নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচশো রুপির হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া সেই ঘটনা

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

পাঁচশো রুপির হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া সেই ঘটনা

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

জাভেদ চৌধুরী

কিছুদিন পূর্বে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ছোট্ট একটি প্রয়োজন নিয়ে আমার কাছে আসেন। আমি সাধ্যমতো তার কাজে তাঁকে সহযোগিতা করি। আলাপচারিতায় তাঁকে বেশ বন্ধুবৎসল মনে হওয়ায় একপর্যায়ে তাকে তার জীবনের বিস্ময়কর কোনো গল্প বলতে অনুরোধ করি।

আমার অনুরোধে তিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া এমন একটি ঘটনা বলেছিলেন, যা আমাকে প্রচন্ডভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ভাবলাম, ঘটনাটি আপনাদের সাথেও শেয়ার করা উচিত।

পুলিশ অফিসার বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে লাহোরে এসএইচও (In Pakistan, the Inspector of Police is appointed as the SHO) ছিলাম। আমার বাবা অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে সার্ভিস হাসপাতালে ভর্তি করি। এক শীতের রাতের ঘটনা। আমি আমার ডিউটিতে ছিলাম। বাবা হাসপাতালে একা। তার সাথে কেউ ছিলেন না। ঐ দিন হঠাৎ করে তাঁর শরীর বেশি খারাপ হয়ে যায়। তিনি বমি করতে শুরু করেন। আমাদের পরিবারের কেউ তাঁর সাথে না থাকায় পরিস্থিতিটা ছিল খুবই অন্যরকম।

আমার বাবা যে কেবিনটিতে তখন চিকিৎসাধীন ছিলেন সেটি ছিল দুজন রোগীর কমন একটি রুম। প্রতিটি কেবিনে দুই খাটে দুইজন রোগী। বাবার রুমেও অন্য একটি খাটে আরেকজন রোগী ভর্তি ছিলেন। সেই রোগীর সঙ্গে একজন এটেন্ডেন্টও ছিলেন। বাবার অসুস্থতা বেড়ে গেলে সেই এটেন্ডেন্ট ভদ্রলোক উঠে এলেন। ডাস্টবিন ও তোয়ালে এনে বাবাকে সাহায্য করতে শুরু করেন। শুধু এতটুকুই নয়, সারা রাত আব্বুর বমিও তিনিই পরিষ্কার করেন। তাকে কফি পান করান। মাথা ও বাহু টিপে দেন। এভাবেই পুরো রাত পার করেন এবং সকালে ডাক্তার এলে তাকে আমার বাবার অবস্থা বলে নিজ রোগীর সেবায় মনোযোগী হন।

আমি সকাল নয়টায় ইউনিফর্ম পরে রেডি হয়ে বাবার সাথে দেখা করতে হাসপাতালে যাই।

ততক্ষণে অবশ্য আব্বুর শরীর মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। তিনি এটেন্ডেন্টের দিকে ইশারা করে আমাকে বললেন, এই মৌলভী রাতে আমার অনেক সেবা করেছেন।

এটেন্ডেন্টের দিকে তাকিয়ে দেখি, শশ্রুমণ্ডিত মধ্যবয়সী হ্যাংলা-পাতলা সাধারণ কর্মচারী গোছের একজন মানুষ। আমি হেসে তাকে ধন্যবাদ জানালাম। ভাবলাম, ও সারারাত আমার বাবার সেবা করেছে। ওকে বখশিশ দেওয়া উচিত। আমি পকেট থেকে পাঁচশো রুপির একটি নোট বের করে তার কাছে গেলাম। তিনি চেয়ারে বসা ছিলেন।

আমি আমার এক হাত ওর কাঁধে রাখলাম। অন্য হাতে ওর পকেটে পাঁচশো রুপি গুঁজে দিতে লাগলাম। তিনি চেয়ারে বসে ইতস্তত করতে লাগলেন। আমি অহংকারের সুরে বললাম, লে মৌলভী, এই টাকাটা রাখ, তোর কাজে লাগবে।

তিনি নরম কণ্ঠে বললেন, না ভাই, না। আমার কোনো বদলার প্রয়োজন নেই। আমি আপনার বাবার সেবা করেছি, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।

