নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাকর তো চাকরই! =
আমেরিকা থেকে এক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী গেলেন বাংলাদেশের একটা সরকারি কারখানায়। একটা সমস্যা সমাধানে তাঁকে দৈনিক তিন হাজার ডলার বেতন দিয়ে নিতে হয়েছিল।
কারখানায় তাঁকে সমস্যা বুঝিয়ে দেবার জন্য জিএম সাহেব স্যুট-টাই পরে উপস্থিত। আর, ওদিকে আমেরিকান এক্সপার্ট ব্রাউন এসেছেন ওয়ার্কারদের ইউনিফর্ম, মাথায় হার্ড হেলমেট, সেইফটি বুট, হাতে টর্চ, কাঁধে টুলস, ইত্যাদিতে সুসজ্জিত হয়ে।
জিএম সাহেব নিজের পরিচয় দিতেই ব্রাউন তাঁকে প্রশ্ন করলেন, 'আপনাদের ইঞ্জিনিয়ার কোথায়?'
- আমিই তো ইঞ্জিনিয়ার। আমি আপনাকে সবকিছু বুঝিয়ে দেব।
- কিন্তু, আপনিতো রেডি বলে মনে হচ্ছে না, এই কাপড়চোপড়ে কারখানায় ঢুকবেন? - -
ঘটনাটা আমার এক ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে (জিএম স্বয়ং) কিছুদিন আগে জানলাম।
উন্নত দেশগুলোতে কাজের জায়গায় কে ইঞ্জিনিয়ার, কে শ্রমিক, তা আপনি বেশভূষা দেখে বুঝতে পারবেন না। কারন, বাইরের চোখে দেখতে সবাই প্রায় অভিন্ন।
বাংলাদেশে সরকারি চাকুরীতে যাঁরা খানিক সিনিয়র হয়েছেন তাঁদের স্যুট-টাই পরা ছবি দেখলে মনেই হবে না এরা আদৌ চাকুরী করতে এসেছেন। ঝকঝকে-তকতকে-ফিটফাট অবস্থা দেখে মনে হতে পারে তাঁরা কর্মস্থল নয়, কোথাও প্লেজার ট্রিপ, বা হানিমুনে গেছেন।
কানাডা-আমেরিকা বা কোন উন্নত দেশের অফিস আদালতে আপনি এসব দেখবেন না। সেখানে মন্ত্রী-মিনিস্টারদের জীবনও একেবারে সাদামাটা।
গরিবের ঘোড়ারোগ বর্জন করে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন। ভাবতে শিখুন, শাসক নয় আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী; জনগণের সেবক। সেবকের আবার সিনিয়র-জুনিয়র বা প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণী কিসের? চাকর তো চাকরই!
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
বিটপি বলেছেন: আমার অফিস রুমে একটা কোট ঝুলানো আছে - কিন্তু আমি পড়িনা। ইডি স্যার এটা নিয়ে একবার প্রশ্ন করলে আমি বলেছিলাম, 'স্যার, কোট হচ্ছে একটা চরম ফরমাল ড্রেস। মিটিং এবং কর্পোরেট পার্টি ছাড়া আমি কোট পড়িনা।'
আমার উত্তর স্যারের পছন্দ হয়নি, কিন্তু তিনি আর কিছু বলেননি।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: স্যার কে দেখে যদি বোঝাই না গেলো যে সে একজন স্যার, তাহলে কি হয়? আমরা এমনই চিন্তা করি!
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
নাহল তরকারি বলেছেন: ভালো জামাকাপড় না পড়লে এদেশের মানুষ দাম দেয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: চমৎকার।