নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উনি হালাল-হারাম মেনে চলাদের দলে! =
দেশে বেড়াতে গেলে হঠাৎই এক আত্মীয়ের বাসায় এক নতুন আত্মীয়ের সাথে কথা হলো। তিনি সরকারি চাকুরী করেন। যে ডিপার্টমেন্টে তিনি চাকুরী করেন দেশে ওই ডিপার্টমেন্টে দুর্নীতির ব্যাপক বদনাম আছে।
কথায় কথায় দুর্নীতির প্রসঙ্গটা আলোচনায় চলে এলে তিনি বললেন, 'আমাদের অফিসে কিন্তু সবাই দুর্নীতিবাজ না। মুষ্টিমেয় কিছু দুর্নীতিবাজের কারণে সবার বদনাম।'
ওই আড্ডায় উপস্থিত আরেকজন তখন রসিকতা করে বললেন, 'আপনার কি অবস্থা ভাই?'
- আমি হালাল-হারাম মেনে চলাদের দলে। প্রতি ফাইল স্বাক্ষরের জন্য আমি এক হাজার টাকা পাই। এটা ঘুষ না; এই রেইটটা আমাদের সিনিয়ররা কয়েকবছর আগে ঠিক করে দিয়েছেন। আমরা জাস্ট সেটা ফলো করি। নিয়ম মেনেই টাকাটা আসে।'
- দিনে কয়টা ফাইল স্বাক্ষর করেন?
- ৩০/৪০ টা তো হবেই।
- বাহ্, তবে তো আপনার হালাল ইনকামই দিনে তিরিশ-চল্লিশ হাজার টাকা।
- না, আরেকটু বেশি হবে। শিপমেন্টের ইন্সপেকশনে গেলে আরো কিছু এক্সট্রা পাই। ওরাই দেয়, আমি কারো কাছে হাত পাতি না। ওটা বাবার মানা।
উত্তর শুনে আরেক মুরুব্বি বলে উঠলেন, 'আপনি তো তাহলে ভালোই অনেস্ট! লোকে খামাখাই আপনাদের বদনাম করে।'
কোন কথা না বলে আমি কেবল বেকুবের মতো শুনলাম। বেশ উপভোগ্য আলোচনা বটে!
যোগাযোগ: [email protected]
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫
এমএলজি বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন। উনি আসলেই গ্রামে এ ধরণের ধর্মীয় কাজকর্ম করেছেন বলে শুনেছি।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: কাহিনীটা বিশ্বাস হল না। যারা ঘুস খায় , তারা এভাবে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় না।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৬
এমএলজি বলেছেন: উনি মনে করেন না যে এসব ঘুষ। মাইন্ডসেট পুরাই আলাদা।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কনফার্ম জান্নাতি।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কিছুদিন ধরে এই ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। ঘুষের টাকা অফিসের পদ অনুযায়ী ভাগ করে নেয়-টপ বস থেকে পিয়ন আর্দালী সবাই পায়। এসব অফিসে কোন রাখ ঢাক না করে ঘুষের টাকা নেয়- এবং সবাই ভাগের টাকা হালাল মনে করেই হজম করে।
বেশ কয়েক বছর ধরে এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হচ্ছে। শুরু হয়েছে নতুন উপসর্গের ভয়ঙ্কর এক রোগ- হারামকে হাল বানানোর দারুন সব রেসিপি।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরাই মাননীয় ----- বেকুব বনে গেলুম
একজন হজে গেছেন। অনেকেই সন্দেহের চোখে তার দিকে তাকাচ্ছেন। তিনি অবশেষে খোলসা করলেন - আমি বেতনের টাকায় হজে এসেছি, এ টাকার সাথে ঘুষের টাকা মেশাই নাই
আরেকজন ঘুষ নেয়ার সময় বললেন, আমি ওজু করেছি, টাকা হাত দিয়া ধরতে পারবো না, আপনি প্লিজ টাকাটা এইখানে আমার ড্রয়ারে ফেলুন
উপরের ১ নাম্বারটা আগে কোথাও শোনেন নাই। কারণ, ওটা এবারে ঘটনা। ২ নাম্বার জোকটা (সত্য কাহিনি) আগে থেকেই শুনে আসছি।
আমার আর কিছুই বলার নাই
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২১
কামাল৮০ বলেছেন: কিছু লোকের বক্তব্য হলো,যদি ইচ্ছা করে দেয় তবে সেটা ঘুষ না।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এটা এখন মোটামুটি সকল সরকারী অফিসের অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছে।
কাউকে কিছু চাইতে হয়না , বলতে হয়না।
যে কোন কার্যাদেশ কিংবা কেনা-কাটায় রেট স্থির করা হয় সব কিছু হিসাব নিকাশ করেই এবং মাস শেষে সবার ভাগের খাম যার যার টেবিলে চলে যায় কিছু বলার আগেই।
আর তাই তাদের সবার ধারনা এ ঘুষ নয় এ তাদের হক , এ হলো সার্ভিস ফি। (আমার অতি আপনজন এই রকম ভাগের ভাগীদার হিসাবে জানি তাই বললাম)
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: মজার.....ইনারাই এখন দেশের হারাম-হালাল, মসজিদ-মাদ্রাসার ঠিকাদার...
খোঁজ নিয়ে দেখেন উনি এলাকায় বিরাট দানবীর। ইমাম সাহেবরাও উনাদের প্রশংসায় প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের মাঝে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন নিশ্চয়। প্রতি শুকরিয়ায় নতুন এসি, ফ্যান ইত্যাদি ইত্যাদি....আজব এক ইমানদারী দুনিয়াই আমরা প্রবেশ করছি..?