নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি -ঈষৎ সংশোধিত পুনঃপোস্ট

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

প্রাককথনঃ

দেখতে দেখতে পবিত্র মাহে রমজান-২০২৪ আমাদের দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত। রমজান, মুমিনের জীবনের শ্রেষ্ঠতম আনন্দের ক্ষণ, অফুরন্ত প্রাপ্তির মাস, অকল্পনীয় রহমতলাভের নৈস্বর্গিক মুহূর্তরাজি। রমজান এলে মুমিনের হৃদয়বাগে জেগে ওঠে আনন্দের হিল্লোল, অন্তরে ভেসে ওঠে সিয়াম সাধনার আলোকোদ্ভাসিত নূরাণি এক পরিবেশ। সারা দিনমান উপোস-অনাহারী থাকার পরে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতারের অনাবিল আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া- এ যেন জান্নাতি মিলনমেলারই নয়নজুড়ানো অপরূপ এক দৃশ্য! ইফতারের আনন্দ আর তৃপ্তি-পরিতৃপ্তি ভাষায় প্রকাশ করা যায় কি? এমনিকরেই রাতের প্রথমার্ধে তারাবীহ নামাজ শেষে অপরিসীম তৃপ্তির বাধভাঙ্গা নিদ্রা শেষে রাতের শেষ প্রহরে সাহরিতে জেগে ওঠার ধারাবাহিকতা- পবিত্র কুরআন নাযিলের পবিত্রতম এ মাসটিজুড়ে এ এক অন্যরকম ভালোলাগা আর ভালোবাসারই যেন গল্প। ফিরে ফিরে আসে, ঘুরে ঘুরে আসে। মুমিনের জীবনে। বছর বছর। কিন্তু আবেদন হারায় না। রমজানের সাথে হৃদ্যতা হ্রাস পায় না। বরং। বেড়েই চলে। অধিক। আরও অধিক। গত বছরের তুলনায়। এই বছরটিতে। রমজান প্রাপ্তির প্রত্যাশা। আরও বৃদ্ধি পায়। আরও। আরও।

এক: অনেকের কাছে এই বিষয়টি গুরুত্বহীন মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এমন একটি সময় আমরা অতিবাহিত করছি যখন রমজান সম্পর্কে বহু মানুষের ধ্যান ধারণা আগেকার দিনের মত নেই। তারা এই মাসকে খাবার-দাবার, পান-পানীয়, মিষ্টি-মিষ্টান্ন, রাতজাগা ও স্যাটেলাইট চ্যানেল উপভোগ করার মৌসুম বানিয়ে ফেলেছে। এর জন্য তারা রমজান মাসের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে; এই আশংকায় যে- কিছু খাদ্য দ্রব্য কেনা বাদ পড়ে যেতে পারে অথবা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এভাবে তারা খাদ্যদ্রব্য কেনা, হরেক রকম পানীয় প্রস্তুত করা এবং কী কী অনুষ্ঠান দেখবে, আর কী কী দেখবে না সেটা জানার জন্য স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর প্রোগ্রামসূচী অনুসন্ধান করার মাধ্যমে এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। অথচ রমজান মাসের তাৎপর্য সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই তারা অজ্ঞ। তারা এ মাসকে ইবাদত ও তাকওয়ার পরিবর্তে উদরপূর্তি, চক্ষুবিলাস এবং আনন্দ উল্লাসের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।

দুই: পক্ষান্তরে অপরদিকে কিছু মানুষ রমজান মাসের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন। তারা রজব এবং শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বস্তুতঃ মুমিন হৃদয়ে রমজানপ্রাপ্তির অনিঃশেষ প্রত্যাশারা ডানা মেলতে থাকে রজবের স্নিগ্ধ একফালি বাঁকা চাঁদ পশ্চিমাকাশে উদিত হওয়ার পর হতেই। তারা মন ও মননে তৈরি করে নিতে থাকেন নিজেদের এবং পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। স্বপ্ন দেখতে থাকেন, প্রস্তুতি নিতে থাকেন, কিভাবে অতিবাহিত করবেন এই মোবারক মাসের ততোধিক মোবারক সময়গুলোকে।