আমি জোর করে নোটটি তার পকেটে ঢুকিয়ে দিই। কিন্তু তিনি টেনে বের করে আমার হাতে গুঁজে দেন।

আমি তার কাঁধে চাপ দিই আর পীড়াপীড়ি করি। তাকে বলছিলাম, ও মৌলভী ছাড়, জিদ করিস না, রেখে দে, কাজে লাগবে।

কিন্তু তিনি বারবার একই কথা বলছিলেন, আমার কাছে আল্লাহর দেওয়া অনেক আছে। আমার পয়সার দরকার নেই। রাতে দেখলাম, আপনার বাবা একা। কষ্টে আছেন। আমি অবসর ছিলাম, তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাঁর খেদমত করেছি, আপনারা শুধু আমার জন্য দুআ করে দিন ইত্যাদি।

কিন্তু আমি থামিনি। যে করেই হোক তাকে পয়সা দিয়েই ছাড়ব।

পুলিশ অফিসার থামলেন। তাঁর ভেজা চোখ ও ভারী গলা পরিষ্কার করলেন।

তারপর বললেন, মানুষ ক্ষমতায় থাকলে তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়েও গোঁ ধরে। সে নিজের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের সব উপায়ে বাধ্য করতে চেষ্টা করে। আমিও গোঁ ধরে বসেছিলাম, মনে মনে ভেবেছিলাম, আমি পুলিশ কর্মকর্তা, এই মৌলভী তো আর আমার সমকক্ষ কেউ নন। কিন্তু মৌলভী আমার চেয়েও জেদি ছিল। তিনি কোনভাবেই মানছিলেন না। আমি তার পকেটে রুপি রাখছিলাম আর তিনি কখনো আমার পকেটে আবার কখনো হাতে গুঁজে দিচ্ছিলেন।

এই ধস্তাধস্তির মধ্যেই একপর্যায়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, মৌলভী, তুমি কী কর?

সে উত্তর দিল, এমনি মানুষের সেবা করি।

বুঝতেই পারছিলাম, তিনি আমাকে তার পেশা বলতে চাচ্ছিলেন না। তখন আমি তার জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম জানতেও একপ্রকার জেদ করি। আমি বারবার তার পেশার কথা জিজ্ঞেস করতে থাকি। কিছুক্ষণ ঘুরানোর পর তিনি বললেন, আমি কাছারিতে কাজ করি।

মনে হল, আদালতের কোনো ‘আরদালি’ অথবা কোনো উকিলের চাপরাশি হবে হয়তো। আমি আবার তার মুঠিতে পাঁচ শত রুপি গুঁজে দিয়ে তার মুঠিটি ওপর থেকে চেপে ধরি। অহংকারের সুরে আবার জিজ্ঞেস করি, মৌলভী তুমি কাছারিতে কী কর?

তিনি কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে আমার বাবার দিকে তাকালেন। একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিচু স্বরে বললেন, আল্লাহ আমাকে ইনসাফের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি লাহোর হাইকোর্টের একজন বিচারক।

বিশ্বাস হল না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী বললেন? আপনি একজন বিচারক!

তিনি ধীর কণ্ঠে বললেন, হাঁ, আমার নাম মুনির আহমদ মুঘল। লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি।

এ কথা শুনে আমার হাত থেকে পাঁচশো রুপির নোটটা পড়ে গেল। আমার যে হাত পনেরো মিনিট ধরে তাঁর কাঁধে ছিল তা কাঁধের ওপরই জমে গেল। আমার চোখে অন্ধকার ছেয়ে গেল। কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে গেল। বুঝতে পারছিলাম না, এখন কী করব!

