নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্য ও কর্ম: আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কোনকিছুই না হওয়া

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

'নিশ্চই আমরা সবার কর্মফল/ভাগ্য নিজের নিজের গলায় হারের মত ঝুলিয়ে দিয়েছি।' হুমায়ূন আহমেদ শেষদিকে একটা কথা বেশি বলতেন, দেয়াল এও লিখেছেন। কুরআনের একটা আয়াত, অনেকটা এই রকমই।



প্রশান্তিযাত্রার অশান্ত স্রোতের প্রথম লহরে স্বাগত।



ক্বাফ-হ্বা-ইয়া-আইন-স্বোয়াদ!

এ হল আপনার মহান প্রভুর রহমতের/দয়ার যিকর/স্মরণ/গল্প,

যা তিনি আপন বান্দা/প্রতিনিধি যাকারিয়া আলাইহিস সালামের উপর করেছিলেন।

যখন তিনি আপন প্রভুকে বিনয়ের সাথে নিচু কন্ঠে ডাকলেন,

বললেন, রব আমার! আমার শরীরের হাড়গুলো হয়ে পড়েছে দুর্বল।

বৃদ্ধাবস্থার দরুণ মাথা ('র রঙ) হয়ে পড়েছে আগুনের শিখার মত শুভ্র।

আর প্রভু আমার! আপনার কাছে কিছু চেয়ে কখনো ফিরে যাইনি।

আমার অন্তর্ধানের পর ধর্ম থেকে দূরে থাকা কাছাকাছি মানুষগুলোর সম্ভাব্য কাজকে ভয় পাচ্ছি। তারা হয়ত ধর্মের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়বে।

আর আমার স্ত্রীও সন্তান ধারণ করার মত শারীরিক অবস্থানে নেই।

আপনি আপন অনুগ্রহে আমাকে দান করুন এক বিশেষ উত্তরাধিকারী।

যিঁনি স্বর্গীয় করুণায় আমারো উত্তরাধিকারী হবেন, উত্তরাধিকারী হবেন ইয়াকুব আলাইহিস সালামের সন্তানদের বংশের নবুয়্যতের ধারার।

প্রভু আমার! আপনিও তাকে আপন সন্তুষ্টির পাত্র করে নিন।



ইয়া যাকারিয়া!

ইন্না নুবাশ্মিরুকা (নিশ্চই আমি সৃষ্টিকারী)

বি গুলামিন ইসমুহু ইয়াহইয়া (ইয়াহইয়া নামধারী তবপুত্র/সেবক/দাস/প্রতিনিধিকে)

যাঁর পূর্বে এই নামে আর কাউকে আমি সৃষ্টি করিনি!



(লক্ষ্যণীয়, গোলাম অর্থ সুনির্দিষ্ট পিতার পুত্র/কারো পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারী/ কারো দাস/ কারো প্রতিনিধি। এখানেই অনেক রহস্য লুকায়িত আছে। কারণ একই রকম আয়াত দেখেছি ইব্রাহিম আ. ও ইসমাঈল আ. বিষয়ে। যখন ইসমাঈল আ. জন্ম নেয়ার বর্ণনা পাই, সেখানে লেখা, আল্লাহ গুলামিন হালিম সৃষ্টি করলেন ইব্রাহিম আ.'র জন্য। কখন গোলাম অর্থ পুত্র আর কখন প্রতিনিধি, এই অর্থে গন্ডগোল বাঁধাতেই কি খ্রিস্টধর্মে স্বয়ং ঈসা আ. কে পুত্র বলা হচ্ছে এবং তারপর সমস্ত মানুষকেই পুত্র বলা হচ্ছে মহান আল্লাহর? যেহেতু ইসলাম নির্ভর আলোচনা, তাই ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুসিদ্ধান্তে আসা যায়।)



যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আর্জি জানালেন, প্রভু আমার, আমার এখানে গুলাম (পুত্র) কীভাবে জন্ম নিতে পারে?

স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হবার দিক দিয়ে শারীরিকভাবে রহিত,

আর আমি নিজে বয়সের কারণে শুকিয়ে যাবার পর্যায়ে পৌছে গেছি।



বললেন, অবাক হয়ো না!

এভাবেই হবে।

তোমার প্রভু বলেছেন!

এই সন্তান সৃষ্টি করা আমার জন্য সহজ,

নি:সন্দেহে আমি এর আগে তোমাকে সৃষ্টি করেছি!




