নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহামানবদের আগমনের পরিপ্রেক্ষিত: সদা উপেক্ষিত দৃষ্টিকোণ-১, ভূমিকা ও গৌতম বুদ্ধ

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

এক কানা কয় আর এক কানারে,

চলো এবার ভবপারে,

নিজে কানা, পথ চেনে না,

পরকে ডাকে বারংবার!

এসব দেখি কানার হাটবাজার!

- লালন কিন্তু জানতেন বিষয়টা। তাঁকে ট্রিট করার ক্ষেত্রে কানামি করা হবে।



বছর কয়েক ধরে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি।

একটা সিরিজও করার ভাবনা ছিল, 'কেন এসেছিলেন লালন সাঁইজি: বাউল রে, তোর দু:খটা কেউ বুঝল না' নাম দিয়ে শুরুও করেছিলাম। তারপর জ্ঞানগম্যির আক্রমণ দেখে ভাবলাম, থাকগা, বিতর্কে নাই।



কারণ ঠিক করে নিয়েছি, একমাত্র মহামানবদের নিয়েই আমাদের চুলকানি। এবং তাঁদের মহামানব হওয়ার কারণ নিয়েই চুলকানি। তাঁদের কথিত 'অন্ধকার' নিয়ে নয়।







সিরিজের কারণ



মহামানবরা হলেন পাবলিক ফিগার। আর পাবলিক ফিগার মানেই নিজের ছায়া। যেভাবে খুশি ট্রিট করো, কোন সমস্যা নাই। নিজের নিজের মত ব্যাখ্যা করো।



চোখের সামনে লালন সাঁইজিকে ধর্মদ্রোহী ঘোষণা করল তিনটা গোত্র- অন্ধ 'মুসলিম', অন্ধ 'সনাতন' এবং অন্ধ 'মানবতাবাদী'। পাঁচ চক্রে ভগবান যদি ভূত হওয়ার সামর্থ্য রাখেন (মেটাফরিক্যালি বলছি, ভগবান শব্দটাকে নিয়ে নয়) তাহলে ত্রিচক্রে লালন কেন ধর্মদ্রোহী হিসাবে সমাজে প্রচার পাবেন না? তিনি ধর্মদ্রোহী হিসাবে প্রচার পেলে যে তিন চক্রের সবারই লাভ!



ঠিক একইভাবে আর সবাইকে ট্রিট করা হয়। পার্শিয়ালি কানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে তাঁদের আসার কারণ নির্ধারণ করা হয়।



তাঁদের 'আদর্শ' কে অপরপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত করে দুইটা শ্রেণী-



১. তাঁদের 'অনুসারীরা'। হ্যা, দ্বিধাহীন ভাবে বলব, 'অনুসারীরা'। কিন্তু কোটমার্কের ভিতরে বলব। কারণ অনুসারীদের কিছু পক্ষ আদপেই মনে করে যে তারা অনুসারী। এবং তাঁর বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতকেই একমাত্র লক্ষ্যবস্তু করে নেয়। তিনি যে অন্যান্য বিষয় অনুমোদন করেছেন বা করেননি, সেদিকে খেয়াল যায় না।



২. তাঁদের নাম ভাঙিয়ে আদপে যারা তাঁদের বিরোধী, তারা।







তাহলে সিরিজের কহতব্য কী?



কথা কি বেশি শ্লেষযুক্ত হয়ে যাচ্ছে? রাশ টানতে হল।

বলতে চাচ্ছি,

মহামানবরা একটা সার্টেইন পরিবর্তন টার্গেট করে আগমন করেন। কিন্তু অন্য সব শুভতা ধারণ করেন। কোন শুভতার বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান নয়। পরবর্তীতে, এই মহামানবদের শুধু সেই সার্টেইন সম্ভাব্য পরিবর্তনটাই দৃষ্টিতে পড়ে, অন্য যেসব শুভতা তাঁরা ধারণ করছেন সেসব চোখে পড়ে না।

অথচ স্পষ্ট পড়ে থাকে হাজারো প্রমাণ।







কেন এসেছিলেন গৌতম বুদ্ধ?




