নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুলি বলে শুনতে পাই, রূপ কেমন তা দেখি নাই, ভীষম ঘোর দেখি।। পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না, উপায় কী করি, আমি উপায় কী করি।।
গত পরশু কুরআন শুনছিলাম (আগে মানুষ কুরআন পড়ত, এখন সময় এগিয়েছে, শোনে)। তো, কোরান বা যে কোনকিছু শোনার পদ্ধতিটা আমার কাছে রান্ডম। পুরো ফোনের সমস্ত অডিও ফাইল প্লে করা থাকে, যেটার পর যেটা খুশি আসে। কানে হেডফোন। সেটাই শুনি।
শুরু হল সূরা মারইয়াম।
প্রথম আয়াত থেকেই ট্যাগ হয়ে গেলাম। ভাল লাগছিল, শুনলাম টানা।
সেখানে,
(ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামের উপর)
ওয়া সালামুন আলাইহি (একজন ব্যক্তির উপর সালাম)
ইয়াওমা (দিবস) উলিদা (জন্ম)
ইয়াওমা ইয়ামুতু (মৃততু দিবস নয়, ঘুম দিবস!)
ইয়াওমা উবআতু হ্বাইয়্যা (পুনর্জীবনদানের দিবসে)
বলা হচ্ছে।
তার মানে হল,
ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম, যিঁনি একজন নবী,
তাঁর জন্মদিনের উপর আল্লাহ সালাম ঘোষণা করছেন,
ঘুম দিবসের উপর সালাম ঘোষণা করছেন,
এবং যেদিন তিনি আবার উঠবেন, কিয়ামতের দিনও সালাম ঘোষণা করছেন।
একই সূরায় শুনলাম,
হুবহু একই আয়াত ঈসা আলাইহিস সালামের ক্ষেত্রেও দেয়া হয়েছে।
আমার মনে পড়ে গেল, ইউটিউবের ঘাঁটঘাঁটিযুগের কথা,
ডক্টর জাকির নায়েকের প্রধান শিক্ষক 'পিস মিসাইল (নামটা কেন মনে পড়ছে না?) তিনি এক সম্মেলনে বলছেন, খ্রিস্টানদের বড়দিনের শুভেচ্ছা। এবং এক মুসলিম তরুণ ক্ষিপ্ত হয়ে জিগ্যেস করছে, ইসলামে কি মিলাদুন্নবী আছে?
তিনি বলছেন, অবশ্যই আছে।
ছেলেটা বলছে, না, নেই। এটা বিদআত। ক্বুফর। শিরক।
তিনি হাসছেন, এবং বলছেন, অবশ্যই আছে। এটা না মানা ক্বুফর। কারণ, কুরআনে সুস্পষ্টভাবে আছে।
আসলে সম্ভাব্য আলোচনা যা নিয়ে তা হল,
নবীদের জন্মদিবসে সালাম জানানো, তাঁদের ঘুম দিবসে সালাম জানানো এবং তাঁরা যেদিন পুনরুত্থিত হবেন, সেদিন সালাম জানানো, অর্থাৎ ঈদে মিলাদুন্নবী অস্বীকার করা কি আসলেই ক্বুফর হবে?
মিলাদুন্নবী দ. পালনকে কি আমরা আসলেই জন্মাষ্টমী ও বড়দিনের অনুকরণ এবং এ কারণে পরিত্যাজ্য তথা বিদআত বলতে পারব?
কারণ, ক্বুফর শব্দটার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে অস্বীকার। আর কুরআনের কোন আয়াত এর অনুসিদ্ধান্ত অস্বীকার করাই ক্বুফর।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: 'মন'ই সবার ছেলেধরা,
এই কথাটা জেনো-
মুখে বলো, মানিনা,
তাও মনের ভিতর মেনো।
ভাই, কথা নাই বার্তা নাই আপনাকে সামুতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আপনি এই নিকটা আমুতে নেয়ার আগেই কি আমাদের পরিচয় ছিল, যা সঙ্গত কারণেই জানি না?
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
যান্ত্রিক বলেছেন: প্রথমত, রাসুল (সা)-এর জন্ম ঠিক কোনদিনে তা নিয়ে আলেমদের মাঝে একাধিক মত আছে।
দ্বিতীয়ত, আমরা প্রতি ওয়াক্তের সালাতের বৈঠকে দরূদের মাধ্যমে সালাম জানাই।
তৃতীয়ত, যে আমল রাসুল (সা) বা তাঁর সাহাবারা (রা) করে যান নি, তা কি করে আমাদের প্লনযোগ্য আমল হতে পারে?
