নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে আইনের অভাব নেই, আইন মেনে চলার মানুষের যথেষ্ট অভাব আছে যদিও। আমরা মনে করি আইন ভঙ্গ করে বিপরীত কিছু করার ক্ষমতাই আসল ক্ষমতা; যে কারণে কেউ কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত হলে তিনি নিজে, এবং তাঁর সহযোগিতায় অন্য অনেকেও আইনে মানা আছে এমনসব কাজ করার সুযোগ খোঁজেন। এটি আমাদের একটি কালচারাল সমস্যা; অপসংস্কৃতির শিকার আমরা। দুঃখজনক হলেও সত্য, পরিবেশের প্রভাবে আমাদের সন্তানরাও সে মানসিকতায় গড়ে উঠেছে।
সপ্তাহখানেক আগে আমাকে কানাডায় পড়তে আসা বাংলাদেশী এক ছাত্র ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় ফোন দিলো। সমস্যা হলো, কোয়ারেন্টাইন রুল ভঙ্গ করেছে সে। কথা ছিল কানাডায় পৌঁছে চৌদ্দ দিন সে বাইরে কোথাও যাবে না। কিন্তু, কেবল চার দিনের মাথায় সে বাইরে গেলো। সাত দিনের মাথায় আবারও একবার বের হলো। সে জানেনা কানাডা ইমিগ্রেশনের লোকজন তার কোয়ারেন্টাইন ভাঙার এ তথ্য পেয়ে গেছে। তাঁকে অনলাইনে জরুরি মিটিংয়ে ডেকেছে তারা। - -
কিভাবে এ সমস্যার সমাধানা হয়েছে তার বিস্তারিত এখানে বলবো না। তবে এটুকু বলি, বিদেশের মাটিতে যাঁরা কোয়ারেন্টাইন করার নির্দেশনা পেয়েছেন তাঁরা তা অবশ্যই অবশ্যই পালন করবেন। অন্যথায়, টেম্পোরারি ভিসাধারী কেউ হয়ে থাকলে এ কারণে তাঁরা আপনাকে দেশ হতে বহিস্কার করতে পারেন। নিয়ম ভঙ্গের কারণে ভবিষ্যতেও এদেশে প্রবেশে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি বাংলাদেশ নয় যে প্রভাবশালী কারো নাম ভাঙিয়ে সাত খুন মাফ পাবেন। এসব দেশে পা রাখার সাথে সাথে নিজের মাইন্ডসেটও বদলে ফেলুন। আপনার মঙ্গল বিবেচনায় কথাগুলো বললাম।
এম এল গনি/কানাডা
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সেই ছাত্র তো বাংলাদেশের বদনাম করবে। ছাগলটাকে কান ধরে দেশে পাঠিয়ে দিক।