নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা এক অন্যরকম পদ্ধতি ছিল বেস্টিয়ারাই মৃত্যুদণ্ড আদি রোমান সাম্রাজ্যের একটি ক্রীড়া।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে হিংস্র প্রাণির সঙ্গে লড়াইয়ে নামিয়ে দেওয়া হতো।
ক্ষুধার্ত হিংস্র প্রাণিগুলো ওই ব্যক্তিকে খেয়ে ফেলতো। এই বীভৎস মৃত্যু দেখতে যাওয়া দর্শক উল্লাসে ফেটে পড়তো।
অনেক সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্রও দেওয়া হতো।
হিংস্র পশুদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতো ওই ব্যক্তি। এতে দর্শকদের উল্লাস আরো বাড়ত।
কিন্তু মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেত না ওই ব্যক্তি।
মৃত্যুদণ্ডের এই পদ্ধতিটি প্রথম চালু হয়েছিল আমেরিকায়। কিন্তু আমেরিকাতে এই পদ্ধতিটি নিষিদ্ধ হলেও
এখন ইরানে এই পদ্ধতিতেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে গলায় দড়ি পরিয়ে দড়িটি উপরে
দিকে টেনে তোলা হয়। দড়িটি তোলার সময় খুব জোরে একটি ঝাঁকি দেওয়া হয় যেন আসামির ঘাড় ভেঙ্গে যায়।
দড়িটি তুলতে ক্রেন ব্যবহার করা হয়।
গিলোটিনে মুণ্ডচ্ছেদ বা শিরকর্তন পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চালু হয় ১৭০০ শতকে। ওই সময়য়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে- দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির কষ্ট কম হয়! তাই তখন অনেক দেশ এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে থাকে। শিরোশ্ছেদ করার ধারালো যন্ত্রটিকে বলা হতো গিলোটিন
রিপাবলিকান বিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার এক অদ্ভূত ও অন্যরকম পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে নগ্ন অবস্থায় মুখোমুখি করে একসঙ্গে বেঁধে দেওয়া হতো। তারপর ওই দুজনকে নদীতে ফেলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো।
শুধু ফ্রান্সে এই পদ্ধতি চালু ছিলো। মৃত্যুদণ্ডের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন জঁ-কেরিয়ার।
এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত জ্বলন্ত কয়লার বিছানার উপর চাপ দিয়ে ধরে রাখা হতো।
এই পদ্ধতিতে মৃত্যু হতো অনেক দেরিতে। শরীরের চামড়া পুড়ে সম্পূর্ণ কালো হয়ে যেত।
মারা যাওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নরক যন্ত্রণা ভোগ করতো।
এই পদ্ধ্যটি মৃত্যুদণ্ড ছিল অন্যরকম বরবরতা । মধু মাখানোর ফলে বন্দির শরীরের প্রতি কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট হতো।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির গায়ের চামড়া ভেদ করে বাসা বাধতো কীটপতঙ্গ। এভাবে ডায়রিয়া গ্যাংগ্রিন এবং মরণঘাতী রোগে
আক্রান্ত হয়ে অনাহারে দীর্ঘ যন্ত্রণায় মারা যেত দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। পার্সিয়ানদের মধ্যে স্কাফিজম মৃত্যদণ্ড প্রচলিত ছিলো।
মাজাটেল্লো এক অত্যন্ত বীভৎস মৃত্যুদণ্ড ছিল। যা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে শহরের একটি উঁচু মঞ্চে হাত পা বেঁধে রাখা হতো।
তারপর তার মাথায় কাঠের তৈরি হাতুড়ি দিয়ে জোরে আঘাত করা হতো। আর এভাবে আঘাত করে দণ্ডপ্রাপ্তের মাথা থেতলে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো। এই আইন অষ্টাদশ শতকের দিকে পোপের আইন চালু হওয়া দেশগুলোতে এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতো।
বাঁশের ব্যবহারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কষ্টদায়ক এ পদ্ধতিটি এশিয়ার দেশগুলোতে প্রচলন ছিলো। এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে একটি বাঁশ বনে বেঁধে রাখা হতো। নতুন বাঁশ গজাচ্ছে এমন স্থানে হাত-পা শক্ত করে বেঁধে রাখা হতো দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে। বাঁশ দ্রুত বৃদ্ধি পায় (দৈনিক সর্বোচ্চ এক ফুটের মতো), তাই ধীরে ধীরে বাঁশ দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির দেহ ফুঁড়ে বের হয়ে যেত। এটি খুব ধীর প্রক্রিয়া। একারণে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি মারা যাওয়ার আগে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতো।
ছবিতথ্যঃ ইন্টারনেট
০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:২০
মামুন ইসলাম বলেছেন: ঠিকি বলেছেন সহমত । সময়ের সাথে সব পরিবর্তন ।
২| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সাত সকালে এই পোস্ট পইড়া মাথা তো পুরা বিগড়ায়া গেল....
