নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোন রোগী যদি অধ্য মিত্যুর হয়ে থাকে আর যদি তাকে পিজি হাসপাতালে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য তাহলে তার জীবন বাঁচার পরিবর্তে মিত্যুই নিশ্চিত । কেননা পিজি হাসপাতালে ডাক্তারনী আপু আর দুলাভাইদের রোগীর প্রতি চিকিৎসা বা সেবার যে রম্য প্রেম দেখলাম তাতে তাদের হাতে সেবা পাওয়া নিশ্চিত রোগীর সাত কপালের ভাগ্যের ব্যাপার । তারা পারেও বলা বাহুল্য তাদের রোগীর প্রতি এমন কোন চিন্তা দেখলাম না যে এই রোগীটাকে আমাদের কাছে চিকৎসার জন্য এনেছে তাকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা বা সেবা দিয়ে সারিয়ে তুলি । বরং বলা চলে একজন রোগীকে সেখানে তাদের কাছে চিকিৎসা করাতে নিলে যে কাজ কোন প্রাইভেট হাসপাতালে করাতে আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা লাগবে । অথচ পিজির ডাক্তারনী আপু দুলাভাইয়েরা সেই কাজটিকে কম হলেও তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগাবে ।
নামে সরকারী কাজে রম্য প্রাইভেট । সকাল ৭ টায় ছোট মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে শুধু একবার ডাক্তার দেখানো আর একটি এক্সরে করাতে বেঁজে গেল বিকেল সারে পাঁচটা । এখানেই শেষ নয় অনেক হাসপাতালে রিপোর্ট দুই থেকে তিন ঘন্টায়ও দিয়ে দেয় আর এরা দেয় ২৪ থেকে ৩০ ঘন্টা পরে । এখানে মূল কথা হল সব চলে ফ্রি নামে দূর্নীতি । আর তাদের দূর্নীতির সিস্টেম হল যে পরীক্ষা নীরিক্ষার রুমে ১৫০ থেকে ২০০ রোগী দেখে তার ভিতরে প্রতি তিন জন পর পর অন্তত একজন তাদের স্টাফদের পরীক্ষা চলে । আবার অনেকে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা করাতে লেট হবে বলে চেকাপ রুমের সামনে থাকা হাসপাতালের স্টাফকে কিছু ধরিয়ে কিছু বলতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ধরিয়ে দিলে সে তারাতারি সিরিয়াল পেয়ে যাবে । তাহলে ১৫০ জনের ভিতরে ৫০ জন স্টাফ ও ৫০ জন ঘুষ দাতা এবং বাকী ৫০ জন পাবলিক পাচ্ছে তাদের এই সেবা । তার পরেও আবার কিছু পরীক্ষার রুম আছে যাতে ১০ থেকে ১৫জনের পরীক্ষা বা সকাল ১০ টা থেকে শুরু ২ টার পরে আর কোন পরীক্ষা করায় না ।
শুধু তাই না এখানে আপনি যাতে কোন দুই নাম্বার লোকের হাতে না ধরা খান সে জন্য তারা ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে টাকা জমা নিবেন । আর তাও এমন হবে আপনাকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে সিরিয়াল ধরতে হবে এক স্থানে সেখানে আপনাকে একটি রশিদ দিবে । সেই রশিদটাকে নিয়ে আরেক স্থানে সিরিয়াল ধরে টাকা জমা দিতে হবে । এতে ধরে নিন এখানেও আপনাকে প্রায় ঘন্টা দের দুই পার করতে হবে তবে কপাল ভালো হলে তার পরেও কমপক্ষ্যে আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা লাগবে টাকা জমা দিতে তার পর পরীক্ষা নীরিক্ষা বা চিকিৎসা ।
আবার দুপুর বারোটা ত্রিশমিনিট বেঁজে গেলে কোন কথা নাই । কারন তখন তাদের লান্স আওয়ার আর এ লান্স আওয়ার শেষ হবে কম পক্ষে
২টা থেকে আরাইটার পরে ।
অথচ তারা চাইলে একটু সচেতন ভাবে কাজগুলো করলে একজন রোগীকে আধঘন্টার ভিতর সকল সেবা প্রধান করিতে পারে ।
বিদ্রঃ ছবি গুগল আর তথ্য আমি নিজে প্রমানীত
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: এখানে দেশের চেয়ে দেশের মানুষ গুলো অন্যরকম এবং অন্যরকম তাদের নিয়ম নীতি ।
সব থেকে বড় কথা হল আমাদের মানবতা বলে কিছু নেই । ধন্যবাদ । ভাল ও সুস্থ থাকুন ।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আরো তথ্য দিয়ে লেখলে বেটার হত ভাই। প্রিয়তে রাখলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০২
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ইচ্ছে ছিল ভাই তবে সময় কম থাকায় পারলাম না আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে দেখি কালকে বুদ বার তাই
