নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইয়াবা প্রধান উপাদান মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইন। এটি ঔষধ না মাদক তা বিচার্য বিষয়।
প্রবণতা এবং হতাশা।দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা খেলে স্মরণশক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে। এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান। অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন। ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল বলেছেন নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী তাছাড়াও যৌন অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার এবং ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা। তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন এবং সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে।
ইয়াবা সব থেকে বেশি ব্যবহার করা দেশগুলোঃ
মিয়ানমারে ওয়া এবং কোকাং নামের আদিবাসী সম্প্রদায় মেথাম্ফেটামিন পিল বা ইয়াবা এর সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। এই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পূর্বে আফিম এবং হেরোইন উৎপাদন এর সাথে জড়িত ছিল। উল্লেখ্য যে মিয়ানমারে খুব সাধারণ ল্যাবরেটরিতেও মাত্র ২০ হংকং সেন্টের বিনিময়ে প্রতিটি ইয়াবা পিল তৈরি করা হতো। ২০০০ সালে থাইল্যান্ডের সরকার মিয়ানমার সরকারকে সীমান্তে যৌথ টহলের জন্য ব্যাপক চাপ দেয়। মূলত থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ২৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা র চোরাচালান ব্যাপক চোরাচালান রোধের জন্য এই চাপ প্রয়োগ করা হয়।বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৭ সালে। । পরবর্তীতে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আসতে শুরু করে। । এই ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হবার কারণে উচ্চবিত্তদের মাঝেই এটি মূলত: বিস্তার লাভ করে।থাই সরকার ১৯৭০ সালে ইয়াবা ট্যাবলেটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেসময় এটি সেদেশে পেট্রল পাম্পে বিক্রি হতো, এবং থাই ট্রাক চালকেরা জেগে থাকার জন্য এটা ব্যবহার করতো। ইয়াবাসেবী ট্রাক ও বাস চালকদের হাতে অনেক গুলো ভয়াবহ বাস দূর্ঘটনা ঘটেছে। থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা ২০০৩ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। এর পর থেকে থাইল্যান্ডে এই মাদকের প্রকোপ কমে এসেছে।
তথ্যঅনলাইন ডেস্ক
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
আমি মিন্টু বলেছেন: হুম প্রামানিক বলেছেন গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। অনেক কিছু জানা হলো। সহমত
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ছোট ভাই মিন্টু ।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
আলম 1 বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য ।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ইয়াবা সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬
সাকিব আনোয়ার কণক বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পোষ্ট
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কমেন্টের জন্য ।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
টোকাই রাজা বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পোষ্ট ভাল লাগল।
ভাইয়া আমারটাও পড়তে পারেন....
http://www.somewhereinblog.net/blog/tokairaja/30099650
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: পড়েছি খুব ভালো হয়েছে আপনার লেখাটি ।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
টোকাই রাজা বলেছেন: বাবার (ইয়াবা) আগ্রাসন
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: পড়েছি খুব ভালো হয়েছে আপনার লেখাটি ।
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাসুদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। অনেক কিছু জানা হলো।