তবে আপনি যে অর্থ করেছেন তা বুঝলাম না। এই অনুবাদ কি আপনার নিজের করা নাকি কোন সূত্র থেকে পেয়েছেন? সূত্র থাকলে দয়া করে উল্লেখ করুন।
ধন্যবাদ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই,
সাধারণত কোন লজিক্যাল বিষয়ে আলাপের সময় খুব টু দ্য পয়েন্ট এবং স্লিম থাকার চেষ্টা করি। এভাবেই বলছি,
১. যদি আল্লাহ বলেই থাকেন যে নবীদের জন্মদিনে সালাম, তাহলে তাদের সম্ভাব্য সব জন্মদিনে এবং সম্ভাব্য সব ঘুমদিবসে সালাম জানানো মুসলিমদের জন্য কিছু একটা হয়ে যায়।
২.১. খুবই ভাল লাগল যে, আমি এবং আপনি নামাজ পড়লে প্রতি নামাজেই তাঁর উপর, তাঁর পূর্বপুরুষদের উপর (ইব্রাহিম আ. পর্যন্ত পূর্বপুরুষ) এবং তাঁর বংশধরদের উপর সালাম জানাই। এবং বরকতের আবেদন জানাই। কিন্তু সবাই তো তা জানাই না। যেমন, ক্বাবা শরীফে ফরজ নামাজের শেষ রাকাতের বৈঠক এত দ্রুত শেষ হয় বলে টিভিতে দেখেছি, যাতে শুধু তাহিয়্যাহ শরীফ পড়ার উপায় থাকে। কিন্তু আয়রনিটা হল এখানে যে, তাহিয়্যাহ শরীফ পড়লেও সেখানেও তাঁকে সরাসরি সম্বোধন করে সালাম জানানো হয়।
কিন্তু,
আল্লাহ তো ভালভাবেই জানেন যে, আমরা প্রতি ওয়াক্তের ফরজ-ওয়াজিব-সুন্নাত ও নফল নামাজে তাঁকে সালাম জানাই। এর পরও আল্লাহ যখন বলছেন যে জন্মদিবসে সালাম, ঘুম দিবসে সালাম ও পুনরুত্থান দিবসে সালাম- সেটা নিশ্চই এর বাইরে বেশি কিছু বোঝাতে পারে।
২.২. তিনি দ. ও সাহাবারা রা. করে যাননি, আমরা কি তা বলতে পারি? কুরআনে যে বিষয়টা আছে তা সাহাবারা করে যাননি, এতটা নিশ্চিত কি আমরা হতে পারি?
৩. অর্থর জন্য রেফারেন্স কেন প্রয়োজন হবে না তা বলি, এখানে কী কী শব্দ আছে খেয়াল করুন। মোস্ট কমন। সালামুন আলাইহি- অর্থ আমরা জানি। ইয়াওম- প্রায় সব মুসলমান অর্থ জানেন। উলিদা/ওয়ালাদা= জন্ম। একেবারে সরল। ইয়ামুতু- ঘুম। একেবারে বেসিক আরবি। এগুলোর অর্থ আমি এম্নি জানি।
এক কাজ করুন, আয়াতটি আরবি ইউনিকোডে কপি করে গুগল ট্রান্সলেট করুন।
তারপর, যে কোন ঘরানার আরবি জানা যে কোন মানুষকে আলাদা আলাদা ভাবে জিগ্যেস করুন। একই জবাব পাবেন।
এর পরও, সূত্র রয়েছে। যা এই নেট থেকে খুঁজে দেয়াকে সব সময় বাতুলতা মনে করি। ভাইয়ের জন্য নাহয় একটু বাতুলতা করলামই। আমি ইরফানুল কুরআন বাই ডক্টর তাহির আল ক্বাদরী এবং কানযুল ঈমান বাই আহমাদ রেজা খান র. থেকে অনুবাদ পড়েছিলাম ও শুনেছিলাম।
আমাদের আলোচনা কিন্তু এখানেই শেষ নয়, পারস্পরিক কথাতেই শুদ্ধতা স্পষ্ট হবে।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
যান্ত্রিক বলেছেন: টাইপোঃ প্লনযোগ্য>> পালনযোগ্য
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার পোস্ট!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তামিম ভাইয়ের ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগল।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাল লাগল আপানার লেখা পড়ে
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল আছেন আশা করি।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: সুন্দর কিছু কথা জানলাম।+ শুভকামনা
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ চেয়ারম্যান ভাই। বাংলাদেশ বিরোধীরা আজকাল মনে হয় খুব উঠেপড়ে লাগছে।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: লিসানি ভাই আপ্নার লেখা পরে অনেক কিছু জানতে পারি শিখতে পারি ।
আপ্নার লেখা কি প্রথম পাতায় আসে এখন ? যদি না আসে আমি রিপোষ্ট লিংক দিয়ে প্রথম পাতায় আনতে চাই যদি আপ্নি অনুমতি দেন । আপ্নার লেখা সকলের পড়ার সুযোগ থাকা উচিত ।
৪তম ভালো লাগা ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: না ভাই। আসছে না।
আপনি ভাল লাগলে শেয়ার করতে পারেন। অবশ্যই আপত্তি নেই।
ভালোলাগায় ভালোলাগা বাড়ল আরো।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
যান্ত্রিক বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই,
কয়েকটি অনুবাদ পেশ করছি,
১। বাংলা তাফসীরঃ কুর'আনুল কারীম; অনুবাদঃ প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান
"তাঁর (ইয়াহইয়া (আ) ) প্রতি ছিল শান্তি যেদিন তিনি জন্ম লাভ করেন ও শান্তি থাকবে যেদিন তাঁর মৃত্যু হবে ও যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুজ্জীবিত হবেন।" -- সূরা মারইয়াম, আয়াত-১৫
২।তাফসীর ফি যিলালীল কুরআন; অনুবাদঃ হাফেজ মুনীর উদ্দীন আহমদ
"তাঁর উপর শান্তি (বর্ষিত হয়েছিলো), যেদিন তাঁকে জন্ম দেয়া হয়েছে, (শান্তি বর্ষিত হবে সেদিন)- যেদিন সে মৃত্যু বরণ করবে এবং যেদিন সে জীবিত হয়ে পুনরুত্থিত হবে।" -- সূরা মারইয়াম, আয়াত-১৫
৩। তাফসীর ইবনে কাসীর; অনুবাদঃ ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান
"তাঁর (ইয়াহইয়া (আ) ) প্রতি ছিল শান্তি যেদিন তিনি জন্ম লাভ করেন ও শান্তি থাকবে যেদিন তাঁর মৃত্যু হবে ও যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুজ্জীবিত হবেন।"
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সালামুন আলাইহি মানে
'সালাম হোক তাঁর উপর'
যদি আমি অনুবাদ করি, আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন ভাই?
