নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের কিছু ডাক্তারের কাছে রোগীরা মানুষ নন, কেবলই ব্যবসার পণ্য। তাঁদের হাতে মেয়েদের প্রাইভেসিও কোন বিষয় না, অর্থই সব। ডাক্তারদের রেগুলেটরি বডি (BMDC) কি এসব দেখেও দেখছে না? নাকি সর্ষেতে ভুত? কানাডায় হলে এই ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল হতে দুদিনও লাগতো না, তিনি যতোবড়ো বিশেষজ্ঞই হউন।
পড়ুন আমেরিকাপ্রবাসী এক ভুক্তভোগীর বাস্তব অভিজ্ঞতা। তাঁর ফেইসবুক আইডি: Asm Ibrahim
নিচের লেখা ও ছবি তাঁরই।
" বেশ কিছু দিন থেকে লক্ষ্য করছি আমার ওজন অনেক কমে গেছে, এর অন্যতম কারন হচ্ছে আমার খাওয়া দাওয়ার ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ। ছুটিতে গত মাসে দেশে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে সবার এক প্রশ্ন তোমার কি ডায়বেটিস হয়েছে, ডাক্তার দেখিয়েছ? আমি সাধারণত প্রতি ছয় মাস পর পর ডাক্তারের কাছে যাই এবং নিয়মিত চেক-আপ করে থাকি। প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রশ্নের পর প্রশ্নের কারণে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম একজন মেডিসিন স্পেশালিষ্ট এর কাছে যাব।
চট্টগ্রামের এক সনামধন্য ডাক্তার এর Appointment নিলাম। ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে বাইরে বসে আছি অনেকক্ষণ ধরে, অবশেষে রাত ৮টার দিকে ডাক আসল আমার। চেম্বারে ডুকতে যাব দেখি আমার সাথে আরও একজন রুগি ডুকছেন। ডাক্তারের সহকারী কে জিজ্ঞেস করতে জানতে পারলাম, ডাক্তার সাহেব একসাথে ২ জন্য রুগি দেখবেন। খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে গেলাম। ভাবছিলাম এই রকম পরিস্থিতিতে কি ভাবে রোগীরা নিজেদের শারিরীক সমস্যা আর এক জন অপরিচিত লোকের সামনে ডাক্তার এর সাথে আলোচনা করবে। মানুষের প্রাইভেসি বলতে কিছুই নাই? যাক যখন আমার পালা আসল তখন আমি আমার অক্টোবর নিউইয়র্কে করা যাবতীয় রক্তের পরিক্ষার রিপোর্ট ডাক্তার সাহেবকে দিলাম উনি মনে হয় সন্তুষ্ট হলেন না। তিনি আবার রক্তের পরিক্ষা করতে বল্লেন সাথে আরো কিছু অপ্রয়োজনীয় টেষ্ট। প্রাইভেসির কারণে এখানে উল্লেখ করলাম না কিকি টেষ্ট উনি দিয়েছিলেন।
যথারিতি যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে তিন দিন পর গেলাম ডাক্তার সাহেবের চেম্বারে। তিন ঘন্টা ধরে চেম্বারে বাইরে বসে আছি, এই যেন মাছ বাজার, লোকে লোকারণ্য (ছবি দেখুন)। রাত ৯ টার পর ডাক পরল যারা রিপোর্ট দেখাবে তাদের। এবার একসাথে ৫ জন করে রোগীর রিপোর্ট দেখবেন, আমি ত বেকুব বনে গেলাম। আমার সাথে ৫ জন লোক প্রবেশ করলেন ডাক্তারের চেম্বারে তার মধ্যে এক জন্য ছিলেন মহিলা। ডাক্তার সাহেব প্রথমে ভদ্র মহিলার রিপোর্ট দেখলেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নে বেচারির অস্বস্তি প্রকাশ করছিলেন উত্তর দিতে।অথচ ডাক্তার সাহেব নির্বিকার যেন কিছুই হয়নি।
আমেরিকাতে স্বামীর রিপোর্ট স্ত্রী কে বা স্ত্রী র রিপোর্ট স্বামীকে দেখাবেনা যতক্ষণ না পরস্পর লিখিত অনুমতি দেয়।এর কারন হচ্ছে রোগিদের প্রাইভেসি। আর ডাক্তার একই সাথে দুই জনে রোগী দেখবেন সেইটাত কল্পনার বাইরে। "
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মোকাবিলা আমাকেও করতে হয়েছে। বহুবছর আগে ধানমন্ডিতে এক ডাক্তারের সামনে অন্য রোগী থাকায় আমি তার কোন প্রশ্নের উত্তর দেইনি, সে কারনে তিনি আমাকে পাগলের ঔষধ দিয়েছিলেন!!!
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ডাক্তারদের প্রতি আমার তেমন কোন আস্থা নেই, খুব বড় বিপদে না পড়লে তাদের কাছে যাই না। ছয় মাস আগে আমার বাবার ডায়াবেটিসের জন্য ডাক্তারদের দেয়া সমস্ত ওষুধ ফেলে দিয়ে আমি নিজে চিকিৎসা করে ডায়াবেটিস ভালো করেছি। অবস্থা যা শুরু হইছিল এতদিন তিনি ডাক্তারদের তত্বাবধানে থাকলে উনাকে তারা মেরে ফেলতো। আমাদের দেশের ডাক্তাররা মোটেও রোগী ভাল হউক তা চায় না, তারা রোগ আরও বাড়ানোর ব্যবস্থা করে।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে যে যাকে সুযোগ পাচ্ছে ঠকাচ্ছে।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: সৌদিতে চিকিৎসা ব্যাবস্থা সুন্দর। যথেষ্ট প্রাইভেসি মেইনটেইন করে এরা।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: অনিয়মই নিয়ম এখন
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশে প্রাইভেসির অন্য মানে আছে !!! আপনি প্রাইভেসি চান অর্থাৎ আপনার উদ্দেশ্য অসৎ !!! যে সমাজে পরিবারেই প্রাইভেসি নামক শব্দের ব্যাবহার হয় না সেইখানে আপনি কি করে আশা করেন পাব্লিক প্লেসে প্রাইভেসি !!! ?????