা যায় তাদের "সুপারিশ" অনুযায়ী এবারও কিছুই হবে না।
নাউ দি ফান পার্ট, টিভি পাগ্লার পোষ্টটা ফান পোষ্ট - নিউজের দুইটা লাইন দিয়ে বাকিটা নিজেরই ক্যারিকেচার। অতএব কমেন্টগুলিও ওই টাইপেরই। তবে এটাও রসিকতার একটা রিভার্স এফেক্টও হইতে পারে।
ভাল থাকবেন, লিসানি ভাই।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিকষ ভাই প্রথমে আপনার চুপিচুপি আসার কথা শুনে পুলকিত হলাম।
এরপর এত সুন্দর আর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পেয়ে মনও প্রশান্ত হল।
টিভি পাগ্লা... আসলে আমি তো কোন পোস্টই পড়িনি (পরে পড়েছি) তাই ঠিক মন্তব্যও যুতসই হচ্ছিল না।
কেউ আবার পার্সোনালি নেয় নাই তো!
১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৮
নন্দিত নন্দন বলেছেন: বিস্তারিত জানানোর জন্য ধন্যবাদ
আঘাতমূলক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থী
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমিই বরং একটু কেমন কেমন ভাষা ব্যবহার করেছি। ভাল থাকি আমরা, যার যার বিশ্বাস নিয়ে, পাশাপাশি। আমরা সারা পৃথিবীর মানুষ নিজের নিজের মত করে থাকতে চাই। কিছু যৌক্তিক মনে হলে গ্রহণ করব। নাহলে নাই। এতেই আনন্দ। বৈচিত্রেই আনন্দ।
১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: যৌক্তিক বিশ্লেষণ। একমত।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কুয়াইইইক্ খুম! শুরু হয়েছে?
১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩০
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: কিছু বলার নাই, আমি প্রচন্ড হতাশ।
ভালো বিশ্লেষন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ১৫ নাম্বার মন্তব্যে নিকষ ভাইয়ের কথাতে মনটা ভাল হয়ে গেল।
আসলেই, সবকিছুতে বিশেষত্ব আছে। আমাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিশ্লেষন টা ভাল লাগলো ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি আপনার সামু সিরিজের পাগলা ফ্যান।
২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩
নষ্ট ছেলে বলেছেন: যারা এই রকম দাবি তুলে তারা নিজেদের আলেম দাবি করে কিভাবে?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এইজন্যেই তো বলে না,
নলেজের সাথে ইনফরমেশন আর ডাটার যোগসাজস আছে।
কিন্তু সবচে ক্ষীণ সম্পর্ক যেটার সাথে, সেটা হল ইনসাইট। ইনসাইট জন্ম দিবে ইউজডমের।
তার মানে সম্পর্কটা গাণিতিকভাবে এইরকম,
ডাটা>ইনফো=নলেজ। কিন্তু নলেজ+++ সামথিং=ইনসাইট। কিন্তু রাজ্যের ডাটা ইনফো আর নলেজ একত্র করলেও উইজডম শুরু হবে না।
তবে, ইনসাইটের মাত্রা বাড়তে থাকলে উইজডম এক সময় ধরা দিবে।
২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৫
নন্দিত নন্দন বলেছেন: ছোটবেলা থেকে হুজুরদের মুখে যে অর্ধসত্য শুনে আসছিলাম তাই বলেছি। আপনি আরো কিছুটা যোগ করলেন।হয়তো আরো অনেকটা জানার বাকি থেকে গেল তবুও। হয়তোবা আরও জানবো কোথাও থেকে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এরা এমন কিছু শিখিয়েছেন আমাদের! অকল্পনীয়।
আচ্ছা এই কথাটাই ধরি আমরা,
আমাদের গ্রামের যে মুআযযিন সাহেব, আমার কুরআনের উস্তাদ, তাঁর বেতন সম্ভবত এই যুগে ২ হাজার টাকা বা দু একটা পয়সা বেশি হতে পারে।
তিন বেলা তাঁর খাবার আসে ফ্রি, এই যা।
মিলাদ বিরোধী হয়েও তিনি মিলাদ পড়ান বাসায় বাসায়, মাত্র দশটা বা পনেরটা টাকার জন্য।
আমি ছেলেবেলায় তাঁর কাছে কুরআন পড়া শিখতে গিয়ে দেখতাম,
তিনি সযত্নে সিল না পড়া স্ট্যাম্প বাঁচাতেন। শুধু একটা চিঠি পাঠানোর টাকা বাঁচানো তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
অথচ মেহমান এলেই একটা কোকের বোতল, এক পিস কেক আর দুটা সিঙাড়া আনাতেন আমাদের দিয়ে।
বেচারার বুকটা ফেটে যেত, এই খরচটুকু করতে।
আমি ভাবি,
এই লোকটা, যে আজরাইলের মত আমাদের পিটাতেন,
তাঁর জীবনের গন্ডি কত ক্ষুদ্র!
তিনি হাফিজ হয়েছেন। কোনক্রমে মাদ্রাসায় কিছুদিন পড়েছেন। পৃথিবীতে চারদিকে তিনি শুধু খারাপ আর খারাপ দেখেন-
১. আমরা খারাপ, টিভি দেখি।
২. আমার ভাইরা খারাপ, রেডিওতে গানশোনে।
৩. ওই পোলাপান খারাপ, শেইভ করে, শার্ট প্যান্ট পরে, নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। হাশর হবে মুশরিকের সাথে।
৪. জগতের সবাই খারাপ, কারণ শুদ্ধভাবে নামাজ পড়া হয় না।
৫. এবং আরো আরো খারাপ, কারণ সুদ, ঘুষ...
তিনি জীবন কাটিয়েছেন দুটা ফেইজে,
প্রথম ফেইজে অকথ্য বেতের বাড়ি খেয়েছেন সিলিঙে ঝুলতে ঝুলতেও!
দ্বিতীয় ফেইজ তাঁর বিফল। কারণ তিনিও অকথ্য বেতের বাড়ি দেন, কিন্তু আমাদের সিলিঙে ঝোলাতে পারেন না।
কারণ মাত্র একটা, আমরা তাঁর এতিম মাদ্রাসার ততোধিক এতিমস্য এতিম ছাত্র নেই।
দেখেন না ভাই,
এই একজন মানুষের কাছ থেকে আর কী আশা করব আমরা?
২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫০
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত লেখক,
লিখেছেন, কী বলবো ..... এই ধরনের পোস্টে এখন আর তেমন মন্তব্য করা হয় না। তবু আপনি লিখেছেন মন্তব্য না করে পারি !
পৃথিবীতে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশী ....
আমরা শান্তিপ্রিয় কিন্তু অল্প সংখ্যক গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিলে অশান্তির পথে চলছে। সে পথে আছে অর্থের ব্যাবহার ... আছে জ্ঞানের ব্যবহার ... অর্থকে করা হয়েছে কুক্ষিগত আর জ্ঞান ! সেতো শিখানো হচ্ছে অজ্ঞানে ....
অজ্ঞানে অর্জন করা জ্ঞান .... সমাজে আলো দিতে পারে কী ....?
পৃথিবীর সবচাইতে সহজ ভাষায় নাজিল করা হল কুরআন
সহজ পথে চলতে শিখালেন নবীজি রসুল (স)
সহজ বিষয় কঠিনে পরিণত করতে চায় কারা ! ..
একই সূত্রে অনেক কিছু গাথা ..... সূত্রে চালাতে হবে সন্ধান ....
সন্ধানের কাজে পাশে রাখতে হবে সাধারণ জনগণকে ...
সত্য উদ্ভাসিত ... সমাগত ..
আল্লাহ আমাদের সহায় হোক ...
(প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার চেষ্টা করেছি, বুঝে নিবেন)
আস সালামু আলাইকুম
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অজ্ঞানে অর্জন করা জ্ঞান .... সমাজে আলো দিতে পারে কী ....?
পৃথিবীর সবচাইতে সহজ ভাষায় নাজিল করা হল কুরআন
সহজ পথে চলতে শিখালেন নবীজি রসুল (স)
সহজ বিষয় কঠিনে পরিণত করতে চায় কারা ! ..
পুরোপুরিই বুঝতে পেরেছি ভাই। সম্পূর্ণ বুঝেছি।
পুরোহিতিজম খুব ভয়ানক বস্তু। যেখানে রাখবেন, হিত মনে করে পুড়ে দিবে। (খাইসে, বাণী ঝেড়ে ফেললাম দেখি আরেকটা! স্যালাইন খাবার সাথে সাথে মন ভাল হয়ে গেছে। শরীরে বল পাচ্ছি, অনেক লিখতে এবং রসিকতা করতে পারছি। জয় স্যালাইনের জয়!)
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ওয়া আলাইকুম আস সালাম। ভাল থাকুন যুগ যুগান্তর। পরিবার পরিজন আর আপন নিয়ে।
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সব কিছু যখন দুষ্টুদের দখলে চলে গেছে সেখানে ন্যায়বিচার কি করে হবে
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমরা পরাজয় মানব না,
ভীরুর মতো বাঁচতে শুধু জানব না।
ভাই ভাল আছেন তো?
আগে বলতে হবে কেমন আছেন তারপর সব কিছু।
আগে বলতে হবে, কেমন আছেন কেমন আছেন কেমন আছেন।
২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৭
জ্বীন কফিল বলেছেন: শেয়ার দিলাম ভায়া ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কয়েকজন সহব্লগার আছেন, যাঁদের ছাড়া ব্লগিং বর্ণহীন লাগে।
আপনি তাদের একজন। ভাল থাকুন ভাই।
২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৯
দিশার বলেছেন: @লেখক, ভাই ২১ নাম্বার কমেন্ট এর রেপ্লি এর আলোকে, একটা পোস্ট দেন . খুব ভালো লাগলো ব্রো .
