নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পেস-টাইম

there is no problem in the heavens and earth ;) problem lies in three places... beneath, between and within the hells.

গোলাম দস্তগীর লিসানি

বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।

গোলাম দস্তগীর লিসানি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম কী, ধর্ম কেন ও অধর্ম কী...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

প্রচলিত সাধারণ অর্থে ধর্ম মানে হচ্ছে কতক-



১. বিশ্বাসের সমষ্টি,

২. আচরণের সমষ্টি।

তাহলে প্রচলিত অর্থে অধর্ম মানে দাঁড়ায় ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচরণের বাইরে কিছু করা।

যতটা জানা যায় তাতে মনে হয় মানুষ অধর্ম বলতে বোঝে অমানবিক কাজ করাকে।



কিন্তু গভীর তাসাউউফের (উপলব্ধির) ভিতরে যদি আমরা দৃষ্টি দেই, তাহলে কথাগুলো হবে সম্পূর্ণ অন্যরকম।



এক একজন মহা মনীষী সত্যকে উপলব্ধি করেন। তারপর এই জগত ও ওই জগতের ভোগান্তির বিষয়টা উপলব্ধি করার পর, দেখার পর, জানার পর একটা পদ্ধতির প্রচলন করেন যা স্বয়ং মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকেই আসে।



যে পদ্ধতির প্রচলন করেন তাঁরা সত্য পেয়ে, তারই প্রচলিত নাম ধর্ম।



কিন্তু তাঁরা খোদার পক্ষ থেকে এই পদ্ধতির প্রচলন কেন করেন?

এই পদ্ধতির প্রচলন করেন যেন মানুষগুলো কিছু বিশ্বাসের সমষ্টি (ঈমান-আক্বিদা: পরকাল/পাপ/পূণ্য/স্বর্গ/নরক/ফেরেস্তা-দেবদূত...) এবং কিছু আচরণের সমষ্টি (সদাচরণ, একত্রিত হবার উপলক্ষ্য যেমন মসজিদ-মন্দির, যূথবদ্ধ থাকার উপায় যেমন গির্জার সার্মন বা মসজিদের জামাতে নামাজ-হজ্ব) দ্বারা পরিচালিত হয়।



এই আলোকিত বা সত্যজ্ঞানী বা দিব্যজ্ঞানী বা মহামনীষীদের দুই স্তর বর্ণনা করতে পারি আমরা-



১.নবী/রাসূল/দেবতা বা ধর্মবেত্তা এবং

২.মুনী/ঋষি/ক্যানোনাইজড সেইন্ট/সংবুদ্ধ/আউলিয়া বা ধর্মপথবেত্তা।



উভয় স্তরের মহামহিমগণ চূড়ান্ত অনুসন্ধানের ফলস্বরূপ এই অনুসিদ্ধান্তে পৌছান যে,

মানবজাতির সবাইকেই চরম ও পরম আরাধ্য সত্যের সন্ধান পেতে হবে, যাকে বলা হয় আল হাক্ক। যাকে বলা হয় আল হাক্বু নূরুন- সত্যই আলোকরশ্মি।

আর সত্য কোনদিন, কখনো আচরণ ও বিশ্বাসের দ্বারা শতভাগ অর্জিত হতে পারে না।

আচরণ ও বিশ্বাসের দ্বারা সত্য বড়জোর একটা পথের নির্দেশ পেতে পারে। স্বয়ং সত্যের সামনে বিশ্বাস ও আচরণ গৌণ। আল্লাহুস সামাদ- আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি বিশ্বাস ও কর্মের ধার ধারেন না। বিশ্বাস ও কর্ম তাঁর কিসসু বিগড়াতে পারবে না, উপকারও করতে পারবে না।



তাহলে সর্বধর্মে বিশ্বাস (ঈমান) ও আচরণ (আ'মাল) এত গুরুত্ববহ কেন?

কারণ, মানুষকে আল্লাহ আপন রূপে সৃজেছেন। এই আপন রূপ মানে হাত নয়, পা নয়। এই আপন রূপ মানে ক্বাদিরিয়াত। এই আপন রূপ মানে, স্বাধীন ইচ্ছা। মানুষ পুরোপুরি সার্বভৌম, এই অর্থেই মহান ঈশ্বরের রূপে রূপবান।



মানুষ যেহেতু সার্বভৌম, তাই তার দ্বারা সদাচরণ ও কদাচরণ হওয়া শুধু্ই তার স্বাধীনতার এক্তিয়ার।