পবিত্র মাহে রমজানের জন্য প্রস্তুতির কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হল:

১. একনিষ্ঠভাবে তাওবা করা:

তওবা করা সবসময় ওয়াজিব। তবে ব্যক্তি যেহেতু এক মহান মাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই অনতিবিলম্বে নিজের মাঝে ও স্বীয় রবের মাঝে যে গুনাহগুলো রয়েছে এবং নিজের মাঝে ও অন্য মানুষের মাঝে অধিকার ক্ষুণ্ণের যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো থেকে দ্রুত তাওবা করে নেয়া উচিত। যাতে করে সে পূত-পবিত্র মন ও প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে এ মুবারক মাসে প্রবেশ করতে পারে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে মশগুল হতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “আর হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহ্‌র কাছে তাওবা কর; যাতে করে সফলকাম হতে পার।” -২৪ আন-নূর : ৩১

ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

( يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ ) رواه مسلم ( 2702 )

“হে লোকেরা, আপনারা আল্লাহ্‌র কাছে তাওবা করুন। আমি প্রতিদিন তাঁর কাছে ১০০ বার তাওবা করি।” -হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম (২৭০২)

২. দোআ করা:

কিছু কিছু সলফে সালেহীন হতে বর্ণিত আছে যে, তারা ৬ মাস আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন যেন আল্লাহ তাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছান। রমজানের পর পাঁচ মাস দোয়া করতেন যেন আল্লাহ তাঁদের আমলগুলো কবুল করে নেন। তাই একজন মুসলিম তার রবের কাছে বিনয়াবনতভাবে দোয়া করবে যেন আল্লাহ তাআলা তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রেখে, উত্তম দ্বীনদারির সাথে রমজান পর্যন্ত হায়াত দেন। সে আরো দোয়া করবে আল্লাহ যেন তাকে নেক আমলের ক্ষেত্রে সাহায্য করেন। আরো দোয়া করবে আল্লাহ যেন তার আমলগুলো কবুল করে নেন।

৩. এই মহান মাসের আসন্ন আগমনে খুশি হওয়া:

রমজান মাস পাওয়াটা একজন মুসলিমের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত। যেহেতু রমজান কল্যাণের মৌসুম। যে সময় জান্নাতের দরজাগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ রাখা হয়। রমজান হচ্ছে- কুরআনের মাস, সত্য মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য রচনাকারী জিহাদি অভিযানগুলোর মাস। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

( قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ ) [10 يونس : 58]

“বলুন, এটি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক ।এটি তারা যা সঞ্চয় করে রাখে তা থেকে উত্তম।” -১০ ইঊনুস : ৫৮

৪. কোন ওয়াজিব রোজা নিজ দায়িত্বে থেকে থাকলে তা হতে মুক্ত হওয়া:

আবু সালামাহ্‌ হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন:

كَانَ يَكُونُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَهُ إِلا فِي شَعْبَانَ . رواه البخاري ( 1849 ) ومسلم ( 1146 )

“আমার উপর বিগত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শা‘বান মাসে ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না।” -হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী (১৮৪৯) ও ইমাম মুসলিম (১১৪৬)

হাফেয ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “আয়েশা (রাঃ) এর শাবান মাসে কাযা রোজা আদায় পালনে সচেষ্ট হওয়া থেকে বিধান গ্রহণ করা যায় যে, রমজানের কাযা রোজা পরবর্তী রমজান আসার আগেই আদায় করে নিতে হবে।” -ফাতহুল বারী (৪/১৯১)

৫. জ্ঞানকে শানিত করে নেয়াঃ

রোজার মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে নেয়া এবং রমজানের ফজিলত অবগত হওয়া।

৬. প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে নেয়াঃ

যে কাজগুলো রমজান মাসে একজন মুসলমানের ইবাদত বন্দেগীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে সেগুলো দ্রুত সমাপ্ত করার চেষ্টা করা।

৭. মাসআলা মাসায়েল আলোচনা করাঃ

স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে বসে রমজানের মাসয়ালা-মাসায়েল আলোচনা করা এবং ছোটদেরকেও রোজা পালনে উদ্বুদ্ধ করা।

