নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খ্রিস্টীয় নববর্ষে জনস্বার্থে প্রয়োজন এমন দুটি বিষয়ের অবতারণা করছি এ লেখায়। আগ্রহীরা পড়তে পারেন।
এক) আমার জানামতে, বিশ্বের কোন দেশের নামের আগে আজও 'ডিজিটাল' উপাধি যোগ হয়নি। এমনকি উত্তর আমেরিকার কোন দেশের আগেও না। অর্থাৎ, তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দেশ বাংলাদেশই কেবল 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' আখ্যা পেয়েছে। এ নামটি অর্থপূর্ণ হতো যদি আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা কিছু কাজও করে দেখাতে পারতাম। বাস্তবতা হলো, দেশের একজন সাধারণ মানুষ যখন দুশ টাকার খাজনা দিতে ভূমি অফিসে যায় তখন তাকে খাজনার পাশাপাশি দু-চার হাজার টাকার (বা তারও বেশি) বাজনাও গুনতে হয়। আর এ কাজটি সম্পন্ন করতে যে কত টেবিলে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় সে প্রশ্নে না-ই বা গেলাম।
দুই) ওদিকে, এন্ট্রি লেভেলের তরুণ সরকারি কর্মকর্তা 'এসি ল্যান্ড' বৃন্দের হাতে দিয়ে রাখা হয়েছে মানুষের জমির খতিয়ান বাতিলের মতো সিরিয়াস ক্ষমতা। ফলে, এসব তরুণ অফিসারদের অনেকে যাচাই-বাছাইয়ের যথাযথ ধাপগুলো না জেনে, বা অন্যভাবে প্রভাবিত হয়ে, এ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন নিয়মিত। প্রশাসনের কর্মকর্তা হওয়ায় তাঁদের চ্যালেঞ্জ করার সাহসও সাধারণের থাকে না। এমন এক ঘটনার ভুক্তভোগী আমার নিজের পরিবারও। আমাদের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করে তদন্তাধীন জমিটি প্রকৃত অর্থে কার নামে রেজিস্ট্রি করা আছে সে বিষয়ে যে খোঁজখবর নিতে হয় তা তরুণ এসি ল্যান্ড জানতেনই না, বা জানলেও অজ্ঞাতকারণে সে পথে যাননি। এ দায়িত্ব একজন সিনিয়র অফিসারের কাঁধে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই অনুসন্ধানের যথাযথ পদ্ধতিগুলো মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেন। তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে এ খাতেও সাধারনের ভোগান্তির বিলোপ ঘটানো সম্ভব। কানাডায় এসব কাজ ঘরে বসে মানুষ অনলাইনেই করে থাকে। এতে প্রচুর কর্মঘণ্টার সাশ্রয় হয়। কানাডা-আমেরিকাকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে, তা কি কেবল মুখে আওড়ালেই হলো?
মহল বিশেষকে খুশি করতে কেউ যেন আবার বলে না বসেন, 'ভাই, বিএনপি-জামাতের আমলে আপনি এই কথাগুলো বলেননি কেন?' তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, জন্মভূমিকে গভীর ভালোবাসি বলেই নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে সুদূর কানাডা হতে এ সমস্যাগুলো বাংলাদেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে চাইছি। এখানে 'টাইম ইজ মানি' কথাটা খুবই প্রচলিত।
সবাইকে আবারও শুভ নববর্ষ।
FaceBook: ML Gani
ইমেইল: [email protected]
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৭
এমএলজি বলেছেন: সেই দিনটি আমরা দেখবো কবে, বা আদৌ দেখবো কি?
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে থাকেন না তাই জানেন না।
শেখ হাসিনার ইচ্ছা ছিলো দেশকে ডিজিটাল করবেন। অনেকখানিই ডিজিটাল করেছেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪
এমএলজি বলেছেন: ভাই, দেশের সাথে যোগাযোগ না থাকলে নিজের পরিবারের ভোগান্তি শেয়ার করলাম কিভাবে?
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি আসলে "ডিজিটাল" - শব্দের অর্থই বোঝেন না।
আফসোস।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
এমএলজি বলেছেন: আপনি বুঝলেই হলো। সরকারি চাকুরী করেন নাকি?
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: ভয়ানক ভাবে ডিজিটাল! সবকিছু ডিজিটাল! ভূমি অফিসের কথা বলেছেন, সেটা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা বলি। খাজনা দিতে গেলাম, বলল অনলাইনে নিবন্ধন করে নিবন্ধনের প্রিন্ট আউট নিয়ে গেলে তারা সেটা দেখে খাজনা নেবেন। কারণ এখন
ডিজিটাল ভূমি অফিস! সেটা নিয়ে যাবার পর দুই দিন ঘুরলাম, কারণ সার্ভার কাজ করছে না। তৃতীয় দিন একজন কাগজ নিলেন, সেটা দেখে তিনি আমার কাছে একটা অংকের টাকা চাইলেন, সেটা ড্রয়ারে রেখে কম্পিউটারে খুটঘাট করে আমাকে বললেন, "আপনার খাজনা দেওয়া হয়ে গেছে অনলাইনে। এই নাম্বার থেকে ২৪ ঘন্টা পর খাজনার রশিদ প্রিন্ট আউট নেবেন!" ২৪ ঘন্টা পর অনলাইনে খাজনার রশিদ পেলাম, দেখলাম আমার থেকে যে টাকা নিয়েছে রশিদে তার এক তৃতীয়াংশ টাকার অংক লেখা আছে।। এর নাম ডিজিটাল!!!!
ই পাসপোর্ট করতে গেলাম। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হয় অনলাইনে, সেখানেও দুদিন ঘুরলাম, সার্ভার কাজ করছে না!! অনলাইনে পাসপোর্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, তারপর তার প্রিন্ট আউট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে লাইনে দাঁড়াতে হয়। বিভিন্ন লাইন পেরিয়ে ফটো তোলার লাইনে গেলে সেই কাগজ ভালো ভালো ভাবে খুটিয়ে দেখে তারপরে ফটো তোলা হয়।। হয়ে গেল ডিজিটালি কাজ!
এমন ডিজিটাল দেশ আর কোথাও আছে কি!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
এমএলজি বলেছেন: ডিজিটালের এতো বড়ো দৃষ্টান্ত আর চোখে পড়েনি। শেয়ার করা যাবে কি?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশও হবে একদিন।