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই গ্রামঘেঁষা অতি দরিদ্র মানুষগুলোর এক কষ্টকর আজব জীবন ভাই।
তাদের মিস-কনসেপশন এবং ঘৃণার প্রাবল্য এত বেশি,
যে পুরো পৃথিবীটা পুড়িয়েও কিছুটা বাকি থেকে যাবে।
অথচ তাদের বেশিরভাগই বাই ডিফল্ট ভাল মানুষ।
চরম সামাজিক মানুষ, কিন্তু পরম আর্থিক দৈন্যে থাকেন।
এটাই হয়ত ভিতরে কোন একটা অগ্নিগিরি জ্বালিয়ে দেয়।
আমি তাহলে আপনার জন্য আরেকটা প্রসঙ্গ তুলে আনি।
আমাদের বাসায় এক আন্টি আসতেন, আম্মুর কাছে সেলাই শিখতে। আমার বয়স তখন ১৩। তিনি আমার কাছ থেকেও কমপ্লিট পর্দা করতেন এবং তাঁর সাত বছর বয়েসি মেয়ে পর্দা করত। এই জিনিসটা আমার চরম ডিসগাস্টিং লাগত।
খুব আনইজি ফিল করতাম। কারণ আমাদের ফ্যামিলিতেও পর্দার ভাল চল আছে। তবু বারো তেরো বছরের ছেলের সামনে কেউ চোখ পর্যন্ত ঢেকে রাখে না। ডিজঅনার্ড ফিল হত।
আমি শুধু আবছা জানতাম ওই আন্টিও আলিম মানুষ। তাঁর হাজব্যান্ড মুফতি।
একদিন ঘটনাক্রমে তাঁর বাসায় যেতে হল আম্মুর কিছু একটা আনার জন্য। আমি অবাক হয়ে দেখি, অত্যন্ত উচু রুচির ও ভাষার ওই মহিলা ছয় তলা পেরিয়ে আমাকে চিলেকোঠায় নিয়ে গেলেন।
সেটাই তাঁদের তিনজনের আবাস!
তাঁর হাসব্যান্ড খুবি বেশি দক্ষ আলিম।
এই আন্টিও কামিলে খুব ভাল রেজাল্ট করেছেন শুনেছি।
তিনি, এরপর আমাকে চমকে দিয়ে বললেন, তুমি একটু আমার মেয়েটার সাথে নিচে যাও। ওকে একা পাঠাই না।
আমি অবাক হয়ে ভাবছি,
তাহলে তো আবার নিয়েও আসতে হবে।
নিচে গেলাম। দোকান থেকে মেয়েটা একটা ডিম কিনল।
ডিমটা নিয়ে তাকে পৌছে দিতে গিয়ে বুঝলাম, ডিম আমার জন্য কেনা হয়েছে।
সেটা আন্টি ভাজলেন। তারপর,
মেলামাইনের খাবার প্লেটে করে খেতে দিলেন সেটা।
আর চামচ হিসাবে দিলেন ভাতের চামচ।
(তাঁর দরিদ্র ঘরে মেলামাইনের বাসন ছাড়া আর কোন খাবার রাখার পাত্র নেই, বেড়ে দেয়ার মত কোন চামচ নেই ভাতের চামচ ছাড়া এবং সামর্থ্যে ওই সময়কালে পাঁচ টাকায় একটা ডিম কিনে এনে সেটা ভেজে দিয়ে খাওয়ানো ছাড়া আর উপায় নেই।
এবং তিনি আমাকে যে শিক্ষাটা দিলেন সেটা হল, আতিথেয়তায় হার মানতে নেই।)
তখন ঢাকা সিটিতে তাঁর হাসবেন্ড ৩/সাড়ে তিন হাজার টাকায় স্ত্রী, কন্যা ও নিজেকে নিয়ে সসম্মানে চোস্ত পোশাক সহ চলতে বাধ্য হতেন।
একমাস পর একটা কথা শুনে এত খুশি হয়েছিলাম, ওই যুগেই তিনি বারো হাজার টাকা বেতনের একটা জব পেয়ে গেছিলেন দক্ষতার কারণে।
কোনদিন আর দেখা হয়নি পরিবারটার সাথে।
২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আগামীকাল বিকেলে যাব
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রওনা দিয়ে দেন ভাই। শুভকাজে দেরি করতে নেই। আমার প্র্যাকটিস করায় ভাটা পড়েছে।
২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৭
বিশ্ব প্রেমিক বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিক - তওবা করিয়ে তাদের মনেপ্রাণে ইসলাম গ্রহণ করানো কখনই যাবে না, আর তাদেরকে জোর করিয়ে ইসলাম গ্রহণ করার পক্ষাপাতিও নই ।
কিন্তু আপনি একতরফা বলে গেছেন নাস্তিকদের তওবা করানোর কাজটি মোটেই সঠিক নয় । এটি কিন্তু মূল সমস্যার ধারে কাছ দিয়েও যায়নি । কারণ মূল সমস্যাটি হলো - নাস্তিকদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে তীব্রভাবে কটাক্ষ করা । অন্য ধর্মে তাদের কোন ইনটারেষ্ট নেই। তাদের কটাক্ষ করার লক্ষ্যস্থল হলো ইসলাম । আমারা বা ইসলাম তাদের নাস্তিকতা পালনে কোন বাধা প্রদান করেনি, কিন্তু ওরা যা ইচ্ছে তাই ভাবে ইসলামকে অপমান করে !! আঘাত আমরা তাদের করিনা, প্রথম আঘাত তারাই আমাদের উপর করে ।
তাহলে হানাহানির এই মূল সমস্যার সমাধান করা যায় কিভাবে ?? কিভাবে তাদেরকে ইসলামকে লক্ষ্যস্থল বানানো থেকে দূরে রাখা যায়, সে সম্বন্ধে অভিমত ব্যক্ত করলে ভালো হতো ।
ধন্যবাদ
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এখন কিন্তু নাস্তিকতা মূল সমস্যা নয়।
লেট আস বি ক্লিয়ার...
একানব্বইর পর খুব নাস্তিকমারো নাস্তিকমারো রোল উঠল। একজন লেখিকা যাঁর নাম আমি মুখে নেই না সেই যুগ থেকেই, তিনি দেশ ছাড়লেন কিছুদিন পর।
মূল ইসু ছিল জামাত।
নাস্তিক দুধেভাতে থাকবে,
নাস্তিক রাসূল দ. কে যা খুশি বলবে,
কোন সমস্যা নাই।
তবে রাসূল দ. যেমন তেমন,
কাদের মোল্লার ফাঁসি যদি চায়,
তাইলে নাস্তিক মারো?
আমরা তো চাবি না, যে খাঁজে খাঁজে ভরে দেয়া হবে। আমরা বিবেকবান, স্পষ্ট দৃষ্টির জলজ্যান্ত মানব।
গতবার, সেই নব্বইয়ের প্রথমদিকের অর্ধেকের মধ্যটায় যে তান্ডব হল,
তার কারণ কী ভাই?
জামাতকে বাঁচানো।
এগিয়ে এল কারা? অতি সাধারণ ইমামরা যাঁদের কথা আমরা একুশ আর পঁচিশ নাম্বার কমেন্টের জবাবে দেখি।
এর পরেরবার দেখুন,
হুমায়ূন আজাদ নারী লেখেন। এতে ভাল শেখার মত অনেক বিষয় আছে। কিন্তু আক্রমণাত্মক ভাষা আর বদলানোর জিঘাংসা মিশ্রিত কামনা আমাদের দুই পাতা পড়তে দেয় না।
আজাদ সাহেব ইসলাম নিয়ে বা সমাজে ধর্মের অবস্থান নিয়ে কম কিন্তু আক্রমণাত্মক কথা বলেননি।
এতে কারো গায়ে লাগল না।
আজাদ সাহেব ভাল থাকলেন।
অথচ মারা গেলেন পাক সার জমিন সাদ বাদ লেখে।
ক্যান্ ? পাক সার জামিন সাদ বাদ থাকলে সমস্যা কার?
কার প্রয়োজন পড়েছিল লেখক সমাজকে একটা শিক্ষা দেয়ার?
কে সে, যার অতীত ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটলে খারাপ হয়ে যেতে হবে,
কিন্তু ইসলামের মহান নবী দ. নিয়ে কথা বললেও তারা ডোন্ট গিভ আ শিট?
তাদের তখনি রাসূল দ. বিষয়ক অতীতের, চার বছর বা পনের বছর আগের পোস্টগুলো, প্রবন্ধগুলো চোখে পড়ে। তাহলে এতদিন কি চোখ বন্ধ ছিল? এতদিন কি পাকির দেশ পত্রিকায় কোন জার্নালিস্ট কাজ করত না, শুধু মশা মারত?
এরপর আসুন বর্তমানে,
একজন আক্রান্ত হন। মারা যাননি।
কিন্তু রাজীব সাহেব কখন মারা গেলেন? কী লিখে মারা গেলেন? শেষ স্ট্যাটাস কী ছিল? তিনি কতদিন যাবত ধর্মবিদ্বেষী লেখা লেখেন?
তিনি কোথা থেকে ফেরার পথে মারা গেলেন?
তিনি নিহত হওয়ায় কী লাভ হল? (মোড় ঘুরল)
এই প্রশ্নগুলো আমাদের দেখতে হবে।
এখানে পক্ষ নেয়াটা কথা নয়।
কথা হল, মূলা ও তার কালার।
আসুন,
আমরা এবার মূলাযাত্রা করি-
১. ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক
২. নাস্তিক
৩. কমুনিস্ট (ধার্মিক হোক বা নাস্তিক হোক)
৪. হিন্দু/বৌদ্ধ/খ্রিস্টান
৫.আওয়ামী
৬. মুরতাদ্ব (যারে খুশি তারে কও, কোন সমস্যা নাই। যার দুই পা আছে, দুই চোখ আছে, দুই হাত আছে আর মাথায় মানুষের ব্রেন আছে চাইলে সেই প্রানীকেই জামাত শিবির মুরতাদ্ব বলতে পারে। জাফর স্যারকে বলছে। হুমায়ূন স্যারকে বলছে। যারে খুশি তারে বলতে পারে। এটা হল ফ্রি টিকেট। এই টিকেটের জন্য অপেক্ষা করুন। তখন বুঝবেন ডিভাইড অ্যান্ড রুল কাকে বলে যদি আপনি জামাতি ও প্রো-জামাতি না হয়ে থাকেন তবেই আপনি বিনা দ্বিধায় মুরতাদ্ব। )
৭. মুনাফিক। দালাল। এইটা আরো ভয়ানক। আপনি যে পজিশনেই থাকেন না কেন, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে কালশিটে ফেলে দিবেন। মুরতাদ বললে মানুষ বিশ্বাস করবে না কারণ আপনি একজন আলিম। নো প্রব। আপনি তো মুরতাদ নন। দালাল। মুনাফিক।
এবার কি ভাই বুঝতে পেরেছেন,
যখনি জামাতের বিষফোঁড়ায় ঘা তখনি নাস্তিক দিয়ে শুরু হয়। তবে আমার আপনার সেই সিরিয়ালে পড়তে সময় লাগবে না।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এবার আসুন নাস্তিকতার যে মূল সমস্যা সেখানে।
আমরা তো নাস্তিকতার প্রকারভেদই জানি না। আট প্রকার নাস্তিক আছেন ভুবনে। এর বাইরে নাই। এই আটটা প্রকার যদি আপনি বিশ্লেষণ করেন, তাহলে প্রতি প্রকারের প্রতিষেধকও আপনার হাতেই আছে। যদি তাতে সমস্যা মনে করেন এবং পরিশ্রমী হোন।
ইসলাম বিদ্বেষ এর মধ্যে মাত্র কয়েকটা শ্রেণীতে পড়ে। সবার নয়।
তা না করে আমরা যদি প্রতিরোধ করতে না পেরে তওবা করানোর মত ইসলাম এবং ব্যক্তি উভয়ের অবমাননার পথে এগুই, তাতে তো হবে না।
আমি ভাই কিছু পোস্ট ড্রাফটে সাজাচ্ছিলাম বা শুধু শিরোনাম করে রেখেছিলাম। এখন নাস্তিকতা নিয়ে কথা বলা মানেই শাহবাগ আন্দোলনের নামে যে মানুষের মধ্যে এন্টি জামাত মনোভাব এসেছে, সেটাকে দুর্বল করে দেয়া। আমি সচেতনভাবে সেটা করতে পারি না।
কারণ আমার দেশ আমি মিলিট্যান্টদের হাত থেকে রক্ষা করব।
তারপর দেশের সাধারণ মানুষই কলম দিয়ে কলমের জবাব দিয়ে দিতে পারবে। আর যদি কলম তাদের মনকে ঘুরিয়ে নিতেই পারে, এমন দুর্বল মনা দিয়ে হালচাষ হবে, ধর্মপালন হবে না।
এই পোস্টগুলো দেখতে পারেন। আপাত অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
বলে না, আইলাম যখন শহরে, চাচার নামে একটা মামলা দিয়াই যাই?
