নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশিরভাগ বাংলাদেশী পিতামাতা মনে করেন তাঁদের সন্তানরা বিসিএস দিয়ে একটা সরকারি চাকুরীতে ঢুকে গেলেই জীবনে পুরোদমে সফল হয়ে গেল। আমলানির্ভর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ চিন্তা বাস্তপোযোগী মনে হলেও উন্নত বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে এ ধরনের ধারণা পশ্চাৎমুখী ও সেকেলে বলতেই হয়।
আমেরিকা, কানাডা বা অন্য কোন উন্নতদেশে সরকারি চাকুরী পেতে বাংলাদেশের মতো এতোটা প্রতিযোগিতা নেই। ওসব দেশের কোন ছাত্রকে 'জীবনের লক্ষ্য কি?' এ প্রশ্ন করা হলে খুব কমক্ষেত্রেই তারা 'বিসিএস অফিসার জাতীয়' কিছু হবার আগ্রহ প্রকাশ করবে। আমি নিজে বেশ কয়েক ছাত্রকে এ প্রশ্ন করে তেমন প্রমান পেয়েছি।
টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন প্রজন্মকে উন্নত ও আধুনিক চিন্তা চেতনায় উজ্জীবিত করতে হবে। আমলাতান্ত্রিকতার পরিবর্তে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যর্থ হলে উন্নত বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে চলা দুস্কর হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক ও কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ এ বিষয়টি যতদ্রুত অনুধাবন করবেন দেশের জন্য ততই মঙ্গল। এই ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব হতে বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপ ভাবার সুযোগ নেই। আপনারা যে যার অবস্থান হতে আপনার সন্তান তথা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। আমার সাম্প্রতিক দেশ সফরে আমলাতান্ত্রিকতার যে রূপ দেখে এসেছি তা এক কথায় ভয়াবহ।
Email: [email protected]
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫২
নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস ই সব।