অপট্যাগ: গৌতম নাস্তিক। গৌতমে আধ্যাত্ব্যবাদ নেই। গৌতম বেদ-বিরোধী ও সনাতন ধর্মবিরোধী। তিনি অ-মাংসাশী যা মানুষের শরীরের গঠন বিরোধী। তিনি কোন ধর্ম গড়তে চাননি।



মৌলিক প্রমাণ: দৃঢ়ভাবে গৌতম নাস্তিকতা ও আস্তিকতা দুইটা বিতর্ক এড়িয়ে গেছেন। তিনি স্পষ্ট ও দৃঢ় সুরে বলেছেন, আমি কি বলেছি, যে ঈশ্বর আছেন (তোমরা যারা আমার অনুসারী, তাদেরকে কি ঈশ্বর বিষয়ক কিছু নির্দেশনা দিয়েছি এখনো?)

ভক্ত বললেন, তাহলে কি ঈশ্বর নেই সেটাই ধরে নিব?

আমি কি বলেছি, যে ঈশ্বর নেই?

ভাগ্যিস, তখন অজ্ঞেয়বাদী ছিলেন না। যদি থাকতেন, তাহলে তাঁকে জিগ্যেস করা হত, আপনি কি তাহলে ধরে নিয়েছেন যে ঈশ্বর আছেন কি নেই সেটা আপনি জানেন না?

কী জবাব দিতেন তিনি?

ইয়েস।

তিনি জবাব দিতেন, আমি কি বলেছি যে, আমি অজ্ঞেয়বাদী বা ঈশ্বর আছেন কি নেই সেটা আমি জানি না?



তিনি ঈশ্বরকে এড়িয়েছেন কেন?

১. কারণ তখন ঈশ্বরের আলো ছড়াতে আসা অনেক মহামানবকে দেবতা বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেককে ঈশ্বর বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। ভয়ানক বিভেদ হচ্ছিল।



২.এবং ঈশ্বরের নামে যে কাস্ট সিস্টেম চালু হয়েছিল তা ভয়ানক। মূলত সেক্ট বা চার জাত ছিল কাজের গুণের উপর নির্ভর করে প্রাচীণ বেদে। সেটা পরে বংশগত জাতিনির্ভর হয়ে পড়ে।



৩. বেদ সহ সনাতন ধর্মগ্রন্থগুলোতে মৌলিক ও যৌগিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। ঘটনা বর্ণণ এবং তাতে বিবর্তন হয়েছিল যা তুলসিদাসী রামায়ণ পর্যন্ত চলেছে। যে কোন মহামানবই মূল গ্রন্থের মৌলিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কথা বলেন।



৪. বহু প্রথার প্রচলন। অনেক বেশি আচরণ ও প্রথা নির্ভরতা। এবং এইসব আচরণ ও প্রথার কারণে সময়-মনোযোগ-জনগতির ব্যাহত হওয়া। যাকে খাস মুসলমানি সুরে বলা চলে, বিদআত।



তাহলে, তাঁর আসার পরিপ্রেক্ষিত ছিল ধর্মীয়-সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে তৈরি হওয়া জীর্ণতা অপসারণ। একে খাস ইসলামিক সুরে বলা চলে, মুজাদ্দেদি।



এর মানে এই নয় যে, তিনি বেদে অবিশ্বাসী, তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মে অবিশ্বাসী এবং সবশেষে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী। বরং তাঁর অগুণতি উদ্ধৃতিতে বেদের দ্যোতনা।



এমনকি আমরা উদ্ধৃতি পাই, গৌতম একজনকে ভক্ত করেননি তিনি 'ব্রাহ্মণ' নন দেখে। মোটাদাগে গৌতমকে দুষ্ট করা যায়। তিনি তাহলে জাত্যাভিমানী?

আসলেই কি গৌতম বুদ্ধকে জাত্যাভিমানী বলা চলে?



তাহলে তিনি কেন 'ব্রাহ্মণ' নন বলে একজনকে যুক্ত করেননি?

