নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল কাঁচা বাজার করতে গেছিলাম নতুনবাজার। প্রথমে এক মুঠো পুঁইশাক কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে,এর পর আরাই কেজি ওজনের
একটা মিষ্টি কুমড়া কিনলাম ২০০টাকা দিয়ে,তারপর এক কেজি কচুর ছড়া কিনলাম মাত্র ৮০ টাকা দিয়ে আর এক কেজি পোটল কিনলাম
৭০ টাকা দিয়ে।
যে পুঁইশাক গত কয়েকদিন আগেও মনে হয় বিশটাকা আঠি ছিল সেটা এখন চল্লিশ টাকা দিয়ে কিনতে হলো। পুঁইশাক কেনার পর
বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই শাকের এত দাম কেন ? কয়েকদিন আগে কিনছিলাম বিশটাকা আঠি।
বিক্রেতার উত্তর ভাই শাক আগে দেশে চাষ করা হয়েছে,আর তখন শাক আসতো ট্রাকে করে। আর এখন দেশে শাক সবজি চাষ হয়না,
এখন এগুলো প্লেন দিয়ে আমেরিকা থেকে আনা হয় তাই এত দাম ।শাক বিক্রেতার উত্তর শুনে তার সাথে পাল্টা জবাব দেয়ার মত সাহস
আমার হলো না।
সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে কচুর ছড়া,মিষ্টি কুমড়া আর পোটল কেনার পর দাম পরিশোধ করার সময় তাঁকেও দাম বেশি কেন বলতে,
সেই প্রায় আমার উপর ক্ষেপে গেছেন । ভাগ্য ভালো পাশে পরিচিত একজন সবজি বিক্রেতা থাকায় তিনি বিষয়টা হেসে দিয়ে মশকরার
চলে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় দেন না হলে হয়ত সবজি দোকানির সাথে আমার এক চোট হয়ে যেত।
গেলাম কাঁচামরিচ কিনতে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কত করে ? উত্তর একজন বললো ভাই এক কেজি পাঁচশত টাকা (৫০০) টাকা ।
আরেক জন বললো ভাই দামাদামি করতে পারবেন না সারাদিন ছয়শত (৬০০) টাকা বিক্রি করছি,এখন আপনি নিলে অল্প কিছু
মরিচ আছে একদাম চারশত (৪০০) টাকা পড়বে। পরে আমি বললাম ভাই এককেজি নেয়া সম্ভব না আমাকে আরাইশত গ্রাম দেন ।
পরে কাঁচা মরিচ সহ বাকি শাক সবজি নিয়ে বাসায় ফেরার পথে পাশের চায়ের দোকানে বসলাম চা খাওয়া জন্য। চায়ের দোকানে থাকা
পরিচিত জনদের সাথে চায়ের চুমুকে চুমুকে শাক সবজির দাম বেশি কেন সহ নানান বিষয়ে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে একজন
বললেন ভাই আগেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করত বিভিন্ন মহলের মানুষজন সিন্ডিকেট এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন মহলের লোকজন
বা ওই সিন্ডিকেটের লোকজনেরা।তাই বাজারের দাম কমার পরিবর্তে আরো বাড়ছে।
পাশে থাকা আরেকজন বলে উঠলেন ভাই আপনাদের ধারনা ভুল। আসলে এখন বাজারে বিভিন্ন শাক সবজি কোনো
সিন্ডিকেটের জন্য দাম বাড়ছে না বরং একটু মাথা ঘামান চিন্তা করে দেখুন মাত্র দুই মাস আগে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে নোয়াখালী ফেনী সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বণ্যায় প্লাবিত হয়েছে। এরপর এখন দেখুন উত্তর অঞ্চলের জামালপুর,শেরপুর, ময়মনসিংহ সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চল
বণ্যার পানির নিচে। মানুষের চাষ আবাদ সব পানির নিচে। চাহিদা অনুযায়ী যে পরিমাণ পাওয়ার কথা সে পরিমাণ শাক সবজি সহ বিভিন্ন
ফসল পাওয়া যাচ্ছেনা তাই কাচা বাজারের তথা শাক সবজির এত দাম। এখানে সিন্ডিকেটের কিছু নেই।আমি কান সজাগ রেখে শুধু শুনলাম। কথা না বাড়িয়ে বাসায় চলে আসলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:১৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: সুজন ভাই আমি ১০০ % মনে করি অন্তত কাঁচাবাজার এখন যে দাম বাড়ছে সেটা শুধু মাত্র উৎপাদনের জন্য।কেননা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী মাল উৎপাদন হচ্ছে না। আর হবেই বা কেমনে দুই টা মাস যাবত যে ভাবে বণ্যার তান্ডব চালাচ্ছে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