আহলান ভাইয়ের সাথে একমত!
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: আমারো পোস্টটি দেয়ার সময় কষ্ট লাগতেছিল এই বরবরতার ঘটনা জেনে ।
৩| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: নিষ্ঠুর! নির্মম!!বিভৎস!!!
বর্বরদের কাছ থেকে
সভ্যতা আশা করা
যায় না।
তবে প্রশ্ন !!
আমরা কি
এখনো
সভ্য
হতে
পেরেছি?
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: সভ্য হতে পারবো বলে মনেও হচ্ছে না ।
৪| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
রাশেদ রাহাত বলেছেন: এখন এই সব শাস্তির ব্যবস্থা আবার পূণ চালুতকরা প্রয়োজন। সমাজ শীতল হয়ে যাবে।
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: কাঠের ভিতর একবার গুনে ধরলে যাই করেন না কেন সে গুন আর তারানো যাবে না ।
৫| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:০০
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভয়াবহ!
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: হুম মারাক্ত বেপার ।
আচ্ছা অগ্নি সারথি ভাই যদি এইসব প্রথা আইন এখন চালু করা হয় তাহলে কি
তনুদের মতো মেয়েরা বরবরদের হাত থেকে রেহাই পাবে ।
৬| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখনি।
ধন্যবাদ।
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৭| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
গোধুলী রঙ বলেছেন: কিন্তু আগের জামানায় এ সব মুলত যতটা ব্যবহার করা হত চুরি, খুন বা ডাকাতির মত কোন অপরাধের শাস্তি হিসেবে তার চেয়ে বেশি রাজদ্রোহের কারনে।
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৮| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:২০
আমি মিন্টু বলেছেন: রাশেদ রাহাত বলেছেন এখন এই সব শাস্তির ব্যবস্থা আবার পূণ চালুতকরা প্রয়োজন। সমাজ শীতল হয়ে যাবে।
একমত প্রকাশ করছি । সমাজে এইসব আইন আবার চালু করা হোক ।
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২০
মামুন ইসলাম বলেছেন: দেখা যাক সংসদে পাশ করে কিনা ।
৯| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভয়াবহ পোস্ট!
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২১
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাখাল ভাই ।
১০| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
কাঁচাঝাল বলেছেন: কি শুনাইলেন শুনেই তো গা ঠান্ডা বরফের মতো হয়ে যাচ্ছে ।
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২২
মামুন ইসলাম বলেছেন: তাহলে প্রয়োগ করলে অবস্থাটা কি হইবো ।
১১| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
সুমন কর বলেছেন: ভয়ানক পোস্ট !
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই ।
১২| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২১
রাঙা মীয়া বলেছেন: বীভৎস- বর্বর
০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: অসহনীয় ।
১৩| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ভয়াবহ বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
১৪| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
আহলান বলেছেন: দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে মানুষ যুগে যুগে শাস্তির ব্যবস্থা প্রচলন করেছে। এখন হয়তো শুনতে বিভৎস মনে হচ্ছে .... কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে হয়তো তার যথোপযুক্ততা ছিলো। আমাদের সমাজে এখন যেভাবে তনু গং নিহত হচ্ছে সেগুলোও কম বিভৎস নয়। তনু গংদের হত্যাকারীদেরকে এইরুপ শাস্তি দিলে হয়তো এখন কেউই বলবে না যে শাস্তিটা বিভৎস হয়েছে ....