অনুবাদটা কি ভুল হবে?
এক কথায় বলবেন প্লিজ।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
যান্ত্রিক বলেছেন: "রসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে স্বীয় জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন বিবরণ পাওয়া যায়না। তাঁর জীবনীকার দের মধ্যে তিনি কবে জন্ম গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে তার জন্মদিন হল ১২ রবিউল আউয়াল। আবার অনেকের মতে ৯ রবিউল আউয়াল। কিন্তু আসলে কোনটা ঠিক?
সহীহ হাদীস নির্ভর বিশুদ্ধতম সীরাতগ্রন্থ হল ‘আর-রাহীক আল-মাখতূম’। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্ম দিবস সম্পর্কে এ গ্রন্থে বলা হয়েছে - “রসুলুল্লাহ (সাঃ) ৫৭১ খৃস্টাব্দে ৯ রবিউল আউয়াল মোতাবেক ২০ এপ্রিল সোমবার প্রত্যুষে জন্ম গ্রহণ করেন।”
এ যুগের প্রখ্যাত আলিম মুহাম্মাদ সুলাইমান আল-মানসূর ও মিশরের প্রখ্যাত জোতির্বিজ্ঞানী মাহমূদ পাশা নিখুঁতভাবে প্রমাণ করেন যে কবে রসুলুল্লাহ (সাঃ) জন্মেছিলেন। সহীহ মুসলিমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজেই বলেছেন তার জন্ম সোমবার দিন হয়েছে। মাহমূদ পাশা গবেষণা ও হিসাব করে দেখিয়েছেন যে, ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে ১২ রবিউল আউয়াল তারিখের দিনটা ছিল বৃহস্পতিবার। আর সোমবার ছিল ৯ রবিউল আউয়াল।
মাহমূদ পাশার গবেষণার এ ফল প্রকাশিত হওয়ার পর সকল স্কলাররা তা গ্রহণ করেন এবং এখনোবধি কেউ তার প্রমাণ খণ্ডন করতে পারেননি। অতএব ধরে নেয়া যায় রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্ম দিবস হল ৯ রবিউল আউয়াল।১
এখন জন্মদিবস যেটাই হোকনা কেন যেহেতু তা আমাদের হিসেব করে বের করতে হচ্ছে, অর্থাৎ ক্বুর’আন এবং সুন্নাহতে স্পষ্ট করে আসেনি তার মানে আল্লাহ চাননা এই দিনটির তারিখ মানুষ মনে রাখুক। এতে যেমন এ দিনটি উদযাপন করবার সুযোগ সরিয়ে ফেলা হয়েছে তেমনি এ তারিখের ব্যাপারে কোন শরঈ’ দলিলের অপ্রতুলতা সাব্যস্ত হয়েছে।
অপরদিকে সর্বসম্মতভাবে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যু দিবস হল ১২ রবিউল আউয়াল। যে দিনটিতে আমাদের প্রিয় নবীর জন্মোৎসব পালন করা হয় সে দিনটি মূলত তাঁর মৃত্যু দিবস। মুসলিম হিসেবে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ মুহাম্মাদ (সাঃ)। তাঁর প্রস্থানের দিনটিকে আমরা ঈদ অর্থাৎ উৎসবের দিন হিসেবে পালন করব এটা প্রকারান্তরে বোঝায় যে তাঁর মৃত্যুতে আমরা আনন্দিত। তাই এদিনটি ঈদ হিসেবে পালন করা খুব বড় ধরণের বেয়াদবি।"
সংগৃহীতঃ Click This Link
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রাসূল দ.'র জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন বিবরণ পাওয়া যায় না?
যদি নাই পাওয়া যেত, তাহলে নয় ও বারো রবিউল আউয়াল সম্পর্কে আমরা কীভাবে বলছি বা আপনি এই কমেন্টেই বা কীভাবে বলছেন?
বারো রবিউল আউয়াল কী করে শোকের বিষয় হয়, যদি সেদিন সালামের দিবস হয়?
রাসূল দ. বলেছেন, সহীহ হাদিস গ্রন্থে আছে, আমার চলে যাওয়াও আমার উম্মাতের জন্য রহমত স্বরূপ। রহমত শোকের কারণ হয় কী করে?
মৃততুর শোক মুসলিমদের জন্য সর্ব্বোচ্চ চারদিন পর্যন্ত জায়েজ আছে। আমরা চোদ্দশো বছর পর মৃততু দিবস হিসাবে কি শোক পালন করতে পারি? আল্লাহ যেদিনে সালাম জানান সেদিন শোকের দিন নাকি তাঁকে সালাম জানানোর দিন? আল্লাহ সালাম জানাচ্ছেন, আপনি তাকে শান্তি বলছেন। অনুবাদে কোনটা সঠিক হবে?
