নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচিতি: Ranunculaceae গোত্রের উদ্ভিদ।
লম্বায় ২০-৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত
হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস দক্ষিণ ও
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া।
ধর্মীয় কারণঃ ইসলাম
ধর্মাবলম্বীরা কালিজিরাকে একটি অব্যর্থ
রোগ নিরাময়ের উপকরণ হিসাবে বিশ্বাস
করে। এর সাথে একটি হাদিস জড়িত আছে।
হাদিসটি হলো— '..আয়েশা রাদিয়াল্লাহু
‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:
“এ কালিজিরা সাম ব্যতীত সমস্ত রোগের
নিরাময়। আমি বললাম: সাম কি?
তিনি বললেন: মৃত্যু!” [বুখারী: ৫৬৮৭] আমাদের
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
তিনি আমাদের কালোজিরা ও মধু
সর্ম্পকে অবগত করেছেন।
কি আছে কালোজিরায়: কালিজিরার
তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান
আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ,
৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ
তেল ও চর্বি। কালিজিরার অন্যতম
উপাদানের মধ্যে আছে নাইজেলোন,
থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এতে আরও
আছে আমিষ, শর্করা ও প্রয়োজনীয়
ফ্যাটি এসিডসহ নানা উপাদান।
পাশাপাশি কালিজিরার
তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিক
এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন,
জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম,
ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-
বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি। এর
মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস,
কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক
বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার
প্রতিরোধক কেরোটিন ও
শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান,
পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান
এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
কালিজিরার স্বাস্থ্যগুন:
» তিলের তেলের
সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার
তেল
মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার
উপশম হয়।
» অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের
ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি,
হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক
হিসাবে কালিজিরা সহায়ক
ভূমিকা পালন করে।
» চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা,
মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা,
অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা,
আহারে অরুচি,
মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও
কালোজিরা উপযোগী।
» মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও
কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪
বার কালোজিরা তেল মালিশ
করলে উপকার পাওয়া যায়।
» কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ
মিশ্রন, কালোজিরা তেল
ডায়াবেটিসে উপকারী।
» চায়ের সাথে নিয়মিত
কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল
বা আরক মিশিয়ে পান
করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়,
তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।
» কফির
সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক
উত্তেজনা দুরীভুত হয়।
» মধুসহ প্রতিদিন
সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য
ভালো থাকে ও সকল রোগ
মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
» জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য
কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু।
এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান।
পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর
করে ক্ষুধা বাড়ায়।
» সন্তান প্রসবের পর
কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ
খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
» কালিজিরায়
রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট,
অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু
ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য
শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ
(ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।
» কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ
করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই
একটি অ্যান্টিবায়োটিক
বা অ্যান্টিসেপটিক।
» দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম
পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে
; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু
মরে।
» কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।
» দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ
করে।
» কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন
জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল
ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।
» নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায়
কালিজিরা বাটা খেলে উপকার
পাওয়া যায়।
» প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর
কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার
পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত
কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের
সম্ভাবনা থাকে।
» প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য
কালিজিরা খাওয়া হয়।
» বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার
মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন
রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ
রক্তচাপকে হ্রাস করে।
» মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ
শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
» মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে,
কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায়
এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
তবে পুরানো কালিজিরা তেল স্বাস্থ্যের
জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
নাবিলঅয়েন্স বলেছেন: হুম এখন ভেজাল মুক্ত জিনিস পাওয়া খুবই কষ্টকর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভাই এখন ভেজালে সয়লাব