নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'থ্যাঙ্ক ইউ ফর এভরিথিং। দোয়া করিও যেন ঠিকঠাক দেশে পৌঁছাই।\'

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫১

আমার এক ক্লাইয়েন্ট দেশ থেকে আমার জন্যে [সুদূর কানাডায়] নিয়ে এসেছেন এ মিষ্টির প্যাকেট। সম্প্রতি তাঁর পরিবারের একজনের স্পনসরশিপ আর পিআর আবেদন অনুমোদন পেয়েছে আমাদের প্রফেশনাল সহায়তায়। এ আবেদনে আগের রিফিউজাল ছিল।

কানাডায় যখন কেউ বাংলাদেশ হতে আসেন তখন তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা করেন নিত্য প্রয়োজনীয় অথচ কমদামের জিনিসপত্র ব্যাগভর্তি করে নিয়ে আসতে। একই যুক্তি খাটে দেশে ফিরে যাবার ক্ষেত্রেও। ফলে, কেউ সহজে কারও জিনিস নিতে চায় না, বা বয়ে আনতেও চায় না।

এ অবস্থায়, নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিয়ে আমার জন্য এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের একটা মিষ্টির বাক্স নিয়ে আসা কম উদারতা নয়। আমার এই বন্ধুপ্রতিম ক্লাইয়েন্টকে ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমার বিশ্বাস, তিনিও আমার এ পোস্ট দেখছেন।

এ প্রসঙ্গে আমার এক বন্ধুর একটা ছোট্ট অভিজ্ঞতা মনে পরে গেলো। কানাডা প্রবাসী আমার সে বন্ধুর এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বাংলাদেশ হতে কানাডায় এসেছেন। উঠেছেন তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায়। বন্ধুর বাসার কাছেই সে বাসা।

বন্ধু দেশে বসবাসরত তাঁর মায়ের জন্য কিছু ওষুধ পাঠাবেন বলে তাঁর আত্মীয়কে বলে রেখেছিলেন। তিনি না করেননি, আবার হ্যাঁ-ও বলেননি। বন্ধু ধরে নিয়েছিল উনি রাজি।

বন্ধুর কাছে থাকা তথ্যমতে ওই আত্মীয় সে মাসের ২৭ তারিখে দেশে ফিরে যাবার কথা। কিন্তু, তার দুদিন আগেই, মানে, ২৫ তারিখ বন্ধুকে হতবাক করা এক ফোন দিয়ে তিনি বললেন, 'থ্যাঙ্ক ইউ ফর এভরিথিং। দোয়া করিও যেন ঠিকঠাক দেশে পৌঁছাই।'

- আপনি এখন কোথায়?

- আমি তো বিমান বন্দরে ঢুকে গেছি; ঘন্টাখানেক পরেই ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।

- আপনার না ফ্লাইট ২৭ তারিখ?

- না, ২৫ তারিখ; ২৭ বললো কে?

আমার সে বন্ধু আকাশ থেকে পড়লো, তবে তর্কে জড়ালো না। মায়ের ওষুধের কথাও আর মনে করিয়ে দিলো না। অথচ, এই আত্মীয়ের জন্য কাজ হতে দুদিনের ছুটি নিয়ে তাঁর সাথে এদিক ওদিক ঘুরে বেরিয়েছিল সে। ...

বন্ধুর আত্মীয় এয়ারপোর্টে প্রবেশ করে ফোন দেবার কারন সহজেই বুঝা যায়। এয়ারপোর্টে চেক-ইন করার পর তাঁকে তো নতুন কোন মালামাল দেয়া সম্ভব নয়। আত্মীয় এ বিষয়টিই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সে আশা পূরণ হয়েছেও।

খুব ক্ষুদ্র কারণে অনেক সময় মানুষ প্রিয়জনের মন ভাঙে, দীর্ঘ সম্পর্কে চির ধরায়। আমার তো মনে হয় না এ আত্মীয় ভবিষ্যতে কানাডা এলে আমার এ বন্ধু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আপনার কি মনে হয়?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত নিচু শ্রেনীর সেটা বিভিন্ন সময়ে স্বদেশী মানুষের বিভিন্ন গল্পেই খুঁজে পাই, ভিন্ন কোন জাতির মতামত প্রয়োজন পড়ে না। দুঃখজনক এই যা।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য আমরা মানুষের যে কোন অতীতের অবদান ভুলে যাই।
আর বর্তমানে ভাবিঃ কি আর হবে, আর দেখা না হইল, আর কথা না কইল- তার হেল্প না নিলাম, সে আমার জন্য করছে তার লাভের জন্য। করবেই তো তার আত্মীয়/বন্ধু না আমি। বিদেশে গেলে এইটুকুই করে। টাকা আছে করছে। দেশের মানুষের জন্য একটু করছে তাতে কি হইছে। আমিওতো করছি এক সময়।
ভাল্লাগে না আর -এই জাতি আর আমারে নিয়ে। এই রক্ত তো আমার দেহেও বইছে।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে যদি পাচ লাখ টাকা দেই আপনি কি আমায় কানাডা নিয়ে যেতে পারবেন?

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মানুষ এতো নিচু হয় কি করে?

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১

বিজন রয় বলেছেন: মানুষ সবই পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.