নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচন্ড ব্যস্ততায় ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও গতকালের ভ্যালেন্টাইন্স ডে'তে ভালোবাসা বিষয়ক কিছু লিখতে পারিনি; তাই আজ লিখছি। কারন, লেখাটা অতি জরুরি।
ছ বছর আগে আমার ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট (RCIC-IRB) হিসেবে আত্মপ্রকাশের গোড়ার দিকে দীর্ঘদিনের এক বন্ধু আমাকে ফোন দিলো। ফোনালাপ মোটামুটি নিচের মতো।
বন্ধুর প্রশ্ন: তোমার ইমিগ্রেশন কনসালটেন্সি কেমন চলছে গনি মিয়া?
- সবে তো শুরু, এখনও তেমন জমে উঠেনি। কারও হেল্প লাগলে আমার কথা বলো।
- আরে মিয়া, হেল্পের জন্যই তো ফোন দিলাম। আমার এক ঘনিষ্ঠের ট্যুরিস্ট ভিসা দুবার রিজেক্ট হয়েছে। তুমি কিছু করতে পারবে?
- [ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে] দোস্ত, আমি তো এ পেশায় নতুন। তাও আবার রিজেক্ট হওয়া আবেদন। ...
- আরে রাখ তোমার নতুন-পুরাতনের কাহিনী! তোমাকে তো আমি নতুন চিনি না, তুমি ভালোমতো ফাইল সাবমিট করলে ওকে হয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। কাজটা নাও, বন্ধু বলে তোমাকে দুই টাকাও ফি কম দেব না।
এই বন্ধুর সাথে আমার সম্পর্ক সেই টিন-এইজ হতে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাথে পড়েছি। পরে জাপান হতে পিএইচডি করে সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়িয়েছে অনেকদিন। বর্তমানে কানাডায়। সে আমাকে ভালোমতোই চেনে; ভুল কিছু বলেনি। তার কথায় মনে আত্মবিশ্বাস এলো। তারপরও সম্পর্কটা এতোটাই কাছের যে ফেল মারলে কি হবে তা ভেবে বিচলিত হই।
- বন্ধু, তুমি তো জান, ভিসার আবেদন অনুমোদন করে ভিসা অফিসার, কনসালটেন্ট না। আমি যতো ভালো সাবমিশনই করি, সাফল্যের নিশ্চয়তা কিন্তু দিতে পারবো না।
- আমি খুব ভালো করেই তা জানি। তবে, তোমার হাতে ফেল মারলে আমার আর্থিক ক্ষতি তো আর হচ্ছে না। খামাখাই টেনশন করছো পাশ-ফেল নিয়ে।
- দোস্ত, আমরা কিন্তু ফেল মারলে কোন রিফান্ড দেই না। কোন কন্সাল্টেন্টই রেগুলেশন অনুযায়ী তা করতে পারেনা।
- আমি তা বুঝাইনি। রিফান্ড তুমি দিলেও আমি নেবো না। আমি নিজেও একজন প্রফেশনাল। প্রফেশনাল সার্ভিসে ফি রিফান্ডের সিস্টেম নেই তা আমি খুব ভালোভাবেই জানি। কেননা, তুমি তো তোমার টাইম আর এক্সপার্টিজ এর জন্য ফি নিয়েছো, ফলাফলের জন্য নয়।
- তাহলে, তুমি কি বুঝাতে চেয়েছো আরেকটু খুলে বলবে?
- আমি বুঝাতে চেয়েছি, পাশ হউক বা ফেল হউক, টাকা তো গেলো এক বন্ধুর পকেট হতে অন্য বন্ধুর পকেটে; ভাইয়ের টাকা অন্য ভাইয়ের পকেটে যাবার মতো। তাই, ফল যাই হউক, এখানে ক্ষতির তো কিছু দেখিনা। ...
ভাবতে পারেন, কোন মাপের মানুষ আমার এ বন্ধুটি? এমন স্বচ্ছ চিন্তার কাউকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া আমার মতো নগণ্যের সাত জনমের ভাগ্য নিঃসন্দেহে। আমি জানিনা, আপনাদের কারও এমন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু পাবার সৌভাগ্য আজতক হয়েছে কিনা। এমন বন্ধু অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের চেয়েও কাছের। ...
সুখবর হলো, তার সে স্বজনের ভিসা তো আমার হাত দিয়ে পাশ হয়েছেই, ওই পরিবারের আরো চারজনের ভিসার আবেদনও সফল হয়েছে আমাদের ফার্ম এমএলজি ইমিগ্রেশন-এর মাধ্যমে।
এটি কোন গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। আমার সে বন্ধুর নাম, ডঃ এহসানুল কাদের চৌধুরী। ছবি দিতে সে রাজি হয়নি বলে তা এ পোস্টে শেয়ার করলাম না। আজকের এ শুভক্ষণে বন্ধু এহসান-এর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৪
এমএলজি বলেছেন: বুয়েটে পড়েছেন বলে এতটা ইগো/অহংকার থাকা ভালো নয়।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০২
আলামিন১০৪ বলেছেন: আন্নে তো দেখি সামুরে বিজ্ঞাপনের দেওনের কামে লাগাইতাছেন। বুয়েটের মান ইজ্জতের তেরটা বাজাইয়েন না। কিছু ডলার খরচ করেন, পত্রিকায বিজ্ঞাপন দেন।