![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Request for everybody : If you like/love someone then tell him/her as soon as possible otherwise you will lost / miss him/her..... so pls....
স্থানীয় নাম :
বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকায় এই কুড়িয়ে পাওয়া শাকটি বাঙালিদের কাছে সেচি শাক নামেই বেশী পরিচিত। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে স্থানীয় বাঙালিদের ভেতর হিন্দু সমপ্রদায় এই শাকটিকে চিড়া শাক বলেন। স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় এই শাকটিকে ইছা শাক বলেন।
টাঙ্গাইলের মান্দি(গারো) আদিবাসীদের মধ্যে এই শাকটি বেং বং জাথং নামে পরিচিত।
বৈজ্ঞানিক নাম :
Polycarpon prostratum
Forsk
( Syn. P. loeflineae Benth.
et Hook
উদ্ভিদ পরিবার:
Caryophylaceae
ব্যবহার :
শেকড় বাদে পুরো গাছটিই শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কোথায় পাওয়া যায় :
বাংলাদেশের বিভিন্ন সমতল এলাকার গ্রামে পাওয়া যায়। নিচু জমিতে, ভেজা ও স্যাঁতস্যাতে জায়গায় বেশী জন্মে। যেখানে জন্মে সেখানেই বিস্তৃতি দেখা যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই শাকের বিভিন্ন নাম আছে। সাধারনত বসতবাড়ীর আশপাশের আলান পালান ও মরিচ বেগুন ও টমেটোর টালে (ক্ষেত) এই শাক বেশী জন্মে।
দেখতে কেমন :
চিড়া শাক স্থানীয়দের একটি অতি প্রিয় শাক । Caryophylaceae পরিবারভূক্ত এই উদ্ভিদটি বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত সপুষ্পক শাক। এর পাতা দেখতে চিড়ার মত হওয়ায় স্থানীয়রা একে চিড়া শাক বলেন। এই শাক মাটিতে ঘন ভাবে বিছিয়ে থাকে। শাকের মূল কান্ড থেকে ছোট ছোট ডাল বের হয় যা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা রং সবুজ তবে কান্ড লালচে খয়েরী রংয়ের হয়। অগ্রহায়ন মাসে এই গাছে ছোট ছোট হলুদ রংয়ের ফুল ধরতে দেখা যায়। পাতা গুলো মোটা এবং রসালো। ফুল গুলো কান্ডের সাথে লেগে থাকে। ফুল থকে ছোট ছোট লাল রংয়ের বীজ হয়। বীজের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটলেও অনেকে শাক তোলার পর বাড়ির আশেপাশে কাটা শেকড় গুলো নরম মাটিতে গেঁথে রাখেন যাতে এর বংশবৃদ্ধি ঘটে।
কখন পাওয়া যায় :
বৃষ্টি বেশী হলে এই শাক বেশী দেখা যায় তবে সারা বছর কমবেশী এই শাক দেখা যায়। বর্ষার পরবর্তী সময়ে বাড়ীর আশে পাশের স্যাঁত স্যাঁতে জমিতে এই শাক পাওয়া যায়।
কিভাবে খাওয়া যায় :
এই শাক খেতে একটু টক টক লাগে। শাক তোলার পর তাজা শাক ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই শাক অন্যান্য শাকের মত তেল, মরিচ, পেয়াজ, লবন দিয়ে ভেজে খাওয়া হয়। এলাকাভেদে রান্নায় হলুদ-মরিচ বা অন্য মশলা স্বাদ মতো মেশানো যেতে পারে। টাঙ্গাইলের মান্দি(গারো) আদিবাসীরা কলাপাতার ভেতর এই শাক ভরে চুলার কয়লার আগুনে পোড়া দিয়ে খান।
উপকারিতা :
এই শাক দিয়ে ছোটদের সবজী খিচুড়ী করে খাওয়ালে শিশুদের খুব উপকার হয়। তাছাড়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই শাকের ঝোল খুব উপকারী।
অন্যান্য :
গ্রামীণ পর্যায়ে এই শাক মূলত নারী ও শিশুরাই সংগ্রহ করে থাকে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য এই শাক যেমন পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটায় একইভাবে তা পুষ্টি চাহিদাও দূর করে।
সতর্কতা :
• শাক নরম বিধায় সাবধানে তুলতে হয়।
• শাক তোলার পর বেশী সময় রাখা যায় না, তাজা থাকতে থাকতে রান্না করে ফেলতে হয়।