অবশ্যই বারো রবিউল আউয়াল রাসূল দ.'র প্রতি সালাম জানানোর দিন। যদি আপনি সেদিন মৃততু দিবস মনেও করেন, তবু।
আর নয় রবিউল আউয়াল- ইউ আর ওয়েলকাম টু স্যালুট হিম, সেদিনটাকে জন্ম দিবস ধরে নিয়ে সালাম জানান, আল্লাহর আদেশ পূর্ণ করুন।
'ওয়া সালামুন আলাইহি ইয়াওমা-' কথার অর্থ কখনোই 'আল্লাহ শান্তি পাঠিয়েছিলেন সেদিন' হতে পারে না। কারণ, আল্লাহ বলছেন না, টেন্স সহ যে, তিনি সেদিন সালাম পাঠিয়েছিলেন। আমি যদি বলি দিনে সালাম পাঠানো, আপনি কোনদিনই, কখনোই সেটাকে অশুদ্ধ অনুবাদ বলতে পারবেন না।
পরিশুদ্ধ আরবির পরিশুদ্ধ অর্থ করুন।
শুদ্ধ অনুবাদ একমাত্র হতে পারে, 'সালাম হোক সে দিনের উপর'।
যেখানে কুরআনে আছে, সবচে শুদ্ধভাবে অনুবাদ করতে গেলে, নবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কথা হল, সালাম তাঁর উপর সেইদিন যেদিন জন্ম হয়েছিল, যেদিন তিনি ঘুমাবেন এবং যেদিন তিনি জেগে উঠবেন।
সেখানে আমরা যদি দাবি করি যে, আল্লাহ নিজেই চাননি তাঁর রাসূলের জন্ম দিবস মনে রাখা হোক- এরচে বড় ক্বুফরি আর কী হতে পারে?
এখন, সর্বশেষ কথা,
রাসূলের উপর সালাম জানানোয় কি আমাদের কোন আপত্তি আছে?
রাসূলের উপর সালাম জানানোয় কি কোন অনৈসলামিক কাজ হয়ে যায়?
আমরা কি রাসূলের উপর সালাম জানাই না সারাসির ইয়া আইয়ূ্হান নাবিউ বলে?
তাহলে, যেখানে ওই আয়াতে আল্লাহ বলেননি যে, আল্লাহ সালাম প্রেরণ করেছিলেন [পাস্ট টেন্স ব্যবহার করে] বরং বলা হচ্ছে ওয়া সালামুন আলাইহি [পাস্ট-প্রেজেন্ট-ফিউচার নির্বিশেষে] সেখানে এভাবে পাঠিয়েছিলেন এবং আল্লাহ সালাম নয়, বরং শান্তি [জেনারেল ওয়ার্ড, সালাম বা ইসলামিক সম্ভাষণ নয়] পাঠিয়েছিলেন- এই অনুবাদকে আমি অবশ্যই কুরআন বিকৃতি বলবো।
আশা করি পরিষ্কার করতে পেরেছি যান্ত্রিক ভাই।
যদি না পেরে থাকি, বলবেন, আরো পরিষ্কার করার চেষ্টা করবো।
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২
যান্ত্রিক বলেছেন: Click This Link
এইটি ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আর,
আলাইহিস সালাম'দের জন্মদিনে সালাম পাঠানোর এই আয়াতকে যদি অন্য অর্থ করে তারপর প্রমাণে সচেষ্ট হই যে রাসূল দ.'র জন্মদিনের ঠিক নেই এবং আল্লাহ তা চাননি (যেদিন তাঁর উপর সালাম বা শান্তি যা খুশি আল্লাহ পাঠিয়েছেন) জন্মদিন পালন নেই-
সিদ্ধান্তটা নিতান্তই আমাদের উপর। কারণ আমাদের ধর্ম পালনের অধিকার আছে নিজের নিজের বোঝা অনুযায়ী।
একটা কথা রয়েই যায়,
আল্লাহ ইয়াওমাল মাউতু বলেননি।
বলেছেন ইয়াওমাল ইয়ামুতু।
মাওত মানে মৃততু। ইয়ামুতু মানে ঘুম।
ঘুমের জন্য শোক হবে কেন? মৃততুর জন্য শোক হতে পারে।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
যান্ত্রিক বলেছেন: Click This Link
এখানে অনেকগুলো বই আছে। আশা করি ডাউনলোড করে পড়ে নেবেন।
ধন্যবাদ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমিও আশা রাখি ভাই।
মাত্র দুটা পয়েণ্ট মনে পড়ে গেল,
১.
সিহাহ সিত্তার একটা গ্রন্থে, অর্থাৎ ছয় শুদ্ধ হাদিস বইয়ের একটাতে বা'বু মাউলিদুন নাবী দ. বা রাসূল দ.'র জন্ম বিষয়ক চ্যাপ্টার রয়েছে। যে বিষয়টা, আপনার কথা অনুযায়ী আল্লাহ সেই দিনে শান্তি পাঠিয়েও আবার নিজেই আমাদের কাছে গোপন করে রাখছেন, রাসূল দ.' ও উচ্চবাচ্য করেননি বলা হচ্ছে, সেই দিনের বিষয়ে স্বয়ং হাদিস গ্রন্থে একটা চ্যাপ্টারই আছে, তা কী করে হয়? আর আমাদের ঈমানের ভিত্তি তো কুরআন ও হাদীস।
২.
