নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক ছাদের নিচে বসবাস করেও মত ও পথের অমিল হতেই পারে। তবে স্বামী-স্ত্রীর মত পার্থক্য সন্তানদের উপর যাতে কম প্রভাব ফেলে তা নিয়ে সচেতন থাকা প্রত্যেক বিবেকবান মাতাপিতার কর্তব্য। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনাদের দুজনের ভুলবুঝাবুঝির জেরে যেন আপনার অবুঝ শিশুটি শারীরিক-মানসিক ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
কানাডার এক স্কুল শিক্ষক সেদিন তাঁর শ্রেণীকক্ষের এক ঘটনা জানালেন। স্কুলের প্রিন্সিপাল ওই শিক্ষককে টেলিফোনে অনুরোধ করলেন তাঁর ক্লাসের একজন বিশেষ ছাত্রের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে। কারন, তার ব্যাকপ্যাক (স্কুলের ব্যাগ)- এ একটা নিষিদ্ধ বস্তু (prohibited item) আছে বলে তিনি এইমাত্র জানতে পেরেছেন। খানিক আগে ছেলেটির মা টেলিফোন করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপালকে।
কিছুক্ষনের মধ্যে প্রিন্সিপাল সাহেব অন্য একজনকে সাথে নিয়ে শ্রেণীকক্ষে এলেন। মুহূর্তেই তিনি সেই ছাত্রের ব্যাকপ্যাক নিজের দখলে নিয়ে নিলেন। অপরজন ওই ছাত্রের হাত ধরে তাকে স্কুলের অফিসে নিয়ে গেলেন। ব্যাকপ্যাকে ঠিক কি ছিল তা শ্রেণিশিক্ষক পরবর্তীতে বিস্তারিত জেনেছেন।
এই ছাত্রের বাবা-মায়ের ডিভোর্স এর প্রক্রিয়া চলছে। মাঝে মাঝে তাঁরা দুজন টেলিফোনে বা সরাসরি সাক্ষাতে পরস্পরের সাথে ঝগড়াঝাটি বা বাদানুবাদ করেন তাঁদের এই সন্তানের সামনেই। ছেলেটির বয়স কেবল বার। সবার মানসিক দৃঢ়তা সমান হয় না; এ বৈরী পরিবেশ সে মেনে নিতে পারে না। ফলে, এতো কম বয়সেই সে ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় রান্নাঘরের সবচেয়ে বড়ো ছুরিটা ব্যাগে নিয়েই সে স্কুলে গেছে।
কিছুদিন আগেও সে একবার ছুরিটি তার ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু, মা দেখে ফেলায় আবার বের করে রেখেছিল। বিষয়টা মায়ের মনে ছিল। তাই, সেদিন রান্নাঘরে ছুরিটি না দেখে তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি সাথে সাথে বিষয়টি স্কুলের প্রিন্সিপালকে জানান। সত্যিকার অর্থেই তার ব্যাকপ্যাকে ওই ছুরিটা ছিল। যথাসময়ে ব্যবস্থা না নিলে এই ছেলে সেদিন যে কি অঘটন ঘটাতো তা ভাবতেও গা শিউরে উঠে।
স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সাথে বাদানুবাদ করলে তা আপনাদের শিশু সন্তানটির সামনে নয়, আড়ালেই করুন। তাঁকে নীরব বা নির্লিপ্ত দেখে যেন ধরে না নেন সে কিছু বুঝতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে বাবা-মায়ের আপত্তিকর আচরণ সন্তানের জীবনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। ক্ষেত্রবিশেষে, তারা এমন কিছু ঘটিয়ে বসতে পারে যা তার নিজের জন্য কেবল নয়, বাবা-মা বা আশপাশের লোকজনের জন্যও ভয়াবহ ক্ষতির কারন হয়ে উঠতে পারে।
মনে রাখুন, 'সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে' - কথাটা অর্ধসত্য। একটি সংসার সুখের হতে দুজনের সমান অংশগ্রহণ লাগে; নারীর একার উপর এর দায় দেয়া যায় না। সংসার সুখের হয় দুজনের গুণে। এখানে স্বামী বা স্ত্রীর কারো একক অবদান ছোট বা বড়ো করে দেখার সুযোগ নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই। স্বামী স্ত্রী দুজন মিলেমিশে থাকলেই সংসার শান্তি হয়।
মূলত সংসার জীবনে 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়, স্ত্রী স্বামী দুজনকেই। যত ছাড়, সংসার তত শান্তি।