৮. উপকারী গ্রন্থ অধ্যয়নঃ

যে বইগুলো ঘরে পড়া যায় এমন কিছু বই সংগ্রহ করা অথবা মসজিদের ইমামকে হাদিয়া দেয়া যেন তিনি মানুষকে পড়ে শুনাতে পারেন।

৯. রমজানের রোজার প্রস্তুতি স্বরূপ শাবান মাসে কিছু রোজা রাখা:

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لا يَصُومُ ، فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلا رَمَضَانَ ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ . رواه البخاري ( 1868 ) ومسلم ( 1156 )

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনভাবে সিয়াম পালন করতেন যে, আমরা বলতাম–তিনি আর সিয়াম ভঙ্গ করবেন না এবং এমনভাবে সিয়াম ভঙ্গ করতেন যে আমরা বলতাম–তিনি আর সিয়াম পালন করবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রমজান ছাড়া অন্য কোন মাসের গোটা অংশ রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোন মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখিনি।” -এটি বর্ণনা করেছেন আল-বুখারী (১৮৬৮) ও মুসলিম (১১৫৬)

عَنْ أُسَامَة بْن زَيْدٍ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ أَرَكَ تَصُومُ شَهْرًا مِنْ الشُّهُورِ مَا تَصُومُ مِنْ شَعْبَانَ ، قَالَ : ( ذَلِكَ شَهْرٌ يَغْفُلُ النَّاسُ عَنْهُ بَيْنَ رَجَبٍ وَرَمَضَانَ ، وَهُوَ شَهْرٌ تُرْفَعُ فِيهِ الأَعْمَالُ إِلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ فَأُحِبُّ أَنْ يُرْفَعَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ ) . رواه النسائي ( 2357 ) وحسَّنه الألباني في " صحيح النسائي "

উসামাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: “আমি বললাম : ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমি আপনাকে শাবান মাসের মত অন্য কোন মাসে এত রোজা পালন করতে দেখিনি। তখন তিনি বললেন:“এটি রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী মাস। এ মাসের ব্যাপারে মানুষ গাফেল। অথচ এ মাসে বান্দাদের আমল রাব্বুল আলামীনের কাছে উত্তোলন করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, রোজা পালনরত অবস্থায় আমার আমল উত্তোলন করা হোক।” -হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম নাসা’ঈ (২৩৫৭) এবং আলবানী একে ‘সহীহুননাসা’ঈ’গ্রন্থে হাসান বলেছেন।

এ হাদিসে শাবান মাসে রোজা পালনের হেকমত (গুঢ় রহস্য) বর্ণনা করা হয়েছে। সে হেকমত হচ্ছে- এ মাসে বান্দার আমলগুলো উত্তোলন করা হয়। জনৈক আলেম আরো একটি হেকমত উল্লেখ করেছেন সেটা হচ্ছে- শাবান মাসের রোজা যেন ফরজ নামাজের আগে সুন্নত নামাজের তুল্য। এই্ সুন্নতের মাধ্যমে ফরজ পালনের জন্য আত্মাকে প্রস্তুত করা হয় এবং ফরজ পালনের জন্য প্রেরণা তৈরী করা হয়। একই হেকমত রমজানের পূর্বে শাবানের রোজার ক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে।

১০. রমজান ইবাদতের মওসুমঃ

কুরআন তেলাওয়াত করা সালামাহ ইবনে কুহাইল বলেছেন:“শাবান মাসকে তেলাওয়াতকারীদের মাস বলা হত।”শাবান মাস শুরু হলে আমর ইবনে কায়েস তাঁর দোকান বন্ধ রাখতেন এবং কুরআন তিলাওয়াতের জন্য অবসর নিতেন।

আবুবকর আল-বালখী বলেছেন:“রজব মাস হল- বীজ বপনের মাস। শাবান মাস হল- ক্ষেতে সেচ প্রদানের মাস এবং রমজান মাস হল-ফসল তোলার মাস। ”তিনি আরও বলেছেন: “রজব মাসের উদাহরণ হল- বাতাসের ন্যায়, শাবান মাসের উদাহরণ হল- মেঘের ন্যায়, রমজান মাসের উদাহরণ হল- বৃষ্টির ন্যায়। তাই যে ব্যক্তি রজব মাসে বীজ বপন করল না, শাবান মাসে সেচ প্রদান করল না, সে কিভাবে রমজান মাসে ফসল তুলতে চাইতে পারে?”