আর অসদাচরণ বা পাপাচরণ যেহেতু সব সময় অবচেতন মনে প্রভাব বিস্তার করে,

অবচেতন মন জানে, এই লোকটা (স্বয়ং নিজে) মিথ্যাবাদী, হি ডাজ নট ডিজার্ভ আ প্রগ্রেস।

অবচেতন মন জানে, আমি প্রতারক/আমি ইভটিজার/আমি হিংসুটে- সুতরাং অবচেতন মন আমার প্রতিটা অগ্রগতির সাথে ট্যাগ করে দেয় আমার কুকর্মকে এবং তারপর আমার অগ্রগতিকে করে দারুণ বাঁধাগ্রস্ত।



এখন, ধর্মের প্রবক্তা ওই মহামনীষীগণ কিন্তু জানেন, ভালমতই জানেন যে, স্বয়ং নিজ নিজ অবচেতন মনই পাপবোধকে শুধু শনাক্ত করতে পারে না, বরং সেই অনুযায়ী নিজেই নিজের প্রতি জাজমেন্ট করে। করেই, আমরা সচেতনভাবে তা এডমিট করি আর ডিক্লাইন করি, কিসসু এসে যায় না। রাব্বানা জালামনা আনফুসানা- হে আমার প্রভু, আমি আমার নাফসসমূহ (নিজ মনের অবস্থাসমূহ) এর উপর যুলম করেছি। ঈশ্বর বা আল্লাহর এসে জাজমেন্ট করে দিতে হয় না, প্রোগ্রাম সেট করাই আছে এই পৃথিবীর জন্য।



তাঁরা কিন্তু জানেন, যে একজন এমপির চোখ থাকবে আধফোলা কিন্তু মন্ত্রীর চোখ ফুলফোলা (সরকার নির্বিশেষে)। মদ্যপানজনিত কারণে। মদ্যপান মানুষ করে তো শুধুই নিজের অবচেতনের জাজমেন্টের কারণে। এবং নিজের জন্য খারাপটা চুজ করে নেয় শুধু সেজন্যই। এটা সেলফ জাজমেন্টের একটা উদাহরণ মাত্র।



তাই, সেই মহামনীষীগণ একটা পাথওয়ে তৈরি করেন। যেন মানুষ পাপ এবং ফলস্বরূপ অবচেতনে পাপবোধে আক্রান্ত না হয়। কারণ, পাপ ও পাপবোধে আক্রান্ত হওয়াই মানুষের আল হাক্ব পাবার পথের সবচে বড় বাঁধা। এটাই মনের ময়লা। এটাই ক্বালবের পর্দা।

তাদের নির্দেশিত পাথওয়ের কতক ঈমানী আর কতক আমলী।



তো, এই পাথওয়ে কখনোই ধর্ম হতে পারে না এই কারণে যে, মানুষ বাই ডিফল্ট সত্যের অনুসন্ধানী।

আমরা যাকে ধর্ম বলি, তা আসলে ধর্মের পথে যাবার জন্য পাথেয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ পাথেয় বৈ কিছু নয়।



ধর্ম কি? ধর্ম সত্য।

ধর্মের কোন আচরণ নির্ভরতা নেই। কোন বিশ্বাস নির্ভরতা নেই।

আপনি দেখছেন, সামনে পানি। আপনি জানেন, এটা পানি। এখানে বিশ্বাস অপ্রয়োজনীয়।

আপনি জানেন, পানি পান করতে হবে, এখানে আচরণের বাধ্যবাধকতা অপ্রযোজ্য, এম্নিতেই আমরা পানি পান করব।



কিন্তু সাধারণ মানুষ সামনের পানিটাকে পানি রূপে চিনতে পারে না বলেই তাকে পূর্বে আসা মহামনীষীদের বর্ণনানুযায়ী পানিকে পানি ধরে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।

কিন্তু ধর্ম তখনি প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যক্তির জীবনে, যখন সে পানিকে পানি আকারে দেখতে পায়- আর জানার দরকার হয় না যে, এটা পানি। বোঝাই যায়, দেখাই যায়।



এই পানিকে পানি আকারে দেখতে পারার ক্ষমতার নামই আধ্যাত্মিকতা। এরই গালভরা নাম অলৌকিকতা। আসলে এরচে লৌকিক আর কিছু নেই।



প্রতিটা মানুষকেই সত্যের চূড়ান্ত রূপে স্বয়ং অবগাহন করতে হবে। মহামনীষীর অনুসরণের একটা পর্যায়ে গিয়ে স্বয়ং মহামনীষীতে উপনীত হতে হবে। প্রত্যেক মহামনীষী তথা নবী/রাসূল এবং ঋষি/আউলিয়ার এই ছিল মূল উদ্দেশ্য যা কালক্রমে পরতের পর পরত পলির তলায় হারিয়ে গেছে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