আর রাসূল দ. তাঁর জন্মদিন পালন করা না হোক তা চেয়েছিলেন বা তা গোপন করতে চেয়েছিলেন এ কথা হল তাঁর উপর যুলম। কারণ সিহাহ সিত্তাহ তে দেখুন, আমি যেহেতু শুধু আবু দাউদ শরীফ থেকে স্মরণ করতে পারছি সেখানে দেখুন, রাসূল দ. প্রতি সোমবারই জন্মদিন পালন করতেন রোজা রেখে।
এখন, তিনি যদি প্রতি সপ্তাহে রোজা রেখে তাঁর জন্মদিন পালন করেন,
আমাদের জন্য কি বছরে অন্তত একবার, সম্ভাব্য নয় ও বারো তারিখে রোজা রেখে ও তাঁর উপর সালাম পাঠিয়ে তাঁর জন্মদিন পালন করা নিম্নশ্রেণীর সুন্নত হতে পারে না, যেখানে উচ্চশ্রেণীর সুন্নাত হতে পারে প্রতি সপ্তাহেই সোমবারে রোজা রেখে তাঁর জন্মদিন পালন করা।
প্রতিটা সুন্নাতই শরীআতের ভিত্তি।
কুরআন ও হাদীস থেকে এরই উপর প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে। এবং আমরা সাহস পাচ্ছি এই দালিলীক ভিত্তিকে পাশ কাটাতে বা ভিন্নভাবে অনুবাদ করতে।
কুরআন বা হাদীস থেকে এমন একটা সরাসরি আয়াত বা কথা কি আনা সম্ভব, যেখানে বলা আছে রাসূল দ.'র জন্মদিন পালন করো না?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, সরাসরি তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে পারলে চলমান আলোচনায় বেশি উপকৃত হওয়া যেত।
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪
মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: যান্ত্রিক বলেছেন: "রসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে স্বীয় জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন বিবরণ পাওয়া যায়না। তাঁর জীবনীকার দের মধ্যে তিনি কবে জন্ম গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে তার জন্মদিন হল ১২ রবিউল আউয়াল। আবার অনেকের মতে ৯ রবিউল আউয়াল। কিন্তু আসলে কোনটা ঠিক?
ব্লগার যান্ত্রিকের কথাগুলোর ব্যখ্যায় একটি পোস্ট দিলে ভাল হয় লিসানী ভাই। আমি ছোটকাল থেকেই জেনে আসছি ১২ ই রবিউল আউয়াল তারিখ নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমন ও বিদায় দিবস। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় একটু সময় করে এটা নিয়ে লিখবেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রেজাউর রহমান ভাই,
যারা বলছে নবীর জন্মদিনের ঠিক নেই, এবং যারা যে কোন দিনে জন্মদিন পালন করাকে রীতিমত পাপ মনে করে, তারাই দাবি করছে ১২ তারিখ তাঁর জন্মদিন নয়। এখন জন্মদিনের বিষয়ে তাঁদের আলোচনা কি প্রণিধানযোগ্য?
নাকি যারা জন্মদিনকে জন্মদিন হিসাবে পালন করেন, সেই দিনটাকে স্মরণ করেন, তাঁরাই জেনেশুনে পালন করবেন? তাঁরাই অধিকতর শুদ্ধভাবে তা খোঁজ করবেন? কারণ, তাঁদের প্রয়োজন পালন করা। আর যাদের পালন করার প্রয়োজন নেই, তাঁদের তো সেই দিনের খোজ জানারও প্রয়োজন নেই।
লজিক্যালিই দেখতে পাচ্ছি,
এদেরই মনে রাখার কথা, যারা পালন করবেন।
এদের পালিত দিবসটাই তাই বেশি গ্রহণীয় হবার কথা।
আর খেয়াল করুন, আমরা পালন করে আসছি বা জেনে আসছি সেই বারো রবিউল আউয়াল।
উম্মতে মুহাম্মাদি যখন কোন বিষয়ে ইজমা করবে বা সম্মত হবে, তখন সেই বিষয় মিথ্যা হতে পারে না- রাসূল দ.'র হাদিস।
তাঁরা তো পালনের বিষয়ে সম্মত নন, তাই তাঁদের এই ইজমায় শামিল হওয়ার কোন মানে নেই। কিন্তু যারা পালনের ব্যাপারে সম্মত, তাঁরা ইজমায় সারা পৃথিবীতে বারো রবিউল আউয়াল মানলেন, সেটা যে সেদিন, তা নিয়ে আর সন্দেহের অবকাশ লজিক্যালি থাকতেই পারে না।
এর পরও, সত্যি কথা হল, এই নয়ই রবিউল আউয়ালকে যে বলা হয়, সেটাকেও আমরা যথেষ্ট সম্মান করি এবং সত্যি বলতে কী, এই দিনটাকেও তাই বিশেষ সম্মানে পালন করা হয় শুধু এই কারণে যে, নয় তারিখের ব্যাপারে কিছু কিছু ঐতিহাসিক মত দিয়েছিলেন।
একবার ভাবুন, আপনার নবী, যাঁকে নিজ জীবন, নিজ সম্পদ ও স্ত্রী পরিজন থেকে নিকটতর ভাল না বাসলে আপনি মু'মিন নন (বুখারী, মুসলিম) সেই নবীর জন্মদিন আপনি জানেন না- অথচ আপন জন্মদিন জানেন। আপনার/আমার ঈমান কি পূর্ণ?
ভাই, এ বিষয়টা এত আবেগের, যে পোস্ট দিতে ভয় হয়। অবশ্যই লিখব ইনশাআল্লাহ।
১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইমাম সাররী সাক্বত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণিত, যে মীলাদ আলোচনা বা মীলাদুন্নবী দ. উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নির্দিষ্ট করলো। কেননা সে তা হুযূর পাক দ.'র ভালবাসার জন্যই করেছে।
আর রাসূল দ. বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে।
তিরমিযি, মিশকাত, আন নি'মাতুল ক্বুবরা।
১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
আমিনুর রহমান বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম আপনার লিখা টা কিন্তু কমেন্টস করা হয়নি।
পোষ্ট ভালো লাগলো।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।
১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
যান্ত্রিক বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই।
প্রসঙ্গে চলে আসি,
১। আমি নির্দ্বিধায় স্বীকার করছি যে আমার তেমন আরবী জ্ঞান নেই। তবে আমার কাছে পবিত্র কোরআন শরীফের বেশ কয়েকটি অনুবাদ আছে, যা হতে আমি আপনার কাছে উল্লেখ করেছি।
২। ৯ নং কমেন্টের জবাবে আপনি জানিয়েছেন, "রাসূল দ.'র জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন বিবরণ পাওয়া যায় না?
