শুভরাত্রী এন্ড ঈদমুবারক ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

আমাদের রহিমা খালা মানুষটির মন অনেক ভালো । সে অনেক বছর ধরেই আমার নানার বাড়িতে আছেন । শুধু সে না আমার মা র মুখে যতদূর শুনেছি রহিমা খালার আগে আমার নানার বাড়িতে তার মা ছিলেন । তার মা যখন আমার নানার বাড়িতে জি এর কাজ করতেন তখন রহিমা খালা ছিলেন পাঁচ কি ছয় বছর বয়সের ছোট্র একটি মেয়ে । সে অনেক গুলো বছর আমার নানা পরিবারে আছেন । এখন তার দুই ছেলে বিয়ে করেছে । রহিমা খালা তার মায়ের সাথে আমাদের বাড়ি আসতেন তখন শুধু আমার মা ছিলেন আর খালা ছিলেন না । আমার নানাও তাই রহিমা খালাকে নিজের মেয়ের মতই দেখতেন । রহিমা খালা যখন তার মায়ের গর্ভে তখন তার বাবা মারা যান । রহিমা খালা কপালটি এদিক দিয়ে খারাপই বলতে হবে জম্মের পর থেকে বাবাকে দেখে নাই । তার মা সেও রহিমা খালার যখন সারে নয় বছর বয়স তখন মারা গেছেন । এর পর থেকে রহিমা খালার আত্মিয়স্বজনকে বলে আমার নানা রহিমা খালাকে আমার নানাদের বাড়িতে রেখেদিছেন । রহিমা খালার বয়স যখন পোনের দাঁড়িয়েছে তখন আমাদের গ্রাম থেকে একজন ভালো পাত্র দেখে নানা বেঁচে থাকতেই বিয়ে দিয়েগেছেন । রহিমার খালার ছেলে দুটোর বড়টির যখন পাঁচ ও ছোট ছেলেটির বয়স যখন তিন তখন তার স্বামী একটি রোড দূরঘটনায় মারা যান । সে থেকে বড় মামা রহিমা খালাকে আমার নানার বাড়িতে এনে রেখে দেন । আমার নানা মারা গেছেন
কিন্তু মামারা আছেন । আর মামাদের চেয়ে রহিমা খালা অনেক বড়
তাই মামারাও আমার মাকে যেমন বড় বোনের মত দেখেন তেমনি রহিমা খালাকেও বড় বোনের মতই শ্রধা করেন ও দেখেন । আমার মা খালাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে একেক বোনের একেক স্থানে থেকে ঈদ পালন করা । আমার মা খালারা আর রহিমা খালা মিলে তিন বোন এবার বহু বছর পর এক সাথে হয়েছে । তাই এবার আমাদের ঈদ অনেক আনন্দের হবে । শুভরাত্রী এন্ড ঈদমুবারক ।

৪ টি +০/-০