শের শায়রী বলেছেন: আপ্নার বিশ্লেষন ধর্মী লেখা টা আমার ভীষন ভাল লাগল। অনেকটা সুফী ভাব ধারার আমার কাছে মনে হল। ভাল থাকুন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনার ভাললাগা আমাকেও ছুঁয়ে গেল ভাই।
হ্যা, সূফী ভাবধারার তো অবশ্যই।
আমরা সবাই যেন ভাল থাকি।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
২য় ভাল লাগা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সেইন্ট মার্টিন যান, আমাদের জানান না, কাজটা ভালো হলো না... ;) (প্রোপিক)

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

মারসেনারি বলেছেন: কিচ্ছু বুঝলাম না তবে ভালোলাগা দিয়ে গেলে সমস্যাটা কোথায়

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তাইতো ভাই! আমিও বোঝার চেষ্টায় আছি।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
হয়তো এমন আলোচনায় রাত দিন পার করে দিতেও ক্লান্ত লাগবে না ।





৫তম ভালো লাগা ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আকাশটাকে আপন করে মেঘকে করি পর,
বসিয়ে রাখি মেঘের উপর যার নাম ঈশ্বর।

আপনার ঘুড্ডিতে একবার সওয়ার হয়ে তাঁকে দেখার বড় ইচ্ছা।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অনেক অনেক।
এগিয়ে যান। রোল মডেল হয়ে কাঁপিয়ে দিন ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ভিত। কৃষিই হোক উন্নত বাংলার প্রতিপাদ্য, যা ছিল সিরাজউদ দৌলার সময়।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

জোহার হুল বলেছেন: Long time no see bro. Chup keno Ato !!!!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ব্রো চুপচাপ না তো ঠিক... এইতো পোস্ট গেল কতগুলো!

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২

আমিনুর রহমান বলেছেন: ভালো লিখেছন লিসানী ভাই। ভালো লাগা রইল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ আমিন ভাই। প্রোপিকে কিছু দেখতে পাই না তো!

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৫

বোকা ডাকু বলেছেন: শের শায়রী বলেছেন: আপ্নার বিশ্লেষন ধর্মী লেখা টা আমার ভীষন ভাল লাগল। অনেকটা সুফী ভাব ধারার আমার কাছে মনে হল।

অসম্ভব ভাল লাগলো। দোয়া রইলো ভাই আপনি আরও লিখুন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: এমন দোয়া তো সুনিশ্চিত, শুধু আমাদের পরস্পরকে স্পর্শ করবে না ভাই, তাঁকেও স্পর্শ করবে।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

আদিম পুরুষ বলেছেন: গন্তব্য এক। রাস্তা অনেক।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সহজ কথা কইতে তুমি কহ যে,
সহজ কথা যায় না বলা সহজে।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২

আমিনুর রহমান বলেছেন: এত এত অসঙ্গতি নিয়ে কী করে পৃথিবী চলে, চারদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। কোন আশা দেখতে পাই না। যেদিন আলোর আশা দেখতে পাবো যেদিন আমিও আলোকিত হবো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, আশার আলো আপনার ভিতর, আশার আলো আমার ভিতর।
আমি ও আপনিই আশা।
আমরাই সৃষ্টি, আমরাই পূর্ণতা, আমরাই লয়।

সর্বযুগে ঠিক ততটুকুই অন্ধকার ছিল যতটা ছিল আলো।
চুজ করে নিব আমরাই।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

জেনো বলেছেন: একেবারে মনের কথাগুলো..........।। এজন্যই তো আপনাকে মিস করছিলাম। উত্তম, অতি উত্তম।

নির্বাণ- সেতো এক মহাসাধনা।

মানুষ- শুধুই স্বাধীন ইচ্ছা? (আরেকটা শক্তি উল্লেখ করলেন না যে)

শিখতেই আছি। ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, বিনয় তো আপনাকেই মানায়।

নির্বাণ- এক মহাসাধনা কি? নাকি সেটাই একমাত্র মহাসাধনা! আমার তাই মনে হয়। ভাই, নির্বাণ কি পাব?