যদি নাই পাওয়া যেত, তাহলে নয় ও বারো রবিউল আউয়াল সম্পর্কে আমরা কীভাবে বলছি বা আপনি এই কমেন্টেই বা কীভাবে বলছেন?
বারো রবিউল আউয়াল কী করে শোকের বিষয় হয়, যদি সেদিন সালামের দিবস হয়?"
>> আসলে আমার কমেন্টে ছিল "রসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে স্বীয় জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোন বিবরণ পাওয়া যায়না। তাঁর জীবনীকার দের মধ্যে তিনি কবে জন্ম গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে তার জন্মদিন হল ১২ রবিউল আউয়াল। আবার অনেকের মতে ৯ রবিউল আউয়াল। কিন্তু আসলে কোনটা ঠিক?"
অর্থাৎ সরাসরি রাসুল (সা) -এর কাছ থেকে তাঁর জন্মদিন তারিখসহ জানা যায়নি তবে জন্মবার জানা গিয়েছে যা হোল সোমবার।
মূলতঃ হাদীস শাস্ত্র হল ঐতিহাসিক দলীল, তা কোরআনের মতো নিঃসন্দেহ নয় যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণিত না হয়। তাই এ ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ বলে মনে করি।
৩। আপনি জানিয়েছেন, "রাসূল দ. বলেছেন, সহীহ হাদিস গ্রন্থে আছে, আমার চলে যাওয়াও আমার উম্মাতের জন্য রহমত স্বরূপ। রহমত শোকের কারণ হয় কী করে?"
>> ধরুন আমার পিতা মৃত্যুবরণ করেছেন, হয়তো আল্লাহ তা'লা আমার জন্য এর বিনিময়ে রহমত ও কল্যাণ রেখেছেন, তাই বলে কি আমি শোকার্ত হবোনা? প্রিয় মানুষ কাছ থেকে চলে গেলে সকলেই শোকার্ত হয়। এটাই স্বাভাবিক মানব বৈশিষ্ট্য।
৪। আপনি জানিয়েছেন, "সেখানে আমরা যদি দাবি করি যে, আল্লাহ নিজেই চাননি তাঁর রাসূলের জন্ম দিবস মনে রাখা হোক- এরচে বড় ক্বুফরি আর কী হতে পারে?"
>> আমার কমেন্ট ছিল সরাসরি কোরআন বা সহীহ হাদীস থেকে রাসুল (সা)-এর জন্মদিন পালনের কোন রীতি বা রেওয়াজ পাওয়া যায়না। তাই এটি কোনভাবেই ইসলাম-স্বীকৃত উৎসবের দিন হতে পারেনা। আমাদের জন্য ততটুকুই জায়েজ হবে যতটুকুর প্রমাণ আছে। যেমন প্রতি সোমবারে রোযা রাখা, যা প্রমাণিত সুন্নত।
৫। আপনি জানিয়েছে, "রাসূলের উপর সালাম জানানোয় কি আমাদের কোন আপত্তি আছে?
রাসূলের উপর সালাম জানানোয় কি কোন অনৈসলামিক কাজ হয়ে যায়?
আমরা কি রাসূলের উপর সালাম জানাই না সারাসির ইয়া আইয়ূ্হান নাবিউ বলে?"
>> আমি কোথাও এমনটা পাইনি এবং বলিওনি। অবশ্যই রাসুল (সা)-এর উপর আমরা সালাম জানাবো। তবে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করতে হলে অবশ্যই কোরআন অথবা সহীহ হাদীসের রেফারেন্স প্রয়োজন। কারণ, সময় সবসময়ই ইতিহাস।
৬। আপনি জানিয়েছেন, "সিদ্ধান্তটা নিতান্তই আমাদের উপর। কারণ আমাদের ধর্ম পালনের অধিকার আছে নিজের নিজের বোঝা অনুযায়ী।"
>> দুঃখিত ভাই, এই বিষয়ে আমি একমত নই। ইসলাম আমাদের সর্বক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আ'মল করার অনুমতি দেয় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই দলগতভাবে ধর্ম পালনের আদেশ দেয়। যেমন, দুই ঈদ, যা সহীহ সুন্নতে প্রমাণিত।
৭। আপনি বারবার বোঝাতে চাচ্ছেন, যেখানে আল্লাহতা'লা স্বয়ং নবী ও রাসুলগণের জন্মদিন ও মৃত্যুদিনের উপর সালাম পেশ করছেন, সেখানে আমরা কেন জানাবোনা? আমরাও অবশ্যই জানাবো। তবে, তাতে বাড়াবাড়ি থাকলেই বিদআত ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। তাই, আল্লাহতা'আলা যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবে আমরাও সালাম জানাতে পারি নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ না করে। এবং তা যেকোন সময়েই জানাতে পারি। এতে কোন বাধা নেই।
৮। আপনি জানিয়েছেন, "সিহাহ সিত্তার একটা গ্রন্থে, অর্থাৎ ছয় শুদ্ধ হাদিস বইয়ের একটাতে বা'বু মাউলিদুন নাবী দ. বা রাসূল দ.'র জন্ম বিষয়ক চ্যাপ্টার রয়েছে। যে বিষয়টা, আপনার কথা অনুযায়ী আল্লাহ সেই দিনে শান্তি পাঠিয়েও আবার নিজেই আমাদের কাছে গোপন করে রাখছেন, রাসূল দ.' ও উচ্চবাচ্য করেননি বলা হচ্ছে, সেই দিনের বিষয়ে স্বয়ং হাদিস গ্রন্থে একটা চ্যাপ্টারই আছে, তা কী করে হয়? আর আমাদের ঈমানের ভিত্তি তো কুরআন ও হাদীস।"
>> আশা করি আগের উত্তরগুলোতে এর জবাব আছে।
৯। এবং ভাই, আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই, আপনি যদি এমন কোন সহীহ হাদীস আমাকে দেখাতে পারেন, যেখানে রাসুল (সা) প্রতি ৯ বা ১২ রবিউল আউয়াল রোজা রেখে বা সাহাবীদের নিয়ে বৈঠক করে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন, তাবে সামনে থেকে আমিও এমন করবো ইনশাল্লাহ।