আমরা যদি বিষয়টাকে এভাবে দেখি, যে কারণে আরবরা ইহুদি ধর্ম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত ছিল না প্রি-মোহামেডান দ. সময়কালেও।



আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে, আগের দিনে মহামানবরা আগমন করতেন- সুনির্দিষ্ট গোত্র এবং

সুনির্দিষ্ট অঞ্চলের এবং

সুনির্দিষ্ট ভাষার এবং

সুনির্দিষ্ট সময়কালের এবং

সুনির্দিষ্ট সংস্কারের উদ্দেশে।



এর বাইরে তাঁরা যেতেন না। লূত আ. বলতেন, আমার ক্বাওম, আমার গোত্র। ইব্রাহিম আ. বলতেন, আমার ক্বাওম, আমার গোত্র। শুধু নির্ধারিত ক্ষেত্রেই তাঁদের সংস্কার। এর বাইরে নয়।



কারণ সহজেই অনুমেয়। মহান স্রষ্টা বলে যদি একজন থেকেই থাকেন, তিনি যদি সমাধানদাতা হয়েই থাকেন, তিনি তো অবশ্যই স্থানোপযোগী প্রতিনিধি পাঠাবেন।



এবং ওই সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার বাইরে যারা পড়েন, তাঁরা ওই 'ধর্মের' আওতামুক্ত হয়ে থাকেন।



অ-মাংসাশী হওয়াটা কি খুব বেশি অবৈজ্ঞানিক? শুধু আমাদের মাংস কামড়ানোর দাঁত আছে এবং আমরা কার্নিভোরাস শুধু নই- অমনিভোরাস, এই কারণেই নিরামিষাশী হওয়াটা অবৈজ্ঞানিক?



এক কথায় উড়ে যায়, নিরামিষাশী কি শারীরিকভাবে দুর্বল? দুনিয়ার কোন্ মার্শাল আর্ট ওস্তাদকে আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল বলতে পারব? আর নিরামিষ খেলে যদি শরীর ঠিক থাকে, তাহলে শুধু নিরামিষ খাওয়াতে দোষটা কোথায়?



আর একেক জীবনধারাতে বা 'শরীআতে' একেক জিনিস 'হালাল' ছিল। রাসূল দ.'র শরীআহ্ এ এমন কিছু খাদ্য হালাল, যা তাঁরই কথামতে, তাঁর পূর্ববর্তী রাসূল ও নবী আ. গণের সময় ছিল হারাম। ভাইস ভার্সা।

তাহলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও কোন সমস্যা নেই।



তিনি কোনও ধর্ম নিয়ে আসেননি। ধর্ম মানে কী? তিনি যে নিয়মাবলী দিয়েছেন, তাতে কঠোর মনোসংযোগ করেছেন এবং চর্চা করেছেন এটাকে ধর্ম না বলার কোন যৌক্তিকতাই নেই।



বৌদ্ধধর্মে আধ্যাত্ম্যবাদ নেই! বুদ্ধ জ্ঞানমুদ্রা করলেন। আর থেমে গেল হাতি। এইতো আধ্যাত্ম্যবাদ। ভবিষ্যদ্ব্যাণীই তো আধ্যাত্ব্যবাদ। ভবিষ্যতের কথা বলতে পারা তো চাট্টিখানি কথা নয়, তা মিথ্যা হোক বা সত্যি। তা বলতে পারার মধ্যে মাত্র তিনটা বিষয় থাকে-



যিনি ভবিষ্যত বাণী করছেন, হয় তিনি-



ক. মিথ্যা বলছেন জেনেশুনে

খ. মিথ্যা বলছেন আন্দাজে

গ. মিথ্যা বলছেন ঘোরগ্রস্ত তথা মানসিক রোগী হয়ে

ঘ. অথবা তিনি জানেন যে, এই ঘটনাই ঘটবে। নিশ্চিত জানেন এবং বলছেন।



বুদ্ধের আইডিয়া কি বিচ্ছিন্ন কোন আইডিয়া?