তেমনি, নাস্তিকতার লিংক যখন খুজতে গেলাম, জামাতের নামে ছয়টা কাছাখোলা লিঙ্ক দিয়েই যাই...
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
ভাল কথা ভাই,
এ ছাড়াও আমার নাস্তিকতার বিষয়ে আরো চারটা পোস্ট আছে যেগুলোর লিংক দেয়া অপ্রাসঙ্গিক মনে করছি।
২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: লিসানি ভাই আপনি হচ্ছেন এমন একজন যাকে নিয়ে বলার কিছুই নাই আমার ঝুড়িতে । কয়েকটা মন্তব্যর জবাব আমাকে মুগ্ধ করেছে বরাবরের মত আর পোষ্ট ?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকে মিস করছিলাম হিমুভাই। ভাবলাম রাগ টাগ করলেন নাকি। তাড়াতাড়ি মেইলও চেক করেছি।
আর এত বেশি ভাল লেগেছে! থ্যাঙ্কস বাডি।
২৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৬
jotejoy বলেছেন: বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জ্যোতিভাই, ধন্যবাদ রইল।
৩০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কাউকে আদেশ দিয়ে ভাল মানুষ বানানো যায় না। তাই নাস্তিকদেরটা সত্যিকারে'র তওবা হবে না।
তবে এটা বর্তমানে'র বিবাদ মেটানোর একটা উত্তম ব্যাবস্থা।
এই টাইপের 'তওবা' বেয়াদবী'র শাস্তি হিসেবে বাংলা'র সমাজে বহুল প্রচলিত। কম বয়সে আকাম-কুকাম করলে এমন তওবা পড়ানো হয়।
এরা তওবা করে ভাল হবার প্রমিস না করলে মানুষ এদের পাইলেই ধোলাই দিবে। তাই ওদের বাঁচানোর জন্য একটা দেশীয় এ্যারেঞ্জমেন্ট করলো সরকার।
রাসুল (সাঃ)'কে যারা বহুবার মানা করার পরও গালি দিছে ওরা নবিপ্রেমিকদের মনে ইচ্ছাকৃত আঘাত দিয়ে আক্রমন করছে, তাই 'তওবা'টা হচ্ছে নবীপ্রেমিকদের কাছে মাফ চাওয়ার একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই ক্ষমা চাইতে পারেন। এটা আমারও দাবী। আমি কাউকে কাউকে ঘোষণা করে ক্ষমা করে দিয়েছি। বাকিদের দেইনি। চাওয়ামাত্র দিব।
কিন্তু তা তো তওবা হল না। তওবা মুসলিমের জণ্য প্রযোজ্য একটা পারিভাষিক শব্দ।
আর আমরা যদি রাসূল দ. কে ভাল বেসেই থাকি, তাহলে রাসূল দ.'র পবিত্র ইসলামকে বিতর্কিত ও কলূষিত করব না মাত্র হাতেগোনা ৮৪ জন এক হিসাবে অসহায় মানুষকে মাথা নিচু করিয়ে।
কী লাভ?
এরা তো অস্ত্র হাতে বাংলাদেশের ত্রিশ লাখ মানুষকে মারতে পারবেও না, আর মারতে চাইবেও না।
এদের পেশীশক্তি হয়ত এখন নেই,
শুধু এই জিঘাংসায় এদের মাথা জোর করে নত করে ঠুকিয়ে দিব আমাদের মসজিদের মেঝেতে?
মসজিদ তাতে খুব পবিত্র হয়ে যাবে?
মসজিদের পবিত্রতা তো কারো জিভের বা কলমের উপর নির্ভর করে না ভাই।
নির্ভর করে অন্তরের শ্রদ্ধার উপর।
তারপর মওকামত তারা আমাদেরকে ধরি, কোন কমুনিস্ট কান্ট্রিতেই পেয়ে গেল। অথবা আমেরিকাতে, যেহেতু তা নাস্তিকতায় ভরপুর।
আপনি তখন কী প্রত্যাচরণ আশা করেন?
৩১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
দানবিক রাক্ষস বলেছেন: ধর্মকে পৃথিবী থেকে বিতাড়িত করার মত ক্ষমতা নাস্তিকদের নেই তবে জামাত-শিবির, হেফাজজতি ইসলাম নামক ধর্মব্যাবসায়ীরাই পারবে এই মহান কাজ সম্পাদন করতে।
কথায় আছে না "লেবু বেশী কচলাইলে তিতা হয়ে যায়।" এক সময় এদের অত্যাচারে ধর্ম মানুষের কাছে তেঁতো লাগবে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মিসপ্রোডাকশন সব সময় ভয়ানক। মূল টেস্ট হারিয়ে যায়।
তবে জামাত শিবির নিয়ে ভীত নই।
ওরা ইউরেনিয়াম।
বিষ্ফোরিত হতে না পারলে তেজষ্ক্রিয়তায় আপনি আপনি ক্ষয় হয়।
৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
দানবিক রাক্ষস বলেছেন: এরা এমন কিছু শিখিয়েছেন আমাদের! অকল্পনীয়।
আচ্ছা এই কথাটাই ধরি আমরা,
আমাদের গ্রামের যে মুআযযিন সাহেব, আমার কুরআনের উস্তাদ, তাঁর বেতন সম্ভবত এই যুগে ২ হাজার টাকা বা দু একটা পয়সা বেশি হতে পারে।
তিন বেলা তাঁর খাবার আসে ফ্রি, এই যা।
মিলাদ বিরোধী হয়েও তিনি মিলাদ পড়ান বাসায় বাসায়, মাত্র দশটা বা পনেরটা টাকার জন্য।
আমি ছেলেবেলায় তাঁর কাছে কুরআন পড়া শিখতে গিয়ে দেখতাম,
তিনি সযত্নে সিল না পড়া স্ট্যাম্প বাঁচাতেন। শুধু একটা চিঠি পাঠানোর টাকা বাঁচানো তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
অথচ মেহমান এলেই একটা কোকের বোতল, এক পিস কেক আর দুটা সিঙাড়া আনাতেন আমাদের দিয়ে।
বেচারার বুকটা ফেটে যেত, এই খরচটুকু করতে।
আমি ভাবি,
এই লোকটা, যে আজরাইলের মত আমাদের পিটাতেন,
তাঁর জীবনের গন্ডি কত ক্ষুদ্র!
তিনি হাফিজ হয়েছেন। কোনক্রমে মাদ্রাসায় কিছুদিন পড়েছেন। পৃথিবীতে চারদিকে তিনি শুধু খারাপ আর খারাপ দেখেন-
১. আমরা খারাপ, টিভি দেখি।
২. আমার ভাইরা খারাপ, রেডিওতে গানশোনে।
৩. ওই পোলাপান খারাপ, শেইভ করে, শার্ট প্যান্ট পরে, নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। হাশর হবে মুশরিকের সাথে।
৪. জগতের সবাই খারাপ, কারণ শুদ্ধভাবে নামাজ পড়া হয় না।
৫. এবং আরো আরো খারাপ, কারণ সুদ, ঘুষ...
তিনি জীবন কাটিয়েছেন দুটা ফেইজে,
প্রথম ফেইজে অকথ্য বেতের বাড়ি খেয়েছেন সিলিঙে ঝুলতে ঝুলতেও!
দ্বিতীয় ফেইজ তাঁর বিফল। কারণ তিনিও অকথ্য বেতের বাড়ি দেন, কিন্তু আমাদের সিলিঙে ঝোলাতে পারেন না।
কারণ মাত্র একটা, আমরা তাঁর এতিম মাদ্রাসার ততোধিক এতিমস্য এতিম ছাত্র নেই।
দেখেন না ভাই,
এই একজন মানুষের কাছ থেকে আর কী আশা করব আমরা?
অস্থির ব্যাখা ভাই।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই মানুষগুলোর কাছে যা খুশি তাই বিশ্বাস করানো যায়, যদি তার শ্রদ্ধেয় কোন মাদ্রাসা শিক্ষক দিয়ে বলানো যায়।
এই কথাটাও বলতে চাইছিলাম,
কোথায় যেন বাঁধল।
তারা জীবনে নেটও দেখেন নাই, এখন সকল শাহবাগী ও সকল বলগার তথা মুরতাদ নাস্তিক নবীজী দ. কে গালি দেনেওয়ালার বিনা বিচারে চামড়া তুলতে চান। তাঁদের ধারণাও নাই যে, বলগারের সংখ্যা আড়াই লাখ কমবেশি।
৩৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
বিশ্ব প্রেমিক বলেছেন: @প্রজন্ম৮৬
ভাই আপনি একটা খুব সুন্দর কথা বলেছেন । আমারও মনে হয়ে বর্তমান সময়ের বিবাদ মেটানোর জন্য এটি একটি ফলপ্রুস ব্যবস্থা হবে। কারণ ১ জন নাস্তিককে বাড়ি দিলে ১০ জন নাস্তিকের শিক্ষা হবে, আর ১০ জন নাস্তিককে বাড়ি দিলে দেশের নাস্তিক জাতির শিক্ষা হবে । কারণ খালি কথায় আর চিড়া ভিজতেছে না !!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শো ইউর লাভ, সুপার লাভ হিরো!