ভাই, আপনি যদি ভেবে থাকেন রাসুল (সা)-এর জন্ম হওয়াতে আমি খুশী নই তবে আপনি ভুল করছেন। আমি চাই এমন আ'মল করতে যা রাসুল (সা) থেকে প্রমাণিত। তার বেশীও নয়, তার কমও নয়।
যাঝাকাল্লাহু খাইরান।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া শাফাআতি রাসূলিল্লাহি তাআলা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আলোচনাটায় অংশ নিচ্ছি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, এই আলোচনাগুলো নিয়ে একটা পোস্টও করছিলাম ড্রাফটে।
কিন্তু দেখলাম, বিষয়টা স্রেফ একগুঁয়ে দলিল নিয়ে দলামোচড়া হয়ে যাচ্ছে।
আর বিতর্কের দিকে যায় এমন যে কোন বিষয় আমি সরাসরি এড়িয়ে যাই।
নিজের উপর যুলম করা হয় বিতর্ক ধরনের আলোচনায় গেলে।
১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
মেলবোর্ন বলেছেন: লিসনি ভাই : এখানে আসার আমন্ত্রন :
ঈদে মিলাদুন্নবী মানা ফরযে আইন না কি উদ্দেশ্য প্রনোদিত?
Click This Link
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই আমি তো কমেন্ট করতে পারছি না। কিন্তু আপনার পোস্ট কন্টেন্টে ও কমেন্টে সাঙ্ঘাতিক রিচ হয়েছে। সাধারণত ব্লগে এত রিচ কমেন্ট হয় না। বেশিরভাগ সময়ই হয় খিস্তি খেউড়।
১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
মেলবোর্ন বলেছেন: লিসানি ভাই কি শুধু আমার পোস্টে কমেন্ট করতে পারছে না নাকি অণ্য সবার পোস্টেও আমার পোস্টে তো কোনো কমেন্ট ব্যন করে রাখিনি এমনতো হওয়ার কথা নয়, যাই হোক আপনাকে ওখনে পেলে ভালো লাগতো কি আর করা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমার কমেন্ট তো ব্যান করে দিয়েছে! সেইযে, ইসলাম নিয়ে প্রশ্নোত্তরের পোস্টটা দিলাম, তার সমসাময়িক রাসূল দ.'র কার্টুন বিষয়ক ঝগড়াঝাটির সময় কমেন্ট ব্যান। তারপর এখন পোস্টও প্রথম পাতায় যায় না।
আপনার পোস্টে আমার বলার অনেক কথা ছিল ভাই।
১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
মেলবোর্ন বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি আহমেদ দিদাতের কথা বলতে গিয়ে ভুলে গেছেন তাই না?
Ahmed Deedat - Celebrating The Mawlid in New York.wmv
আর এটাও পারলে দেখবেন জানিনা বাংলাদেশে ইউটিউব এখনো খোলা হয়েছে কি না
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, তাঁর কথাই বলছিলাম।
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩
মেলবোর্ন বলেছেন: আমার পোস্টের মুল কথা ছিল : ঈদে মিলাদুননবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত ও সম্মানের খাতিরে পালন করতে সমস্যা দেখিনা , আল্লাহ আমাদের এ মহব্বত ও সম্মানের প্রতি সাওয়াব দিতেও পারেন তবে এটি নিশ্চই নামাজের মত ফরযে আইন নয় সে বিষয়ে আপনিও একমত হবেন?
আর যখন আমরা পালন করবো তো কি ভাবে পালন করলে সবচেয়ে ভাল হয়, হাদীস অনুযায়ী বলাযায় এই দিনে রোজা রাখা যায় আর আবু লাহাব যেমন করে দাসী কে ছেরে দিয়েছিলেন খুশিতে তেমনি এইদিনে আমরা গরীব দের কে সাহাজ্য করতে পারি সমাজ ও রাস্ট্রের উন্নয়নে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচী নিতে পারি বা মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে পারি , বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাতে পারি তাই না। কোন এক নিদ্দিস্ট পীরের কাছে যেতে হবে কেন?
এবং উপরোক্ত কাজ সমুহ করতে আমার কোনই দ্বিমত নাই সমস্যা হলো যখনই এই ব্যপারটাকে ফরজে আইন বলা হচ্ছে যা ঠিক না আর তাদের দরবার শরীফে যেতে তারা ওনার সীরাত করারও বিরোধি তাইলে এইটা সুন্পস্ট ধান্দা বাজি করছে না। রাজারবাগীদের এই ভ্রান্ত মত ও তাদের গোমরাহী প্রমানের জন্য এটুকুই যথেস্ট:
ওরা বলে, যারা রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে সীরাতুন নবী’র মাহফিলের কথা বলে তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ গুমরাহীমূলক ওদের ওয়েবে দেখুন http://www.shobujbanglablog.net/37133.html । কারণ ‘মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ’ সীরাতুন নবীর জন্য নির্দিষ্ট মাস নয় যে, এ মাসে বিশেষভাবে সীরাতুন নবীর মাহফিল করতে হবে। কারণ আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীরাত মুবারকের আলোচনা তো বছরের যে কোন সময় যে কোন দিন যে কোন সপ্তাহ ও মাসে করা যেতে পারে।
এবং আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর ঐ ভাইয়েরা এখনো জানান নি ?