আমিই একমাত্র বুদ্ধ নই, আমার আগেও অনেক বুদ্ধ আগমন করেছেন এবং আমার পরেও করবেন।

আর শেষ বুদ্ধের নাম মৈত্রেয়/ মেত্তেয়।

তিনি অশীতীবর্ষ সহস্রায়ুষ্ক পরে আগমন করবেন।



এইখানেই মামলা ডিসমিস।

বুদ্ধ বোধিপ্রাপ্ত হন ত্রিশের কোটা পেরিয়ে।

বুদ্ধের জন্মসাল সুনির্দিষ্টভাবেই জানা।

বুদ্ধসাল চন্দ্রসাল। অর্থাৎ সৌরবছর থেকে গড়পড়তা দিন পনেরো কম।



এবার এক হাজার আশি বছর যোগ করুন। (মিলেনিয়া দিয়ে যেমন হাজার অর্থ হয় না, কিন্তু সহস্রাব্দ বোঝায়, সেঞ্চুরি দিয়ে যেমন একশ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রমাণ নয়, কিন্তু একশ বছর বোঝায়, তেমনি সহস্রায়ুষ্ক।)

সনগুলোর সবগুলো রেফারেন্স আমার কাছে ছিল। এখন নেই। নেটে মাত্র দুটা ক্লিকের ব্যবধান।



বৌদ্ধরা অপেক্ষা করছেন, শেষ বুদ্ধ আসবেন। তাঁর নাম চন্দ্রবুদ্ধ, মেত্তেয়, যার সাথে মৈত্রী করা যায়। তখন মেত্তেয়র পরিচালনাই সর্বশেষ পরিচালনা হবে...

ঠিক এক হাজার আশি বছর পরে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে, মরুময় স্থলে কোন্ শেষবুদ্ধ আগমন করেন?



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই শেষ পর্যন্ত ২বার পড়লাম। বেশ কিছু ব্যাপার আগে থেকেই মাথায় ছিল। শেষে যে প্রশ্নটা তুললেন স্বাভাবিক ভাবেই এর উত্তর আমি আমার ক্ষুদ্র চিন্তায় ধারন করলেও দিতে পারলাম না। অহেতুক অনেকেই সেই উত্তর নিয়ে টানা হেচড়া করবে।

আপনার সূফীবাদী চিন্তা আমাকে আস্তে আস্তে প্রভাবিত করছে। ভাল থাকুন ভাই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আসলে শেষের কথাটুকু পোস্টে আনব কি আনব না এ নিয়ে ভাবিত ছিলাম।

কারণ ওই শেষটুকুর জন্য পুরো পোস্টের মোটিভ ভিন্ন মনে হতে পারে। কিন্তু আর কত!

বেশ কয়েক বছর আগে যুগান্তরে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পড়লাম, অশীতীবর্ষ সহস্রায়ুষ্ক পরে আসবেন মেত্তেয়।

তারপর ঝট করে মনের ভিতর হামলা হল, সহস্রায়ুষ্ক মানে হাজার বছর নাতো?

সেই প্রবন্ধতেই ছিল মহামতি বুদ্ধের বোধি লাভের বছরের হিসাব, তার সাথে বুদ্ধবছরের এক হাজার আশি বছর যোগ করে দেখি পাঁচশো সত্তর খ্রিস্টাব্দ হয়।

সেই থেকে বুক ধ্বক ধ্বক করে। বসুধা কী অকল্পনীয় রহস্য যে লুকিয়ে রেখেছে, বুকে, তার কিছু ধরা দেয় আর কিছু অধরা থাকবেই।

ভাই সূফি ভাবনা ভাল লাগছে শুনে আমারো খুব ভাল লাগছে। তবে বন্ধুদের যে ভাল লাগতেই হবে সূফিবাদের বা আমাদের যে কারো ধর্মীয় বিশ্বাস এমন কোন কথা কিন্তু নেই।

শর্ত দিয়ে যে হৃদ্যতা হবে না!

আমার কিন্তু রীতিমত ভয়েস ফ্রেন্ড আছেন যিনি এমনকি সিরিয়াস তাহরীর করেন। তিনি অনেক অনেক আলাপ করে যান। আমি বা তিনি কি মন পরিবর্তন করব? হয়ত কখনোই না। কিন্তু দুজনেই ওৎ পেতে থাকি, যদি আরো কিছু জানা যায়...

