নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এডমন্টন শহরে আমাদের বাসার বিপরীতে এক ইরানি দম্পতি বসবাস করেন। বয়স চল্লিশের কোঠায়। ধর্ম পরিচয়ে তাঁরা মুসলমান, কিন্তু চালচলন পশ্চিমা ধাঁচের । মেয়েটি সচরাচর শর্টস (হাফপ্যান্ট) পরে, গায়ে স্লিভলেস জামা।
সান্ধ্য-ভ্রমণের সময় এ দম্পতির সাথে দেখা হলে আলাপের এক পর্যায়ে ইরানে মেয়েদের হিজাব পরার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আলোচনায় এলো। মেয়েটিকে প্রশ্ন করলাম, 'কখনও ইরান বেড়াতে গেলে তুমি কি হিজাব পরবে?'
- অবশ্যই।
- কিন্তু, তুমি তো সচরাচর তা পর না!
- তাতে কি, জান নিয়ে তো কানাডায় ফিরে আসতে হবে। - - [অতঃপর তিনজনই একসাথে হাসাহাসি।]
বলতে দ্বিধা নেই, মুসলমানদের একটি বড়ো অংশই ধর্মের মূলসুরটি ধরতে অক্ষম। এভাবে বলপ্রয়োগে কাউকে ধার্মিক বানানো যায় না। অন্যসব ধর্মেও জোরজবরদস্তি কমবেশি আছে।
কেউ ধর্মচর্চা করবেন কি করবেন না সে বিষয়টি তাঁর উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। নইলে ধর্মচর্চার নামে ভণ্ডামি চলবেই। নিঃসন্দেহে, ভন্ডের চেয়ে অধার্মিক উত্তম।
২| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার বোঝাতে আর আসল বিষয়ে বিশাল ফারাক আছে।
মেয়েটি ভন্ড নয়। সে যখন ইরানে যায়, সে হিজাব পরে দেশের আইনের কারণে। সে কি আপনাকে বলেছে যে সে তখন ধর্মের কারণে পরে? যদি তা হতো, তাহলে সে ভন্ড হতো।
মেয়েটি মূলত ধর্ম থেকে দূরে সরে গিয়েছে, সেটা সে হয়ত বুঝতেও পারে না। ইরানে কাউকে ধর্ম মানতে বাধ্য করে নি। বরং তারা একটি পোশাককে চাপিয়ে দিয়েছে। ধর্ম মানতে কাউকে কোন ভাবেই বাধ্য করা যায় না। সে ভারতে রামের নাম নিয়ে মসজিদ ভেঙ্গে হোক আর ইরানে ধর্মের নামে হিজাব চাপিয়ে দিয়ে হোক।
বাংলাদেশের জাতীয় পোশাক লুঙ্গি হলেও সব জায়গায় ওটা পরে যাওয়া যায় না। সরাসরি হয়ত কোন আইন নাই, তারপরও যাওয়া যায় না। এটা একটা নিয়ম। ইরানেও তেমন। ইরানে টিভি দেখছে, গান গাচ্ছে, নাচানাচি করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কত কিছু করছে.... শুধু নিয়ম হচ্ছে বাইরে বের হলে হিজাব পরতে হচ্ছে। হিজাব না করার মত বাকি গুলি করাও কিন্তু হারাম।
৩| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:২৭
দারাশিকো বলেছেন: ঠিক কিসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাইলেন, বুঝতে পারলাম না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের আসল পরিচয় তার কর্মে। ধর্মে নয়।