(সূরা মারইয়াম, প্রথম কয়েকটি আয়াত।)



এখানেই কবি নিরব।

আল্লাহ এর আগে সৃষ্টি করেছেন অনাগত সন্তানের পিতাকে। কীভাবে সৃষ্টি করেছেন? পিতা এবং মাতার দ্বারা। সুস্থ পিতা এবং মাতার দ্বারা। আর তাঁর পুত্র কীভাবে জন্মাচ্ছেন? উভয়েই শারীরিক দিক দিয়ে অপ্রযোজ্য এমন পিতা এবং মাতা দ্বারা।



এখন, আয়াতটা স্পষ্ট বলছে,

সুস্থ পিতা এবং মাতার মাধ্যমে সন্তান সৃষ্টি করা আল্লাহর জন্য যেমন,

এই পিতা এবং মাতা দ্বারা সন্তান সৃষ্টি আল্লাহর জন্য ঠিক তেমনি।



তাহলে লজিক্যাল ডিডাকশনে, রেশনালিটিতে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়?

বাবা এবং মা যেমনই হোক এবং যেভাবেই হোক, তারা কোন ফ্যাক্টর নয়, ফ্যাক্টর হল, আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এবং দুটা একইভাবে।



* কর্ম এখানে মার খেয়ে যায়।

* বিধাতা এখানে অনির্বচনীয় একচ্ছত্রতা নিয়ে চেয়ে আছেন।

* কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই বিষয়টার প্রার্থনা বিধাতার কাছ থেকে আসেনি বরং সৃষ্টির কাছ থেকে এসেছিল প্রথম আয়াতে।

*** সব মিলিয়ে বলা যাচ্ছে, সৃষ্টি প্রার্থনা করছেন, যেনতেন সৃষ্টি নন, স্বয়ং একজন নবী আলাইহিস সালাম। এবং মহান নবীর প্রার্থনা স্রষ্টা অকল্পনীয়ভাবে কবুল করে নিচ্ছেন- লজিকের বাইরে গিয়ে।



সহায়ক আয়াত, এ বা দু আয়াত পরে,



ইয়া ইয়াহইয়া! (হে ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম! অর্থাৎ যাকারিয়া আলাইহিস সালাম পুত্রপ্রাপ্ত হলেন। সেই মহান পুত্রের সাথে কথা হচ্ছে।)

আমার প্রেরিতপুস্তিকা/কিতাব (তাওরাত) কে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখুন!

আমরা তাঁকে বাল্যকালেই হিক্বমাহ/অন্তর্জ্ঞান/সার্বিকজ্ঞান/নুবুয়্যাত দান করেছি।

আপন অনুগ্রহে তাঁকে পবিত্রতায় ভূষিত করেছি, তিনি ছিলেন বড়ই স্রষ্টাসচেতন/পরহেজগার।

আপন পিতামাতার প্রতি তিনি ছিলেন খুবই বিনয়ীভাবে আগত। সাধারণ ছেলেদের মত অবাধ্যতা তাঁর মধ্যে ছিল না।

এবং সালাম হোক ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামের উপর,

তাঁর আগমনের দিন,

তাঁর ঘুমিয়ে পড়ার দিন,

তাঁর পুনরায় জাগ্রত হওয়া/ উত্থিত হওয়ার দিন।



আর হে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা! আপনি কিতাবে/পবিত্র গ্রন্থে (কুরআনে) যিকর/স্মরণ/ঘটনা বর্ণনা করুন

মারইয়াম আলাইহাস সালাম এঁর।

যখন তিনি পরিবার থেকে দূরে সরে ইবাদাতের জন্য পূর্ব দিকের ঘরে চলে এলেন,

আর নিজের পরিবার ও সমস্ত মানুষ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন পর্দার আড়ালে,

(যেন অদৃষ্টপূর্ব সৌন্দর্য আপন চাদর উঠিয়ে দেয়)

আমি তাঁর প্রতি আমার পক্ষ থেকে রূহ/ফিরিশতা জিব্রাঈল আলাইহিস সালামকে পাঠালাম,

তখন জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম তাঁর সামনে মানবীয় রূপে আগমন করলেন,



মারইয়াম আলাইহাস সালাম বললেন,

নি:সন্দেহে আমি তোমার কাছ থেকে মহান রবের প্রতি আশ্রয়প্রার্থণাকারী! যদি তুমি আল্লাহকে ভয় পেয়ে থাকো।



ক্বালা (জিব্রাঈল আলাইহিসি সালাতু ওয়াস সালাম বললেন,)

ইন্না মা আনা (নিশ্চয়ই আমি,)

রাসূলু রাব্বি (আল্লাহর রাসূল/ আল্লাহর প্রেরিতজন/ আল্লাহর বাণীবাহক ফিরিশতা,)

লি আহাবা লাকি গুলামান্ যাকিইয়্যাহ্ (এসেছি আপনার প্রতি পবিত্র এক সন্তান পৌছে দিতে।)



মারইয়াম আলাইহাস সালাম বললেন,

আমার গুলাম (এক্ষেত্রে পুত্র এবং সার্বিক ক্ষেত্রে প্রতিনিধি/দাস) কীভাবে জন্মাতে পারে?