বিচারপতি বড় আদর করে কাঁধ থেকে আমার হাত নামিয়ে আনলেন। উঠে দাঁড়ালেন। ঝুঁকে পাঁচশো রুপি তুলে আমার পকেটে রাখলেন। তারপর পরম মমতায় তাঁর রোগীর দিকে ইশারা করে বললেন, তিনি আমার বাবা। আমি সারারাত তাঁর সেবা করি। মল-মূত্রও পরিষ্কার করি। রাতে দেখলাম, আপনার বাবা একা। স্বাস্থ্য অনেক খারাপ। আমি তাঁকে নিজের বাবা মনে করে সেবা করি। এ জন্য শুকরিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই।

একথা শুনে আমি যেন লজ্জায় মাটির নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছিলাম। কারণ, আমি সামান্য এসএইচও, আর আমার কাছে বাবার জন্য সময় নেই। আমি তাঁকে একা হাসপাতালে ফেলে গিয়েছি। অথচ হাইকোর্টের বিচারপতি নিজ বাবার সঙ্গে আমার বাবারও সেবা করেছেন। তাঁর বমিও পরিষ্কার করেছেন। আমার তখন মাটিতে মাথা ঠুকে মরার অবস্থা। আমি তাঁর পায়ে পড়ে যাই, কিন্তু এই মহান ব্যক্তি আমাকে তুলে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন।

পুলিশ অফিসার কাঁদতে লাগলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, এরপরে অর্থাৎ, হাসপাতালের সেই ঘটনার পরে পরবর্তীতে কি বিচারপতির সাথে আপনার আর দেখা হয়েছে?

তিনি ধরা গলায় বললেন, জ্বি হয়েছে। অনেকবার হয়েছে। জীবনে আমি তার চেয়ে ভালো দ্বীনদার, ঈমানদার ও নির্ভীক মানুষ দেখিনি। তাঁর পুরো নাম বিচারপতি ড. মুনির আহমদ খান মুঘল। তিনি দুটি পিএইচডি করেছিলেন। একটি পাকিস্তান থেকে। অন্যটি জামিয়া আল-আযহার মিশর থেকে। দ্বিতীয় পিএইচডি করার জন্য তিনি নিয়মতান্ত্রিক আরবী শেখেন। এছাড়াও তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের ওপর ২৪ টি বই লিখেছেন। এই সমস্ত কাজের পাশাপাশি তিনি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিখ্যাত ছিলেন।

আমি চুপচাপ শুনছিলাম। পুলিশ অফিসার বলেন, বিচারপতি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের। এলএলবি করার পরে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান। কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকালে কাজ কম ছিল, তাই আদালতের কাগজের অপর পাশে কালেমা লিখতে শুরু করেন। তিনি সারাদিন কালেমা তায়্যিবা লিখতেন।

সম্ভবত এটাই সেই অনুশীলনের প্রতিদান যে, আল্লাহ তাঁর শক্তি ও সময়ে বরকত দান করেন। চাকরির সময় একটি পিএইচডি করেন। তারপর আরবী শেখেন। জামিয়া আল-আযহারে ভর্তি হন। আদালত শেষে আরবী ভাষায় থিসিস লিখে মিশর থেকেও পিএইচডি লাভ করেন। তিনি প্রতিটি নতুন আইন পড়তেন এবং এর ওপর দ্রুত বই লিখতেন। নিজেই কম্পোজ করতেন। এই সমস্ত কাজের কারণে আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হত না। তিনি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতেন।

তিনি সারাজীবন বাবার সেবা নিজে করেছেন। তাঁর মল-মূত্র পর্যন্ত পরিষ্কার করতেন। বাবা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিছানায় পায়ের কাছে একটি বেলের বোতাম লাগিয়ে দেন। বেলটি রাখেন তাঁর ঘরে। প্রয়োজন হলে বাবা বোতাম চাপতেন, তিনি দৌড়ে বাবার কাছে চলে যেতেন। নিজ স্ত্রীকেও বাবার সেবা করতে দিতেন না।

আমি তাঁর কাছে বিচারপতি সাহেবের আরো ঘটনা বলতে অনুরোধ করি।

পুলিশ অফিসার হেসে বললেন, একবার তাঁর আদালতে সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি মামলা আসে। একদিকে স্যুটেড-বুটেড ধনী ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের সাথে ছিল দামি আইনজীবী। অন্য পাশে একজন জীর্ণশীর্ণ প্রবীণ লোক। তাঁর ওকিলও গরীব ও সস্তা। বিচারপতি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন। তিনি বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলেন, বাবাজী, আপনি কী করেন?

