নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাকুরীতে থাকাবস্থায় মোট চারবার কানাডা-আমেরিকা ভ্রমন করেছেন এক ভদ্রলোক। অবসরের দুবছর পর কানাডায় বসবাসরত কন্যার বাসায় বেড়াতে ভিসার আবেদন করেছিলেন কয়েকমাস আগে। সে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় আমার সাথে যোগাযোগ করলেন কন্যার মাধ্যমে।
আক্ষেপ করে ভদ্রলোক বললেন, 'দেখুন, এরা (ভিসা অফিসার) আমাকে কেমন অপমানটা করলো! এতবার কানাডা-আমেরিকায় ভ্রমণ করা একজন মানুষকে এভাবে ভিসা refuse করে কেমনে?'
আমি বললাম, 'এটা আপনার অযোগ্যতা নয়। কোন কারণে ভিসা অফিসার মনে করেছেন আপনি হয়তো কানাডায় থেকে যেতে পারেন, তাই ভিসা দেয়নি; এটা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা।'
- আগে এতবার ওসব দেশে গিয়ে থাকিনি, এখন থাকবো কেন?
- কারণ, দেশের চাকুরী যেহেতু আর নেই, তাই, কানাডায় থেকে গেলে আপনার হারাবারও কিছু নেই এখন। অর্থাৎ, আগের আপনি আর বর্তমানের আপনি ভিন্ন মানুষ। ভিসা অফিসার হয়তো সেভাবেই ভেবেছেন। - -
ঘটনাটা শেয়ার করার কারন, আপনারা যারা ভালো চাকুরী করেন তাঁরা চাইলে চাকুরীরত অবস্থায় দেশ বিদেশ ঘুরে দেখতে পারেন। চাকুরীতে থাকা অবস্থায় উন্নত দেশগুলোতে ভিসা পাওয়া যতটা সহজ অবসরে গেলে ততটা নয়। এমন অসংখ্য দৃষ্টান্তের একটি উপরের ভদ্রলোকের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যানের ঘটনা। ভিসা অফিসার তাঁকে চারবার ভিসা দিয়েছেন বলে পঞ্চমবারও দিতে হবে এমন কথা নেই। প্রতিবারের এসেসমেন্ট আলাদা।
'অবসরে গিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করবেন' এমন পরিকল্পনা শ্রুতিমধুর হলেও বাস্তবসম্মত নয়। চাকুরীর সোনালী সময়ের কিছুটা বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করুন যদি দেশ বিদেশ ঘুরে দেখার আগ্রহ আদৌ আপনার পরিকল্পনায় থাকে।
মনে রাখুন, মানুষটার আসলে কোন দাম নেই, দাম শুধু পদ-পদবির। এটা দেশে যেমন সত্য, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও তা একইভাবে সত্য।
শুভকামনা।
- ML Gani, RCIC
২| ১০ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
জগতারন বলেছেন:
ব্লগার এমএলজি আপনি তো মশাই চোর আমলাদের চরি করতে আগে থেকেই সতর্ক করে দিলেন।
ঐ চোরা তো চাকরী থাকতেই বিদেশে পাড়ী জমাবে।
৩| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৩
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ঠিক।
৪| ১১ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৪
গরল বলেছেন: প্রত্যেক দেশেই বছরে কতজন ভিজিটরকে দেশে ঢুকতে দিবে তার একটা কোটা থাকে। কিছু কোটা সংরক্ষিত থাকে জরুরী ও মানবিক প্রয়োজনের জন্য। অতএব কোটা শেষ হয়ে গেলে অপ্রয়োজনীয় বিবেচনা করে যে কাউকেই প্রত্যাখান করতে পারে কোন কারণ ছাড়াই। গত ডিসেম্বরে আমার দুই বন্ধুর বাবা মা ভিসা পায় নাই যারা একজন রিটায়ার্ড ব্রিগেডিয়ার ও আর একজন মোটামুটি বড় ব্যাবসায়ি এবং ঢাকায় একাধিক বাড়ি আছে। বন্ধু দুজনেই এখানে ভালো চাকুরী করে ও বাড়ি আছে। অথচ আর একজন স্টুডেন্ট ও সিঙ্গেল মাদার, তার পরীক্ষা ও স্টাডি টুরে যাবে, ছোট বাচ্চাকে এক মাস দেখা শুনা করার জন্য তার বাবা মাকে ঠিকই ভিসা দিয়েছে, যাদের কোন আয় নাই বা ঢাকায় কোন বাড়িও নাই। অতএব ওদের অনেক কিছু চিন্তা করতে হয় ভিসা দেওয়ার জন্য। মানবিক কারণ বা ফ্যামিলি ইমারজেন্সি হলে ভিসা দিতে কার্পণ্য করে না।
৫| ১১ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সত্য কথা। তবে ব্লগার গরল যাহা বলেছেন তাহাও বিবেচ্য।
৬| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খুব সত্য কথা বলেছেন। পরনের পোশাকটাই আসল, ভেতরের মানুষটা নকল। শেখ সাদীর সেই গল্পটা মনে পড়লো।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।