যেখানে আমাকে কেউ এখনো ছোঁয়নি?

আর আমিও দুষ্কর্মশীল নই।



জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম বললেন,

অবাক হবেন না,

এমনি হবে, আপনার প্রভু যা চান,

আমার জন্য তা কোন কষ্টসাধ্য বিষয় নয়।

আর এজন্য হবে, যেন তা মানুষদের জন্য নিদর্শন হয়ে রয়, আমাদের পক্ষ থেকে রহমত হয়ে রয়।

আর এই বিষয় পূর্বনির্ধারিত।



মারইয়াম আলাইহাস সালাম ধারণ করলেন সন্তান। জনবসতি থেকে দূরে চলে গেলেন তারপর।



প্রসববেদনা তাঁকে এক খেজুর বাগানের তলায় ফেলে দিল।

তীব্রকষ্টে তিনি বলতে শুরু করলেন,

হায়! আমি আগেই যদি মরে যেতাম! আর ভুলে যেত সবাই আমাকে!



তখন তাঁর নিচ থেকে (জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম অথবা স্বয়ং ঈসা আলাইহিস সালাম) কথা বলে উঠলেন,

অস্থির হবেন না! নি:সন্দেহে আপনার প্রভু আপনার নিচে/অধীনে/থেকে এক প্রবাহ তৈরি করে দিয়েছেন।

অথবা,

আপনার অধীনে এক অতি উচ্চ মর্যাদার সন্তান দান করেছেন।



আর খেজুরের গাছকে নিজের দিকে ঝুঁকিয়ে নিন,

তা আপনার উপর তরতাজা পাকা খেজুর বর্ষাবে।


তাই আপনি খাদ্য গ্রহণ করুন, পান করুন। সুন্দর সব নিদর্শন দেখে প্রাণ জুড়িয়ে নিন। যে কোন মানুষের দেখা পেলেই ইঙ্গিতে জানিয়ে দেবেন, আমি মহান দয়াময় প্রভুর জন্য নিরবতার ব্রত রেখেছি। আজ কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।



তারপর তিনি সেই শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আপন জাতির বসতিতে ফিরে এলেন।

তারা বলতে লাগল,

মারইয়াম! তুমি আজব কিছু একটা নিয়ে এসেছ!

হে হারুনের বোন! না তোমার বাবা খারাপ লোক ছিলেন না তোমার মা।



মারইয়াম আলাইহাস সালাম ওই শিশুর প্রতি ইঙ্গিত করলেন,

ওরা বলতে লাগল,

আমরা কী করে এর সাথে কথা বলব? ও তো সদ্যোজাত শিশু।



ক্বালা (বললেন, নবজাত শিশু ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম বললেন,)

ইন্নি আবিদুল্লাহি (নিশ্চই আমি আল্লাহর আবদ=পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারী,)

আসানিয়াল ক্বিতাবা ওয়ায্ আলানি নাবিইয়্যাহ্ (যার প্রতি কিতাব নাযিল হয়েছে এবং যিনি নবী আলাইহিস সালাম!)



আর আমি যেখানেই রই না কেন, তিনি আমাকে স্পষ্ট বরকত বানিয়েছেন।

আর যতক্ষণ আমি বেঁচে আছি, তিনি আমাকে নামাজ ও যাকাতের নির্দেশনাদাতা বানিয়েছেন। বানিয়েছেন আপন মাতার প্রতি সুষ্ঠু আচরণকারী। তিনি আমাকে কুকর্মশীল ও অবাধ্য করে তৈরি করেননি।



আর আমার উপর সালাম হোক,

আমার জন্মের দিনে,

আমার ঘুমের দিনে,

আমার পুনরুত্থানের দিনে।



এই হলেন ঈসাবনুল মারইয়াম!

এটুকুই হল সত্যি কথা, যাতে এই মানুষেরা সন্দেহ পোষণ করে!

