নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'আমার নাতি যেন মানুষের মতো মানুষ হয়\'

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৫:২০

এক মুরুব্বির ফেইসবুক পোস্টে চোখ আটকে গেলো। তাঁকে আমি অনেকদিন ধরে জানি।

দ্বিতীয় জন্মদিনে নাতিকে দুহাতে উঁচিয়ে ধরে চাচা বলেছেন, 'ইয়া আল্লাহ, তোমার কাছে আর কিছু চাই না, আমার নাতি যেন মানুষের মতো মানুষ হয়।'

বাহ্, কি সুন্দর প্রার্থনা! নাতির জন্য টাকাকড়ি বা গাড়ি-বাড়ি চাইছেন না; চাইছেন সে যেন মানুষের মতো মানুষ হয়; এটুকুই।
মুরুব্বির ছবি দেখে বহু বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে গেলাম। ...

এই মুরুব্বির তিন কন্যার ছোটটির বিবাহের কথা চলছিল। অনেকের মতো আমাকেও চাচা অনুরোধ জানালেন ভালো ছেলের খবর পেলে তাঁকে জানাতে।

আমার খানিক জুনিয়র এক ছেলে সরকারি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলো ও সময়টায়। প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার; খুবই ভালো ছেলে। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে জানতাম। তার জন্য পাত্রীর খোঁজ করা হচ্ছিল। এই ছেলের খবর চাচার কানে দিলাম।

আমার প্রস্তাব শুনে চাচির সাথে কথা বলে আমাকে জানাবেন এমন মন্তব্য করে চাচা আর যোগাযোগ করেননি।

অবশেষে, মাস কয়েক পর চাচা একদিন শুভ বিবাহের দাওয়াতপত্র নিয়ে হাসিমুখে আমার অফিসে হাজির।

সেই কন্যার বিবাহের দিন ধার্য্য হয়েছে; আমাকে নাকি যেতেই হবে। বর পুলিশের এএসআই, সম্ভবত তখনকার দিনের তৃতীয় শ্রেণীর পদ সেটি।

চাচার চোখে মুখে আনন্দ।

সংকোচবোধ করবেন বলে চাচাকে আমার প্রস্তাব করা প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার পাত্রটির কথা আর মনে করিয়ে দিলাম না।
কেননা, তাঁদের পছন্দের মুলে ঠিক কি চিন্তা লুকিয়ে ছিল তা আমার অজানা নয়: বেতনের সাথে টেতন, ফকফকা ভবিষ্যৎ, কতো কী! ...

আজ এতো বছর পর সেই মুরুব্বি যখন রাব্বুল আলামিনের কাছে হাত তুলে তাঁর নাতির জন্য "মানুষের মতো মানুষ" হবার দোয়া চান তখন আমি মনে মনে ভাবি, চাচার প্রার্থনার সেই মানুষটি বেতনের সাথে মোটাদাগের টেতনওয়ালা কেউ হবেন হয়তোবা। কারন, চাচার বিবেচনায় মানুষের মতো মানুষ তো আসলে তারাই।

https://www.facebook.com/moh.l.gani

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুলিশের এএসআই হয়তো সৎ ছিল। আপনি কেন খারাপ চিন্তা করছেন তার ব্যাপারে। পুলিশে কিছু হলেও ভালো লোক আছে। সব বিভাগেই আছে। তবে কম। একজন পাত্রকে পছন্দ বা অপছন্দ করার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। মেয়ের নিজের পছন্দের ব্যাপার আছে। প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হলেই তাকে একটা মেয়ে পছন্দ করবে এমন নাও হতে পারে।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে বুঝা যাচ্ছেনা পুলিশের এএসআই লোকটা আসলে কেমন ছিল। এমনও তো হতে পারে যে হয়তো তিনিও 'মানুষের মত মানুষ'ই ছিলেন (সম্ভাবনাটা যত ক্ষুদ্রই হোক, থেকে যায়)। আর তখন যদি তিনি (চাচা) ভুলও করে থাকেন, এখন হয়তো তার বোধোদয় হয়েছে। সুতরাং, বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখুন; কেননা তার চাওয়াটা ইতিবাচক।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার এক মেধাবী ছাত্রীর বিয়ে হয়েছিল এক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে। বিয়ের পর মেয়েটার পড়ালেখা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। এত মেধাবী একটা মেয়ের এ অবস্থা আমাকে ব্যথিত করে। কোনো পদই ছোট না, তাও বলতে হয় আরও ভালো জায়গায় বিয়ে হতে পারত। আপনার গল্পের মতোই হবে হয়তো। অন্য পেশার চেয়ে পুলিশের পেশাটা বোধহয় একটু বেশি লোভনীয় এবং ক্ষমতার। এখনকার কনস্টেবলও তো বিরাট ক্ষমতাবান। এখনকার অভিভাবকরা এ বিষয়টাই বেশি দেখে। আবার নিরাপত্তার খাতিরে তাদের চাওয়াও দোষের না।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: মানূষের প্রার্থনা কখনও পূরন হয় না।
তবু মানূষ প্রার্থনা করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.