৩৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: "মাত্র একজন নাস্তিককেও যদি সামাজিক চাপে তওবা করানো হয়,
হিতে বিপরীত হবে।
ভবিষ্যতে এক হাজার নাস্তিকের জন্ম হবে।"
ভাল বলেছেন।
ইতিহাস বলে ইসলাম প্রচার ও প্রসার কখনই চাপে হয়নি।
তবে প্রজন্ম৮৬ ভাইয়ের মন্তব্যে আপনার উত্তরের অপেক্ষায় আছি।
আল্লাহ আমাদের ইসলাম সঠিক ভাবে বোঝার ও জানার তৌফিক দিন। আমিন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইসলামের নামে এমন মুড়িভাজা খৈভাজা করার স্বভাব চিরকালই জামাতি অথবা কাঠমোল্লাদের।
আমাদের দেশেরটাই দেখুন না।
এখানে ইসলাম কীভাবে এসেছিল? তাদের স্বভাব কেমন ছিল যারা ইসলামকে দুর্নিবার একটা হটকেকে পরিণত করেছিলেন? তাঁদের ভাষা, লালিত্য কেমন ছিল?
মূলের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে আমাদের। তাতে একটু মৌলবাদী হতে দোষ কী?
অপমানের বদলে আর যাই হোক, অপমান ফিরিয়ে দিতে পারি না আমরা।
বিশেষ করে ইসলামিক পদ্ধতিতে অপমান, ইম্পসিবল। ইসলামকে এত কলূষিত করার কোন মানেই নেই।
৩৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে না। সবকিছুর তামাশা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি মাত্র এক লাইনে অনেক কিছু বলে দিয়েছেন।
অল ইজ ওয়েল। অল ইজ ওয়েল।
৩৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
দিশার বলেছেন: তসলিমা রে বারী দিয়ে, আজাদ রে কপায়ে, রাজীব রে মেরে কি বাংলাদেশ য়ে নাস্তিক হওয়া বন্ধ করা গেসে? যায় নাই . তাই কাওকে তৌবা করায়ে কিসের শিক্ষা দিবেন ? ঘৃণায় বাড়বে ধর্মান্ধ অশিক্ষিত মোল্লা দের প্রতি। আপনারা কোরান এর বাণী মানেন না একটাও , কিন্তু মোল্লাদের কোথায় নাচেন সময় সময়ে . @ ৮৬
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রজন্ম ৮৬ ভাই যে শিক্ষার কথা বলছেন,
সে শিক্ষার প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেড়াচ্ছেন দিশার ভাই তাঁর প্রোপিকে।
একটু খেয়াল করুন।
অনেক কিছু বোঝা যাবে।
ঘৃণা এমন একটা পুঁজি যা দিয়ে যে কোন কিছু কিনে নেয়া যায়। ঈমান পর্যন্ত।
৩৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬
দিশার বলেছেন: লিসনি ভাই ভালো লাগে আপনার লেখা . ঘটনা গুলা নিয়ে একটা পোস্ট করতে পারেন। দেখি আমিও করব একটা পসর। ছোট বেলায় হুজুর এর বেতের বাড়ি খয়ে মনে হইত হুজুর শ্রেণী কেন যে আল্লাহ তৈরী করসে দুনিয়াতে! আর মনে হইত , আল্লাহ কোরান যখন শিখতে হবে, আমার ভাষা তা আরবি না করে বাংলা করলা কেন ! তাখ্রার থেকে মাখরাজ এর উচ্চারণ ও মাই গড! বেতের বাড়ি আর বেতের বাড়ি ! হাহা হুজুর বাণী এখন মনে আসে, "নাভি থেকে হবে , কাফ না জিম কি জানি খেয়াল হচ্ছে না !" পুরা আমপারা মুখস্ত করায়সিল এক হুজুর আমাকে ! পুরা তা ভাই ! সুরা বালাদ দেখে তো আমি মনে করসিলাম সর্বনাশ , ইহ জনমে মুখস্থ হার না এটা .
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমাকে এত উপরের দিকে নিয়ে যাননি। আমি ছিলাম গাধা টাইপ ছাত্র। সবার পরে আমার মুখস্ত হতো।
আব্বু জার্নি বাই বোট মুখস্ত করতে বলত।
৭ ব্লাডি ডেজ লাগত আমার।
আমার স্যার, যিনি তখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়েন, প্রাইভেট পড়ান আমাকে,
তিনি যখন বললেন, তিনি মাত্র এক বেলায় জার্নি বাই বোট মুখস্ত করেছিলেন, তখন সে কী শ্রদ্ধা আমার!
ব্লাডি শিক্ষা ব্যবস্থা আমারে বুঝতেই দেয় নাই, আরে মূর্খ, তুই চাইলে প্রতিদিন এমন একশ জার্নি বাই বোট পয়দা করতে পারিস অন ইউর ওউন।
ভাই এত কষ্ট হতো কুরআনের সূরা মুখস্ত করতে!
অথচ এখন যাই শুনি মনে থেকে যায়।
এরই নাম আগ্রহ।
আগ্রহের সাথে বেতের বাড়ি যায় না,
উপলব্ধির সাথে তেমনি কখনো তওবা যায় না।
৩৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
রাফা বলেছেন: এরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে ইসলামের।মনে হয় ইসলাম রক্ষা করার লাইসেন্স আছে এদের।ইসলামেই মনে হয় জোড় করে কোন কিছু করার বিধান নেই।অথচ দেখছি ঠিক উল্টোটাই করছে কিছু মানুষ।এবং সেটা যে ইসলামকে মহিমান্মিত করা জন্য নয় তা পরিস্কার।উদ্দেশ্য পরিস্কার।
আপনার বিশ্লেষন এবং কমেন্টের জবাবে মুগ্ধ।
ধন্যবাদ,গো.দ.লিসানী ভাই।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রাফাভাই, আপনার কমেন্টটা পরিপূর্ণ এবং পরিপূরক।
ভাল লেগেছে খুব। আসলেই।
তবে এরা বিশ্বাস করে, ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব এদের হাতেই।
মাঝ মাঝে কিছু মানুষ তো হেসেই ফেলে, আল্লাহর দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেয় বোকা।
৩৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৩
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আপনার কাজে যখন দেখবেন কাফির মুশরিক আর মুনাফিকেরা বাহবা দিবে, খুশি হবে, তখন জানবেন যে আপনি এদেরই একজন, কাজেই সাধু সাবধান।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আইচ্ছা।
এই হইল আপনার (তথাকথিত, অপ্রকৃত) ইসলামের নমুনা?
বলেছিলাম না,
আপনাদের মাথা এত নোংরা,
যে সেখানে বিদ্বেষ ছাড়া কিছু পোরা নেই?
এবং আপনাদের কাছ থেকে কেউ নিরাপদ নয়?
এবার বুঝতে পারছেন হয়ত কিছু সহব্লগার,
কী কারণে এই ধরনের মানুষগুলো থেকে আমরা মুক্তি চাই, নাকি?
ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক আর মিলিট্যান্ট মুসলিম-
এই দুই জাতের পশু থেকে আমরা আন্তরিকভাবে চিরতরে মুক্তি চাই।
হাশরের ময়দানে সাক্ষ্য দিতে পারবেন তো? ওই গাটস আছে? ওইখানে দেখা হবে বন্ধু। আপনার সাথে হিসাব নিকাশ আছে।
৪০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪
বিশ্ব প্রেমিক বলেছেন: হুম, যেহেতু নাস্তিকদের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, সেহেতু নাস্তিকতাকে তাদেরই প্রচার করতে হবে, এজন্য তাদেরকে পুরাপুরি স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
আর ইসলাম ধর্মের জন্য যেহেতু একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছে, সেহেতু তার ধর্মের প্রচারণা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সেই সৃষ্টিকর্তার হাতেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
আমার মনে হয় - উপরের দুই উক্তির মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে এবং হয়েছে। আশাকরি এ বিষয়ে আপনারও কোন দ্বিমত নেই এবং থাকার কথাও নয় ।
ধন্যবাদ
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আশা করি আপনি অনেক খুঁজে কোন একটা কথা পেয়েছেন যেটার ওয়াসিলা ধরে এই পোস্টকে রিজেক্ট করতে পারবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
যা চাই তাই খুঁজে পাওয়া যায়।
আসলে আমাদের মনকে সব সময় বুঝ দিতে হয়।
সব সময় কোন একটা ছুতো দেখিয়ে পোষ দিতে হয়।
আপনি আমি সবাই তো ভাই একই রকম।
হাদীস শুনিয়ে দেই যাবার কালে দুটা।
১.
রাসূল দ.'র কাছে এসে সম্ভবত আবু জাহেল বললেন, আপনার মত কদাকার আর কাউকে দেখিনি।
তিনি বললেন, আপনি সত্য বলেছেন।
সিদ্দিকে আকবার রা. বললেন,
আপনার মত সুন্দর কাউকে দেখিনি।
তিনি বললেন, আপনি সত্য বলেছেন।
তিনি জিজ্ঞাসিত হলেন, কে সত্যি?
উভয়েই, কারণ আমি আয়না।
২.
উবাই দেখলেন, প্রিয় রাসূল দ.'র সেই বাহন গাধা দাঁড়ানো।
যাত্রা বিরতিতে মুনাফিক উবাই ইচ্ছা করেই বললেন, কার গাধার প্রস্রাবের গন্ধ এত বাজে?
ছুটে এলেন এক সাহাবী রা.। তাঁর চোখমুখ লাল। কেঁদে ফেলেন এমন অবস্থা। বললেন, আহ্, আমার রাসূল দ.'র বাহনের প্রস্রাব থেকেও মৃগনাভির স্বর্গীয় সুঘ্রাণ আসছে।
আমি মাতোয়ারা। মাতোয়ারা।
চাইলে যে কোন কথার দৃষ্টিকোণ উল্টানো যায়।
এখন আপনি বলেন,
কথাটা আমি বলেছি, নাকি আপনি?