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই উপেক্ষিত দৃষ্টিকোনের কারণেই মহামানবের শিক্ষা ছেড়ে সহসাই আমরা আচার সর্বস্বতায়, ভাবাবেগে আক্রান্ত হই, আপ্লুত হই এবং ধিরে ধিরে তা গোড়ামিতে নিয়ে গিয়ে আমাদের লিপ্ত করে মহামানব আগমনের পূর্ব কার্যকারণ কালে। আবারও আমরা আলোয় থেকেও অন্ধকারে পতিত রই।

তবে সেই সত্য ধারনের সহজিয়া এবং সহজাত পথে সহজ জীবনের অমোঘ আহবানে চলতে অনেককেই নিভৃত করে ভোগী মানসিকতা। জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে।

কহতব্যের পর কহতব্য আর কিছু বাকী নেই;)



১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রতিটা অক্ষর জ্বলন্ত, প্রতিটা অক্ষর বিস্তৃত। আপনাকে রয়্যাল স্যালুট ভৃগুভাই।

আসলে আপনাদের কয়েকজনের মন্তব্যর ডেপথ পেলে আর কিছু লাগে না।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

জেনো বলেছেন: তবে আসুক...
পারস্যের খাঁচা ছেড়ে জেন্দ-আবেস্তা
কনফুসিয়াস আসছেন সিল্ক-রোড ধরে
ব্যাবিলনেই পেলাম মনিকে।
হয় সাহেব হয়
ওহে গুরু হয়
তুমিই ডাই ডাও হয়।
অরিহান্ত-সিদ্ধ তে সুত্র মহারাজা মহাবীর
কিতাব-ই-আকদাস কিংবা প্রশংসিত-জন।
...
তিনটি ঝুলি- .... জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।
সেই বট-বৃক্ষের খোঁজে........
যেখানে এমন ঝুলি মেলে।

প্রশান্তি আসুক মহা প্রান জুড়ে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধরি, আপনি কোন প্রিয়জন নন।
ধরি, আপনি আমার অতি পরিচিত জেনো নন।

তার পরও কি,
এই কবিতাকে যে কোন স্থানে পেলে বুকে জড়িয়ে ধরতাম না?

ভাই, কবিকে শুধু কবি বলতে হয়।
কবি, আপনার শব্দ স্পর্শী। স্পর্শ করেছে অতলান্ত।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: লেখা পড়লাম। গৌতম বুদ্ধ নিয়ে আমারো কতগুলো আলোচনা আছে আশা করি রাতে আসলে করবো। এখন পোস্ট প্রিয়তে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিনা দ্বিধায়। প্লিজ। জানতে চাই গভীরে। বিশেষ করে কথোপকথনে মূল বিষয় উঠে আসে সব সময়।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

স্বপনবাজ বলেছেন: আগের দিনে মহামানবরা আগমন করতেন- সুনির্দিষ্ট গোত্র এবং
সুনির্দিষ্ট অঞ্চলের এবং
সুনির্দিষ্ট ভাষার এবং
সুনির্দিষ্ট সময়কালের এবং
সুনির্দিষ্ট সংস্কারের উদ্দেশে।
সহমত !

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। জিস্ট পয়েন্ট এখানেই। আগের পোস্টের মতই। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৫

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: প্রথম কথা ,জাতকের গল্প আর বুদ্ধের জীবন দুটো আলাদা ।

ঠিক যেমন ভাবে হাদিস এর গল্প আর মহম্মদের জীবন আলাদা ।

কেন এসেছিলেন বুদ্ধ -৩ এবং ৪ নাম্বার কারণ টা যৌক্তিকলাগলো না ।

"তিনি কোনও ধর্ম নিয়ে আসেননি। ধর্ম মানে কী? তিনি যে নিয়মাবলী দিয়েছেন, তাতে কঠোর মনোসংযোগ করেছেন এবং চর্চা করেছেন এটাকে ধর্ম না বলার কোন যৌক্তিকতাই নেই।"