এখন তো রজব মাস গত হয়ে গেছে। আপনি যদি রমজান মাস পেতে চান তাহলে শাবান মাসের জন্য আপনার কি পরিকল্পনা? এই হল এই মুবারক মাসে আপনার নবী ও উম্মতের পূর্ববর্তী প্রজন্মের অবস্থা। এই সমস্ত আমল ও মর্যাদাপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান কী হবে!!

১১. মাহে রমজানের সময়কাল জানুন এবং দিনগুলো গণনা্ করতে থাকুনঃ

একজন মুসলিম মহা মর্যাদাপূর্ণ মাহে রমজানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। তিনি দিন গুনতে থাকেন কবে আসবে মাহে রমজান? কবে থেকে রোজা রাখব; মুসলিমদের কাছে মাহে রমজানের আগমন ঠিক এরকম, যেন: কারো আপনজন দূর বিদেশ থেকে প্লেনে করে বাড়ি ফিরছেন; এ দিকে বিমান বন্দরে এবং বাড়িতে তার স্বজনরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন এসে পৌঁছুবে প্লেন? কখন তিনি প্লেন থেকে নেমে আসবেন? কখন পৌছাবেন বাড়ি। মুসলিমদের কাছে মাহে রমজানের আগমনের অপেক্ষাটাও হয়ে থাকে এরকম ব্যাকুলতা নিয়ে। রমজান মাস আমাদের আপনজনের মতােই। সুতরাং ভালোভাবে জেনে রাখুন, আমরা যে ক্যালেন্ডার অনুসরণ করি সেই ক্যালেন্ডার অনুসারে কবে শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস? অতঃপর দিন গণনা শুরু করুন।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এছাড়া অন্য কোনো মাস এত হিসাব করতেন না। অতঃপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। যদি মেঘলার কারণে চাঁদ গোপন থাকত তবে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। -সুনানু আবি দাউদ : ২৩২৭

১২. রমযানে কোথায় অবস্থান করবেন পারলে তা আগেই স্থির করে নিনঃ

রমজানে আপনি কোথায় অবস্থান করবেন? কর্মস্থলে? গ্রামের বাড়িতে নাকি সফর করবেন বাইরে? অবস্থানের স্থান বা এলাকা অনুযায়ী আপনার রমযানের কর্মসূচি প্রণয়ন করুন এবং সেভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিন।

১৩. সিয়াম পালনে পরিবারের সদস্যদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করুনঃ

আপনার নিজের মানসিক প্রস্তুতির সাথে সাথে আপনার পরিবারের সদস্যদের, নিকটাত্মীয়দের এবং অধীনস্থদেরও মাহে রমযানকে স্বাগত জানানোর এবং পুরো মাস সিয়াম পালনের জন্য মানসিকভাবে সচেতন ও প্রস্তুত করতে থাকুন। এ উদ্দেশ্যে পারিবারিক বৈঠক করুন। পরামর্শ করুন। মাহে রমজান সঠিকভাবে পালনের পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিছু কিছু করে দায়িত্ব বন্টন করুন।

১৪. আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও সমাজ-বন্ধুদের সচেতন করুনঃ

সবাইকে বলুন রমজান আসছে, রােযা এসে যাচ্ছে, রােযার আর মাত্র এতাে দিন বাকি। এভাবে আপনার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, ও সমাজবন্ধুদের মাহে রমযানের সিয়াম পালনের ব্যাপারে পূর্ব থেকে সচেতন করতে থাকুন। লােকদের সিয়াম শুরুর তারিখ জানানাের মধ্যেও রয়েছে নেকি এবং সওয়াব।