তাহলে দৃষ্টিকোণের সঠিক ব্যাখ্যাদাতা আমি, নাকি আপনি?
ভাই আপনি যেভাবে দৃষ্টিকোণ উল্টে দিয়ে কথা উল্টে দিলেন,
এভাবেই দৃষ্টিকোণ উল্টে দিয়ে কথা উল্টে দিয়ে আমার নবী দ. কে মূর্খ বলছে একালের কিছু উবাই।
সেভাবেই দৃষ্টিকোণ উল্টে দিয়ে কথার অর্থ চেইঞ্জ করে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের আজো জামাতিরা বলে গন্ডগোলকারী, ডাকাত!
সেভাবেই দৃষ্টিকোণ উল্টে দিয়ে আমার রাসূল দ. কে কিছু ইহুদি ও খ্রিস্টান এবং বিদ্বেষী নাস্তিকরা গালি দেন।
সবকিছু জানার পরে যে প্রশান্তি আসে, সাইয়িদুনা ইব্রাহিম আ.'র সেই প্রশান্তি কামনা করছি আপনার জন্যও, যাকে আল্লাহ ক্বালবুস সালিম বলেছেন।
কেন না, অর্ধসত্য জানাও এক ধরনের আযাব।
৪১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: যৌক্তিক বিশ্লেষন এং সহমত।
ইসলাম ধর্ম তামাশার বস্তু নয়। হতাশার কথা হলো সঠিক জ্ঞানের অভাবে এগুলো নিযে কেউ চিন্তাও করে না। একটু পরে আসছি কিছু পয়েন্ট ধরে আলোচনা করবো।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অবশ্যই আসবেন। কিছু ডিটেইলড আলোচনা আশা করি। পোস্টটা বেশ রিচ হয়ে উঠেছে।
৪২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
আলতামাশ বলেছেন: অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে। এরাই হল সেই সব লোক আল্লাহ যাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানি, প্রজ্ঞাময়। * আর এমন লোকদের জন্য তওবা নয় যারা অনবরত পাপ কাজ করতে থাকে এমনিক যখন তাদের কারো উপর মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন বলতে থাকে, আমি তওবা করেছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য যারা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা নিসা-১৭,১৮)
একটা পোস্টও দিলাম মজা করার জন্য
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আপনার পোস্ট দারুণ টুইস্টার ছিল। অনেক ভাল লেগেছে, বেশ মজাও লেগেছে।
৪৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার এই আলোচনা প্রসঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়ল। পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু মিশনারী গ্রুপ খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করে। সেখানে একটা মুসলিম পরিবার আর্থিক সুবিধার জন্য খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করলেও গোপনে নামাজ রোজা পালন করত। এই বিষয়ে ঐ খ্রিস্টান ধর্ম জাজকের দৃস্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছিলেন: আমরাও জানি নতুন ধর্মান্তরিতদের অনেকেই গোপনে আগের ধর্ম পালন করে, আমারা তাতে কিছু মনে করি না। কারণ আমাদের লক্ষ পরের প্রজন্ম। নতুন প্রজন্ম যখন খ্রিস্টান পরিচয়ে বেড়ে উঠবে তখন তাদের মধ্যে আর আগের ধর্মের আকর্ষণ থাকবে না।
অর্থাৎ যদি একটা সংস্কৃতি কিছুটা ত্রুটি-বিচ্যুতি মেনে নিয়েও চালু রাখা যায় তাহলে দীর্ঘমেয়াদে পরবর্তি প্রজন্মে তার ফল পাওয়া যায়। আমার মনে হয় উদ্যোক্তারাও এই অবস্থান থেকে কাজটা করতে চাইছেন। যদি কিছু নাস্তিককে দৃস্টান্তমুলক ভাবে তওবা পড়িয়ে ক্ষমা করা হয় তাহলে তারা হয়ত আন্তরিক ভাবে মুসলমান হবে না, হয়ত তারা গোপনে নাস্তিকতার চর্চা অব্যাহত রাখবে - কিন্তু অন্যরা এ'খান থেকে শিক্ষা নেবে। বস্তুত আমাদের সমাজে ইসলামতো তার সত্যিকার চেতনায় প্রতিষ্ঠিত নাই - এখানে যা আছে তা খ্রিস্টান, ইহুদী, হিন্দু বা বৌদ্ধদেরমত মুসলিম জাতীয়তার একটা সামাজিক সংস্কৃতি - তাই না?
আপনার আরো কিছু যুক্তির বিপরিতে পাল্টা যুক্তি দেয়া যায় -
কিছু মানুষের মাঝে মাদকের প্রতি আষক্তি আছে, কিছু মানুষের মাঝে আছে অপরাধ প্রবনতা। আমরা জানি এদেরকে স্বাস্তি দিলে বা কিছুদিন জেলে বন্দি করে রাখলেই তারা শুদ্ধ ভালমানুষ হয়ে যাবে না। কিন্তু তার পরও আমরা বিচার করি, অপরাধীদের জেলে রাখি। কেন? যাতে এ'দের দেখে অন্যরা শিখতে পারে।
আসল কথা হচ্ছে কাজটা সমাজের জন্য খারাপ কি না। যদি কাজটা খারাপ হয় তাহলে যকোন উপায়ে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে, কমিয়ে রাখার চেস্টা করতে হবে। যদি নাস্তিকতার নামে বাংলাদেশের ব্লগে যা চলে অর্থাৎ 'ইসলামের প্রতি নোংড়া বিদ্বেষ প্রচার' এটা খারাপ কাজ হয়, নিন্দনিয় কাজ হয় তাহলে যেকোন উপায়ে তা প্রতিরোধ করতে হবে। খুনি বা ডাকাতকে জেলে বন্দি রাখলে সে আন্তরিকভাবে শুদ্ধ ভালমানুষ হবে না এই অযুহাতে কোন স্বাস্তি না দেয়া যৌক্তিক হতে পারে কি?
আপনি এক কমেন্টে বলেছেন আট প্রকার নাস্তিকের প্রত্যেককে মোকাবেলার যৌক্তিক পথ আপনার জানা আছে - খুব ভাল কথা, কিন্তু আপনি কি সেই পথে গিয়ে ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী লেখা প্রকাশ থামাতে পেরেছেন? যদি পারতেন তাহলেতো আজকের অবস্থা হত না। যদি নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে অপরাধ কমানো যায় তাহলে নিশ্চয়ই বিচার বা সাস্তির প্রয়োজন হয় না - কিন্তু অপরাধ যখন ঘটছে তখন বিচার/সাস্তি ছাড়া উপায় কি?
আপনি প্রশ্ন করেছেন: এই আন্দোলন এখন কেন - ইসলাম বিদ্বেষী লেখাতো আরো অনেক আগে থেকেই চলছে? দারুন যুক্তি! কোন চোর ধরা পড়ার পর যদি বলে - আমি তো গত চল্লিশ বছর ধরে চুরি করছি, এতদিন কেউ ধরলেন না আজকে কেন ধরা হল? নিশ্চয়ই পুলিশ তার প্রমোশনের আশায় এটা করেছে - সেটা কেমন যুক্তি হবে? এই যুক্তিতে কি তাকে ছেড়ে দেয়া যাবে?
আমি আপনার লেখার মুল চেতনা অর্থাৎ মানুষকে জোর করে তওবা পড়ান বা মুসলমান বানানোর বিরোধিতাকে সর্থন করছি। আমিও মনে করি যে তওবা নিশ্চয়ই মানুষের অন্তর থেকে আসতে হবে, ধর্মও মানুষকে অন্তর থেকেই গ্রহন করতে হবে। সেই হিসেবে কে নাস্তিক হবে বা কে কোন ধর্ম পালন করবে সেটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশে নাস্তিকতার নামে যা হয় তাকে নোংড়ামীর চুড়ান্ত ছাড়া আর কিছু কি বলা যায়? নাস্তিকরা যদি তাদের পক্ষে হাজার পাতাও লেখে তাতে কেউ কিছুই বলবে না, কিন্তু তারা যখন ইসলামকে আক্রমন করে তখন কোন দুর্বল ঈমানের মানুষও কি তা সহ্য করতে পারে?
কমেন্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে - একটা প্রশ্ন রেখে শেষ করছি: মক্কা বিজয়ের সময় স্বাধারণ ক্ষমার মধ্যেও কিছু ধর্মবিদ্বেষীকে হত্যা করার নির্দেশ ছিল - কেন?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমরাও জানি নতুন ধর্মান্তরিতদের অনেকেই গোপনে আগের ধর্ম পালন করে, আমারা তাতে কিছু মনে করি না। কারণ আমাদের লক্ষ পরের প্রজন্ম।
সামান্য অর্থের সে কী মাহাত্ম্য! এই কারণেই, তাদেরই অনুসারিত বাইবেল থেকে মহান জেসাস ক্রাইস্ট এর মত বলতে হয়,
তুমি দুই প্রভুর উপাসনা একত্রে করতে পারবে না।
অর্থ এবং সদাপ্রভু ঈশ্বর- এই দুইয়ের মধ্যে যে কোন একজনকেই বেছে নিতে হয়।
হয়ত তারা গোপনে নাস্তিকতার চর্চা অব্যাহত রাখবে - কিন্তু অন্যরা এ'খান থেকে শিক্ষা নেবে।
ভাই, মাঝে মাঝে গুলি ব্যাকফায়ার করে তো!
উল্টো হবে। প্রত্যেক নাস্তিক সাধারণত সাঙ্ঘাতিক শিক্ষিত হয়ে থাকেন।
তাদের ন্যাশনাল চ্যানেল পুওর হলেও ইন্টারন্যাশনাল চ্যানেল খুবই রিচ হয়ে থাকে।
আমি তিনটা বিষয় কখনো মানতে পারব না-
১. আমার প্রিয় মা বাংলাদেশের অপমান হবে সারা বিশ্বে। ছি, মুখ কোথায় লুকাব?
২. জীবন গড়ে উঠেছে যে ধর্মের উপর ভিত্তি করে, যা নিয়েই শেষ শ্বাস ছাড়ব, সেটা নিয়ে কেউ কেউ যা খুশি তা বলা শুরু করবে- কতজনকে ঠেকাব আমরা?
