নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃষ্টিকর্তা যাঁদের উপর তুষ্ট হন তাঁদের যেমন দুহাতে ঢেলে দেন, ঠিক তেমনই, শেখ হাসিনাও যাঁদের দিকে সুনজর দিয়েছেন তাঁদের সবাই বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনেছেন রাতারাতি।
অন্য ভাষায় বলা যায়, শেখ হাসিনার সংস্পর্শে যাঁরাই গেছেন তাঁদের প্রায় সবাই নিজের সততা বা মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দিয়ে চোখের পলকেই হয়ে উঠেছেন বিত্তশালী নামিদামি মানুষ। আক্ষরিক অর্থেই আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছিলেন তাঁরা।
তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল্ এজেন্ট হাসিনার অনুগ্রহপুষ্ট মানুষের সংখ্যা অগুনতি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমার দুই সহপাঠীর নামও রয়েছে বিতর্কিতদের তালিকায়। এ দুজনের একজন দেশের বিশিষ্ট পরিবেশবাদী, সবাই এক নামে চেনে তাকে। তিনি একজন স্থপতিও।
অন্যজন, দেশের এক সুপরিচিত লেখক। দেশের কিশোরদের আলোকিত করে চলেছেন দীর্ঘকাল ধরে। লেখক হয়েও হাসিনার প্রতি অন্ধভক্তি ও তাঁর সরকারের দালালি, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা হয়েও খালের জমি অবৈধ দখল, এবং অতি সম্প্রতি ছাত্রজনতার আন্দোলনে তথাকথিত নিরপেক্ষ বা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন, ইত্যাদি অভিযোগের তীর তাঁদের দিকে।
অথচ, আমার এ দুই সহপাঠী কোনোদিনও মানুষ হিসেবে খারাপ ছিলেন না, তাঁদের ছাত্রজীবন ছিল অতি উজ্জ্বল, এবং তাঁরা নিজনিজ ক্ষেত্রে আলো ছড়াতেও সক্ষম হয়েছিলেন পুরোদমে। কিন্তু, অতিমাত্রায় হাসিনাপ্রীতি, দলবাজি, পুরস্কার-সম্মাননা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যাখ্যা, অর্থসম্পদ ও পদপদবির লোভলালসা হয়েছে তাঁদের কাল।
অন্য অনেকের মতো তাঁরাও ভাবতে পারেননি হাসিনা গং এর পতন হতে পারে একদিন। আমার বিবেচনায়, তাঁরা মোটেও দূরদর্শী ছিলেন না; কারন, তাঁদের বুঝা উচিত ছিল সীমিত সম্পদের একটা ছোট্ট দেশে অসীম সময় ধরে অবারিত লুন্ঠন চলতে পারেনা। এর একটা শেষ অবশ্যই আছে। তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, স্বৈরাচারীর হাতে গুম-খুন চলতে দেখলে নিরপেক্ষ ভূমিকা নয়, প্রতিবাদ জানাতে হয়।
সীমাহীন দুর্নীতি ও অপকর্মের কারণে শেখ হাসিনা কেবল নিজেই ডুবেননি, কলংকের কালিমা লেপে দিয়েছেন আমার দুই বন্ধুর মতো এমন হাজারো এককালের পরিচ্ছন্ন ইমেজের মানুষের কপালে।
এ প্রেক্ষাপটে, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, পরিবেশবাদী এবং সুশীল সমাজের আর যাঁরা আছেন তাঁদের প্রতি নিবেদন, ইতিহাস হতে শিক্ষা নিন, নিজের বিচার-বিবেচনা-বিবেককে সদা জাগ্রত রাখুন, ব্যক্তিপূজা ও অন্ধ দলভক্তি পরিহার করুন, এবং সর্বোপরি, লোভলালসার লাগাম টেনে ধরুন যাতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হলে কারো মন্দ কথা শুনতে না হয়, নিগৃহীত হতে না হয়, বা চরম ক্ষেত্রে, গর্তবাসী হতে না হয় জাফর ইকবাল সাহেবদের মতো।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: আমি জানতাম না ইহা আওয়ামী লীগের। আপনার পোস্ট পড়ে তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম সেও ভূমিদস্যু। খুবই অদ্ভুত!!
আর দ্বিতীয় জন! ইনার অব্যবস্থাপনার কারণে একটি কিশোর তড়িতাহত হয়ে মারা গেছিল। আমি ভেবেছিলাম বিন্দুমাত্র বিবেক সম্পন্ন মানুষ হলে এরপর সে অনুতপ্ত হবে। তার মধ্যে অনুতাপের কোন লক্ষণ দেখিনি। এরা সব দালাল।
কি করে জানলাম সে আপনার বন্ধু? বহুদিন আগে এক পোস্টে আপনি উল্লেখ করেছিলেন, সেটা পড়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: মুল্যবান কথা লিখেছেন। তারা ভেবেছিল শোষণ আর চুরি করতে করতে দেশটাকে সোমালিয়া বানিয়ে ছাড়বে। প্রতিবাদের জন্য দেশে আর কেউ থাকবে না। থাকবে তাদের অন্ধ দালাল শ্রেনী আর শোষিত নিস্পেসিত মুক ও বধির কিছু কাংগালের দল।