নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম উত্তরসূরী হিসেবে টিপু সুলতানের নাম সবার আগে আছে । দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে তৎকালীন মৈসুর ছিল বেশ শক্তিশালী এবং এর সরকার ব্যবস্থাও ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার জন্য টিপু সুলতানের শাসনামল ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল । সম্প্রতি বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বনহ্যাম টিপু সুলতানের সময়কার ৩৩টি হস্তনির্মিত বস্তু নিলামে তুলেছিল। বস্তুগুলোর যে মূল্য প্রাথমিকভাবে ধরা হয় পরবর্তিতে সেগুলো তার তুলনায় অনেক বেশি দামেই বিক্রি হয়। নিলামকৃত উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল একটি হান্টিং রাইফেল। এই বন্দুকটি বিশেষ করে টিপু সুলতানের জন্য তৈরি করেছিলেন আসাদ খান মোহাম্মদ।
বাঘের মুখের আদল দিয়ে তৈরি করা বন্দুকটি ষাট হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়ে যায়। তাছাড়াও আরো দুইটি মহামূল্যবান উপাদানের মধ্যে ছিল ব্রোঞ্জ দিয়ে নির্মিত কামান এবং স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত হেলমেট। কামানটির একাংশে বাঘের মুখ খোদাই করা ছিল এবং হেলমেটটিতে লেখা ছিল আল্লাহ, মোহাম্মদ, আলী, ফাতিমা, হাসান এবং হুসেইনের নাম। অবশ্য এর আগেও একবার টিপু সুলতানের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি নিলামে তোলা হয়েছিল। আর তার ব্যবহিত ওই দ্রব্যগুলো চড়াদামে বিক্রি হওয়ারও কিছু কারনও আছে। মৈসুরের ক্ষমতা অর্জন করার পর টিপু সুলতান নিজেকে বাঘের প্রতিরূপ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন জনগণের সামনে। শাহনামার চরিত্র রুস্তমের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনিও তার সব রাজকীয় কাজে বাঘের শরীরের ডোরা দাগ ব্যবহার করতেন। আর এই কারণেই তৎকালীন সময়ে পুরো ভারতবর্ষে একনামে তিনি পরিচিত ছিলেন । ১৭৯৯ সালে টিপু সুলতানের মৃত্যু এবং সেরিঙ্গাপতমের পতনের পর ব্রিটিশ রাজ হ্যারিস ঘোষণা দিয়েছিলেন যে এখন ভারত আমাদের। সে সময় ব্রিটিশ সৈন্যরা শুধু সুলতানের প্রাসাদেই লুটপাট চালায়নি। বরং পাশাপাশি ওই শহরের এক লাখ অধিবাসীর ঘরেও লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেছিল ব্রিটিশ বাহিনী।
আর্থর ওয়েলসলি তার মাকে উদ্দেশে করে লিখেছিলেন শহরের একটি ঘরও তছনছ করতে বাকি রাখা হয়নি। আমি বুঝতে পারছিলাম যে ওই রত্নগুলো স্বর্ণের বারগুলোর অনেক মূল্য হবে। ওগুলো ওই স্থানে খোলাবাজারে বিক্রি হত। লুটপাট দলে থাকা ডেভিড প্রাইস লিখেছিলেনঃ প্রাসাদের সম্পদ দেখে অনেকেরেই চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। মোট সম্পদের হিসেব দেয়া খুব একটা সহজ হবে না। প্রথম দিনের হিসেব শেষে শুধুমাত্র প্রাসাদ থেকেই প্রায় দেড় মিলিয়ন সুলতানি মুদ্রা বা স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যায়। যেগুলো এক হাজারটি বস্তার মধ্যে ভর্তি ছিল। কিন্তু ১৮৯৩ সালের আরেক বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় তৎকালীন সময়ে প্রাসাদ থেকে ব্রিটিশরা স্বর্ণের সিংহাসন হীরকখচিত তলোয়ার ও স্বর্ণ এবং রৌপ্যের বাসন তাছাড়াও বহুমূল্যবান পার্সিয়ান কার্পেটসহ অনেক অমূল্য রত্নাদি নিয়ে যায়। সেই বিপুল সম্পদ ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয় আর সেগুলো সৈনিকদের মধ্যে বিতরণ করা হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সম্পদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য রেখে দেয়া হয়। টিপু সুলতানের বিশেষ বাদ্যযন্ত্র বাজা তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ডিরেক্টরকে উপহার স্বরূপ দেয়া হয়েছিল যা বর্তমানে ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট জাদুঘরে রাখা আছে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট নিউজ থেকে পাওয়া ।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২২
মামুন ইসলাম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
২| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
সদালাপি বলেছেন: ব্রিটিশ যে আসলে চোর জাতি এটি তার সামান্য প্রমাণ ।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
মামুন ইসলাম বলেছেন:
৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
গোধুলী রঙ বলেছেন: ব্রিটিশরা চোর, ঠগ, জোচ্চর ছিলো, অবশ্য আমার মনে হয় সৈন্যবাহীনির সবচেয়ে অসত অফিসারগুলোকে ভারতবর্ষে ট্রান্সফার করা হতো শাস্তি হিসেবে।
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৮
মামুন ইসলাম বলেছেন:
৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
গ্রিন জোন বলেছেন: জানা হল নতুন কিছু। ভালো পোস্ট ধন্যবাদ মামুন ইসলাম
০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
মামুন ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
বাড়িতারবাংলা বলেছেন: টিপু সুলতানের তরোয়াল সহ কয়েকটি জিনিস ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া নিলামে কিনে ভারতে ফেরত নিয়ে এসেছিলেন। যতদুর জানি এখন সেগুলি বেঙ্গালুরু তে আছে।