ভাই তিনি নতুন কিছুই নিয়ম দিয়ে যান নি ,যা ভারতে ছিল না ।

তিনি একটা পন্থা দিয়েছেন ।মধ্যম পন্থা ।ভারতে নানা রকম পন্থা, নানা সময়ে, নানা মহা মানব দিয়ে গেছেন ।তাদের মধ্যে যাদের গুলো হিট হয়েছে ,আলাদা ধর্ম উত্পত্তি হয়েছে ।পরে আবার সব একত্রে মিলে গেছে ।আপনি আব্রাহামিক ধর্ম গুলো দিয়ে ভারতে উত্পত্তি পন্থার বিচার করলে কিছুই মিলাতে পারবেন না ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সিদ্ধার্থদা, আপনাকে কমেন্টে পাওয়া একটা পরিতৃপ্তি। কারণ, প্রথমত আপনার কমেন্টের ডেপথ, দ্বিতীয়ত ওই প্রোপিকটার প্রশান্তি।

প্রথম দুটা লাইনে বাড়ল জানার পরিধি।

তিন ও চার নং কারণ- মতভেদ থাকতেই পারে। এতে কোন অসুবিধা নেই। আলো জ্বেলে জ্বেলে দেখে যাব আমরা, আর করব আরো আরো বিশ্লেষণ।

তিনি নতুন কিছুই নিয়ম দিয়ে যান নি ,যা ভারতে ছিল না ।

আমিও এ কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম। শাস্বত ধর্মে নতুন কিছু আসে না, শুধু সংস্কার হয়। পন্থার দিক পরিবর্তিত হয়।

ভারতে নানা রকম পন্থা, নানা সময়ে, নানা মহা মানব দিয়ে গেছেন ।তাদের মধ্যে যাদের গুলো হিট হয়েছে ,আলাদা ধর্ম উত্পত্তি হয়েছে ।পরে আবার সব একত্রে মিলে গেছে ।


এখানেও পুরো একমত।

আব্রাহামিক ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মেলাতে যাওয়া ভুল। আমার জানার পরিধি আরো বাড়াতে হবে। আপনাদের সাথে আলোচনায় তা ঋদ্ধ হবে।





৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৮

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
অসাধারন ! লেখা হইছে ভাই :)

কেউ কেউ মহা মানবদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায় । আসলে মহামানবগন একটা নির্দিষ্ট লেভেল পার করে আর কোন জাতী বা ধরমের জন্য ডেডিকেটেড থাকে না , তখন সে পুরো মানব জাতীর জন্য মালিকের তরফ থেকে উপহার স্বরুপ ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঘুপাভাই, আলাপ তো মজার হয়ে যাচ্ছে আপনার সাথে!
গত কয়েকটা পোস্টে আচ্ছামত খুল্লাম খুল্লা কথাবার্তা চলল। সেইসাথে...

আপনি সোজা কথায় চলে এসেছেন। এটাও একটা অনুসিদ্ধান্ত বটে।

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দৃঢ়ভাবে গৌতম নাস্তিকতা ও আস্তিকতা দুইটা বিতর্ক এড়িয়ে গেছেন। তিনি স্পষ্ট ও দৃঢ় সুরে বলেছেন, আমি কি বলেছি, যে ঈশ্বর আছেন (তোমরা যারা আমার অনুসারী, তাদেরকে কি ঈশ্বর বিষয়ক কিছু নির্দেশনা দিয়েছি এখনো?)

গৌতম বুদ্ধ এসেছিলেন কৃষ্ণের অনেক পরে কোন সন্দেহ নেই যে তিনি মহামানব ছিলেন। হ্যাঁ তিনি যে মতবাদ দিয়েছেন সেটাও যে এখন সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষিত নেই সেটাও অস্বীকার করা যাবে না।

তবে মৌলিক কিছু জিনিস এখনও আছে। আর এটাও সত্য যে গৌতম বুদ্ধ নির্দিষ্ট একটা গোষ্ঠীর মাঝেই প্রভাব বিস্তার করেতে পেরেছিলেন তার সময়ে পরে সেটা ছড়িয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় যে যে নিজ খুশি মতো কনভার্ট করে নিয়েছে তার শিক্ষা। তবে সেই যুগে যে যুগে গৌতম বুদ্ধ ছিরেন সেই যুগের জন্যে তিনি পারফেক্ট ছিলেন। এইখানে অবশ্য আলোচ্য নয় যে তিনি সবসময়ের জন্যে পারফেক্ট কিনা।