• যেসব জমিতে রাসায়নিক সার এবং রাসায়নিক কীটনাশক দেয়া হয় সেসব জমির শাক না খাওয়াই ভাল।
• রান্নার আগে শাক ভাল করে ধুয়ে নেয়া দরকার।
• শাক তোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই এর বংশ যাতে একবারেই শেষ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
• ফুল আসার পর শাক খেতে তেমন স্বাদ লাগে না আর তাছাড়া বংশবৃদ্ধিতে সমস্যা হয় বলে ঐ সময় সংগ্রহ না করাই ভাল।
=============================================
কুড়িয়ে পাওয়া শাক : ১ শুষনি/শুনশুনি/আবুল ঘাস/ শুশুনি/শুনশুনিয়া শাক
Click This Link
কুড়িয়ে পাওয়া শাক : ২ = শ্বেতদ্রোণ/ দন্ডকলস/দল কলস/ ধুবরি/ দোর কলস/ কান শিশা/ কাউন শিশা/ ধুরপ/ দুলফি শাক : Click This Link
কুড়িয়ে পাওয়া শাক : ৩ = মালঞ্চ শাক / শান্তি শাক
Click This Link
কুড়িয়ে পাওয়া শাক : ৪ -তেলাকুচা/ কুন্দ্রি শাক
Click This Link
-----------------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র : সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল এলাকার গ্রামীণ নারী এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম।
United Nations Development Programme
-----------------------------------------------------------------------------
==========================================
উৎসর্গ:
সানজানা হক লিলি
রুপালী ভবন
৬৭৬, হালিশহর রোড
বড়পোল, আগ্রাবাদ
চট্টগ্রাম।===========================================
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩
এস এ মেহেদী বলেছেন: +++
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ++++++
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পরমানন্দ বলেছেন: শাক কেতে চাই
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪
দেশজ বলেছেন: দুধ-ডিম-মাংস যাদের অনুষ্ঠান ব্যতীত জোটে না। তাদের পুষ্টি যোগাত এই সকল শাক-সব্জি। আজ তা বিলীন হবার যোগার। এর মূল কারণ আগে কৃষিতে যে বৈচিত্রতা ছিল, তা আর নেই। শুধু ইরি ধান চাষ করাই যেন কৃষকের কাজ, আর জমির ক্ষমতা। তাই এ সকল শাক-সব্জি আজ দূর্লভ।
যা গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের পুষ্টি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হুমকি।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১
সিস্টেম বলেছেন: আহারে এই শাক টা কত দিন খাই না।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:০৩
কাউসার রুশো বলেছেন: ফাটাফাটি পোস্ট।+
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:০৫
সায়েম মুন বলেছেন: কতদিন খাইনা
১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৪
""ফয়সল অভি "" বলেছেন: ছবি নিরবে অনেক কথা বলে-অনেক কিছুই বুঝিয়ে দেয় অকপটে ও নিঃসকোচে । ঠিক সেই ছবিগুলোই দ্রোহ(লিটল ম্যাগাজিন) এর জন্য পাঠিয়ে দিন faysal.ovi@gmail.com ঠিকানায় সাথে পরিচয় দিয়ে ।
দ্রোহ এর অনলাইন ঠিকানা>> http://www.droho.net
দ্রোহ(লিটল ম্যাগাজিন) এরকিছু আলোকচিত্রশিল্পীদের ছবির লিংক দিলাম এতে হয়ত দ্রোহে আপনাদের আলোকচিত্র দিতে উৎসাহিত করবে ।
আলোকচিত্রশিল্পী: মম মোস্তফা
আলোকচিত্রশিল্পী খন্দকার নাসিফ আক্তার
আলোকচিত্রশিল্পী: বাবু শহীদ
আলোকচিত্রশিল্পী বলরাম মহলদার
আলোকচিত্রশিল্পী আকাশ
আলোকচিত্রশিল্পী শৈশব
আপনাদের আলোকচিত্রের অপেক্ষায় রইলাম ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৬
হাহাপগে বলেছেন: উফকারি পোষ্ট।+++