নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন এত সুন্দর পৃথিবীতে অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র আমাদের কাছে সহযোগিতা বা এক প্রকার বলা চলে আমাদের ইবাদত করার জন্য। আর আমাদেরকে তথাপি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধু মাত্র আল্লাহু পাক রাব্বুল আলামীনের ইবাদতের জন্য। তবে এই ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময় বা উত্তম হচ্ছে কিশোর কিশোরী থেকে যৌবন কাল ।
দেখুন একজন মানুষ যখন ভূমিষ্ঠ হয় পৃথিবীতে তখন সে একেবারে দুর্বল থাকে।সেই শিশুটি তখন না কোনো কথা বলতে পারে,না পারে সে নিজ হাতে খেতে, সব কাজেই তাকে তার মা,বাবা অথবা অন্য কারো সাহায্য সহযোগিতা নিতে হয়।
ঠিক ধীরে ধীরে যখন একজন মানুষ শিশু কিশোর ও যৌবন পার করে বৃদ্ধকালে পড়ে তখন আবারো সে দুর্বল হয়ে পড়ে।
তখন আবারো মানুষ পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন ।
তবে মাঝামাঝি সময়েই বা যাকে আমরা যৌবনকাল বলে থাকি, এই সময় মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন মানুষকে সব থেকে বেশি শক্তি,সামর্থ্য দিয়ে থাকেন । আর সেই শক্তি সামর্থ্য ব্যবহার করে একজন মানুষ চাইলে সারা বিশ্ব জয় করতে পারেন।
এই জন্যই আল্লাহু পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন,
যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন দুর্বল বস্তু থেকে এবং দুর্বলতার পর তিনি শক্তি দান করেন। আর শক্তির পর তিনি আবার দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। ’ (সুরা: রুম, আয়াত: ৫৪)
পবিত্র হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা: )বলেন, যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা তার নিজের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। তার মধ্যে রয়েছে,যে যুবকের জীবনটা গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের মানে আল্লাহু পাক রাব্বুল আলামীনের ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে দিয়ে ।(বুখারি, হাদিস: ৬৬০)
কালের সাক্ষী যুগে যুগে সব পাপ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিন্তু যুবকরাই দাঁড়িয়েছে বা লড়াই করেছেন। প্রায় প্রতিটি জাতির ইতিহাসেই দেখা মিলে তাদের মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যুবকরাই প্রথম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তেমনই এক যুবক ছিলেন ইবরাহিম (আ: )। যিনি সর্বপ্রথম তাঁর গোত্রের মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেউ কেউ বলল, আমরা শুনেছি এক যুবক এই মূর্তিগুলোর সমালোচনা করে। তাকে বলা হয় ইবরাহিম। ’ (সুরা: ইবরাহিম, আয়াত: ৬০)
মহান আল্লাহ তার বান্দাদের উপযুক্ত সময় বিশেষ বিশেষ নিয়ামত দান করেন। অনেক ক্ষেত্রে মানুষের জন্য সেই উপযুক্ত সময় হলো বিশেষ করে যৌবন কাল। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন বলেন, আর মুসা যখন যৌবনে পদার্পণ করল এবং পরিণত বয়স্ক হলো, তখন আমি তাকে বিচারবুদ্ধি এবং জ্ঞান দান করলাম। আর এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকি। ’ (সুরা: কাসাস, আয়াত: ১৪)
শুধু তা-ই নয়, ঈমান রক্ষার জন্য গোত্র ত্যাগকারী সেই আসহাবে কাহফকেও পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাকে তাদের সংবাদ সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই তারা কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। ’ (সুরা: কাহফ, আয়াত: ১৩)
যৌবন কখনো কখনো মানুষকে পথভ্রষ্ট করে। যৌবনের তাড়নায় অনেক ধরনের পাপে লিপ্ত হয়ে যায়। এ কারণেই যুবকদের উদ্দেশে রাসুল (সা.) বলেন, হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে। এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সাওম’ পালন করে। কেননা সাওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে। (বুখারি, হাদিস: ৫০৬৫)