আরেকটা শক্তি... ঠিক বুঝতেই পারিনি।

একটা কমেন্টের জবাবে ফেসবুকে লিখেছিলাম, সেটাই পোস্ট আকারে তুলে ধরেছিলাম।

সম্ভবত মুস্তাফা অর্থ নির্বাচিত (অনেকের দ্বারা) এবং মুজতাবা অর্থ নির্ধারিত/ মনোনীত (একজন দ্বারা/আল্লাহ)। আহমাদ শব্দের পাশাপাশি মুহাম্মাদ শব্দের ব্যবহারও আমরা অতীত ধর্মগ্রন্থগুলোতে পাই-

অল্লো রসুল মহাম্মদ রক্যং বরস্য অল্লো অল্লাম (উপনিষদ); এছাড়াও নরাশংস মানে প্রশংসিত পুরুষ মানে মুহাম্মাদ।
রিক্কো মাক্কাত্তিম বেখুল্লু মুহাম্মাদিম্ (তোরাহ, বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট)

তবে সবচে মজার নামকরণ পাই পালি ধর্মগ্রন্থে-

অশীতীবর্ষ সহস্রায়ুষ্ক পরে আসবেন মেত্তেয়।
মেত্তেয়= মৈত্রী করা যায় যার সাথে।
মুহাম্মাদ=প্রশংসিত; আহমাদ=প্রশংসাকারী; মুজতাবা-মুস্তাফা=নির্ধারিত/নির্বাচিত; রাহমাতাল্লিল আলামীন=জগৎসমূহের উপর করুণা... এই সবগুলো নামকে মাত্র এক গুণবাচক নাম মেত্তেয় তেই একত্র করার মত অসাধারণ কাজটা করেছিলেন মহামতি।

'তাফসিরে রব্বানী মুকাদ্দামা' পেলে অবশ্যই জানাবেন ভাই, কপি করে রাখব।

আপনার সাথে ফেসবুকে সম্পর্কযুক্ত হতে চাই।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

ক্যাপ্টেন জুক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। ১০ম ভালোলাগা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: গ্রাসিয়াস, কাপিতান!

১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: প্রতিটা মানুষকেই সত্যের চূড়ান্ত রূপে স্বয়ং অবগাহন করতে হবে।

আমি এক মত।

মহামনীষীর অনুসরণের একটা পর্যায়ে গিয়ে স্বয়ং মহামনীষীতে উপনীত হতে হবে।

এক জন অপনার আমার মত মানুষের পক্ষে কি সম্ভব কাজে-কর্মে নবীজী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর সমান হওয়া??????


প্রত্যেক মহামনীষী তথা নবী/রাসূল এবং ঋষি/আউলিয়ার এই ছিল মূল উদ্দেশ্য যা কালক্রমে পরতের পর পরত পলির তলায় হারিয়ে গেছে।

আপনি কি কুরয়ান বা হাদিস দিয়ে প্রমান করতে পারবেন আপনার কথাটা???? নবী রাসূল গন কি চেয়েছেন যে জনে জনে মহামানব তৈরি হোক???? নাকি তারাঁ চেয়েছেন মানুষ তাদের প্রচারিত দ্বীন মেনে চলুক?????? আর আল্লাহের মহত্ত্ব স্বীকার করুক???

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ ভাই!

আমার রাসূল দ. তো সাহিবে মাক্বামে লা-সানি।
তিনি অদ্বিতীয় মাক্বামের অধিকারী। তাঁর উপরে শুধু আল্লাহই আছেন।

এখানে মহামানব বলতে দ্বিতীয় স্তর, ওয়ালিউল্লাহ বলেছি। অন্তরের এবং মুখের ইন্টেনশনে কোন তফাত নেই।

ঈমান আমল যে অতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি কি পোস্টে তা পরিষ্কার করতে পারিনি?

না পেরে থাকলে সেটা আমার ব্যর্থতা। দীনতা।
স্পষ্ট করে বলি? ঈমান ও আমলে থেকে জীবন পার করার বিষয়ে আমার দ্বিমত নেই এবং দ্বিমত থাকার অধিকারও নেই।

সহিহ বুখারী,

কুরআন থাকবে, কুরআনের জ্ঞানও থাকবে, তোমরা তা পড়াতেও থাকবে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু তার অণ্তর্গত অর্থ অনুধাবন করতে পারবে না ওরা। (বুখারী শরীফের উপরে কোন হাদিস গ্রন্থ আমার জানা মতে নেই। কথাটা হাদিস অনুসারে প্রমাণিত।)

দ্বীন মেনে চলা মানেই ঈমান ও আমলে থাকা।
এক আল্লাহর মহত্ব প্রচার করবে না তো কার করবে? তিনি ছাড়া আর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু আছে কেউ?

ভাই, কাইন্ডলি জানাবেন আমি নিজেকে পরিষ্কার করতে পেরেছি কিনা।


১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

মঈনউদ্দিন বলেছেন: ভাল লাগলো +++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.