আল্লাহর মর্যাদার সাথে এই বিষয় যায় না যে, তিনি কাউকে আপন পুত্র করবেন! তিনি এই (মুখাপেক্ষীতা) হতে পবিত্র/মুক্ত। যখন কোন সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণ করেন, শুধু এই আদেশই দেন,



কুন্ (হও,)

ফা ইয়া কুন্ (আর তা হয়ে যায়!)




(আয়াত সমাপ্ত)



এখন,

* এই সন্তান আগমন করবেন এটা পূর্বনির্ধারিত। ফেইট।

* সন্তান এক্ষেত্রে পিতার প্রয়োজন ছাড়া জন্মেছেন।

* যে আল্লাহ মাত্র জন্ম নিতে থাকা সন্তানের মুখ থেকে খেজুর গাছের ডাল ঝোঁকানোর পরামর্শ পাঠাতে পারেন, যে আল্লাহ এও জানেন যে, খেজুর গাছের ডাল ঝোঁকালে তা থেকে পাকা খেজুর অসুস্থ মাতা মারইয়াম আলাইহাস সালাম এর কাছে পৌছে যাবে, তাঁর জন্য সরাসরি উপর থেকে খেজুর পাঠানোও সমস্যা নয়।

* নবীগণ জন্মের সময় থেকেই নবী, জন্মের সময় থেকেই কিতাবের অধিকারী, জন্মের সময় থেকেই শরীআহ্ এর অধিকারী। তাই তাঁদের প্রতিটা বিষয় সালামের অধিকারী। এবং তখন থেকেই পবিত্রতার অধিকারী, মা-বাবার বাধ্য। সৎকর্মের নির্দেশদাতা।... এবং এভাবেই তাঁদের তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের প্রতিটা বিষয় পূর্বনির্ধারিত।



প্রশান্তিযাত্রার পরবর্তী পর্বের শুরু হোক ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম হয়ে নূহ আলাইহিস সালাম থেকে। এগিয়ে যাক স্বয়ং মুহাম্মাদুর রাসূলিল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হয়ে চরম ও পরম প্রভুর সুকঠিন পূর্বনির্ধারিত ভাগ্যের পথে।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমার নেট এক্সপায়ার করে গেছে। রাত বারোটায় নাইট প্যাকেজ অন করেই এই পোস্ট আর গতকালকের মন্তব্য সবগুলোতে আলাপ হবে আশা রাখি। কঠিন কঠিন আলাপের আশায় রইলাম।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমারা কাছে তাকদীরের একটা নিজস্ব ব্যাখ্য আছে- অনেকেই হেসে দিতে পারেন- আমার বোধগম্যতায় বলছি-

একটা সফটওয়ারের সার্বিক সক্ষমতা; এক পূর্ব নির্ধারিত বিষয়;
আবার একজন অপারেটরের তা ব্যবহার করে তার সক্ষমতা অনুযায়ী আউটপুট পাওয়া এটাও কর্ম এবং পূর্বনির্ধারন দুটোই।

সে যদি শেখে তবেই পারবে; এটাই তার ভাগ্য
সে যদি না শেখে সে পারবে না-এটাও তার ভাগ্য।

আবার সে সবটা চাইলেও শিখতে পারবেনা-
আবার সে চাইলে এরচে ভাল মানের সফটওয়্যার তৈরীও করতে পারবে!

এখানে, জ্ঞান, পরিবেশ, সামর্থ, উপযোগ, চেষ্টা অঙ্গাঙ্গি জড়িত। কম্বিনেশন যে স্তরে যতটুকু ম্যাচ করবে সাফল্য বা ফলাফল ততটুকই হবে।


==

আবার উপরে বর্ণিত ভাগ্য অনুসিদ্ধান্তকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নিলে চোরের চুরি করাও পূর্ব নির্ধারীত বলে মেনে নিতে হবে বা তাকে ছেড়ে দিতে হবে। ধর্ষক, খাদক, লুটেরা খুনি সকলেই এ অজুহাতে পার পাবার চেষ্টা করবে।

সেই ক্ষেত্রে কি বলবেন?