খুশি প্রকাশ করলে কি ভাবে করবো? বাসায় বসে ওনার জীবনী আলোচনা করবো ওনার সম্পকে বই বা ওনার জীবনী পড়বো না কোরআন তেলাওয়াত করবো না মিলাদ পড়বো?
নাকি রাজারবাগে আসতে হবে পতাকা নিয়ে? আপনাদের মাহফিলে যোগ দিতে হবে?
নাকি মসজিদে মসজিদে মুহাম্মদ (সঃ) জীবনী নিয়ে আলোচনা করবো, বাচ্চাদের ওনার সম্পকে জানাবো? (এখানেও ওনাদের সমস্যা সীরাত আলোচনা করা যাবে না উপরে ওদের ওয়েব লিংক দেয়া প্রমান স্বরুপ)
আর খুশি উজ্জাপন মানে যদি ঈদ হয় তবে তো নেয়ামতের জন্য প্রতিদিন ঈদ পালন করতে হবে তাই না?
ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ইসা (আঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে পেলাম কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নাই কেন? আল্লাহ যদি এতই গুগুত্বপুর্ন মনে করতেন তবে অন্য নবীদের জন্মদিন সম্পকে কোরআনে নির্দেশ করতে পারলে মহানবী সম্পকে কেন নয়?
কেন একটি আয়াত সরাসরী ঈদের মিলাদুন্নবির জন্য নাযিল হয় নি যেখানে অন্য নবীদের জন্য সরাসরী আয়াত রয়েছে?
আমি আমার পোস্টে মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে আয়াত গুলো দিয়েছি আর ওনারা যে আয়াতের বিকৃতি করেছেন তার প্রমান ও দিয়েছি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: পড়েছি ভাই। ভাল লেগেছে বিশেষ করে দু পক্ষের প্রমাণের সুন্দর অবস্থা দেখে।
কিছু কথা বলার আছে আপনার সাথে। কালকে ইনশাআল্লাহ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই, এই আলোচনাগুলো নিয়ে একটা পোস্টও করছিলাম ড্রাফটে।
কিন্তু দেখলাম, বিষয়টা স্রেফ একগুঁয়ে দলিল নিয়ে দলামোচড়া হয়ে যাচ্ছে।
আর বিতর্কের দিকে যায় এমন যে কোন বিষয় আমি সরাসরি এড়িয়ে যাই।
নিজের উপর যুলম করা হয় বিতর্ক ধরনের আলোচনায় গেলে।
২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৪
জ্বীন কফিল বলেছেন: শুধু "ঈদ" শব্দটা নিয়েই সমস্যা মনে হয়। শরীয়াহ অনুযায়ি মুসলিমদের জন্য ধার্য করা "ঈদ" দুইটা। এখানে ৩য় আর একটা আনা হলে সেটা বিদাআতের পর্যায়ে পরে। সালাফি ও দেওবন্দিদের এমনটাই ধারনা। "ঈদ" কথাটা না উল্লেখ করে শুধু জন্ম ও মৃত্যু দিন পালন করলে সমস্যা হওয়ার কথা না। যদিও অর্থাডিক্স ইসলামে জন্মদিন ইত্যাদি পালন করা কুফর।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: না, না ভাই। এখানেই কিছুটা দ্বিধা রয়েছে।
অর্থোডক্স ইসলামে কখনোই জন্মদিন ইত্যাদি পালন করা কুফর নয় এবং তৃতীয় ঈদ পালন করা বিদআত নয়।
শুধু ছোট্ট উদাহরণ দেই, হাদিস অনুযায়ী, শুক্রবারও ঈদ। আর সেদিন ঈদ হবার কারণ আদম আ.'র জন্ম ও মৃততু দিবস। একই সাথে জন্মদিন পালন ও তৃতীয় ঈদ পালন দুটাই দেখা গেল।
বরং যে অর্থোডক্স ইসলামে এই দুটা জিনিস কুফর ও বিদআত হিসাবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে সে ইসলামের প্রকৃত জন্মই হয়েছে মাত্র আটশো বছর আগে এবং প্রকৃত প্রসার হয়েছে মাত্র তিনশো বছর আগে।
মিলাদুন্নবীতে ঈদ পালনের এত হাজার হাজার দলিল আছে, কিন্তু সেগুলো নিয়ে ঘাঁটাতে একদমি ভাল লাগে না। বিষয়টা এরকম, স্বয়ং তোমার নিজের নবীর জন্ম তুমি খুশি উদযাপন করবা না, তো আমি আর কী করতে তোমাকে নিয়ে কচলাকচলি করি...
মাঝখান দিয়ে নিজে কাঠমোল্লা টাইপ হয়ে যাব। দরকার কী!
কিন্তু ইসলামের এই বিষয়গুলো আলোচনা করতে কেমন যেন ভাল্লাগে না। মনে হয় কী জানেন? যে যা ভাবে ভাবুক না, যে যা করে করুক না, আমার কী! মাঝখান দিয়ে অতি যুক্তি দেখাতে গিয়ে মানুষের মেজাজও নষ্ট করব, আমারটাও।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬
জেনো বলেছেন: ছেলেধরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল?
ধন্যবাদ, অবশেষে ফিরে আসলেন।
আপনার থেকে যে কতকিছু শিখব বলে অপেক্ষা করছি।
আর ম জ বাসার সাহেবও লিখছেন না।
কি যে হল।
অনেক ভালো লাগা রইল। নিয়মিত লেখা চাই।