৩. আমাদের রাসূল দ. ব্যক্তির প্রতি সাঙ্ঘাতিক শ্রদ্ধাশীল।
এমন কোন কাফির মুশরিক তাঁর সামনে আসেনি,
যাকে তিনি জানপ্রাণ দিয়ে আতিথেয়তা করেননি।
আমি ওই রাসূল দ.'র উপর ঈমান এনেছি, যিনি নিজের গায়ের চাদর সব মুশরিকদের জন্যও বিছিয়ে দিয়েছেন।
হায়রে, যার থুতু আমাদের সাহাবী রা. গণ পড়তে দেননি তিনি কিনা আলোকিত চাদর বিছিয়ে দিলেন।
জয় তো তলোয়ার দিয়ে হয় না।
জয় ভালবাসা দিয়ে হয়।
(ওই আলিমদের বলছি)
মাফ চাওয়ান।
শান্তি দেন।
দেশান্তরী করেন।
যা খুশি তাই করেন, (সামাজিকভাবে)
কিন্তু আমার ইসলামকে জড়িয়ে তওবা করিয়ে নিবেন, আর মুখ বুজে থাকব?
কিয়ামতে কী জবাব দিব?
ইসলামের মান রক্ষায় কী করেছি আমরা?
কথা স্পষ্ট, যা খুশি করুন সামাজিকভাবে, এবং ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে, তবে ইসলামকে জড়িয়ে নয়, প্লিজ। আর পারলে ব্যক্তিগত অসম্মানকে এড়িয়ে যান। অসম্মানের শাস্তি স্বরূপ শাস্তি হতে পারে, অসম্মান কক্ষনো কোনদিন কোন মুহূর্তে কোন কালে নয়।
চোখের বদলে চোখ হতে পারে, নাকের বদলে নাক, কিন্তু একমাত্র অসম্মানের বদলে গ্রহণযোগ্য শাস্তিই হতে পারে, অথবা ভৎর্সনা। অসম্মান, কখনো নয়।
তাহলে ওই নাস্তিক আর আমাদের ইসলাম এক কাতারে দাঁড়িয়ে গেল।
উদাহরণ তৈরি করুন।
কিন্তু কীভাবে, এ বিষয়ে নন-ব্যাকফায়ারিং মেথড হাতে নিতে হবে। চাওয়া তো শুধু ওটুকুই।
বস্তুত আমাদের সমাজে ইসলামতো তার সত্যিকার চেতনায় প্রতিষ্ঠিত নাই - এখানে যা আছে তা খ্রিস্টান, ইহুদী, হিন্দু বা বৌদ্ধদেরমত মুসলিম জাতীয়তার একটা সামাজিক সংস্কৃতি - তাই না?
ভাই মাথা পেতে নিলাম কথাটা। তবে এই যদি হয় আমাদের দুর্বলতা, আমরা দুর্বলতা ঢাকতে চাই মুসলিম হিসাবে। কেন শুধু শুধু কোন মানুষ বলবে, আমার বাংলাদেশ দুর্বল? তেমনি আমি কেন বলব, ইসলাম সবল হলেও সামাজিকভাবে ইসলামের কালচার দুর্বল আছে অনেকটা?
আমি মূলের দিকে যাব। প্রয়োজনে যেহেতু অলরেডি মুরতাদ আর কাফির খেতাব পেয়ে গেছি, মৌলবাদী খেতাবটাও অর্জন করে নিব।
কিন্তু তার পরও আমরা বিচার করি, অপরাধীদের জেলে রাখি। কেন? যাতে এ'দের দেখে অন্যরা শিখতে পারে।
এজন্যই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, অন্যায় নয়। অপরাধীদের আমরা সামাজিক চেতনার আওতায় আনি, তাদের যেখানে সেখানে ব্যক্তি পর্যায়ে অপমান হয়ত করলেও সামাজিক পর্যায়ে তা করি না।
আসল কথা হচ্ছে কাজটা সমাজের জন্য খারাপ কি না। যদি কাজটা খারাপ হয় তাহলে যকোন উপায়ে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে, কমিয়ে রাখার চেস্টা করতে হবে।
ভাই এই কথাতেও একমত। শুধু যেকোন শব্দটার বদলে সঠিক/প্রযোজ্য শব্দটা প্রতিস্থাপিত করুন।
খুনি বা ডাকাতকে জেলে বন্দি রাখলে সে আন্তরিকভাবে শুদ্ধ ভালমানুষ হবে না এই অযুহাতে কোন স্বাস্তি না দেয়া যৌক্তিক হতে পারে কি?
না, হতে পারে না। এটা তো আমারও কথা সেই শুরু থেকে। আপনিও পাশে আছেন। জানেন।
আট প্রকার
ভাই প্রতিরোধের পদ্ধতি তো আমার জানা নাই সম্পূর্ণ। তবে আমি বিশ্বাস রাখি, জানতে পারব।
আর জানতে পারলেও একটা বিষয় যে পুরোপুরি সবার উপর বর্তানো সম্ভব নয় এটা তো আমরা দুজনেই জানি।
আপনি প্রশ্ন করেছেন: এই আন্দোলন এখন কেন - ইসলাম বিদ্বেষী লেখাতো আরো অনেক আগে থেকেই চলছে?
আমি প্রশ্নটা করতাম না, যদি উত্তর জানা না থাকত। উত্তরটা ভয়ানক, এ কারণেই প্রশ্নটা করেছি। যে কোন অন্যায়কে যে কোন সময় প্রতিরোধ করা যায়। নৈতিক শিক্ষা দিয়ে অথবা সামাজিক রাষ্ট্রীয় শাস্তি দিয়ে।
কিন্তু বাংলাদেশে নাস্তিকতার নামে যা হয় তাকে নোংড়ামীর চুড়ান্ত ছাড়া আর কিছু কি বলা যায়? নাস্তিকরা যদি তাদের পক্ষে হাজার পাতাও লেখে তাতে কেউ কিছুই বলবে না, কিন্তু তারা যখন ইসলামকে আক্রমন করে তখন কোন দুর্বল ঈমানের মানুষও কি তা সহ্য করতে পারে?
একমত।
শেষ প্রশ্ন
কারণ মক্কাতে শরঈ আইন প্রচলিত হয়েছিল।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমাদের রাসূল দ. কে নিয়ে শুধু শুধু কুৎসা রটানোর কাজ যারা করে, তাদেরকেও এই আওতায় আনা যাবে কি না?
যাবে না কেন?
সংসদে দুই তৃতীয়াংশ জনমত নিয়ে বিল পাশ করলেই যে কোন আইন হয়ে যায়। এমনকি গঠনতন্ত্র বা সংবিধানও বদলানো যায়।
যেহেতু গণতন্ত্র বিদ্যমান।
কিন্তু শাস্তি হতে হবে রাষ্ট্র-সামাজিক।
৪৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: বলধ কি গাছে ধরে? যে বা যারা ধর্মেই বিশ্বাসী নয়-তাদেরকে তওবা করানো হবে কোন বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিষয়টা ওই ধরনেরই। যারা বলাকার পা ভেঙে সুন্নাত আদায় করতে পেরেছে মনে করে, তাদের সাথে যুক্তিতে গিয়েও লাভ নেই।
৪৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: এটাতো জানতাম মুসলমানের জান মাল যেকোনো মুসলমানের কাছে সবচেয়ে দামী- আর আপনার কাছে হলাম মিলিট্যান্ট মুসলিম যা আপনার মতে পশুর সমতুল্য।
ভালো। আবু বকর রা:, ওমর রা:, আলী রা: মত আমীরুর মুমেনীন, হাসান হোসেন র:, যোবায়ের রা:, খালিদ রা: এসব মিলিটারী লিডারদের মত মিলিট্যান্ট মুসলিম সাথের এক অতি ছোট লোক মিলিট্যান্ট মুসলিম নাম পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। দয়া করে একটু পড়া লেখা করে নেবেন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের ব্যাপারে এরা কেমন কঠোর ছিলেন।
আমার সৌভাগ্য যে, নবী করীম (স কিছু সুন্নাত আমার সাথে আছে, আর হুজুরের (স শানের সাথে বেয়াদব বিদ্বেষী নাস্তিকদের ব্যপারে আমার মনোভাবও ভয়াবহ কঠোর থাকবে, তাতে আপনার মত লোকের সমালোচনায় কিছু এসে যায় না।
"হাশরের ময়দানে সাক্ষ্য দিতে পারবেন তো? ওই গাটস আছে? ওইখানে দেখা হবে বন্ধু। আপনার সাথে হিসাব নিকাশ আছে।"
আমার নিজের ভুলের ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার সামনে হাজির হতে ভয়ে আছি, এই গাটস নেই।
তবে এখানে যে ব্যাপারে আপনি একটা চাল দিতেছেন সে ব্যপারে সাক্ষ্য দেবার গাটস অবশ্যই আছে, দুনিয়াতে বা আখিরাতে, যেকোনো খানে।
"আপনার মতে পশুর সমতুল্য আমরা" দেখা হবে বন্ধু। আপনার সাথেও হিসাব নিকাশ আছে (ভয় নেই হুমকী দিইনি, হাশরের ময়দানে হিসাব হবে) ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আবু বকর রা:, ওমর রা:, আলী রা: মত আমীরুর মুমেনীন, হাসান হোসেন র:, যোবায়ের রা:, খালিদ রা:
এঁরা মিলিটারি লিডার, মুসলিম রাষ্ট্রের মহান সব জেনারেল ও ফিল্ড মার্শাল। মিলিট্যান্ট মুসলিম বলতে আমি তাদেরই বুঝিয়েছি যারা স্বমতের বিন্দুমাত্র এদিক সেদিক হলেই মিলিটারি অ্যাকশন নেয়। যে ধারাটার শুরু আজ থেকে মাত্র তিনশো বছর আগে।
আমি আপনাকে উৎসর্গ করে একটা পোস্ট দেয়ার আশা রাখি। ইঙ্গিতে ওই পোস্টে বুঝে নিবেন, মুসলিমের কাছে মুসলিমের জানপ্রাণ সবচে বেশি মূল্যবান- আর আমি কাদের কথা বলছি। সেই মুসলিমদের কথা বলছি, যাদের হাতে কারো জানপ্রাণই নিরাপদ নয়। তবে সেটা ইঙ্গিতে বুঝে নিতে হবে। খুল্লাম খুল্লা প্যায়ার সব সময় ভাল নয়।
দয়া করে একটু পড়া লেখা করে নেবেন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের ব্যাপারে এরা কেমন কঠোর ছিলেন।
ভাই, আমি মহান সাহাবাদের কথা তো কল্পনাই করতে পারি না। তাঁরা ঈমানের সর্ব্বোচ্চ স্তরে ছিলেন, কারণ তাঁরা সত্যকে নিজ চোখে অবলোকন করে ঈমান এনেছিলেন। তাঁদের স্তরে আমাদের মত মানুষ কখনো যেতে পারবে না।
আপনি আমার মত নগণ্য মুমিনের কর্মকান্ড দেখে নিবেন, আমিই বা অতীতে কী পরিমাণ স্টেপস নিয়েছি রাসূল দ.'র অবমাননার বিষয়ে। তারপর নিজেকেই জিগ্যেস করবেন, হক আদায়ের চেষ্টা করেছি কিনা, বাকি ২ লক্ষ সহব্লগার তার কতটুকু করেছে।
আমার নিজের ভুলের ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার সামনে হাজির হতে ভয়ে আছি, এই গাটস নেই।
আপনার তাক্বওয়াকে আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখলাম। এখানে কোন অভিনয় নেই।
"আপনার মতে পশুর সমতুল্য আমরা" দেখা হবে বন্ধু। আপনার সাথেও হিসাব নিকাশ আছে (ভয় নেই হুমকী দিইনি, হাশরের ময়দানে হিসাব হবে) ।
আমি স্বাগত জানালাম। আলহামদুলিল্লাহ। অন্তত ইসলাম নিয়ে গত পাঁচ বছরে যে ফুটা শব্দও করেছি, জেনে বুঝে করেছি। নিজে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি, তার ভিত্তিতেই। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ. জানিয়েছেন, প্রত্যেককে নিজের জানার ভিতরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৪৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: দরুদ লেখায় ইমোটিকন আসায় আন্তরিক ভাবেই দু:খিত।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি দরুদ ব্রাকেটে লিখি না দুই কারণে,
১. ব্রাকেটে যাওয়া মানেই আড়ালে যাওয়া। দরুদ আড়ালে চলে যাচ্ছে।
২. ইমোটিকন চলে আসে ব্লগে।
অসুবিধা নাই ভাই, নিয়্যতের উপর কাজের মান নির্ধারিত হয় আল্লাহর কাছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের উপর নয়।
৪৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
নস্টালজিক বলেছেন: সহজ করে লিখসেন! ভালো লাগলো!