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই সালাম।
আপনার ব্যাখ্যাটা তো একটা পরিসমাপ্তি, কারণ এতে সত্যই লুকিয়ে আছে। একটা পরিতৃপ্তি। কিন্তু শেষদিকে এসে একটু অপূর্ণও।


শেষপর্বের আলোচনা চলে আসছে, তাতো আসবেই।
---

ধর্ষক, লুটেরা, খুনী- হিয়ার কামস দ্য টুইস্ট! এইখানেই টুইস্ট এসে যাবে।

আল্লাহ সর্বশক্তিমানও।
তবে আমাদের বাঁচোয়া যে,
আল্লাহ ন্যায়বিচারক।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৬

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: চরম। জানিনা আপনাদের এই আলোচনায় আমি কোনো অবদান রাখতে পারব কিনা(কারণ আমি নিতান্তই মূর্খ, সজ্ঞানে অজ্ঞানে করা সকল পাপের ভারে ধরাশায়ী।), কিন্তু সাথে আছি। আপনার লেখাটা পড়ে সত্যই ভালো লাগলো।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি নিতান্তই মূর্খ, সজ্ঞানে অজ্ঞানে করা সকল পাপের ভারে ধরাশায়ী।
আমি নিতান্তই মূর্খ, সজ্ঞানে অজ্ঞানে করা সকল পাপের ভারে ধরাশায়ী।
আমি নিতান্তই মূর্খ, সজ্ঞানে অজ্ঞানে করা সকল পাপের ভারে ধরাশায়ী।
প্রভু, তুমি ছাড়া আর কোন গত্যান্তর নেই। আমি নিরাশ্রয়, কারণ তুমি ছাড়া দ্বিতীয় আশ্রয় নেই।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩০

স্বপনবাজ বলেছেন: নবীগণ জন্মের সময় থেকেই নবী, জন্মের সময় থেকেই কিতাবের অধিকারী, জন্মের সময় থেকেই শরীআহ্ এর অধিকারী। তাই তাঁদের প্রতিটা বিষয় সালামের অধিকারী। এবং তখন থেকেই পবিত্রতার অধিকারী, মা-বাবার বাধ্য। সৎকর্মের নির্দেশদাতা।... এবং এভাবেই তাঁদের তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের প্রতিটা বিষয় পূর্বনির্ধারিত।
সহমত !

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এই পর্বে এটাই ছিল প্রতিপাদ্য।
আসলে তাকদিরের বিষয়টা এত ভাস্ট এবং পিচ্ছিল যে, কখন কোথায় হোঁচট খেয়ে ঈমানটাই হারিয়ে যায়... তাই এই পর্বে শুধু এটুকুই প্রতিপাদ্য ছিল।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

বুদ্ধিমান বলেছেন: প্রিয়তে না রাখলে অন্যায় হবে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কষ্ট করে পড়া ও মূল্যায়নের জন্য।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হুম জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এখনি কি পুরোটা জানা হল আর আমরাও বা কতটুকু জানি বলেন? একটু আলোচনায় এলে ভাল লাগত আরো অনেক বেশি। এ পর্বে কিন্তু কোন সমাপ্তি নেই। শুধুই কিছু ঝুলন্ত অনুসিদ্ধান্ত।

ভাল থাকুন।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৮

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ভাই আমি নগন্য মানুষ, এত জ্ঞানীর ভীড়ে আমার জায়গা না নেওয়া বোধহয় ভাল। কিন্তু জ্ঞানীর পাদদেশে যে জ্ঞানের ফুয়ারা, তার থেকে সামান্য পান না করলে অন্যায় হবে। তাই এই ক্ষুদ্র মানুষের বিচরন আপনাদের এই সীমাহীন জ্ঞানের ভান্ডারে।।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওইদিকে আমরা সবাই তৃষিত নয়নে চেয়ে আছি। হিদাআত সুকঠিনভাবে শুধু তাঁরই হাতে। অব্যক্তগুপ্ত বা ইলমুল গায়িব শুধু তাঁর দখলে। তিনি নির্ধারিতভাবে যাকে খুশি তাকেই দান করেন, এবং যতটুকু খুশি। আমরা শুধুই তৃষিত, ঈমান পূর্ণ হচ্ছে না, হিক্বমাহ আসবে কোত্থেকে?

আপনার বিনয় স্পর্শ করে ভাই। এখান থেকে শেখার আছে অনেক অনেক কিছু। আমরা সবাই তো গাঠনিকভাবে, সর্বতো একই মানুষ।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

আশিক মাসুম বলেছেন: পোষ্ট প্রিয়তে সাথে +++ ফ্রি। এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন , মন্তব্য করার সাহস হলো না ভাল থকবেন আপনি।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আল্লাহ তো ভয়ের বিষয় নন! তাঁকে দেখে কম্পিত হব আমাদের অপরাধগুলোর সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে, এখানে তো আমাদের অপরাধ সম্পর্কিত নয়, তাই এই আলোচনায় অংশ নিতে দ্বিধা রাখার কিছু নেই।

কারণ এই বিষয়টা ঈমান এর অংশ।

আপনি ভাল থাকুন অনেক অনেক। শেষ সংকলনটাও দারুণ লেগেছে।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: খুব অল্পতে অনেক কিছু বলে দিলেন ! কারও কারও পেটে হজম হবে তো !