১৫. অফিস-আদালত ও কাজ-কর্মের সময় পুনঃনির্ধারণ করুনঃ

একজন মুসলিমকে রমযান মাসে তার দৈনন্দিন জীবন ধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়, কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়, সময়সূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়। তাকে পরিবর্তন আনতে হয়, তার নিদ্রা ও জাগ্রতর সময়সূচিতে, তার বিশ্রাম ও পানাহারের সময়সূচিতে, তার অফিস আদালতের সময় সূচিতে, তার কার্যক্রমের সূচিতে, তার আবাস থেকে বের হওয়া এবং আবাসে ফিরে আসার সময়সূচিতে। তা ছাড়া এ মাসে তার কর্মসূচিতে যোগ করতে হয় কিছু কিছু নতুন কার্যক্রম। এ মাসে সে কমিয়ে আনে তার জাগতিক কার্যক্রম আর বাড়িয়ে দেয় তার ইবাদত-বন্দেগি ও পুণ্য কর্মের ফলগুধারা। এ বিষয়গুলো সামনে রেখে আপনি আপনার গতানুগতিক জীবনধারার পরিবর্তন ও সময়সূচি রমজান আসার পূর্বেই পুনঃনির্ধারণ করে নিন।

১৬. প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুনঃ

রমযান শুরু হবার পূর্বেই এ মাসের জন্য আর্থিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। কয়েকটি কারণে এ মাসে একজন মুসলিমের অর্থ ব্যয় বেড়ে যায়। যেমন: ১. রোজাদারদের ইফতার করানোর কারণে। ২. বেশি বেশি দান-সদকা করার কারণে। ৩. মজুতদার ও অসৎ ব্যবসায়ীদের দ্বারা দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে। ৪. অনেকেই এ মাসে বার্ষিক যাকাত প্রদান করেন। ৫. ঈদুল ফিতর উদযাপনকে সামনে রেখে। ৬. ফিতরা আদায়ের কারণে। সুতরাং এসব খাতে এবং কারণে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ের জন্য আপনিও প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

১৭. বাজার স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত রাখতে উদ্যোগ নিনঃ

নীতি নৈতিকতার দিক থেকে আমাদের সমাজ পুরোপুরি সৎ ও স্বচ্ছ না হবার কারণে দেখা যায়, রমজান মাসেও খাদ্যে ভেজাল, মাপ জোপে হেরফের, ফটকা বাজারি, প্রতারণা ও মূল্য বৃদ্ধির অদম্য প্রবণতা বিদ্যমান থাকে। ফলে রোজাদার জনগণকে প্রচুর ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বাজার স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত রাখার ক্ষেত্রে একজন সচেতন নাগরিক এবং একজন মুসলিম হিসেবে আপনারও রয়েছে বিরাট দায়িত্ব। আপনিও হয়তাে একজন ব্যবসায়ী, আইনজীবী, ডাক্তার, সরকারি চাকরিজীবী, প্রাইভেট চাকরিজীবী, পুলিশ, সেনা সদস্য, কারখানার মালিক, কারিগর, শিক্ষক, ছাত্র, কিংবা কৃষিজীবি বা অন্য কোনো কর্মজীবী। বাজার স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত রাখার ক্ষেত্রে আপনিও ভূমিকা পালন করুন। আপনি নিজের অবস্থানে নিজে স্বচ্ছ ও নিয়ন্ত্রিত থাকুন। অন্যদেরকেও স্বচ্ছতার ব্যাপারে সচেতন করুন, উৎসাহিত করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। রমযান শুরু হবার আগে থেকেই একাজগুলাে করুন।

১৮. সিয়াম পালনের উপযোগী পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিনঃ

মাহে রমজানের বিশেষ ও মহোত্তম পবিত্র মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে রমজান শুরু হবার আগে থেকেই সমাজে মানসিক ও বাস্তব পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করুন। এ উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ১. জনগণকে সচেতন করতে থাকুন। ২. মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবগণ খুতবায় এবং নামাযের আগে পরে আলােচনা করুন। ৩. ঘরে, মসজিদে, অফিস আদালতে কুরআন ও হাদিসের সিয়াম সংক্রান্ত আয়াত ও হাদিস গুলোর ব্যাপক পাঠ ও আলোচনা করুন। ৪. রমযানের ক্যালেন্ডার মুদ্রণ ও বিতরণ করুন। ৫. লিফলেট ও বুকলেট ছেপে বিতরণ করুন।