প্রবীণ লোকটি উত্তর দিলেন, আমি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।

একথা শুনে বিচারপতি দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, মাশাআল্লাহ, আজ আমাদের আদালতে একজন শিক্ষক এসেছেন। তাই এই শিক্ষক চেয়ারে বসবেন। তাঁর সম্মানার্থে আদালত আজ সারাদিন দাঁড়িয়ে কাজ করবে।

এরপর তাই ঘটেছিল। সেই প্রবীণ শিক্ষক চেয়ারে বসে ছিলেন। আর বিচারপতি, তাঁর স্টাফ ও আইনজীবীদের সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করেন। বিচারপতি সব মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি করার পর বৃদ্ধ শিক্ষকের মামলা শোনেন এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি করে দেন।

জিজ্ঞেস করলাম, বিচারপতি সাহেব কি হায়াতে আছেন?

উত্তর ছিল, হাঁ, তবে তিনি অসুস্থ এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত।

পুলিশ অফিসার মানিব্যাগ থেকে পাঁচশো রুপির পুরোনো নোট বের করলেন। আমার সামনে রেখে বললেন, এই সেই পাঁচশো রুপি। আমি আজও আমার পকেটে তাবিজের মতো রাখি।

আমি নোট হাতে নিয়ে চুমু খেয়ে ফেরত দিলাম। তিনিও চুমু খেলেন। আবার মানিব্যাগে রেখে দিলেন।

ওটা আসলেই তাবিজ ছিল। একজন সত্যিকারের মানুষ তা স্পর্শ করেছিলেন।

এক্সপ্রেস নিউজ (১০ ডিসেম্বর ২০২৩) হতে অনূদিত এবং মাসিক আল কাওসার -এ প্রকাশিত

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী সুন্দর ঘটনাগুলো, শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। আমরা কী , কিছুই না

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:


আসলেই ঘটনাটা হৃদয়ে দাগ কাটার মত। সে জন্যই শেয়ার করেছি। এইসব ঘটনা হতে আর যা-ই হোক, কিছু অন্ততঃ শেখার আছে। বৃদ্ধাশ্রমে কিংবা ঝোপ ঝাড়ের পাশে অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা মাকে ফেলে আসার মত অমানবিক এবং অকল্পনীয় ঘটনা যখন আমাদের হরহামেশাই প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে - মানবতার এমন ক্রান্তিলগ্নে প্রচলিত সমাজ বাস্তবতার এমন করুন পরিস্থিতির বিপরীতে বাবা মায়ের প্রতি সামান্য হলেও যদি শ্রদ্ধাবোধ কিংবা কর্তব্যবোধ জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে মুনির আহমদ মুঘলদের মত ব্যতিক্রমী কিছু লোকের এইসব ঘটনা - সেটাই বা কম কিসে! অবশ্য সেটা কেবল শুধু তাদের জন্যই - যারা শিখতে আগ্রহী।

আপনার উপস্থিতি সবসময় আনন্দের। অনেক অনেক শুভকামনা এবং দোআ।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্মীয় ওয়েবসাইট, পত্রিকা ওয়াজ মাহফিল, জলসা ইত্যাদিতে যে সকল গপ্পো টপ্পো প্রচার করা তার অধিংকশ ফেইক গাল গপ্পো ছাড়া কিছুই নয়।

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার কথা একেবারে অবাস্তব - এমনটা বলা যাবে না। তবে অধিকাংশ নয়, আমাদের পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় যেসব কন্টেন্ট থাকে তাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো অতিরঞ্জন থেকে থাকে।

অবশ্য যদি ধর্মের প্রতি কারও বিশেষ অশ্রদ্ধা বা বিদ্বেষভাব থেকে থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। এমন ব্যক্তির কাছে ধর্মীয় অধিকাংশ কিংবা পুরো আলোচনাই ফেইক গাল গপ্প কিংবা অমূলক কথাবার্তা মনে হতেই পারে।

