নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে কেউ যখন প্রশ্ন করেন, 'ভাই, এতো ব্যস্ততায় লেখালেখির সময় কোথায় পান?'
উত্তরে আমি বলি: 'কেন এ প্রশ্ন করছেন? জানেন না, 'যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন'?'
মানুষ যখন ব্যস্ত থাকে তখন সে তার সময়টা বিভিন্ন কাজের জন্য ভাগ করে নেয়। যার কাজ নেই, বা যিনি অবসরে চলে গেছেন, তার সময়টাও হয়ে পড়ে অলস। তাই, নানা কাজে তা ভাগ করার প্রশ্ন আসে না।
একটা উদাহরণ দেই।
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন কি সোজা কথা? আমরা না একটা ছোট্ট পরিবার চালাতেই হিমশিম খাই!
সঙ্গতকারণেই, যিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে তিনি যদি যথাযথভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন তবে তো পুস্তক প্রকাশ দূরের কথা, নিজের **ছা চুলকানোর সময়ও থাকার কথা নয়।
কি, ঠিক বলিনি? কিন্তু, ওই যে বললাম, যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন।
সেকালে পল্লীবন্ধু ও হাল আমলে গণতন্ত্রের রক্ষকখ্যাত স্বৈরাচার এরশাদ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে প্রায়শঃই কবিতা লিখতেন, যা বিশেষ গুরুত্বের সাথে ছাপা হতো দেশের শীর্ষ পত্র-পত্রিকায়। কিন্তু, তিনি ক্ষমতা ছেড়ে (একপ্রকার) অবসরে যাবার পর আপনারা তাঁর কয়খানা কবিতা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন বুকে হাত রেখে বলুন তো?
এবার নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
দেশের এক শীর্ষ পত্রিকায় আমি নানা বিষয়ে অর্ধশতাধিক লিখেছি। তাঁরা সচরাচর আমার লেখা ফেলে রাখেন না, বা ছাপতে দেরি করেন না। তারপরও, একবার একটা কলাম লিখে পাঠানোর দুসপ্তায়ও তা ছাপা হয়নি দেখে সাব-এডিটর সাহেবকে নক করলাম।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, 'ভাই, রাজনৈতিক নেতানেত্রীর ফরমায়েশি লেখা ছাপাতে গিয়ে আপনাদের মতো আসল লেখকের লেখা ছাপাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। মার্জনা করবেন।'
এবার বুঝুন, মন্ত্রী-এমপি সাহেবরা রাজনৈতিক অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে লেখালেখিতেও যেভাবে সময় দেন পদ ছেড়ে যাবার পর লেখালেখিতে তেমন সময় দিতে পারেন কি? ব্যস্ততা নেই তো নানা কাজে সময় ভাগাভাগির বিষয়টাও আর নেই।
মোটকথা, যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এক সরকারি আমলাকে চিনি।
তিনি সারাদিন অফিসে বসে সাহিত্য করেন। তিনি আশাবাদী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলা সাহিত্য সরকারি আমলাদের হাতে চলে আসবে।