ড: ইউনুস দ্রব্যমুল্য নিয়ে কইছু বলেছেন?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: উনি কি বলবেন। দেশের উত্তরাঞ্চলের এবং দক্ষিণাঞ্চলে গত দুই মাসের মধ্যে বণ্যার যে ভয়াবহ অবস্থা তাতে কারো কিছু করার নাই।কারন একটা ফসল উঠতে মিনিমাম তিনমাস সময় লাগে।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৪:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ক্ষুদ্র একটা দেশে ২১ কোটি মানুষ থাকেন।
খেতে যে পাচ্ছেন এটাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করেন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। ভাই একদম সত্যি কথা বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: যে কোন কিছুর দাম বাড়ার একটাই যুক্তি। তা হল দেশে উৎপাদিত দ্রব্যের চেয়ে টাকার পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়া। প্রতি বছর রোজা ও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সরকারী কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস দেবার জন্য সরকারী ভান্ডারে প্রয়োজনীয় টাকার ঘাটতি পড়ে। সেই ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা ছাপায়। এক একবার টাকশালে টাকা ছাপায়, আর জনগনের পেছনে আধ হাত করে বাঁশ ঢোকে। তখন কিছু টের পাওয়া না গেলেও দুই এক মাস পর থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়া শুরু হয়।
তবে মানুষ এগুলোতে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে বলে এখন আর উচ্চবাচ্য করেনা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: হুম হতে পারে আপনার কথাগুলো সত্য।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের দিয়া অর্থনীতির পাতায় লেখাইলে এমন হয়। ওই যে ফার্মগেটের মোড়ে হকার থাকে দেখবেন মাইকে বলতে থাকে যাই নেন ১০০ ,বাইছা নেন ১০০ ,খালি ১০০ ,একে বারে মাথার ভিতর ১০০ প্রোগ্রাম কইরা ঢুকায় দিবে। ওই রকম যাই হোক সব দোষ সিন্ডিকেটের এটা ওরা আমাদের মাথার ভিতর ঢুকায় দিছে। করা এই সর্বনাশ করছে জানেন ? আমলারা। ওই যে ভোক্তা অধিকার এর মেজিস্ট্রেটদের দেখবেন ব্রয়লার মুরগির দোকানে ,ডিমের আড়ৎ এ পঞ্চাশটা কেমেরা নিয়া ঢুকে তারপর সিন্ডিকেট সক্রিয় সেটা প্রমান করে। এভাবে দ্রব্য মূল্য কেয়ামতের আগ পর্যন্ত কমাইতে পারবে না।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৪১
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি নাগরিককে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা।
নাগরিকদের সম্পদ ও বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব রাষ্ট্রের কাছে থাকা উচিত।
কেউই আইনের উর্ধ্বে থাকতে পারে না।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:২০
মামুন ইসলাম বলেছেন: রাষ্ট্রের উচিৎ যেমন নাগরিকদের জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা ঠিক তেমনি রাষ্ট্রেরও উচিৎ নাগরিকদের কাছে জবাবদিহি করা ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:০৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার কি মনে হয় এসব দাম সিন্ডিকেটের জন্য না উৎপাদনের জন্য হচ্ছে? আমরা সবাই লাট সাহেব হয়ে বসে থাকি। দু্ইটা গাছ লাগাতে পারছি না। এ্ই কাচাঁমরিচ দুইটা টবে লাগালেও প্রতিদিন খাওয়া যায়।