১৯. মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের সুবিধা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করুনঃ

রমযান মাসে মুসলিমগণ মহান আল্লাহ প্রদত্ত অবারিত রহমত, মাগফিরাত ও নেকি হাসিলের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন; পুরুষগণ দিনের এবং রাতের নামাজে ব্যাপকহারে মসজিদে আগমন করেন; আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে, শহরে কম হলেও বিশেষ করে মফস্বলের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

সুতরাং ব্যক্তিগত ও যৌথ উদ্যোগে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ০১. স্থান সংকুলান না হলে স্থান সম্প্রসারণ করুন। ০২. ওযু খানার সুব্যবস্থা করুন এবং অযুর পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখুন। ০৩. প্রস্রাবখানা/ টয়লেট ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখুন। ০৪. মসজিদে ফ্যান না থাকলে, ফ্যান লাগানোর ব্যবস্থা করুন। ০৫. ফ্যানের স্বল্পতা থাকলে সংখ্যা বৃদ্ধি করুন। ০৬. বিদ্যুৎ লাইন না থাকলে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ লাগান। ০৭. শহরের অনেক মসজিদেই এখন এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে। মুসল্লিদের সামর্থ্য বিবেচনায় সম্ভব হলে আপনার মহল্লার মসজিদেও তা লাগানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ০৮. মসজিদের জানালা দরজা ইত্যাদি ঠিকঠাক করে রাখুন। ০৯. মুসল্লিদের সুবিধার জন্য চাটাই/ চট/ কার্পেট ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখুন। ১০. যারা ইতেকাফ করবেন, তাদের সুন্দর ও সুরক্ষিত অবস্থানের জন্য ভালো ব্যবস্থা রাখুন। এগুলোসহ এ ধরনের আরো যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতােটা সম্ভব করুন। মসজিদ কমিটি এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। এছাড়া আল্লাহ পাক যাদের বেশি তাওফিক দিয়েছেন তারা এগিয়ে আসুন।

২০. মসজিদে তারাবিহ বা রাতের নামাজের সুব্যবস্থা করুনঃ

ব্যাপক সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে তারাবির নামাজে মুসল্লির ব্যাপক সমাগম হয়। এ উদ্দেশ্যে ১. সুন্দর সুললিত কণ্ঠে দীর্ঘ কুরআন তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে হাফেজদের দ্বারা তারাবি পড়ানোর ব্যবস্থা করুন। ২. তারাবির নামাজে দ্রুত কুরআন পাঠ না করে ধীরে ধীরে তারতিলের সাথে পাঠের ব্যবস্থা করুন। ৩. যেদিন কুরআনের যে অংশ পাঠ হবে ইমাম সাহেব বা হাফেজ সাহেব সেদিন নামায শুরুর আগেই সে অংশের অর্থ/মর্ম মুসল্লিদের শুনিয়ে দিন।

২১. মাহে রমযানকে স্বাগত জানানঃ

রমজানের চাঁদ দেখার ছোটবেলার স্মৃতি আমাদের অনেকেরই রয়েছে, যা আজও আমাদের আনন্দিত করে, স্মৃতিকাতর করে দেয়। শাবান মাসের শেষলগ্নে পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত আমলও বটে। একাকি কিংবা দলবেঁধে, যে কোনভাবে রমজানের চাঁদ দেখা যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখাে; তাই রমজানের চাঁদ দেখুন; এভাবে চাঁদ দেখার মাধ্যমে মাহে রমজানকে স্বাগত জানান এবং পুরো মাস রোজা রাখার তাওফিক চেয়ে আল্লাহ তাআ'লার কাছে দোয়া করতে থাকুন। রমজানের চাঁদ দেখাকে আজকাল গুরুত্ব দেয়া হয় না অথচ এটি একটি সুন্নাত আমল হিসেবে ইবাদত হিসেবেও আমলটি আমাদের করা উচিত। পবিত্র মাহে রমজানের সর্বপ্রথম সুখবরদানকারী তো এই নতুন চাঁদই, তাই না? তো, চলুন, এ বছর পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখার এই অনন্য আমলটি থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবো না বলে আজই সিদ্ধান্ত নিই ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের প্রতিটি ভালো কাজে অগ্রগামী হওয়ার তাওফিক দান করুন।