প্সাল দিলাম ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এই বিষয়টাকে ভাই পরের এক দুইটা সিরিজ পোস্টে চূড়ান্তে নিয়ে যাব। তারপর আরো প্রাসঙ্গিক আলোচনা।

একটা ছত্রে আমি একেবারে সমর্পিত। অসহায় এবং করুণ।

তুমি ডুবায়ে ভাসাতে পারো,
ভাসায়ে কিনার দাও তারো,
রাখো মারো, হক্ তোমারও-
তাইতে তোমায় ডাকি স্বামী! (স্বামী অর্থ কর্তা, প্রকৃত স্বামী আর কাকে বলবে বলেন?)
ইলাহাল আলামীন গো আল্লাহ
বাদশাহ আলমপনাহ তুমি।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩০

শের শায়রী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আস সালামু অলাইকুম ভাই।

দেশ থেকে অনেক দূরে আছি তাই রেফারেন্স দিয়ে আলাপে অংশ নিতে পারব না, তবে ছোট্ট একটা প্রশ্ন ভাগ্য ও কর্ম কোন কিছু আল্লাহ র আদেশ ছাড়া হয় না তাহলে এই ছোট্ট জীবনে কেন এত লোভ কেন এত হানাহানি স্বার্থ হাসিলের জন্য?

সব কিছুই যদি নির্ধারিত তবে মিছে কেন এই নিত্য ব্যাস্ততা?

ভাল থাকুন ভাই।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নিত্য ব্যস্ততা মিছে নয় ভাই।

না, না। কখনো নয়। নিত্যব্যস্ততা তাঁরই থেকে এবং তাঁরই প্রতি এবং তা মিছে নয়।

এখানে আমিও কিছু করি। আপনিও। আর সবাইও। তারপর তাঁরই অধীনে থেকে করি। আজব। এই বৈপরীত্য ধারণ করব কী করে!

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সালাম রইল অনন্ত সময়ের জন্য। সিরিজটা কখনোই লিখতাম না। লেখার মত সাহস ব্লগে ছিল না। আপনাদের সব দোষ। আপনারা দু চারজন ভাই উৎসাহ দিয়েছেন।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

রাশেদ মোমিন বলেছেন: সত্যি বলতে আমি লেখাটা পড়ে কিছুই বুঝলামনা । সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা লাগছে । দেখি পরের পরবটা পড়ে কিছু বুঝতে পারি কি না ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিষয়টা আসলে বেশ ঝাপসা। ভাল থাকুন অনেক।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৭

গ্যাম্বলার বলেছেন: পড়লাম। সাথে আছি পাঠক হয়ে.........

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আলোচক হয়েও থাকুন না। ভাল থাকা হোক অষ্টপ্রহর।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

rasel246 বলেছেন: লেখক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা বুঝতে পারিনি........................

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আসলে এই পর্বেই স্পষ্ট করে কিছু বোঝাতে চাইনি। তবে যা চেয়েছি তা তো বোল্ড করে দিয়েছি। সেইসাথে আবার সেটা নিয়ে আলোচনাও করেছি।

প্লিজ মতামত জানাবেন। ভাল থাকুন।

১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪১

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ৯ম ১০ম শ্রেণীতে থাকতে ইস্কুলের ধর্ম শিক্ষক (আমরা হুজুর ডাকতাম) এই রকম ভাবে পড়াতেন বিশেষ করে নবী দের জীবনি অধ্যায় গুলো ।
পোষ্ট খুব ভাল লাগছে তাই কোন আলোচনায় যাচ্ছিনা । প্লাস দিয়ে চলে যাচ্ছি :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এইভাবে বলবেন না ভাই। লজ্জা হয়।

আমিতো শুধু কুরআনের অনুবাদ তুলে ধরেছি।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১

বেলা শেষে বলেছেন: [19:93]

নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।

তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন।

কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন।

আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি। আপনি কি তাদের কাহারও সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীনতম আওয়ায ও শুনতে পান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.