যৌবনে কেউ কেউ অধিক ফ্যাশনপ্রিয় হয়। তাদের চুল, পোশাক ও বেশভূষায় থাকে উগ্রতা। কেউ কেউ নারীদের মতো কানে দুল পরে। কেউ আবার সোনার আংটি, চেইন, ব্রেসলেট ইত্যাদিও পরে থাকে। রাসুল (সা.) এ ধরনের কাজ পছন্দ করতেন না। একবার রাসুল (সা.) হজরত খাব্বাবের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন, তার হাতে একটি সোনার আংটি। তিনি বললেন, এখনো কি এ আংটি খুলে ফেলার সময় হয়নি? খাব্বাব (রা.) বললেন, আজকের পর আর এটি আমার হাতে দেখতে পাবেন না। অতঃপর তিনি আংটিটি ফেলে দিলেন। (বুখারি, হাদিস: ৪৩৯১)
মূলকথা হলো, যৌবনকাল মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ামত। এ সময় মানুষের ইবাদতের শক্তি ও সুস্থতা দুটিই থাকে। এ সময় একটা মানুষ যতটা শুদ্ধতা ও দৃঢ়তার সহিত আমল করতে পারে, বৃদ্ধ হয়ে গেলে তা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই এই মহামূল্যবান নিয়ামতে কোনোভাবেই অবহেলায় কাটানো উচিত নয়। কারণ, কিয়ামতের দিন যৌবনকালের সময়ের হিসাব নেওয়া হবে।
নবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগ পর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ তাআলার নিকট থেকে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা বিনাশ করেছে ; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কী কী খাতে খরচ করেছে এবং সে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মোতাবেক কী কী আমল করেছে। (তিরমিজি, হাদিস: ২৪১৬)
তাই আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিৎ যৌবন কালে বেশি করে আল্লাহু পাক রাব্বুল আলামীন কে খুশি রাজি রাখতে বেশি বেশি আল্লাহুর ইবাদতে মনযোগ দেয়া ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
মামুন ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইবাদত বিষয় টি অনেক বিস্তৃত!! শুধু নামাজ,রোজা,হজ,যাকাত এ সীমাবদ্ধ নয়। যুবক বয়সে মানুষ সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম থাকায় সে বেশি কাজ করতে সক্ষম। নিজের পরিবার এর জন্য হালাল উপার্জন করা, সৎ ভাবে জীবন যাপন করা, মিথ্যা না বলা, পরিবার এর দেখভাল করা, প্রতিবেশি এবং অভাবগ্রস্থ দের সাহায্য করার মতো শক্তি যৌবন কালে বেশি থাকে। মানুষ কে মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে যে মহাযজ্ঞ চলছে সেখানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে।আমরা সবাই কোনো না কোনো ভাবে সবার সাথে কানেক্টেড! প্রত্যেকের ইন্ডিভিজুয়াল কাজ সবার উপর ইমপেক্ট ফেলে। দুনিয়ার জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও এখানে বিপথগামী হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। যদি পৃথিবীতে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন না করা হয় আখিরাত এর জীবন পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আমাদের নামাজ, রোজা সহ সব রিচুয়াল এর কোনো কিছুই মহান রাব্বুল আলামীন এর কাছে ম্যাটার করে না। যা ম্যাটার করে তা হলো আপনি আপনার চারপাশের মানুষ কে কিভাবে ট্রিট করছেন, কিভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, কিভাবে মানুষের সঠিক পাওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছেন এইসব। আর যৌবন কালে মানুষ এসব কাজ যত সুষ্ঠু ভাবে করতে পারবে সে তত বেশি আখিরাতে সফল হবে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। অথচ আমরা অনেকেই এই যৌবনের ইবাদত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাই।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৪:৪১
আহমদ নযীর বলেছেন: অথ্চ আমরা রক্ত গরমের সেই বয়সে আল্লাহ্র এবাদত করতে বড় হেলা করি
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:৪২
নিমো বলেছেন: তাহলে আমরা নবযৌবনপ্রাপ্ত নাহিদ বা আসিফকে বাদ দওয়ে, একটা বুড়া পাঠাকে ধর্মউপদেষ্টা বানালাম কেন?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: এখানে রাজনৈতিক কোনো প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলা হয়নি ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৪৫
জটিল ভাই বলেছেন:
এখন যৌবন যার,
ইবাদতের সময় তার ♥♥♥