আপনার উপস্থিতি খুবই ভালো লাগলো। আপনার বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্টস মাঝেমাঝেই দেখার সুযোগ হয়ে থাকে। আপনার কল্যান কামনা করছি।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

ধুলো মেঘ বলেছেন: এনারা যতই ভাল হোক, এনাদের দুইটা সমস্যা আছেঃ
১। এরা পাকিস্তানী, আর
২। পিএইচডি করেছেন মিশর থেকে।
প্রথমত, পাকিস্তানীরা খুব হিপোক্র্যাট। এরা নিজেরা যা, তার কয়েকগুণ বাড়িয়ে সেটা প্রচার করে। অবশ্য ভারতীয়রাও তাই। তাই এদের সব কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত, মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু সার্বিক মানবকল্যণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের খুব একটা অবদান চোখে পড়েনা। তাই এখান থেকে পিএইচডি করলেই যে সে খুব বড় কিছু একটা হয়ে গেল - এরকম মনে করার কোন কারণ নেই।

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মূল্যবান মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে ড. মুনির আহমদ মুঘলের অসাধারণ এই ঘটনাটা কোন দেশকে ছোট কিংবা বড় করে দেখানোর জন্য আমি উপস্থাপন করিনি। মূল উদ্দেশ্য একটাই, বৃদ্ধ বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধকে সবার ভেতরে জাগিয়ে তোলা।

এখানে ড. মুনির আহমদ মুঘল একজন পাকিস্তানি এবং আল আযহার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন - গল্পে এটা আমাদের দেখার মূল বিষয় নয়। শুধুমাত্র আলোচনার খাতিরেই এই তথ্যগুলো ঘটনার সাথে উঠে এসেছে মাত্র। তা ছাড়া, আর কিছু নয়। আর জাতিগতভাবে ওদের বিষয়ে আপনি যেসব কথা বলেছেন, এগুলো কারও ভেতরেই থাকা সুখকর নয়।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল গল্প- কিছু মানুষ খুব বেশী ভালমানুষ হয়।

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই, আগমনে কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা জানবেন।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: একজন ভালো মানুষের গল্প পড়তে ভালো লাগলো।

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার উপস্থিতি প্রেরণার। শুভকামনা সবসময়।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু ভালো মানুষ আছে বলেই এখনও বেচে থাকতে ইচ্ছা করে।

০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সুন্দর কথা বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আদালতের ডকে দাঁড়িয়ে থাকা একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে সম্মান জানিয়ে বসতে দিয়ে আদালত নিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার কার্যক্রম পরিচালনা করলো, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল এবং অভূতপূর্ব।
আমার জীবনে আমি যতজনকে দেখেছি মা বাবার সেবায় আত্মনিবেদিত থাকতে, তাদের কাউকেও আমি কখনোই অসুখী দেখতে পাইনি, তা সে যতই দারিদ্রে কিংবা দুর্দশায় থাকুক না কেন। তাদের দুনিয়াতে এবং আখিরাতে, উভয় জগতে উত্তমরূপে পুরস্কৃত হবার কথা। দুনিয়াতে তারা ঐশ্বরিক সুরক্ষার চাদরে আবৃত থাকে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আপনার উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতার সাথে আমি সহমত।

আমার জীবনে আমি যতজনকে দেখেছি মা বাবার সেবায় আত্মনিবেদিত থাকতে, তাদের কাউকেও আমি কখনোই অসুখী দেখতে পাইনি, তা সে যতই দারিদ্রে কিংবা দুর্দশায় থাকুক না কেন। তাদের দুনিয়াতে এবং আখিরাতে, উভয় জগতে উত্তমরূপে পুরস্কৃত হবার কথা। দুনিয়াতে তারা ঐশ্বরিক সুরক্ষার চাদরে আবৃত থাকে।

-এটাই বাস্তবতা। আল্লাহ তাআ'লা কিছু মানুষের কর্মফলের কিয়দাংশ এখানে প্রদান করেন যাতে অন্যরা তা দেখে শিক্ষা নিতে পারেন। তা উত্তম এবং মন্দ উভয় কাজেরই।

অনেক অনেক কৃত্জ্ঞতাসহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.