নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস প্রথম পর্ব
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ২য় পর্ব
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ৩য় পর্ব
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ৪র্থ পর্ব
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ৫ম পর্ব
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ৬র্থ পর্ব
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ৭ম পর্ব
পাকিস্তানী সৈন্যরা ২৭তম ব্রিগেড এপ্রিলের ১ তারিখে ঢাকা ছেড়ে উত্তর দিকে গমন করেন ।এক সারি টাঙ্গাইল এবং অপর অংশ নরসিংদির দিকে রওনা হয় । ইপিআর বাহিনী টাঙ্গাইলের নিকটে গোপনে তাদের আক্রমণ অ্যামবুশ করেন । প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি সত্ত্বেও পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয় এবং ৯ই এপ্রিল টাঙ্গাইলে এর পতন ঘটে । দুই সারি সৈন্যদল টাঙ্গাইল থেকে উত্তরে একসারি জামালপুরের দিকে এবং অন্যদল ময়মনসিংহের দিকে রওনা হন । বাঙালি সৈন্যদের দ্বারা বারবার গুপ্ত হামলার শিকার হওয়া সত্ত্বেও ১৪ এপ্রিল জামালপুর এবং ২২ এপ্রিল ময়মনসিংহের পতন ঘটে।
PAF Pakistan Air Force ৬ই এপ্রিলে নরসিংদিতে বোমা হামলা করে ইপিআর বাহিনীকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং পাকিস্তানী সেনাদের সারি ৩১তম বালুচ ৮ই এপ্রিলে নরসিংদির কাছে ইপিআর বাহিনীর অবস্থানে আক্রমণ করে । এই আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছিল্ কিন্তু গোলন্দাজ বাহিনী এবং Saber জেটের সহায়তায় পরবর্তি আক্রমণের ফলে প্রতিরক্ষা ভেঙে পরে এবং ১২ই এপ্রিল নরসিংদির পতন ঘটে । ২৭তম ব্রিগেড ক্রমাগত আক্রমণের ফলে ময়মনসিংহ সিলেট এবং কুমিল্লার কিছু অংশ জুনের মধ্যে মুক্ত ও সুরক্ষিত হয় ।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র তেল শোধনাগার ছিল । যেখানে ছিল একটি বিশাল তেলের গুদাম এবং সব চেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর । এই সমুদ্রবন্দরে ৯০০০টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে এম ভি সোয়াত অবস্থান করছিল । পশ্চিম পাকিস্তানী চট্টগ্রাম গ্যরিসনে বাঙ্গালী সৈন্যরা প্রচুর পরিমাণে ছিল যা পাকিস্তানী পরিকল্পনাকারীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইপি আর এবং ইপি আর এর বাঙালি অফিসাররা পাকিস্তানী বাহিনীর উপর আগে থেকেই একটি আত্মরক্ষামূলক আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন কিন্তু সিনিয়র বাঙালি অফিসাররা ই বি আর সি এর প্রধান প্রশিক্ষক লে কর্নেল এম আর চৌধুরী এবং মেজর জিয়াউর রহমান এই বিশ্বাস থেকে ক্যাপ্টেন রফিককে ই পি আর সেক্টর অ্যাডজুটেন্ট বিদ্রোহ করা থেকে নিরুৎসাহীত করেন যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বেসামরিক জনগনের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণ চালাবে না । কিন্তু তারা এটা নিশ্চিত করেন যে পাকিস্তানী যে কোন আক্রমণের ঘটনায় তারা অবশ্যই বিদ্রোহ করবেন । এম ভি সোয়াত থেকে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সেনানিবাসে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা ২০থেকে২৫শে মার্চের মধ্যে সাধারণ প্রতিবাদকারীদের বাধার কারণে সাময়িক ভাবে ব্যর্থ হন এবং সে সকল প্রতিবাদকারীদের অনেকেই সেনাসদস্যদের দ্বারা আক্রান্ত এবং গুলিবিদ্ধ হন । ব্রিগেডিয়ার মজুমদার এই ব্যর্থতার কারণে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন । পাকিস্তানী বাহিনীকে চট্টগ্রামে নিম্নলিখিত লক্ষ্যসমূহ ঠিক করে দেওয়া হয়ঃ
ই বি আর সি ইউনিট ৮ম ই বি আর ই পি আর এবং পুলিশ বাহিনীকে নিরস্ত্র করা ।
পুলিশের অস্ত্রসস্ত্র রেডিও স্টেশন এবং টেলিফোন এক্সচেইঞ্জ দখল করে নেওয়া ।
পাকিস্তানী নৌবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা ।
লে কর্নেল এম আর চৌধুরী এবং আওয়ামি লীগ এর নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার করা ।
২৬ মার্চে কুমিল্লা থেকে আগত ৫৩তম ব্রিগেড ট্রুপসের দ্বারা চট্টগ্রাম গ্যারিসনের শক্তি বৃদ্ধি করা হয় ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
কালের সময় বলেছেন: ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
আমি মিন্টু বলেছেন: মুটামুটি চলে অনেক কিছু জানার আছে ।