নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আদর না করতে পেরে বহু সময় শূ্ন্যতায় কাটিয়েছিল বাবা ।
বহুবার দেখা করতে চেয়েও বাবার সাথে কখনো দেখা করা হয়ে ওঠে নাই । তখন সাজ্জাদ খুব ছোট ছিল তাই । সে সময়টা সাজ্জাদের বাবার কেমন কেটেছিল ।
তার মায়ের মুখে যতটুক শোনা তার বাবার সে সময়ের কিছু কথা । রাতগুলো বিছানায় ছটফট করে রাতের আঁধার কেঁটে কখনো ভোরের আলো ফুটতো । কখনো কখনো বাবার নির্ঘুম রজনী কেঁটে যেত ।
কখনো বন্দী চার দেয়ালে মাঝে থেকে সাদা ডাইরীতে সাজ্জাদের না দেখা মুখের চিত্র অঙ্কনেও দেখতে দেখতে দিন শেষে রাত নয়ত রাত শেষে দিন একত্রিত কেঁটে পার হয়ে যেত সাজ্জাদের বাবার ।
কখনো কখনো সাজ্জাদকে কোলে নিয়ে একটু আদর না করতে পারায় সাজ্জাদের বাবার দীর্ঘশ্বাস তার মনকে ক্ষতবিক্ষত করে চলতো । বাবার হৃদয় বলে কথা । বাবা তার এই কষ্টগুলো কখনো কারো সাথে শেয়ার করতেন না । কাওকে কখনো বুঝতেও দিতেন তার হৃদয়ের কষ্টগুলো । সাজ্জাদের মায়ের মুখে শোনা সাজ্জাদ যখন তার গর্ভে আট মাসের তখন যে তার বাবাকে ধরে নিয়ে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে রেখেছিলো তার ভাগ্যে আর বাহিরে এসে ভোরের সূর্যের আলো দেখার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি ।
জেলখানার চার দেয়ালে শূন্যতাকে সঙ্গী করে কঠিন সংগ্রামের মাঝে বাবাকে বেশ সময় পার করতে হয়েছিল ।
একদিন মা শুনলেন বাবা আসবেন দুই চারদিনের ভেতরেই । তাকে মুক্তি দেওয়া হবে । তবে মা তখনো বুঝতে পারেননি এই মুক্তিযে সাজ্জাদের বাবার জীবনে শেষ মুক্তি, লাশ হয়ে ঘর ফেরা একজন মানুষের মুক্তি,ঘুমিয়ে শান্ত ভাবে থাকা মানুষের মুক্তি ।
একজন নবজাতক সন্তানকে কোলে নিয়ে মন ভরে না দেখে চলে যাওয়ার মুক্তি । এটাই ছিল সাজ্জাদের বাবার ভাগ্যে শেষ মুক্তি ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সমুন কর ভাই । চেস্টা করেছিলাম একটু বড় করার জন্য । কিন্তু হলো না ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
সুমন কর বলেছেন: ছোট গল্প হিসেবে ভালোই হয়েছে।