নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Top Ranking University ও কানাডা ইমিগ্রেশন
কানাডায় পড়াশোনার মাধ্যমে সেদেশে ইমিগ্রেশন পাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। তবে, এ কাজটি যত কম বয়সে করা যায় তত মঙ্গল। কেননা, বয়স বৃদ্ধির সাথে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনে অনুমোদন পাবার সম্ভাবনা কমে যায়।
অনেকে জানতে চান, কানাডায় টপ রেঙ্কিং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সাথে কানাডা ইমিগ্রেশনের সম্ভাবনা আছে কি?
এ প্রশ্নের উত্তর হলো, 'না। কোন সম্পর্ক নেই।'
কানাডার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান অভিন্ন বিবেচিত হয়। তবে, কানাডায় পোস্ট গ্রেজুয়েট ওয়ার্ক পারমিট প্রদানের ক্ষেত্রে আপনি ডিএলআই, বা ডেজিগনেটেড লার্নিং ইনস্টিটিউট-এ পড়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। এই ওয়ার্ক পারমিটে কানাডায় বৈধভাবে কাজ করা যায় যা পরবর্তীতে ইমিগ্রেশনের আবেদনে অতিরিক্ত পয়েন্ট পেতে সহায়ক হয়। বলা বাহুল্য, কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা এবং কানাডার কাজের অভিজ্ঞতা ইমিগ্রেশনের পয়েন্ট অনেক বাড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশে অভিভাবকবৃন্দের মধ্যে তাঁদের সন্তানরা কানাডার টপ রেঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কিনা তা নিয়ে একটা প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা আমি লক্ষ করেছি। সে প্রেক্ষিতে উপরের কথাগুলো বললাম।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি তথ্য দেই। বড়ো বিশ্ববিদ্যালয় মানে উঁচুমাত্রার টিউশন ফি। কানাডায় যারা বিদেশ থেকে পড়তে আসে তাদের বলে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। তাদের ক্ষেত্রে টিউশন ফি কানাডার পিআর বা, সিটিজেনদের তুলনায় চার-পাঁচগুণ বেশি। তাছাড়া, নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি এর সাথে কিছুটা কম পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি'তেও আকাশপাতাল ফারাক। তাই, প্রথমে সাশ্রয়ী প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে পিআর স্ট্যাটাস অর্জনের পর কম খরচে পছন্দের রেংকিং প্রতিষ্ঠানে পড়তে গেলে খরচ অনেক কমে যায়।
এক দম্পতি আরেকটি বিষয় সেদিন আমার নজরে আনলেন। তাঁরা জানালেন, টপ রেঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে নাকি দেশে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের কাছে তেমন দাম পাওয়া যায় না। এ সমস্যা মোকাবেলার উপায় কি?
এই দম্পতিকে আমি রসিকতার সুরে বললাম, 'ঐসব আত্মীয় স্বজনকে বলুন আপনার সন্তান হার্ভাডে গেছে, তাতেই তো তাঁদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়!' - আমার উত্তর শুনে তাঁরা হেসে খুন।
এম এল গনি, RCIC
[email protected]
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, কানাডাতে কত বাঙ্গালী থাকে?