তিনি বলেচেন যেটা আপনি তুলে দিয়েছেন।
আমিই একমাত্র বুদ্ধ নই, আমার আগেও অনেক বুদ্ধ আগমন করেছেন এবং আমার পরেও করবেন।
আর শেষ বুদ্ধের নাম মৈত্রেয়/ মেত্তেয়।
তিনি অশীতীবর্ষ সহস্রায়ুষ্ক পরে আগমন করবেন।


এইখানে এটা স্পষ্ট যে বুদ্ধ বলতে তিনি মহাপুরুষদের কথা বুঝিয়েছেন। এবং তার পরে যে আসবেন তার নামও উল্লেখ করে গিয়েছেন। এটা কি কোন ভবিষ্যত বাণী ছিলো? নাকি কোন মহাসত্য? এটাই ভাববার বিষয়। এবং এটা আপনি ও উল্লেখ করেছেন। তিনি কথাটা এমন ভাবে বলেচেন যেন তিনি জানেন। আর তিনি যদি এটা বলে থকেন যে তার আগেও অনেক বুদ্ধ এসেছেন তাহলে এইটা পরিষ্কার যে তিনি ধারাবাহিকতার কথা বলেছেন। অন্তত আমি মনে করি।

গৌতম বুদ্ধ কোন সন্দেহ নেই যে মহাপুরুষ ছিলেন সেই ধারাবাহিকতায় যে ধারাবাহিকতায় ান্য মহাপুরুষরা এসেছেন।



এখানে ধর্মকে আনলে বলতে হয় ধর্ম প্রচার তো হয়েছে মহামানবদের দ্বারাই। আর পবিত্র কোরানে তো বলাই আছে একলক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বরের। যাদের সবার কথা পবিত্র কোরানে নেই। এটা ও বলা আছে যে (আয়াত টা কোথায় সেটা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না) “এমন কোন জাতি নেই যেখানে আল্লাহ নবী পাঠান নাই(নবী খুব খিয়াল কইরা, রাসুলদের উপরেই ধর্মগ্রন্থ নাজেল হয়েছে)


বৌদ্ধরা অপেক্ষা করছেন, শেষ বুদ্ধ আসবেন। তাঁর নাম চন্দ্রবুদ্ধ, মেত্তেয়, যার সাথে মৈত্রী করা যায়। তখন মেত্তেয়র পরিচালনাই সর্বশেষ পরিচালনা হবে...
ঠিক এক হাজার আশি বছর পরে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে, মরুময় স্থলে কোন্ শেষবুদ্ধ আগমন করেন?



এখানে এসে পূর্ণতা পেলাম।

লিসানি ভাই আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো এবং আলোচনা করতে পেরে ভালো লাগলো।
এমন পোস্ট আরো দিবেন বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনাময় পোস্ট।


১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার পূর্ণতা আনার আলোচনা দেখে। খুব ভাল লাগল ভাই। মাঝে মাঝে দিশাহারা হয়ে যাই। মাঝে মাঝে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি। সব দেখেশুনে বাংলায় চিৎকার করে উঠি, তখন হয়ত কিছু ভুল হয়ে যায়।

ভাল থাকবেন অনেক অনেক। আর এমন মন্তব্য পেলে খুব ভাল লাগে।

সত্যিইতো, আমরা কখনো সরাসরি বলতে পারি না, বাংলায় কোন নবী আসেননি। আবার নির্দিষ্ট করে এও বলতে পারি না, ইনিই নবী বা রাসূল আ.।

আমরা শুধু বিশ্লেষণ করতে পারি, বড়জোর তথ্যের সংশ্লেষণ করতে পারি। সম্ভাব্যতার দিকে দিতে পারি ত্বড়িৎ দৃষ্টি, এটুকুই আমাদের মানবীয় সক্ষমতা।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৪

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: চরম লজ্জা ভরে জানাচ্ছি পোষ্ট থেকে আমি বুদ্ধ সম্পর্কে খালি জ্ঞানই নিলাম এর বাহিরে আপনি কি ইংগিত করেছেন সেটা বুঝিনি ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মানে বলেছি, তিনি এসেছিলেন সুনির্দিষ্ট কারণে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.