খবরটা পড়ে খুব হাস্যকর লাগসে আমার কাছে! ইসলাম বিদ্বেষীদের নিয়ে আমার আগ্রহ শূন্যের কোঠায়! তাদের তওবা করানোর ব্যাপারে সরকারের এই স্টেপ-টা ভালো লাগে নাই আমার কাছে! একদমই না...
আপনার লেখা যুক্তিযুক্ত হয়, চিন্তার খোরাক যোগায় আপনার শব্দচয়ন!
শুভেচ্ছা, লিসানী!
ভালো থাকুন নিরন্তর!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন কবি! অনেক স্পর্শী মন্তব্য হয়েছে। আমারো কিন্তু মোটামুটি শূণ্যের কোটায়। কারণ তাদের মোটিফটা স্পষ্ট।
আপনি আমি যতই বোঝাই, তাঁরা গত ছ বছর ধরে ত্যানা পেচিয়েই গেছে।
বোঝালে বলেছে, বুঝিনি, আবার বলেন।
তারপর হাসাহাসি করেছে।
এখন একবার বলেন. তারপর কী হতে পারত?
৪৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তওবা কাকে করানো যায়? যে ধর্মে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কি ধর্মে বিশ্বাস করে ? ধরলাম নাস্তিকদের তওবাও কারো হলো তাতে কি হবে? তারা ধর্ম বিশ্বাস শুরু করে দিবে? নাকি ধর্মের প্রতি ঘৃণা আরো বাড়বে? আর এই ঘৃণা কি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে না?
কে অধিকার দিয়েছে কাওকে জোর করে তওবা করানোর? এটা কি তামাশা নয়? ইসলাম ধর্মকে নয়ে তামাশার মাত্রা পার হয়ে যাচ্ছে!
ইসলাম বিদ্বেষের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এই স্টেপটির মাধ্যমে। বিস্তরিতো আপনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন
এই স্টেপটির জন্যে সাধারণ মুসলিম হিসেবে আমি কোনভাবেই খুশি হতে পারছি না। কারণ বিদ্বেষীরা নতুন একটি রিজন পাবে ইসলামকে অপমান করার। এইটা ইসলাম ধর্মের অবমাননা! আর একজন মানুষের ব্যাক্তিগত মত সেটা যতই নিকৃষ্ট হোক না কেন সেটাকে ধর্মের চাদর দিয়ে শুদ্ধ করে ফেল যাবে সেটা ভাবা বোকামি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ, দারুণ। কথাগুলো অনেক বেশি স্পষ্ট করে বলেছেন। ধন্যবাদ রইল।
৪৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২
রামন বলেছেন:
তওবা জামায়াত শিবিরের পালিত গুন্ডাদের করানো উচিত যারা প্রতিনিয়ত ইসলামকে বিতর্কিত ও হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কথাটা সত্যি। যেহেতু তারা মুসলিম সমাজে অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু ওইযে, ওদের তওবা করিয়েও কিছু হবে না।
কারণ তওবা তো আন্তরিকভাবে করতে হয়।
ধরে করালে তাতে অপমান হবে, তওবা হবে না।
৫০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
কাজিম কামাল বলেছেন: পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০
আসফি আজাদ বলেছেন: হাস্যকর একটা কাজ হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ফলাফল হাস্যকর না হয়ে ক্ষতিকর হবে।
তবে যেহেতু নির্বাচন মৌসুম সমাগত, কাজেই এইটা 'উপায় নাই গোলাম হোসেন'...ইসলামের যা হয় হোক, ভোট যুদ্ধে তো জিততে হবে!
অফ টপিক: ভুল না হলে দিশারির প্রোপিক আপনি যা ভাবছেন তা নয়। মেংগো পিপোল -এর এই পোষ্টে Click This Link ৩৪ নং কমেণ্টের উত্তর দেখতে পারেন
ধন্যবাদ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিষয় নিয়ে অন্য কথা আছে তা অবশ্য জানি। কিন্তু যে কারণে ব্যবহার করেছেন সেইটা তো স্পষ্ট।
৫২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৭
মৈত্রী বলেছেন:
...আপনার সন্তান বা অনাগত বংশধর আপনার চোখের সামনে নাস্তিক্য গ্রহণ করবে...
আলাইসাল্লাহু বি আহকামিল হাকিমীন.....
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: যে নাস্তিক্য গ্রহণ করবে সে তো তার নিজের দোষেই গ্রহণ করবে। নিজের ঈমান নিজেই খাবে।
কিন্তু শেষ বয়সে বাবা-মা যে কষ্ট পাবে তার কোন তুলনা নাই। আল্লাহ অনেক ক্ষেত্রেই এমন নমুনা দেখিয়েছেন।
৫৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: মাহবুব আলম একজন ল-ইয়ার। যদিও তিনি প্রাকটিস করেন না। তবে ল-ইয়ার হিসেবে জিনিয়াস। তিনি ইসলামী চিন্তাবিদ এটা আমি জানতাম না। আজকে পত্রিকা পড়ে জানলাম।
যে লিস্ট তিনি সরবরাহ করেছেন তার অধিকাংশই মনে হয় ঠিক আছে। আমার ভূলও হতে পারে।
তওবা পড়ানোর ব্যাপারে মাওলানা সাহেবদের বক্তব্য কি জানতে হবে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কী বলব ভাই, ওই মাওলানা সাহেবরা তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যরকম।
আর তওবা পড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। যারা মুসলিম, তারা আন্তরিকভাবে চাইলে তওবা করতে পারে, আর কেউ নয়।
৫৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০
এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: বাংলাদেশের মাওলানা সাহেবরা টাকা অনুযায়ী ফতওয়া দেয়, এটাই দঃখ লাগে। কার কাছ থেকে রিয়েল ফতওয়াটা জানব ???
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
৫৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৪
তারিন রহমান বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটিই ঠিক আছে, এক জায়গায় দ্বিমত পোষন করছি
এখন মধ্যযুগ নয়
মধ্যযুগকে বর্বর যুগ প্রমান করা ইহুদীদের একটি সুক্ষ্ন চক্রান্ত। মূলক মধ্যযুগে মুসলিম জ্ঞান ইর্ষনীয় পর্যায়ে ছিল। প্রটোকল অফ জিউস হান্ড্রেড ইয়ারস বইয়ে এ বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনা আছে। নেটে ঘাটলে বইটি পাবেন কিনা বলতে পারব না। সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
লিসানী সাহেব, আপানার ইদে মিলাদুন্নবী দঃ এর একটি পোস্ট পড়ে মনে করেছিলাম আপনি রাজারবাগ হুযুরের মুরীদ। আজকে জানলাম এটা শুদ্ধ নয়।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মধ্যযুগকে বর্বর যুগ প্রমান করা ইহুদীদের একটি সুক্ষ্ন চক্রান্ত। মূলক মধ্যযুগে মুসলিম জ্ঞান ইর্ষনীয় পর্যায়ে ছিল। প্রটোকল অফ জিউস হান্ড্রেড ইয়ারস বইয়ে এ বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনা আছে। নেটে ঘাটলে বইটি পাবেন কিনা বলতে পারব না। সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
ম্যা'ম, আপনার এই কথায় বরং দ্বিমত করতে পারলাম না। আপনি সুন্দরভাবে একটা ত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
ইদে মিলাদুন্নবী দঃ এর একটি পোস্ট পড়ে মনে করেছিলাম আপনি রাজারবাগ হুযুরের মুরীদ। আজকে জানলাম এটা শুদ্ধ নয়।
বাংলাদেশে তো কোটি কোটি মানুষ ঈদে মিলাদু্ন্নবী দ. পালন করেন এবং সমর্থন করেন। রাজারবাগের দরবারে থাকা মানুষগুলো পরিবার সহ সর্ব্বোচ্চ ২০/৩০ লাখ হতে পারেন এই দাবি তাঁরাই করেন।
৫৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
শিপু ভাই বলেছেন:
যৌক্তিক পোস্ট!!!
সহমত।+++++++++++
তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে- যারা নাস্তিকতার নামে ইসলাম বা অন্যান্য ধর্মের অবমাননা/উস্কানী/নোংরামী করে তাদের কি করা উচিত???
