নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুনে অবাক হলাম, বিক্রিতে চমক লাগাতে (বা গতি আনতে) এক কোটিপতি লেখক নাকি নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে প্রথম মুদ্রণের সবকটি বই ভাড়াটে লোক দিয়ে নিজেই সংগ্রহে নিয়ে নেন। পরে হয়তো এসব বইই আবার স্টলে ফিরে আসে।
কেউ কেউ আবার লোক ভাড়া করে 'ভুয়া ভোটের লাইনের আদলে' ক্রেতাদের লাইনও বানালেন বলে শোনা গেল। বিশেষ কিছু স্টলের সামনে বিশ-ত্রিশজনের লাইন হয়ে যায় কিছু লেখকের বই কিনতে। বই শেষ হয়, কিন্তু ক্রেতার লাইন আর শেষ হয়না। এ যেন সাক্ষাৎ ভুয়া ভোটের লাইন: একই ক্রেতা কখনও লাইনের শুরুতে, কখনো মাঝখানে বা কখনো একেবারে লেজের দিকে।
কয়েক লেখক আবার সিন্ডিকেট সিস্টেমে একে অন্যের বই বিক্রির প্রশংসা করে নির্লজ্জের মতো পালাক্রমে পোস্ট দিয়ে চলেছেন। কেউকেউ সোশ্যাল মিডিয়ার সেলিব্রেটিদের দিয়ে নগদ নারায়ণের বিনিময়ে বই কেনার দৃশ্য ফেইসবুকে শেয়ার করছেন। এমনকি, দিনে বিশ ঘন্টা মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকা পুস্তক-বিমুখ নাবালকদের দিয়েও অনেকে নিজেদের বইয়ের গুনগান গেয়ে ছবি দেয়াচ্ছেন। বইমেলার নামে এসব কি চলছে?
বলা চলে, বাংলাদেশের একুশে গ্রন্থমেলা এখন জ্ঞান বা মুক্তবুদ্ধি চর্চার অঙ্গন না হয়ে রীতিমতো পুস্তক বিক্রির বা খ্যাতি অর্জনের প্রতিযোগিতায় রূপ লাভ করেছে। সাহিত্যাঙ্গনের জন্য এ এক অশনি সংকেত।
দীর্ঘ মিডিয়া সংশ্লিষ্টতার কারণে ঘনিষ্ঠ কয়েক সাংবাদিক ভাইবোনের কাছে সুদূর কানাডায় বসেও এসব কাহিনী শোনার সুযোগ হলো। সত্যাসত্য মেলায় ঘুরে আসা পাঠকই ভালো জানবেন।
সুস্থ সাহিত্য চর্চার স্বার্থে আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হউক।.
২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের তৈরী করা একটা বিজ্ঞাপন ছিলো। এক লোক ভং ধরে, তাকে প্রশ্ন করা হয় যে ভং ধরছো কেন? সে উত্তর করে যে ভং না ধরলে মানুষ কথা শুনে না।
বই মেলায় এখন বেশী মানুষ ঘুরতেই যায়। বই লেখকদের কোয়ালিটিও তেমন নড়বড়ে। একটু ভং না ধরলে তাদের বই কিনবে কে?
ওদিকে আর এক লেখকের নামে একটা ভিডিও দেখলাম। তিনি নাকি সেলিম আল দীনের পান্ডুলিপি গাপ করে দিয়েছেন। কাউকেই আর বিশ্বাস করা যায় না!
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
ফেনা বলেছেন: আপনার জানা তথ্য মনে হয় না মিথ্য। আমার এক বন্ধু গিয়েছিল মেলায়, সেও এমনটায় জানাল।
কিচ্ছু করার নেই, সবই হল নাম কেনার বানিজ্য।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
নিমো বলেছেন: এই ব্লগতো সারাক্ষণই শুনছি দেশে আইন, শাসন, জবাবদিহিতা কিছুই নাই, ফ্যাসিবাদ চলছে। তো এমন রুদ্ধশ্বাস সময়েইতো পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্থ্য সাহিত্যগুলো তৈরি হয়েছে, অন্তত ইতিহাস তাই বলে। তো বাংলাদেশে হচ্ছে না কেন ?
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার @নিমোর কথা ফেলনা নয়।
আমরা মনে হচ্ছে একযোগে সবাই নষ্ট হয়ে গেছি-এমন আগে বিশ্বে হয়নি কখনো।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আর মানুষ নাই। সব মানুষ অমানবিক হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
মায়াস্পর্শ বলেছেন: সামনে এগুলো আরও বাড়বে। এগুলো থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। নির্লজ্জতা এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।