কাল ছুটির দিন সময় সুযোগ পেলে আরেকটি সুযোগ নিমু ।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
অসহায় ছেলে বলেছেন: মামুন ইসলাম ভাই আমি নতুন হিসাবে ব্লগে লেখা প্রকাশ করতে পারছি না ৩দিন নাকি অপেক্ষা করতে হবে, আপনি যদি একটু সাহায্য করেন, লেখাটা প্রকাশ করা খুবই জরুরী
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: সে নতুন হোক আর পুরাতনই হোক সকলকেই ব্লগের নিয়ম মেনে চলতে হবে । আপনাকেতো তিনদিনের সময় দিছে আর আমি যখন এখানে অ্যাকাউন্ট খুলেছি তখন প্রথম পাতায় লেখা আসতে দশ পোনের দিনও সময় লাগতো ।
আর তা ছাড়া আপনি কৃতপক্ষের সাথে ফিডব্যাকে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন । আমিতো আর কৃতপক্ষ না রে ভাই আমাকে বলে
কোন লাভ নেই ।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৩
বিপরীত বাক বলেছেন: যে যে যার যার অবস্থানে যতটুকু সম্ভব দুর্ণীতি অনিয়ম করে যাচ্ছে।।
আজকে আপনাকে যদি পিজি হাসপাতালের ডাক্তার বানিয়ে দেয়া হয় কালকে থেকে আপনিও রোগী দের সাথে অনুরুপ ব্যবহার করবেন।। নিশ্চিত থাকেন।।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০২
মামুন ইসলাম বলেছেন: আমকে আল্লাহু যদি ডাক্তার হওয়ার সুযোগ বা তৌফিক দিত আমি কখন ওরকম হাসপাতাল নামের কশাই খানা খুলতাম না ।
ডাক্তারের দায়ত্ব জীবন বাঁচানো জীবন নেওার নয় । হাসপাতাল দিয়ে যদি মানুষকে সেবা দানই না করা যায় তাহলে সে
হাসপাতাল না বানানোই ভালো । ধন্যবাদ আল্লাহু আপনাকে সুস্থ রাখুক ভাই এই দোআ থাকলো ।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
মানবী বলেছেন: বিভিন্ন সুত্র থেকে জেনেছি গত ৫-৬ বছরে বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মানের ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে,আপনার অভিজ্ঞতাও তেমনটিই বলে।
এই কিছুদিন আগেও প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার মান অনেক অনেক ভালো ছিলো, নির্ভরযোগ্যও ছিলো। বর্তমানের এই দূরাবস্থা সত্যিই আশংকা জনক।
তারপরও বলবো, কোন ব্যয়বহুল প্রাইভেট ক্লিনিকে যাবার চেয়ে কোন সুপরিচিত প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়তো কম খরচে ভালো চিকিৎসা হতে পারে।
শিশুদের জন্য শিশু হাসপাতাল একসময় সবচেয়ে ভালো ছিলো, এখন তার কি অবস্থা জানা নেই!
আশাকরি আপনার সন্তান এখন সুস্থ আছে। পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ মামুন ইসলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: অসংখক ধন্যবাদ আপু । জী মহান আল্লাহুর রহমতে এখন আমার সন্তান অনেকটাই সুস্থ আছে । তবে অনেক কষ্ট হয় আপু সমাজে অন্যান্য শিশুদের জন্য কি দূরগতি না তাদের । তবে সমাজ থেকে এসব দূর ব্যবস্থা পরিহার করে কিছু একটা সুব্যবস্থা করা উচিত ।
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ডাক্তাররা নিজেদের দেবতা ভাবতে বসেছেন!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তাইতো দেখলাম ।
৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবূীতে সবচাইতে নিকৃস্ট ডাক্তার সব বাংলাদেশী।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: তাই বলে কি এতটা ভাই ।
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২০
সুমন কর বলেছেন: দেশের সব জায়গায়, অনিয়মটাই নিয়ম হয়ে গেছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪২
মামুন ইসলাম বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন সুমন কর ভাই । আর কে জানে কতদিন এরকম অনিয়ম নিয়ম হয়ে আমাদের সমাজে চলবে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
অসহায় ছেলে বলেছেন: আসলে দেশটাই এরকম