নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিনব প্রতারণা! =
কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের এক স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারী আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন যিনি জঘন্য রকমের প্রতারণার শিকার। অন্যদের সতর্ক করতে তাঁর কাহিনীর কিছুটা শেয়ার করছি।
প্রায় দুই বছর আগে আবেদনকারীর স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন অনুমোদিত হয়েছিল এবং তিনি কানাডায় গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর্যায়ে এখন। ইতিমধ্যে তাঁর এক ভাই কানাডায় ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। কারণ, তিনি শুনেছেন ট্যুরিস্ট ভিসায় আবেদন করে কানাডায় আসা আগের চেয়ে সহজ।
ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদনে বর্ণিত আছে তাঁরা পাঁচ ভাইবোন, কিন্তু (অন্য ভাইয়ের) স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনে বলা আছে তিনিই মা-বাবার একমাত্র সন্তান। পরের আবেদন প্রসেস করতে গিয়ে আগের আবেদন ভিসা অফিসারের নজরে পড়েছে। কারণ, তাঁদের পিতামাতা অভিন্ন।
সংক্ষেপে বলি, ছাত্র ভিসার আবেদনকারী ভাইকে কানাডার ইমিগ্রেশন অফিস (IRCC) হতে চিঠি দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ পর্যায়ে তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন উপায় বাতলে দিতে।
'এমনটি করলেন কেন?' জানতে চাইলে তিনি বললেন, বাংলাদেশের এক এজেন্ট তাঁকে ভুল বুঝিয়ে এ কাজটি করেছে। এজেন্ট নাকি বলেছিল, তার কোন ভাইবোন নাই দেখালে বাবার পাঁচতলা ভবনসহ সবকিছুর উত্তরাধিকারী সে একা হবে। ফলে, আর্থিক দিক থেকে তাঁকে খুব সচ্ছল দেখাবে, এবং এতে তার ভিসা অনুমোদনও সহজে হয়ে যাবে। ... বাস্তবে হয়েছেও তাই।
এই এজেন্ট নাকি ভিসা অনুমোদন না হলে কোন টাকা নেয় না, কিন্তু, RCIC-রা আগেই টাকা চায়। তাই, তিনি ওই এজেন্টের কাছে গিয়েছিলেন। উনি নাকি এভাবে আরো অনেকের কাজ সফলভাবে করে দিয়েছেন।
ভুল তথ্য প্রদানে যে অপরাধ তাকে বলে misrepresentation.
এখানে এজেন্ট এ অপকর্মটা কেন করেছে জানেন?
কারণ হলো, ভিসার অনুমোদন না হলে সে তো কোন টাকাপয়সা পাবে না। তাই, কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানোর মতো কিছু একটা তাকে তো করতেই হবে। - -
প্রশ্ন হলো, আমি কি এই ক্লাইয়েন্টকে কোন বুদ্ধি বাতলে দিয়েছি?
উত্তর: না। কেননা, এসব ফ্রড কেইসে 'MLG Immigration'-এর নাম জড়াতে চাইনা।
সম্ভাব্য পরিণতি: খুব সম্ভবতঃ এই ছাত্রকে কানাডা হতে বহিস্কার করা হবে পাঁচ বছরের ব্যানসহ। এজেন্টের দোষ দিয়ে পার পাবার সুযোগ এখানে নেই।
এই কাহিনি আপনার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে শেয়ার করুন। তাঁরা সতর্ক হবেন।
Email: [email protected]
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
শায়মা বলেছেন: আমার এক কলিগের ছেলে আন্ডার গ্রাডে কানাডা গেছিলো।
মাঝে সেমিস্টার ব্রেক নিয়ে দেশে এসেছিলো ৪ মাস পর ফিরতে গিয়ে দেখে তার স্টাডি পারমিট ক্যানসেল হয়ে গেছে।
এই সব শুনে তো আমি অবাক হয়ে যাই।
শুধু কি প্রতারণা অজ্ঞানতার কারণেও কত শত ক্ষতি হয়ে যায় যে কারো কারো।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই দু:খজনক।
মিথ্যা সব সময়ই ভয়ংকর এবং ক্ষতিকর। দুদিন আগে বা পরে।