তথ্যসূত্র: ইসলাম কিউএবিডি ডটকম এবং এই নিবন্ধে উল্লেখিত অন্যান্য উৎস অবলম্বনে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আপনার সরব উপস্থিতি ব্লগ মাতিয়ে রাখে দেখে ভালো লাগে। শুভকামনা।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

আরোগ্য বলেছেন: উপকারী পোস্ট। অনেক দিন পর মনে হয় নকিব ভাইয়ের পোস্ট দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আসলে বিভিন্ন কারণে ব্লগে আগের মত সময় দেয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। পোস্টে আপনাকে পেয়ে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।

আশা করছি, আপনিও অনেক অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করছেন। দোয়া এবং কৃতজ্ঞতা।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: রমজান আসছে মানে খাওয়া দাওয়া বাড়বে,জিনিস পত্রের দাম বাড়বে,মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।সৌদিতে মসজিদে ইফতারিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, রমজানে রোজাদার মুমিন বান্দাদের খাবার দাবারে বারাকাহ বা প্রাচুর্য্য আসে - এটা হাদিসেরই কথা। মূলতঃ সেই রমজানের বরকতেরই কিছুটা একইসাথে বেরোজদারদের ভাগ্যেও জুটে যায়। তারাও খাবার দাবার এই মাসে অধিক পরিমানে পেয়ে থোকেন। বস্তুতঃ এটা রমজানেরই বরকত।

সউদি সরকার এ বছরও মসজিদে ইফতারিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে - এটা জানতাম না। আপনার কথা অনুসারে সউদি সরকার সত্যিই যদি তা দিয়ে থাকে, তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং মনগড়াভাবে চাপিয়ে দেয়া ফালতু আরেকটি সিদ্ধান্ত। করোনাকালীন সময়েও আমরা তাদের এমন অনেক উদ্ভট এবং অবান্তর সিদ্ধান্ত দেখেছি। হজ নিয়ে, বাইতুল্লায় প্রবেশ নিয়ে, মসজিদ নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভট এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে মানুষ তাদের উপরে বহুকাল আগে থেকেই ক্ষিপ্ত। আসলে সউদি সরকার বলতেই এখন একটি পরিবার। একটি পরিবার বললেও ভুল হবে হয়তো এখন। বরং সঠিকভাবে বলতে গেলে, বিপদগামী এবং বিলাস ব্যসনে মত্ত উদভ্রান্ত এক যুবকের হাতে জিম্মি একটি দেশ এখন সৌদি আরব। সেখানে এখন কোনো কিছুই আর অসম্ভব বলে মনে করার কারণ নেই। তিনি যা ভালো মনে করেন তাই করেন। নাগরিকদের কোনো মত প্রকাশের অধিকার সেখানে আদৌ নেই।

মন্তব্যে আসার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: রমজানে আমিও কিছু প্রস্তুতি নিয়েছি।
রমজান মাসে আমার বেশি বাজার করবো। সাধারন আমি দুই হালি মূরগী কিনি। কিন্তু রমজান উপলক্ষ্যে তিন হালি মূরগী কিনব। গরুর মাংস কিনি ৪/৫ কেজি। রমজান উপলক্ষে ৭/৮ কেজি কিনতে হবে।
প্রচুর ফল কিনতে হবে। ফল আমি এমনিতেও কিনি। কিন্তু রমজান বলে কথা।

আমি রোজা রাখবো না। সারাদিন না খেয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তবে রমজান মাসে আমি দানখয়রাত করবো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনি সুখী মানুষ। আপনাকে আল্লাহ তাআ'লা আরও সুখ দান করুন।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আশা করি ভাল আছেন। রমদান হোক রকতময় ও ইবাদতপূর্ণ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারাও আশা করি নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আপনার দোআ আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সকলের জন্য কবুল করে নিন।

পোস্টে আপনার আগমনে বিশেষ আনন্দিতবোধ করছি। কৃতজ্ঞতাসহ দোআ এবং শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.