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: শিপুভাই অনেক ভাল লাগল দুইটা কারণে। প্রথমত, পুরো পোস্টও পড়েছেন আবার তারপর পুরো মন্তব্য পড়েছেন।
নোংরামী যারা করেন তাঁদের বিষয়টা নিয়ে কাঙাল ,মুর্শিদ ভাইয়ের মন্তব্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। ওগুলোও ভাল লাগল জেনে মনটা ফ্রেশ হয়ে গেছে ভাই।
৫৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
জাহিদ হাসান বলেছেন: তাতো বটেই !
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কী সুন্দর প্রোপিক আপনার! আত্মা পর্যন্ত জুড়িয়ে যায়।
৫৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
হাসান নাঈম বলেছেন: আপনি ধর্ম এবং ব্যাক্তিগত বিশ্বাস অবমাননার বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাই। তবে যদি অভয় দেন তো কিছু প্রশ্ন করি -
এই যে শাহবাগ কেন্দ্রিক আন্দোলন যার প্রেক্ষিতে আজকের নাস্তিক বিষয়ক সমস্যার উদ্ভব - তার দাবীগুলি এবং আন্দোলন পদ্ধতি ইসলামের দৃস্টিকোন থেকে একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
যেমন ধরুন: আদালতকে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রভাবিক করে রায় পরিবর্তনের চেস্টা বা নারী-পুরুষ বেপর্দা হয়ে নেচে-গেয়ে সমাবেশ আকর্ষনীয় করা বা একজন স্বঘোষিত ইসলাম বিদ্বেষীকে শহীদ উপাধী দিয়ে মহিমান্মিত করা - ইসলামের দৃস্টিতে এগুলি কেমন কাজ?
আপনি শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থক এবং শাহবাগ থেকে পরিচিতি প্রাপ্ত নাস্তিকদের সাস্তিপ্রদান পদ্ধতি নিয়ে ইসলামের দৃস্টিকোণ থেকে আপত্তি তুলেছেন বলেই আপনাকে প্রশ্নটা করলাম। নির্মোহ যুক্তিপুর্ণ ও সঠিক ইসলামী চেতনা ভিত্তিক উত্তর আশা করছি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এই আলোচনা হতে পারে।
একেবারে শুধুমাত্র কুরআন শরীফ, বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের আলোকে করব।
এমনকি তার পরও, তাতে তুষ্টি আসেনি।
ইন ফ্যাক্ট, আলোচনাটা অন্যত্র করা ছিল, সেই দেড়মাস আগে, এখানে শুধু কপি আর পেস্ট করব।
কিন্তু এই আলোচনা ব্যক্তি পর্যায়ে হওয়া ভাল।
রাসূল দ. বলেছেন,
মানুষের সাথে তার উপলব্ধির উচ্চতা অনুযায়ী কথা বলো।
তাই এই আলোচনা মনে হয় না সামুর মত প্রকাশ্য ব্লগে করলে সবাই বুঝতে পারবেন।
তার পরও, মাথায় রইল। ইনশাআল্লাহ, কালকের আগেই এই কমেন্টের রিপ্লাইয়ে জানাব।
৫৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
ব্লাক প্যান্থার বলেছেন: পোস্টের সাথে একমত, এভাবে জোর করে কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দিয়ে লোক দেখানো কিছু করা সত্যিই হাস্যকর। আর যাদের নাম এসেছে তাদের সবাই ধর্মবিদ্বেষী না, সবাইকে এভাবে এক কাতারে ফেলে ধর্মবিদ্বেষী বানিয়ে দিলে হিতে বিপরীত হবে, তারা পরবর্তিতে ক্ষোভে সত্যিকার ভাবেই ধর্মবিদ্বেষী হয়ে উঠে পারেন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই কথাটাই বলছিলাম ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
শিপু ভাই বলেছেন:
প্রতিটা কমেন্ট ও তার রিপ্লাই পড়লাম!!!
দুর্দান্ত!!!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত।
৬১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
পেন্সিল চোর বলেছেন: পোস্টে প্লাস। দারুন লিখেছেন । সহমত দিলাম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার নিক আর প্রোপিক অসসাম!
৬২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
পেন্সিল চোর বলেছেন: থেঙ্কু ব্রাদার
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনাকেও অগুণতি থ্যাঙ্কু। আমার প্রোপিকে জিহ্বা নাই তাই একটা ইমোটি দিয়ে দিলাম
৬৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই , ইসলামী আইনে মুরতাদকে আটক করে তওবা করানোর একটা বিষয় শুনেছিলাম । মানে হয় তওবা নয় কতল ।
এ বিষয়ে আপনার কি কিছু জানা আছে ?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমার সম্ভবত এই মুহূর্তে সম্পদ বলতে সাকুল্যে ২ টাকা আছে। তার মানে কোটিপতি হতে এখনো ৯৯,৯৯,৯৯৮ টাকা বাকী। সেই হিসাবে সহব্লগার যে কারো তুলনায় আমার কোটিপতি হবার স্বপ্নটাই সবচে বড়!
আর ৪০ বছর বয়সে আমার ছেলের হবে ১৪, ও ১০, আমাদের তিনজনের কেউই তখন জীবন শুরু করার উপযুক্ত পরিবেশে থাকব না।
(আপ্নে মহাক্যাচালবাজ, আপনারে ক্যাচালসম্রাট উপাধী দিলাম নিতান্তই ভাই ব্রাদার হিসাবে। নিয়া কৃতার্থ করবেন।)
এরপর...
আবু দাউদ শরীফের যিনা বিষয়ক হাদীসে আছে,
১. একজন স্বীকার করার পর তাকে রাসূল দ. ক্বতলের নির্দেশ দেন।
২.আরেকজন স্বীকার করার পর তাকে বেকসুর খালাস দেন।
এই বিষয়ক ৬ টা হাদীস দেখেছিলাম। গ্রন্থটা এখন হাতে নেই। প্রতিটারই যৌক্তিক কারণ ছিল (যা শুধুমাত্র হাদীসের রেওয়ায়েত দেখে বোঝা কঠিন হচ্ছিল।)। গ্রন্থটা হাতে থাকলে বা নেট থেকে হাদীসগুলো নামাতে পারলে আপনার সাথে আলোচনা করতাম, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে স্বীকৃতি দানকারীকে রাসূল দ. শাস্তি দিচ্ছেন এবং কোন পরিস্থিতিতে দিচ্ছেন না এ বিষয়ে আসলে আমরা ঠিক কীভাবে উপনীত হতে পারি।
এছাড়াও আরবের নির্দিষ্ট ভূ-অঞ্চল এর সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু হাদীস বোঝার চেষ্টা করতাম দুজন মিলে।
আর হারব, ফাসাদ ও ফিতনা বিষয়ক কিছু হাদীস ও শরঈ আইন নিয়েও বোঝার চেষ্টা করে শেষে ভেবেছি, শাস্তি বিষয়ক হাদীসগুলো বোঝা আমার মত মূর্খের জন্য খুবই কষ্টকর।
এছাড়াও
৬৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
সুখী চোর বলেছেন: শিপু ভাই বলেছেন:
যৌক্তিক পোস্ট!!!
সহমত।+++++++++++
তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে- যারা নাস্তিকতার নামে ইসলাম বা অন্যান্য ধর্মের অবমাননা/উস্কানী/নোংরামী করে তাদের কি করা উচিত???
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
শিপুভাইয়ের সাথে আলাপ করতে ভাল লেগেছে।
৬৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩২
মেলবোর্ন বলেছেন: যারা তওবা পড়াতে চায় তারা নিস্চই কোরআনের এই আয়াত পড়েনি মনে হয়:
সূরা আন নিসা সুরা নং ৪ আয়াত নং ১৪০ " আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।"
পোস্টে ভাল লাগা, ভাল আছেন নিশ্চই, গত কিছু দিন আপনার অনেক পোস্ট আসছে যে সবগুলো কে সময় নিয়ে পড়তে পারছিনা অফিস, পরিবার কে সময় দেয়ার পড় হাতে বাকি সময় থাকে না.. আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলাম ও কোরআন বোঝার এবং তা পালন করার তৈফিক দিন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: " আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।"
অসাধারণ একটা আয়াত ভাই!
দাওয়াত কীভাবে করতে হবে এই আয়াতে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে।
ইসলাম বিদ্বেষ করছে, সেই মুহূর্তে তাদের সংশোধনের চেষ্টা করা বা বিতর্ক করার চেয়ে শ্রেয় সরে যাওয়া। কারণ ওই বিতর্কে নিজেরই কাফির ও মুনাফিক হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে তাদের বিদ্বেষী কথায় সহমত জানানোর মধ্যেও কুফরি বিদ্যমান থাকতে পারে।
আমিন।
৬৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: প্রিয় লেখক আপনার দেয়া উপাধী উত্তর সব কিছুই অতি বিনয়ের সাথে নতজানু হয়ে গ্রহণ করলাম । সামু তে নিরন্তন ব্যান ও নিরবিচ্ছিন্ণ গালির বাইরে - এ আমার বিশাল পাওয়া । পরসমাচার এই যে, যদি হাদীস থেকে কোন কিছু উদ্ধার সময় ও পরিশ্রম সাপেক্ষ হয়, তবে ফিকাহ থেকেও তা কম সময়ে স হজে উদ্ধার করা যায় । অল্প কিছউ বিচ্ছিন্ন চিন্তার লোক ছাড়া - প্রায় সব মুসলমানদের নিকটই কিন্তু ফিকাহ হাদীসের বিপরীত কিছু না, বরং বিশ্লেষণ মাত্র !
যাই হোক কিন্তু আগের কমেন্টে ইসলামী আইন বা ফিকাহর কথাই জানতে চেয়েছি, যেটা বুঝা ও খোজা সোজা !
আরেকটু কেচাল করি : ( যেহেতু আগেই অনুমতি দিয়েছেন ) এটা ধর্মীয় পারিভাষিক না, বরং বিবেক ও যুক্তির । আপনি যদি ব্লগে আমাকে চোর বা বাটপার বলেন, এরপর ফোনে ব্যক্তিগতভাবে মাফ চান তবে সেটা কি যৌক্তিক ? ( ব্লগে কিন্তু আপনার পোষ্টে তখনও লটকান আছে যে আমি চোর ও বাটপার, আর পোষ্টে না থাকলেও কয়েকশ লোক পড়েছে যে আমি চোর, আর এরা সারা জীবন আমকে তাই জানবে !)
৬৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এর পর আর কিছু বলার থাকেনা। সহমত।
++++++++
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: যৌক্তিক বিশ্লেষণ। একমত।